ছেলেবেলায় লিঙ্গান্তর করতে হয়নি – পড়তে হয়নি এমন ভাগ্যবান কেউ কি আছে? শিবরামের আলেকজেন্ডার থেকে শুরু করে ম্যাসকুলিন, ফেমিনিন, নিউটারের পার্থক্য বার করতে গিয়ে আমারই দম বার হয়ে যাবার দশা হত। বেদম কষ্ট পোহাতে হত। অবশ্য খানিকটা বড় হবার পর লিঙ্গান্তরের চাপ কমে আসে – তাপ বাড়তে থাকে ভিন্ন লিঙ্গের প্রতি – বিপরীত লিঙ্গের আকর্ষণে উত্তপ্ত হতে থাকে অন্তরাত্মা।
বড় হলেই যে লিঙ্গান্তরের ঝুঁকি কমে যায় একথা নিঃসন্দেহে বলতে পারি না। কারো কারো ক্ষেত্রে তা আরো বেড়ে যায়। আজ সেই গল্পই শোনাতে এসেছি। গল্পটা কিন্তু একদম মিথ্যে নয়। বর্ণে বর্ণে সত্যি এক অবর্ণনীয় গল্প।
আমার ভারতীয় বন্ধু আশীষ – না, তার লিঙ্গান্তর ঘটেনি। তার এক বন্ধু – যাকে আমি কখনোই দেখিনি, শুধুই গল্প শুনেছি – তারই গল্প এটা। ধরে নেয়া যাক তার নাম সুমন।
আশীষের সেই বন্ধু সুমনের হঠাৎই দুর্মতি হল আমেরিকাতে পড়তে আসার। পাশ – টাশ করে দেশেই পড়ে ছিল – খামোখাই আবার নতুন করে পড়তে আসা। আমেরিকায় এসে পড়ার পর নতুন করে পড়তে শুরু করলো বেচারা। বিশ্ববিদ্যালয়ে তার গার্জেনের নাম – প্রফেসর মার্জেন।
প্রফেসর মার্জেন রাশভারী লোক। দেখতে খুবই সুদর্শন – রিনরিনে গলায় যখন কথা বলেন মনে হয় কোন কিশোরী কথা বলছে বুঝি। মার্জেন সাহেবের গার্জেনগিরির ভেতর দিয়েই সুমনের দিনগুলো কেটে যায়।
একদিন কি যেন কি হয়ে যায় তার – প্রফেসর মার্জেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন না আর। সুমন খোঁজখবর করে জানতে পারে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সুমনের গার্জেন প্রফেসর মার্জেন। গার্জেনবিহীন সুমনের দিনগুলো সগর্জনেই পার হতে থাকে।
বেশ কিছুদিন পর – ছুটি কাটিয়ে প্রফেসর মার্জেন আবার গার্জেনগিরি করতে ফেরত এলেন। ঠোটে রং করা স্কার্ট পরিহিতা মার্জেনকে দেখে খাবি খায় সুমন। হাসপাতাল থেকে একেবারে লিঙ্গান্তর করে তবেই ফেরত এসেছেন প্রফেসর মার্জেন।
সুমন ভেবে ঠাঁই পায় না আর – কি বলে ডাকবে তাকে – ম্যাডাম না স্যার!
মন্তব্য
খুইজা খুইজা খালি দুষ্টু গল্প টোকাইয়া আনেন ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
কি মাঝি? ডরাইলা?
গজব পড়ব গজব, হি হি
==============================
আমিও যদি মরে যেতে পারতাম
তাহলে আমাকে প্রতি মুহূর্তে মরে যেতে হত না।
ম্যাডাম বা স্যার কোনোটাই ডাকবে না। এরপর শুরু হবে প্রফেসর মার্জেনের সাথে আশীষের প্রেমকাহিনী। সুমন কিছুই বলবে না, শুধু মজা নিবে। তাদের প্রেম যখন তুঙ্গে তখন সুমন ফাস করবে 'এই মার্জেন, সে-ই মার্জেন'।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আশীষকে এই কথা জানাতে হয় তাহলে!
কি মাঝি? ডরাইলা?
আয় হায়!
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমাদের স্কুলে এক শিক্ষক ছিলেন। রওশন স্যার। এক সময় তিনি বদলি হয়ে চলে গেলেন বালিকা বিদ্যালয়ে। অমনি তাঁর নাম হয়ে গেল রওশন আপা।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সুমন নামের ব্লগারদের চরিত্র নিয়ে ঠাট্টাতামাশা করার প্রতিবাদ জানাই।
কেন,সুমনের স্যারই খালি ম্যাডাম হবে কেন ?
বাহ! বেশ একটা ইয়ে কাহিনী তো! ঝুপড়ো মোঁচওয়ালা আমার দক্ষিণ ভারতীয় সুপারভাইজার Prof কুমারকে কুমারী হিসেবে চিন্তা করার চেষ্টা করলাম। নাহ্! বেশ ইয়ে ব্যাপার একটা!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ঝুপড়ো গোঁফ নিয়েও একখানা কাহিনী আসিতেছে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
- গার্জেন মার্জেনের প্রেমিক এই সুমনের সঙ্গে সচল সুমন চৌধুরী (ওরফে বদ্দাচলের) নিবিড় কোন সম্পর্ক আছে কিনা খুঁজে দেখা হচ্ছে।
সে পর্যন্ত স্টে টিউনড্।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ফনী মিত্তিরকে দিয়ে তদন্ত করালে, তদন্তের ফলাফল কোনদিনই এই পৃথিবীর মুখ দেখতে পাবে না।
পিয়াল-পিয়ালীর বিয়ের তদন্তেই সেটা বোঝা গেছে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
সাউথ পার্কের মি. গ্যারিসনের অবস্থা। এইটা পড়ে গ্যারিসনরে আর আজগুবী চরিত্র মনে হচ্ছে না।
স্যাম্যা ডাকতে মারে পারে সুমন মিয়া
নতুন মন্তব্য করুন