স্বল্পদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবিঃ আক্কাছের কুলসুম

দ্রোহী এর ছবি
লিখেছেন দ্রোহী (তারিখ: রবি, ২৫/০১/২০০৯ - ১:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের পাতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাতি ছাত্র সংগঠনটি আগামী ৩১শে জানুয়ারী “বিজয় দিবস, বাংলা নববর্ষ ও একুশে ফেব্রুয়ারী” উপলক্ষ্যে এক “বিশাল খাওয়াদাওয়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান” আয়োজন করতে যাচ্ছে। সেই অনুষ্ঠানে ৫/৭ মিনিট দৈর্ঘ্যের “আক্কাছের কুলসুম” নামক সিনেমাটি অভিনয়ের জন্য মনোনীত হয়েছে [সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আমি, আমাকে আবার মনোনয়ন দিবে কে? আমি নিজেই নিজেকে মনোনয়ন দিয়েছি!]।

এখানে সিনেমাটির প্রথম খসড়া তুলে দিলাম। সিনেমার ডায়লগগুলো পরিবর্তিত হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

দৃশ্য –– ১

[কলেজের বারান্দা। এই সিনেমার নায়িকা কুলসুম বই বুকে গুঁজে হাঁটছে। বিপরীত দিক থেকে [নায়কের পাতি বন্ধু, এই সিনেমার জোকার] দিলদার এগিয়ে আসছে। কুলসুম তাকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাবে। দিলদার পেছন থেকে কুলসুমর আগাপাশতলা পর্যবেক্ষণ করে বলবে]

–– ও....রে! সুন্দরী!

[কথাটা ছুঁড়ে দিয়েই শিষ দেবার চেষ্টা করবে। কিন্তু শিষের শব্দ ঠিকমতো শোনা যাবে না। বিরক্ত দিলদার ততোধিক বিরক্ত হয়ে বলবে—]

–– ধুর শালা! শিষটা দেয়াটা ও ঠিকমতো শিখতে পারলাম না!

[দিলদার মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাবে। কুলসুম মঞ্চের শেষ মাথায় গিয়ে উল্টোদিকে ঘুরে মঞ্চের মাঝামাঝি আসতে থাকবে। ঠিক একই সময়ে বিপরীত দিক থেকে বই নিয়ে (এই সিনেমার নায়ক) আক্কাছ প্রবেশ করবে। কুলসুম আনমনা হয়ে থাকা আক্কাছকে পাশ কাটাতে গিয়ে দুজনের মধ্যে “সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচ টনের” মতো মুখোমুখি/পাশাপাশি [কুলসুম মুখোমুখিতে রাজি নাও হতে পারে ভেবে] সংঘর্ষ হবে! সংঘর্ষে কুলসুম—আক্কাছ দুজনের হাত থেকেই বই মাটিতে পড়ে যাবে। তখন দুজনই বিব্রত হয়ে মাটি থেকে বই কুড়ানোর জন্য নিচু হতে গিয়ে আবার মাথায় মাথা ঠুঁকবে (এইটা কুলসুম নিশ্চিতভাবেই করতে রাজি হবে না)। কুলসুম ব্যাথায় কাতর হয়ে বলবে]

— “আহ!”

[আক্কাছ কুলসুমের চোখের দিকে তাকাবে। কুলসুমও লাজুক চোখে আক্কাছের দিকে তাকাবে। তখন দুজনেই হারিয়ে যাবে কল্পনার রাজ্যে।

গতানুগতিক সব সিনেমার মতোই এখানে একটা গান ঢুকে পড়বে। আক্কাছ উঠে দাড়িয়ে মঞ্চের এক দিকে অবস্থান গ্রহণ করবে। কুলসুম আক্কাছের কাছ থেকে ফুট চারেক দুরত্বে গিয়ে মঞ্চের মাঝ বরাবর দাঁড়াবে। গান শুরু হবে।]

কুলসুম লো, তোর লম্বা মাথার কেশ
চিরল দাঁতে হাসি দিয়া পাগল করলি দেশ।
কুলসুম লো.....!

পায়ে তার রূপার নুপুর বাজে তালে তালে
বাঁকা চোখে চেয়ে চেয়ে নদীর ঘাটে চলে।
কুলসুম লো, তোর লম্বা মাথার কেশ
চিরল দাঁতে হাসি দিয়া পাগল করলি দেশ।

হাত দুখানায় কাঁচের চুড়ি কলসী নিয়া কাঁখে
কোমরে বিছা দোলে চলে এঁকেবেঁকে
কুলসুম লো, তোর লম্বা মাথার কেশ
চিরল দাঁতে হাসি দিয়া পাগল করলি দেশ।

[এই গানের কোরিওগ্রাফি আমি ছাড়া কেউ করতে পারবে না! দেঁতো হাসি ]

দৃশ্য –– ২

[দুটো চেয়ার মঞ্চের বামদিক ঘেঁষে দর্শকদের দিকে ফিরিয়ে বসানো।

কুলসুমের বাবা চৌধুরী সাহেব একজন শিল্পপতি! স্লিপিংগাউন গায়ে, পাইপ মুখে তিনি মঞ্চে রাখা চেয়ারে বসে তাঁর বাল্যবন্ধু পল্টু চৌধুরীর একমাত্র ছেলে বল্টু চৌধুরীর [এই সিনেমার ভিলেন] সাথে কথা বলছেন। সে মুহুর্তে কুলসুম আক্কাছকে সাথে নিয়ে মঞ্চের অন্য দিক দিয়ে প্রবেশ করবে। চৌধুরী সাহেব ও তাঁর সাথে থাকা বল্টু চৌধুরী চেয়ার থেকে উঠে একটু এগিয়ে মঞ্চের মাঝখানে এসে দাঁড়াবেন।]

চৌধুরী সাহেব :–– আয় মা । বল্টুকে তোর কথাই বলছিলাম। আমার অবর্তমানে তোরা দুজনই আমার সব স্থাবর—অস্থাবর সম্পত্তির মালিক হবি। [বল্টু লজ্জাবনত মুখে কুলসুমের দিকে তাকাবে।]

‌‌কুলসুম :–– বাবা। ও হচ্ছে আক্কাছ! আমরা দুজন একক্লাসে পড়ি।

চৌধুরী সাহেব কুলসুমের দিকে ফিরে বলবেন, “যা মা! ভেতরে গিয়ে চা দিতে বল। আমরা কথা বলি।” কুলসুম মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাবে। চৌধুরী সাহেব আক্কাছকে জেরা করতে শুরু করবেন।

চৌধুরী সাহেব :–– তোমার বাবা কী করেন?
আক্কাছ :–– জ্বি ! আমার বাবা নেই।
চৌধুরী সাহেব :— ও আচ্ছা আচ্ছা! তা তোমাদের পরিবারের আয়–উপার্জন হয় কীভাবে?
আক্কাছ :— জ্বি! আমার মা একজন শিক্ষিকা। [সিনেমার নায়কদের বাবা থাকে না। তাদের মা বেশিরভাগ সময়ই শিক্ষকতা করেন।]
চৌধুরী সাহেব :— কত টাকা বেতন পান তোমার মা?
আক্কাছ :— [অবাক হয়ে] চৌধুরী সাহেব!
চৌধুরী সাহেব :–– তুমি কী জানো তোমার মায়ের সারা মাসের বেতনের চাইতে কুলসুমের একটা সাধারণ পোষাক কিনতে বেশী টাকা লাগে? কোন সাহসে তুমি আমার মেয়ের সাথে মেলামেশা কর?
আক্কাছ :–– চৌধুরী সাহেব। ভালোবাসতে টাকা—পয়সা লাগে না।
চৌধুরী সাহেব :–– কত টাকা চাও তুমি? কত টাকা পেলে তুমি আমার মেয়েকে ভুলে যাবে?
আক্কাছ :–– [রেগে গিয়ে] চৌধুরী সাহেব! আমরা গরীব হতে পারি কিন্তু আমাদের ইজ্জত আছে!
চৌধুরী সাহেব :–– [রেগে গিয়ে] তোমার তো সাহস কম নয়! তুমি বামুন হয়ে চাঁদের দিকে হাত বাড়িয়েছো! [তারপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বল্টুকে দেখিয়ে বলবেন] কুলসুমের বিয়ে হবে আমারই বাল্যবন্ধু পল্টু চৌধুরীর একমাত্র পুত্র বল্টুর সাথে।
আক্কাছ :— [ততোধিক রেগে] চৌধুরী সাহেব। ভালোবাসা টাকার চাইতে বেশী শক্তিশালী — আপনি সিনেমার শেষ দৃশ্যে এসে সেটা ভালোভাবেই জানতে পারবেন।
চৌধুরী সাহেব:— I say get out! বেরিয়ে যাও আমার বাড়ি থেকে। [ইংরেজি বলার পর তা আবার বাংলায় বলতে হয় ডায়লগে জোশ আনার জন্য]

[আক্কাছ মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাবে। সাথে সাথেই অন্য দিক থেকে কুলসুম মঞ্চে প্রবেশ করবে।]

কুলসুম:— বাবা। আক্কাছ কোথায়?
চৌধুরী সাহেব:— আমি তাড়িয়ে দিয়েছি। ওই গরীবের বাচ্চার সাথে তুই আর মেলামেশা করতে পারবি না।
কুলসুম:— বাবা!
চৌধুরী:— আজ থেকে তুই ঘরে বন্দী থাকবি। বল্টুর সাথে বিয়ে হওয়া পর্যন্ত তুই বাড়ির বাইরে পা বাড়াতে পারবি না। [তারপর বল্টুর দিকে তাকিয়ে বলবেন] বল্টু ওকে ঘরে নিয়ে বন্দী করে রাখো।

[বল্টু কুলসুমের হাত চেপে ধরে টেনে নিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে যাবে।]

কুলসুম চিৎকার করে বলতে থাকবে, “ছেড়ে দে শয়তান। ছেড়ে দে! কে কোথায় আছো? বাঁচাও! বাঁচাও!”

দৃশ্য — ৩

মঞ্চে একাকী আক্কাছ হাঁটছে। একপাশ থেকে হন্তদন্ত হয়ে দিলদার দৌড়ে প্রবেশ করবে।

দিলদার: — আক্কাছ! আক্কাছ! কুলসুমকে তার বাবার আদেশে শয়তান বল্টু বন্দী করে রেখেছে। ওকে বাঁচাতে চাইলে এক্ষুনি আমার সাথে চল।

[দুজনেই দৌড়ে মঞ্চ থেকে নেমে যাবে।]

দৃশ্য — ৪

কুলসুম ঘরে বন্দী। বল্টু চৌধুরী কুলসুমের সামনে দাঁড়িয়ে অট্টহাসি দিচ্ছে। মুহুহুহু .......

কুলসুম:— [কাঁদতে কাঁদতে নাকমুখ ভিজিয়ে ফেলেছে। এক ফাঁকে কান্না থামিয়ে বলবে] আমাকে আমার আক্কাছের কাছে যেতে দে শয়তান।
বল্টু চৌধুরী কিছু বলে না, অট্টহাসি দেয় — মুহুহুহুহুহু............

কুলসুম:— শয়তান। আমাকে বিয়ে কর তুই আমার দেহ পাবি! মন পাবি না!
বল্টু চৌধুরী:— সুন্দরী তোমার মন কে চায়? তোমাকে বিয়ে করলে তোমার বাবার সব সম্পত্তির মালিক হব আমি। রাজকন্যা ও রাজত্ব। এক ঢিলে দুই পাখি। মুহুহুহুহুহুহু.........................

[কুলসুম আরো জোরে কেঁদে উঠে। এমন সময় মঞ্চের আরেকপাশ থেকে দিলদারকে সাথে নিয়ে আক্কাছ প্রবেশ করবে।]

আক্কাছ:— [চিৎকার করে] এই শয়তান বল্টু। তোর এতোবড় সাহস? তুই আমার নদীকে বন্দী করে রেখেছিস?
প্রত্যুত্তরে বল্টু কিছু বলবে না। শুধু হাসবে — মুহুহুহুহুহুহুহু.................

[প্রচন্ড আক্রোশে আক্কাছ ঝাঁপিয়ে পড়বে বল্টু চৌধুরীর উপর। আক্কাছ লাফ দিয়ে মঞ্চের মাঝামাঝি আসামাত্রই বল্টু চৌধুরী “ফুঁ” দিবে। “ফুঁ”য়ের ধাক্কায় আক্কাছ উড়ে গিয়ে মঞ্চে পড়বে [ভাবনা হচ্ছে আক্কাসের চরিত্রে যে অভিনয় করবে সে উড়ে গিয়ে পড়ার ব্যাপারটা করতে পারবে কী না!]। আরেকদিকে দিলদার তখন দৌড়ে গিয়ে বন্দী কুলসুমকে মুক্ত করে আনবে।

মাটিতে পড়ে থাকা আক্কাছ ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াবে। তখন আক্কাছের পেছন দিক থেকে চৌধুরী সাহেব বন্দুক হাতে প্রবেশ করবেন [পিচ্চিদের খেলনা বন্দুক পাওয়া দুষ্কর হবে না]। তিনি বন্দুক তাক করে আক্কাছকে গুলি করবেন কিন্তু ভুলক্রমে গুলি গিয়ে লাগবে ভিলেন বল্টু চৌধুরীর গায়ে। হতভম্ব চৌধুরী সাহেব থেকে পিস্তল ফেলে দেবেন মাটিতে। প্রতিশোধপরায়ণ ভিলেন বল্টু চৌধুরী মরোমরো অবস্থায় এগিয়ে এসে বন্দুকটি কুড়িয়ে তুলে গুলি করবে চৌধুরী সাহেবকে। গুলি করেই ভিলেন লুটিয়ে পড়বে মাটিতে।

গুলি খেয়ে চৌধুরী সাহেব মাটিতে লুটিয়ে পড়বেন। কুলসুম, আক্কাছ ও দিলদার দৌড়ে কুলসুমের বাবার কাছে যাবে। আক্কাছ আধমরা চৌধুরী সাহেবের মাথাটা একটু উঁচু করে ধরবে যাতে দর্শকেরা পড়ে থাকা চৌধুরী সাহেবের মুখ দেখতে পায়। চৌধুরী সাহেব হাত বাড়িয়ে কুলসুমকে কাছে ডাকবেন।]

চৌধুরী সাহেব:— মা কুলসুম। কাছে আয়।

কুলসুম কাঁদো কাঁদো মুখে চৌধুরী সাহেবের বাড়িয়ে দেয়া হাতে নিজের হাতটি রাখবে।

চৌধুরী সাহেব :— এই দুই হারামজাদার মারামারিতে পড়ে আজ আমার এই দশা! আমাকে কথা দে মা, তুই
এই দুই হারামজাদার একটাকেও বিয়ে করবি না। তোর মৃতপথযাত্রী বাবাকে কথা দে!
কুলসুম [কাঁদো কাঁদো কন্ঠে]: — বাবা।

চৌধুরী সাহেব আরেক হাত বাড়িয়ে কৌতুকাভিনেতা দিলদারের হাত ধরবেন। তারপর বলবেন, “তুমিও আমাকে কথা দাও।“

দিলদার:— “কী কথা আব্বা?”
চৌধুরী সাহেব : — তুমি কথা দাও। আমার মেয়েকে তুমি দেখে রাখবে।
দিলদার [একটু মন খারাপ করে]:— শুধু দেখবো? আর কিছু করবো না?
চৌধুরী সাহেব:— তুমি কথা দাও। আক্কাছ হারামজাদা যেন আমার মেয়ের কাছে ভীঁড়তে না পারে সে দিকে খেয়াল
রাখবে।
দিলদার: — সে আর বলতে! অবশ্যই খেয়াল রাখবো বাবা।
চৌধুরী সাহেব :— আমার মেয়েকে সুখে রেখো। [কথাটা বলতে বলতে তিনি কুলসুমের হাত দিলদারে হাতে তুলে
দেবেন। তারপর ঘুমিয়ে পড়ার মত করে টুপ করে মাথাটা এলিয়ে দেবেন।]

কুলসুম কাঁদতে কাঁদতে চৌধুরী সাহেবের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়বে — বাবা!!!!!!!!

(সমাপ্ত)


মন্তব্য

অভ্রনীল এর ছবি

ছ্যাঁকামাইসিন??!!

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

অতিথি লেখক এর ছবি

ইস্পিলবার্গ, সাবধান .......... দ্রোহী আইতাছেএএএ.....!
মুহুহুহুহুহুহুহুহুহুহু......
গড়াগড়ি দিয়া হাসি

(অর্ঘ্য)

দ্রোহী এর ছবি

ইস্পিলবার্গ ভাইজান, খাড়া আইতাছি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনি কোন ক্যারেক্টারটা করবেন? দেঁতো হাসি

কিছু প্রস্তাব:

দৃশ্য-১:
মুখোমুখি ধাক্কা খেয়ে আক্কাছ কুলসুমের গায়ের উপর পড়ে যাবে (কুলসুম মাটিতে শোয়া, তার উপর আক্কাছ)। ওই অবস্থায় মিনিমাম ৩০ সেকেন্ড চোখাচোখি হবে। ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনো গান হতে পারে, অথবা সমবেত নারীকন্ঠে "তুততুরুরুরু...." হতে পারে। এরপর কুলসুম বিরক্তির সাথে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বলবে, "আপনি অন্ধ? চোখে দেখেন না?" আক্কাছ বিনা বাক্যব্যয়ে তাকিয়েই থাকবে। হঠাৎ ঘোর কেটে গেলে বলবে, "আপনার কোথাও লাগেনি তো?" কুলসুম উত্তর না দিয়ে, চোখে অগ্নিবর্ষণ করে রাগীভাবে মঞ্চ ত্যাগ করবে।

দৃশ্য-২:
শিক্ষিকা না হয়ে আক্কাছের মা সেলাই করলে আরো বেশি ছি!নেমাময় হবে মনে হয়। আবার এমনটাও হতে পারে আক্কাছের বাবার মৃত্যুর পেছনে চৌধুরী সাহেব দায়ী ছিলেন, অথবা এক কালে আক্কাছের মাকেই তিনি বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। চোখ টিপি

দৃশ্য-৪:
কান্নাকাটির আগে কুলসুমের এক দৌড়ে বিছানায় ঝাপিয়ে পড়ে টেডি বিয়ারটাকে কোলের মধ্যে টেনে নেয়ার দৃশ্য থাকলে মন্দ হয় না। আর আক্কাছের শোকে বিষ খাওয়ার চেষ্টা করার একটা দৃশ্য যোগ করা যেতে পারে (শিশির গায়ে বড় বড় বাংলা হরফে "বিষ" লেখা থাকবে) দেঁতো হাসি

সবশেষে আপনার জন্য শুভকামান দেঁতো হাসি

দ্রোহী এর ছবি

আমারে পাগল পাইছেন নাকি? এমনিতেই যা লিখি সবই "ালছাল" তারপর আবার অভিনয়ও করবো?

আমি আছি কাহিনি, চিত্রনাট্য, ও পরিচালনার দায়িত্বে।

দৃশ্য -১
ভাইরে, আমার ঘাড়ের উপর মাথা একটাই। এই নাটকের ভিলেনের চরিত্রে (বল্টু চৌধুরী) যিনি অভিনয় করছেন তিনি বাংলাদেশ পুলিশের এস.পি। আর তাঁর বউ আমাদের নায়িকা কুলসুম চরিত্রে অভিনয় করছে। প্রথম দিকে নায়কের চরিত্র নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছিল শুধুমাত্র এস.পি সাহেবের বউয়ের হাত ধরতে পারার লোভে। শেষে আমাকে বাধ্য হয়ে হাত ধরার দৃশ্য কাটছাঁট করতে হয়েছে।

মুখোমুখি ধাক্কা দিয়ে আক্কাছকে কুলসুমের উপর ফেলার আগে সুপার গ্লু দিয়ে আমার পেছন দিকটা বন্ধ করে নিতে হবে। দেঁতো হাসি

দৃশ্য ২

আমি আক্কাছের মা'কে দিয়ে সেলাই করাতে চেয়েছিলাম। আমার ইচ্ছা ছিল আক্কাছের মাকে দিয়ে সেলাই করাতে করাতে বিশাল কলকারখানা বানাবার কিন্তু জনগণের চাপে তাঁকে শিক্ষিকা বানাতে হয়েছে।

আমি চেয়েছিলাম বেশকিছু মারামারির দৃশ্য ঢোকাতে। জনগণ রাজি হয়নি। তাই "ফুঁ" এর ব্যবস্থা করতে হয়েছে। কাহিনি যথাসম্ভব ছোট রাখার চেষ্টা করা হয়েছে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিজ্ঞতার অভাবে। তাই "বাবার মৃত্যুর পেছনে চৌধুরী সাহেব দায়ী ছিলেন, অথবা এক কালে আক্কাছের মাকেই তিনি বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।" জিনিসগুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

দৃশ্য ৪

ভাইরে চার ফুটি মঞ্চে বিছানা পামু কই? গুলি খেয়ে কেউ মাটিতে পড়তে রাজি হয় না। তাই বাধ্য হয়ে তাদের চেয়ারে ফেলতে হয়েছে। এখন আবার বিছানা চাইলে তো আমি শ্যাষ!!!

শুভকামানের জন্য ধন্যবাদ। এখন ওইটা ভীষণ দরকার।

এনকিদু এর ছবি

চৌধুরী সাহেব :— এই দুই হারামজাদার মারামারিতে পড়ে আজ আমার এই দশা! আমাকে কথা দে মা, তুই
এই দুই হারামজাদার একটাকেও বিয়ে করবি না। তোর মৃতপথযাত্রী বাবাকে কথা দে!
কুলসুম [কাঁদো কাঁদো কন্ঠে]: — বাবা।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

কুলসুমের বাবা চৌধুরী সাহেব একজন শিল্পপতি! স্লিপিংগাউন গায়ে, পাইপ মুখে

এই যে কুলসুমের বাবা ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

কল্পনা আক্তার এর ছবি

এইডা কুলসুমের বাপ!!! সাংঘাতিক মানাইছেরে ভাই গড়াগড়ি দিয়া হাসি

........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

তোমাকে নিয়ে এত আশার মালা গেঁথে এই কি পেলাম এনকিদু, তুমি যে আমার বংশের মান, ইজ্জত, সম্ভ্রম, সব ধুলোয় মিশিয়ে দিলে... সবই ঠিক ছিল, মুখে পাইপ, শিল্পপতি, কুলসুমের বাপ, একমুখ ধোয়া, কিন্তু আমার এই শখের পাঞ্জাবি কিনা স্লিপিং গাউন হয়ে গেল... এই শোক কোথায় রাখি?
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

দ্রোহী এর ছবি

মৃদুলদা, পাবলিকের চাপে পড়ে আমি গুলি খাওয়া বাবাকে চেয়ারে ফেলতে পেরেছি আর আপনার স্লিপিং গাউনকে পানজাবী বানাতে পারবো না? আপনি চাইলে আমি আপনার চরিত্রকে স্যান্ডো গেঞ্জি আর জাঙিয়া পরাতে পারবো। দেঁতো হাসি

বিপ্লব রহমান এর ছবি

মুহুহুহুহুহুহুহু.... গড়াগড়ি দিয়া হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এই জন্যই বিডিআর'কে এত পছন্দ। কষ্ট অনেক কমায় দেয়। যা যা বলার, কী সুন্দর বলে দিল আগেই। সেলাই মিস্ত্রি থেকে শুরু করে "বিষ" লেখা শিশি পর্যন্ত সব।

তয় ফিনিশিংটা সেই রকম হইসে!

ক্লোজআপ-ওয়ানে "লেবু মোল্লা"র করা দিলদার থেকে কিছু ঢুকিয়ে দিতে পারেন। চোখ টিপি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দেঁতো হাসি

দ্রোহী এর ছবি

লেবু মোল্লার ওই ডায়লগ দেবার জন্য আমাকেই অভিনয় করতে হবে শেষে!!

ভাবনা এর ছবি

সবার শেষে পুলিশ এসে বলবে ..."আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না।"

জটিলস্য !!!

সৌরভ এর ছবি

দিলদারের পার্টটা বেশ আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে।
লো রিস্ক, হাই রিটার্ন। হাসি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

কীর্তিনাশা এর ছবি

চ্রম ! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কিঞ্চিত সংযোজনের পরামর্শঃ

এক
"চৌধুরী সাহেব:— I say get out! বেরিয়ে যাও আমার বাড়ি থেকে।
আক্কাছঃ- আপনার বাড়ীতে গেট যখন আছে তখন আউট তো হবই। আপনার এই পাপের প্রাসাদে থাকতে আসিনি। আমি এসেছি কুলসুমকে এই জিন্দানখানা থেকে বের করে নিয়ে যেতে।"

দুই
সিনেমা হতে হবে নাচে-গানে ভরপুর। এই সিনেমায় গান মোটে একটা। এটা ঠিক না। কুলসুমের বন্দী দশায় একটা দুঃখের গান থাকতে হবে। বিরহ কাতর আক্কাছের মদ্যপানের দৃশ্য থাকতে হবে যেখানে একটা গানসহ এক্সট্রাদের ঝাঁকানাকা নাচ থাকবে।

তিন
কুলসুম বিষ না খেতে চাইলে তাকে সাপে কাটতে পারে। সেক্ষেত্রে তার পায়ের যেখানে সাপ কামড়াবে (পায়ের সংজ্ঞা পরিচালক নির্ধারণ করবেন এর জন্য পরামর্শক দায়ী নয়) সেখানে আক্কাছ মুখ লাগিয়ে বিষ বের করবে। তার সাথে বীণ বাজিয়ে সাপ আনার ব্যবস্থা থাকতে হবে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দ্রোহী এর ছবি

১.
আমাদের নায়ক ভোদাই কিসিমের । সে সাধারণ ডায়লগই দিতে পারে না আবার এই ডায়লগ দিতে বললে আমারে দৌড়াইবো।

২.
একটা গান দিয়েই আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে। আছিলাম কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনার দায়িত্বে। কিন্তু আমাকেই এখন "কুলসুম লো তোর লম্বা মাথার কেশ" গান গাইতে - নাচতে হচ্ছে।

৩.
নায়িকা চরিত্রে যিনি অভিনয় করছেন তিনি পুলিশের এস.পি সাহেবের স্ত্রী। নায়ক মুখ লাগিয়ে বিষ বের করার জন্য একপায়ে খাড়া কিন্তু ওই বিষ বের করার আগে আমার পশ্চাৎদেশ সুপারগ্লু দিয়ে বন্ধ করে নিতে হবে। দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তিন নাম্বার দৃশ্যের আগে আপনার মডেলিঙে একটা বিজ্ঞাপনও হয়ে যেতে পারে তো তাইলে। "পরিধান করুন দ্রোহী মার্কা এক নম্বর হালাল লোহার জাইঙ্গা, দারুণ টেকসই। পুলিশের এসপিও কিছু করতে পারে না।" চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

নায়ক নায়িকার প্রথম মুখোমুখি সংঘর্ষ বিষয়ে দেশে একটা দারুণ ছবি ছিলো... নামটা ভুলে গেছি। নায়ক ছিলো সিজার আর নায়িকার নামো ভুলছি। যেখানে সংঘর্ষ ঠেকাতে সিজার দুই হাত তুলে নায়িকাকে ঠেকাতে চেষ্টা করছিলো চোখ টিপি । তারপর থেকে আমরা জানলাম সিজার খুব ভালো ফিল্ডার...
আপনে তো আক্কাছের রোল করতেছেন তাইনা?

নায়িকার বাপ কে করবে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দ্রোহী এর ছবি

নারে ভাই। আমারে জনগণ চায় না। আমি গানের দৃশ্যের এক্সট্রা নৃত্যশিল্পী।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

গুল্লি লেখছো মিয়া!!! দেঁতো হাসি

ফিনিশিংটা ইউজুয়াল সাস্পেক্টসের বাপ হইছে। অনেকদিন পর হামাগুড়ি দিয়া হাসলাম।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

আরে জব্বর মঞ্চসিনেমা হইসে দেখি !
দুলাভাইও অভিনয়ে নাইমা পড়েন।
নায়ক কি খুঁইজা পাইসেন ? না পাইলে আপনি তো আছেনই।
কুলসুমের বাপ কিন্তু জব্বর মানাইসে তবে চুলে-দাড়িতে একটু সাদা রঙ লাগবো বেশি জোয়ান দেখায় আরকি !

-------------------------------------

--------------------------------------------------------

দ্রোহী এর ছবি

নায়ক পাইছি মানে? নায়িকার হাত ধরার জন্য মারামারি পইড়া গেছিল। অনেক কষ্টে একজনরে বাছা হয়েছে যারে গুল্লি করলে ডায়লগ বাইর হইলেও হইতে পারে।

মাল্যবান এর ছবি

এরপর কুলসুম বিরক্তির সাথে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বলবে, "আপনি অন্ধ? চোখে দেখেন না?"--
আক্কাছ: "চোখে না দেখলে আর যুইতমত ধাক্কা দিলাম ক্যাম্নে? মুহুহুহু!"

Tahmina এর ছবি

কুলসুমের বাবা চৌধুরী সাহেেবর ছবিটা জটিল!!! হাসতে হাসতে গড়াগড়ি!

দৃশা এর ছবি

'অসভ্য, ইতর, লম্পট' এই ডায়ালগটা কুনু চিপা দিয়া এ্যাড করা যায় না?
শেষের টুইস্ট বেসম্ভব ভাল হইছে, হাইসতে হাইসতে হেট বিষ। গড়াগড়ি দিয়া হাসি
----------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

দ্রোহী এর ছবি

"ছেড়ে দে শয়তান" ডায়লগ ইমপ্রোভাইজ করতে বলা হয়েছে। রিহার্সালে নায়িকা দেখলাম নিজে থেকেই অসভ্য, ইতর বলছিল।

স্বপ্নাহত এর ছবি

একটা বৃষ্টিভেজা গানের দৃশ্যের অভাব বোধ করছি।

বাকিটুকু ঠিকাছে। আর কিছু মনের কথা বিডিআর ভাই আগেই বলে গেসে। দেঁতো হাসি

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- জাপ্টাজাপ্টির সীন থাকলে ভিলেন হইতে চাইতাম। যেহেতু নাই তাইলে দিলদারের পাটটাই আমারে দিয়েন। আর শেষের দৃশ্যে একটু কাস্টমাইজেশন! চৌধুরী সাহেব মইরা যাওনের পর কুলসুম ধপাশ কইরা দিলদারের বুখে ঝাপাইয়া পড়ে কান্তে থাকবে! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হো হো হো


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

অমিত আহমেদ এর ছবি

জটিলস্য! হো হো হো
ভিডিও করে আপলোড দিয়েন।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

তানবীরা এর ছবি

এই দুই হারামজাদার মারামারিতে পড়ে আজ আমার এই দশা! আমাকে কথা দে মা, তুই
এই দুই হারামজাদার একটাকেও বিয়ে করবি না। তোর মৃতপথযাত্রী বাবাকে কথা দে!

কুলসুম কথা দে, জানে বাচবি।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রায়হান আবীর এর ছবি

ফিনিশিংটা হেভভি হইছে। কালকে আমরা অনেকক্ষণ হাসাহাসি করলাম এইটা নিয়া। ভিডিও দেখতে চাই।

=============================

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

ভিডিও আসতেসে তো?
ওয়েটাইতেসি।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি
তাহমিনা এর ছবি

কুলসুমের বাবা চৌধুরী সাহেবের ছবিটা খুব ভাল হয়েচে ।

***********************************************************
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!

When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।