জন্মক্ষণ সমাচার
সময়টা ৫’টা বেজে ৫ মিনিট, আর তারিখটা জুলাইয়ের ৯। একদল ফুল তারছিড়া পোলাপাইন আর গুটিকয়েক আধা-মুরব্বী গোত্রের সেমি তারছিড়া আল্লাহর বান্দা অপারেশন থিয়েটারের আশ-পাশে ছড়ায়ে ছিটায়ে ফুল ভলিয়মে দুনিয়ার তাবৎ বিষয়ে আড্ডা চালাচ্ছে। ঠিক সেই সময়ে ও.টি থেকে এক তুলনামূলক হারে কম তারছিড়া ডাক্তারদের মত সবুজ পলিথিনের কাপড় পরা ভদ্রলোক বের হয়ে এসে ‘ইউরেকা ইউরেকা’ টাইপ চোখমুখ করে সবার সামনে হড়বড় করে বলতে থাকল, ‘শোনেন শোনেন এইমাত্র আমার ছেলে হল, ছেলের ওজন ৩.৫ কেজি, আর আমার ছেলে আমার মত কালো হয় নাই, মাশাল্লাহ!’ বলা মাত্রই পুরা রুস্তম মার্কা এক হাসি ছড়ায়ে পড়ল ভদ্রলোকের এ মাড়ি থেকে সে মাড়ি।
এই ঘটনা ঘটার ৫ মিনিট পরের দৃশ্য খানিকটা এমন দাড়ালো যে কুড়ি খানেক মুখ একটা কাঁচে ঢাকা ঘরের মাঝে রাখা পুটলির দিকে বিস্ফারিত দৃষ্টিতে চেয়ে আছে বাইরে থেকে কাঁচের গায়ে মুখ সাটায়ে, আর সেই কাপড়ে মোড়ানো পুটলি থেকে এক জোড়া চোখ পিটপিট করে তাকায়ে বোঝার চেষ্টা করছে এই কিম্ভূতকিমাকার বস্তুগুলা তারে এইভাবে দেখে কেন? হাজার রকমের বিস্ময়ের মধ্য দিয়ে হঠাৎ আর এক বিস্ময়ের মুখামুখি হয়ে জৈনিক ভদ্রবাচ্চা ‘পুটলিবাবা’ (নামকরণের আগ পর্যন্ত ডাকা নাম) জান-প্রাণ বাজী রেখে গগণবিদারী চিক্কুর দিয়ে পরিবারের এক মুরুব্বীর নাজুক হৃদপিন্ডের প্রায় ত্রাহি ত্রাহি হাল করে ছেড়ে দিল। ঘটনা আর কিছুই না, কর্তব্যপরায়ণ মুরব্বী পুটলিবাবা’র কানে আযান দিতে গিয়েছিল। নার্সারী থেকে বের হয়ে ভদ্রলোক পুটলিবাবার নানার কাছে গিয়ে রীতিমত নালিশ করলেন, ‘বুঝলেন ভাই আপনার নাতির ধম্ম-কম্মে বিশেষ অমনযোগ’। এদিকে বাচ্চার বাবা মুখ বেজাড় করে সবাইকে দুঃখের কথা শোনাচ্ছে যে সে ১০ দিন ধরে আযান দেওয়া প্র্যাকটিস করে এসেও ঠিক সময়ে দিতে পারলো না হাসপাতালে নানা কারনে ছুটোছুটি করতে গিয়ে, আর মাঝখান দিয়ে সোয়াব নিল এক বেগানা মুরব্বী!
(কপিরাইটজনিত সমস্যার খপ্পরে পড়ে এই আনাড়ী ভিডিওর ইউথ গ্রুপের গাওয়া ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক 'ফরএভার ইয়াং' হাপিস হয়ে গেছে)
পুটলিবাবা থেকে আজলান হয়ে ওঠা
পুটলিবাবাকে নিয়ে ঘরে ফেরার পর রীতিমত একজন আর একজনের সাথে চুলোচুলি লাগার অবস্থা। পুটলিবাবার নাম কি হবে এই নিয়ে ছোট থেকে বড় সবার মধ্যেই টানটান উত্তেজনা, সবাই সবাইকে দমাতে চায়্, কারো প্রস্তাব করা নামই কারো চেয়ে খারাপ না, একপর্যায়ে ঘটনা মান-অভিমান থেকে শুরু করে রাগা-রাগী পর্যন্ত গড়ায় প্রায়! একমাত্র সাড়ে পাঁচ বছরের সিরহান (এই অধমের বড় বোনের ছেলে) ই পুটলিবাবার যেকোন নামে খুশি, যে যাই নাম দিক সিরহানের তাতেই আনন্দ ধরে না। অন্যদিকে পুটলিবাবার বাবার একটাই আবদার,যে যাই নাম রাখুক ছেলের ডাক নাম সেই দেবে, আর তা হলো রোহান। পুটলিবাবা’র মা থেকে খালা নানী সবারই মুখ বেজাড়, রোহান কোন নাম হলো? শুনলে মনে হয় পুটলিবাবা পেটে থাকতে তার মা সারাক্ষন হিন্দি সিরিয়াল দেখত, সেখান থেকেই এই নামের আবির্ভাব! তবুও বাবার আবদার বলে কথা, একেবারে ফেলে তো আর দেওয়া যায় না। মনে মনে সবাই ঠিক করে রাখলো যে যার পছন্দ মত নামে পুটলিবাবাকে ডাকবে, কেউ কি আর কাউরে থোরাই ডরায়!
শেষমেশ জুলাইয়ের ১৬ তারিখ ঘটল সেই যুগান্তকারী ঘটনা, সব তালেবর-মাতব্বররা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছালেন যে পুটলিবাবার নাম আজ থেকে ‘আজলান আফতাব সাদিক’। এই সুবিশাল নাম নিয়ে যদিও আজলানের মা মেট্রিকে রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত জটিলতায় পড়বেন বলে বিশেষ চিন্তিত ছিলেন, অপেক্ষাকৃত এক স্মার্ট সজ্জন ব্যক্তি বুঝালেন ‘আরে ভাবী এইটা কোন বিষয়ই না, আজলান কিসব লেভেল টেভেল আছে না সেই সব করব। এতো বেশী জ্ঞান দিয়া কি হইব, পোলায় ফটাফট আংরেজী উগলাইতে পারলেই তো সারে, নাকি কন?’ পিচ্চির খালাও দেশের বর্তমান অবস্থা দেখে টেখে মনে মনে আউড়ালো ‘গঠনা সইত্য, আলবৎ সইত্য!’
আজলান থেকে টারজানে পদন্নোতি
চোখের পলকে এখন মিনিট যায়, মিনিট থেকে ঘন্টা গড়ায়, তড়িৎগতিতে দিন শেষ হয়ে রাত নামে, আসে নতুন এক একটা দিন। কাপড়ে মোড়ানো পুটলিবাবা এখন নরম আবেশ জড়ানো কাঁথায় ক্ষিপ্রগতিতে হাত-পা ছোড়ে, একটুখানি সময়ও স্থির থাকতে নারাজ। যেই ফিটাস মায়ের পেটে থাকার সময় আলস্যে নড়তেও চাইত না, যার একটুখানি নড়াচড়া বোঝার জন্য ডাক্তারদের বেশ অনেকখানি সময় অপেক্ষা করে থাকতে হতো ধৈর্য্য ধরে, তিনি এখন ব্রুস লী’র মত সর্বক্ষণ হাত-পা ছোড়ে, মোচড়াতে মোচড়াতে এখান থেকে ওখানে সরে যায়... আশ-পাশের প্রতিটা মানুষকে ব্যস্ত রাখে নিজ সেবায়। চরম বিরক্তি নিয়ে মিনিটের পর মিনিট পলকহীন চোখে চেয়ে থাকে কোন একদিকে। ভদ্রলোকের চিন্তাক্লিষ্ট ভ্রূ কোঁচকানো চেহারা দেখলে মনে হয় যেন ইনি কোন কন্যা দ্বায়গ্রস্থ পিতা কিংবা ব্যবসায় লালবাত্তি জ্বলে যাওয়া কোন ব্যবসায়ী।
একদিন আজলানের ছোট খালার এক খালা আহ্লাদে গদগদ হয়ে জিজ্ঞেস করলেন বাবুর নাম কি রাখা হয়েছে। বলে রাখা ভাল এই খালা কানে বেশ কম শুনেন কিংবা বেশী। যখন বলা হল বাবুর নাম আজলান, রীতিমত আঁতকে গিয়ে খেঁকিয়ে উঠলেন ‘আজকালকার বাপ মা গুলা এইসব কি নাম রাখে? টারজান কোন নাম হইল? দেশে কি নামের আকাল পড়ছিল? এইটা তোমরা একটা কাম করলা? যত্তসব মাথা নষ্ট জেনারেশন।‘
দুর্ঘটনাবশত মহিলা পুটলিবাবার নাম টারজান শুনলেও এই বাচ্চার চলনে বলনে টারজানের ছাপ প্রখরভাবে পাওয়া যায়। আজলানের ভোকাল কর্ডের কারিশমা টারজানকেও হার মানায়, এমনকি এটা বলাও বেশী হবে না যে আজলানের আকাশ বাতাস ফাটানো কান্না শুনলে টারজানও চিক্কুর দিতে ভুলে যাবে। টারজানের মত আজলানও খোলামেলা থাকতে বিশেষভাবে পছন্দ করে, কাঁথা টাথা ছাড়া শুধু নেংটি পড়িয়ে যদি তাকে রাখা হয় ভদ্রলোক অশেষ প্রশান্তি লাভ করেন। আর যদি কোন কারনে নেংটিও উন্মুক্ত থাকে তাহলে তিনি বেশ নিশানা করে মূত্রমুক্তি ঘটান (এইক্ষেত্রে টারজানের কি আচরণ ঠিক বলা সম্ভব হচ্ছে না)। যদিও এই নিশানা সংক্রান্ত ঘটনায় তিনি নিজেই মাঝে মাঝে জটিলতার সম্মুখীন হয়ে যান। যেমন ধরা যাক একদিনের ঘটনা, খোলামেলা আবেশে আবেশিত হয়ে তিনি নিশানা করতে গেলেন, কিন্তু বিধিভাম। তরল পদার্থ উর্ধ্বগতিতে ধাবিত হয়ে কিয়ৎকাল বাদে নিম্নগতিতে একেবারে ভদ্রলোকের খোমাতে গিয়ে পতিত হলো। ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি অসহায়ের মত ‘আরে ভাই শ্যারন হাগতে গিয়া মুইত্তা দিলাম এইটার কি কারণ’ স্বরুপ চেহারা বানিয়ে সবার দিকে তাকাতে থাকল। এরপর ক্ষোভে অপমানে তারস্বরে চিৎকার, কারন বেশামাল মূত্রমুক্তির জন্য এই জায়গায় তো তিনি ঠিক অন্য কাউকে দোষও দিতে পারছেন না। এরেই বলে চোরের দশ দিন তো ভুক্তভোগীর একদিন!
আজলানের একমাস পূর্তি
সময় জিনিসটা অদ্ভুত এক রহস্য। কখন কখন এতো দ্রুত যায় যে হিসেব কষতে গেলে ধাঁধায় পড়া লাগে, আর কখন কখন যেন গড়িয়ে গড়িয়ে আস্তে ধীরে হেলে দুলে কচ্ছপের মত নড়ে চড়ে... যেতেই চায় না...চিপকে আকড়ে ধরে পড়ে থাকে সময় মিনসে! উদাহারণ হিসাবে উল্লেখ করা যায় পরীক্ষার সময়ের কথা। আজলানময় সময়টা হলো তেমন একটা সময় যার কোন হিসেব নেই, গত এক মাসে কি করলাম আর কি করি নাই এই হিসেব আওড়াতে গেলে দেখা যাবে তার সবটাতে আজলান কোন না কোন ভাবে এসে জায়গা জুড়ে বসে আছে। চোখের নিমিষে একটা মাস জানি কোথা থেকে নাই হয়ে গেল, যেই ৩০ মিনিট বয়সী পিটপিট চোখে তাকানো পুটলিবাবাকে প্রথম কোলে নিয়েছিলাম তার বয়স আজ ৩০ দিন। এই এক মাসে বদলেছে শুধু দু’টো জিনিস। সেদিন ছিল সে সবার কাছে পুটলিবাবা... আজ সে সকলের আজলান, সেদিন সে ছিল খানিকটা অসহায়... আর আজকে সবাই তার কাছে অসহায়। সে যখন কাঁদে তখন তাকে অবশ্যই কোলে নেওয়া বাধ্যতামূলক... তা না হলে পাড়া প্রতিবেশীকে সে বুঝিয়ে ছাড়ে তার উপর না জানি কি অত্যাচার করছে সবাই। সে যখন ঘুমের মাঝে খটখট করে হেসে ওঠে... নিজেদের অজান্তে সবাই হেসে ওঠে খিলখিল করে। এভাবে কেটে যায় আমাদের আজলানময় প্রতিটা দিন... এভাবেই কাটুক আজলানময় প্রতিটা দিন।
দৃশা।
০৯.০৮.২০০৯
মন্তব্য
আজলান যেনো শক্তিতে টারজানের মতো আর বুদ্ধি আর বিদ্যায় বাবা মায়ের মতো হয়, সেই কামনাই রইলো।
আপনার লেখাটি দারুন হয়েছে। সুসংবাদ যে সুন্দর করে দেবার এক শিল্প, সেটা দেখলাম এই লেখায়। আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ইশ, কী মজার বাচ্চাটা। পুতুল একটা। আমি এত কম বয়সী বাচ্চা কখনো দেখেছি বলে মনে পরে না, কারন আমি আমার কাজিনদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট, কাজিনদের বাচ্চা কাচ্চাও বড় হবার পর দেখসি। খুব মজা লাগল বর্ণনা পড়ে। অনেক শুভ কামনা বাবুটার জন্য।
সত্য ঘটনা...
ক'দিন আগে এক বড় ভাইয়ের মেয়ে হলো। তিনি ফোনে তাঁর এক বন্ধুকে সেই খবর দিচ্ছিলেন।
"বন্ধু!! আমার বেবি হয়েছে!"
ফোনের অন্য প্রান্তের বন্ধু কিছুটা ভুল শুনেছিলেন।
"ডিভি হয়ে গেছে?! বাহ, দারুণ খবর! তোদের তো এখন আর কোনো চিন্তাই নাই!"
(আজলানের পরের জনের নাম কী হবে? ক্যাসপিয়ান? )
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমার মন্তব্য-ও ইশতি'র মতই
এ আসলেই এক অসাধারন অনুভূতি! বাচ্চা প্রথম কান্না থামানোর পর জ্বলজ্বলে চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়েই ঘুমিয়ে যায়, তখনকার অনুভূতি কোনভাবেই প্রকাশ করা সম্ভব নয়!
অভিনন্দন টারজান ও তাঁর বাবা-মা'কে।
মজারু
অভিনন্দন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
টারজানরে বাপ মাকে অভিনন্দন;
দৃশাপু, অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো। মনটা ভালো করে দেয়ার জন্য থ্যাংকু আর বোনাস হিসেবে পঞ্চতারকা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
দিন গুনে আর লাভ কি আজলান বড় হোক বড় হোক আরো- বাবা-মা'র আজকের অবসরহীনতাকে সঙ্গী করে রাখুক সারাক্ষণ আগামীর ক্লান্ত দিনও। জয়তু পুটলিবাবা-আজলান-টারজান............
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
অভিনন্দন আজলান এবং তার পিতামাতাকে। তার মাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর করে তাকে আমাদের কাছে উপস্থাপন করার জন্যে। সুস্বাস্থ্য এবং শুভকামনা রইল ছোটটির জন্যে। আজলানের মত শক্তিশালী ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হও।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
দারুণ মজার হয়েছে লেখা। যদিও আজলান শুনে প্রথমে নার্নিয়ার কথা মনে হইছিল, কিছুতেই টারজানের কথা মনে পড়ে নাই:)
সূর্যবন্দী মেঘ...
অভিনন্দন !
পোস্ট অনেক মজারু হইসে ..........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ক্রনিকলস্ অব নার্নিয়ার ঈর্ষনীয় সুন্দর এবং উপভোগ্য পঞ্চম পর্ব পড়িয়া অত্যন্ত প্রফুল্ল চিত্তে (আজলানের মাতার থুক্কু ... খালার পোস্টে) পঞ্চতারকা প্রদান করিলাম।
শুভকামনা সবার জন্য।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
অভিনন্দন !
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আজলান ওরফে টারজানের জীবন সমৃদ্ধিময় হউক।
..................................................................
ঐ যে হাঁটছি মুদ্রা দোষে নাকটা ঘষে
আড্ডা মানেই সেকেণ্ড হাফে খেলছি সোলো
গুজবো না শার্ট আমার পাড়া স্মার্ট পেরিয়ে
সে রোদ্দুরের স্মরণ সভাও লিখতে হল
শুভেচ্ছা।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
এইটা কিরকম বিচার! কষ্ট কইরা পোস্ট লিখল খালায় ক্রেডিট নিতাছে আজলানের মাতাজ্বী।এইসব কি? খেলুম না খেলুম না।
নার্নিয়ার সিংহ আজলান নাম নিছিল কারন আজলান শব্দের মানেই হইল সিংহ, এইটা কি আমগো দুষ, ঐ বেটা সিংহও আরবী বই ঘাইটা নিজের নাম দিছিল শিওর।
সবাইকে ধন্যবাদ।
দৃশা
ঠিকাছে ... খাড়ান ক্রেডিট ট্রান্সফার করতেছি ... ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম আপনার হল কী, কোন খবরই নাই। তারপর আজ যে খবর নিয়ে হাজির হলেন তা সিম্পলি অতুলনীয়। অভিনন্দন! অভিনন্দন!! অভিনন্দন!!!
যে জিনিষ হাতে পেয়েছেন এখন মাসে একদিন সচলকে মনে পড়বে তো?
পৃথিবীর সব শুভ কামনা আজলানের জন্য।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অভিনন্দন।
নৈশী।
আরে, মজাতো। অভিনন্দন।
বাচ্চার নাম নিয়া আজকাল যা শুরু হইছে। আনকমনের বানাইতে গিয়া যেইসব ফিউশন হইতেছে বলিহারী। তয় আজলান নামটা ভালো লাগলো, সুইট আছে।
অভিনন্দন!
- আজলান মামুজানের শালি হৈবো কবে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খুবই মজার লেখা। আজলানের জন্য শুভকামনা।
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
অভিনন্দন দৃশা। আহারে দেশে ফেলে আসা আমার একমাত্র ভাগ্নের কথা আরো বেশি করে মনে পড়ছে। এই সেদিন এই রকম চোখের সামনে জন্মালো, এখন তার বয়স সাড়ে ৯ বছর!! এখন এসএমএস করে আমার জন্য এইটা নিয়ে আসবা, সেইটা নিয়ে আসবা।
খুব চমৎকার একটা লেখা হয়েছে দৃশা। ছোট্ট একটা মানুষের জন্ম নিয়ে এত আনন্দ নিয়ে, এত মজা করে যে লিখা যায়। গ্রেট!
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
অভিনন্দন!
ঘটনা তাইলে এই।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
দারুন মজার।
হাসতে হাসতে, হাইসা গড়াগড়ি দেওয়া স্মাইলিটা খুইজা পাইতাছিনা!
আমার ভাগ্নে-ভাগ্নির সংখ্যা ব্যাপক হয়েছে, ভাস্তে-ভাস্তিরও। হেব্বি মজায় থাকি ভাই-বোনদের বাসায় গেলে তাই ইদানীং। এদের মাঝে কিছু আবার দুদ্দাড় বড়ও হয়ে যাচ্ছে, সব কয়দিন পরে ঈদ-টিদে আমাদেরকে হটিয়ে দিয়ে নিজেরাই গ্রুপ ফটুক তুলতে শুরু করলো বলে... আর ক'টা দিন!
কিন্তু টারজান, থুক্কু নার্নিয়ান... থুক্কু, আজলানের তো তাইলে এক বছর হয়ে গেল! বাহ! বাহ! আজলানের নিজে নিজে কী-বোর্ড টিপতে আর গান গাইতে বেশি দেরি নাই তাইলে!
কিন্তু আমাকে একটা কথা বলেন দৃশাপা, এইভাবে ক্যাম্নে লেখে? এত মজা করে??
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন