জেরোম মিট্রাল - না, কোন হাই অলটিচ্যুড লো ওপেনিং প্যারাসুটের নাম নয় – আমাদের বন্ধুর নাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে ফ্রান্স থেকে সে এসেছিলো মাস তিনেক আমাদের সাথে কাজ করার জন্য। এসেই সে যে জিনিসটির প্রেমে পড়ে গেল তা হচ্ছে একটা লুঙ্গি।
লুঙ্গি বিষয়ে তার বক্তব্য হচ্ছে – এটা খুব আরামদায়ক, নীচে অটোমেটিক এসি ফিট করা থাকায় বাতাস চলাচলে সমস্যা হয় না। আর তাই অতিরিক্ত গরমে ব্যক্তিগত যন্ত্রের তেমন কোন সমস্যা হয় না।
আমরা ৪ বন্ধু একসাথে কাজ করতাম – জেরোম আসার পর সেটা বেড়ে ৫ এ দাড়ালো। সারাদিন ধরে কাজ করি – কাজের ফাঁকে ফাঁকে সেলিমের দোকানে চা – বিড়ি, মিলন ভাইয়ের ক্যান্টিনে কলা – পাউরুটি, এভাবেই দিন চলছিল।
কথা বলতে গিয়ে দেখা গেল – আমরা ফ্রেঞ্চ জানি না, জেরোম বাংলা জানে না। আমরা যাও একটু-আধটু ইংরেজি জানি, জেরোম তাও জানে না। সুতারাং সিদ্ধান্ত নেয়া হল জেরোমকে বাংলা শিখাতে হবে।
“হোয়েনেভার য়্যু সি আ বিউটিফুল গার্ল, য়্যু হ্যাভ টু সে – কড়া মাল!” এই ছিলো জেরোমের বাংলা ভাষার প্রথম পাঠ। কালক্রমে সে কড়া মাল, পচা মাল, ফাটাফাটি মাল, মোটামুটি মাল ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার মালামালের শ্রেণীবিভেদে পারঙ্গম হয়ে উঠলো। এছাড়াও খাঙ্কির প্লা, মাদারাচ্যুৎ গালি দুটিতে সে আমাদের চাইতেও বেশি দক্ষ হয়ে উঠলো। ‘গুড বয়’, ‘গুড গার্ল’ শব্দদুটির বাংলা প্রতিশব্দ হিসাবে ‘পুলা ভালা’, ‘মাইয়া ভালা’ শব্দ দুটি ব্যবহৃত হতে লাগলো দেদারসে।
একদিন আমি ডিপার্টমেন্টে বসে কাজ করছি। জেরোম কোথা থেকে এসে আমাকে একগোছা চাবি দিয়ে বললো. “খাঙ্কির প্লা, তুরে পুটকি মারি!”
আমি তার কথা শুনে পুরোপুরি তবদা মেরে গেলাম।
জিজ্ঞাসা করলাম, “হাউ ডিড য়্যু লার্ন দিস?”
সে আমাকে বললো, নিপুন তাকে বলেছে – কারও কাছে যদি তুমি তোমার চাবি জমা রাখতে চাও তখন বলতে হবে – খাঙ্কির প্লা, তুরে পুটকি মারি।” পুটকি – যার অর্থ কিনা চাবি রাখা, আগে থেকেই এটুকু জানা ছিল বলেই বাক্যটা মুখস্থ করতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি তাকে।
জেরোম থাকতো নিপুনের বাসায়। সেই বিল্ডিংয়ের নীচ তলায় থাকতো আমাদের আরেক বন্ধু অলিন। একদিন অলিনের বাসায় জেরোম সহ সবার নিমন্ত্রন পড়ল।
টুকটাক কথা চলছে, খাওয়া-দাওয়া চলছে। অলিনের বাবা – মা, সবাই মোটামুটি বিশাল একটা গ্রুপ একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া চলছে।
হঠাৎ করেই অলিনের বাবা জেরোমকে বললেন, “শুনলাম তুমি নাকি বাংলায় কথা বলতে পারো। আমাদের দুই একটা শোনাও তো।”
জেরোম কালবিলম্ব না করে বললো, “মাদারাচ্যুৎ, খাঙ্কির প্লা, তুরে পুটকি মারি।”
মন্তব্য
দ্রোহী সমগ্র বের হওয়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
______ ____________________
suspended animation...
খাইছে!!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্করা পড়তে পারবে, শুরুতেই লেখা আছে। তাই পড়লাম না। বড়ো হলে পড়বো।
ততোদিনে "দ্রোহীসমগ্র" বেরিয়ে যাবে আশা করা যায়।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
খাইছে..........গুরু আপনিও?
কি মাঝি? ডরাইলা?
হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাইতেসি।
সেইরমমমমমম।
আমি প্রাপ্তবয়স্ক কিনা, দাড়ান,আম্মারে জিগাইয়া আসি।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
দ্রোহী ভাই অন ফায়ার...মুহাহাহাহাহাহাহাহাহা
আমার বয়স এখনও প্রাপ্ত হয় নাই...তয় বুঝেনই তো যত সব নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতিই অপ্রাপ্তদের আকর্ষন...সবই বয়সের দোষ ...আমার না।:D
দৃশা
ও মাই গড...হা হা হা হা হা হা হা হা হা
--তিথি
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
হাঃ হাঃ হাঃ।
ভাই রোজা টা আমার মনে হয় কেঁচে গেছে!
(একে তো প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য লেখা পড়লাম, তার উপর হাসতে হাসতে মনে হয় কাশি গিলে ফিলেছি)
-----------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
সাবধানে হাসবেন। অভিজ্ঞতা বলে যে বেশী জোরে হাসলে তার সমাপ্তি পাদের ভেতর দিয়েই হয়।
কি মাঝি? ডরাইলা?
মিয়া রোজা রমজানের দিন কই আল্লা বিল্লা করবেন সেইটা না... এইসব নাজায়েজ শরীয়াহ বিরোধী পোস্ট বন্ধ করার জন্য ব্লগে ব্লগে ইসলামী আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
আমাকে ট্রেজারারের পদখানা দেবার ব্যাপারে কদ্দুর কি করা যেতে পারে?
কি মাঝি? ডরাইলা?
দ্রোহী তো ক্রমেই আমার প্রিয় লেখকদের তালিকার উপর দিকে চলে আসছেন।
আপনি যে এতো মজার লেখা লেখতে পারেন সেটা তো জানতাম না।
আপনার বাবু বড়লোক আছেন। মাখন খান, দেবী ××× পরী বার করেন।
আমরা শালা বাবু গরীব লোক আছি। শুটকী খাই, পুটকি ×××, ভুত ××× পেত্নী বার করি।
---ধন্যবাদ গুরু। অকুন্ঠ প্রশংসার জন্যে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গেসে রোজা-রমজানের দিনে, এই কমেন্ট পড়ার পর।
পুরা ব্যোম অশ্লীশ!
গুরু, আরো কিছু ছাড়েন।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
অশ্লীশ। একদম চাবি রেখে দেয়া।
হাঁটুপানির জলদস্যু
পুরা!!!!!!!!!!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
হাসতেই আছি
জোস লেখা
ধন্যবাদ।
কি মাঝি? ডরাইলা?
আস্তাগফিরুল্লাহ!
-যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
নাউজুবিল্লাহ... তয় মজাদার
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
কি মাঝি? ডরাইলা?
ভালৈছে । মিট্রাল মিয়া এইবার তার ফরাসী বান্ধবীগো বাংলা ভাষা শিখাক ।
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হা হা হা ভাল কইছেন
==============================
আমিও যদি মরে যেতে পারতাম
তাহলে আমাকে প্রতি মুহূর্তে মরে যেতে হত না।
অছলীল হৈছে।
পড়লাম , হাসলাম , সবার মন্তব্য দেখলাম । তবে সবার খুব ভাষার ঙ্গান আছে।
চরম!!!!!!!!!!!!
তবে একটা সমস্যা আছে।পুটকি মারি লিখে গুগলে সার্চ মারলাম। একদম প্রথমে দ্রুহী ভাইয়ের ব্লগ আসছে। যারা বাংলা ভাষা শিখতে আগ্রহী তাদের জন্য ব্যাপারটা বিপদজনক। কারণ তারা ভাবতে পারে পুটকি মারি মানে আসলেই চাবি রাখা।
=))
কিন্তু তারপর কী হয়েছিলো ? সেইটা জানতে চাই দ্রোহীদা!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ছিহ! আপনি এত্ত খ্রাপ!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
খুবই মজা পেলাম দ্রোহী ভাই।
রাতঃস্মরণীয়
চরম মজা পাইলাম
facebook
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অমানুষিক বিনুদন--
এরপরে কি হৈল-- তা কিন্তু কন্নাই মেম্বার ভাই--
পথিক পরাণ
আপনার লেখা আমার ভাল লাগে। কিন্তু এই লেখাটি ভাল লাগেনি। একজন বিদেশী কে গালি শিখিয়ে মজা পাবার কি আছে? আর মেয়েদের মাল বলা যে অসন্মানের সেটা আশাকরি আপনি জানেন।
আপা, এটা দশ বছর আগের ঘটনা। দশ বছর আগে মেয়েদের মাল বলাটা অসন্মানের হলেও সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোর বয়স ছিলো না। তখন দুনিয়াটাকে অন্যরকম মনে হতো।
আর বিদেশিকে গালি শেখানো বা তার কাছ থেকে বিদেশি গালি শেখার পেছনে কোন মহৎ বা অসৎ উদ্দেশ্য নাই। এটা অনেকটা হরলিক্স এমনি এমনি খাওয়ার মতো ব্যাপার ছিলো।
ডাকঘর | ছবিঘর
এই রকম সস্তা মার্কা লেখা সচলের লোকজনের এত ভাল লাগছে দেইখা আশ্চর্য হলাম ।
সারাক্ষণ আর্ট ফিল্ম দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে লোকজন মাঝেমধ্যে মুনমুন-ময়ূরীর সিনেমা দেখে ফেলে। এইটাও সেইরকম একটা ব্যাপার আর কী।
দ্রোহী ভাই, আপনে কই। কদ্দিন কিছু মিছু লেখেন না !!
হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেল।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
নতুন মন্তব্য করুন