আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিজয়ের ইতিহাস। গৌরবের ইতিহাসে সবাই চায় নায়ক হতে। সে কারণে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসেও নায়কের চরিত্রের দাবিদারের কমতি নেই।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কিছুদিন পর পর বদলে যায়। ক্ষমতার হাত বদলের সাথে সাথে বদল হয়ে যায় নায়ক চরিত্রের দাবিদারদের নাম।
নায়ক চরিত্রের দাবিদারদের একটা বড় অংশ সামরিক বাহিনীর সদস্য। তাদের কেউ ক্যাপ্টেন, কেউ মেজর, কেউ কর্নেল। যখন তাঁদের কথা কল্পনা করি তখন দেখতে পাই দুই হাতে স্টেনগান উঁচিয়ে ক্যাপ্টেন কিংবা মেজর কিংবা কর্নেল নায়ক খোলা মাঠের ভেতর দিয়ে বন্দুকের, মর্টারের, কামানের গোলা ফাঁকি দিয়ে ছুটে যাচ্ছে শত্রুসেনার ঘাটির দিকে। তাঁদের চোখে অতিবেগুনি রশ্মি নিরোধক রোদ চশমা, গায়ে গেঞ্জি, পায়ে মিলিটারি বুট জুতা, শরীরে মাখনের মতো নরম–ফর্সা–কোমল–মসৃণ ত্বক। দৌড়ের তালে তালে গেঞ্জির ফাঁক দিয়ে অন্তঃপুরবাসিনী অপ্রতিরোধ্য কিশোরীর মতো উঁকিঝুঁকি দেয় বছরের পর বছর ব্যায়াম করে গড়া ইস্পাত-দৃঢ় পেশী! যুদ্ধ শেষে কৃতজ্ঞতাবশত আমরা তাঁদের আরও বড় নায়ক বানাই। ক্যাপ্টেন নায়ক হন মেজর, মেজর হন কর্নেল, কর্নেল হন ব্রিগেডিয়ার, আবার কেউবা হন রাষ্ট্রনায়ক। কেউ কেউ আবার নিজেদের ভেতর কামড়াকামড়ি করে খুন হয়ে যান সহযোদ্ধার হাতে। দিনের পর দিন আমরা তাদের গল্প, তাদের অতিবেগুনি রশ্মি নিরোধক রোদ চশমার গল্প, তাদের গেঞ্জির গল্প, তাদের বুট জুতার গল্প, তাদের পেশীবহুল ইস্পাত-দৃঢ় শরীরের গল্প প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিই। সে গল্পগুলোর কিছু সত্যি, কিছু অতিরঞ্জিত, কিছু নির্জলা মিথ্যা। তবুও আমরা গল্পগুলো ছড়াই– ভালোবাসার টানে, ঘৃণার বশে, কিংবা নিছক স্বার্থের টানে।
নায়কদের আরেক দল যুদ্ধের শুরুতেই কলকাতায় চলে যান। তাদের কেউ কবি, কেউ গায়ক, কেউ সাহিত্যিক। যখন তাঁদের কথা কল্পনা করি তখন দেখতে পাই কলকাতার নিরাপদ–নিরুপদ্রব পরিবেশ বসে কবি কবিতা লিখছেন, গায়ক গান বাঁধছেন, সাহিত্যিক যুদ্ধের গল্প নিয়ে অমর সাহিত্য লিখছেন। মাঝে মধ্যে পার্টি অফিসে গিয়ে খানিক আড্ডা, ওপার বাংলার কবি–সাহিত্যিক বন্ধুদের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়ে মদের আসর। নয় মাস পরবাসে সুখে–শান্তিতে কাটে তাদের। যুদ্ধ শেষে দেশে ফেরার পর কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে আমরা তাদের আরও বড় নায়ক বানাই। বিভিন্ন পুরষ্কারে ভূষিত করি তাদের। দিনের পর দিন বিদেশের মাটিতে বসে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত তৈরির ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করি। তাদের অবদানের গল্পগুলোকে তাদের লেখা গল্প–কবিতা–সাহিত্যের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। সময়ের পরিক্রমায় তারা ছাড়িয়ে যান তাজউদ্দীন আহমদকেও।
নায়কদের আরেক দল আছে যাদের কেউ কৃষক, কেউ শ্রমিক, কেউ কামার, কেউ কুমার, কেউ জেলে, কেউ মাঝি, কেউ নাপিত, কেউ ছাত্র, কেউ বেকার কিংবা ভবঘুরে – সহজ কথায় জনগণ! যখন তাঁদের কথা কল্পনা করি তখন দেখতে পাই অনাহারে–অর্ধাহারে শুকিয়ে যাওয়া মুখ, পরিশ্রমের ভারে ভেঙে যাওয়া শীর্ণকায় দেহ, কাপড়ের স্বল্পতায় অর্ধ নগ্ন শরীর, বুট জুতোর অনুপস্থিতিতে ধর্ষিতার শরীরের মত ক্ষতবিক্ষত পা, রোদে পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া খসখসে চামড়া, হাতে মান্ধাতা আমলের গাদা বন্দুক। এ মানুষগুলোকে নায়কের আসনে বসাতে গেলে বড় অস্বস্তি লাগে! চোখে রোদ চশমা নেই যার সে কীভাবে নায়ক হয়? খালি পায়ে নায়ক হওয়া যায় কীভাবে? তাই আমরা তাঁদের কথা ভুলে যাই কিংবা ভুলে থাকতে চেষ্টা করি। যুদ্ধ শেষে তারা ফিরে যায় স্ব স্ব পেশায়। পরাধীন দেশের রিকশাচালক যুদ্ধ থেকে ফিরে স্বাধীন দেশের আলো হাওয়ায় রিক্সা চালায়। সময়ের আবর্তে রোদ চশমাওয়ালা নায়কদের পদোন্নতি হলেও রিকশাওয়ালা নায়কদের পদস্খলন হয় বয়স বাড়ার সাথে সাথে। এককালের অকুতোভয় যোদ্ধা প্রাণ বাঁচানোর দায়ে বেছে নেয় ভিক্ষাবৃত্তি। ইতিহাস যেহেতু সবলের হাতে রচিত হয় দুর্বল রিকশাওয়ালা কিংবা কৃষক নায়কদের সাহসিকতার গল্পগুলো অযত্নে, অবহেলায়, মলিন হতে হতে ইতিহাস থেকে মুছে যায় পরবর্তী প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ার আগেই।
স্বাধীনতা যুদ্ধের অগণিত নায়কের ভিড়ে মনের মত নায়ক খুঁজে পেতে তাই অন্ধের মতো হাতড়ে বেড়াতে হয়।অতি লোভে তাঁতি নষ্ট! তাই এক নায়কের ভেতর সব বৈশিষ্ট্য খুঁজতে গিয়ে মনের মতো কাউকে পাওয়া হয় না আর। তারপরও কেউ কেউ যোদ্ধা হিসাবে এত বেশি উজ্জ্বল যে নায়ক হিসাবে মনে ঠাঁই পাওয়ার জন্য তাদের রোদ চশমার প্রয়োজন হয় না; প্রয়োজন হয় না পেশিবহুল ইস্পাত-দৃঢ় শরীরের। এমনই একজন নায়কের নাম আবদুল কাদের সিদ্দিকী।
বাংলাদেশের মানুষ ভালোবেসে তাকে বাঘা সিদ্দিকী নাম দিয়েছে। দিয়েছে বঙ্গবীর উপাধি। স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার তাঁর অবদানের স্বীকৃতি দিতে তাঁকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করেছে। ভিনদেশের লেখকেরা তাঁকে নিয়ে লিখেছে উপন্যাস। সে উপন্যাস পড়ে দ্বিতীয়–তৃতীয় প্রজন্মের বাঙালি সন্তানেরা দেশের প্রতি ভালোবাসার কিয়দংশ বাঘা সিদ্দিকীর প্রতি অনুভব করেছে। মনে মনে তাকে বসিয়েছে নায়কের আসনে।
স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। রাজনীতি করতে গেলে চুরিদারি করতে হয়, এলাকার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা না মারতে শিখলে রাজনীতিতে টেকা যায় না। তাই দেশের বাকি সব মন্ত্রী–এমপির মতো কাদের সিদ্দিকীর টাঙ্গাইলে বহু অর্ধনির্মিত সেতু ‘টাঙ্গাইল’ হয়ে থাকে। যে কাজে দেশের কোন মন্ত্রী–এমপির অপরাধ হয় না সে কাজে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকেও অপরাধী সাব্যস্ত করা শোভা পায় না। তাই তো কাদের সিদ্দিকীর নায়কের আসন অটল হয়ে থাকে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর!
হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন:
আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
নষ্টদের দানবমুঠোতে ধরা পড়বে মানবিক
সব সংঘ–পরিষদ; চলে যাবে, অত্যন্ত উল্লাসে
চলে যাবে এই সমাজ–সভ্যতা–সমস্ত দলিল–
নষ্টদের অধিকারে ধুয়েমুছে, যে–রকম রাষ্ট্র
আর রাষ্ট্রযন্ত্র দিকে দিকে চলে গেছে নষ্টদের
অধিকারে। চলে যাবে শহর বন্দর ধানখেত
কালো মেঘ লাল শাড়ি শাদা চাঁদ পাখির পালক
মন্দির মসজিদ গির্জা সিনেগগ পবিত্র প্যাগোডা।
অস্ত্র আর গণতন্ত্র চ‘লে গেছে, জনতাও যাবে;
চাষার সমস্ত স্বপ্ন আস্তাকুড়ে ছুঁড়ে একদিন
সাধের সমাজতন্ত্রও নষ্টদের অধিকারে যাবে।
সময়ের সাথে সাথে সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যায়। প্রতিটি বস্তুর যেমন মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ থাকে তেমনি কালের আবর্তে মানুষেরও মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রগতিশীলতার ধ্বজাধারী মানুষেরা পচে গিয়ে চরম প্রতিক্রিয়াশীল ধার্মিক মোল্লায় পরিণত হয়। কিন্তু হুমায়ুন আজাদের কথাগুলোকে নির্মমভাবে ভুল প্রমাণ করে টাঙ্গাইলের কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল হয়ে থাকেন নষ্ট না হওয়া মানুষ হিসাবে।
১৯৯১ সালে গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব দেয়ার প্রতিবাদে কাদের সিদ্দিকী তার বীর উত্তম খেতাব বর্জন করেন। আমরা মুগ্ধ হই! অপেক্ষা করি কাদের সিদ্দিকী কবে পচে যান তার দেখার জন্য।
২০০৫ সালে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাথে সংলাপে স্বাধীনতাবিরোধীদের দল জামায়াতকে সরকার ও জোট থেকে বহিষ্কারের জন্য সময় বেঁধে দেন। আবারো শুরু হয় অপেক্ষার পালা। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখের জন্য অপেক্ষা।
২০০৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী নির্বাচন কমিশনকে প্রথম প্রস্তাব দেন, নির্বাচনে যেন যুদ্ধাপরাধীদের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। আমরা মুগ্ধ হই, সবকিছু পচে যায় কিন্তু কাদের সিদ্দিকীর মন যেন ফরমালিন দেয়া ইলিশ মাছ!
কালের আবর্তে ২০১১ সালে এসে অবশেষে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী হার মানেন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের কাছে। বাঘ থেকে বিড়ালে রুপান্তর ঘটে তার। বাকি সবার মতো বাঘা সিদ্দিকীও ভিড়ে যান নষ্টদের দলে। ৮ ডিসেম্বর ২০১১ সালে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় “প্রধানমন্ত্রী হত্যার ষড়যন্ত্র–৩” নামক এক লেখায় তিনি লেখেন:
একজন রাজনৈতিক মানুষ হিসেবে রাজনীতিকে লাঞ্ছিত, অপমানিত করলে বড় বেশি ব্যথা পাই। আমি জামায়াতের পাকিস্তান প্রীতি বিরোধী মানুষ। মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা, নারী ধর্ষণ এসব মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধের বিচারে হাজার বছরের প্রয়োজন হলেও আমাদের তা করতে হবে। কিন্তু তাই বলে বর্তমান রাজনীতির কারণে কোনো জামায়াতি অহেতুক অপমানিত, লাঞ্ছিত হোক তা কারও কাম্য নয়।
মনে পড়ে যায় পত্রিকায় দেখা সেই বিখ্যাত ছবিটির কথা! ১৯৭১ সালের ১৮ই ডিসেম্বর পল্টন ময়দানে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী রাজাকার সন্দেহে ধৃত বিহারীকে নিজ হাতে হত্যা করছেন।
খুব জানতে ইচ্ছা করে চল্লিশ বছরে একজন মানুষের চিন্তা চেতনা পুরোপুরি উল্টে যায় কীভাবে?
পৃথিবীর সবার কাছ থেকে লুকানো সম্ভব কিন্তু নিজের কাছ থেকে লুকানো যায় না। তাই জানতে বড় ইচ্ছা হয় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী মাঝরাতে অকারণে ঘুম ভেঙে উঠে বাথরুমে গিয়ে মুখ ধোবার সময় আয়নায় নিজের চোখের দিকে তাকিয়ে কী ভাবেন! তার কি চল্লিশ বছর আগে পল্টন ময়দানে নিজ হাতে হত্যা করা সেই বিহারী রাজাকারটির জন্য মায়া হয়? তিনি কি চল্লিশ বছর আগে নিজের কৃতকর্মের জন্য গ্লানিবোধ করেন?
কিংবা কে জানে, হয়তো বঙ্গবীরদের কখনো মাঝরাতে হুট করে ঘুম ভাঙ্গে না!
মন্তব্য
- বলার ভাষা নেই। কারণ স্বপ্ন দেখতে আজকাল ভয় করে। কারণ যাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখি ওরাই তো দেখি স্বপ্ন চুরি করে নিয়ে যায়।
সারারাত জেগে আছি, সকালটা শুরু হল অসাধারণ দুটো লেখা দিয়ে,
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
দ্রোহী দা,
এই দেশে রাজনীতি মনে হয় নেতাদের আমানুষ বানিয়ে দেয়............যে কাদের সিদ্দিকীর নাম শুনলে ৭১ এ পাক বাহিনী ভয় পেত, ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যিনি আবার হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন তাকেই আজ দেখি রাজাকারদের তাবেদারী করতে............
আসলেই রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
দোয়া করবেন............ইচ্ছা আছে রাজনীতিবিদ (রাজনীতিজীবি নয়) হওয়ার......... কাছের মানুষদের সবসময় বলি "দেখিস একদিন.................."
love the life you live. live the life you love.
এই পঁচন বছর পুরাতন। ২৭/৩/২০১০ এই লেখা্য় কাদেরকে দিয়ে বলাচছে:
“Those who brought out procession for Pakistan should not be termed as war criminal. The members of Rajakar or Al Badar would also be not termed as war criminal. There is no one who can claim the independence of Bangladesh as their sole property. Those who fought for liberation and those who didn’t, all are equal in the eyes of independence. But who committed looting, arson, killing and raping as well as directed to commit so, they are war criminals. Of course they must face justice. I will be raising such demand ahead of my last breath. No one can be cheaply attributed as war criminals for putting opinion in favor of Pakistan. On the other hand, ahead of being convicted no one can be attributed as war criminal. The state should take the responsibility to find the genuine war criminals. It is not fair to ask for the names of war criminals advertising in radio, television and newspaper”.
বুঝতে পারছি আমি মৃত সচলদের একজন হয়ে যাচ্ছি। ল্যাববুক লিখতে লিখতে এই মন্তব্যটার জন্য আপনি ফেরালেন।
কিছু বলার নেই। আমরা হেরে যাওযা মানুষ। আমরা হেরে যাওয়া জাতি। আমাদের নায়কেরাও বিক্রী হয় যায়! আমাদের আর আশা থাকলো কই!
লেখাটার জন্য
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কাদের সিদ্দিকী আজ তাদের সিদ্দিকী।
লেখাটা খুব ভালো লেগেছে।
এটাতো ঘটবেই। আমি নিশ্চিত অনেক মুক্তিযোদ্ধা এখন মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনা মারার জন্য অনুতপ্ত বোধ করেন। ছাত্র শিবির করা কত ছেলের বাবা, ভাই, আত্মীয় স্মজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এ দেশটার অর্ধেক অংশে গ্যাংগ্রিন হয়েছে। ধীরে ধীরে পুরোটাই পচে যাবে।
স্যালুট বস। কাদের সিদ্দিকী যদি আজ চাঁদের দিকে তাকিয়ে তাদের কথা চিন্তা করে, তাহলে আমরা আমাদের শেষ নায়ককেও হারালাম। এর পরের পর্ব হবে, কোন এক রাজাকারের নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করার। অসাধারণ এই লেখার জন্য আবারও স্যালুট দ্রোহীদা।
রাজাকাররা বেশি ভয়ংকর নাকি সম্পূর্ণভাবে স্মৃতিবিলোপ ঘটা এই মুক্তিযোদ্ধারা ভয়ংকর, বুঝতে পারি না.......
। অন্যরকম এবং চমৎকার একটা লেখা পড়লাম দ্রোহীর...।
... ... ...
একদিন সব কিছু গল্প হয়ে যায়।
অনেক ভালো লেখা ভাইয়া। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্ভবত যোগ করা যেত -- বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর কাদের সিদ্দিকী সম্ভবত প্রথম মানুষ যিনি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেছিলেন। কাদের সিদ্দিকীর এই ধীরে ধীরে বিপরীত শিবিরে ভীড়ে যাওয়ার পেছনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের অদূরদর্শীতারও একটা ভূমিকা আছে বলে মনে হয়। কিছুদিন আগে তো শওকত মোমেন শাজাহান নামে এক আবুলটাইপের সাংসদ ঘোষণা করেছিল যে, কাদের সিদ্দিকী নাকি একাত্তরে যুদ্ধাপরাধী ছিল।
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
আমি আর আশা করি না, কোনও কিছুর, কারও। সব কিছুই নষ্টদের অধিকারে চলে যায়...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ইমোশন টাইপের ফালতু ব্যাপার স্যাপার শুধু আমজনতার থাকে- আমি মোটামুটি ২০০% নিশ্চিত কোন রাজনীতিবিদেরই, সে যে দলেরই হোক, কোন ইমোশন থাকে না। এইটাও নিশ্চিত যে কাদের সিদ্দিকী এইটা বলে যেমন কোন অনুতাপ বোধ করে নাই, তেমনি অন্য কোন রাজনীতিবিদও এতে বিন্দুমাত্র অবাক হয় নাই। এই বিস্ময় একান্তই আমজনতার। লাগবেন বাজি ?
অলমিতি বিস্তারেণ
আমরা আহত হই, ক্ষত বিক্ষত হই, সময় পচে যাচ্ছে.................
_____________________
Give Her Freedom!
কেডা জানি কইছিলো না, বিপ্লবীরা বেঁচে থাকলে প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে যায়
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমি মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্মের একজন মানুষ। অনেক কিছু হারিয়েছি। অনেককে সবকিছু হারাতেও দেখেছি।
বিগত চল্লিশ বছর ধরে দেখছি সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যাচ্ছে।
লেখাটি এবং মন্তব্যগুলো পড়ে আবারও আশা করতে ইচ্ছে হয়, আমরা যা পারিনি এই প্রজন্ম অথবা আগামী প্রজন্ম ঠিকই দেশটাকে সঠিক জায়গায় নিয়ে আসবে। লেখাটি আমাকে বড্ড আবেগায়িত করে ফেলেছে।
_________________
[খোমাখাতা]
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমি বইপত্রে যা পড়ছি, তা'তে বিভিন্ন ঘটনায় প্রায় সব সময়ে দুই জন মানুষকে নায়ক চরিত্রে দেখছি। kakaকাদের সিদ্দিকী এবং খালেদ মোশাররফ। এছাড়া জাহাজ মারা হাবীব (পুরো নাম জানি না, বইতে এই নামেই পাইছি) এর নামও দেখছি। খালেদ মোশাররফ যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে (১৯৭২-১৯৭৫) কি করছেন, সেই সব ঘটনা পাই নাই কোথাও। ৭ই নভেম্বর তার ভূমিকা কি সেটাও স্পষ্ট করে কোথাও বলা নাই। কেউ কোনো রেফারেন্স দিলে ভালো হয়। কাদের সিদ্দিকীর অধীনে প্রায় (সম্ভবতঃ) ৪০,০০০ অসামরিক/আধা-সামরিক মুক্তিযোদ্ধা ছিল, সেটা সহজ কথা না! কিন্তু আমার এসব বোঝার জ্ঞান হবার পর উনার কর্মকান্ড দেখে amamআমি বই-পত্রের কাদের সিদ্দিকীর সাথে বাস্তবের লোকটাকে মিলাতে পারি নাই। ইতিহাসের নায়কেরা বইয়ের পাতায় থাকলেই ভালো বোধহয়।
একটা প্রায় iঅফটপিকঃ ইস্কুলের বইপত্রে তেমন কাউকেই মুক্তিযুদ্ধের নায়ক হিসেবে বর্ণনা করা হয় নাই। নায়ক সূলভ কোন ঘটনার বর্ণনাও দেখি নাই। এইগুলা কেন করা হইছে কে জানে? এইভাবে ইতিহাস লিখা সোজা বলে, নাকি এইভাবে লিখলে ইতিহাস সহজে "পরিবর্তন" করা যায়?
শেষ বয়সে এসে এই অপকর্মগুলো না করলে কী ক্ষতি হতো এর বা এদের মতো আরো অনেকের?
লেখায় পাঁচতারা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মজার ব্যাপার হলো, অনেক ছাগু এই পোস্টে দেয়া ছবির বরাত দিয়ে মুক্তিয়োদ্ধাদের বিচার দাবী করে। সেই হিসাবে কাদের সাহেব নিজের ইয়ে নিজে মারার ব্যাবস্থা করছেন। এই নাহলে বঙ্গবীর!
জানতে চাই, তারা কেমন এমন করে, কিসের আশায়, কিসের লোভে, কিসের মোহে ! এমন কেন হয় !
facebook
বড় হয়ে উঠার দিনগুলোতে আমার চোখে নায়কের আসনে ছিলেন তিনি। এমনকি ৭৫ পরবর্তি সময়টাতে সব ছেড়ে ছুড়ে নায়কের পেছেনে ভেরার আয়োজন প্রায় সম্পন্ন হলেও কোন একটা কারণে ওপারে আর যাওয়া হয়নি। ভাগ্যিস হয়নি, না হয় এখন না যেতে পারার যন্ত্রণার চাইতে হয়তো কেন গিয়েছিলাম সেই আক্ষেপ আরো বড় হয়ে দেখাতো।
বা, এমনও হতে পারতো আমিও এখন গামছা গলায় ঘুরছি। ভাগ্যিস...
...........................
Every Picture Tells a Story
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
একবারের রাজাকার আজীবন রাজাকার। একবারের জন্যও রাজাকার হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেখি না।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
কাদের সিদ্দিকীকে নিয়ে এই লেখাটা আমার জন্য খুবই কষ্টের। আমরা থাকতাম মৌলভীবাজারে। বয়স যখন ৬ তখন ঢাকা আসি। উঠি কাদের সিদ্দিকী এর এক বাসা পরের বাসায়। ছিলাম প্রায় ২০-২৫ বছর এক সাথে। ছোট থেকে ওনার গল্প শুনেছি বাবা চাচার কাছে। আর কাছ থেকে দেখেছি তার ব্যক্তিত্ব। কাদের সিদ্দিকীর একটু সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য কত হাজার অজুহাতে তার বাড়িতে ঢুকেছি। বাড়ির দারোয়ান থেকে ড্রাইভারদের সাথে বন্ধুত্ব পাতিয়েছি। উনিও যথেষ্ঠই স্নেহ করতেন পারার সব শিশুদের। তারপর যখন সেতু কাহিনী পড়লাম, কী যে হল - এক মুহূর্তে আমার শৈশবের নায়কের অধঃপতন। কাদের সিদ্দিকী আমার চোখে তখন থেকেই মৃত - তিনি গামছা পড়ে লোক হাসান আর জামাতের শোকে অধীর হন আমার আর কিছুই যায় আসেনা
লেখাটা খুব ভালো লাগলো।
মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়। কেউ কেউ এতোটাই বদলায় যে নিজের পিতৃ-মাতৃ পরিচয়টাও ভুলে বসে।
চমৎকার মেম্বর! এমন লেখা আপনার পক্ষেই লেখা সম্ভব।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
একদিকে রিকনসিলিয়েশন হয়, অন্যদিকে যাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমরা নতুন একটা যুদ্ধ করতে পারতাম, তাদের মুখগুলো ক্রমাগত ঝাপসা হয়ে যেতে থাকে।
হতাশা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে উঠছে দিনদিন।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
লেখাটা অসাধারন। ধন্যবাদ।
কাদের সিদ্দিকীও একদিন মেজর জলিলের পথে হাঁটবে এটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু সময়ের ব্যাকটেরিয়া সবকিছুতেই পচন ধরায়।
কারো কারো হয়তো মনে আছে আশির দশকে কাদের সিদ্দিকী যখন ভারতে নির্বাসিত, তখন কাদের সিদ্দিকী প্রত্যাবর্তন কমিটি বা সেরকম নামের একটা কমিটি ছিল যার প্রধান ছিলেন আজকের আবদুর রাজ্জাক। কাদের সিদ্দিকীকে দেশে ফেরার সুযোগ দেবার জন্য সরকারকে চাপ দেবার জন্য কাজ করতো দলটি। অনেক খ্যাতনামা মানুষকে দেখেছি সেই কমিটির সাথে কাজ করতে। আমাদের সদ্য কৈশোরোত্তীর্ন সেই তরুণ বয়সে কাদের সিদ্দিকী একজন নায়ক। আমরা ভাবতাম কাদের সিদ্দিকী দেশে ফিরলে বদলে যাবে অনেক কিছু। কাদের সিদ্দিকী দেশে ফিরলে গোলাম আজম ভয় পেয়ে পাকিস্তান চলে যাবে আবার।
আমাদের স্বপ্নটা কতো হাস্যকর ছিল তা জানতে আরো বিশ বছর অপেক্ষা করতে হলো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আপনার এই মন্তব্যে লক্ষ-কোটি তারা ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
অসম্ভব ভালো একটা লেখা!
অসাধারণ সুগঠিত একটা লেখা। পড়ে অসম্ভব ভালো লাগলো। এমন কিছু কথা যা জেনে বুঝেও বলতে পারিনি (কিংবা বললেও সেটা প্রচ্ছন্নই থেকে গেছে), সেই কথাগুলোকেই তুলে এনেছেন সুস্পষ্ট করে। সাধুবাদ জানাই বিজয়ের মাসে এমন একটি সময়পযোগী লেখার জন্য।
কেউ একজন বলেছিলো, "রাজাকার চিরকালই রাজাকার, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা চিরকাল মুক্তিযোদ্ধা নাও হতে পারে।"
কাদের সিদ্দিকী, খোকারা বারবার সেটাই মনে করিয়ে দেয়।
______________________________
বাংলামায়ের ছেলে
দুঃস্বপ্নগুলো বাস্তব হয়ে ফিরে আসে বারবার ...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আপনাকে স্যালুট, বস ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আমি তবুও আশাবাদী। পচে যাওয়াগুল তাড়াতাড়ি ফেলে দিলে, দুর্গন্ধ ও হবেনা, ভালো গুলো ও সংরক্ষন করা যাবে। আমাদের কে নষ্টদের নষ্ট করার কাজ শুরু করতে হবে......।
"সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে"- এ লাইনটা আজকাল এত বেশি সত্য হয়ে গেল কেন!!
লেখাটা দারুণ হয়েছে..
'ভালোবাসা যদিও শরমের ব্যাপার, তয় এইটার দরকার আছে'- বহুব্রীহি'র কাদেরের এই অমর উক্তির সাক্ষাৎ প্রতিফলন হলো বাঘা সিদ্দিকী কাদেরের আজকের অবস্থান। শরমের ব্যাপার, এটা জেনেও দরকারী বলেই তিনি জামাতি-রাজাকারদের প্রতি ভালোবাসায় কুণ্ঠাবোধ করছেন না আর।
অফটপিকে একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করি। তিন-চারদিন আগে বিডিনিউজে দেখেছিলাম একজন মুক্তিযোদ্ধার মৃতদেহকে পুলিশ সালাম না জানানোয় স্বরাস্ট্রপ্রতিমন্ত্রী সাহেব বেশ হাদুমপাদুম করছেন। খবরটার লিংক পাচ্ছিলাম না কালোবধি। আজকে দেখলাম, পুলিশের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে 'দায়িত্বে অবহেলা' খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিটি। আমার খুব ইচ্ছে জাগছে, স্বরাস্ট্রপ্রতিমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করি, আপনার রাস্ট্র কি একজন দায়িত্ববান মুক্তিযোদ্ধার প্রতি সঠিক দায়িত্ব পালন করেছে মহামান্য? আপনার লজ্জা করে না একজন মুক্তিযোদ্ধা যখন 'হতদরিদ্র' আখ্যা পান মারা যাওয়ার পরে! কাদের ত্যাগের বিনিময়ে আপনি এবং আপনারা আজকে মন্ত্রীত্ব করছেন? মরার পরে একজন মুক্তিযোদ্ধার কফিনে জাতীয় পতাকা মোড়ালে আর পুলিশ দিয়ে সশস্ত্র সালাম জানালেই আপনাদের দায়িত্ব শেষ? বেঁচে থাকতে মুক্তিযোদ্ধা দুলাল মিয়ার জন্য আপনারা কী করেছেন এখন যে মুখ বড় করে ঢাউশ সাইজের কথা বলে যাচ্ছেন!
দায়িত্বে অবহেলার জন্য যদি পুলিশের দুই কর্মকর্তার শাস্তি হয় তাহলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিটা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সঠিক দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা কেনো শাস্তিযোগ্য হবে না?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অনেকটা ছোট পরিসরে হলেও এই যুদ্ধটা আমি-আপনিও একসাথে করেছি, করছি। জানেন যুদ্ধে সবাই একই কারণে যায় না, একই উদ্দেশ্যে যায় না। কাদের সিদ্দিকীকে নিয়ে এ ধরনের লেখা আগে কেন আসে নি, এটাই বিস্ময়ের ব্যাপার।
লেখার কিছু দুর্বল দিক নিয়ে বলি:
১) লেখা পড়লে মনে হয় খারাপের দিকে বদলে যাওয়াই যেন নিয়তি এবং অতি স্বাভাবিক। আমার মতে, মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে তাদের আদর্শ থেকে সরে না যাওয়াই আসলে স্বাভাবিক। যারা সরে যায়, তারা সংখ্যালঘু এবং অস্বাভাবিক কেস।
২) কাদের সিদ্দিকী ২০১১তে এসেই বদলান নাই। উপরে দুর্দান্ত ভাই একটা মন্তব্যে বলেছেন। দিগন্ত টিভিতে চেহারা দেখাতে যাওয়া কারো পঁচতে ২০১১ পর্যন্ত আসতে হয় না।
৩) স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যক্তির ক্রেডিট থাকে; কিন্তু যুদ্ধের কারণ ও চেতনা ব্যক্তির সাথে টাইটলি কাপলড না। ব্যক্তি বদলালেও যুদ্ধের চেতনা বদলায় না। এমনকি তখন যুদ্ধ করা প্রত্যেকটা মুক্তিযোদ্ধাও যদি আজ গোলাম আযমের ভক্ত হয়, তাতেও ৭১ বদলায় না। পোস্টে এই জিনিসটা স্পষ্টভাবে আসা দরকার, যাতে পঁচে যাওয়াদেরকে ছাগুরা ঢাল বানাতে না পারে।
৫ তারা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আপনার শেষ পয়েন্ট টা অসাধারণ মনে হ্ল.........।।ধন্নবাদ।
অটঃ বছরে দুইবছরে না, মাঝে মাঝেই এরকম পোস্ট লেখা দরকার আপনার!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
"মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধঃ একটি রূপকথা" ২০৫০ এর আগেই না বের হয়ে যায়।দেশের রাজনীতি ও ইতিহাস নিয়ে বরাবরি উদাসীন ছিলাম,কাদের সিদ্দীকি এর নাম জানতাম না।এক ভাঙ্গা ব্রিজের জন্য স্থানীয় একজন দেখলাম তার নামে বেশ দুকথা শুনালো,পরে আমার এক বন্ধু মুক্তিযুদ্ধের সময় ও পরে কাদের সিদ্দীকির কিছু কথা শুনালো,দুইজন মানুষকে কিছুতেই মিলাতে পারলাম না।
অসাধারণ
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন