××× ২০০৮ এর শুরুতে শ্রদ্ধেয় সুজন চৌধুরী “আয় তোদের মুণ্ডুগুলো দেখি ফুটোস্কোপ দিয়ে” শিরোনামে কয়েকজন সচলের ইয়ের উপর হামলা করেছিলেন। আমার মত অবাঞ্চিতও কিভাবে যেন সেখানে ঢুকে পড়েছিল। আমার খোমা দেখে অনেকেই আমাকে “বারাক ওবামা লুক অ্যালাইক” পুরষ্কারে ভূষিত করেছেন। তাদেরকে দুঃখ দেবার জন্যই বলছি – এত খুশী হবার কিছু নেই। আমার খোমা অনেকটা সাপের মত – ক্ষণে ক্ষণেই রূপ পাল্টায়। ×××
১.
২০০৬ সালের জুন মাসের কথা। নিউমার্কেটের একটা দোকানে ছবি বাঁধাই করতে দিয়েছি। বিয়ের ছবি তাই আকারে মোটামুটি বিশাল। দুইদিন পর ছবি আনতে গেলাম। দোকানী বললেন, “ভাইজান কিছু মনে করবেন না। আপনি কি টেলিভিশনে নাটক করেন? আপনি কি মাহফুজ?”
২.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ের কথা। প্রতিবার নতুন টিউশনি নেবার সময় স্বপ্ন দেখি সেইরকম সুন্দরী কোন ছাত্রীকে পড়াবার দায়িত্ব পেয়েছি। একদিন স্বপ্ন সত্যি হল। ছাত্রী পড়াবার গোপন মিশন নিয়ে মাসুদ রানার বেশে গেলাম কাকরাইলে।
বসার ঘরে বসে থাকতে থাকতে ইয়েতে শিঁকড় গজিয়ে যাবার দশা। এমন সময় ছাত্রীর মা এসে ঢুকলেন। মায়ের পেছনে পেছনে ছাত্রীর প্রবেশ।
নতুন জামাইরা যেভাবে আড়চোখে বউয়ের দিকে তাকায় সেভাবে চোখের কোনা দিয়ে ছাত্রীকে দেখার চেষ্টা করলাম। ফলাফলে ভিরমি খেয়ে ইয়েমারা খাবার দশা।
ছাত্রী দেখতে ভীষন সুন্দরী। একবারে যাকে বলে “যেমন নাকে-মুখে তেমনি বুকে-পিঠে” অবস্থা – আকারে ও প্রকারে অনেকটা গাবতলী হাটের মোষের মতোন। বাজী ধরে বলতে পারি ভাল করে তাকালে দেখতে পেতাম বেচারীর নাকের ভেতর থেকে বড় বড় লোম বেরিয়ে আছে।
ছাত্রীর মা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মাষ্টর কি টেলিভিশনে নাটক করেন?”
আমি জিজ্ঞাসু স্বরে বললাম, “জ্বি ?”
ছাত্রী তার মাকে খোঁচা দিয়ে বললো, “দেখছো, আমি বলছি না উনি লিটু আনাম!”
৩.
স্পাইডারম্যান তৃতীয়খন্ড মুক্তি পাবার প্রথম দিনের কথা। গিন্নী বললো, “সিনেমা মুক্তি পাবার প্রথম দিনেই দেখতে যাওয়া উত্তম।”
আমি জানতাম, “তাওয়া গরম থাকতে থাকতেই রুটি ভেজে ফেলা উত্তম।” সিনেমার ব্যাপার এমন কিছু থাকতে পারে ধারণা ছিল না। গিন্নী যখন বললো তখন একমত না হবার কোনই কারণ নেই – বিবাহিত মাত্রই এ ব্যাপারে আমার সাথে সহমত পোষন করবেন।
বিকাল চারটায় সিনেমা দেখতে বের হয়ে পুরো নিউইয়র্ক শহরের অর্ধেকটা ঘুরে জানতে পারলাম সব টিকেট বিক্রী হয়ে গেছে। রাত বারোটার আগে কোন টিকেট পাওয়া যাবে না। আমি স্বভাবশুলভ গোঁ ধরে আরও কিছুক্ষন এ হল থেকে সে হলে ঘোরাঘুরি করে টিকেটের খোঁজ করতে লাগলাম। ঘোরাঘুরিতে মারাত্বক ফল হল – যাকে বলে “হাতে হাতে ফল” - রাত দেড়টায় শো-এর টিকেট হাতে হল থেকে বের হয়ে এলাম।
হাতে প্রচুর সময়। এক বন্ধু স্বস্ত্রীক দাওয়াত দিয়েছে রাতের আহারের। সিনেমা হল থেকে রেস্তোরার দুরত্ব খুব বেশী নয়। ভাবলাম দুজনে হেঁটে মেরে দিই বাকী পথটুকু।
কিছুদুর এগোতেই এক বিশালদেহী কালো লোক পথ আগলে দাড়ালো, “অনুগ্রহ করে একটা ডলার দিবে?” বলেই সাগ্রহে তাকালো গিন্নীর দিকে।
লোকটিকে দেখেই বোঝা যায়, পৃথিবীর কাছ থেকে কিছু পায় নি তাই পৃথিবীর ভালোমন্দে তার কিছু যায় আসে না। এ ধরনের মানুষগুলো সাধারণত প্রত্যাখ্যাত হতে পছন্দ করে না এবং নিউইয়র্ক শহরের অনেক খুন-জখম “এক-ডলার” এর সাথে সম্পর্কিত। আত্মরক্ষার তাগিদেই এক ডলার বের করে লোকটিকে দিলাম।
টাকা পেয়ে লোকটার মুখে হাসি ফুটে উঠলো। অনেকটা ষড়যন্ত্রীদের মত গলা বাড়িয়ে বললো, “ওহে ! তুমি তোমার এই স্প্যানিশ বান্ধবীটিকে পরিত্যাগ করে স্বজাতীয় একটি কালো মেয়ে খুঁজে নিচ্ছ না কেন?”
মন্তব্য
আপনি ছাত্রীর পিঠ সামনে থেকে দেখলেন কিভাবে?
হাঁটুপানির জলদস্যু
সোফার অবস্থান আর বসার ঘর-শোবার ঘরের দরজার অবস্থান দেয়ালের একই দিকে হওয়ায় ছাত্রী ঘরে প্রবেশ করার মুহুর্তেই পাশ্চাত্য প্রদেশ দেখা সারা। তাছাড়া তখন ছিল কাঁচা বয়স - যা পাই তাই খাই অবস্থা।
কি মাঝি? ডরাইলা?
মজা পেলাম।
শেষের ঘটনাটি প্রায়ই ঘটে। বাঙালী মেয়েদেরকে স্প্যানিশ বলে ভুলে করে অন্যরা।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
১ ডলারের পরে ওরা নাকি ১০০ ডলার চায় বন্ধুর জন্য-- কোথায় যেন শুনেছিলাম। ধুমধাড়াক্কা পোস্ট।
...............................
খাল কেটে বসে আছি কুমিরের অপেক্ষায়...
- শেষে তো অই ওবামার কাছেই ফিরা গেলেন।
লোকে কৈলে আর দোষ কি?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাহাহহাহহা!!!
আপনে আমরে আর ১টা ছবি দেন দেখি এইবার কারমতো হয়?
___________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
ফাটাইফেলাইছে............................
সেইরকম...
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
গিন্নী যখন বললো তখন একমত না হবার কোনই কারণ নেই – বিবাহিত মাত্রই এ ব্যাপারে আমার সাথে সহমত পোষন করবেন।
কখোনোই না। কভি নেহি।
- ভাইরে, আপনে আইজকা শ্যাষ!!!
দীর্ঘায়ু কামনা করে তো আর লাভ নাই। তয় অমানিশা যেনো দীর্ঘস্থায়ী না হয়, এই কামনা করি! বাঁইচা উইঠা দুইটা ডিম কুরবানী দিয়েন।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি এখনো বেঁচে আছি। তবে ডিম সব শেষ।
বউ সামনে না থাকলে এইসব "কভি নেহি" ডায়লগ আমি তো কোন ছার স্বয়ং বেগতিক আরিফ সাহেব ই ঝেড়ে দেন। আপনে যে দিবেন সেইটা তো আগে থেকেই জানতাম।
কি মাঝি? ডরাইলা?
- কতো কিছু শেখার আছে দুনিয়ায়
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ। বিয়া করতে চাইলে প্রথমেই বিড়ি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
- আমারে পাগলে ধইরা কি গাঙ্গে চুবাইছে?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হে হে । কত বাঘেরে দেখলাম ফস কইরা বিলাই হইয়া গেল। আর সামান্য বিড়ি........
কি মাঝি? ডরাইলা?
- (বেড়াল)
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইয়ে মানে, আপনি অমিত অমত করতেই পারেন। নিজ দায়িত্বে করবেন। পরে আবার অন্য সচলদের কোন ঝামেলায় না পরতে হয়।
দ্রোহী ভাইর ব্যাপারে নানানরকম গল্পগুজব শোনা যায় অবশ্য। উনি ভাবির সামনে "অমত" শব্দটার সংজ্ঞাই ভুলে যান - দুষ্ট লোকেরা বলে থাকে (আমি কিন্তু বলিনা! আমি দ্রোহী ভাইর গুনমুগ্ধ ভক্ত)
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
- আমিও তো দ্রোহী ভাইয়ের গুণমুগ্ধ।
খালি মওলানা সা'ব যা ইট্টু গোঁপন কথা শোনায়! আমি অবশ্য শুনি না।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এ তো দেখি সেই শরৎচন্দ্রের ছিনাথ বউরূপী (শ্রীনাথ বহুরূপী) !
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ঠিক বলেছেন। আমারো তাই ধারণা।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
চাঁদের জন্ম চাঁদে , নষ্ট ছেলে...
ভাল হয়ে যেতে তুমি ছাত্রীর মুখের গন্ধ পেলে...
নাহ্ আমার এত সাহস নাই। মুখা ধরলে খবরই আছে.........
কি মাঝি? ডরাইলা?
ফুটোস্কোপে আপনার ছবি দেখে তো আমি ভেবেছিলাম আপনি বোধ হয় নিগ্রো
কোনো বাঙালি মেয়ে বিয়ে করে বাংলা শিখে এখানে লিখেন
আমি মোটেও কাল না। বলতে পারেন উজ্জল শ্যামলা। তবুও বউ আমারে "কাউলা" বলে ডাকে। তার ধারণা আমি ঘেমে গেলে গা দিয়ে নাকি কালি বের হয়।
কি মাঝি? ডরাইলা?
ওরে নারে....
কাল হইয়া দু:খের কিছু নাই। কথায় আছে না,
কাল ভাল
সাদা গাধা।
---------------------------------
এসো খেলি নতুন এক খেলা
দু'দলের হেরে যাবার প্রতিযোগিতা...
কিন্তু আমিতো কালো না। কেম্নে কি?
কি মাঝি? ডরাইলা?
আমার বলা নিগ্রো কথাটা স্রেফ কথার কথা
মির্জা আমাকে ধরিয়ে দিলো এই শব্দটার সাথে শ্রেণী বৈষম্য যুক্ত
তাকে বলছিলাম কথাটা আমি মুছে দেবো
কিন্তু এখন দেখলাম মোছার কোনো সিস্টেম পাচ্ছি না
তাই আমার আগের কমেন্টটা উইথড্র হিসেবে ধরার জন্য অনুরোধ করছি সবাইকে
ওরে সর্বনাশ! সেরম!
তুমুল পোস্ট হয়েছে
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
হি হি হি...
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
ইরামই হইবেক ইটাই ঠিক আছে-
-------------------------------------------------------
বাংলায় হাগি, মুতি, বাঁচি
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
(বিপ্লব)
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
বিপ্লব ভাই, এভাবে নিজেকে বিলিয়ে দেবেন না। বিয়ে হয় নি এখনো। রয়েসয়ে।
অ্যাঁ!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
সব হাচা গল্প?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
কি মনে হয়? তোমারে দেখি না যে ইদানিং?
কি মাঝি? ডরাইলা?
সতেজ। ঝরঝরে।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
নতুন মন্তব্য করুন