সামহোয়্যারইনের বিখ্যাত রামছাগল মাঝে মাঝেই ‘যামুগা!’ বলে ঘোষণা দিত। তারপর যখন দেখতো কেউ তাকে ফেরত আনার জন্য ডাকাডাকি করছে না তখন একা একাই ফিরে আসতো। আত্মগ্লানি পোষ্টটির মাধ্যমে বাজিয়ে দেখলাম আমার গ্রহণযোগ্যতা সেই রামছাগলটির চাইতে বেশী কিনা। দেখলাম! দেখে মুগ্ধ হলাম!
জনৈক অতিথি লেখক মন্তব্য করেছেন, ‘ কাহিনী অইলো, দাদা হালকা ভাব নিতাছে.. !!’ সৌরভ এবং ধুসর গোধূলীও ধরতে পেরেছে আমার ভাব নেয়ার বিষয়টুকু। মুহম্মদ জুবায়ের ভাই সরাসরি আল্টিমেটাম দিয়ে বললেন চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে নাতাশাকে নিয়ে পোষ্ট দিতে। অনেকেই আমাকে বললেন, ‘লিখবেন না কেন? অবশ্যই লিখবেন। জানি হিমু বা শিমুলের মত লিখতে পারবেন না। তবুও লিখবেন।‘ সকলের ভালোবাসা আমাকে আপ্লুত করেছে। এই পোষ্টটি তাই সব সচলের জন্য উৎসর্গকৃত।
আমার আর হিমু হয়ে কাজ নেই! কাজ নেই শিমুল, কনফুসিয়াস বা অমিত হাসান (থার্ড আইয়ের আবিষ্কার!) হয়ে। আমি বরং দ্রোহী হয়েই বেঁচে থাকি।
তবুও বলবো—হিমু, শিমুল, কনফুসিয়াস বা অমিত আহমেদের লেখা পড়লে তীব্র ঈর্ষাবোধ করি। শেখ জলিল, মুহম্মদ জুবায়ের বা মাহবুব লীলেন তো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ছয়মাস প্রেম করার পর আমার মনে হল আমেরিকা আসার আগেভাগেই বিয়েটা সেরে ফেলা যাক। বাবা–মা কে গিয়ে বললাম, ‘আমি একটি মেয়েকে বিয়ে করতে চাই।’
বাবা বললেন, ‘মেয়েকেই তো বিয়ে করবি। কেন করবি না? অবশ্যই বিয়ে করবি। একটা কেন, চাইলে দশটা মেয়েকে বিয়ে করবি।‘ মা বললেন, ‘তোর কাউকে ভাল লাগলে আমাদের আপত্তি করার কি আছে?’ আমি আগে থেকেই জানতাম আমার বাবা–মা কী রকম! আর তাই তাদের কাছে আবদার করতে কুণ্ঠবোধ করিনি।
গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক সিদ্ধান্ত নেবার প্রয়োজন পড়লেই ডাক পড়ে আমার মেঝচাচার। মেঝচাচা আসলেন। চোখ–মুখ খিঁচিয়ে সবকিছু শুনলেন। তারপর বললেন, ‘মেয়ে কোথায় থাকে?’
‘মেয়ে বিদেশে থাকে।’ বলতেই চাচা গরম তেলে ইলিশ মাছ ছাড়ার মত করে ছ্যাঁৎ করে উঠলেন। চোখ লাল করে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কি সর্বনাশ! তুই মেয়েকে দেখিস নি?’
একগাল হেসে আমি বললাম, ‘ভিডিও চ্যাটে অনেকবার দেখেছি। আমার মোবাইল ফোনে ছবি আছে। দেখাবো?’
চাচা আমাকে প্যাঁচে ফেলার জন্য সন্দেহের সুরে বললেন, ‘তুই মেয়ের সম্পর্কে কতটুকু জানিস? মেয়ের তো আগে আরেকটা বিয়ে হয়ে থাকতে পারে?’
আমি কেনো আঙুল দিয়ে ডান কান খোঁচাতে খোঁচাতে বললাম, ‘হোলেও হতে পারে!’
অবশেষে ছেলে পক্ষ ও মেয়ে পক্ষের মাঝে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদিত হল। এপ্রিল মাসের সাত তারিখে আমাকে বিয়ে করিয়ে দেয়া হল এবং সতের তারিখে উৎসব করে বউ তুলে আনা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে আমি একটা বিশাল দলের সাথে সারাদিন আড্ডায় মেতে থাকতাম। আমার বিয়েতে সেইসব পোলাপাইন থাকবে না তা কি করে হয়? পোলাপাইনের দল চরম উত্তেজনায় আমার বিয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকলো। প্রস্তুতি হিসাবে হবু বর–কনে সহ প্রায় তিরিশজন পোলাপাইন নিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড়ের ‘ছায়ানীড়ে’ মুরগীর রান খেতে যাওয়া হল। একদল মুরগী খেয়ে দাঁত খোঁচাতে খোঁচাতে বের হয়–বাইরে অপেক্ষমাণ আরেক দল তখন ঢুকে পড়ে।
পোলাপাইনের দল ঠিক করলো – সবার হয় ‘গায়ে হলুদ’ আমার হবে ‘দেহে হলুদ’। আমি পাজামা–পাঞ্জাবী পরে ‘দেহে হলুদ’ আসরে বসে আছি। বাবা–মা, গুরুস্থানীয় আত্মীয়স্বজনের হলুদ মাখানো পর্ব শেষ হওয়ার পর পোলাপাইন আমার ‘দেহে হলুদ’ দিতে আসলো।
আমি বিয়ে করে পোলাপাইনের দল থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছি এই দুঃখে সকলে কাতর। তাদের মনের সেই আকুতি ফুটিয়ে তুলতে তারা জনপ্রিয় একটি হিন্দী গানের আশ্রয় নিল – “সাজানা মেরে ইয়ার সাজানা ভে সাজানা ”। তবে সমস্যা হল গানটিকে বাংলায় পাল্টে নিয়ে অর্থ খানিকটা বদলে নিল। পোলাপাইনের দল একজন করে হলুদ মাখাতে আসছে – যে হলুদ দিতে আসছে তার চোখে জল! মুখে গান! ‘ুদি না মেরে ইয়ার তুঝে আর ুদি না।’ গানটাকে তারা এমন করে গাইছে যাতে মুরুব্বীদের দল গানের কথা বুঝতে না পারে।
এক পর্যায়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কৃপায় বিদ্যুৎ চলে গিয়ে পুরো ঘর ঘুটঘুটে আঁধায় হয়ে পড়ল। পোলাপাইনের দল রাস্তায় চলে গেল বিড়ি টানতে। বিদ্যুৎ আসার পর অবাক হয়ে দেখলাম, আমার সামনে সাজিয়ে রাখা খাবাগুলোর যে অংশ সবসময় ভিডিও ক্যামেরার আড়ালে থাকে অর্থাৎ আমার দিকে ফেরানো তার সবটুকুই গায়েব। খাবারগুলো এমন সুনিপুনভাবে গায়েব করা হয়েছে যে সামনে থেকে তা ক্যামেরায় ধরা পড়বে না।
উৎসবের দিন সবাই মিলে গেলাম বউকে তুলে আনতে। কমিউনিটি সেন্টারের গেটে আমাদেরকে আঁটকানো হল। পাত্রীপক্ষের লোকজন আমাদের ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। পোলাপাইন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টাইলে মিছিল ধরলো, “গেটের তালা ভাঙবো–ভাবীকে আনবো।” মিছিলের বক্তব্য শুনে মুরুব্বীরা পুরা কাইত! তুমুল গ্যাঞ্জামের মাঝে আমি দেখলাম গেটের একপাশে একটু ফাঁকা। সুযোগ বুঝে আমি সেই ফাঁকা জায়গা দিয়ে সুড়ুৎ করে ভেতরে ঢুকে পড়লাম। প্রায় তিরিশ সেকেন্ড পর সবাই আবিষ্কার করলো যাকে নিয়ে এত হট্টগোল সে নিজেই ভেতরে ঢুকে গেছে। পোলাপাইন বিজয়ের উল্লাস চেপে না রাখতে পেরে কণেপক্ষের পোলাপাইনদের উদ্দেশ্যে গান ধরলো, “ুদি না মেরে ইয়ার তুঝে আর ুদি না।” দুর্ভাগাদের দল যারা গেটে টাকা দাবী করেছিল তাদের সর্বসাকুল্যে আয় হয়েছিল পঁচাত্তর পয়সা।
উৎসবের পর সবার কান্নাকাটির ভেতর দিয়ে আমি বউ নিয়ে ফেরত এলাম নিজের বাড়ীতে। রাত তখন একটা বাজে। মেঝচাচার ঝাড়ির চোটে নববধু বরণপর্ব খুব দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা হল। সবাই মিলে আমাদের দুজনকে ঠেলেঠুলে নিয়ে বাসর ঘরে ঢুকালো। তারপর ছবি তোলা (খোমা খিঁচা!), ভিডিও করা ইত্যাদি চলতে লাগলো। ছবি তোলা পর্বের পর যখন বিয়ের সাজ খুলে ফ্রেশ হবার টাইম এল তখন আবিষ্কৃত হল বউয়ের স্যুটকেসগুলো এসেছে কিন্তু স্যুটকেসের তালা খোলার জন্য চাবী আনা হয়নি।
পোলাপাইনদের দুজন ছুটলো চাবী আনতে। সেদিকে তখন কণে বিদায়ের পর আয়োজন করে কান্নাকাটি চলছিল। চাবী হারানোর সংবাদে কান্নাকাটি থামিয়ে সবাই চাবী খুঁজতে লেগে গেল।
চাবী ফেরত না আসা পর্যন্ত ঘরের সবাই মিলে আমার বাসর ঘরের খাটে উঠে গোল হয়ে গল্প করতে বসলো। বাবা, মা, বোন, বন্ধুবান্ধব এবং আমার বউ খাটের একপাশে বসে আড্ডা দিচ্ছে। আরেকপাশে আমি উপুড় হয়ে আমার শ্বশুরের উপহার দেয়া ঘড়ির ম্যানুয়াল পড়ছি।
হঠাৎ করে মনে হল বিছানায় এবং মেঝেতে যে ফুল গুলো ছড়ানো আছে সেখানে যদি পোকা থেকে থাকে তাহলেই সর্বনাশ! সাথে সাথে “খোঁপার ফুলে থাকা পোকার কামড়ে নববধুর মৃত্যু” বিষয়ক খবরগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠল। আমি কাউকে কিছু না বলে প্রথমে টেনে টেনে খাটের চারপাশে ঝুলানো ফুলগুলো ছিঁড়লাম। তারপর বিছানা চাদর থেকে ফুলগুলো কুড়িয়ে মেঝেতে ফেললাম। তারপর একটা ঝাড়ু খুঁজে এনে মেঝেতে ছড়িয়ে থাকা ফুলগুলোকে সরাতে লাগলাম। আমার নববিবাহিত স্ত্রী অবাক হয়ে তার স্বামীর কার্যকলাপ দেখতে লাগল।
রাত তিনটার দিকে পোলাপাইন দুজন স্যুটকেসের চাবী নিয়ে ফিরে এল। তখন সবাই আমাদের দুজনকে বাসর ঘরে রেখে ঘুমাতে চলে গেল।
সবাই চলে যাওয়া মাত্র আমি ঝাড়া হাত পা হয়ে ফ্রেশ হয়ে গেলাম। বউ ও তার বিয়ের পোশাক পরিবর্তন করে ফ্রেশ হয়ে আসলো। হঠাৎ করে টের পেলাম বরের সামনে রাখা খাসির রোষ্ট ছিঁড়ে অত বেশী খাসির মাংস খাওয়া কিছুতেই উচিৎ হয়নি।
পেটে বেজায় পরিমাণে গ্যাস তৈরি হচ্ছে। আমি মোটামুটি ভদ্রলোক, তাই বিষাক্ত বায়ু নিষ্ক্রমণের আগে বউয়ের অনুমতি নেয়াটাই সমীচীন হবে ভেবে বউকে প্রশ্ন করলাম, ‘একটা পাদ দিই?’
বউ তার ঘরে পরার শাড়ীগুলো স্যুটকেস থেকে ওয়ারড্রোবে তুলে রাখছিল। আমার কথা শুনে কাজ ফেলে রেখে আমার দিকে তেড়ে এসে আমাকে দরজার দিকে ঠেলতে ঠেলতে বললো, ‘বেরোও! বেরোও এখান থেকে! যাও বাথরুমে গিয়ে দাও।’
আমি বউকে বললাম, ‘বাথরুমে যেতে হলে দরজা খুলতে হবে। সবাই কি ভাববে? আমার লজ্জা লাগছে!’
বউ তখন বুদ্ধি করে বললো, ‘আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে জানালা দিয়ে দিয়ে দাও।’
কী আর করবো! জানালায় পশ্চাৎদেশ ঠেকিয়ে পাদ দিলাম।
মন্তব্য
=))
হাইসা নেই আগে, মন্তব্য পরে করমু! ..
হা হা হা হা হা হা......আর পারছি নে....
আপনার বউয়ের আসলেই বুদ্ধি আছে বটে!!
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
হেহে হে ! বেশ গন্ধযুক্ত কাহিনী।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
ক্যান অলৌকিক ভাই? আমরা কি এখন স্কোরশিট নিয়ে বসব ?
আপনে মিয়া এক্কেরে... !!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
- শিক্ষামূলক পোস্ট! (তালিয়া)
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গুরু ব্যাপার না...আপ্নেও লিখতে পারবেন। একটু সবুর করেন...
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!
হাহাহাহা নো কমেন্টস।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
‘ুদি না মেরে ইয়ার তুঝে আর ুদি না।’
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
মজাক পাইলাম
পুরাপুরি দ্রোহী-ময়
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আপনে একটা যা-তা!
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
"দ্য দ্রোহী স্ট্রাইকস ব্যাক্"
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
পরের পার্ট কখন আসবে?
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!
পার্ট ২'র জইন্নো বৈসা আছি...
এই বিশ্রী শব্দটার একটা অভিজাত প্রতিশব্দ বার করা দরকার। যেমন, কারো যদি বাতাসের সালফার কনটেন্ট আরো সমৃদ্ধ করার প্রয়োজন দেখা দেয়, সে বলবে, নাইকো! এতে করে আশেপাশের সবাই একটা শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি নিতে পারবে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
কলেজে একটা নিয়ম প্রচলিত ছিল...
ঐ জিনিসটা ছাড়ার আগে বলতে হত 1.2.3
তারপর বুম...কিংবা ফুস
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
অক্সিডেন্টালও বলা যায়।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
পাদায়ক (যে পাদ দেয়)
আর প্যাদায়িকা (যে প্যাদানিটা দিলো)
দুজনই সরেস
বিয়ার রাইতে এমন একটা কথা কইতে আপনার শরম করলো না?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
উঁহ! কি দুর্গন্ধ গো!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
পুরানা গল্প।
শম্পার মুখে শুনছিলাম।
হা হা হা হা হা হা
দ্রোহী ভাই এর লেখা আসলেই গুল্লি
দারুণ! খেষ্টে ব্যাপারগুলো সবসময়ই দারুণ হয়।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
রসময়
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
গুপ্ত?
কি মাঝি? ডরাইলা?
ভালই....
(জয়িতা)
একটা সুবাসিত লেখা দুর্গন্ধময় হয়ে গেল..................।।
ক্লান্ত পথিক
......................................................................................
মরণের হাত ধরে স্বপ্ন ছাড়া কে বাচিতে পারে
একটা বুদ্ধি দিতে পারি। চিন্তা করে দেখুন ঐশ্বর্য রায় বা সালমা হায়েক ও পাদে (নিদেনপক্ষে আমাদের বেসরকারী চ্যানেলগুলোর সংবাদ পাঠিকা বা নাটক–টেলিফিল্ম এর নায়িকাদের কথা চিন্তা করে দেখুন)। এখন কি পাদ ব্যাপারটা এত খারাপ লাগছে? দুর্গন্ধ কি এখনো পাচ্ছেন?
কি মাঝি? ডরাইলা?
আপনার বিয়ের গপ্পো শোনার অনেক সাধ ছিল যেটা আজকে এইটে পড়ার পর অনেকটাই মিটে গেছে। এত্তো মজার রসালো বিয়ের গল্প খুব কমই শুনেছি। হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ। ধন্যবাদ দুলাভাই।
~~~~টক্স~~~~
সিডনী, অস্ট্রেলিয়া
ধুসর গোধূলি | শনি, ২০০৮-০৩-২৯ ০৯:৫৩
- শিক্ষামূলক পোস্ট!
তা তো বটেই !!
এ থেকে আমরা কি শিখলাম?
বিয়ের দিন খানা খাদ্য হাভাইত্তার মত খাওন নিষেধ। খাইলেও লগে ইনো, আদার টুকরা, এন্টাসিড প্লাস এবং অতি অবশ্যই একটি বোতলের ছিপি লইয়া বাসরঘরে প্রবেশ করিতে হইবে। আহা তখন যদি দ্রোহী ভাইরে বুদ্ধি দেওয়ার কেউ থাকত !! ভাগ্যিস ভাবী বুদ্ধিমান নইলে তো পোকার কামর না খাইলেও "পশ্চাদেশের এক বিঘা নিচ থেকে নিগৃহিত দূষিত বায়ু কতৃক আক্রান্ত হইয়া নববধূ কোমাতে" নামক খবর পেপারে উঠত।
দৃশা
আমি এতো জোরে হেসে উঠেছি যে হাউজমেইট কম্পেইন দিয়েছে।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
‘একটা পাদ দিই?’
কত সাবলীলভাবে একজন মানুষ বাসর রাতে তার স্ত্রীকে এ কথাটা বলতে পারে????
আমি এই এক লাইন পইড়া পাক্কা ১২ মিনিট হাসছি (কসম!)... আপনার বউ শুইনা টাশকি খাইয়া পইড়া যায় নাই???
ইয়ে মানে খুবই ইয়ে ধরনের গল্প, আমি অনেক চেষ্টা করেও হাসি চেপে রাখতে পারিনি, যদিও হাসাটা একেবারেই অনুচিত, তবুও।
আর ওই জিনিষটা আমার ভরা পেটেও আসে আবার খালি পেটেও আসে, কাজেই যদি কখনও বিয়ে হয় তাহলে নিশ্চিত ভাবেই এমন কিছু একটা ঘটবে, তখন আপনার বুদ্ধি কাজে লাগাবো।
আর এটার একটা বাংলা প্রতিশব্দ আছে, বাতকরম।
আমি একবার পরীক্ষার খাতায় লিখেছিলাম, পাদ পাঁচ প্রকার- বিশেষ্য, বিশেষণ........
আসলে এর প্রকারভেদ আরো বেশি হবার কথা।
আব্দুর রহমান
হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পইরা গেলাম দ্রোহীদা !
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ভাগ্যিস ফুলের পোকা অপমানে রেগেমেগে জানালায় অপেক্ষায় ছিল না
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ভিসুভিয়াস নিয়ে কমেন্ট থেকেই জানি , আপনি পাদু বিশারদ
facebook
এইডা কী ছিল!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
হাহাহাহাহাহা
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
মানুষ তাহলে এই জন্য বিয়া করে? ভাবছিলাম না জানি কি!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
দেবদ্যুতি
নতুন মন্তব্য করুন