সকাল থেইকা বিষম মন খারাপ। এই জীবনের কোন মানেই হয় না। মোটামোটি ঠিক কইরা লাইছি যে এই জীবনের গুষ্ঠীসুদ্ধা খেতাপুরি। এতো কষ্ট আর অপমান দিলে পুইষা রাইখা বাঁইচা থাকার চেয়ে ছুরির দুইটা ঘাঁ মাইরা কাম তামাম কইরা দেওয়া ভালা। এক ছুড়ির “আই লাভিলু” নামক বেমক্কা মিথ্যা বাড়ি দিলে খাইছি আর এক ছুরির ঘাঁ না হয় কব্জিতে খাইলাম...বেবাক সমান।
এই ফন্দি-ফিকির কইরা গত ২'ঘন্টা ধইরা সবজি কাটার ছুরি হাতে লইয়া বইসা আছি। বহুত হিম্মত কইরা যেই না কোপ মারতে যামু ঠিক হেই টেইমে আম্মায় চিক্কুর পারলো দুপুরের ভাত খাবার লাইগা। অনেক চিন্তা ভাবনা কইরা ঠিক করলাম খানা খাইদ্য খাইয়া ইমানে ঘটনা ঘটামুই ঘটামু ।
খানার টেবিলে যাইয়া আনন্দে চক্ষে পানি আইসা যাইবার অবস্থা। মা'য়ে কেমনে বুঝলো আইজকা আমার আখেরি খানা? না হইলে আইজকা সব আমার পছন্দের সালুনই কেন আম্মা'য় রানতে গেল!! হাভাইত্তার মত গলা পর্যন্ত ইলিশ পাতুরি, হিঁদুল শুটকির ভর্তা, বেগুন ভাজা আর ডাইল দিয়া ভাত মাইখা গিল্লাম। খানা শেষে মা'য়ে জানাইল গোটা কয়েক ইলিশ মাছ আর ভর্তা আমার লাইগা রাইখা দিছে রাইতে খাওনের লাইগা।
এই কথা শুনার পর বিশাল চিন্তায় মাথা খাইজ্জাইতে থাকলাম বিছানায় শুইয়া নরম গদির আরাম লইতে লইতে। রাইতের খানা খাইয়া ঘটনা ঘটামু না কি অহনই কিঞ্চিত আরাম লইয়া কাম তামাম করুম ভাবতে ভাবতে একটা শিরিংখলার মইধ্যে গিট্টু খাইলাম। এইসব আকাশ-পাতাল-কুসুম-সখিনা ভাবতে ভাবতেই কখন জানি চক্ষু মুন্দলাম।
চোখ যখন খুললাম কোন কিছু ঠাওর করার অবস্থা আছিল না। এট্টু আগে ঘুমাইলাম রাত হইল কেমবে? মুখ কালা কইরা পড়ার টেবিলে বইসা সবজি কাটার ছুরি লইয়া ধানাই-পানাই করতে করতে গিট্টু ছাড়াইবার তরকিব করতে লাগলাম। অবু- দশ-বিশ-একশ জইপা ঠিক করলাম রাইতের খানা খাওনের লগে লগেই ঘটনা ঘটাইলামু।
রাইতে খাইতে বইসা যারপর নাই আনন্দে আত্মহারা হইয়া দিগ্ববিদিক জ্ঞ্যান শূণ্য হওয়ার অবস্থা। ইলিশ,আর শুটকি ভর্তা ছাড়াও মা'য়ে আলু দিয়া গরুর সালুন আর কব্জি সাইজের চিংড়ি ভুনা করছে। এক বুক ক্ষুধা লইয়া চাইটা-পুইটা দুই থালা ভাত খাইয়া মনে হইল দুনিয়ার সুখ অনলি অন মাই মায়ের হাতের রান্নায়।
ভাত খাওনের ঠিক দুই ঘন্টা পর পড়ার টেবিলে আবারো সেই সবজি কাটার ছুরি লইয়া বইয়া জাবর কাটতে লাগলাম। না দুই ঘন্টা আগে খাওয়া ভাত না বরং একখান লাল আপেল...জ্ঞানীরা বলে এই ফল খাইলে বলে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওন যায়। ছুরিখানা দিয়া এক এক টুকরা আপেল কাইটা মুখে পুড়ি আর ভাবি না জেবনটা অতোটাও মূল্যহীন না !
মন্তব্য
kothin muhurto niya eto mojar lekha ag e pori nai. beshi jotil.
হা হা হা
হ। ঠিকই কইছেন, দৃশা।
জেবনটা অতোটাও মূল্যহীন না !
দৃশাটিক্যাল ফিলোসফি।
হেব্বী লাগলো আফনের অনুগল্প।
...............
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আফনে কি নয়া রাস্তা ধরছুইন নাকি ? ছবুজ বাঘের লাহান নয়া নয়া পরকাশভঙ্গি দেখতাছি।
বালাই লাগছে... তয় আমার জীবনের কি হইব। শেষে নীরব হোটেলে গিয়াই শুটকি ভর্তা খাইতে হইব মনে হইতেছে।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
আপায় কইসে, আমারে বাল্যশিক্ষা কিনা দিবে ...
হাঁটুপানির জলদস্যু
তাই তো কই মরার কাম নাই
তয় এত্তোসব লোভনীয় খাবার না খাওয়ায়া খালি নাম শুনাইলে কিন্তু কোন না কোন সচলের হাতে আপনি কতল হয়া যাইতে পারেন, কইয়া রাখলাম
আসলেই জীবনটা খুবই মুল্যবান ধন।
পুলাপাইনরে নিয়া চিন্তার মইধ্যে আছি।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
অ দৃশা - নিজের কব্জিখান না কাটতে পারেন অসুবিধা নাই, আমারটা একটু যদি ......? এই দুনিয়া আর সহ্য হয় না
মরে গেলে কিন্তু ভালোই হতো
কইছিলাম না ভিলেন ভাই ডেইঞ্চার ম্যান!! ঘটনা সইত্য।
-------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
না না কইরা ফেলাইলে তো কাম সারলো, এই জিনিস রিজার্ভে রাখা ভালা! এর মত সাহস আর কেডা দিতায় পারে?
সচলে কী হচ্ছে আজকাল!
সেদিন আবীর আজ দৃশা।
কেউ কি ঠিকঠাক একটু আত্নহত্যাও করবেনা?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আচ্ছা ঠিকাছে, ঠিকমতো আত্মহত্যা না করতে পারে তো না করুক - কিন্তু আমি যে একটা 'সুষ্ঠু হত্যাকান্ডের' আহবান জানালাম তার কি হলো? আমার কেমন যেন ধারনা, এটা দৃশা খুব ভালোই পারবে!
দৃশা......?
সুখে থাকলে মানুষরে ভূতে কিলাই...এই কথাটা কি আফা সত্য প্রমান করতে উইঠা পইড়া লাগছেন? সচল আড্ডার মত ব্যাপার স্যাপার হইতেছে... আনন্দ উল্লাস হইতাছে... মাঝখান দিয়া এই কথা কন... এইটা কইয়া অপমান করলেন নাকি বুঝতারছি না।
আর আদৌ যদি এমুন কুচিন্তা মাথায় আসে আপনে সন্ন্যাসী দিদি থুক্কু দাদারে রিকোয়েস্ট কইরা দেখেন উনি কামটা করতে রাজি আছেনি। সন্ন্যাসী মানুষ...আগে পিছে পরিবার নাই...জেল খাটলেও সমস্যা নাই।
আমার তো অহনও এট্টা পরিবারও হইলনা। হুদাই আমারে জেলের ভাত খাওয়ায়তে চান কেন?
-------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
খাইসে! আমি নিরীহ, নির্বিরোধ মানুষ! সেই আমারে জেলের ভাত খাওয়াইতে অ্যাতো উত্সাহী হয়া পড়লেন ক্যান, আফা!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এরকম অবস্থা স্থায়ী হলে অনুগল্প কেন অতিসুন্দর উপন্যাসও আপনার হাত দিয়ে বেড়িয়ে আসবে। কিন্তু না, তার চাইতে বরং খোরগোশের মতো জীবন শক্তি নিয়ে বেচেঁ থাকুন......যত কষ্টই হোক বেচেঁ থাকার আনন্দ অনেক! কারণ বেচেঁ থাকাটাই বিস্ময়কর এবং মরে যাওয়ার কোন মানেই নেই।
তবে সব ডায়ালগের মিশেলে ভালো জিনিষই দাড়িঁয়েছে। ছোট বেলায় আমার যখন ভীষন ভীষন মেজাজ খারাপ বা রাগ হতো বা মন খারাপ হতো, তখন অসম্ভব রকমের হাসি পেত! এমন হাসি পেত যে থামতোই না! একবার চবিতে ছাত্রলীগের এক গ্রুপের পোলাপাইন আমারে ছোট্ট একটা জিনিষ ঠেকাইয়া মারতে নিছিলো পাহাড়ের গোড়ায়...আলম নামের আমার এক বন্ধু যখন পেছন থেকে প্যান্টের ব্যাল্ট ধরে টান দিলো পজিশন নিতে, ঐ দিন প্রায় ঘন্টা খানেক উন্মাদের মতো হেসেছিলাম! হয়তো ঐ হাসির জন্যই পরম বন্ধুরা জানে মারেনি...হা হা হা। লাইফ আসলেই একটা আজিব জিনিষ! বেশী সিরিয়াসলী নিলেই সমস্যা...! ধন্যবাদ জীবনের অনুগল্পের জন্য।
খালা ও খালা
লিখসো তো জোশিলা!
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
না না শেয়ালের খালাম্মা তুমি মরোনা, শেয়াল কাঁদবে শেষে...
উপাদেয় লিখেছেন।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
লেখা পুরা জব্বর আলী মার্কা
মানে যার জবাব নাই।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আত্মহত্যা ক্যান্করে পাবলিক, কৈতারি না। তয় যারা করে বা কর্তে চায়, তাগো কৈতে মঞ্চায়: ভাই, আপ্নের অব্যবহৃত আয়ুটা আমারে দিয়া যান!
জব্বর হৈসে! আপনের মিশালি গদ্য তো প্রাণ জল কইরা দিলো। মানে গদ্য বড়োই প্রাঞ্জল
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এ সম্পর্কে গল্প আছে না, বিধাতার কাছ থেকে মানুষের বিভিন্ন প্রাণীর (গাধা, বানর ইঃ) পরিত্যক্ত আয়ু নেয়া এবং তাদের মত করে সেই আয়ু যাপনের?
আমি কিন্তু আত্মহত্যা-উদ্যত মানুষের কাছে আয়ু চেয়েছি।
খুব খিয়াল কইরা!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
নাটুকে...
- ছিঃনেমাটিক
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি গত পরশু রাতে মারা গেছি। মরার পরের কোন অনুভূতি নিয়া প্রশ্ন থাকলে আমারে করতে পারেন...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
দৃশা তোমার নিজের গপ্পো কিনা জানিনা তবে তুমি মরলে কি খারাপ হইত বেশি ? মনেহয় না কি কও ??
শোন মরা নিয়া লাফালাফি করার আসলেই কিন্তু কিসুই নাই কারণ মরণ তো আসলেই খুব সাধারণ একটা বিষয়, আমরাই ব্যাপারটাকে জটিল বানায়া ফেলি। আর মরলেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়া যাইবো ? সমস্যা সমাধান করতে চাইলেই করতে পারবা মইরা কুনু সমাধানে আসা যাইবোনা।
--------------------------------------------------------
গপ্পো যে সবসময় নিজ জীবন থেকেয় নিতে হবে এমন কি কথাও লিখা আছে রে ভাই?
কেও দেখে শিখে, কেও ঠেকে শেখে। আপনে হয়তো ঠেকে শেখেন তাই হয়তো আপনার গল্পটা আত্মজীবনী মনে হল।
হয় আপনে গল্পের বক্তব্যই ধরতে পারেননি আর নতুবা বুঝতে চান নাই। মরনকে ভয় করার কিছু নাই কথা সত্য, কিন্তু এটা আমরা এখন দাপটে বলতে পারছি এ কারনে,কারন তার কাছাকাছিও আমরা যায়নি। আর এই গল্পের মোটো ছিল 'মৃত্যুর ভয়কে জয় করতে পারো কি না পারো, অন্তত জীবনকে ভালবাসতে শিখ'। হয়তো আমি জিনিসটা বুঝাতে ব্যর্থ আর নতুবা আপনে সেটা বুঝতে ব্যর্থ, যেকোন একটা ব্যাপারতো আছেই।
তবে পোস্টটা পড়ে সুচিন্তিত মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
--------------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
হা হা হা, মনটাই ভাল হয়ে গেল।
দৃশা, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ, এতো কম সময়ে মনটা ভাল করে দিয়ার জন্য,
আজকে সতি্য মনটা খারাপ ছিল, তোমার গপ্পো পোড়ে মনটা চাঙা হোয়ে গেল।
দিশা বেগমের দৃশার গপ্পো শুনে মন ভাল হয়ে গেছে এটা কি কম বড় কথা!!
তোমাকে বরং ধন্যবাদ পোস্টটা পড়ার জন্য। একই সাথে স্বাগতম জানায় সচলায়তনে। লিখ,কমেন্ট কর আর হয়ে যাও সচলের একজন।
------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
সেইরকম মজা পাইলাম- লিখাটা আগে পড়িনাই।
জেবনটা অতোটাও মূল্যহীন না- এক্কেরে ঠিক কথা।
=============================
এস্মার্ট বয় !!
--------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
প্রত্যেককে মন্তব্য করার জন্য আলাদা আলদা ভাবে একটা করে বিশাল সাইজের ধন্যবাদ।
.................................................................................
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
নতুন মন্তব্য করুন