বাজে গল্প – ০২

দ্রোহী এর ছবি
লিখেছেন দ্রোহী (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৫/২০০৯ - ৪:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেককাল আগের কথা। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ক্লাসে মোট ছাত্র–ছাত্রী ৩৬ জন। ক্রিস্টালোগ্রাফি কোর্সের ল্যাব ক্লাসে আমাদের মাইক্রোস্কোপ নিয়ে কাজ করতে হয়। সুবিশাল ক্লাসরুমের চারপাশের দেয়াল ঘেঁষে টেবিল পাতা আছে। আমরা হাজিরা খাতায় নাম সই করে মাইক্রোস্কোপ তুলে নিয়ে দৌড়ে গিয়ে জানালার সামনে রাখা টেবিল দখল করি। জানালার সামনে বসার দুটো সুবিধা। এক – রাস্তা দিয়ে যাওয়া সুন্দরীরা দৃষ্টি এড়াতে পারে না। দুই – পোলারাইজড্ মাইক্রোস্কোপের স্টেজের তলায় কৃত্রিম আলোক উৎসের বদলে কাঁচের তৈরি প্রতিফলক দেয়া সুতারাং জানালার সামনে বসলে দেখতে সুবিধা হয়। যারা খানিকটা দেরিতে মাইক্রোস্কোপ তোলে তারা পরবর্তি তিন ঘন্টা সাদা দেয়ালের সামনে বসে নরকযন্ত্রনা ভোগ করে।

একদিন আর আমার বন্ধু রোমেল মাইক্রোস্কোপ তুলে জোর পায়ে করিডর ধরে ক্লাসরুমের দিকে যাচ্ছি। উদ্দেশ্য জানালার পাশে সিট পাওয়া। আমাদের এক বান্ধবী আমাদের আগেই মাইক্রোস্কোপ তুলেছে। তাই সে হাঁটা দূরত্বে আমাদের দুজনের চাইতে বেশ এগিয়ে। ক্লাসের দরজায় পৌঁছে দেখলাম একটা মাত্র জানালা খালি। বান্ধবী সেই টেবিলটা দখলের উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাচ্ছে । কালবিলম্ব না করে জানবাজি রেখে ছুটলাম টেবিল দখলের উদ্দেশ্যে। আমাকে দৌড়াতে দেখে বান্ধবীও দিল দৌড়।

ঈশ্বর ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অপছন্দ করেন। তাই টেবিলটা জুটলো আমাদের বান্ধবীর কপালে। টেবিলের মালিকানা নিয়ে আমি যাতে গিয়ানজাম করতে না পারি তাই বেচারী তাড়াহুড়া করে চেয়ারটা টেনে টেবিলে বসে পড়ার উপক্রম করলো আর তক্ষুনি “টোশ” করে একটা শব্দ হলো।

মোটামুটি হাজারখানেক হায়েনা একসাথে হেসে উঠলে যেমন শব্দ হয় সেরকম একটা শব্দে ক্লাসরুম উড়ে গিয়েছিল সেদিন।


মন্তব্য

কীর্তিনাশা এর ছবি

আসলেই বাজে ঘল্প দেঁতো হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতিথি লেখক [অতিথি] এর ছবি

আসলেই বাজে ঘল্প

তবে আরো বাজে হতে পারতো।
আমরা আরো বাজে গল্প পড়ার আশা করছি।

সালাহউদদীন তপু

তানবীরা এর ছবি

মাইনষের দুঃখে যে হাসে, দোজখেও তার জায়গা হবে না। বাই দি ওয়ে, বাজে গল্প এক এর লিঙ্কটা দেন।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

কত্তদিন আপ্নের বড়ু পুস্ট পড়ি না :-(। ঠিকমত লেখেন না কেন!!
----------------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক

বিপ্লব রহমান এর ছবি

টোশ! চোখ টিপি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

রণদীপম বসু এর ছবি

এখানে অচেনা মেয়েকে..... 'সুন্দরী' বলা হয়েছে। উদ্দেশ্য আন-আইডেন্টিফায়েড !
আর শেষে এসে "টোশ" করে নারীকে আঘাত প্রাপ্ত করা হয়েছে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

দ্রোহী এর ছবি

নারীকে আঘাত করবো কী? উল্টে নারীই আমাকে পাদাঘাত করেছিল।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

'বাজে গল্প' পড়ে মজা পাইলাম খুব দেঁতো হাসি
তার মানে তো মনে হয় আমিও খুব বাজে মানুষ মন খারাপ

নিবিড় এর ছবি

শেষ লাইনটার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই প্রহরী ভাই দেঁতো হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

নিবিড়ের সাথে পুরাপুরি একমত। দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আর আমি আপনাদের দুইজনের সাথেই একমত দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

গমচোর মেম্বারের ফাঁসী চাই। জিহাদে আমিও সামিল হলাম। দেঁতো হাসি

কীর্তিনাশা এর ছবি

হ ঠিক আছে, জিহাদ কইরা সব ফাডায়ালামু দেঁতো হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- জিহাদ (স্বপ্নাহত না কৈলাম) কইরা ফাটান অসুবিধা নাই, মাগার পাইদ্যা ফাটাইলে কইলাম বিরাট অসুবিধা! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ভুতুম এর ছবি

বড়ই বাজে!

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

মামুন হক এর ছবি

মন্তব্যের অযোগ্য এমন বাজে, কুকিল সাজল কাকের সাজে!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ঈশ্বর ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অপছন্দ করেন। দেঁতো হাসি
ছুটো গল্ফেও বিয়াফক দাঁত দেখানোর সুযোগ।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

স্পর্শ এর ছবি

স্লাইড পড়ে ভাংলো?


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আপমার স্মিতিতে ভালোম গল্পম নাই?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- গল্পটা পইড়া হাজারটা না হইলেও এক বা একাধিক প্রশ্নের অবতাড়না হৈছে মেম্বর সা'ব। ডরে ডরে আছি, আপনারে কিছু জিগাইলে যদি আপনের একমাত্র সুন্দরী শালিটারে অন্যকাউরে ওয়াক্ফ কইরা দিয়া দেন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

শালি বন্টন পরে হবে। আগে প্রশ্ন করেন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- প্রশ্ন করুম কী! মাথার গোবরে তো প্যাচ লাইগ্যা রৈছে।
আপনে কৈলেন বিবাহ করতে কপাল লাগে। আমি তো জানতাম বউ লাগে! (এই চিন্তায় তো ঘুমাইতে পারতাছি না) মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

বিবাহ করতে বউ লাগে না। বিবাহ করতে মেয়ে লাগে। যে অলরেডী বউ হয়ে বসে আছে সে কি আর আপনাকে বিবাহ করতে উৎসাহী হবে?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এই তো দিলেন আবার প্যাচ লাগায়া। মাইনষে যে প্রেমিকারে বউ ডাকে, তাইলে কেমনে কী! এর লাইগাই প্রেমিকারা তাগো প্রেমিকরে বিবাহ না করিয়া অন্য মানুষরে বিবাহ করে? চিন্তিত

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য আমার একখানা বিশাল সাইজের কপাল রহিয়াছে, প্রেমিকা নাই (তবে বউ রহিয়াছে; যদিও তাহাকে খুঁজিয়া বাহির করিতে হইবে। ঠিকানা জানিনাতো! মন খারাপ )। তো এই ক্ষেত্রে কি বিবাহের শিঁকে আমার কপালে ছেঁড়ার কোনোই সম্ভাবনা নাই?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

আছে। সম্ভাবনা আছে। তবে তার জন্য কষ্ট স্বীকার করতে হবে।

প্রথমেই রায়হান আবীরকে হাত পা বেঁধে নদীতে নিক্ষেপ করতে হবে। পথের কাঁটা হয়ে দাড়ানোর সুযোগ দিলেই সর্বনাশ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- খালি রায়হান আবীর? আমি তো লিস্টি বানাইতেছি, আর কারে কারে একই দড়িতে বাইন্ধা পানিতে ফালামু।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

দড়ি যা লাগে, আমি সাপ্লাই দিমু। দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

ঠিকাছে দেঁতো হাসি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌

তক্ষুনি “টোশ” করে একটা শব্দ হলো।

বুঝলাম না। এরকম শব্দের উৎস কী হতে পারে? খুইলা বলেন.........হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মেয়েটার দুক্কে আমার পরাণ কানতেছে। আহারে বেচারী!

এনকিদু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
হাসা উচিত হয় নাই । একেবারেই উচিত হয় নাই । তবুও আমার হাসি পাইতেছে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

মজা পাইলাম দুলাভাই ...
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।