জার্মানী থেকে আগত ছেলেটি বিড়ালের মতো চম্পার গা ঘেঁষে দাড়ায়। তারপর গলা বাড়িয়ে বলে, “আমি ধূসর গোধুলী – সবাই আমাকে রুমন বলে ডাকে। আপনি নিশ্চয়ই চম্পা – আপনার দুলাভাইয়ের কাছ থেকে আপনার অনেক গল্পই শুনেছি।” রুমন আরও অনেক কথাই বলতে চায়, কিন্তু গলার ভেতরে কি থেকে কি যেন হয়ে যায়। চম্পার সুন্দর মুখশ্রী দেখে তার ভাগ্যশ্রীর কথা মনে পড়ে যায়।
সেই ছেলেটি – যে কিনা মদ গিলছিল – যার বন্ধুরা গত রাতে ধরা পড়েছে – যার মিডল নেম সাদাত – সবাই যাকে শিমুল নামে জানে– ঠিক সেই ছেলেটি – ছেলেটি রুমনের এই নারী ঘেঁষা স্বভাব মনে নিতে পারে না – মেনেও নিতে পারে না। আর তাই সে এগিয়ে আসতে যায় – রুমনকে ঠেলে চম্পার কাছ থেকে দুরে নিয়ে যেতে চায় – গিয়ে চাপাচাপি করে সেঁধায় চম্পা আর রুমনের মাঝখানের ফাঁকটুকুতে। মদে টইটম্বুর হয়ে আছে সে, দিগ্বিদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে চিৎকার করে উঠে সে -
তারস্বরে চিৎকার দিয়ে উঠে শিমুল। তার চিৎকার শুনে দুলাভাই বিরক্ত হন – শিমুলকে পানা দেন না তিনি, বরং পকেট থেকে একটা কাগজে মোড়া পান বের করে মুখে পুরে দেন। তারপর শিমুলের দিকে তীব্র কটাক্ষ হেনে শুধান, “কি হে? তোমায় ভাল ছেলে হিসাবেই জানতাম। তোমার এ ছিরি কবে থেকে হল? তুমি মদ খাওয়া শিখলে কিভাবে?”
দুলাভাইয়ের কথার জবাবে শিমুল কিছু বলে না। সে মুখ নামিয়ে চেয়ে থাকে মাটির দিকে। দুলাভাই এবার শিমুলকে ছেড়ে চম্পাকে ধরেন -“তোমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পাঠানো হয়েছিল। আর সেই তুমি কোথা থেকে কোথায় গিয়ে পড়লে?”
চম্পা দুলাভাইয়ের কথার মুল সুরটুকু ধরতে পারে। সে দুলাভাইয়ের দিকে তাকিয়ে দৃঢ় কন্ঠে বলে, “আমি শিমুলকে ভালবাসি। ওকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না।”
চম্পার কথায় দুলাভাই হাসেন – তারপর একটুখানি কাশেন। তারপর বলেন, “শম্পাও একই কথা বলেছিল। অথচ দ্যাখো – মোহাম্মদ আর্মি অফিসারের স্ত্রী হিসাবে সে কতোটা সুখে আছে। শিমুলের মত চালচুলোহীন একটা ছেলে তাকে এত সুখ দিতে পারতো কখনো? অভিজ্ঞতা বুঝলে, সবই অভিজ্ঞতা। সময়েই সবকিছু ঠিক হয়ে যায়।”
দুলাভাই থামেন না – তিনি বলতে থাকেন, শিমুলের অতীত ইতিহাস ধরে টানাটানি শুরু করেন: “শুধু কি শম্পা? এই শিমুল হারামজাদার কপালটাই ফাটা কপাল। এই ব্যাটা তোমাকেও ছ্যাঁকা দিয়ে তবেই ছাড়বে। মনে নাই ওই যে বেলা নামের একটা মেয়ের সাথে প্রেম করতো সে। যাকে নিয়ে “ছাদের কার্ণিশে কাক” দেখে বেড়াত সে। তাকে কি বিয়ে করতে পেরেছিল? পারবে কি করে? তোমাকেও পারবে না” একদমে অনেকগুলো কথা বলে বড় করে দম নেন তিনি, তারপর বেসিনের কাছে গিয়ে উপুড় হয়ে পিচিক করে পানের পিক ফেলেন তিনি –সকলের শ্রদ্ধেয় দুলাভাই।
শিমুল বুঝতে পারে, তার সাথে চম্পার মিল হবার নয়।বিদায়ের ঘন্টা বেজে উঠে তার হৃদয়ে, আনমনা হয়ে সে গেয়ে উঠে –
আধুনিকা মেয়ে চম্পা – এসব বাংলা ছবির গানে ভুলবার নয়। সে বুঝতে পারে শিমুলের সাথে মিলন হলে ছাদের কার্ণিশে বসা কাক দেখাই সার হবে – সংসার আর হবে না। পুরোটাই অসার হয়ে থাকবে। সে রুমনের আরেকটু কাছ ঘেঁষে দাড়াতে চেষ্টা করে। চম্পার শরীরের সুগন্ধে রুমনের মন মৌ মৌ করে উঠে। কুকুর যেভাবে কোন কিছু খাবার আগে গলা বাড়িয়ে গন্ধ শুঁকে – ঠিক সেভাবে গলা বাড়ায় সে চম্পার টানে – গলার সাথে সাথে নাক ও বাড়িয়ে দেয়।
এমন সময় হা রে রে রে.....
এক রহস্যময় কালো, মুশকো যুবকের আবির্ভাব হয়, তার পেছনে চুলদাড়িময় আরেক ব্যাটা। মুশকো যুবক এগিয়ে আসে – কাউকে সে কেয়ার করে না, এমন একটা ভাব নিয়ে এগিয়ে আসে চম্পার কাছে। “হিমু আমার নাম – বালিকা কামড়ানোই আমার কাম। সুন্দরী চম্পা, নেই কোন শঙ্কা – একটু কামড়ে তোমায় পরখ করে দেখি? বদ্দা কি বলেন?” বলেই তার পেছনে দাড়িয়ে থাকা – দাড়িতে মুখ ভরে থাকা ব্যাটার দিকে তাকায় – সমর্থন পাবার আশায়।
ব্যাটা কিছু বলে না প্রথমে। কোন কথা না বলে পকেট থেকে একট ছোট্ট টিনের বোতল বার করে – ছিপি খুলে চুমুক দেয়। সবার সামনে চমক দেয়। তারপর চোখ বুঁজে ঋৃষি ভাব নিয়ে এসে বলে “শুরুতেই শুরু কিংবা ছিল না। জন্মমৃত্যু অজ্ঞাত - প্রত্যক্ষে নিজস্ব সঙ্গম -পানাহার পরিপাক, উলম্ব থেকে ছররা চম্পট, লম্পট প্যারাস্যুটের ঘুলঘুলিতে চোখ রেখে জাগলিং চেখে দেখা - এ হাত থেকে সে হাত;সমানুপাতিক রিলে রেস কেঁচোর পাঁকে অ্যামিবার স্মৃতি উসকে দেয় - অ্যামিবা অনেক,অন্তে বা আদিতে, ব্রহ্ম কুচিকুচি হয়ে নিকুচি ঝাড়ে অন্ডে,এইসব অভিসন্দর্ভ কিলবিল করে বিরানভুমে লোকায়ত বিকিকিনির ফিকিরে,আহ্নিক আবর্তনের প্রত্যেক কুঁচিতে”
বদ্দার কথার পুরো অর্থ কোনদিনই সে ধরতে পারে না – আসলে কেউই ধরতে পারে না। তাই সে ওদিকে যায় না আর – কথার ভেতরে মুলভাবটুকু বুঝে নেবার চেষ্টা করে সে। “সঙ্গম” “অন্ড” "কুঁচি"এগুলো বোঝে সে সহজেই। “বিকিকিনি” শব্দটা বদ্দা ভুল বলেছেন, শুদ্ধ উচ্চারণ হবে বিকিনি – এটাও বুঝে নেয় সে। এটা যে ঝাঁপিয়ে পড়ার সম্মতিসুচক ইঙ্গিত সেটাও বুঝে নিতে দেরী হয় না তার আর।
হিমু এগিয়ে যায় চম্পার দিকে – এগিয়ে গিয়ে চম্পার ডান হাত নিজের হাতে তুলে ধরে। তারপর ইয়াব্বড় একটা কামড় বসায় চম্পার হাতে। চম্পা চিৎকার করে উঠে, “বাঁচাও! বাঁচাও!...........হেল্প.......হেল্প.........ছেড়ে দে শয়তান। তুই আমার হাত পেতে পারিস, কিন্তু আমার হাতের ভাত পাবি না শয়তান। বাঁচাও ! .....................”
চম্পার চিৎকারে সম্বিৎ ফিরে পায় রুমন আর শিমুল। বিপুলবিক্রমে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে চম্পার উপর – থুক্কু – হিমুর উপর। শুরু হয়ে যায় ধুন্ধুমার কান্ড – প্রকান্ড মারামারি। হিমু মদ্যপ শিমুল কে টেনে এনে ঘুষি মারে নাকের উপর – ঘুষির সাথে সাথে মুখ দিয়ে শব্দ করে ঢিসুম।
রুমন ভাবে মারামারিতে গিয়ে কাজ নেই। বরং চম্পার সেবাশুশ্রুষা করলেই ঢের লাভ হবে। কপালে জুটলে চম্পার সাথে লাভ ও হবে। এই ভেবে চম্পার কাছে যেতে চায় সে।
রুমনের মনোভাব টের পেয় হিমু আর শিমুল মিলে রুমনকে চেপে ধরে। টেনে এনে দুজনের মাঝখানে ফেলে মারতে থাকে। চারপাশে ঢিসুম ঢিসুম শব্দে কান পাতা দায় – শিমুল আর হিমুর সম্মিলিত মারে রুমনের প্রাণ যায় যায়! দুলাভাই আর বদ্দা একপাশে দাড়িয়ে মারামারি দ্যাখেন। বদ্দার তার টিনের বোতলে চুমুক দেন – দুলাভাই আরেকটা পান বের করে মুখে দেন।
বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ কোথা থেকে যেন একদল পুলিশ নিয়ে এগিয়ে আসেন বিখ্যাত সাংবাদিক বেগতিক আরিফ। পুলিশ ইন্সপেকটর সাহেব তার পিস্তলটা আকাশের দিকে তুলে ধরে “ঢিচিঁউ” শব্দতুলে একটা গুলি ছোঁড়েন আর বলেন, “আইন নিজের হাতে নিবেন না।”
তারপর একে একে হিমু, শিমুল আর রুমনকে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে তোলেন পুলিশ ইন্সপেকটর কিংকর্তব্যবিমুঢ় চৌধারী ওরফে কিংকু চৌধারী।
বিচারে শিমুলের ৫ বছরের স্বশ্রম কারাদন্ড হয়। হিমুকে ২১ দিনের স্বশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয় চম্পার হাতে কামড় দেবার কারনে। আর রুমনকে জার্মানীতে ফেরত পাঠানো হয় নারীর অমর্যাদা করার কারনে। হিমু জেল থেকে ছাড়া পেয়ে জার্মানী চলে যায়।
পাঁচ বছর পরেরে কথা। ঠিক যেদিন শিমুল ছাড়া পাবে – সেদিন সকলে এসে একত্রিত হয় সেন্ট্রাল জেলের সেই বিখ্যাত গেটের সামনে। দুলাভাই চম্পাকে নিয়ে এসেছেন, হিমু এসেছে বদ্দাকে সাথে নিয়ে, রুমন একাই এসেছে। সাংবাদিক বেগতিক আরিফ তার বন্ধু বিপ্লব রহমানকে সাথে করে নিয়ে এসেছেন। তারপর সেই বিখ্যাত মুহুর্ত উপস্থিত হয়। শিমুলকে মাথা নুইয়ে সেই বিখ্যাত গেট দিয়ে বের হতে দেখা যায়। চম্পা স্লো মোশনে দৌড়ে যায় শিমুলের দিকে। শিমুলও দৌড়াতে শুরু করে। দৌড় আর শেষ হতে চায় না। দুলাভাই বিরক্ত হন – পানের ঝাঁপি খুলে একটা পান তুলে মুখে দেন। বদ্দা টিনের বোতল খুলে চুমুক দেয়।
ঘটনা মোটামুটি শেষ দৃশ্যে উপনীত হয়। সবাই সারবেঁধে দাড়ায়। এখন একটা হাসির কথা বলা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। এমন সঙ্গীন মুহুর্তে সাংবাদিক বিপ্লব রহমান আপনা থেকেই বলে উঠেন, “আপনাদের সবাইকে পাঁচ দিলাম। ”
মন্তব্য
ভুল। আমি প্রথমেই রুমনের বাজে জায়গায় একটা লাথি মেরে তাকে দীর্ঘদিনের জন্য বসিয়ে দিয়েছিলাম, আর শিমুল ভালো ছেলে, আমি চোখ রাঙাতেই সরে দাঁড়িয়ে চম্পাকে দেখিয়ে বলেছিলো, "পেহলে আপ।" আর বদ্দা বলেছিলেন "ঠিকাছে।"
এভাবে সত্যের অপলাপের জন্য, নিদারুণ তথ্যবিকৃতির জন্য, আমার কর্মানুভূতিতে আঘাত হানার জন্য, আপনাকে ৫, হ্যাঁ ৫ দেয়া হলো। আমি লম্পট হতে পারি, কৃপণ তো নই ... নই ... নই ...!
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমি কোনরুপ তথ্যবিকৃতি করিনি। দুলাভাই আমাকে যা বলেছেন, আমি তাই লিখেছি।
বাজে জায়গার কথা দুলাভাই আমাকে বলবেন কেন? আমিই বা কি করে জানবো সে কথা?
কি মাঝি? ডরাইলা?
আপনারে ৫ দিলাম।
কিযে দিনকাল পড়ছে...
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
দ্রোহী রকস্ !!
অলৌকিক সাহেব কোথায়? এইটারে আসলেই সিনেমা বানাইতে হইব
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
অলৌকিক হাসান কোথায়?
কাহিনী পুরা ফিট সিনেমার জন্য।
দ্রোহী বস রকিং!!
৫
======================
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
- “আমি শিমুলকে ভালবাসি। ওকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না।”
এএএ, কইলেই হইলো? এইসব ভুয়া কথা বাদ থোন, আর আসল কথা কন। চম্পাদান কেমনে কোথায় কবে করবেন!
আর আপনে হালায় ইমুন ডিসক্রিমিনেশন করতে পারলেন? হিমু আর শিমুলরে পিডা খাওয়াইলেন ওয়ান টু ওয়ান, আর বেচারা ভালোমানুষ রুমনটারে কিনা খাওয়াইলেন দুইজনের? এইডারো বিচার চামু খাড়ান। পাইছেনডা কি আপনে।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি তো মারি নাই, আমারে বলে কি লাভ? শিমুল, হিমুকে এই কথা বললে ঢের লাভ হবে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
ওয়াও!
এক্সসিলেন্ট, ফ্যান্টাস্টিক, মাইন্ডব্লোয়িং।
কাহিনীকার অতিশয় চতুর। এক পর্বেই খেল খতম। এমন কি ৫ বছরের জেল পর্বও শেষ! কৌশলে তিনি অন্য কাউকে সুযোগ দেয়া এড়িয়ে গেছেন।
ব্লগে এসে মোহাম্মদ আর্মী অফিসারদের নিয়ে মানহানিকর লেখা লেখার জন্য বড় জামাই শাহাদাত সাহেবকে ড়্যাব ধরে নিয়েছিল, এবং তাকে যথাযথ "কমান্ডো" ট্রেনিংও দেয়া হয়েছিল। এ অংশটা সেন্সর বোর্ডের কাঁচির নিচে পড়েছে.
এনিওয়ে নেক্সট কালাকার না সাদাকার এওয়ার্ডের জন্য এ কাহিনী মনোনীত হলো।
ইহা পুরোপুরি বানোয়াট গল্প। এই ধরনের মিথ্যা কথার পেছনে নিশ্চিতভাবেই সি.আই.এ, মোসাদ, র - এর হাত রয়েছে।
মডুদিগের কাছে করজোড়ে সুবিচারের আবেদন জানাই।
কি মাঝি? ডরাইলা?
আরেকবার স্যালুট দিই।
কারে? কালাকাররে নাকি দুলাভাইরে?
কি মাঝি? ডরাইলা?
কোন অপরাধে ৫ বছরের সাজা হইলো ঐটা বুঝলাম না।
দুলাভাইয়ের শালীকে হাতানোর মতলব করার অপরাধে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
ফিরিয়ে দাও আমার জীবনের ৫টি বছর!
- আয় ব্যাটা ফিরাই। আমার শম্পা চম্পা দুই -ই গেলো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সিনেমা না। ভিডিও করাই ভাল।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
- পূর্ণদৈর্ঘ্য টেলিফিল্ম হৈলে আগ্গুন হয়। তবে আংশিক রঙিন।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অ্যা!
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
হায় আল্লা, কাহিনীত আর কোনো পার্ট নাই?
মোক ন্যাওয়া যায় না ব্যাহে?
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
ওরে খোদা! এ তো দেখি মারাত্মক শোশাল-অ্যাকশন সামাজিক ছবি! আরেকটু বাদ দিলেই পরিবারের সবাই মিলে দেখাও যেতে পারত!
দুর্দান্ত লেগেছে। পড়তে পড়তে অনেকখানে জোরে হেসে উঠেছি। পুরা ৫! আপনার জন্য অবশ্যই জাঝা!
( অফ টপিক: আপনাদের এই তুমুল বাংলা ছায়াছবি দেখে সিঙ্গাপুরের NUS এর স্টুডেন্ট থাকাকালীন নবীনবরণের একটা অনুষ্ঠানে করা এই নাটকের কথা মনে পড়ল। এটার কাহিনীও এরকম বাংলা সিনেম্যাটিক (মূল আইডিয়া মেরেছিলাম বুয়েটের মেক্যানিকাল ডিপার্টমেন্টের জুনিয়ারদের করা একটা নাটক থেকে, শুধু সেটার বুয়েটিক পার্টগুলোকে সিঙ্গাপোরিয়ান বানানো হয়েছিল আর সেটার জন্য কিছু অন্য চরিত্র আর ভিন্ন গানের ব্যবহার জরুরি হয়ে গিয়েছিল)। দেখে বলবেন কেমন লাগল। নায়ক-নায়িকার ভূমিকায় ছিলাম প্রাক্তন ফাহা আর আমি । )
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
হায় হায়, কুলসুম করছো কি! কেউ যদি অটোগ্রাফ চাইয়া বসে!
-----------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
দ্রোহী ভাইকে সুপার জাঝা!
মুখফোড় দা নিয়া কোপাইতে আসবে আপনেরে!!!
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নির্বোধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
আসপিনানে, মুখার লগে আমার গোপন ফয়সালা আছে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
পাবনাইয়া নাকি গো দাদা?
হাঁটে হাঁড়ি ভাঙলো রে - - -
কি মাঝি? ডরাইলা?
- পিডাপিডির সিনে খানিকটা সাম্যাবস্থা আনেন ভাইছাব। নাইলে পাবলিক ক্ষেপবো কইলাম। পরে কইলাম ইটপাটকেল খাইতে হৈবে নে।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভাইজান, এরশদ শিকদারের খোমা আপনে ঝুলাইলেন কেন?
- হৈ মিয়া, কি কন এগুলা? এইটা আমি শিকদার। সুজন্দা আঁইকা দিছে। ঝাক্কাছ হৈছে জিনিষটা। তয় কিঞ্চিৎ খর্ব আর আংশিক সাদাকালো হৈয়া যাওয়াতে মজা লাগতাছে না।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সেইরম।
- মাথার টুপিডা কীরম কাকা?
কম্যুনিস্ট আমলের পূর্ব বার্লিনের রাশান আর্মিগো টুপি।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনাকে ৫ দিলাম।
(ওরে এবার কপিলাও ডরাইসে, মাঝিও ডরাইসে! ...)
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
হেঃ হেঃ হেঃ ।
জ্বি আচ্ছা।
কি মাঝি? ডরাইলা?
- এই সিনেমাকে সবাই জোরেশোরে "না" বলুন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন