০১. (ফুর্তি কর মনের ছুখে)
প্রশ্ন আসতে পারে ফুর্তি করার মত এমন কি ঘটনা ঘটল আশ-পাশে। যেদিকে তাকাও সেদিকেই শুধু মারামারি, খুনাখুনি, হানাহানি, রাহাজানি, চাঁদাবাজি, চাপাবাজি, মামদোবাজি, ফ্যাকড়াবাজি, পেঁচকিবাজি... এহেন বাজা-বাজির আর শেষ নাই। এগুলার মধ্যে কোন বিষয়টা নিয়ে ফুর্তি করা যায় বা খুশি থাকা যায়? ভালু মানুষ মাত্রই সজোরে মাথা নাড়িয়ে জানান দিবেন একটাও না। কিন্তু আমি তো মানুষটা অতো ভালু না, খ্রাপ আছি কিঞ্চিত পরিমানে। তাই না মাথা নাড়ায়ে অস্বীকার যাইতে পারি, না শরমে পড়ে মাথা ঝুঁকায়ে স্বীকার করতে পারি। উদাহারন স্বরুপ আমার খ্রাপ কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হল চাঁদাবাজি। আব্বা আম্মা থেকে শুরু করে ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীর-স্বজন, চেনা-পরিচিত মানুষজন, সবার থেকে সময়ে অসময়ে নানা কারনে চাঁদাবাজি করে আসছি সেই ১৯৫৩(!) সাল থেকে। আমার নামের আগে বন্ধুরা বেশ আয়োজন করে 'চাঁদাবাজ' উপাধি যোগ করে দিয়েছে। স্বল্প চেনাজানা লোকজন আমাকে দেখলে এখন প্রায়ই আঁতকে ওঠে, হাসিমুখে তাদের হ্যালো বললেও তারা বেজার মুখে উত্তর দেয়, “ওইদিন না দিলাম রে ভাই, এবার কার কি হইল”। চাপাবাজির কথা আর কি বলব! আমার কাজই তো এটা, রুজি-রুটিও এটার উপরই নির্ভর করে, তাই প্রত্যেকদিন ঘুম থেকে উঠেই আমি মনে মনে বলি 'জয় বাবা চাপানাথ'। সুতরাং, 'আমার এই চাপাবাজিতেই আনন্দ'! দুষ্টু লোকজন কেন যে আমাকে মাঝে মাঝে মামদোবাজ বলে কিছুই বুঝি না, মাঝে মাঝে একটু ফাপড় না হয় মারলামই, এজন্য কেউ আমার মত শরীফ-সফেদ মনের মানুষকে মামদোবাজ বলবে? ভাবা যায় না! আমার কিছু দুষ্টু বান্ধব আছে যাদের মতে আমি খুব খ্রাপ কারন ছুটুবেলায় আমি তাদেরকে স্কুল-কলেজে প্যাঁচে থুইয়া নিজে দূরে দাড়ায়ে বায়স্কোপ দেখার মত মজা নিতাম। একটু না হয় মজা নিলামই, এটা এতো বাড়ায়ে চড়ায়ে বলার কোন মানে হয়, এরা যে কি বেসম্ভব রকম খ্রাপ মানুষ- ভাবাই যায় না!
এ না হয় গেল আমার মত খ্রাপ মানুষের খ্রাপ জিনিস থেকে আনন্দ পাওয়ার ঘটনা। কিন্তু যারা সব দিক থেকেই ভাল মনের মানুষ তারা কেন জগতের যাবতীয় ভাল এবং সুন্দর জিনিস থেকে আনন্দ পান না? এ কথা ঠিক দুনিয়া জুড়া পচুর গিয়াঞ্জাম, কিন্তু এর মধ্য দিয়েই গিয়াঞ্জামকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বুকচিতিয়ে হেটে যাওয়াতেই না জীবনের সার্থকতা। জানি জানি এই ঘিসাপিটা কথাগুলো আমার আগেই বহু মানুষ বহুবার বলে গেছে, মাগার তাতে কি? এমন কথা লাখোবার লাখো মানুষের বলা উচিৎ, নাকি কন? আমি মানুষটাই যদি শারীরিক আর মানসিক দিক দিয়ে শক্ত না হই তবে এই পৃথিবী কিংবা পৃথিবীর মানুষ আমার থেকে কিই বা আশা করতে পারে? তাই ভাইলোগয এন্ড বেহেনলোগয আসুন আমরা যাবতীয় দুঃখ-কষ্টগুলোকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাই, আর জীবনের প্রতিটি চড়াই-উৎরাইকে পজেটিভলি নিয়ে হাসিমুখে প্রমান করে দি যে কোন দুঃখ কোন কষ্ট কোন ব্যার্থতা কোন জটিলতাই জীবন থেকে বড় না। আমাদের যতটুকুই আছে আমরা তাই নিয়ে এগিয়ে যাব।:D
০২. (বাবা কথন)
আমার বাবা মানুষটা প্রচন্ড আবেগী, এই ব্যাপারটা বোঝার জন্য আসলেই আইনষ্টাইন হওয়া প্রয়োজন। এই অসম্ভব সুদর্শন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষটাকে কেন যে মানুষ এতো ভয় পায় জানি না। তিনি কখন কারো গায়ে হাত তোলা তো দূরে থাক ধমক দিয়েছেন এমন ঘটনাও মনে পড়ে না, সবার সাথে স্মিত হাসি মাখিয়েই কথা বলেন। তবুও সবাই তার সামনে থাকে তটস্থ, তিনি কখনই কারো উপর কোন সিদ্ধান্ত চাপানোর চেষ্টা করেননি, অথচ কেউ তার অপছন্দের কাজ করতেও কেন জানি নারাজ। আমার বড় বোনের বিয়েতে যখন আত্বীয়-স্বজন থেকে শুরু করে পাড়া প্রতিবেশীরা সহ প্রত্যেকে (তাগো কান্না দেইখা আমি তব্দা খাইয়া কানঁতে ভুইলা গেছিলাম) কঠিন বিলাপে টান দিয়েছিলেন, আমার বাবা তখন সবার দিকে বিরক্তির চোখে খানিক্ষন তাকিয়ে তার মেয়েকে গাড়িতে খুবই নির্বিকার ভাবে হাসিমুখে উঠিয়ে দিলেন, যেন এটা আহামরি কোন ঘটনাই না।রাতেরবেলা যখন বিয়ে বাড়ির সমস্ত আয়োজন প্রায় ঝিমিয়ে পড়ে সে তখন একা একা নিজের ঘরে বসে তার ছেলে-মেয়েদের সমস্ত এ্যালবাম কোলে নিয়ে নিশ্চুপ বসে থাকে। খুব দূর থেকে দাঁড়িয়ে তার মায়া মেশানো চোখ দু'টি দেখতে পারছিলাম না, এও জানি না সে চোখে কি তখন জল ছিল নাকি, শুধু এইটুকুন বুঝতে পারছিলাম আমার কঠিন বাবা কি পরম মমতায় তার ছেলে-মেয়েদের ছবিগুলোতে হাত বুলিয়ে যাচ্ছেন।
আমার বাড়ির লোকজন বলে আমার সাথে আমার বাবা'র অনেক মিল। তিনিও সঠিক সময়ে সঠিক আবেগ প্রকাশ করতে জানেন না, আমিও পারি না। তিনি কঠিন থেকে কঠিন সময়েও খুব স্থির থাকেন, আমিও কঠিন সময়ে স্থির থাকি কি না জানি না তবে যাবতীয় যত ফাত্রামি জানা আছে তা এপ্লাই করে পরিস্থিতি হাল্কা করার চেষ্টা করি। তিনি কখন কোন বিষয়ে আশা ছাড়েন না, আমিও আশা ছাড়তে নারাজ। যতক্ষন একটা জিনিস তার আয়ত্বে না আসবে ততক্ষন এর পেছনে লেগেই থাকবেন, আমিও কিছু কিছু বিষয়ে তার উত্তরসূরী হওয়ার প্রমান দিই। কিন্তু এক জায়গায় গিয়ে পুরোপুরি ধরা! তখন হয়তো ক্লাস সেভেনে পড়ি, একদিন বাবা পেরেন্টস মিটিং এ স্কুলে গেলে আমার এক ফ্রেন্ড অবাক বিস্ময়ে আমাকে জিজ্ঞেস করে 'উনি সত্যি তোর বাবা, এতো হ্যান্ডসাম! তোর সাথে তো কোন মিল নাই'। রীতিমত চিবিয়ে চিবিয়ে উত্তর দিলাম, 'হু, এটা আমার আব্বু' (মনে মনে তো কই হালীর ভাই হালী, তুই এতো পেরেশান কেন, থাবড়াইয়া তো দিমু ঘিলু পানি কইরা)।
পৃথিবীর সব বাবাই তাদের ছেলেমেয়ের কাছে অসাধারন একজন বাবা। আমার বাবা আমার কাছে অসাধারন একজন বাবা হওয়ার আগেও অসাধারন একজন মানুষ। তার মত খুব হতে ইচ্ছা করে, যদিও তা একেবারেই সম্ভব না। তার মত একই সাথে উদারতা, ভালবাসা, ধৈর্য্য, সহনশীলতা এই এক জীবনে ধারন করার ক্ষমতা বিধাতা সবাইকে দেন না, আমাকেও দেন নি। আমার ইচ্ছার কথা জানতে পেরে সে একদিন ডেকে নিয়ে আমাকে বুঝালেন, 'আমার মত হওয়ার মধ্যে তো মা কোন বিশেষত্ব্য নাই, তুমি আমি কেন অন্য আর কারো মতই হইও না। তুমি তোমার মত হও। এমন একটা মানুষ হও যার মত হওয়ার ইচ্ছা হয়তো তোমার ছেলেমেয়েরও একসময় হবে। কিন্তু তুমি তাদের ওদের মত করে স্থান করে নেবার সুযোগ দিও'। আমি জানি না বাবা তোমার মেয়েকে নিয়ে কেউ কখন গর্ব করবে কি না, কিন্তু এটা জানি আমি তোমাকে নিয়ে অসম্ভব রকম গর্ব করি।
০৩. (মা কথন)
আমার মা আমার বাবা'র সম্পূর্ন উলটো। আমার বাবা যত ঠান্ডা, আমার মা তত গরম। সারাক্ষন একে বকছেন, ওকে বুঝাচ্ছেন, তো তাকে চোখ রাঙ্গাচ্ছেন। তার চেঁচামেচির মূল টার্গেট হলাম আমি, আমাকে দেখলেই তার বকাবকি সাত আসমানে চড়ে যায়, অবশ্য এতে আমার যে একেবারেই হাত নেই তাও না। আমার মা'কে এসব নিয়ে সারাক্ষন ব্যস্ত রাখি মোটামোটি আমিই, তার যাবতীয় যা যা অপছন্দ, এর সবই আমি নিষ্ঠার সাথে করি। এতো বকাবকি এতো রাগারাগি, তাও আমাদের সমস্ত আব্দারের জায়গা আমাদের মা।
আমরা ভাই-বোনরা মাঝে মাঝেই ভাবি আমাদের বাবা মা'র মাঝে আকাশ পাতাল তফাৎ, তাও তাদের মাঝে এতোটা কঠিন বন্ডিং কিভাবে সৃষ্টি হল। পরে চিন্তা করে দেখলাম তাদের মাঝে যতটুকু অমিল তা খুব সামান্যই, মনের দিক থেকে দু'জনই এক, শুধু প্রকাশ ভঙ্গি ভিন্ন। মানুষের প্রতি ভালবাসা তাদের এক, মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদ তাদের এক, মনের বিশালতা তাদের এক... তাহলে তারা ভিন্ন কোন আঙ্গিকে?
আমার মা এখন আমাকে আর রোজ বকা দেই না, আমার সাথে রোজ রাগারাগিও করেন না। ছুটিতে যখন বাড়ি যাই মা তখন অস্থির হয়ে থাকে আমাদের কার জন্য কি করবে এ চিন্তায়, বকা কখন দিবে! কিন্তু একটা সময় ছুটিও শেষ হয়ে যায়, সবাই আমরা স্বার্থপরের মত রওনা দিই যার যার গন্তব্যে। আমার মা আবারো দিন গুনতে থাকেন আমাদের ফেরার, আমাদের মা ততদিন পর্যন্ত আগলে রাখেন খালি বাড়িটা আমাদের অপেক্ষায়। ঘর থেকে তার কোন সন্তান দূরে যাওয়ার আগে সে তাদের মাথা টেনে নিয়ে তার জানা সমস্ত দোয়া আউড়ে ফুঁ দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দেন পরম মমতায়। আমি তখনও ছাড়ি না আমার মা'কে জ্বালাতে, হাসতে হাসতে মা'কে বলি “কি মিন মিন করে দোয়া পড়ো আম্মা, জোরে জোরে পড়ো, যদি ভুলভাল থাকে ঠিক করায়ে দিতে হবে না! নইলে তো শুকনা মাঠেও পিছল খাওয়া লাগবে"। আমার নিরুত্তোর মা খানিকটা বিষাদ মাখানো হাসি দিয়ে আমাদের বিদায় দেন। আমিও তাকে ওভাবেই একা রেখে একবারও চোখ না ফিরিয়ে চলে আসি, কারন আমি যে ভয়ংকর স্বার্থপর।
|
পুনশ্চঃ এতো বড় জিনিস ফাঁইদা বসছি টের পাই না। এখন দেইক্কা আমারই আক্কেলগুড়ুম!
মন্তব্য
বাবা-মাকে খুব মনে পড়ছে, তাইনা?
লেখা আপনার মতো হয়েছে
...........................................................................................................
মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
আমার মতোটা কিরকম জিনিস আফু ?
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
----------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
এত মজা করে লিখেছেন যে মোটেই বড় মনে হয়নি।
১ নম্বর পড়ে প্রচুর মজা পাইলাম।
২ আর ৩ এর জন্য আপনাকে সালাম। সেই সাথে আপনার বাবা মাকেও সালাম।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
মজা পেলেন পড়ে জেনে দিল গার্ডেন গার্ডেন হয়ে গেছে।
জায়গামত সালাম পৌঁছে দেওয়া হবে। আর আমি সালাম পেয়ে যারপর নাই আনন্দিত... কুনু বেদ্দপ ছুটু পুলাপাইন পর্যন্ত আমারে সেলাম দেয় না। দুনিয়া যে এতো খ্রাপ কি বলব!
-----------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
ওবামার যুগে বাবা মার কাহিনী বিশেষ উপাদেয় লাগলেও বাবার স্মৃতি মনে করায়ে দিলেন আপনে... আপ্নে চ্রম খ্রাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমিতো স্বঘোষিত খ্রাপ। নুতন কইরা আর কি চ্রম খ্রাপ হমু কন?
নুতন কিছু কন এট্টা নুতন কিছু কন।
----------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
দারুন লাগল দৃশা এত বড় লেখা পড়তে পড়তে মনেই হলনা, খুব ভাল লাগল।
জানো! আমার বাবাও অসাধারন, হাইফাইভ হিহিহি আমার মা ও এমন সবসময় বকাঝকা করেই যাচ্ছে, কেউ শুনুক আর না শুনুক এটা এমন কে করল ওটা ওরকম কেন হয়নি, মাঝে মাঝে বলি আম্মু কাকে বকো?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
দারুন মন্তব্যের জন্য দারুন ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
- হ।
স্যালাইন দিয়েন এর গানটা চালু কইরাই বন্ধ করে দিছি। ভাল্লাগেনা এইত্তা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কি হ ?
সিলেন ডিওনের উপর এতো চ্রম রাগ কেন? সে কি আপনার হাত থেকে স্যালাইন কাইড়া নিছিল?
-----------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
বড় ফুশট তবে ভালো লাগসে। গানগুলা শুনতারলাম না।
আপনার বাবা-মা' র দীর্ঘায়ু কামনা করি।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
এতো সুন্দর কমেন্টের লাইজ্ঞা অনেক ধন্যবাদ জ্ঞাতি ভাই।
----------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
ভালো লাগছে পড়ে
...........................
Every Picture Tells a Story
------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
অনেক অনেক ভালো লাগলো, দৃশা।
আমার বাবাও আমার কাছে অসাধারণ একজন বাবা।
আর মা ছোটখাট ব্যাপারে টেনশন করে অস্থির, তবে সত্যিকারের সিরিয়াস সময়ে তাকে হাসাহাসি করতে দেখা যায়। আজব লাগে। বাবা-মায়ের ঝগড়া এনজয় করি আমিও।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নিজের কোন সৃষ্টি তা হউক যতটাই ক্ষুদ্র আর নগন্য যদি অন্য কারো ভাল লেগে থাকে এর থেকে আনন্দের কিছু আর নাই, নাকি কন? তাই একটা ধন্যবাদ আপনারাও পাওনা।
--------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
মাইরি বলচি দিদিমনি... যা এককান লেকা হয়েচেনা... কী আর বলবো! একেবারে যেন গঙ্গাপাড়ের হলদিরামের গরম গরম কচুরি আর জিবেগজা...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
মাইরি! দাদা তুমি তো আমায় লজ্জায় ফেলে দিলে দিকি!
ধন্যবাদ ছাড়া আর তো কিছু বলার নাই।
অফটপিকঃ জিবেগজা কি জিনিস? খায় না পিন্ধে?
--------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
মনে হয় খায়... "জিভ" জিনিসটা আচেতো...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
তা আর বলতে দাদা!! এর কাচেই তো ধরা খেলুম মাইরি বলচি, নলে'তো ঘাসফুস খেয়েও দিন কাটাতে পারতুম।
-----------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
চ্রম হয়েছে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
চ্রম ধন্যবাদ আপু।
--------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
গানগুলো শুনিনি এখনও, তবে লেখাটা চ্রম ভাল লাগল। আপনি কি মার্কেটিং রিলেটেড কোনো জব করেন?
আপনার বাবা-মা দুজনের জন্যই আমার সশ্রদ্ধ সালাম। আপনি অসম্ভব ভাগ্যবতী যে এমন বাবা-মা পেয়েছেন, ঠিক তেমনটি তাঁরাও- আপনার মতো একজন মেয়ে পেয়েছেন বলে, যে কি না এতটা ভালবাসে তাঁদের।
পরের পর্বের অপেক্ষায়...
চ্রম ভাল লাগলো জাইনা নিসন্দেহে আমারও চ্রম ভালু লাগল।
না'রে ভাই আমি এমন কুনো জবেই নাই।
আমি ভাগ্যবান সন্দেহ নাই, কিন্তু তারা যে কতটা ভাগ্যবান কে জানে।
-----------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
একটা প্রশ্ন করতে ভুলে গেছিলাম, আপনি কি দেখতে আপনার বাবার মতো?
আমগো চাপাবাজি হয় নিষ্পাপ আর নইলে কলুষিত চাপাবাজি, মানুষরে বাঁচাইতেও পারে আবার ফাসাইতেও পারে, এর লাইজ্ঞাই আম জনতা কয় সাদু সাবধান।
হয় মিয়া দিমু অক্ষন গালি ওই ছেমড়িরে যেমন দিছিলাম?
------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
my father's eyes - আমার খুব প্রিয় গান । ভাল লেগেছে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এরিক ক্ল্যাপ্টনের বেশীরভাগ গানই আমারও প্রিয়।
ভালো লেগেছে জেনে ভাল লাগল।
-------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
আহা সারাদিনের কাজকর্মের অসহ্য চাপ আর টেনশানের পর আপনার লেখাটা পড়ে দিল একেবারে তররররর হয়ে গেল দৃশা৷ দারুণ লাগল৷
----------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
দিদি এই দিল তররররররররররররর জিনিসটা কি?
তবে দারুন লেগেছে জেনে মুগাম্বো খুশ হুয়া।
-------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
আহা দিল তরররর হওয়া হল গিয়ে ধরেন মে মাসের গরমে বাইরে ঘুরে এসেছেন, নাকমুখচোখ জ্বালা করছে, কোষে কোষে আগুন ছুটছে -- তখন যদি কেউ আমপোড়া সরবত্ দেয় একগ্লাস, চুমুক দিলেই দেখবেন দিল একেবারে তরররর হয়ে যাবে ৷
:D-
-------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আপনার বর্ননা পড়ে আমারও দিল তররররররর হয়ে গেল।
---------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
লেখা পুরা দৃশাময়। দৃশ্যময়ও বটে চমত্কার বর্ণনার গুণে।
মা-কে নিয়ে গাওয়া সন্তানের গান তো শোনা হলো। এবার শোনা যাক বেড়ে ওঠা সন্তানের সঙ্গে মায়ের ক্রমবর্ধমান অনিবার্য দূরত্ব বিষয়ে মা'র গাওয়া একটি গান। লিরিকসটা অসাধারণ।
Abba
Slipping Through My Fingers
Schoolbag in hand, she leaves home in the early morning
Waving goodbye with an absent-minded smile
I watch her go with a surge of that well-known sadness
And I have to sit down for a while
The feeling that I'm losing her forever
And without really entering her world
I'm glad whenever I can share her laughter
That funny little girl
Slipping through my fingers all the time
I try to capture every minute
The feeling in it
Slipping through my fingers all the time
Do I really see what's in her mind
Each time I think I'm close to knowing
She keeps on growing
Slipping through my fingers all the time
Sleep in our eyes, her and me at the breakfast table
Barely awake, I let precious time go by
Then when she's gone there's that odd melancholy feeling
And a sense of guilt I can't deny
What happened to the wonderful adventures
The places I had planned for us to go
(Slipping through my fingers all the time)
Well, some of that we did but most we didn't
And why I just don't know
Slipping through my fingers all the time
I try to capture every minute
The feeling in it
Slipping through my fingers all the time
Do I really see what's in her mind
Each time I think I'm close to knowing
She keeps on growing
Slipping through my fingers all the time
Sometimes I wish that I could freeze the picture
And save it from the funny tricks of time
Slipping through my fingers
Slipping through my fingers all the time
Schoolbag in hand she leaves home in the early morning
Waving goodbye with an absent-minded smile
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
চিমটি কাট ফুলস্টপ।
এইটা আমারও পছন্দের গান। দৃশাময় পোস্ট পড়ে সন্ন্যাসীময় কমেন্ট করার জন্য চ্রম ধন্যবাদ।
--------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
সন্ন্যাসীজী, দৃশার চমৎকার আবেগ মাখানো একটা পোস্টে আপনার দুর্দান্ত মন্তব্য লিরিকটা আবেগের চূড়ান্ত হয়েছে। বাংলাদেশি ডায়াল আপ গরুর গাড়ি দিয়ে শুনার তো উপায় নেই ! কিন্তু একটা অতৃপ্তি, এই লিরিকটার একটা মায়াজড়ানো বাংলা সংস্করণ পড়তে ইচ্ছে করছে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আশা করা বাদ দিয়ে রণ'দা আপনেই এটা অনুবাদ করে ফেলে, গেয়ে আমাদেরকে শুনিয়ে দিন।
----------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
এখান থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে শুনুন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
লেখার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের দৃশাপুকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল। কোনও লাইনেই তার ব্যতিক্রম দেখিনাই। লেখার দৈর্ঘ্য দেখে প্রথমে আমি কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও যখন শেষের লাইনটি পড়ছিলাম তখন মনে হচ্ছিল- ওমা, শেষ হয়ে গেল এত তাড়াতাড়ি !!! গানগুলো এখনো শোনা হয়ে ওঠেনাই তবে শুনতে হবে। ওগুলো বাদ দিয়ে প্রতিটি লাইনই পড়েছি, কতগুলো আবার একের অধিকবার।
আপনার আম্মুর মতন আমার আম্মাও গরম মানুষ। আর আমি যখন কোনও অকাম করি তখন উনার চোখ রাঙানির কথা মনেই থাকেনা। তবে হ্যাঁ বকাঝকার প্রকোপ অনেক কমেছে আগে চাইতে। এখন বেশি ঝড় যায় আমার ছোট বোনের উপর দিয়ে। আব্বু বরাবরই শান্ত-শিষ্ট মানুষ, কারো আগেপিছে নাই। উনি বিশ্বাস করেন আমাদের যথেষ্ট বুদ্ধি হয়েছে নিজের জন্য ভালটা বুঝে নেবার।
প্রথম পোস্টে বেশ জীবনবাদী রূপ দেখলাম আপনার। আরো কি জানি মনে করছিলাম বলব কিন্তু আমার মন্তব্য দেখি বিশাল হতে শুরু করেছে। আর কি বলতে চাইছিলাম তাও মনে করতে পারছিনা। পরে মনে আসলে কমুনে। ভাল থাকবেন আর পোস্ট নিয়মিত দিবেন।
--------------------------------
--------------------------------------------------------
সব মা'য়েরই একই কাহিনি!
জীবনবাদী মানে কি ভাই? জীবন সম্পর্কে পজেটিভ ধারনা যার ?
তাহলে আপনে ভুল বললেন... এটা প্রথম না। আমার বেশীরভাগ পোস্ট এমনই।
আপনিও ভাল থাকুন।
-----------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
পাঁচ দিয়ে মন ভরতেছে না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
৫০০ তারা দেওয়ার একটা ব্যবস্থা করা দরকার, নাকি কন?
--------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
হ্, কথা সইত্য !
যদিও আমি একটাও দিতে পারিনা এখনো।
---------------------
--------------------------------------------------------
সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে গেল আপনার লেখা পড়ে।
সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে গেল আপনার মন্তব্যটি পড়ে।
...................................................................
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
বুড়া আঙ্গুল দেখানো চ্রম খ্রাপ মওলানা সাব।
-------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
খুবই, খুবই, খুবই ভালো লেগেছে লেখাটি।
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আপনার মন্তব্য পাওয়ার আমার কত ভাল লাগছে বুঝেন তাহলে?
-----------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
লেখাটা পড়ে কেনো জানি একই সাথে মন খুব ভালো আর খুব খারাপ হয়ে গেলো। এতো সুন্দর করে লেখেন কী করে?
আপনি আমাদেরকে গান দিলেন। আমিও আপনাকে দেই। বাবা-মা'কে নিয়ে আমার খুব প্রিয় দু'টো গান।
ক্যাট স্টিভেনস (বর্তমানে ইউসুফ ইসলাম) এর "ফাদার অ্যান্ড সন"
আর মান্না'দের "যখন এমন হয়।" এই গানটা তো শুনতেই পারি না - শুনলেই চোখ জ্বালা করে।
ভালো থাকবেন।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
আলমের এক নং পঁচা সাবান দিয়া পঁচাইলেন না? নিজে লিখেন হাই ফাই সাই টাইপ কঠিন কঠিন ভাল লিখা আর আমারে জিগান কেমনে ভাল লিখি? গরীবের লগে মস্কারি না? তবে সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। কেট স্টিভেন্স এর এই গান আমার খুব বেশী পছন্দের,প্রথমে ভাবছিলাম এরিকের গানটা দেব নাকি কেটের। ভালই হল আপনে দিয়ে দিলেন।
-------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
নতুন মন্তব্য করুন