[পূর্বে প্রকাশিত।লম্বা কেচাল লিখার জন্য আগেই মাফ চাই]
পৃথুন একদৃষ্টিতে বাইরে তাকিয়ে রইল..কি দেখছে হয়তো সে নিজেও জানে না। কি আছে বাইরে? বৃষ্টির ঝিরি ঝিরি ফোটা ঝড়ে পরার মত কোন অলৌকিক সৌন্দর্য কিংবা তারা ভরা উদ্ভাসিত আকাশ নাকি জোৎস্নায় প্লাবিত রহস্যময় চারপাশ !!! এর কোনটাই যে নয়...পৃথুন তাকিয়ে আছে অপার অন্ধকারের দিকে...তার নিথর নিষ্পলক চোখ তাকিয়ে আছে সামনে...কিন্তু তার মনটা ধেয়ে চলছে যোজন যোজন মাইল দূরে। মানুষের মস্তিষ্ক কি অসাধারণ এক টাইম-মেশিন। চাইলেই নিয়ে যেতে পারে অতীতের ফেলে আসা স্মৃতির দোরগোড়ায় .. আবার চাইলেই নিয়ে যেতে পারে অনাগত ভবিষ্যতের রুদ্ধ দারপ্রান্তে।
খুব কি বেশীদিন আগের কথা? ছোট্ট পৃথুন দেখতে দেখতে কথা বলতে শিখল, মা'র একটা আঙ্গুল ধরে হাটতে শিখল...তার ছোট্ট ছোট্ট কম্পিত এলোমেলো পদক্ষেপ...যা দেখে তার বাবার ছুটে আসা...তাকে শক্ত হাতে ধরে নিরবে বুঝতে দেওয়া "আই আম অলওয়েস দ্যায়ের ফর ইউ মাই প্রিন্সেস"। ওইটুকুন পৃথুনও বুঝতে পারতো তাকে চারপাশ থেকে আগলে রেখেছে অসম্ভব মায়াময় দু'জোড়া চোখ আর ভালবাসায় ভরা দু'জোড়া হাত, এরা কি পারে তাকে পরে যেতে দিতে?
এভাবেই শুরু হয় ধীরে ধীরে পিথুনের বেড়ে ওঠা, বুঝতে শেখা, জানতে শেখা, উপল্বদ্ধি করতে শেখা- সময়ের পরিক্রমায় একে একে ধাপের পর ধাপ পেরিয়ে আকাশটা ছোঁবার তিব্র আকাংক্ষার সপ্নমগ্ন বীভরতায় ডুবতে শেখা। তার যে ডুবতে কোন ভয় নেই...কারন তাকে আগলে রেখেছে দুই অতন্দ্রপ্রহরী।
হাসিখুশি, প্রানবন্ত , উচ্ছল, তারুন্যদীপ্ত এমন হাজারো কঠিন কঠিন শব্দ দিয়ে যে পৃথুনকে বর্ণনা করা যায় না। বাবা-মা বেশ শখ করে মেয়ের নাম রেখেছিলেন পৃথুন, যেন পৃথিবীর মতই বিশাল হয় তার বিস্মৃতি , যেন তার মাঝ থেকেই বিচ্ছুরিত হয় সকল প্রানের উচ্ছাস, তাকে ঘিরেই যেন চলতে থাকে বেঁচে থাকার উল্লাস। বন্ধুমহলে সবার প্রিয় পৃথুন, অসাধারন ছবি আঁকায় পারদর্শী পৃথুন, বিচক্ষণ তার্কিক পৃথুন- এতো সব মিলিয়ে যে পৃথুন তার মত অনেকেই হতে চাইবে এটাইতো সাভাবিক।
অসম্ভব সুন্দর একটা জল রঙের ছবিতে কয়েক ফোটা জল পরলে যেমন ছবি তার আসল সরুপ হারায় তেমনি বিধাতার নিদারুন নির্মমতাও ধবংস করে দিতে পারে সাজান গোছান তারই সৃষ্ট জীবনের সরুপ। পৃথিবীর মত বিশাল মনের পৃথুনের পৃথিবীও আজ এক ক্ষুদ্র গন্ডির মাঝে এসে পড়েছে, এই গন্ডির পুরোটাই বিধাতার আঁকা আর খানিকটা পৃথুনের নিজ ইচ্ছেয় টানা। কোনই দরকার ছিল না, তাও বিধাতা একটুখানিও পিছপা হননি পৃথুনের বাবা-মা কে একলহমায় তার কাছ থেকে কেড়ে নিতে, আর পৃথুনকে রেখে যেতে একরাশ শূণ্যতায়।
রাশি রাশি স্মৃতির মাঝে হাতরাতে হাতরাতে পৃথুন এখনও তাকিয়ে আছে নিকষ কালো অন্ধকারের পানে, বড্ড বেশী অন্ধকার...আজ কি আকাশে মেঘ জমেছে......একটুখানি আলোও নেই কেন কোথাও?ইতি উতি ভাবতে ভাবতে হঠাত মুচকি হেসে পৃথুন বুঝতে পারে এই জগতটাই যে বড্ড কালো তার জন্যে...চাঁদের আলোও কালো...মেঘে ঢাকা আকাশও কালো...সূর্যের তেজও ভীষন কালো....হয়তো তার অনুভূতিটুকুও আজ কালো। একটা মাত্র দুর্ঘটনা কিভাবে উলোট পালট করে দেয় সারাজীববের প্রাপ্তি। আজ পৃথুনের মায়াকারা চোখজোড়া আছে ঠিকই কিন্তু ওই চোখের যে ভারী পছন্দ অন্ধকার আর কালো রঙের পৃথিবী। আজ পৃথুনকে প্রিন্সেস বলে ডাকার জন্য তার বাবা কাছে নেই আর নেই তার মা যার পাশে গেলেই তার মনে হয় "আই এম ইন দি আর্মস অফ এন এঞ্জেল"....আজ আর কেউ পৃথুনের মত হতে চায় না...চায় না এমন এক আলোহীন ধূসর জীবন।
এরকম অনেক পৃথুনই আছে আপনার আমার আশপাশেই। হয়তোবা আপনেও এদের মাঝে একজনকে চেনেন। আমার ছোট্ট গল্পটা নাহয় বাস্তবের সাথে কল্পনার খানিকটা ভেজাল মিশেল (বর্তমান যুগে যা অঘোষিত ভাবে সীকৃত)। কারন বাস্তবের পৃথুনরা কি ভাবে, তাদের সপ্নের রঙ কি তা আমি জানি না। জানতে খুব ইচ্ছে করে তবে সাহস করতে খুব ভয় হয়...যদি আমায় পাল্টা জিজ্ঞেস করে বসে "তোমাদের সপ্নগুলোর রঙ কি আমাদের মত ধূসর নাকি রঙ্গিন?" কি উওর দেব জানা নেই। কিন্তু আমরা যদি সবাই মিলে একটু চেষ্টা করি তাহলে হয়তো অনেক পৃথুনই আবার এই বিশাল পৃথিবীটাকে আমাদের চোখ(কর্ণিয়া) দিয়েই দেখে যেতে পারবে। এতেও কিন্তু আমাদেরই লাভ...আমরা মৃত্যুর পরো বেঁচে থাকব এই পৃথিবীতে আগামীর পৃথুনদের মাঝে। তাহলে কেন না আমরা সময় থাকতেই সন্ধানী আই ডোনেট অর্গানাইজেশেনের সাথে যোগাযোগ করি....কারন হয়তো কেউ আছে আমাদেরই অপেক্ষায় !!
Spend all your time waiting
for that second chance
for a break that would make it okay
there's always some reason
to feel not good enough
and it's hard at the end of the day
I need some distraction
or a beautiful release
memory seeps from my veins
it may be empty
or weightless and maybe
we'll find some peace tonight
you're in the arms of the angel
fly away from here
from this dark cold hotel room
and the endlessness that you fear
you are pulled from the wreckage
of your silent reverie
you're in the arms of the angel
may you find some comfort here।
মন্তব্য
- লেখাটা যে মেসেজ কনভে করে, সেটা আরেকটু স্পষ্ট করে চোখে ধরা পড়তে হবে।
লেখাটা কয়েকটা প্যারা করে দিন। আর কিছু বানানের প্রতি সামান্য খেয়াল করলেই হবে।
আমার চোখ যদি অন্যের দেখার কাজে ব্যবহৃত হয় তাহলে অবশ্যই সেটা আনন্দের কথা। আমার কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু লোকজন তো তখন ভালো কিছু দেখবে না। সামার টাইমে কি না কি দেখে বেড়াবে দিবাস্বপ্নের মতো!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুরর হাট হাট
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ছবি যুক্ত করে দিলাম। "প্রায়শ জিজ্ঞাস্য" দেখবেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ধুসর বলে ফেলছে।
বানানের ব্যাপারে বেসিকেলি কিছু বলার নেই..কোন কোন শব্দের নিচে ব বসান সম্ভব হচ্ছে না...আর ও কিছু বেসিক বানানও ঠিক করতে পারছি না সেই একই কারনে...হয় এটা অভ্রর সমস্যা কিংবা আমার টেকনিকেল ব্যপার বুঝার অক্ষমতা।
ধুঃগোঃ আপনার চোখ দিয়ে কেউ কি শুধুই শালী দেখে বেড়াবে?
খুব সহজ কথা হল এই যে আপনার মত ভাবতে হলে আই গেস ব্রেইন ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা লাগবে...চোখ না বসঃ)। আর খুশি হব পলুকিত হব ধানাই পানাই ছাইড়া ডোনেট কইরা দেন মিয়া...বাকীটা আমরা সামলামু নে।
লেখাটা যে মেসেজ কনভে করে এরকম হাজার রকমের কথা আপনারা আগেও শুনেছেন...আমি আবার একটু বাড়ি মাইরা দিলাম...
(সবচেয়ে বড় কথা আমি লিখতে জানিও না...আমার দোষ না ...জেনেটিক দোষ...ইমানে)
শিমুলঃ আপনার কথা অলওয়েজ অন্য আর একজন কইয়া দেয় কেমনে?
অছ্যুত বলাই কয় তার সন্দেহ আমি বলে ধুঃগো...আমার এখন সন্দেহ হইতেছে আপনেই ধুঃগো না তো??
চিন্তার বিষয়...
মুর্শেদ ভাইঃ আমার লেখা পইড়া আপানার গরু(আমারে)খেদানোর খায়েশ হইল?ঃ( ছবিটা ঠিক করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
দৃশা
"অছ্যুত বলাই" মানুষটার প্রতি আমার অন্যরকম শ্রদ্ধা আছে। অফলাইনে তার লেখা/কমেন্ট পড়ে আমি অনেকবার তার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়েছি। তিনি যদি ঐ কথা বলেন, তাইলে তো খানিকটা ভাবতে হয়ই? সত্য কইরা কন তো, আপনে ধুগো?
আর আমি ধুগো কিনা ঐটা নিয়া ক্যাচাল একবার হয়ে গেছে। আপনে চিন্তা করে দেখেন। কী পাইলেন জানাইয়েন।
পুলকিত*
দৃশা
একবার তো কোন জায়গায় উওর দিছিলাম। আমারে কোনদিন কারো শালীর পিছনে ঘুরতে দেখছেন? তয় কেও শ্যালকদের কথা কইলে মাইন্ড খামু না...
দৃশা
নতুন মন্তব্য করুন