তবলার ঠুকঠাকঃ
বহুতদিন পর আবারও এই খাসরা সিরিজটায় হাত দিলাম। ভাবগাম্ভীর্যে ভরা সুন্দর সুশীল চমেৎকার সুইট সুইট লেখা বা জ্ঞানী শিক্ষামূলক বা ভাবনা উদ্রেককারী লেখা কেন জানি আমি লিখতামই পারি না। চেষ্টা করি না ঠিক না, তয় আহে না এইটা হইলো ক্যাচাল। মাগার খাসরা জিনিস লিখতে দিলে মাশাল্লাহ তর তরাইয়া লিখতাম পারি, যদিও লেখালেখি না করতে করতে হেইডি লিখতেও পেরেশানি লাগে এখন। স্কুল জীবনে বাংলা প্রথম পত্রে অবধারিত ভাবে ১০ নম্বর ছাইড়া আইতাম। কেন? কারণ বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সবকিছু বানাইয়া লিখা লাগতো, কিছুই কমন পাইতাম না(পড়তামই না পামু কি)। একেতো ভাষাজ্ঞান কম, এরপর লিখা লাগতো বানাইয়া। মানে যারে কয় পানি মিশানো পাতলা কেরোসিন থেইক্কাও বিখাউস অবস্থা। একবার বাংলা পরীক্ষার আগে স্বপ্ন দেখলাম যে আমি কোন এক উপপাদ্য বাংলা ব্যাখ্যা লেখার ধরণে লিখতাছি, পুরা ছ্যাকাভ্যাকা খাইয়া ঘুম থেইক্কা লাফাইয়া উঠছিলাম। আর বাংলা ২য় পত্রের কথা আর নাইবা কইলাম। সে এক হৃদয়বিদারক ইতিহাসের পাতিহাঁস!
ক্লাস এইটে যখন পড়ি তখন আমগো স্কুলের শিক্ষকেরা সিদ্ধান্ত নিল এইবার বাছাই করা পোলাপাইনদের শুধু বৃত্তি পরীক্ষা দিতে দেওয়া হইব। যেন দিলেই বৃত্তি পাইয়া যায় কথাবার্তা ছাড়া। নানা পরীক্ষা টরিক্ষা লইয়া মাত্র ৩০ জনের গ্রুপ বানান হইল ১২০ কি ১৩০ জন থেইকা। এগোরে আবার ভাগ করল ২ গ্রুপে। 'এ' গ্রুপে ১০ জন আর 'বি' গ্রুপে ২০ জন। কেমনে জানি চামে দিয়া বামে 'এ' গ্রুপে সুযোগ পাইয়া গেছিলাম, এরপর শুরু হইল ১০ জনের উপর স্পেশাল কেয়ার নামের অত্যাচার। ক্লাস শুরু হওয়ার আগে ৩ ঘন্টা স্পেশাল ক্লাস, ছুটি হওয়ার পরে আবার ২ ঘন্টা ক্লাস। ৩ মাসে জীবনটারে কইষা লেবু চিপা দিয়া এক্কেরে তিতা বানাইয়া লাইছিল। হেয়ার পরে আইলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, দল বাইন্ধা গেলাম খাস্তগীরে পরীক্ষা দিতে। পরীক্ষার হলের পরিবেশ সে কি আনন্দমুখর, কারণ গার্ড দিতাছে খাস্তগীরের হুজুর স্যার। আধো ঘুম আধো জাগরণে উনি হঠাৎ হঠাৎ 'বাইর কইরা দিমু, বাইর কইরা দিমু' বইলা চিক্কুর দিয়া উঠে, আর বদ পোলাপাইন মজা লয়। এর মইধ্যে আমি কয়েকবারের চেষ্টায় স্যারের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হইলে নিরীহ ভাব লইয়া জিগাইলাম 'স্যার খাস্তগীরের স্পেলিং কী?'। উনি বিরক্তি নিয়া অনেক ভাইবা উত্তর দিলেন 'এইটাও জানো না? এটাও কিন্তু পরীক্ষার অংশ। বুঝছো মেয়ে?'। এরপরই হে হে হে কইরা হাইসা কইলেন 'k দিয়া হবে বুঝছো? k দিয়া'। আমিও সব বুইঝা গেছি ভাব লইয়া হাসি চাইপ্পা খাস্তগীর বানানে মনোনিবেশ করলাম। কিন্তু যত হাসি তত কান্না প্রবাদ তো আর এমনে এমনে পয়দা হয় নাই, তার পিছনে আলবত কারণ হ্যাজ। ফলাফলটা অনেকটা এরকম ছিল যে 'বি' গ্রুপের প্রায় সবাই কোন না কোন বৃত্তি পাইছে। আর যে সকল অকালকুষ্মান্ডদের আলাদা করে ঘষামাজা করা হইতেছিল ট্যালেন্টপুলের লাইগা, তাদের মধ্যে মনে হয় ২ জন ট্যালেন্টপুলে আর ৩ জন সাধারণ বৃত্তি পাইছে। না পাওয়ার দলে আমিও একজন ছিলাম। এমন কোন ম্যাডাম আর স্যার ছিলেন না যারা আমাদের আইসা বেইজ্জত করে নাই। কিন্তু কোন দু;খ আছিল না মনে, এর পেছনে যে ২ টা কারণ আছিল তার মধ্যে একটা হইল হুদা আমি না, আমার লগে আরো ৫ জনও পায় নাই। আর দ্বিতীয়টা হইল আমার বহু দোস্ত যাদেরকে সেইভাবে গুরুত্বই দেওয়া হয় নাই যা আমরা বেহুদারা পাইছিলাম, তারাই দেখা গেছে ফাটাই ফেলাইছিল দুর্দান্ত স্কোর কইরা। এর লাইজ্ঞা এখন প্রায়ই মনে হয় যখন ছুটু আছিলাম আর কিছু না থাকুক নিদেনপক্ষে একটা সুন্দর মন আছিল। প্যাঁচঘোচ ছাড়া নির্বিকারে অন্যের আনন্দে আনন্দ করতে জানতাম, যুক্তি তর্কের তোয়াক্কা না কইরা নিজের অক্ষমতায় আফসোস না কইরা বন্ধুরে কাঁন্ধে তুইলা নাচতে পারতাম। আগেই বড় সুখী আছিলাম গো মনু, আগেই বড় সুখী আছিলাম।
টুকরো টাকরাঃ
আজাইরা পোস্টে আজাইরা কিচ্ছা না থাকলে কেমনে কি? আমার এক খালাতো বইন আছিল(আছিল মানে এখনও আছে) যার মাথায় ভাল রকমের গন্ডগোল আছে। ছুটু থাইক্কাই এই মাইয়া তার চুলে এতো রকমের কান্ড করছে যে তার মা বিরক্ত হইয়া কইতো 'তুই চুলডি ফালাইয়া দিয়া এইবার বেল হইয়া যা, বেচারা চুলডি বাঁইচ্চা যাইবো'। সেই ছুটু থাকতেই তারে দেখতাম উদ্ভট ডিজাইনের সেলোয়ার-কামিজ বানাইতে। কই থেইক্কা কেমনে এইসব ডিজাইন তার কাছে নাজিল হইতো সেই জানে। মাঝে মাঝে তো এমনই বিচিত্র ডিজাইন আবিষ্কার করতো যে বানা্নোর পর হে নিজেই ডরাইয়া যাইতো দেইখা যে 'এইডি কি বানাইলাম!'। একবার বহু বছর আগে চল আইছিল ইন্ডিয়ান নায়িকারা প্লাস্টিকের মত দেখতে প্যান্ট পড়তো। ম্যাটেরিয়ালডা যে আসলে কি আছিল হেইডা বুঝার মত হেডম আছিল না সেই সময়। তো একদিন এই মাইয়ার শখ হইল সেও ইরকম একটা প্যান্ট বানাইবো। আমারে লগে লইয়া গেল কাপড় কিনতে। ড্যান্ডি ডায়িং এর দোকানে ঢুইকা জিগায় 'আপনাদের কাছে মচমচ করে কালো প্লাস্টিকের কাপড় আছে?', দোকানীও টাশকি খাইয়া কয় 'ইতা খিতা বাজী?'। এরকম আরো দোকানে যাইয়া জিগায়, দোকানীরা কয় বুঝাইয়া বলেন, বুঝি না ইত্যাদি ইত্যাদি । হঠাৎ ইউরেকা স্টাইলে আমি ফাল পাইড়া কইলাম বুঝছি এইটা কী জিনিস। বইনে জিগায় 'কী?'। আমি কই 'রেক্সিন'! দুইজনে আবিষ্কারের আনন্দে গজ কাপড়ের দোকানে দোকানে জিগাইয়া বেড়াই, 'আপনেগো কাছে রেক্সিন আছে, রেক্সিন?'। কোথাও না পাইয়া হতাশ হইয়া যখন আমার বইনের মুখ চুপসাইয়া গেল তারে ভরসা দিলাম 'চল এক জায়গায়, ওইখানে পামুই পামু'। ৩,৪ ঘন্টার কঠিন অভিযান শেষে এরপর আমার বইন কালো রেক্সিনের প্যান্ট বানানোর কাপড় লইয়া সোফা,পর্দার কাপড় বানানোর ফেব্রিকস শপ থেইক্কা অম্লান বদনে বাইর হইয়া সে কি হাসি! বিচিত্র সেই কাপড় আর বিচিত্র সেই প্যান্ট। আজতক বুঝলাম না জিনিসটা আসলে ছিল কি। লেদার?রেক্সিন?সিনথেটিক কিছু? নাকি আসলেই কাঁচা বাজার করার মোটা প্লাস্টিকের থলি। যদিও আমার খালার হুমকীর মুখে সেই প্যান্ট আর মাইয়া ব্যবহার করার সুযোগ পায় নাই। কারণ তাঁর মায়ে কইছিল 'যদি এইডা পিন্ধোস তাইলে কইলাম ড্রইংরুমের সোফা সরাইয়া তোরে সাজাইয়া রাখমু।
বাংলার কিং কং:
আজকের এই বিশাল বিখাউস পোস্ট নাজিল হওয়ার কারণ কিন্তু হইল এই 'বাংলার কিং কং'। এখন এই জিনিসটা কিতা, খায় না পিন্ধে, এইটা হইলো জানার বিষয়। অনেকেই হয়তো জানে, আবার অনেকে হয়তো জানে না। যারা দেখে নাই এইটা তাগো লাইগা। আজিকা প্রত্যুষে 'বাংলার কিং কং' সিনেমাটির ট্রেলর অবলোকন করিয়া আমার চিত্ত এতোখানিই পুলকিত হইয়াছে যে নিজেকে এমন একটি আজাইরা পোস্ট লিখা হইতে কিছুতেই আটকাইতে পারিলাম না। এককথায় ইহা আমাকে ব্যাপক আকারে অনুপ্রাণিত করিয়াছে। ইহা দেখিবার পরে যে নির্মল আনন্দের ফল্গুধারা আমার মাঝে সঞ্চারিত হইয়াছে তাহা প্রকাশ করিবার নহে।
আগামী ২৮শে মে সারা দেশে ছয়লাব হইতে যাচ্ছে 'বাংলার কিং কং'। আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রস্তুতকৃত এই ছিনেমার বহু প্রযুক্তি কথ্য আছে আম্রিকা থেকে আনা, সাথে বাংলার কিং কং এর পোশাকটিও। যদিও কিং কং এর পোশাক দেখে মনে হইতেছে বড় ভাই কিং কং এর পোশাক চুরি করিয়া সে নিজে প্রক্সি দিতেছে। সব কথার মূল কথা 'বাংলার কিং কং' ছিনেমাটি এনশাল্লাহহহ আপনাকে যারপর নাই খ্যাক খ্যাক করে হাসার প্রচুর সুযোগ দিবে এ বিষয়ে নিশ্চিত। এক দেখেছিলুম কিমি কাতকারের টারজান, আজ দেখলুম মুনমুনের কিং কং। মাইরি বলছি... তোফা তোফা!
মন্তব্য
হা হা হা হা হা -
হা হা হা হা হা- আপনার নিক কি বোন?
দৃশা
ব্যাপক মজা পাইলাম। খাঁটি আঞ্চলিক ভাষায় এতো মজার পোস্ট কম পাওয়া যায়। তবে দুর্বল মস্তিষ্কে এর মর্মকথা কমই বুঝতে পারলাম। দৃশা আপু চামে চিকনে, আড়ালে আবডালে সামনে পিছে কারে যে চটকাইলেন হেইটাই বুঝতে পারলাম না।
কামরুজ্জামান স্বাধীন।
এই আজাইরা পোস্টে আপনি মর্ম খুঁজেন? আপনে কি বুখা রে বাবা!
আপনে তো দেখি মানুষ ভেজালের, মোট্টেও সহজ না। ইরকম একটা নিরীহ পোস্টে আপনি থাবড়া থাবড়ির রহস্য খুঁইজা পান?
দৃশা
- বহুদ্দিম পরে আইলেন দেহি! থাহেন কোন্ডে?
আমি না একটা জিনিস বুঝি না, কিংকং সাজাইতে আম্রিকা থাইকা পোশাক আনানি লাগে নাকি? আমাগো ময়ূরীরে খাড়া করা দিলেই তো স্ট্যান্ডার্ড সাইজের কিংকং হয়া যায়। লগে এট্টু পেইন্টিং মেইন্টিং মারতে হৈবো, এই আর কি!
লেখা পুরাই উমদা হৈছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বহুদ্দিম পরে না তো, মাঝে মাঝেই আসি, বেবাকের লেখা পড়ি, কমেন্টাই। জীবন যায় লৌড়ের উপর।
আপনেও একটা কথা কইলেন? মুনমুনের পাশে ময়ূরী কি চলপে নাকি? ২ জনই তো সমানে সমান। টেক্কা দিতে হবে না?
আছেন কিরকম?
দৃশা
- হ। টেক্কা তো দেওনই লাগবো। দিবোও। য়্যুট্যুবে কী একটা গানের মিউজিক ভিডিও দেখছিলাম। আমার ২ নং ফেভারিট নাইকা ময়ূরীরে সেই প্রথম চাক্ষুস দেখা। তখন থাইকাই বুঝছি, আমার ফেভারিটনেস অপাত্রে পড়ে নাই। কিংকং হওয়ার লৌড়ে মুনমুনের কি সাধ্য আছে ময়ূরীর ধারেকাছে আসার!
কিরকম আছি? হেহে। আল্লায় রাখছে ভালৈ! তা আপনের হাল-হকিকত কী!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুরর মিয়া আপনে তো দেহি ঠিকমত ভিড্যু দেখেন নাই। মুনমুন কি কিংকং নাকি? মুনমুন তো হইল কিংকং এর ভালবাছার মানুছ। ময়ূরী যদি কিংকং হইত মুনমুনের অপজিটে তাইলে কি খাটতো নাকি? খোদার খাসিকে টেক্কা দেওয়া তো যেমন তেমন কথা না।
দৃশা
মাইরি, কাদি কাদি কলা খেয়েই মুনমুন আফার এই অবস্থা তাইলে!
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
হুম! টারজান কন্যা বইলা কথা! আর তার লগে বন্ধু কিংকং রে ডাকার কি চমেৎকার মিউজিক... ও হো ও হো ও হো!
দৃশা
বাংলার কিং কং এর ট্রেইলার দেইখা-
- মুক্ত বিহঙ্গ
দৃশা, আগেও আপনার লেখা পড়েছি, এত মজা করে লেখেন আপনে! সকাল বেলায় আমি খ্যাক খ্যাক করে হাসলাম জোরে জোরে, আমি শিউর আমার রুমমেট পরে জিজ্ঞেস করবে যে, কী হইসিলো!
হ্যাঁ ভাই! ''বাংলার কিংকং''! নাওমি ওয়াটস-এরটা এখানে দেখার সৌভাগ্য হইসিলো, সেটা মনে করে আমি প্রায় ''নাই'' হয়ে গেসি! আপনার কাজিনের রেক্সিনের ওই কস্ট্যুম কিন্তু মনে হয় নায়ক বাবাজি দেখে ফেলসিলেন, দেখেন ওইটাই পড়ে আসেন কি না তিনি! হে, হে! আর, মুনমুন-ময়ূরী'র মধ্যে প্যাচ খেয়ে যায়, আমাদের ধূগো মিয়া অবশ্য আপাদের ভালই চেনেন, ভাগ্যিস নাম ছিলো, নাইলে তো আমি গেসিলাম!
আর যাই বলেন, এরকম ''ওপেন ল্যাফিং কনটেস্ট''-এ আমি দুই দুইবার নাম লেখাইতে পারলাম না, দুঃখে আমি বাঁচি না। একটা হইলো জলিল আঙ্কেলের ''খোঁজ দ্য সার্চ'', আর আরেকটা হইলো এইটা। আমার মা সঙ্গে গেলে আমারে চিমটি দিয়া আস্তো রাখতো না কারণ আমি যেই জোরে জোরে হাসি (ভাল মেয়েরা জোরে হাসে না, থিউরি অনুযায়ী)!!! ব্রিটিশ কাউন্সিলে [url=http://en.wikipedia.org/wiki/East_Is_East_(film)]''East is East'' [/url]দেখতে গিয়ে পরে দেখি আমার বাম হাতে-পায়ে চিমটির দাগ! তাও কি আমার খিক-খিক, ফ্যাচ-ফ্যাচ, হি-হি, হো-হো টাইপের হাসি আম্মু আটকাতে পারে, বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাঝখানে!
অটঃ ''East is East'' ওয়ানপিস ছবি। যারা যারা দেখেন নাই, আমি দেখতে বিশেষভাবে অনুরোধ করি!
লিঙ্ক ব্রেক করে যাচ্ছে, থাকুক। দুইবার করেও ঠিক করতে পারলাম না!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
ইস্ট ইস ইস্ট মুভিটা আগেই দেখা। কিন্তু কপালদোষে জলিল চাচ্চুরটা দেখতে পারি নাই। দোস্তরা দল বাইন্ধা যাওয়ার কথা, কিন্তু আমার উঠল মরার জ্বর। খোঁজ- দ্য সার্ছ(নায়ক নায়িকারে দেখছি এমনেই উচ্চারণ করতে) নিয়া প্রায় ১ বছর আগে লিখছিলাম। আফসুস ৩ ঘন্টার একটা আনন্দময় জার্নি মিস হইয়া গেল। যদিও দোস্তরা কইছে নিজেগোরে তারা শিকল দিয়া বাইন্ধা রাখার পরও হুদা ইন্টারভেল পর্যন্ত আটকাইয়া রাখতে পারছিল, এরপর দিগ্বিদিক জ্ঞানশূণ্য হইয়া লৌড় মারছে।
দৃশা
একবার বাসায় কে জানি একটা বিস্কুটের টিনের বাক্স এনেছিলেন যার নাম ছিল ফান মিক্স, ভিতরে ছিল কয়েক পদের বিস্কুট, আজাইরা নোনতা টাইপ থেকে শুরু করে ভিতরে চকোলেট দেওয়া টাইপ..ইত্যাদি..ইত্যাদি। আপনার লিখায় আঞ্চলিক, সাধু, চলিত ইত্যাদির ফান মিক্স পড়ে মজাই লাগল।
ট্রেইলরটা দেখতে পারলাম না...আমার নেটের স্পীড খুবই খারাপ। বাফারিং করতে শুরু করলে ঘুম পায়, আর এখন ডাউন লোড দিতেও মন চাইছে না।
ছেড়া পাতা
ishumia@gmail.com
ট্রেইলর ফেইলর বাদ দেন। ২৮ তারিখে আস্ত সিনেমাটাই দেইখা ফালান!
পড়বার আর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
দৃশা
------------------------------------------------------------------
It is impossible to be a mathematician without being a poet in soul.
------------------------------------------------------------------
It is impossible to be a mathematician without being a poet in soul.
ফাস্ট টাইম আফনের লেহা পড়লাম। নিদারুণ হাসাহাসি। আফনের বইনটারে দেহনের হুশ হইছে ।
কিং কং কন আর যাই কন এহেন বডির নায়িকা আফনে আর এক জাইগাই পাইবেন। ওয়াল্ডে সেকেন্ড পিস আরকি!!
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
ফার্স্ট পিসটা তাইলে কই? অর্ডার দেওয়া মাল নাকি? অল দ্য ওয়ে ফ্রম জিঞ্জিরা?
দৃশা
আপা আপনে ব্যাপুক মজার মানুষ
রতনে রতন চিনে, মজারু চিনে মজারুরে।
দৃশা
আফা, আপনের আজাইরা পুস্ট পইড়া মুখ-ব্যাজাইরা মানষেও হাসতে হাসতে ফিড হইয়া পড়তাম পারে। আর আফনের পুস্টখান মোডেও নিরীহ না, কারণ যে কেউ এই মাল (বাংলার কিংকং) দেখলে হাসতে হাসতে পেডে খিল লাইগা পটল তুলতাম পারে। হের লাইগা কইলাম আফা আফনেই দায়ী হইবাম, এই মোর শেষ কথা!
তাইলে আপনার কথা মতে, হাসপাতালে রুগীরে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার বদলে এই পুস্ট পড়াইলেই সারবো। ঠিক তো?
ও মাই পরওয়াদিগার আমি তো বড়লুক হওয়ার পথে তাইলে !!
আপনার নিক নাই কেন?
দৃশা
লেখা বড়ই উপাদেয় হয়েসে। পাঁস তারা
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
তার মানে হইল আমি পাস(pass) করছি তাই পাঁচ, এইতো?
ধন্যবাদ।
দৃশা
পুরা উড়া-ধুরা, ব্যাপক আজাইরা পোস্ট! হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে! 'বাংলার কিংকং'......সেরকম ট্রেইলার!
যাই হোক, আপনার 'তবলার ঠুকঠাক'টা বেশী ভাল লাগল! খুব সুন্দর একটা মেসেজ দিয়েছেন।
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
ধন্যবাদ।
দৃশা
লেখা সেইরাম হইছে!
এইটা কি আপনার আকিকা করা নাম? ইরকম কঠিন কেন?
দৃশা
আপনার এই লেখাটা পড়ে আগের যাবতীয় লেখা পড়তে চলে গেলাম (বুঝতেই পারছেন, কতটা ভালো লেগেছে ) আর জানতে পারলাম, আপনি নাসিরাবাদ গার্লস এর ছাত্রী। কোন ব্যাচ? আপনার প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষিকা কে ছিলেন?
মুশফিকা আপা যিনি হাজার চেষ্টা করেও আমাদেরকে জীবনেও 'দ্য উইন্ডি ডে' মুখস্ত করাইতে পারে নাই। বেচারী অন্যখানে ট্রান্সফার হয়ে গেছিল মাগার এই বিখাউস জিনিস পড়াতে পারে নাই ১ বছরের প্রতি সপ্তাহের চেষ্টাতেও। এছাড়া জাহানারা আপা, মাসুমা আপা সহ আরো অনেকেই অনেক পছন্দের ছিল। আপনিও কি ওখানেরই ছাত্রী ছিলেন নাকি?
আপনার নামটা জানা হলো না।
দৃশা
আরে আপুনি, আপনিও চাঁটগাঁইয়া?? (তালিয়া)
আম্মু "নাসিরাবাদ গার্লসের" ছাত্রী ছিলেন ,ছোটবোনও এই স্কুলেই পড়ছে।।
গতকালই "বাংলার কিংকং" নিয়ে সমালোচনা পড়লাম কালের কন্ঠে..
বিয়াপক!!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ও দিরশা - আপনার খালা এবং খাল্তো বোনকে ব্যাপক ভালু পেয়ে গেলাম! এই পোস্টও!
কয়েকদিন আগেই ফেসবুকে (মনে হয় কিকু'র) দেয়া লিঙ্ক থেকে এই ট্রেইলার দেখে মনটা ফুরফুরে হয়ে গেসিলো, আজকে এই পোস্ট পড়ে তো মনে হচ্ছে ... মনে হচ্ছে ... নাহ্, কী মনে হচ্ছে ঠিক ভাষায় প্রকাশ কর্ত্তে পারতেসিনা ......
ভালো কথা, জন্মদিনে সেই যে একখান গান উপহার দিসিলেন, মনে আছে? মমতাজের? হেঁ হেঁ - দুঃসময়ে মাঝে মাঝেই শুনি - মনটা ভালু হয়ে যায়, অনেক ধন্যবাদ
স্নিরিগ্ধা আপা! কেমন আছেন? কত কতদিন পরে আপনারে দেখলাম, মানে আপনার কমেন্ট পাইলাম।
আমার খালা দারুণ মজার মানুষ, তার মেয়েও। 'পাংকু আবুল' ডাউনলোড করতে পারছিলেন তাইলে। আমি নিজেই কেমনে জানি এই অমূল্য রত্ন হারায়ে ফেলছি। থাকলে আমারে পাঠায়েন।
দৃশা
কাইল রাইতে লেখা পইড়াই একচোট হাইসা গেছিলাম, আইজ ট্রেলার দেইখা রীতিমতো হেঁচকি তুইলা হাসলাম। আপ্নে পারেনও
সকল প্রশংসা বাংলার কিংকং এর।
দৃশা
আমাগো ব্যাজাইরা জীবনে এইরকম আজাইরা গল্পগুলাই যা আছে।।।।।এডি না থাকলে তো বাইচা থাকায় দায়।।।
>>>আইজুদ্দীন<<<
আমিও জানতাম চাই আপনে কি ডাক্তর আইজুদ্দিন?
দৃশা
অ দৃশাপা, আপনার পুস্ট বিয়াপক বালু পাইলাম।
আমার কবতেটাও আপ্নে বালু পাইসিলেন সেই জন্যে না, বালু লাগসে আসলেই পড়তে। খালি বয় পাইসি কিং কং-এর ট্রেইলার দেখতে ... পরে সাহস কইরে দেখমুনে।
আরো আজাইরা পোস্ট দেন না... আজাইরা টাইমগুলান বালু কাডতো...
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আজাইরা জিনিস না দেখলে তো আজাইরা লেখা লিখবার প্রেরণা পাই না। আগে আরো কিছু আজাইরা জিনিস দেইখা লই তাইলে।
লেখা পড়বার লাইগা ধন্যবাদ।
দৃশা
আপনাকে পুরনো ফর্মে ফিরতে দেখে ভালো লাগছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
রাখেন মিয়া, আমিতো আল্লাহ আল্লাহ করতাছি কখন না জানি ময়না মিয়া আইসা ক্যাঁক কইরা ধইরা কয়, 'এই থুমি এইছব লবা-লছা কি লিখছো? ভাল বাংলায় লিখথে ফারো না? আর যেন ইরকম না দেখি!'
দৃশা
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বহুদ্দিন বাদে আইলেন গো আফামণি...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ঐ দিনই তো মাত্র লিখলাম... আবারো কন বহুদ্দিন পরে দেখলেন। কেমনে কি!
দৃশা
আহারে, এই লিহা এতো দেরীত পড়লাম ??? মন্টা বিলা অয়া আসিলো - মাগার আনের বোইনের কতা আর মুন্ময়ূরী আফাগো ছাইয়া ছম্মক দৃশ্য দেইখা দিল্টা জুড়ায় গ্যালো...
আন্নে নিয়মিত লেইহেন, ক্যান ??
আর অনেঁ চিটাইঙ্গা ফাল্লার- আঁর না নি এরি...
_________________________________________
সেরিওজা
দারুণ! দারুণ লেখা! এরকম আজাইরা(!) পোস্ট আরো দিয়েন।
ব্যাপক মজা পাইলাম। অসাধারন।
ইদানিং আর কিছু মাথাত আয়নাই?
নতুন মন্তব্য করুন