মাইরি ! এমন আজাইরা পোস্ট আর দিকি নি- ০৩

দৃশা এর ছবি
লিখেছেন দৃশা (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০২/২০০৯ - ৫:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফুফাতো বোন কথন

এটা সে সময়ের কথা যখন আমাদের পরিবারের কতিপয় বালক বালিকা(আমি সহ) তখনও স্কুলের গন্ডি পেরোয়নি। বোঝায় যাচ্ছে আমরা ছিলাম তখন নিতান্তই দুধ-ভাত দর্শক। এমনই এক সময়ে আমার এক ফুফাতো বোনের বিয়ে ঠিক হল, সে নিজেও তখন সবে কলেজ পাস করে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিল, তাই তাকেও খুব একটা কেউকেটা বড় টাইপ হিসেবে গন্য করা হত না। আমাদের পরিবার বিশাল পরিবার, দাদার দিক থেকে আমরা মোটমাট ৫৭ জন নাতি-নাতনী (কেমনে কি জিগাইয়েন না), আর নানীর দিক থেকে এ পর্যন্ত ১৭। একান্নবর্তী পরিবার না হলেও সবাই চট্টগ্রাম শহরে প্রায় এতোই কাছাকাছি থাকতাম যে এক বাড়ি থেকে পোলাও রাঁধার গন্ধ পেলে পঙ্গের পালের মত ঐ বাড়িতে যথাসময়ে গিয়ে হাজির হতাম সবাই। আমাদের কখনই অন্যের বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার জন্য সারা বছর বসে থাকা লাগে না, মাশাল্লাহ পরিবারে জনসংখ্যা এতো বেশী হওয়ায় নিজেদের ঘরেই প্রতিবছর ৩,৪টা কিংবা তারও বেশী বিয়ের অনুষ্ঠান লেগেই থাকে।

কোন এক শুক্রবারে আমার সেই না বালিকা না পুরোপুরি তরুনী(কেন এটা কইলাম এট্টু পর বুঝবেন) বোনের পান-সুপারির দিন ধার্য করা হল। কথা মত মেয়ের পাশাপাশি পুরো পরিবারও রঙ মেখে সং সেজে তৈরি ছেলে বাড়ির মেহমান বরন করার জন্য। এসে তারা জানালো, পান-সুপারি না বরং তারা একেবারে বিয়ে করানোর প্রস্তুতি নিয়ে কাজী সহই এসেছেন। এই সিদ্ধান্তে দেখি আমার ফুপা-ফুপী অস্বস্তিতে পরলেও তাদের মেয়ে বেশ খুশি। তার কথা বিয়ায় যখন দিবা আবার পান-সুপারি কি জিনিস, খোরমা-খাজুরের ব্যবস্থা কর। যাই হোক সময় মত বিয়ে পড়ানো হয়ে গেল, বড় যাত্রীরা হাভাইত্তার মত ভরপেট খেয়েও নিলেন তৃপ্তি সহকারে(বিয়ে বাড়িতে মানুষ জনের খাওয়া দেখলে আমার নিজের খাওয়া বন্ধ হয়ে যায় তাব্দা খাইয়া)।

এবার নানা রকম রুসমত পালনের বেলা, আমরা কচি কাচার দল নূতন দুলাভাই আর বোনকে ঘিরে বেইললেস সব ঠাট্টা মশকরা করে বেড়াচ্ছি। নূতন বর-বঁধুকে একের পর এক মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন তথাকথিত মুরুব্বী লোকজন, আর বর-বঁধু ঝুকে ঝুকে তাদের সালাম করে ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করে যাচ্ছিলেন অতি উৎসাহে। এমন সময় বরের মা উঠে এসে আমার বোনকে জড়িয়ে ধরে বেশ আবেগ জড়ানো গলায় বলতে থাকলেন “আজ থেকে তুমি আমার মেয়ে, আমি তোমার মা” সহ যাবতীয় সাঁসভি কাভি বহু থি সিরিয়ালের ডায়লগ(যদিও তখন এই সিরিয়াল ভুমিষ্ঠ হয়নি)। আমার বোন দেরী না করে আরো একদফা ঝোপ বুঝে কোঁপ মারার স্টাইলে এক্সারসাইজ করার জন্য ধুপ করে বসে পড়ল।

কিন্তু এ কি! মেয়ে আর উঠে না কেন সালাম পর্ব শেষ করে? বেশ খানিকটা সময় যাওয়ার পরও দেখি মেয়ে পায়ের কাছে বসে বসেই খালি কাঁপে, সবাই ভাবল হয়তো কান্নাকাটি করছে। শাশুড়ীও এসব দেখে বেশ খুশি যে নতুন বউ দিন শুরু হওয়ার আগেই শাশুড়ীর পায়ে পড়ে আছাড়ি-বিছারি দিয়ে কান্না জুড়েছে, চোখ-মুখ পুরা পুত্র-বঁধু গর্বে জ্বলজ্বল করছে ভদ্রমহিলার। কিন্তু আমরা যারা এই সদ্য বিবাহিতার সাথে হেসে-খেলে চুলাচুলি করে বড় হয়েছি তারা তো ঠিক ঠিক জানি যে এই মেয়েতো এভাবে মরা-কান্না জুড়ার মেয়ে নয়। জরুর ডাল ম্যায় কুছ কালা হ্যায় (ভুল কইলাম নাকি বাক্যখান?)।

আমাদের আর এক বোন গিয়ে তাকে তোলার জন্য খানিকটা ধাক্কা দিলে বোঝা গেল যে মেয়ে আমাদের কাঁদছে না বরং খটখট করে মুখে আঁচল চাপা দিয়ে হাসছে। সবাই হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলে, মেয়ে এক সময় উঠে দাঁড়িয়ে বত্রিশ দাঁত কেলিয়ে তার শাশুড়িকে জিজ্ঞেস করছে “আম্মা আপনে শাড়ীর সাথে এমন চপ্পলের মত দেখতে পাম্পশু(খাট্টা আমলে ডিজাইন করা এক জুতা তাও) পড়ে আসছেন কেন?”। হাসি একটি সংক্রামক রোগ, তাই আমাদের কারো পক্ষেই সম্ভব ছিল না লাজহীন বঁধুর হাসি দেখে নিজেদের হাসি দমন করে রাখা, মুরুব্বীরা তাও বহু কষ্টে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন চোখ মুখ বিকৃত করে হলেও হাসি সংবরন করার। এক পর্যায়ে দেখলাম নব বঁধুর নব ঘোষিত শাশুড়ী যতটানা অবাক তার থেকেও বেশী অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করছে সদ্য দত্তক নেওয়া বঁধুরুপী মেয়েকে। এ ঘটনা দেখে আমরা কচি-কাচার দল পর্যন্ত সামলে গেলাম, কিন্তু ছাগী মেয়েকে আর বাগে আনানো যায় না, সে আপন মনের আনন্দে খি খি খি করেই যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তখন আমার আর এক বিবাহিতা বড় বোন ধমক দিয়ে বলে উঠল “এখানে এতো হাসার কি হল গাধী। মানুষ না পড়লে কি আর শুধু শুধু পাম্পশু বানায়? আমারও শাড়ির সাথে পাম্পশু পড়তেই বেশী সুন্দর লাগে, আমার শাশুড়ীও তো পাম্পশুই পড়ে শাড়ির সাথে... তাই না আম্মা(নিজ শাশুড়ীকে উদ্দেশ্য করে)? সেই 'তাই না আম্মা' যে কি কটাক্ষ দৃষ্টি ক্ষেপণ করেছিল নিজ পুত্র বঁধুর দিকে তার কথা আর নাই বা বল্লুম এ বেলায়, মাইরি!!

এই পোস্ট পড়েন না পড়েন এই গান শোনা কিন্তু মাস্ট-

dangerman.wma

পুনশ্চঃ এহেন আজাইরা ব্রাদার-সিস্টার কথন পরবর্তীতেও ২,১ দিন হয়তো চলিলেও চলিবে, তাই যাহারা এই পোস্ট পড়িয়া চ্রম বিরক্তির শিকার, তাহাদের জন্য এই পোস্ট প্রকারন্তরে হুঁশিয়ারী পরোয়ানা। অর্থাৎ মন যদি না চাহে তবে পরবর্তী আজাইরা পোস্ট গুলো এভয়েড (বাংলা মনে পড়তাছে না এইটার এক্ষনে) করিয়া যাইতে পারিবেন। আগেই বলিয়া রাখিলাম যাহাতে উহারা(পাঠকরা) লেখককে ঠাডা কিংবা গজব বর্ষন করিতে না পারে।


মন্তব্য

কনফুসিয়াস এর ছবি

আপনার ফুপাতো বোনেরে আমার তরফ থেকে পুরষ্কার দিয়া দিয়েন।
জায়গা-বেজায়গায় হাসতে গিয়া আমিও বহু বিপদে পড়ছি জীবনে।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

দৃশা এর ছবি

কিত্তো? আমি কেন পুরষ্কার দিমু?আচ্ছা তাও যখন কইলেন দিমু নে। মাগার ডলারটা পাঠাইয়া দেন গুলাফী ভাই।
..............................................................
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

দৃশা এত মজা কইরা ল্যাখেন ক্যামনে ?
আগেও আপনার কোনও লেখায় মনেহয় পড়সিলাম আপনি চট্টগ্রামের মাইয়া।
লেখা পইড়া এখনো হাসতেসি। আমার কোনও কাজিনের বিয়াতে অবশ্য এমন ঘটনা ঘটেনাই। আমার আব্বুর দিক থেকেও বিশাল কাজিনদের টিম আছে। উনারা আবার ১২ ভাইবোন সবসহ। তাহলে আন্দাজ করতে পারছেন কেমন অবস্থা ! অনেকটা আপনাদের মতই বলা যেতে পারে আরকি। আম্মুদের দিক থেকে অবশ্য দল কম ভারী। লেখাটা পড়ার সময় আমার মামার বিয়ার কথা মনে পইড়া গেল খুব। ঐ মামী বিয়ার দিনে কানতে কানতে মোটা দশবারের মতন মূর্ছা যান। তবে আমরা সব কাজিন গুলা এই কান্ড দেইখা নির্লজ্জের মতন হাসতাসিলাম।
-----------------------------------------

--------------------------------------------------------

দৃশা এর ছবি

কি-বোর্ড দিয়া লিখি রে ভাই... কি-বোর্ড ছাড়া গতি নাই!
বিশাল পরিবারের সাথে আনন্দময় জীবন কাটুক এ কামনাই করি।
-----------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

আপনার শুভকামনার জন্য কৃতজ্ঞতা !
তবে সেই বিশাল পরিবার বাংলাদেশেই পড়ে আছে।
কতসব স্মৃতি মাঝে মাঝে উঁকি দেয় ...
-----------------------------------

--------------------------------------------------------

রায়হান আবীর এর ছবি

আফা আগেও কইছি আমি আপনার লেখার, গানের এবং সর্বশেষ সংস্করণ বল খেলার বিরাট ফ্যান। দেঁতো হাসি

চপ্পল সংক্রান্ত একটা এড দেখছিলাম। সেইখানে অবশ্য মেয়েই শাড়ির তলে কেডস পড়ে আর শাশুড়ি সেইটা দেইখা হাসে...

গানটা শুনতে পারি নাই। উইক এন্ডে বাসায় যাইয়া লই...

=============================

দৃশা এর ছবি

আপনার কথা শুইনা তো দিল গার্ডেন গার্ডেন হো গ্যায়া।
থেংকু থেংকু, গানটা কইলাম শুইনেন মাস্ট।
--------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

মুস্তাফিজ এর ছবি

হাসি আসলেই সংক্রামক , খাড়ান হাইসা লই

...........................
Every Picture Tells a Story

দৃশা এর ছবি

খাড়ামু কেন ভাই? হাসবেন আপনে , খাড়ামু আমি? খ্রাপ খ্রাপ...চ্রম খ্রাপ!
-------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

নিবিড় এর ছবি

নাহ ...... আপনার বোনের কাহিনি পড়ে হাসি আটকানো আসলেই কঠিন হো হো হো
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

দৃশা এর ছবি

কিছুই কঠিন না... বেবাক সহজ... হাইসা দিলেই তো কাহিনি শেষ... সহজ হইয়া যাইপো।
দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

ধ্রুব হাসান এর ছবি

পোষ্ট থেকে গানটা বেশী আজাইরা...হা হা চলুক

হায়রে এই ৫১বর্তী পরিবারের ভয়ে দেশে যাইতেও ভয় লাগে...কোনদিন যে ধইরা বাইন্দা......! কিছু একটা হইলেই হয় সবাই মিল্লা গোল হয়ে বসে পড়ে!

দৃশা এর ছবি

মমতাজকে তাহলে শুভেচ্ছা পাঠায়ে দিব।
ইয়ে ধ্রুব ভাই একটা মেয়ে হাতে আছে...। বাড্ডা থানার মহিলা ওসি... বলেন তো কথা বলি উনার সাথে... উনিও পাত্র সন্ধানী কি না...তাই...
-----------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

সুমন সুপান্থ এর ছবি

রাজিব জেবতিক হক'র 'স্যাটার ডে নাইট' পড়ে বিমর্ষ হয়ে আছি যখন, তখন আপনার এই লেখাটা পড়াই যে সব চে' ভাল কাজ হয়েছে লেখাটা পড়ার পরই সেটা বুঝছি এখন !
পড়ে আর হাসি আটকানোই যাচ্ছিলো না ! ভাবছিলাম, লেখকদের শক্তি মনে হয় এখানেই, অনায়াসে এঁরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন কান্না-হাসির মতো পাঠকের দুই বিপরীতমুখী অনুভূতিও !

ধন্যাবাদ দৃশা ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

দৃশা এর ছবি

যদি লেখাটা আপনার খানিকটা হলেও মন ভাল করে থাকে, তবে এটা আমার জন্য আসলেই একটা বিশাল বড় পাওয়া।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুমন ভাই।
---------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

রানা মেহের এর ছবি

সেই শ্বাশুড়ী আর বৌয়ের সম্পর্ক কেমন এখন?
বর বেচারার ভূমিকা কী ছিল এই সিনে?

লেখায় উত্তম জাঝা!
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

দৃশা এর ছবি

যতদূর জানি আমার বোনের শাশুড়ী এখন তার সাথেই থাকে... তার অন্যান্য ছেলের বউদের সাথে বলে উনার জমে না। দু'জনে বলে সারাক্ষন ঝগড়া-ঝাটি করে ভালই দিন কাটায়। আর দুলাভাই তো দুধ-ভাত, কাউকেই কিছু বলে না, বুদ্ধিমান লোক। দেঁতো হাসি

আচ্ছা মেহের আপু সবাইকে জাঝা দিয়ে বেড়ান অথচ নিজের লেখায় অন্যদের জাঝা দেওয়ার সুযোগ দেন না। এটা কি ঠিক? বেশী বেশী লিখুন, আমরাও একটু জাঝা টাঝা দিই... নাকি কন?
----------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

দৃশা এর ছবি

মুহাহাহাহাহাহাহাহাহা...
--------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

স্নিগ্ধা এর ছবি

দৃশাআআআআআ - এই ডেঞ্জারম্যান গানখান কার ?????

"ক্যাল্কুলশন কইরা শুধু করে প্যানপ্যান" - মানে কি বলবো, আমি চমৎকৃত হতে হতে এক্কেবারে হতবাক!!!

অনিকেত এর ছবি

স্নিগ্ধা'পু,

আপনার গানের (জ্ঞানের কিন্তু না, খিয়াল কৈরা) এলমানাক খানা পাল্টানোর সময় হয়ে এসেছে।
এই গান আমাদের দেশের 'মমতাজ' মহলের, যিনি 'ফাইট্যা যায়, বুকটা ফাইট্যা যায়' গান গেয়ে আপামর বিশ্ববাসীর মনের মণিকোঠায় স্থান নিয়েছেন।

স্নিগ্ধা এর ছবি

ইয়ে, ভ্রাতঃ অনিকেত ( কিংবা দৃশা, কিংবা আর কেউ) - মমতাজ মহলের 'বিখ্যাত' গানের নামগুলা একটু বলেন না? আর লিঙ্কটিঙ্কও যদি দেয়া যেতো ......

সবজান্তা এর ছবি

আমাদের র‌্যাগের কালচারাল প্রোগ্রামে নাটকের মধ্যে এই গানটা ঢুকায়ে দিছিলাম। সে একটা গান বটে। এর সাথে যখন নায়ক নায়িকা নাচতেছিলো, সেইটা আরেকটা দেখার মত সীন।

ইউটিউবে চমৎকার একটা ভিডিও পাবেন চোখ টিপি


অলমিতি বিস্তারেণ

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

এই হইলো সেই ভিডিও হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

রায়হান আবীর এর ছবি

সে তো ডেঞ্জার ম্যান...

গানের লিরিক শুনে আমি পুরাই মুগ্ধ। বিশেষ করে কাঁঠালের পার্টটা। দেঁতো হাসি

=============================

দৃশা এর ছবি

মমতাজ আফা'র গান এইটা। তার গান আগে শুনেন নাই?
ধিক ধিক ধিক আপু!! কি যে ইন্টারেস্টিং গান উনি গান, আর আপনে শুনলেনই না!
উনার নান্টু ঘটক, বুকটা ফাইট্যা যায়, মরার কোকিলে... প্রভূত গান সংগ্রহে রাখার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি, না পাইলে আমারে কইয়েন । দেঁতো হাসি
----------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

স্নিগ্ধা এর ছবি

আহা মমতাজের গান দুই একটা আগে শুনসি তো, কিন্তু এত শুনি নাই যে চিন্তে পারবো - আর তার চাইতে বড় কথা এইসব সোনার খনির কথা আমি জানতামই না মন খারাপ

ডেঞ্জারম্যান, নান্টু ঘটক আর বুকটা ফাইট্যা যায় এর শুধু অডিও ফাইল আছে নাকি দিরশা ভইন?
থাকলে আমাকে ইট্টু আমার জিমেইল এড্ড্রেসে মেইল করেন্না প্লিইইইইইজ?

রায়হান আবীর এর ছবি

দৃশাফা, গানের লাইগা আরেকটা পাঁচ তারা দেওনের ইচ্ছা আছে, মাগার উপায় নাই। থ্যাংকুস।

=============================

দৃশা এর ছবি

কইছিলাম না... সেইরম গান! দেঁতো হাসি
--------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

ভাঙ্গা মানুষ [অতিথি] এর ছবি

ফাটাফাটি লেখা হইছে... আমি আফনের ফ্যান কইলাম...

দৃশা এর ছবি

কোন ফ্যান? টেবিল নাকি সিলিং ফ্যান? সিঙ্গার নাকি মিল্লাত ফ্যান?
----------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

অভ্রনীল এর ছবি

হে হে ... যেমন লিখা সিরম গান... জটিল হইসে... তয় জায়গায়-বেজায়গায় হাসতে গিয়া আমিও কম ধরা খাই নাই!
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

দৃশা এর ছবি

আদাব আরজ হে!
আমারতো মানুষের কান্দনের ইস্টাইল দেইখা হাসি আহে... কত যে বেইজ্জতিতে পড়ছি এই কারন!
------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

s-s এর ছবি

এই গায়িকা আপনার কি লাগে, সত্যি কইরা কন তো আফা? প্রতি পোস্টেই তার এক না একখান গান থাকে ক্যান্ ??

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

দৃশা এর ছবি

উনি দেশের গর্ব... আর আপনে জিগান কি লাগে!
উনি এক বছরে ৫২ টি সিডি প্রসবকরিয়া গিনিস বুক অফ রেকর্ডে নাম লিখাইছে...আর আপনে জিগান কি লাগে! (কোয়ালিটি মেটার করে না, কোয়ান্টিটিই দেখার বিষয়। দেঁতো হাসি)
উনার এযাবৎকালে ৩০০'এর ও অধিক শিডি আছে... আর আপনে জিগান কি লাগে!
আমার বোন আপনার বোন মমতাজ বোন... মমতাজ বোন!
------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। ব্যাপক মজাদার কাহিনী, আর আপনার লেখার গুণে তো সেটা আরো বহু মজাদার মনে হলো।

জরুর ডাল ম্যায় কুছ কালা হ্যায় (ভুল কইলাম নাকি বাক্যখান?)।
জরুর ডাল-মে কুছ কালা হ্যায়।

এখন থেকে আমি তো শুধু আপনার "আজাইরা" পোস্টগুলাই পড়ব বলে ঠিক করলাম হাসি

দৃশা এর ছবি

ভরসা দিলেন? ওকি-ডকি তাইলে... ত্যক্ত বানাইয়া ফেলমু আজাইরা পোস্ট দিয়া দিয়া। শয়তানী হাসি
--------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

মাইরি, এমন আজাইর‌্যা শিরোনাম আর দেকিনি।

দৃশা এর ছবি

দেকেন নি...দেকপেন। দেকার কি কোন শেষ আচে নাকি বাছা, মাইরি বলছি,এ সবে শুরু!
-------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আপনে প্রমিত ভাষায় লিখতে শুরু করলেন ক্যান? অ্যাঁ
আগের ভাষায় জোশ বেশি হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

দৃশা এর ছবি

স্মরণে থাকিল হে সন্ন্যাসীধারার এক সংসারী!
------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

অমিত আহমেদ এর ছবি

হাসলাম। পোস্ট পড়ে তুমুল হাসলাম। গান শুনেও হাসলাম। গানের প্রতিটা লাইনের পরে "টিঞ" টাইপের একটা আওয়াজ হয়... শুনলেই হাসি আসে।

দৃশার লেখা যে কোন উচ্চতায় চলে যাচ্ছে...

চলুক


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

দৃশা এর ছবি

দুয়া রাখেন হে 'সু-লেখক', এই উচ্চতা যেন দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে বাড়তে থাকে... প্রয়োজনে মই সরবরাহ করা হইবে।
---------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

তারেক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
কথাবার্তা শুনে মনে হইতেছে গান্টা আগে শুনছিলাম... ভিডিওটা দেখতারলাম্না। একটা আফসুস ।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

দৃশা এর ছবি

কি কান্ড! উঠেন উঠেন স্যান্ডো গেঞ্জি আর লুঙ্গি নোংরা হইতাছে জ্ঞাতি ভাই...
-----------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

পরিবর্তনশীল এর ছবি

গান শুনতারিনাই। খালি খালি কষ্ঠ কইরা লেখাটা যে ক্যান পড়তে গ্যালাম। দেঁতো হাসি
আফনের বাড়ি চট্টগ্রাম?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

দৃশা এর ছবি

আইজকা জানলেন?
হ, বন্দর নগরী চট্টগ্রামের কইন্যা। আপনেও তো মনে লয় ওইখানেরই শিশু থুক্কু বালক।
----------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

পরিবর্তনশীল এর ছবি

হ। দেঁতো হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

দময়ন্তী এর ছবি

ওরে বাবারে কি সাংঘাতিক Gun থুড়ি, গান !! যেমন ফাটাবাঁশ বিনিন্দিত কন্ঠ, তেমনি পুরন্দর ভাট বিনিন্দিত লিরিকস !! অহো !অহো ! গড়াগড়ি দিয়া হাসি
দৃশা আপনাকে পাঁচে 500
--------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

দৃশা এর ছবি

এই গান শুনলে কবর থেইক্কা লাশ উইঠাও হাসবো... খারাপ মন ভালা করার লাইজ্ঞা মমতাজ আফার জুড়ি নাই। আপনার এই ৫০০ কোন ৫০০? ৫০০ টাকা নাকি ৫০০ ডলার, নাকি ৫০০ পাউন্ড, নাকি ৫০০ ইউরো? স্পেসিফিক কইরা কন... বুঝা লাগবো তো।
--------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

দময়ন্তী এর ছবি

আরে 500 খান রঙীন পাথর দিলাম

নেন তাহলে আপনাকে এইটা দিলাম আজ সকালটা শুরুই হল হাসতে হাসতে
auto
---------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

দৃশা এর ছবি

ছবাই আছা দিয়ে আছা কাড়ি নেয়... মন খারাপ
তবে এটা কি দেখালেন গো দিদি... হাসতেই আছি! রবি বুড়া এখন কলিকালের সান্তাক্লস!
মুহাহাহাহহাহাহাহাহাহা।
---------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

তানবীরা এর ছবি

দৃশা আমার ধারনা, আমরাই শুধু জনসংখ্যার বিস্ফোরনের জন্য দায়ী ছিলাম। আপনাকে অভিনন্দন। আসেন হাত মিলাই

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

দৃশা এর ছবি

আসেন কুলাকুলি করি Two hugging smileys
-------------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।