আজিকা খুউব ভোর বেলা (ধরেন সকাল ১১ টা) ঘুম ভাঙ্গিবার পর পত্থমে যা মনে পড়িল তা হইল আইজকা আলুভাজি,পরোটা,আর গরু ভুনা দিয়া কিঞ্চিত জলপানি গ্রহন করা আর সম্ভবপর হইয়া উঠিবেক না। অদ্য গভীর রাত্রি ৪ ঘটিকায় যখন এই অভাজনের মাতাশ্রী কোকিলা কন্ঠে সারা বাড়ি মাতাইয়া “ওঠ...সময় যায়...ওঠ...সময় যায়” বলিয়া চিল চিৎকার হাকাইতেছিলেন তাহাকে যাহারপর নাই সমধুর ভাষায় বুঝাইবার চেষ্টা করিতেছিলাম যে “আম্মা আমার এখনও বয়স হয় নাই রোজা রাখার...আরো ২,৩ টা বছর যাইতে দেন”। ইহা শুনিয়া ভদ্রমহিলা যে রক্তচক্ষু দেখাইলেন উহাতে আমার কলিজা গুদ্দা খাদ্যনালীতে আসিয়া আটকাইবার যোগাড়...বহু ক্রিয়া প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উহাদের নিজ নিজ স্থানে পাঠাইয়া বিরস বদনে মুখ বেজার করিয়া অন্ন গ্রহনে প্রবৃত্ত হইলাম। তাহা দেখিয়াও মুরুব্বীদের মনে কিঞ্চিত মায়া হইল না, উপরন্তু তাহারা নির্দেশ জারি করিলেন কেউ ফজরের নামাজ আদায় না করিয়া ঘুমাইতে যাইতে পারিবে না। কোমলমতি পোলাপাইনের সহিত এরুপ ক্রুর আচরণ প্রদর্শনীর পরিপ্রেক্ষিতে আমি যেই এর তীব্র পেতিবাদ করিতে উদ্যোগ লইলাম... অভাজনের পিতাশ্রী আমার দিকে অঙ্গুলী নির্দেশ করিয়া কহিলেন “তুমি সবার প্রথমে পড়তে যাও”।
ক্ষোভের আতিশয্যে ছেকাভেকা খাইয়া নামাজ পড়িতে গেলাম। কিন্তু একি??!! নামাজ পড়িতে যাইয়া আমি যাবতীয় খাইস্টা গানের প্রকোপে ধরাশায়ী। ঘুরিয়া ফিরিয়া আমাদের বন্ধুমহলে রপ্ত একখান গান মাথায় ঘুরিতে লাগিল “আমার বাবা ওমর সানী...যারে ভালবাসে মৌসুমী...তার হইল কোমর পানির দর...চল বাবারে যাইত্তা ধরি বালিশের ভিতর”। তওবা কাটিয়া যখন পুনঃরায় উদ্যোগ লইলাম মাথায় তখন কোন এক বেতমিজ-বেগেইরেত নিউরোন গুনগুন করিতে লাগিল “সুন্দর একটা ছেলে...যার সুন্দর একটা মন...এমন একটা ছেলে জীবনে প্রয়োজন...আরো বেশি...প্রতিপদে প্রেমি...উউউউ...ইয়েয়েয়েয়ে...ক্রেজী বলি বেবী?”
কোনরকমে নামাজ শেষ করিয়া নিদ্রাদেবীর হাওলাতে নিজেকে ছাড়িয়া দিলাম। নিদ্রাযাপনের পুরো সময়টা কাটিল নানারকম স্বপ্ন দেখিবার মাধ্যমে... স্বপ্নে কোন এক দুষ্ট লোক নানারকম স্বস্বাদু খাদ্যদ্রব্য (যেমন ধরেনঃ বুট,পেয়াজু,বেগুনী,পাকোড়া, দুধপুলি,পাটিসাপটা,হালিম,ফ্রুট সালাদ,জিলাপী,নানারকম পানীয়...এবং আরো অনেক হাবিজাবি) পরিবেশনের মাধ্যমে নাদান বালিকার রোজা ভাঙ্গিবার পায়তারা কষিতেছিল। এখনও বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছি না উহারা সুস্বপ্ন ছিল নাকি দুঃস্বপ্ন !!
ঘুম থেকে উঠিবার পর মুহুর্ত থেকে ইহাই ভাবিয়া দিনতিপাত করিতেছি যে কোন কোন খাদ্যবস্তু দ্বারা ইফতারী সম্পন্ন করিব... এখনও পর্যন্ত মাত্র ৭ বার খাদ্যতালিকা পরিবর্তিত হইয়াছে। মানুষ কর্তৃক শুনিয়াছি তাহারা রোজা রাখার জন্য ইফতার করিয়া থাকেন। আমার ক্ষেত্রে মনে হইতেছে ইফতার করার তরে আমি রোজা রাখিয়াছি। ঘটনা যাই হোক দেখার মত জরুরী বিষয় হইল দু’টি ক্ষেত্রেয় একটি জিনিস এক... তা হইল ইফতারি। সুতরাং যাবতীয় মন্দ লোকের দুষ্ট কথায় কান দেওয়া একপ্রকার নিষিদ্ধ হিসাবে গণ্য করিতেছি।
আসেন মুমিন বান্দাগন আমরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করি দে পানহা দে শুনিবার এবং ইফতার করিবার থুক্কু রোজা ভাঙ্গিবার।
[বিঃদ্রঃ কে কি দিয়া ইফতার করলেন কইয়া যাইয়েন... আগামী স্বপ্নগুলাতে ওইগুলা দিয়া ইফতারি করার স্বপ্ন দেখতে সুবিধা হইব।]
মন্তব্য
১ম লাইন পড়েই আমার খিদা লেগে গেছে।
ভাগ্য ভালা পুরাডা পরেন নাই...নইলে মাঝপথে আইলে রোজায় ভাইঙ্গা লাইতেন।
----------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
ধুরো মিয়া... ক্ষুধায় জান যায়। আপনি আনছেন খাওনের খবর।
আপনের বিবেক বলতে কিছু নাই মিয়া...
ইফতারীর আরো ৩ ঘন্টা!!!!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
বিবেকই তো সেহেরীতে ডেজার্ট হিসাবে চিবাইছি। থাকব কেমনে?
-----------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
৮ ঘন্টা আগে সেহরী খাইছি আর ইফতারী আরো ৮ ঘন্টা পরে। এবার রোজায় হাড্ডি কালা হয়ে যাবে।
পোস্ট ব্যাপক মজার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
১৬ ঘন্টা রোজা পালন করতে হইলেতো আমি সারাদিন স্যালাইন ঝুলাইয়া রাখতাম লগে। এইটাতে রোজা আবার ভাঙ্গে না তো?
----------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
ভাগ্যিস ইফতার শেষে আপনার পোস্টটা পড়লাম
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আগে পড়লেতো সওয়াব বেশী কামাইতেন। মিস করলেন রে ভাই।
-------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
দৃশা, রোযা নিয়ে আমিও কিছু লিখবো,আশা রাখছি। কাল থেকেই ইচ্ছে হচ্ছে, সময় পাই কিনা দেখি। আমার ইফতার নাই, খাওয়ার সময় আমার কথা মনে করবেন প্লীজ। মেনু আমিও মনে মনে পরিবর্তন করছি আর মনে মনেই খাচ্ছি।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আপনার রোজা বিষয়ক লেখা পরলাম। উত্তম হইছে। আর আজকেতো দেরী হয়ে গেল মাগার ইনশাল্লাহ কালকে ইফতারিতে আপনাকে ইয়াদ করবো।
-----------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
- আমার আশেপাশে কে আছেন, ইফতারির দাওয়াত দিবেন না? কাউরে ইফতার করাইলে অনেক ফজিলত আছে, বুইঝেন কইলাম!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দুই কান্দের দুই ফেরেশতা ছাড়াতো তোমার আশে পাশে আমি আর কাউকে দেখি না, তুমি কারে দেখো?
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ভাইসাবতো শালী ছাড়া কিছু চোক্ষে দেখেন না...কিন্তু হিসাব মত তেনাদেরতো ইনারে ইফতারে খাওয়ায়তে নিয়ে যাওয়ার কোন নিয়ম নাই...বরং তেনার উনাদেরকে নিয়ে যাওয়ার কথা। চিন্তার বিষয়।
-------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
পইড়া লস করলাম কইয়া লস করতে চাই না। যাই গেদুর মায়ে আবার ইফতারির জন্য ডাকব................
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
আপনে আসলে মন্তব্য কইরায় সবচেয়ে বড় লসটা করলেন ভাইসাব।
-------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
একবার আমার এক বন্ধুর বাড়ী গেছি, ইফতারের সময় বলে ব্যাপক খাবার দাবার হলো, ছোটোবেলা ভাবতাম রোজা বোধহয় রাখা হয় ভালো খাবার দাবার করার জন্য ।
ছেলেবেলা ঠাকুমার একাদশীর খাবারে ভাগ বসানোরজন্য স্কুল থেকে এসেই একদৌড়ে ঠাকুমার ঘরে। আমাকে আর পায় কে ?
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
এক্কেরে ঠিক ট্রেকে আছুইন।
----------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
এক্কারে রাইট টাইমে পোস্টা পড়লাম। একটু আগে পড়লে সিরিয়াস কষ্ট পাইতাম। ভাল্লাগ্লো।
--------------------------------------------
ইয়ান্না রাস্কালা, মাইন্ড ইট
--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........
ভাল লাগলো জাইনা আমারও ভালা লাগল।
------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
আপনার সবকিছুই ঠিক আছে
কিন্তু রোজদার বাড়ির একটা গুরু দায়িত্ব আপনি পালন করেননি
দায়িত্বটা হলো সকাল থেকে বিভিন্ন ইফতারি আইটেমে লবণের পরিমাণ আর স্বাদ পরীক্ষা করা
ওটাও কিন্তু রোজার অংশ
এই ব্যাপারটা আমি মুরুব্বীগোরে বুঝাইবার চেষ্টা চরিত করছিলাম...মাগার নাদানেরা কেউ বুঝলা না এর শানে নযুল।
-----------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
রোজা আসলেই আমার টুকটাক মিথ্যে কথা বলতে হয় বলে রমজানটারে অপছন্দ করি (যদিও ঈদটা বেশ মজা লাগে)! যেমন মুমিন মুসলমানের সামনে হুদাই ঘাড় নামাইয়া জানান দিতে হয় আমিও রোজা। অবশ্য এই কাম করতে কেউ আমারে কয় নাই, তয় তাগো দিলে ব্যাথা দিতে খারাপ লাগে; তাই মিথ্যার আশ্রয়। লন্ডন আইসা ভাবছিলাম, যাক বাবা বাচাঁ গেল.........! কিন্তু কিসের কি, আরো খারাপ অবস্থা হলো প্রথম দু'বছর। কাম করতাম এইখানের এক প্রধান বাংলা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে; হেরাতো রোজা রাখেই তার উপর লিল্লার জন্য টিভি পর্দায় বসায় গোল টেবিলের 'লিল্লা আসর'। প্রত্তম প্রত্তম এগুলিরে আমগো পাড়ার মসজিদের মাইকিং কমিটির সদস্য গো লগে তুলনা কইরা ব্যাপক মজা পাইতাম। পরে মজাটা হয়ে উঠেছিলো বিষফোরা! সে যাইহোক সে ইতিহাসও গত হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এখনো হপ্তাহে দু'দিন আরো একটি বাংলা মিডিয়াতে কাম করার সুবাদে গতকাল আবারো হাড়েঁ হাড়েঁ বুঝলাম মাহে রমাদান এসে গেছে! খবরের সম্পাদনার কাম করতে করতে যখন কলিগ'রে কই, কি মিয়া মোবাইল চাচারে ফোন দেন না কেন খাবারের লাইগা? ও আমার দিকে বিস্ফোরিত নয়নে চাইয়া কয়, আপনে রোজা রাখেন নাই? আমি মুচকি মুচকি হাসি। কিন্তু যখনি ঐ ব্যাটা আরো পাচঁ কলিগরে ডাইকা ঘটনা জানান দিতে হাকঁ দিতে যায় তখন বাধ্য হইলাম কইতে, দূর মিয়া আপনার লগে ফাজলামি করতাছিলাম!
কিন্তু হেরে ট্যাকেল করা গেলেও পেট বাবারে ট্যাকল করা তো একটু কষ্টের বৈকি! তার উপর ঐ দিন ভোর রাত পর্যন্ত সোহো ক্লাবে বইসা বইসা আকন্ঠ রাম এন্ড কোক আর ওয়াইন গিলেছি। অনেকদিন পর হেভি জোশে নাচা-কুদা হইলো! উপলক্ষ্য ছিলো আমার এক কলিগের ছবির ফিল্মিং-এর শেষ দিন ছিলো ঐদিন। সো সবাই মিল্লা হেভি মাস্তি; মিউজিকটাও ছিলো দারুন, আমার প্রিয় ব্যান্ড দল Ojos de Brujo-র। বাসায় ফিইরা ঘুমাইতে ঘুমাইতে বাইজা গেছিলো ভোর ৫টা। এরপর ৯টায় উইঠা অফিসে দৌড়ঁ! বুঝেন ঠেলা, পেটে পড়ে নাই এক আনা দানাও; পানি ছাড়া! যাক সারা দিন যখন না খাইয়া থাকতেই হইবো, তয় ইফতারটা করতে হইবো বেশ আয়োজন কইরা।
কাম শেষ কইরা গেলাম আমার একটা অতি প্রিয় পাকি রেষ্টুরেন্টে, নাম তৈয়ব! লাইনে খারাইয়া দিলে যা চাই তাই কিনতে থাকলাম......সুজিঁর হালুয়া, কাচাঁ ছোলার সালাদ, পেশোয়ারী নান, গারলিক নান, মাটন ও চিকেন টিক্কা, মাটন হালিম, কয়েক পদের খেজুর, দুইটা আপেল, শাম্মী কাবাব, পাকোরা, একটা ভেজ্ রোল এবং অতি প্রিয় বরফ কুচিসমেত ফ্রেস ম্যাঙ্গো লাচ্চি! খাবারের থালটা নিয়া বসলাম খেতে। দু'তিন পদ মুখে দিয়েই মনে হইলো আমার পইক্ষে আর খাওয়া সম্ভব নাই। আমার ঐ কলিগরে ফোন দিলাম। ঐ ভদ্দরলোক আইসা আমারে বাচাঁইলেন। এভাবেই গেল আমার প্রত্তম রোজা। আসলে সারাদিন টুকটাক খাইলে পড়ে ইফতারীটা অনেক বেশী এনজয় করন যায়। তাই আজকে দিনের শুরু থেকেই হালকা খাবারের উপর আছি। ভাবতাছি আইজকের মেন্যুটা কি হইলে জোশ কইরা ইফতারটা করা যায়! সবাইরে রমজানের ইফতার মোবারক
আপনারেও ইফতার মোবারক।
----------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
রোজাও রাখিনাই তাই ইফতারীও করিনাই, সারাদিন খাইতে আছি আবার ইফতারী কিসের !!! তাই তোমার প্রশ্নের জবাব খানাও দেওয়া লাগলোনা দৃশা। তোমার যখন রোজা রাখার বয়সই হয়নাই তাহলে আমি তো নিতান্তই নাদান বালক।
ধ্রুব ভাই, আপনার মতন একই দুঃখে আছি ভাই। সিডনীতেও মাঝে মাঝে এসব অতি উৎসাহী মুসলিমদের খপ্পরে পড়তে হয়।কাইলকা এক ব্যাটারে সিরিয়াস ঝাড়ি দিসি। আমারে ফজিলতের কথা কইতে আইছিল। আমি কইলাম বাইন** নিজে আগে বিড়ি খাওয়া বন্ধ কর, ভাল হ্ তারপর অন্যদের হেদায়েত দান করিস। তারপর ঘটনা সুবিধার না দেইখা কাইটা পড়ছে।
--------------------------------------------------------
বেরোজদার ফোলাফাইন...বিয়ার বয়স হইছে মাগার রোজা রাখার বলে বয়স হয় নাই...এ মোর জ্বালা।
---------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
বেরোজদাইরা পোস্ট।
রোজাদারদের সহিত ইপ্তার করিলে প্রভূত সওয়াব হইবে ভাবিয়া ইহাতে ঢুকিলাম। ওমা ! উহারা খাইতে খাইতে রোজা রাখিতেছে ! আমাকেও গুনাহগার করিয়া দিলো !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
খাইলাম কই?? বাঙ্গালী আর মানুষ হইল না। তিলরে তাল বানায়!
ইয়ে স্বপ্নে খাওয়া আর বাস্তবে খাওয়া কি আর এক...আপনেই কন?
------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
আমার জীবনে আমি তিনটা রোজা রাখছি। তিনটাই নাবালক বয়সে। তখন বিবেচ্য ছিলো যে বড়রা রোজা রাখে আমারেও রাখতে হবে নাইলে সবাই ছোট কবে।
কিন্তু যখন বড় হইলাম তখন শয়তান ঘাড়ে ভর করিলো... আমি আর রোজা রাখিলাম না।
তবে বিয়া কয়িয়াছিলাম রোজার মাসে এটটুক মনে আছে।
গত কয়েক রাত কাজের চাপে ঘুমাইতে পারি নাই। আজ বড় ক্লান্ত ছিলাম। রোজা তো রাখি নাই। রাখবোও না। তার উপরে বউ পোলাপাইন গেলো শ্বশুড় বাড়িতে। ইফতারির একটা মজমা আছে তা নাকি আমার মতো নাফরমানের বাড়িতে থাইকা টের পাওয়া যায় না। তাই তারা সংযমের উৱসব যাপন করতে শ্বশুড়বাড়ি গেলো।
তো আমি কি করুম?
এম্নিতেই ক্লান্তি শরীরে... তারা বিদায় হইতেই স্মির্নফ খুইলা বসলাম। এবং কোনো এক অজ্ঞাত কারনে তখনই আজান দিলো।
আমি এখনো সেই ইফতারেই আছি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তওবাস্তাকফিরুল্লাহ মিনযাল্লেক।
-------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
খুবই মজার পোস্ট। ভাগ্য ভালো শুধু ইফতার নয়, রাতের খাওয়া শেষে লেখাটা পড়লাম
নামাজে দাঁড়িয়ে আপনার গানগুলোর কথা পড়ে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি। মনে পড়ে গেল, অনেক ছোটবেলায় আমিও নামাজে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন গানের কলি মনে করতাম। তখন নামাজও বুঝতাম না। শুধুমাত্র ফুপুর পাশে দাঁড়াতাম তার দেখাদেখি। একবার তো জোরেই গান বলে (গেয়ে নয় কিন্তু) ফেলেছিলাম। ম্যায় তেরা দুশমন, দুশমন তু মেরা, ম্যায় নাগিন তু সাপেরা!
এক কাজ করতে পারেন। ছোটবেলায় সাধারণত তিনটা করে রোজা রাখতাম দিনে! সকালে, দুপুরে, বিকালে। আপনি যেহেতু 'নাদান' আছেন এখনো, এই পন্থা অবলম্বন করে দেখতে পারেন। তবে যদি পিতা বা মাতার রক্তচক্ষু দেখতে হয়, তাহার জন্য আমি দায়ী থাকিব না!
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
এই পলিসি এক যুগেরও বেশী আগে ফলো করতাম। এখন এমন করলে রক্তচক্ষু তো কিছুই না এর থেইক্কাও ভয়ংকর কোন চক্ষু থাকলে তা দেখাইব।
----------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
আগে বলেন এইগুলা আপনে আগে নিজে ট্রাই করছেন নাকি আপনেও স্বপ্নে দেইখা নামগুলা কইয়া দিলেন? ট্রাই কইরা থাকলে এদের কিছু ফটু দেন...দেইখা ভাল লাগলে আমিও টেরাই মাইরা দেখমুনে।
----------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
আহারে! রোজা রাইখা এইটা কি পড়লাম তাও আবার এই লান্চ টাইমে
গতবছরও আমি আপনার লেখার মতই ছিলাম, ইফতার কি হবে তার জন্য চিল্লাচিল্লি করতাম, রোজা না রাখার জন্য পায়তারি করতাম। আমার একদিকে সুবিধা ছিল আব্বুজি আমার সাথে সাথে বলত, "থাক কষ্ট লাগলে রাখতে হবেনা, পানি না খেয়ে কিডনির অসুবিধা হবে, নাহোলে না খেয়ে পেটে আলসার হবে" আর আমিও করুন মুখ করে সায় দিতাম হুমমমম কিন্তু আমার মাতাজির কাছ থেকে নিস্তার ছিলনা, আম্মু আমার এক্সকিউস বুঝতে পারত, উলটা আব্বুকে ধমক দিয়ে বলত অসুখ হলে তখন দেখা যাবে।
কিন্তু এবার আমার কি হইল , রোজা তো ঠিক মতই রাখছি, নামাজও পরার জন্য বলতে হচ্ছেনা, এমনকি প্রথম রোজার দিন কোরানও পড়লাম নিজে থেকেই, ইফতারে ভাজাভাজি নিয়ে চিল্লাচিল্লি করিনি উলটা ভাবছি হেলথি খাবার খাওয়ার চিন্তা করছি, ভাবলে নিজের কাছেই আশ্চর্য লাগছে। আমি কি এই এক বছরেই অনেক বড় হয়ে গেলাম
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
এর থেইকা কি বুঝা গেল? আফামনি বড় হইয়া গেছে...সুপাত্র খোঁজারও সময় আইসা গেছে
---------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
আইজকা রোজা নম্বুর ২, ঠিক না? আর এখন বাজে সকাল সড়ে নয়টা... চরম উস্কানিমূলক পোস্ট দেওনের মানে কিতা??? ইচ্ছা করতেছে আপত্তি জানানোর বাটনটাতে জোরসে একটা চাপ লাগাই...লাগামু?? ধ্বংস! ধ্বংস!!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
জ্ঞাতি ভাই কি গজব দেওয়ার হুমকি দিলেন নাকি গজব দিয়াই দিলেন?
........................
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
দৃশা আফামণি,
একটা বেরোজদারি প্রশ্ন, মনে হইলো আপনিই সবচে ভাল
জানবেন। ঘঠনা হইলো, একটা গান খুঁজতেছি, সামিনা চৌধুরির (সম্ভবত) গাওয়া- মাঝে মাঝে, মন বসে না কোন কাজে, চাঁদ ওঠে না আকাশে যে...। এইটার কোন সন্ধান দিতে পারবেন? ক্লোজআপওয়ানে একজন প্রতিযোগী গেয়েছিলো, তখন থেকে পাংখা হয়ে আছি।
দিতে পারলে যেখানে কইবেন খাওয়ামু, পেট চুক্তি।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
একেতো বেরোজাদারি ফ্রশ্ন করেন আবার দেন ভুলভাল গায়িকার নাম।
----------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
ধুরো ব্যদ্দপ! রোজা রমযানের দিনে কী সব কথাবার্তা!!!
কী ব্লগার? ডরাইলা?
হই মিয়া নিজে লিখেন না কিছু...আবার আমারে কয় ব্যদ্দপ। ঠাডা পড়ব।
...........................
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
আমি ঢুকছি আল্লাহওয়ালা কিছু পামু এই আশায়। আর সে কীনা... ছি: ছি: ছি:
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
এহহহ...কিছু কইলাম না আর...মুরুব্বী বইলা কথা।
-----------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
সিরাম হইছে!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
সিয়ামের মাসে সিরাম মন্তব্যের জন্য সিরাম ধন্যবাদ।
--------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
এহহে! দিলেনতো ডিস্টার্বটা নষ্ট কইরা।
- ভুল সময়ে ভুল ব্লগ পড়া এক মর্মাহত রোযাদার
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
---------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
আমার চেনা এক পাবলিকে কইতো, যে রোজা রাখে, সে রোজাদার, আর যে রাখে না, সে রোজারিও
আমি আজীবন রোজারিও, তয় ভাজা-পোড়া ব্যাপক পছন্দের জিনিস বইলা ইফতার খাওনের উত্সাহ চরম। তয় এখুন ইফতার পামু কই?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। - হুমায়ুন আজাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এখন বাজে সকাল ৯:৫০ এবং আমি এই পোস্ট টা পড়লাম আল্লাহই জানে সারাদিন কেমনে কাটবে। এইভাবে ব্লগের মাধ্যমে লোভ দেখানো একদমই ঠিক না! এই ব্লগের উপর ঠাডা পড়বে!
নতুন মন্তব্য করুন