উপকরণ:
১. দুধ (গাভী, ছাগল, .... বাকীটা থাক।) ১ মগ পরিমান।
২. চিনি ২ টেবিল চামচ।
৩. কফি (নেসক্যাফে ক্লাসিক হলে ভাল হয়) - আধা টেবিল চামচ।
৪. মগ – একটা হলেই চলবে আপাতত।
৫. চামচ – হাতের কাছে না থাকলে ঘাবড়ানোর কিছু নাই। আঙুল দিয়ে কাজ চালিয়ে নেয়া যাবে।
৬. বার্ণল/জেল টুথপেষ্ট – যে কোন একটা থাকলেই চলবে।
৬. টিস্যু পেপার/পেপার ন্যাপকিন- পরিমান মত।
রন্ধনপ্রনালী:
১. প্রথমে একটা মগ খুঁজে নিন। মগের ভেতরটা দেখে নিন, কারন আধ-খাওয়া সিগারেটের গোড়া কিংবা ছাই থাকার সম্ভাবনা যথেষ্ট পরিমানে বিদ্যমান।
২. মগটাকে ধুয়ে ফেলুন। বেশি অলসতা লাগল ধোয়ার দরকার নাই। নিজেই খাবেন, সুতারাং এত সমস্যা করার কোন মানে হয় না।
৩. মগের গলা পরিমান দুধ ঢালুন। মগের গলা খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত খুঁজতে থাকুন। একেবারেই খুঁজে না পেলে মগের আট-দশমাংশ পরিমান দুধ ঢালুন।
৪. দুধ ভর্তি মগটা মাইক্রোওয়েভ ওভেনে প্রবেশ করিয়ে ১ মিনিট তিরিশ সেকেন্ডের জন্য গরম হতে দিন। মাইক্রোওয়েব ওভেন চালু করতে ভুলবেন না। ওটা চালু না করলে সারাদিন রেখেও লাভ হবে না।
৫. দেড় মিনিট পর মগটাকে বাইরে আনুন। বাহির করার সময় খেয়াল রাখবেন যেন দুধ ছলকে না পড়ে। পড়লেও ক্ষতি নাই। পরিমান মত টিস্যু পেপার দিয়ে গড়িয়ে পড়া দুধটুকু মুছে ফেলুন। যদি মগ বের করার সময় হাতের উপর দুধ পড়ে তাহলে ঘাবড়াবেন না। পুড়ে যাওয়া যায়গাটুকু ঠান্ডা পানিতে মিনিট খানেক ধরুন। তারপর বার্ণল/জেল টুথপেষ্ট লাগিয়ে দিন। পুনরায় ৩ নং ধাপে ফিরে যান।
৬. ৫ নং ধাপ ঠিকভাবে সম্পন্ন হলে মগটাকে বাইরে এনে ১০/১৫ সেকেন্ড রেখে দিন। তারপর আধা টেবিল চামচ কফি এবং দুই চামচ চিনি মিশিয়ে নাড়ুন। নতুন আরেকটা চামচ খোঁজার দরকার নাই। যা ব্যবহার করে কফি ও চিনি ঢেলেছেন ওটা দিয়েই কাজ সারুন। খেয়াল রাখবেন কফি যেন মগের ভেতরেই থাকে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পরের ধাপে যান, না হলে আবার ১ নং ধাপে ফিরে যান।
৭. নাড়ানো শেষ হলে মগটাকে পূনরায় মাইক্রোওয়েভ ওভেনে প্রবেশ করিয়ে তিন মিনিটের জন্য গরম হতে দিন। ওভেনের সামনে থেকে সরবেন না। ওভেনের সামনে যে স্বচ্ছ/ঈষদচ্ছ জায়গাটুকু আছে, সেখান দিয়ে আপনার মগের অবস্থা পর্যবেক্ষন করতে থাকুন। মাঝে মাঝে ওভেনের দরজার ফাঁকে নাক লাগিয়ে শুঁকে দেখুন কোন চমৎকার গন্ধ আসছে কিনা। কফি একসময় গরম হয়ে উৎরাতে শুরু করবে। ঘাবড়াবেন না, অপেক্ষা করুন। যখন কফি মগ থেকে পড়ো পড়ো অবস্থায় চলে যাবে, তৎক্ষনাৎ ওভেন বন্ধ করে দিন। ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করে আবার ওভেন চালু করুন। আর উৎরালে আবার বন্ধ করে দিন।
৭. তিন থেকে চারবার উৎরানোর পর ওভেন বন্ধ করে দিন। মগের ভেতর কফিকে সুস্থির হতে দিন। ১০/১৫ সেকেন্ড পর মগ বের করার চেষ্টা করুন।
৮. বের করার সময় হাত থেকে মগ পড়ে গেলে কিংবা মগ থেকে কফি পড়ে গেলে দরকার মত টিস্যু পেপার/ ন্যাপকিন, বার্ণল/জেল টুথপেষ্ট যা খুশি ব্যবহার করতে পারেন। তারপর স্বশব্দে দুটো গালি দিন মগকে উদ্দেশ্য করে। এবার কফি ভর্তি মগ বিনে ছুঁড়ে ফেলুন।
৯. নিকটবর্তী কোন দোকান – যেখানে কফি কিনতে পাওয়া যায় সেখানে চলে যান। এক মগ কফি কিনে আরাম সহকারে পান করুন।
মন্তব্য
কফি উইথ দ্রোহী!
আঙুল দিয়ে কাজ চালিয়ে নেয়া যাবে। ঠিকই আছে। দেশে এখন চামুচের বড়ো সংকট চলছে..।
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
কোপির রেসিপি কোপি করে রাখলাম
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
সংযুক্তি/সতকর্তা:
১) মগ অবশ্যই প্লাস্টিকের হইতে হইবে
২) কফি না পাইলে ফুল/বাধা কপি ব্যবহার করুন।
৩) বার্নল/জেল পেস্ট এর বিকল্প হিসাবে বিদ্যুৎ দাঁতের মাজন ব্যবহার করুন।
ডিসক্লেইমার: অঘটনের কন্য জন্য মন্তাবক দায়ী নহে
--বাপ্পী
দ্রোহী মজা পেলাম। হা হা হা
_____________________________
টুইটার
এইটা কি ল্যাটকা খিচুড়ির মতো ভ্যাটকা কফির রেসিপি?
বস কি সুমন দাদু থুক্কু সুমন ভাইয়ের সাথে পাল্লা দিবেন নাকি?
------------------------------------------
মুনাফাখোর নিপাত যাক
বাংলা কম্পিউটিং মুক্তি পাক
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
দ্রোহী ভাই, ভালো হইসে, একটু পরেই বানিয়ে খেয়ে দেখব কি অবস্থা। বাই দ্য ওয়ে, চিনি দুই টেবিল চামচ?? আপনার বাড়ি কি কুমিল্লা নাকি?
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
এতো চিনির পরেও দ্রোহীর মুখে একটু মিঠা কথা নাই!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
এইটা কী? খায়, না মাথায় দেয়??
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
৯ নম্বরটা বেশী জরুরি
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
আজীব ব্যাপার! আমি ঠিক এইভাবেই কফি বানাইতাম এক কালে
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা.....অসাধারন!
এই আধা চামচ কফি আর না দিলেও চলতো
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
যাক, কফি বানাতে কুড়াল* লাগে নাই
[ *রাদুগা'র রুশদেশের উপকথা দ্রষ্টব্য ]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন