গিন্নী আর ছোট ভাই মইনুদ্দিন – ফকরুদ্দিন সাহেবের সংসারে প্রাণী বলতে এই তিন জন। কারওয়ান বাজারে কাঁচামালের আড়ত খুলে দু’হাতে বিস্তর কাঁচা পয়সা হাতিয়েছেন তিনি। দেখতে তিনি বেশ – যেমন নাকে – মুখে, তেমনি বুকে – পিঠে! দৈর্ঘ্যে ছোট ভাই মইনুদ্দিনের অর্ধেক হলেও প্রস্থে তিনি বেজায় সুপ্রশস্থ।
আজ সকাল থেকেই দুধওয়ালা, খবরের কাগজওয়ালা, জুতো সেলাই ইত্যাদির উৎপাতে ধরাশায়ী হয়ে আছেন ফকরুদ্দিন সাহেব – মানে ধরার সাথে সমান্তরালে বিছানায় শায়িত হয়ে রয়েছেন। মইনুদ্দিন ঘরে ঢুকে দেখলো বালিশ বুকে নিয়ে উৎপাত (উপুড় হয়ে পতিত) হয়ে খবরের কাগজ পড়ছেন ফকরুদ্দিন সাহেব!
মইনুদ্দিনকে দেখেই একটা সবজান্তা ভঙ্গি করে প্রশ্ন করলেন ফকরুদ্দিন সাহেব, “কমান্ডো কাকে বলে জানিস? বলতে পারিস কিছু?”
মইনুদ্দিন কথাটা ভালোভাবে শুনতে পেল না। সে উল্টো প্রশ্ন করলো, “কার অন্ড বললে? কার কথা বলছো দাদা?”
“আরে অন্ড না – বলছিলাম কমান্ডোর কথা।” ছোট ভাইয়ের বোকামীতে বিরক্ত হয়ে বললেন তিনি।
“ও – সেতো অতি সহজ কথা। কম আর অন্ডের সন্ধি হলেই কমান্ডো হয়।অন্ড কমে গেলেই – কম পড়লেই তাকে কমান্ডো বলে!” সাবলীল ভঙ্গিতে বললো মইনুদ্দিন।
ছোট ভাইয়ের কথা শুনে ফকরুদ্দিন সাহেব এমন অবাক হলেন – সে আর বলার মত না! অবাক হয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন। বাকশক্তি ফিরে আসতেই তিনি রাগতঃ স্বরে বললেন, “অন্ড কম পড়লে ক্ষতিটা কি? আর তার সাথে ক্রিকেট খেলোয়াড়দের সম্পর্ক কি? মিলিটারীদেরইবা সম্পর্ক কোথায়? এই দ্যাখ খবরের কাগজে কি লিখেছে – লিখেছে খেলোয়াড়দের পারফরমেন্সের উন্নতির জন্য কমান্ডো ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
মইনুদ্দিন বললো, “সেই তো! একই কথাইতো বলছি –তুমিই খালি বুঝতে পারছো না।”
“তা বুঝিয়ে বললেই পারিস”
“আমাদের সবার দুটো করে অন্ড আছে তাই ত? ঠিক বলছি কিনা? সে দুটো থাকার কারনে দৌড়াদৌড়ি করতে সমস্যা হয় –অনেক হুজ্জতি, জীবনটা একেবারে ভাজা ভাজা করে দ্যায়, একারনেই অন্ড ভাজির আরেক নাম অন্ডফ্রয়েন।”
“তার সাথে ক্রিকেটের সম্পর্ক কি?” সম্পর্ক না থাকলে নতুন করে সম্পর্ক স্থাপনের তাগাদা দেন ফকরুদ্দিন।
“সম্পর্ক আছে – না হলে আর বলছি কি? দ্যাখো না ক্রিকেট খেলোয়াড়রা ব্যাট হাতে নামার আগে অন্ডকোষ বাঁচাতে রাবারের গার্ড পরে নেয় – কেন এই হুজ্জতি করতে যাওয়া? অন্ড না থাকলে কি এত হুজ্জতি করার প্রয়োজন পড়তো?” অন্ডের অপ্রয়োজনীয়তা উপলব্দি করতে পেরে নিজের উপর বিরক্ত হয়ে উঠে, একই সাথে দাদাকে উপলব্দি করাতে পেরে আত্মপ্রসাদ অনুভব করে মইনুদ্দিন।
“গার্ড পরার সাথে কমান্ডো ট্রেনিং এর সম্পর্ক কোথায় খুঁজে পেলি?” ফকরুদ্দিন জিজ্ঞাসা করেন ভাইকে।
“প্রশংসা শুনলে মানুষের পায়াভারী হয় – তা জানো তো? দুই একদিন ভালো খেললে আমাদের খেলোয়াড়দের সেরকম অন্ডভারী হয়। আর সেটা কমাতেই মানে অন্ডের আকার কমাতেই এই কমান্ডো ট্রেনিং।”
মন্তব্য
ভয়াবহ ভালো হয়।
আমার অনুরোধটা রাইখেন। পারলে।
হ্যাঁ রাখবো। হোমওয়ার্কের চাপ একটু কমুক। ওটাও সিরিজ হতে পারে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
কমান্ডো নিয়ে খারাপ কিছু বলে ফেললাম নাকি? বুঝিনিতো!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
এইবার বাংলাদেশের খেলার ধারাবাহিকতার মাজেজা পাওয়া গেলো। একদিন ভালো খেললেই অন্ড ভারী হয়ে যায়। কমান্ডো ট্রেনিংয়ে অন্ড কমিয়ে দেওয়া হয়েছিলো, তারপরেই জয়। এরপর এক ম্যাচ জিতে অন্ডের আকার এতই বেড়ে গেছে যে, খেলবে কি, অন্ড সামলাতেই ব্যস্ত সবাই।
পুরা বিপ্লব। কম অন্ডের গল্প আরও বেশি বেশি চাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
জনগণ, প্রশংসা রয়েসয়ে। দ্রোহী ভাইয়ের না আবার অন্ড ভারী হয়ে যায়
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
তারেক ছেলেটা বড় হয়ে যাচ্ছে।
দ্রোহী ভাই কী কন?
পুরা সেরম।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
জটিলস্য।
এই সিরিজটি চলবে মানে ?একেবারে দৌড়াইবে।
তবে ভাই না রেখে শালা দুলাভাই বা অন্য কোন সম্পর্ক করে দিতে পারেন।
অন্ড নিয়ে দুই ভাইয়ের অন্তহীন সংলাপটা একটু অস্বস্থিকর।(পাঠকের জন্য নয়,ঐ দুই ষন্ডা ভাইয়ের জন্য)
জটিল বস্। তয় 'ককের' মত মাষ্টারপিস হয় নাই। তারপরেও দৌড়ায়।
==============================
আমিও যদি মরে যেতে পারতাম
তাহলে আমাকে প্রতি মুহূর্তে মরে যেতে হত না।
আবার জিগায়
- রেনেসা
bohudin pore dada Harshobardhon aar Gobrar kotha mone porlo, emonee shob jukti chilo tader:)
kono lekhake ki p(n)ache shoya choy deyaar niyom ache?
thakle taai dilaam.......
Snigdha
(banglay type korte paarlam na bole dukhkhito)
পাঁচে পাঁচে তো অন্ড ভারি করে ফেললাম আপনার।
হাঁটুপানির জলদস্যু
অতিথি স্নিগ্ধা নস্টালজিক করে দিলেন। শিবরাম চক্রবর্তীর হর্ষবর্ধন আর গোবর্ধনের কথা বলে।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
হা হা হা! হাসতেই আছি...হাসতেই আছি...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
আমিও হর্ষবর্ধন আর গোবরার কাছ থেকেই আইডিয়াটা পেয়েছিলাম।
মইনুদ্দিন -ফকরুদ্দিনের শালাও হতে পারে। শালাওতো একধরনের ভাই।
কি মাঝি? ডরাইলা?
আমি ভাবলাম এখানে সন্ধি নিয়া কথা হবে। কমা + আন্ডা। মানে আন্ডা হয়েছে। সব দেখি ক্রিকেটারদের বিচি নিয়ে কথা।
হা হা হা জব্বর হইছে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
নতুন মন্তব্য করুন