অনেকদিন সচলায়তনের পাঠকদের জ্বালা–যন্ত্রনা করা থেকে বিরত থেকেছি। আর বিলম্ব নয়! মুহুহুহুহুহু!!! আয় যাইগা!
০১.
গতবছর যুক্তরাষ্ট্রের তাবৎ ভূতত্ত্ববিদদের মেলা বসেছিল টেক্সাসের হিউস্টন শহরে। অক্টোবরের ৪ তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত হিউস্টন শহরে প্রায় ১০/১২ হাজার ভূতত্ত্ববিদ একত্রিত হয়েছিল। অবার্ণ থেকে গাড়িতে হিউস্টন যেতে প্রায় দশ ঘন্টা লাগে। ইউনিভার্সিটি থেকে ভ্যানের বন্দোবস্ত করা হল ৫ জন স্টুডেন্ট এবং দুইজন প্রফেসরের জন্য। পাঁচজন স্টুডেন্টের মধ্যে তিনজনই ইন্টারন্যাশনাল—অন্য দুইজন কোলকাতা ও নেপাল থেকে এসেছে। আমেরিকানদের মধ্যে আমাদের চেয়ারম্যান ডঃ চার্লস সাভর্দা ও ডঃ রোনাল্ড লুইস থাকছেন ড্রাইভার হিসাবে। সাভর্দার মেয়ে আমান্দা এবং তার বয়ফ্রেন্ড টমাস আমাদের বাকী দুই স্টুডেন্ট। যাত্রার সময় নির্ধারণ করা হল ৪ অক্টোবর সকাল ৭ টায়।
যাত্রার দিন ভোরে ভ্যানে মালপত্র লোড করার পর গাড়িতে উঠতে যাবো। ভ্যানের দরজা খুলে আমি সবার আগে লাফ দিতে গিয়েও মাঝপথে আঁটকে গেলাম। গাড়ির সিটে একদলা “গু” পড়ে আছে। কার্জন হলের সামনের ফুটপাথে কেউ হেগে রাখার পর বৃষ্টির আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত “গু”য়ের গা থেকে যেরকম শুকনা মরিচের বিচি দেখা যায় ঠিক সেইরকম বিচি সমৃদ্ধ “গু”! এই জিনিস দেখার পর আমার দিনটাই মাটি হয়ে গেল।
পরবর্তীতে জানলাম ডঃ সাভর্দা মানুষকে চমকে দেবার উদ্দেশ্যে অজানা কোন উৎস থেকে এই “খেলনা গু” জোগাড় করেছেন। কনফারেন্স যে কয়দিন চলেছে আমাদের ডিপার্টমেন্ট বুথে এই “বিচি সমৃদ্ধ গু” বেচারাকে বহাল তবিয়তে বসে থাকতে দেখা গেছে।
০২.
অবার্ণ থেকে হিউস্টন দশ ঘন্টার ড্রাইভ। ডঃ সাভর্দা গাড়ি চালাচ্ছেন। আমরা গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টরা বিভিন্ন ধরনের ছদ্মনাম ব্যবহার করে ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের নামে কুৎসা রটনা করে যাচ্ছি। বলাইবাহুল্য আমার সুপারভাইজারুদ্দিন ব্যাপারে সবসময়ই প্রথম স্থানে থাকেন। কিংকংয়ের সাথে সাদৃশ্য থাকায় তাঁর কোডনেম কিংকং।
এক পর্যায়ে ডঃ সাভর্দাকে আমরা ধরলাম তার গ্রাজুয়েট জীবনের গল্প শোনার জন্য। সাভর্দা আমাদের জানালেন তিনি যখন ইউনিভার্সিটি অব সাদার্ণ ক্যালিফোর্নিয়ার ছাত্র তখন তিনি এক বিখ্যাত পর্নো তারকার প্রেমে পড়েছিলেন। তাঁর স্বপ্ন ছিলো নীল ছবির অভিনেতা হবার কিন্তু পারিবারিক হস্তক্ষেপে সেটা আর হয়ে উঠেনি দেখে আক্ষেপ করলেন। পর্নো তারকার ওয়াটার মেলন (তাঁর ভাষায়) দুটোর বর্ণনা দিতে গিয়ে তার চোখ জ্বলজ্বল করতে লাগলো। স্মৃতিচারণ শেষে তিনি আমাদের ইয়ে বড় করার ও সঠিক নিয়মে হস্তমৈথুন করার কিছু টিপস দিয়ে তার বক্তৃতা শেষ করলেন। সাভর্দার বক্তৃতা শেষ হবার পর পেছন থেকে আমান্দা বললো, “সাভর্দার মেয়ে না হলে এইসব কথাবার্তার কারনে আমি তাকে পাগলা গারদে বন্দি করে রাখতাম।“
০৩.
হিউস্টনে হোটেল ঠিক করার দায়িত্ব পড়েছিল আমার ঘাড়ে। ট্রাভেল গ্র্যান্ট যা পেয়েছি তা দিয়ে দিন দুয়েকের বেশি থাকা যাবে না। বাড়তি টাকা নিজের ঘাড় থেকেই যাবে। সিদ্ধান্ত হলো যত সস্তায় হোটেল পাওয়া যায় ততোই ভালো। আমি বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘেঁটেঘুটে শেষতক গুগোল ম্যাপ থেকে একটা হোটেল বের করলাম। দামে খুবই সস্তা, কনফারেন্স সেন্টার থেকে হাঁটা দূরত্বে কিন্তু কোন ওয়েবসাইটেই হোটেলটির অস্তিত্ব নেই। ফোন করে জানতে পারলাম হোটেলটি ভারতীয় মালিকানাধীণ, রুম রিজার্ভ করার জন্য আগেভাগে কোন টাকা দিতে হবে না। যথাসময়ে হোটেলে গিয়ে উঠলাম। আমরা মোট পাঁচজন দুটো রুমে থাকবো। নিউ ইয়র্ক ও নেভাদা থেকে অন্য রুমমেট দুজন সকালেই এসে রুম নিয়ে নিয়েছে। তাই আমাদের আর নতুন করে রেজিষ্ট্রেশনের ঝামেলা পোহাতে হলো না। হোটেলের কর্মচারীদের সাথে কথা বলে বেশ বন্ধুবৎসল বলে মনে হলো। সবকিছু মিলিয়ে হোটেলটি আমাদের খুব পছন্দ হয়েছে।
সিদ্ধান্ত হলো শহর দেখতে যাওয়া হবে। তাই রুমে ব্যাগ রেখে ট্যাক্সি ডাকলাম ডাউন টাউনে ঘুরতে যাবার জন্যে। ট্যাক্সিতে উঠার পর নাইজেরিয়ান ট্যাক্সিওয়ালা জিজ্ঞেস করলো, “আপনারা কি এই হোটেলে থাকছেন?”
ভারতীয় বন্ধু শুভদ্বীপ বললো, “হ্যাঁ।”
ট্যাক্সিওয়ালা বললো, “কতদিন থাকবেন?”
শুভদ্বীপ বললো, “সাতদিন।”
ট্যাক্সিওয়ালা আমাদের বললো, “আর কোথাও হোটেল পেলেন না? ”
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “কেন?”
ট্যাক্সিওয়ালা বললো, “সংক্ষেপে সে বললো আমরা যে হোটেলে উঠেছি সেটা আসলে একটা দুষ্টুপাড়া। ওখানে দুষ্টু দুষ্টু কাজ হয়। তাছাড়া এলাকাটা বেশ খারাপ। ছিনতাই নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।”
আমাদের পাঁচজনের তিনজনই বাংলাদেশী, বাকী দুইজন ভারতীয় ও নেপালী। আমরা ছিনতাইয়ের কথা শুনে তেমন একটা গা করলাম না। কিন্তু “দুষ্টু দুষ্টু কাজের” কথা শুনে মনটা বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠলো।
রাতের বেলায় রুমে ফিরে বাতি জ্বালিয়ে আমাদের চক্ষুচড়কগাছ! সারা ঘরে এক অদ্ভুত আবছা নীলচে আলো ভরে গেছে। ঘরের দেয়ালে ও সিলিংয়ে আলো ছায়ার খেলায় সুন্দর দৃশ্য ফুটে উঠেছে। একেবারে “বাসর ঘর” অবস্থা! হাজার হাজার নীল ছবি দেখা মস্তিষ্ক নিমিষেই সিগন্যাল দিলো, “মনু, ভুল জায়গায় আইয়া পড়ছো।“
ঘরের দেয়ালজুড়ে ইয়া বড় বড় আয়না।
অবস্থা দেখে আমি ফতোয়া দিলাম,”এই সাবধান। কেউ ন্যাংটা হবি না। এই কাঁচের পেছনে নিশ্চিতভাবে হিডেন ক্যাম লুকানো আছে। ন্যাংটো হলেই কিন্তু ভিডিও বাজারে চলে আসবে!”
গরীবের কথা কেউ শুনে না। আমার ফতোয়ায় কেউ গা করলো না। বরং তাদের মুখ দেখে মনে হল একটা দুষ্টু বালিকার সন্ধান পেলে নেংটো হওয়াটা এমন কোন বড় ব্যাপার না।
পরদিন রিসেপশন ডেক্সে গিয়েছি ইলেকট্রনিক চাবি কাজ করে না দেখে। গিয়ে দেখি ইয়া বিশাল এক কাল্লু মামা সেইরকম জড়োসড়ো এক সাদা বালিকা নিয়ে এসেছে। ঘন্টা দুয়েকের জন্য রুম ভাড়া চায়।
০৪.
আমার সুপারভাইজারুদ্দিনের সাথে আমার সম্পর্ক খুব খারাপ। প্রতি চারমাস অন্তর আমি তাঁকে একটা করে চাপ দেই। একবার চাপ দেবার পর তিন চার মাস তিনি খুব ভালো থাকেন। তারপর আস্তে আস্তে আরেকটা চাপ দেবার অবস্থায় নিয়ে যান আমাকে। আমিও আরেকটা চাপ দেই। এভাবেই চলছে।
যথারীতি আরেক চাপ খাবার সময় এসেছে। আমার অ্যাডভাইজার আমার সাথে কথা বলেন না। আমি ও গা করি না। আমি প্রতিদিন ডিপার্টমেন্টে আসি, ল্যাবে বসে কামকাজ ফেলে রেখে অনলাইনে প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দে “Exteel” গেম খেলি।
হিউস্টনে দুটো আলাদা কনফারেন্সে দুটো পোস্টার সাবমিট করেছি। পোস্টার বানানোর আগে সুপারভাইজারের সাহায্য দরকার। যথারীতি তিনি আমাকে সাহায্য করলেন না। তাঁর সাথে আমার ব্যক্তিগত খোঁচাখুচিটাকেই তিনি বড় করে দেখলেন। আমিও গা করলাম না। নিজে নিজেই অগাবগা দুইটা পোস্টার দাড় করালাম। আমার ইংরেজির অবস্থা শোচনীয় তাই ইংরেজি চেক করালাম ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানকে দিয়ে। তারপর বুকে ফুঁ দিয়ে সেই পোস্টার নিয়ে চললাম হিউস্টন।
আমার সেই অগাবগা পোস্টারের একটি সারা আমেরিকার বুকে তৃতীয় পুরষ্কার জিতে নিয়েছে। অঙ্ক হিসাবে পুরষ্কারটা অতি সামান্য। আমার পোস্টার পুরষ্কার জিতবে এটা আর কেউ বিশ্বাস করলেও আমি করতাম না।
এখন ভাবছি সমস্যাটা কোথায়? আমেরিকান ছাত্রগুলো ভোদাই নাকি আমি বেশি বুদ্ধিমান? নাকি পুরষ্কার যারা দিলো তাদের মাথায় গন্ডগোল আছে! এখনো কোন সমাধানে আসতে পারিনি। সমাধানে আসতে পারলে পরবর্তী কোন এক পোস্টে সে গল্প ফাঁদা যাবে না হয়।
মন্তব্য
হা হা হা!
আপ্নি ১টা খ্রাপ্রকমের্ভালো লোক।
সব বুঝলাম, কিন্তু আমি কি ভাই এতই খারাপ যে সুপারভাইজারুদ্দিনের সাথে তুলনা করলেন?
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
আপনে মিয়া নামেই কিংকং আর আমার গুরু আকারে, আকৃতিতে, প্রকৃতিতে কিংকং!
আপনার সুপার তো দারুণ ডিয়ার লোক!
আপনি চাপ দেন আর তিনি খান? তারপরে আবার চাপ চান?
এতকাল তো উল্টাটাই শুনতাম!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমার সুপার আমার দেশের লোক যে! তাই আগেভাগেই নাড়ি, নক্ষত্র জেনে বসে আছি।
-
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কনগ্রাচুলেশনস, দ্রোহী ভাই। ভালই লাগছে ভেবে যে এটা একটা সিরিজ হবে।
সত্যিই যদি কোনদিন সিরিজ হয় তাহলে আমিও খুশি হমু।
সারা আম্রিকায় থার্ড, আপনি তো বিরাট প্রতিভা
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
হ! আইনস্টাইন পরবর্তীকালের সবচাইতে বড় প্রতিভা।
ভূতোদার বাজে কথায় কান দেবেন না। ভূতাত্ত্বিক ম্যাপিঙে লোক্টা তুখোড়! আমার এক প্রেজেন্টেশনে তিনি উদয়াস্ত খেটে কয়েকটি ম্যাপ তৈরি করে দিয়ে আমার পূর্বদেশ রক্ষা করেছিলেন।
চেয়ারম্যানের সাথে ভূতোদার দহরমমহরমের কারণ টের পাচ্ছি।
সিরিজ চলমান হোক।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আলমগীর ভাইয়ের ভাষায় বললে বলা যায় উপরোক্ত বাক্যটির মাধ্যমে জনাব হিমু আমার পোঁদে আঙুল দিলেন!!!!
এহহে! কী জঘন্য! আঙুলটা এসিড দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে!
হাঁটুপানির জলদস্যু
কনগ্রাটস্.... হোটেলটার নাম কি? নেক্সট টাইম হিইউস্টন গেলে ওইটা অ্যাভয়েড করতে হবে
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
অ্যাভয়েড করবেন নাকি কৌশলে ঠিকানা জেনে নিয়ে ওখানেই গিয়ে উঠবেন তা কি আর বুঝতে বাকী আছে?
আচ্ছা নেন ঠিকানা নেন।
View Larger Map
পুরস্কার জেতা পোস্টার সচলে না দেখালে শুভেচ্ছা জানানো উচিত হবেনা। সেইটা তামাদি থাকলো , জনগনের দাবী অতি তাড়াতাড়ি সেই পোস্টার সংযুক্ত করা হোক। আপাতত লেখার উপস্থাপনার জন্য পাঁচ তারা দিলাম।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
বিশাল পুরষ্কার পেলেন দেখি দুলাভাই ! বিরিয়ানী খাওয়ানো লাগবো কইলাম !!!
এই সিরিজ ভাল লাগতেসে, চলতে থাকুক। অনেকদিন পর আপনার জোস সব কাহিনী পড়লাম। এবং যথারীতি হাসতে হাসতে পেটে ব্যথা !
--------------------------------------------
--------------------------------------------------------
আবারও দ্রোহী দার পোস্ট। আগের গুলোর মতো এটাও মজার............... পরবর্তীটা কবে আসবে?
সার্ভদা কোন হোটেলে ছিল?
লেখা চলুক।
সার্ভদা কী আর আমাগো মত ৫০ টাকার হোটেলে থাকবো?
আমার তো মনে হয় মেম্বার জাইনাশুইনা লুকজনরে ওই হোটেলে নিয়া গেসে এবং আসল ঘটনা সেন্সর কর্সে।
লোকজনে যাতে মিষ্টি খাওয়াইতে না কয়, সেইজন্যে মেম্বার পুরস্কারের কথা এমনে কৈলো। ওই মিয়া, আপনার মাথায় ঘিলু না থাকলে সুপার আপ্নার চাপ খাইতো না। জানে যে, এই গরু মাঝেসাঝে লাথি দিলে কী হবে, সেইরকম দুধও দেয়।
(অশ্লীল কৈয়া আমারে গাইল দিয়েন্না কেউ)
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
এক্কেরে সত্য কইছেন।
-------------------------------
--------------------------------------------------------
হ! সৌরভের দুই নম্বুরী বুদ্ধি বাড়ছে দেখি!!!
বিশাল পুরস্কার তো!! অনেক অভিনন্দন
আচ্ছা সিরিজের নাম "আয় যাইগা"র মাজেজা কি
............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
এইটা হল "যদি লাইগ্যা যায়" থেরাপি। লাগার কোন চান্স নাই, তবে লেগে গেলে ফক্কা। মনে হয় সেই চিন্তা থেকেই এই "আয় যাইগা"।
উদাহরণ, বাপজান খেলনা কিনে দেবে না জেনেও ছেলেবেলায় আমরা টুকটাক আবদার করি। বলা যায় না, চান্সে পেয়ে গেলেও যেতে পারি। এই শিরোনাম মনে হয় সেটারই প্রাপ্তবয়স্ক সংস্করণ।
পরিস্কার উদাহরন
.............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
ইশতি হচ্ছে "My man" ও যা বলবে তাই সই। তবে নামকরণের ব্যাখ্যা ১০০ ভাগ সঠিক।
শুভেচ্ছা। ভাবিকে বলেন চাটনি বানাতে কিছু।
ক'দিন ধরে মোনোপোলি খেলছি। সেখান থেকে ধার করে বলছি,
"ইউ হ্যাভ থার্ড প্রাইজ ইন আ বিউটি কন্টেস্ট, কালেক্ট টেন ডলারস্"
ভাবী এখন Burnt A Little নিয়ে ব্যস্ত আছেন। চাটনি বানানোই আছে। চলে আসো একদিন।
ঘটনা চাইপা গ্যালেন মনে হয় দ্রোহীদা। সেইরাতে হোটেলে কি হইলো, পুরাটা কইলেন না
আপনি সারা আমেরিকায় থার্ড হইছেন ! মারহাবা !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ঠিকই ধরছেন। সব কথা কি আর বলা যায়? হোটেলে অনেককিছুই হইছে। দেখি আরেকটা পোস্ট নামাইতে পারি কিনা।
হ। থার্ড হওয়া নিয়ে লাফানোর কিছু নাই। তিনজনের মধ্যে থার্ড হওয়ার মতই একটা কিছু হইছি।
পোস্টার দেকতাম চাই ।
বস আমার পোস্টার দেকি কী হইবো? বরং এই পোস্টারটা দ্যাখেন।
পোস্টারটা দেখবো। লেখা ভালো লাগলো। অনেকদিনপর মোটামুটি সাইযের একটা ব্লগ লিখলেন দেখে আরও ভালো লাগলো।
=============================
এইখানের Pubicরা যে যুবা (১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ), তা বোঝনের উপায় কি
জব্বর হইছে আপনার লেখা ......
বাহ কনগ্র্যাটস!!
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
অভিনন্দন দ্রোহী ভাই!
সৈরম হইছে। সিরিজ চলুক।
লে হালুয়া! আমার সাথেও এই কান্ড হইলো। আজকে পেপার সাবমিট করলাম। আমার সুপারভাইসর দেখেও নাই কী লিখলাম। আর স্ট্রাইকের কারণে ডিপার্টমেন্ট শুনশান। কেউ নাই। মেজাজটা খুব বিলা আছে এই নিয়ে। আমি শিওর দুইদিন বাদে পড়লে আমি নিজেই অনেক ভুল পাবো।
আপনার লেখা মিয়া সেই রকম হইছে।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
জয়া ক্যাঠায় কইলেন না কিন্তু!!!!
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ওরে! জটিল সিরিজ নামছে! চলুক চলুক !
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এই কয়দিনে রুম সাবলেট দিয়ে কী পরিমাণ ইনকাম হলো তা কিন্তু কৌশলে বাদ দিযে গেলেন
আপনে গুরু আসলেই বস!! ক্যামনে জানি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চলে যান সবসময়!!!
(উপুড়হইয়াপইড়াশ্রদ্ধা)
পোস্টারে কনগ্রাটস। ঘটনাগুলোর বর্ণনা চমৎকার। দ্রোহী ইজ ব্যাক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
তোফা হৈছে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ফাটাফাটি হইছে। পোস্টারটা দেখান।
...........................
Every Picture Tells a Story
অভিনন্দন।
...ইয়ে হোটেলটার নামটা একটু বলবেন?
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
দারুণ!
পোস্টার দেখতে চাই।
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
পুষ্টার কো?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ভাবীর ছবি কো?
গ্রেট!
কার্জন হল জিন্দাবাদ!
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
বেশ ভালো লেখা। চলুক।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
কতো রঙ্গ জানো রে মানুষ, কতো রঙ্গ জানো...
বাহ্...
...নামহীন
- পুস্টার দেইখা কী করুম, তার চাইতে শাদা বালিকার ফটুকটাই দেখান মিয়া। দেইখা ইট্টু হা-হুতাশ করি আর হালা কাউল্লার চৌদ্দ গুষ্ঠী উদ্ধার করি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনে মিয়া খালি হা-হুতাশই করবেন? শ্যাষ পর্যন্ত হিমুও বিয়া কইরালাইলো আর আপনে এখনো হা-হুতাশ করতে চান?
হা-হুতাশ যে কে করে টের পাইবেন। আপনে হিমুরে কয়দিন পরে জিগাইয়েন।
বিশ্বস্তসূত্রে জানতে পারলাম তার কোনো সামত্ত শালী নাই, যেটা আছে সেটা নাকি মাটির লগে কথা কয় এখনো। তো বাধ্য হইয়াই তো পাবলিক অর পরিবারের দিকে নজর দিবো! তখন আমারে দোষ দিয়েন না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনে কইলাম হিমুর পরিবারের চরিত্রে কলঙ্কের কালিমা লেপন করার চেষ্টা করতেছেন। আলমগীর ভাই দেখলে কইলাম প্রবলেম আছে!!!
- ক্যান, আলমগীর ভাই ও লেপন করে নাকি?
আপনে কিন্তু আলমগীর ভাইরে 'দুষ্টু' বলতে চাইতেছেন মেম্বর! আমি তেব্র পেত্তিবাদ জানাইলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এইবার আপনে কইলাম হিমুর সাথে সাথে আলমগীর ভাইয়ের নামেও খারাপ কথা বলতেছেন। আপনে কইলাম সকল শালিবানের স্নেহ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতেছেন।
- সাধে কি আর আপনের নামে বিচার বসাই দুইদিন পরপর?
মিয়া আপনে খালি ভিলেজ পলিটিক্স করে ফান্দে ফেলেন আমাদের মতোন নাদান জা-কা-জা সদস্যদেরকে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কী বললেন? আমি ভিলেজ পলিটিক্স করে আপনাকে ফান্দে ফেলি?
এইবার আপ্নে হিমু-আলমগীর ভাইয়ের সাথে সাথে আমাকেও অপমান করলেন এবং সেইসাথে আরেকজন শালিবানের স্নেহ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করলেন।
- আপনের শালীদের মূলা তো সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই নাকের সামনে ঝুলে আছে। এ আর নতুন কী!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঘটনা কী? হিমুভাই কারে বিয়া করলো?
কোন মেয়েকে নাকি?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
- মনেহয় কোনো মহিলাকে! বয়স আনুমানিক চল্লিশোর্ধ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চমৎকার লাগলো। আরো লেখা চাই, শিগগির ই।
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
কারবারটা দেখ, নিজে এতদিনে একটাও লেখা দেয় নাই কিন্তু মাইনষেরে ঠিকই আরও লেখতে কয়
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
তোদের লিখা পইড়াই কূল পাইনা। লিখুম কখন!
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
সিরিজ ভাল্লাগছে। চলুক চলুক!!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আরেব্বাহ! অভিনন্দন, দ্রোহী!
১০০% মজা পাইলাম দ্রোহীদা
প্রতিদিন আপনার এমুন লেখা ফইরতাম ছাই
বহুতদিন বাদে দ্রোহীর দ্রোহী-টাইপ লেখা।
চ্রম!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সেইরম লেখা হইসে...পুরা ফাটাইন্না।
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
হেভি মজার লেখা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
হা হা হা
জটিল লেখা !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নতুন মন্তব্য করুন