আয় যাইগা—০২

দ্রোহী এর ছবি
লিখেছেন দ্রোহী (তারিখ: রবি, ১১/০১/২০০৯ - ৪:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০১

হিউস্টনের সেই হোটেলে দ্বিতীয় দিনের ঘটনা। ভাড়া করা রুম দুটির একটিতে আমরা তিন বাংলাদেশী থাকি আর অন্যটিতে ভারতীয় ও নেপালি বন্ধুটি থাকে। বাংলাদেশী বাকী দুইজনের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী আর অন্যজন আমাদের সিনিয়র ছিলেন। কাকতালীয়ভাবে আমরা তিনজনই অবার্ণের ছাত্র ছিলাম বা আছি।

সেদিন সন্ধ্যায় কনফারেন্স থেকে ফিরে আসার পর রুমে বসে আড্ডা দিচ্ছি। ভারতীয় ও নেপালি বন্ধু দুজন স্থানীয় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে বাইরে বেরিয়ে গেছে। আমাদের তিনজনের আড্ডার বিষয়বস্তু হচ্ছে ভূতত্ত্ববিদদের চারিত্রিক সমস্যা। বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার তুলনায় ভূতত্ত্ববিদেরা তুলনামূলকভাবে বেশি পরিমানে যৌনজীবন নিয়ে মাথা ঘামায়—এই ছিল আড্ডার বিষয়বস্তু।

বাংলাদেশের বিখ্যাত ভূতত্ত্ববিদদের ভেতর চেনাশোনা পরিমন্ডলের বেশ কয়েকজন দুই বা ততোধিক বিয়ে করেছেন। বয়স্ক কারো কারো নামে বিবাহ বহির্ভূত বান্ধবী নিয়ে ঘোরাফেরার অভিযোগ আছে।

বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তী ভূতত্ত্ববিদের একটা বিখ্যাত ডায়লগ হচ্ছে, “রাহেলা, তুমি এত ভারী কেন?” এখানে বলে রাখা ভালো যে রাহেলা ছিলেন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রাঁধুনী।

আমেরিকায় এসেও ভূতত্ত্ববিদদের যৌনজীবন নিয়ে বাড়াবাড়ির ব্যাপারটা চোখে পড়েছে। অতি সম্প্রতি আমাদের ডিপার্টমেন্টের এক প্রফেসর তার প্রাক্তন ছাত্রীকে জৈবিক সম্পর্ক স্থাপন করার প্রস্তাব দিয়ে ইমেইল করেছেন। যেহেতু সে এখন আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নয় সুতারাং আইনগতভাবে মেয়েটির সাথে জৈবিক সম্পর্ক স্থাপনে কোন আইনি জটিলতা নেই – এই ছিল মেইলের বিষয়বস্তু। বেরসিক মেয়েটি সেই ইমেইল ফরোয়ার্ড করে ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানের কাছে। আইনগত কোনরুপ জটিলতা না থাকায় এ বিষয়টি আর গড়াতে পারেনি।

আরেকজন প্রফেসর আছেন “ইমপ্যাক্ট জিওলজি”তে প্রবাদপ্রতিম। পৃথিবী পৃষ্ঠে, চন্দ্রপৃষ্ঠে ও মঙ্গলপৃষ্ঠে উল্কাপাত নিয়ে তাঁর বেশ ভালো কিছু গবেষণাপত্র রয়েছে। সাম্প্রতিককালে তিনি এক ছাত্রীর মায়ের প্রেমে পড়েন এবং বিপরীত দিক থেকে সাড়া না পেয়ে ঘুমের অষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বিখ্যাত হয়েছেন।

আমাদের সফরসঙ্গী অসম্ভব ভদ্রলোক ডঃ লুইস প্রতি বছরই বান্ধবী পাল্টান অথচ “মুখ খারাপ” চেয়ারম্যান ডঃ সাভর্দা গত ৩০ বছর ধরেই একজন স্ত্রী নিয়ে বাস করছেন।

আমাদের আড্ডার উপসংহার দাড়ালো এই যে––স্বভাবে বা আচরণে ভদ্র ভূতত্ত্ববিদেরা যৌনজীবনে অস্থিরমতির হয়ে থাকে আর “মুখ খারাপ ভূতত্ত্ববিদেরা” বিবাহিত জীবনে সুখী হয়ে থাকে। ডঃ সাভর্দা তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। এই উপসংহারটা বাস্তবে আসলে বিজ্ঞান, কলা, বানিজ্য সব অনুষদের মানুষদের ক্ষেত্রেই সত্যি।

০২

আড্ডা শেষ হবার পর রুমমেট সিনিয়র ভাই উঠে গিয়ে টিভি রিমোটটা নিয়ে সবগুলো চ্যানেল ব্রাউজ করতে লাগলেন এবং কিছুক্ষন পর মুখ ব্যাজার করে আমাদের কিছু না বলে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লেন। আমার সহপাঠী বন্ধুটি জিজ্ঞেস করলো, “কী হয়েছে? আপনি হঠাৎ শুয়ে পড়লেন যে?”

তিনি বললেন, “না মানে আমি যখন সকালে রুম বুঝে নিয়েছিলাম তখন টিভিতে কিছু চ্যানেল ছিল যেগুলো এখন নেই!“ কথাটা বলে ব্যাজার মুখটা আরো বেশি ব্যাজার করে ফেললেন।

“আয় হায়! ওইসব চ্যানেল ছিলো আর আমরা জানি না!” সাথে থাকা বন্ধুটি হতাশ নিঃশ্বাস ছাড়লো।

আমি তাকে জেহাদী জোশে বলীয়ান করার জন্য বললাম, “মামা আমরা পয়সা দিয়ে থাকছি। ওইসব চ্যানেল দেখতে না দেয়া মানে হচ্ছে আমাদেরকে নৈতিক ও জৈবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। তুই রিসেপশন ডেস্কে ফোন করে ঝাড়ি দে।“

আমার আশ্বাস পেয়ে সে ফোন তুলে রিসেপশন ডেস্কে ফোন করে বললো “হ্যালো! হোয়্যাট হ্যাপেন্ড টু দোজ চ্যানেলস্ দ্যাট উই হ্যাড দিস মর্ণিং?”

ওপাশ থেকে ভারতীয় উচ্চারণে জিজ্ঞেস করলো, “হোয়াট চ্যানেল স্যার?”

বন্ধুটি বেশ ঘাবড়ে গেল। ফোন নামিয়ে আমাদের দিকে ইঙিত করে বললো, “কোন চ্যানেল?”

বড় ভাই কম্বলের ভেতর মাথা ঢুকাতে ঢুকাতে বললেন, “১২৮, ১৩০, ১৩১।” নাম্বার তিনটি বলেই ঘুমিয়ে পড়ার ভান করে মটকা মেরে পড়ে রইলেন।

তখন বন্ধুটি আবার ফোন তুলে বললো, “ইউ নো! দোজ চ্যানেলস্ ! 128, 130, 131!”

ওপাশ থেকে আশ্বাস ভরা বাণী ভেসে আসলো, “ও! ইউ ওয়ান্ট টু ওয়াচ মুভিজ!”

বন্ধুটি বিব্রত হয়ে সায় দিলো। রিসেপশনে থাকা লোকটি বললো, “ওকে ওকে স্যার। ওয়ান মিনিট প্লিজ।”

আধা মিনিটের মাথায় রুমে রাখা বিশাল টিভির ছবি একটা ঝাঁকি দিল। বন্ধুটি রিমোটের বাটন টিপে ১২৮ নাম্বার চ্যানেল সেট করলো। আমরা যার যার কম্বলের নীচে ঢুকে পড়লাম।

সিনিয়র হবার সুবাদে বড় ভাই একাকী শোবার সুযোগ পেলেন আর অন্য খাটে আমরা দুজন। আমি দুজনের মাঝখানে দুটো বালিশ দিয়ে দেয়াল তুলে দিয়ে সিজ ফায়ার ঘোষণা করে বন্ধুটিকে বললাম, “হারামজাদা। আমি কইলাম বিবাহিত! ঘুমের ভেতর যদি কোনরূপ ঝামেলা করিস তাহলে তোর আমাজনে ড্রিল করে তেল আবিষ্কার করবো।”

আমার মতে দুটো “সোজা” ছেলের একত্রে এক বিছানায় ঘুমানো অনেকটা ন্যাটোর বৈঠকের মত। দুজনই নিউক্লিয়ার পরাশক্তি, তাই কেউ কাউকে ঘুণাক্ষরেও আক্রমণ করার কথা চিন্তা করে না। কিন্তু দুজনের কেউ একজন যদি খানিকটা “বাঁকা” হয় তাহলেই সেরেছে! রাতের বেলায় অবধারিতভাবেই আরব––ইসরায়েল সংঘাত শুরু হবে। সৌভাগ্যক্রমে আমরা দুজনেই নিউক্লিয়ার পরাশক্তি। তাই রাতগুলো নির্বিঘ্নেই কেটেছিল।

০৩

পরদিন সকালে কনফারেন্স সেন্টারে যাবার তোড়জোড় করতে গিয়ে দেখলাম নেপালি ও ভারতীয় বন্ধু দুজন রাতে হোটেলে ফিরেনি। দুপুরে লাঞ্চ ব্রেকে কনফারেন্স সেন্টারে তাদের সাথে দেখা হল। কথাবার্তার ফাঁকে তাদের বললাম কাল রাতে টিভি দেখতে গিয়ে ভাল করে ঘুমানোর ফুসরৎ পাইনি। কী দেখতে গিয়ে রাতে ঘুমানোর সময় পাইনি তার আভাস দেয়ার জন্য বললাম—হুঁ হুঁ বাওয়া! আমাদের টিভিতে যা দেখায় তোমাদের টিভিতে তা দেখায় না!

সন্ধ্যায় রুমে ফেরার পর ভারতীয় বন্ধুটি রুমে এলো গল্প করার ছুঁতোয়। গল্পের এক পর্যায়ে সে আনমনে টিভির রিমোটটা তুলে নিয়ে চ্যানেল ব্রাউজ করতে লাগলো। আমি আড়চোখে দেখতে লাগলাম জায়গামত গিয়ে কী করে! ১২৮ নাম্বার চ্যানেলে আসামাত্র বেচারা চমকে উঠে টিভি বন্ধ করে দিয়ে অন্য আলাপে মেতে উঠলো। কিন্তু আলাপ আর বেশি জমলো না তাই সে উপরতলায় তার রুমে ফিরে গেল। পরদিন সকাল বেলায় সে আমাদের জানালো রাতে তার একফোঁটাও ঘুমানোর সুযোগ হয়নি। কারন নেপালি ছেলেটি সেই রাতেও তার বন্ধুর বাসায় ছিল আর এই সুযোগে সে রিসেপশন ডেস্কে ফোন করে সামাজিক চ্যানেলগুলো খুলিয়ে নিয়েছিল।

পরদিন নেপালি বন্ধুটিকে জানানো হলো যে তাদের রুমেও এখন সামাজিক চলচ্চিত্র দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেদিন রাতেই সেজনচারেক স্থানীয় নেপালি ছাত্র, একবস্তা বিয়ার, আর একগাদা ভাজা মুরগীর রান নিয়ে রাতে থাকার জন্য হোটেলে ফিরে এল। ভারতীয় বন্ধুটি বাধ্য হলো আমাদের রুমে স্থানান্তরিত হতে।

কনফারেন্সের শেষ দিনে আমরা বিষয়টা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনা শুরু করলাম। আলোচনার বিষয়বস্তু —যেখানে প্রতিদিন অনায়াসে, বিনামূল্যে, অত্যাধুনিক সামাজিক চলচ্চিত্র দেখা যায় সেখানে টেলিভিশনে দেখানো মান্ধাতা আমলের কিছু সামাজিক চলচ্চিত্র দেখা নিয়ে বুড়ো বুড়ো কিছু ছেলেপিলের বাড়াবাড়ি রকমের বাড়াবাড়ির স্বরূপ উন্মোচন।

আলোচনার উপসংহার হচ্ছে বাংলাদেশী, ভারতীয় কিংবা নেপালি – আমাদের প্রত্যেকেরই সামাজিক সিনেমায় হাতেখড়ি হয়েছিল ফাঁকা বাসায় বন্ধুবান্ধব নিয়ে লুকিয়ে ভিসিআরে ছবি দেখার মাধ্যমে। আমরা আসলে এই কয়েকদিন দুষ্টু ছবি দেখার নামে ছোটবেলার সেই উত্তেজনাকর দিনগুলোর স্মৃতি হাতড়ে বেড়িয়েছি।

প্রযুক্তির উৎকর্ষতা আমাদের জীবনকে সহজতর করার সাথে সাথে জীবন থেকে অনেক উত্তেজনা কেড়ে নিয়েছে। বর্তমানে বড় হওয়া ছেলেগুলো ক্লাস পালিয়ে “পর্বতে” সিনেমা দেখার উত্তেজনার কথা কল্পনাও করতে পারবে না।


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তী ভূতত্ত্ববিদের একটা বিখ্যাত ডায়লগ হচ্ছে, “রাহেলা, তুমি এত ভারী কেন?” এখানে বলে রাখা ভালো যে রাহেলা ছিলেন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রাঁধুনী।

চ্রমখ্রাপ্লোক না হইলে এমন করে লিখতে পারে না। গড়াগড়ি দিয়া হাসি
উত্তম জাঝা!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ভাবী কি এখনও সচলায়তন পড়েন? চোখ টিপি

ইমরুল কায়েস এর ছবি

ইশতিয়াক ভাইয়ের মত আমারও প্রশ্ন "ভাবী কি এখনও সচলায়তন পড়েন ?"

জনগন জানতে চায় ।
......................................................
উত্তর বাংলার অনাহারী যুবক

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

পড়ে। তবে এই পর্বটা মনে হয় পড়েনি এখনো। দেঁতো হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হুমম।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

লিকা সুকপাইট্য। ফড়িয়া মজা ফাইলাম।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

বিপ্রতীপ এর ছবি

হুম...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

অনিকেত এর ছবি

আমি গত দশ মিনিট ধরে হাসছি---হেসেই যাচ্ছি-----

অসাধারন---

আবির আনোয়ার এর ছবি

দুটো “সোজা” ছেলের একত্রে এক বিছানায় ঘুমানো অনেকটা ন্যাটোর বৈঠকের মত। দুজনই নিউক্লিয়ার পরাশক্তি, তাই কেউ কাউকে ঘুণাক্ষরেও আক্রমণ করার কথা চিন্তা করে না। কিন্তু দুজনের কেউ একজন যদি খানিকটা “বাঁকা” হয় তাহলেই সেরেছে! রাতের বেলায় অবধারিতভাবেই আরব––ইসরায়েল সংঘাত শুরু হবে

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

হিমু এর ছবি

সচলে দীর্ঘ সাবাটিক্যাল নেয়ার পর ভূতোদা সেইরকম গোলাগুলি শুরু করেছেন দেখতে পাচ্ছি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

দ্রোহী এর ছবি

নাহ। আমাগো গোলাগুলির দিন শ্যাষ! এসেছে ধুগোর দিন! সে বাপ হইতে চায়!!!

নিবিড় এর ছবি

পরদিন নেপালি বন্ধুটিকে জানানো হলো যে তাদের রুমেও এখন সামাজিক চলচ্চিত্র দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেদিন রাতেই সেজনচারেক স্থানীয় নেপালি ছাত্র, একবস্তা বিয়ার, আর একগাদা ভাজা মুরগীর রান নিয়ে রাতে থাকার জন্য হোটেলে ফিরে এল। ভারতীয় বন্ধুটি বাধ্য হলো আমাদের রুমে স্থানান্তরিত হতে। দেঁতো হাসি
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

লাল কমল [অতিথি] এর ছবি

মাক্ষী হয়ছে!!!!!!!!!
আপনিতো আমারে "নীল সাগরে" ডুব দেয়ার ইতিহাস মনে কইরা দিলেন!!!!

দ্রোহী এর ছবি

ছি ছি! কী বলছেন? আমি তো সামাজিক ছবি দেখার কথা বললাম। নীল সাগরের গল্প বলি নাই।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

সামাজিক ছবি খুবই শিক্ষামূলক.... তবে ইদানিং আমার বয়সী কেউ আমার সাথে বসে (বা কম্বলের নিচে শুয়ে) সামাজিক ছবি দেখতে চাইবে বলে মনে হয় না.... তবে হলফ করে বলতে পারি কারণটা মোটেও এই নয় যে সামাজিক ছবি দেখতে গেলেই আমি অসামাজিক হয়ে পড়ি .... জামানা বদলে গেছে। জামাত করে ছবি দেখার সেই দিনগুলি আর নাই...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

সৌরভ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
আপনি লোক্টা চ্রমখ্রাপ।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

দ্রোহী এর ছবি

হ!

আদিত্য [অতিথি] এর ছবি

জব্বর হইছে মিয়া ভাই।
এখনকার পোলাপানরা লুকিয়ে লুকিয়ে চটি বই পড়ার কি যে মজা তা বুঝবে না। খাইছে

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

সামাজিক চলচ্চিত্রের তো জুড়ি নাই দুলাভাই।
আচ্ছা আম্রিকায় কি এসব চ্যানেল ফ্রিতে দেখা যায় নাকি ?
খালি আওয়াজ দেন আমি কাইল্কাই আসতাছি।
দারুন হয়েছে বরাবরের মতই।

---------------------------------

--------------------------------------------------------

দ্রোহী এর ছবি

নাহ। ফ্রী না। তয় হোটেলে মোটেলে ফ্রী পাওয়া গেলেও যাইতে পারে!

জুয়েল বিন জহির এর ছবি

হুম! আপনার লেখা পইড়া জাবি'র ভাসানী হলের টিভি রুমে রাত জাইগা TV6 চ্যানেল দেখার কাহিনী মনে পইড়া গেল।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- tv6 যখন প্রথম দেখছি, হায়হায় করে উঠছিলাম উত্তেজনায়। চোখ টিপি
পরে টের পাইছি শালারা চরম ফাউল, হাঁটু দেখাইয়া বইয়া থাকে। মেজাজ খারাপ হইয়া যাইতো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

হে হে হে! আহারে TV6

এনকিদু এর ছবি

মস্কোভা


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

“মুখ খারাপ ভূতত্ত্ববিদেরা” বিবাহিত জীবনে সুখী হয়ে থাকে
হ, সেইটা আমরা বুঝিতে পারি জনৈক মেম্বরকে দেখেই। তিনি আবার সর্বংসহা। পিঠ ফাটে তবুও মুখ ফোটে না! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হাহাহাহা গড়াগড়ি দিয়া হাসি এই আপনাদের কনফারেনস খাইছে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

দ্রোহী এর ছবি

জ্বি। কনফারেন্সে অন্য কিছু হয় নাকি?

স্পর্শ এর ছবি

আপনিও বুঝি ভূতত্ববিদ!! চোখ টিপি
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দ্রোহী এর ছবি

চেষ্টায় আছি।

কীর্তিনাশা এর ছবি

হাসতেইআছি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আচ্ছা বাংলাদেশে বসে কী ১২৮, ১৩০, ১৩১ চ্যানেল দেখা যায়? এট্টু জানায়েন। এইসব চ্যানেল দেখতে মঞ্চায়।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

ইউটিউব দেখা গেলে ঐ চ্যানেলের কাজিনদেরও দেখা যাইব দেঁতো হাসি

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

সব পুরুষই শরীর-ভূতত্ত্ববিদ হইতে চায় চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

দ্রোহী এর ছবি

সন্নাদা, আমি শরীর-ভূতত্ত্ববিদ্যার ব্যবহারিক (Physical Geology Lab) অংশটুকু পড়াই দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নাউযুবিল্লাহ।

আপনেরে আব-ই-জমজমে কমপক্ষে সাড়ে তিনমাস বিনাবিরতিতে চুবাইয়া রাখলেও কাম হৈবো না!

অখনো সময় আছে, আসেন সোন্দরের রাহে। তওবা পড়েন। যান অযু কইরা আসেন। নেক কামডা আমি-ই করাই। চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

কন কী? ঘন্টা দুয়েক আগেই দুইটা ক্লাস পড়াইয়া আসলাম। অ্যাঁ

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

আরে নাহ। কন ক? আমি কী ভদ্রলোক নিকি? আমার "মুখ খারাপ" না?

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অসম্ভব মজা পাচ্ছি এই সিরিজটাতে। আগের পর্ব, এইটা - দুইটাই দুর্দান্ত। দ্রোহী'দা অন ফায়ার হাসি

দ্রোহী এর ছবি

ঘটনা কী? বিডু আমারে গুলি করতে কয়!!!

রায়হান আবীর এর ছবি

আমি পর্বতে সিনামা দেখছি (এখন তো অনেক বছর শো বন্ধ- ডিপজল, হাজী ডিপজল হবার পর থেকে দেঁতো হাসি )

=============================

দ্রোহী এর ছবি

আহারে পর্বত, ছন্দ, মানসী!

আগে কি সোন্দর দিন কাটাইতাম!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমাদের আড্ডার উপসংহার দাড়ালো এই যে––স্বভাবে বা আচরণে ভদ্র ভূতত্ত্ববিদেরা যৌনজীবনে অস্থিরমতির হয়ে থাকে আর “মুখ খারাপ ভূতত্ত্ববিদেরা” বিবাহিত জীবনে সুখী হয়ে থাকে। ডঃ সাভর্দা তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। এই উপসংহারটা বাস্তবে আসলে বিজ্ঞান, কলা, বানিজ্য সব অনুষদের মানুষদের ক্ষেত্রেই সত্যি।

চলুক



অজ্ঞাতবাস

দ্রোহী এর ছবি

বদ্দা আমারে ভালো কইলেন না খারাপ কইলেন? কনফিউজ হইয়া গেলাম।

বদ্দি কই?

পৃথিবীর আমি এর ছবি

বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তী ভূতত্ত্ববিদের একটা বিখ্যাত ডায়লগ হচ্ছে, “রাহেলা, তুমি এত ভারী কেন?”

কেডা ভাই??? জানতে চাই।।। আমিও এদেশের একজন উঠতি ভূতত্ত্ববিদ কিনা। তাই আমারও জানা উচিত।।। হাসি

দ্রোহী এর ছবি

এইটার গল্পতো এইখানেই শেষ!

দ্রোহী এর ছবি

আর ক'টা দিন ধজ্জি ধরে থাকো সুনা। রসুন বুনেছি।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

রসুনেরটা ঠিকই আছে। আমার নিজেরটার অবস্থা খারাপ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারটায় আউটপুট হইএতেছে না???
সেইরম লেখা, মাইরি।

পলাশ রঞ্জন সান্যাল

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

দ্রোহীদা এককালে লিখতেন....
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

সংসপ্তক এর ছবি

দ্রোহী লিখেছেন:

০১

বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তী ভূতত্ত্ববিদের একটা বিখ্যাত ডায়লগ হচ্ছে, “রাহেলা, তুমি এত ভারী কেন?” এখানে বলে রাখা ভালো যে রাহেলা ছিলেন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রাঁধুনী।

পানি পান করিতেছিলাম.....হাসতে হাসতে বিষম খেয়ে নাক দিয়ে বের হয়ে আসছে!

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।