১.
গরীবের বউ সবার ভাবী। ভাবীর সাথে সবাই রসিকতা করে। ভাবীর হাতে বানানো চা খেতে চায়। সুযোগ পেলে ভাবীকে নিয়ে খাটেও উঠতে চায়। আমার অবস্থা হয়েছে গরীবের বউয়ের মতো।
ঢাকায় এসে প্রথম যে সচলের সাথে ফোনালাপ করি তিনি হচ্ছেন “দৌড়া লুল্পুরুষ দৌড়া” ছবির পরিচালক নজরুল ইসলাম ওরফে নিধির বাপ। ফোন করেই তিনি আমায় ব্যাপক ঝাড়ি দেন। আমি চুপচাপ থাকি। ভাবি আমার ভদ্রতায় মুগ্ধ হয়ে “পভার পচন্ড পেমিক” হিসাবে মনোনয়ন দিলেও দিতে পারেন। কিন্তু এই ভদ্রলোক ঝানু ব্যবসাদার! জিনিস দেখতে দেন, শুঁকতে দেন কেবল, খেতে দেন না মোটেও।
নজমুল আলবাব অপু ভাইয়ের ফোন নাম্বার আগে থেকেই ছিলো। নিধির বাপের ঝাড়ি খাবার মিনিট দশেক পরেই নজমুল আলবাব ভাইকে ফোন করি। ফোন ধরেই তিনি বলেন, “আইসা পড়েন”। আমি ঘাবড়ে যাই। তিনি আমায় মুখ খুলতে দেন না। “হ্যাঁ, বাসা থেকে বের হন। তারপর বাসে উইঠা আইসা পড়েন” – বলতেই থাকেন তিনি। কথা বলবার সুযোগ পেয়ে এক ফাঁকে বলি, “বস, প্যান্ট পরতে হবে তো!” তিনি আমার মুখের কথা কেড়ে ন্যান, “আরে মিয়া আপ্নে পুরুষ মানুষ না? পুরুষ মানুষের আবার প্যান্ট পরা লাগে নাকি?” আমি ঘাবড়াই। আর কথা বাড়াই না। শেষে যদি প্যান্ট ছাড়াই সিলেটে যেতে হয়!
এক দুপুরে শুদ্ধস্বরে ঢুঁ মারি। শুদ্ধস্বর খুঁজে পেতে পেতে ঘাম বেরিয়ে শরীরে শুদ্ধ পানির পরিমান কমে যায়। শুদ্ধস্বর খুঁজে পাওয়ার পর আহমেদুর রশীদ টুটুল ভাইকে খুঁজে পাওয়া যায় না আর। শুদ্ধস্বরে কর্মরত এক ভদ্রলোককে টুটুল ভাইয়ের কথা জিজ্ঞেস করি। তিনি বলেন “টুটুল ভাই জরুরী কাজে বাইরে গেছেন। রাতে ফিরে এসে দাঁত ভাঙা জবাব দেবেন।” সেদিন বিকালে অচেনা একজন ফোন করে ব্যাপক ঝাড়ি মারতে শুরু করেন আমাকে। কাঁদো কাঁদো অবস্থায় জানতে পারি ঝাড়িদার ব্যক্তি টুটুল ভাই।
একদিন বিকালে শাহেনশাহ সিমন ফোন দ্যায়। সচলাড্ডার ছবিগুলোতে সিমনের আকৃতি–প্রকৃতি দেখে এমনিতেই সিঁটিয়ে ছিলাম। ফোনে কন্ঠ শুনে আরও ঘাবড়ে যাই। উচ্ছাসিত কন্ঠে সে বলে, “কই আইতে হবে কন খালি!” তার উচ্ছাসে ছাঁইচাপা দিই আমি। উচ্ছাসিত সিমন যদি একবার জাপটে ধরে তাহলে শেষে খুন্তি দিয়ে খুঁচিয়ে আলগা করতে হবে আমায়।
এনকিদুর সাথেও কথা হয়ে যায় একদিন। কমলা রংয়ের সাইকেলের মতোই নরম মন তার। কথাবার্তাও মুগ্ধতাজাগানিয়া। বেচারা পভা হলে ঠেঁসে ধরে পেম করা যেত। অবশ্য তখন লাভের গুড় মাশ্রুমাড্ডার লোকেরাই খেতো।
জ্যোতির্ময় বণিক ওরফে আলোকিত ব্যবসায়ী ওরফে বঙ্কা ফোন করে গমচুরির অপবাদ দেয় আমায়। গরীবের বউ আমি। পাটি পেতে দেয়া ছাড়া উপায় থাকে না আর।
একদিন সন্ধ্যায় বালিকাদের অতি প্রিয় “ছোট ভাই” পান্থ এবং চুম্মাচুম্মা হাসিমুখের অধিকারী সাইফুল আকবর খান এসে পাত্রী দেখার মতো করে দেখে যায় আমায়। পান্থ আর সাইফুলের সাথে বসে আড্ডা দিই খানিকক্ষণ। হঠাৎ বুঝতে পারি পান্থ ব্যাপক আকারের “বালিকা ম্যাগনেট”। আমাদের পাশ কাটাবার সময় বালিকারা আদুরে দৃষ্টিতে তাকায় পান্থর দিকে। পান্থ আদর খায়। সাইফুল আকবর খান সাহেব পান্থের অধঃপতন দেখে খাবি খান। আমি হা করে বালিকাদের দিকে তাকিয়ে থাকি।
২.
ঢাকায় সময়টা বেশ অলসতায় কাটছে। প্রতিদিন বেলা করে ঘুম থেকে উঠে সচলায়তন আর খোমাখাতা খুলে বসি। বিকালে ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলি।
খোমাখাতায় আড্ডা দিতে দিতে হঠাৎ করেই ছোটখাটো এক সচলাড্ডার আয়োজন করে ফ্যালে সিমন। বিকালে যথাসময়ে শাহবাগের উদ্দেশ্যে বাস ধরি। পথিমধ্যে জেবতিক আরিফ ভাই ফোন করে বলেন, “কি মিয়া? ঢাকায় আইসা গা ঢাকা দিয়া আছেন ক্যান?” আমি কী আর বলবো! ইঁদুরের মতো চিঁ চিঁ ডাক ছাড়ি কেবল। মিনমিনিয়ে কী যে মিন করতে যাই তা নিজেই দিশা করতে পারি না। পাশ থেকে কন্ডাকটর বলে, “ভাড়াটা দ্যান”।
ঢাকার ইদানিংকালের ট্রাফিক জ্যামের কথা শুনেছি–শুঁকেছি–কিন্তু চেখে দেখা হয়নি আগে। কপাল ভালো থাকায় সেটা চেখে দেখার সুযোগ মিলে যায়। কলাবাগান পেরিয়ে জ্যামে আঁটকে যায় বাস। ঠিক সেই জায়গায় যেখানে বসে ১৯৫১ কিংবা ১৯৫৩ সাল থেকে বার্গার বানাতো উইম্পি। কিছুক্ষণ বসে থেকে বাস থেকে নেমে পড়ি। তারপর হেঁটে মেরে দিই আজিজ সুপার মার্কেট পর্যন্ত।
শুদ্ধস্বরে ঢুকে দেখি টুটুল ভাই কোন এক লেখককে সামলাচ্ছেন। আমি কথা না বলে বসে থাকি। কিছুক্ষণ পরেই টুটুল ভাই খানিকটা অবসর পান। আমার দিকে তাকিয়ে টেড্রমার্ক হাসিটি উপহার দেন। পরিচয় আর কুশল বিনিময় হয় তাঁর সাথে। তিনি আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মিনিটখানেকের মধ্যেই নিধির বাপ উঁকি দেয়। খোমাখাতার কল্যাণে দুজনার দুজনকে চিনতে সমস্যা হয় না মোটেও। পরিচয়ের এক পর্যায়ে একে অন্যের ভুঁড়িতে হস্তক্ষেপ করি আমরা। তিনি আমায় বলেন, “আমি না হয় নায়ক–পরিচালক। আমার একটু আধটু ভুড়ি থাকতেই পারে। কিন্তু আপনে ভুড়ি বাগাইছেন কেন?” জবাবে আমি বলি, “ঢালিউডে নায়ক হবার আজন্ম খায়েশ আমার। নায়িকাদের কোলে তুলে বসাবার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা হিসাবে ভুড়ি বাগিয়েছি”। আমার কথায় নিধির বাপে আধ হাত পিছিয়ে যান পাছে তাকেই কোলে তুলে ভুড়ি চেয়ারে বসিয়ে দিই ভেবে।
বাচ্চা একটি ছেলে এসে ঢুকে শুদ্ধস্বরে। ঢুকেই নিধির বাপের হাত ধরে ঝাঁকাঝাঁকি করতে থাকে। নিধির বাপে পরিচয় করিয়ে দেন, “ইনি সচলে অনার্য্য সংগীত নামে লেখেন”। আমি মুগ্ধচোখে তাকাই নিষ্পাপ মুখের বাচ্চা ছেলেটির দিকে। ছেলেটি আমায় বলে, “আপনি লেখেন?” আমি সবিনয়ে জানাই, “ওসব লেখাটেখা আমার ঠিক আসে না তেমন একটা।” ছেলেটি তারপর থেকে আমাকে দেখতেই পায় না আর। নিধির বাপ আর টুটুল ভাইয়ের সাথে কথা বলতে থাকে।
নিবিড় মানুষ নিবিড় এসে ঢুকে খানিকবাদেই। নজু ভাই পরিচয় করিয়ে দেন তার সাথেও। নিবিড় আমাকে জিজ্ঞাসে, “আপনি সচলে লেখেন?” আমি হ্যাঁ সূচক ভঙ্গীতে মাথা নাড়ি। “কী নামে লেখেন?” আবার প্রশ্ন করে নিবিড়। আমি সহাস্যে জানাই, “অতিথি লেখক। আমার অ্যাকাউন্ট নাম guest_writer আর পাসওয়ার্ড guest।”
খানিকবাদেই শুদ্ধস্বরে উঁকি দেন ষষ্ঠপাণ্ডব দা। সুহান রিজওয়ান এসেই চিনতে পারে আমায়। বুঝতে পারি ছেলে নিয়মিত খোমাখাতায় চোখ রাখে। একাধিক বালিকাপ্রীতির কারণে মৃদু বকাঝকা করে উৎসাহ দিই তার এই বালিকাপ্রীতির বিষয়টিকে।
খানিকবাদে চা খেতে নিচে নামি আমরা ক’জন। প্রতিদিনকার বামপন্থী দোকান বাদ দিয়ে সবাই ডানপন্থী খালার দোকানে ভীড় করে। আড্ডা চলতে থাকে। ইতিমধ্যেই আড্ডায় এসে যোগ দেয় পান্থ, সাইফুল আকবর খান, ওসিরিস, এবং সবজান্তা। খানিকবাদে টুটুল ভাইও নেমে আসেন।
সবাই লেখালেখি নিয়ে কথা বলতে থাকে। আমি এর–ওর মুখের দিকে তাকাই কেবল। লেখালেখি আসে না আমার তাই আড্ডাতেও সুবিধা করতে পারি না খুব একটা। খানিকবাদেই বিষয়বস্তুর মোড় ঘুরে ছেলেদের আড্ডার চিরন্তন বিয়ষবস্তুতে এসে থামে। এবার আমার মুখ ছুটে, বাকিরা তেমন সুবিধা করতে পারে না আর। আমরা সকলেই একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হই। মডুদের ফ্যাসিবাদী মনোভাবের কারণে সচলে আজ মেয়েরা অতি দুর্লভ এক বস্তু! সচলের মডুদের ধারণা মেয়ে মাত্রই ছিপছিপেসুদর্শনাপড়ুয়ারসিক। মডুরা চারটি মেয়ের গুনাগুন একটি মেয়ের ভেতর খুঁজে দেখেই সচল মেয়ে খরার ভোগে।
আড্ডা চলতে থাকে। আড্ডার বিষয়বস্তু তারেকের ঘনঘন চট্টলায় যাওয়া, ব্যক্তি থেকে প্রতিষ্ঠানে পরিনত হওয়া জনৈক লেখক, হিমু, মুখফোড়, সামহোয়্যার ইন, এ–টীম, ছাগু, বাংলাদেশের প্রথম পাঁচজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, ওয়াইম্যাক্সের ব্যান্ডউইডথ, সবজান্তার জনৈক বান্ধবী, সবজান্তার প্রেমিকা, সবজান্তার পাশের বাড়ির ভাবী, এনকিদুর সাইকেল, সিরাতের পোস্টে ১ রেটিং, অরূপের প্রস্থানসহ জগতের সকল বিষয়ে ঘুরতে থাকে। আমার বকরবকর চলতেই থাকে। বকরবকর করতে করতে হঠাৎ করে নিজেকে ছাগু মনে হয়। জগতে হেন বিষয় নেই যা নিয়ে ছাগু কথা বলতে বাকি রেখেছে। গুগোল না থাকলে ছাগু কী করতো ভেবে মনটা খারাপ হয়। ছাগুর জন্য এক বুক ভালোবাসায় ভরে উঠে মন।
আড্ডার উদ্যোক্তা সিমন এসে যখন আড্ডায় ঢুকে ততোক্ষণে অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ণ ফ্রন্ট। সবাই কথা বলে হেঁদিয়ে পড়েছে খানিকটা। সিমন এসেই আমার দুপাশ থেকে কী যেন খুঁজে। তার অঙ্গসৌষ্ঠব দেখে ভয় খাই আমি। পাশ থেকে কে যেন বলে, “সিমন, পিষে ফ্যালো!” সিমন কিছু বলে না আমাকে। তার চোখে মুখে আশাহত ভাব। সে আমাকে সুদর্শন কেউ ভেবে বসেছিলো। সচলাড্ডাভিজ্ঞ সবাই আমাকে জানায় – সিমন নিজের বিষয়ে কিছু বললে সেটাকে পঞ্চাশ দিয়ে গুন করে নিলে আর পরের বিষয়ে কিছু বললে তাকে পঞ্চাশ দিয়ে ভাগ করে নিলে সত্যের কাছাকাছি পৌঁছানো যাবে। আমার চেহারা দেখে সিমনের আশাহত মুখকে চোখের সামনে দেখতে পাই যেন। সে আশাহত ভাবটুকুকে পঞ্চাশ দিয়ে ভাগ করতেই নিজের চেহারার সৌন্দর্যটুকু ফুটে উঠে আমার চোখের সাথে। যাদের আমাকে প্রতিনিয়ত দেখতে হয় তাদের কথা ভেবে মুষড়ে পড়ি আমি।
যথাসম্ভব সাদামাটা ভাবে মেয়ে দেখতে যাবার গল্প বলে সিমন। বিবাহিত সিমনের জীবনে “মিজান! পিষে ফ্যালো!” উক্তিটির যথাযথ প্রয়োগের কথা ভেবে সিঁটিয়ে যাই আমি। স্রেফ ভয়ে! সিমনের বউ হয়ে জন্ম হয়নি দেখে ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিই মনে মনে।
এক পর্যায়ে আড্ডা শেষ করার প্রয়োজন অনুভুত হয়। সচলে তীব্র বালিকা সংকটে ফ্যাসিবাদী মডুদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে – এ বিষয়ে একমত হই আমরা। মডুদের গুষ্টিউদ্ধার করতে করতে যে যার বাড়ি ফিরি।
মন্তব্য
দারুন লাগলো
বস, সিলেট আসবেন কবে? আপনার সাথে দেখা করতেই হবে।
সর্বনাশ এত বড় ব্লগ আপনি লিখলেন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
পুরাই ড়কিঙ্গ
কাউরে কি বাদ দিলাম?
আড্ডায় ছিলেন - নজু ভাই, টুটুল ভাই, পাণ্ডবদা, অনার্য্য সংগীত, নিবিড়, সুহান, পান্থ, সাইফুল আকবর খান, ওসিরিস, সবজান্তা, সিমন, আর আমি।
কে বাদ পড়লেন কন।
আমি
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আমিও ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আপনার গল্প পৈড়া বুঝলাম, এদের মধ্যে কেউ একজন আপনারে গরীবের বউ মনে কৈরা খাটে তুলতে চাইছিল। দেশ্টা শ্যাষ হোয়ে গেলু।
উনি যেমনে ওনার বালিশের বিজ্ঞাপন দিতেসেন, খাটে তুলবেনাতো কি লাটে তুলবেনি?
মুচমুচে লেখা। লিংকটা শুধু পভারে পাঠালেই হবে, আর কিছু লাগবে না।
মিয়া জোশ লেখছেন, পড়ে বিয়াফক মজা পাইলাম। এটা কি আপনার লেখা সর্ব বৃহৎ পোস্ট?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমার নাম রিজ়ওয়ান- দ্রুহী বাই, রিদওয়ান না...
আপ্নেরে কইষ্যা মাল্টিপ্লাই...
_________________________________________
সেরিওজা
ঠিক্কর্লাম। স্যরি।
ভাই, পোলাডারে ম্যালা কষ্ট দিছেন। ইদানিং অনেকেই তার নামের বানান ভুল করতাছে। পোলাডা বড় বেদনা পাইতেছে...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আইজ-কাইল মানুষগুলার কাজ-কাম কি নাই হইয়া গেলো নি ! কেমনে কোন্ চিপায়-চাপায় আইসা আড্ডা মাইরা চইলা যায়, টেরও পাওয়া যায় না !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ঠিক্কইছেন রণ'দা। আমারেও কেউ আগে থেকে কয় নাই। আমি একটা কাজে আজিজে গেছিলাম বলে সবার দেখা পাইলাম। আপনে বড় আপনে সবাইরে কইষা ঝাড়ি মারেন। আমি শুনে খ্যাক খ্যাক করে হাসি...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমাকে ছোট করার (বাচ্চা বলে!) অপচেষ্টা করা হইছে। নিন্দা জানালাম...
দেখেও না দেখার ভান করি' বলে আমাকে আরো (!) ছোট করার অপচেষ্টা করা হইছে। মাননীয় স্পিকার আমি আবারও নিন্দা জানালাম...
মডুভাইরা ব্যবস্থা নেন... নইলে...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনি ভাই লেখেননা কেন? এত সুন্দর লেখার হাত আপনার! এটাই কি আপনার দীর্ঘতমত পোস্ট?
সচলের ফ্যাসীবাদী মডুদের কারণে সচলাড্ডায় বালিকাদের অংশগ্রহণ ভয়ঙ্করভাবে কম। মডুদেরকে তীব্রভাবে মাইনাষ...
এই পোস্ট থিকা তাইলে দাবী তুললাম, বালিকাদেরকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে সচল করতে হবে। নইলে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নিশ্চিত হয়ে নেয়া দরকার আগে। নইলে কেউ কেউ নর'দল থেকে ছুট মেরে নারীদলে গিয়ে জুটতে পারে।
নিশ্চিতভাবে নারী এমন সচলদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সচল করা হোক।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এই পেত্থম আপনার একখান তাজা পুষ্ট পড়লাম। কেনো যে আমি এখন ঢাকাতে নাই। কেনো কেনো কেনো?
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
দ্রোহী ঢাকায় কি সাকিবের ভাত মারতে গেছো? আলেকজান্ডার বো র চেহারা আর ম্যাট্রিক্স উড়াউড়ি...।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
হায়রে, কবে যে আমারে সচল বানাইবো, আর কবে আমি বড় ভাইগো টেকায় 'ডানপন্থী' চা খাইতে পারুম...
---নীল ভূত।
হায়রে পাবলিক... ভাবির রান্না না খেয়ে দ্রোহীরে চা-মাশরুম খাওয়ায়...
দ্রোহী ভাইতো দেখি ফাডায়ালাইছেন! লেখা পুরাই পাথরায়!
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
কি গো দুলাভাই কেমন আছেন ? ঢাকায় গিয়ে মহা আনন্দে আছেন দেখা যাইতেসে। আমার কিন্তু বেশ হিংসে হল লেখাটা পড়ার পর। দারুন একটা লেখা পেলাম আপনার কাছ থেকে অনেকদিন পর। ভাল থাকবেন। আর আপুকে সালাম দিয়েন।
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
চুম্মা চুম্মা লে লে ভাবী!
যে বেশি-প্লিমেন্ট দিলেন আমারে, আপ্নে খালি একটা বছর থাকেন আমগো গরিবের ঢাকায়। আর কোনো চাকরি লাগবো না আপনের। চেহারা শাকিব খান, আলেক্বো কিংবা অঞ্জু ঘোষ- যার মতোনই হোক আপনের, আপনেরে আমার ৩ লম্বর ফিলিম-টাতে লৈতাম চাই।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ঈশ, আপনাদরে কি মজা.........
মধুবন্তী মেঘ
হাসতে হাসতে পৈড়া গেসি!
পুরাই ঢিশটাং হইসে !
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আপনার সাথে আমার এখনো দেখাই হইলনা । আজকে আজিজে আসেন ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হা হা হা খুব মজা পেলাম ব্লগাড্ডা পড়ে !!!
দিশা____
কতদিন থাকবেন? দেখা হইবোনি?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
যেমনে ভাইসাব আমার চরিত্রে কালি ল্যাপতেইয়াছেন...
প্রথমে বুঝি নাই ভাবীর ব্যাপারটা। পরে নিবিড়ের চেহারা ভেসে উঠলো, সব ফকফকা ...
তবে এই লেখায় বিশাল মাইনাস, দ্রোহীর একাউন্ট দিয়া এতো বড় লেখা মানায় না
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ড়কিং (হিমুরটা মেরে দিলাম)
এইটা দ্রোহী লিখছে?...
.
.
.
.
.
.
.
যাক, তাইলে সে লেখালেখি ভুলে যায়নি। মাশাল্লাহ। খায়রান।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আহ ..... হেবো ....
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আব্বা, ভাবী আর আমি ব্যাপক টাশকি খাইলাম। রোজ বিকেলে এই করো??
- এইরা ক্যারা রে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
- আপনেরে যে ইশটিলের বুনিয়াদের মডেল বানাইছিলাম, সেই ট্রেনিংটা কামে লাগবো আশা করি। আর্মার পইরা নির্দ্বিধায় খাটে উইঠা যান, যে ডাকে তার লগেই। যতোবড় কেরদানই হোক, ইশটিল ছেঁদা কইরা আপনের ইজ্জতে হাত দিতে পারবো না। হে হে হে, এক নম্বর ইশটিল!
পারলে সিনারির ভিডিও কইরেন। ইশটিলের জাইঙ্গার বিজ্ঞাপন হিসাবে চালায়া দিমু নে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ওহ আপনে তো এককালে লেখক আছিলেন। ভুইলাই গেছিলাম!
এই পোস্ট পইড়া হেই কথা মনে পইড়া গেল।
দৃশা
দৃশাপা, কারে কী কন? খুঁজে পেতে দেখলে আপ্নের পোস্ট সংখ্যা আমার চাইতে দুয়েকটা বেশি হবে হয়তো। ☺
আপ্নাকে বহুদিন পর দেখলাম।
আপনাদের সবাইরে তো খোমাখাতায় অ্যাডাইতে হবে দেখছি...আহারে একটা সচলাড্ডা মিস হয়ে গেলো।
যেই ব্লগাড্ডা লিখছেন দ্রোহী ভাই...হিংসায় জ্বলে যাচ্ছি।
সিনেমার নায়িকাদের দেখার জন্য যেমন পাবলিক আকুপাকু করে, আমি তেমনি আপনাগো দেখার লাইগগা করি।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
নুসদিন
নতুন মন্তব্য করুন