সম্পাদকের নয়, আমার ছেলেবেলা

দ্রোহী এর ছবি
লিখেছেন দ্রোহী (তারিখ: সোম, ২৯/১০/২০০৭ - ৩:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“মিলে শান্তি দেশে, দেখ একটা কিলে” – মিলিমিটার থেকে কিলোমিটার পর্যন্ত প্রত্যেকটি এককের পারষ্পরিক সম্পর্ক মনে রাখার জন্য বাবা আমাকে শিখিয়েছিলেন এই বাক্যটা।

এত সহজ এই কথাটা কিছুতেই মনে রাখতে পারছিলাম না। বাবা অনেক চেষ্টা করলেন আমাকে শেখানোর জন্য – কোনভাবেই কিছু হচ্ছিল না; শেষে রাগ সামলাতে না পেরে কিল মেরে বসলেন আমায়। কিল খেয়ে কিভাবে যেন আমি বাক্যটির অন্তর্নিহিত অর্থ ধরতে পারলাম – আমার ও আমার বাবার পারষ্পরিক সম্পর্কেও শান্তি প্রতিষ্ঠা হল। তারপর আর ভুল হয়নি কখনো। এখনো মাঝে মাঝেই টের পাই – কিল দিলেই শান্তি মিলে! হাতে কলমে শিক্ষাই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা – এই ধারনাটা আমার ঠিক তখন থেকেই জন্মে। মানে হাতের মার খেলেই যে কলমের গতি বাড়ে এই ব্যাপারটি শিখেছি সেই ছোট্ট বয়সেই।

আমার জন্ম হয়েছিল কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট গ্রামে। বাবা তখন চাকুরী করতেন ঢাকায়। স্কুলে ভর্তি হবার আগেই আমার ঢাকা –চট্টগ্রাম ঘোরার পালা শেষ হয়ে গিয়েছিল। তেমনি একবার ঢাকায় বেড়াতে এসেছি – বাবা আর সেজো কাকা মিলে মেসে থাকতেন মতিঝিল এ.জি.বি কলোনীর বি ৩৬ এইচ ৪২ এ। আমাকে বাসায় রেখেই বাবা – কাকা অফিসে চলে যেতেন। কিছুক্ষন পরে বুয়া আসতেন কাজ করতে, আমি সারাদিন বুয়ার সাথে সাথে ঘুরতাম। দুপুরের পরে বুয়া যখন চলে যেতেন, আমি সুমিদের বাসায় গিয়ে খেলা করতাম। বিকালে অফিস থেকে ফিরে আমাকে নিয়ে আসতেন বাসায়। তারপর সন্ধ্যায় আমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হতেন।

একদিন বাবা অফিসে যাবার আগে আমায় বাড়ির কাজ দিয়ে গেলেন – গরু নিয়ে দশটি বাক্য রচনা করতে হবে। আর বলে গেলেন, “ঘরে কলা আছে, যদি খেতে ইচ্ছা করে – খাবি।” বিকালে বাবা অফিস থেকে ফিরে দেখেন অবাক কান্ড! চব্বিশটি সাগর কলা কেনা হয়েছিল, যার মধ্যে বাইশটি আমি এক বেলায় সাবাড় করে দিয়েছি। আর গরুর রচনা – আমাদের পারিবারিক হাসির ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।
আমি সারাদিন ধরে কলা খেতে লাগলাম আর গরু নিয়ে কি লেখা যায় তা চিন্তা করছিলাম। গরুর চারটি পা আছে। গরুর দুইটি কান আছে। গরুর দুইটি চোখ আছে – এভাবেই চলছিল। নয়টা বাক্য লেখার পর আমার পেন্সিল থেমে গেল। গরুর আর কি আছে সেটা মনে পড়ছে না। অবশেষে খুঁজে পেলাম সেই বিখ্যাত বাক্য! দশ নাম্বার লাইন হিসাবে আমি লিখেছিলাম, “গরুর একটি পোঁদ আছে”।

দাদা একদিন আমাকে হাত ধরে নিয়ে গিয়ে স্কুলে ভর্তি করে দিয়ে এলেন। স্কুলে গিয়ে আমার চোখ ছানাবড়া! কত্তো মেয়ে! একসাথে অ্যাতো মেয়ে দেখে আমার স্কুল জিনিষটা খুব ভালো লেগে গেল। রেজিষ্ট্রার খাতায় নাম লিখার পর রাজ্জাক স্যার আমাকে তক্ষুনি একটা ক্লাসে বসিয়ে দিয়ে আসলেন।

আমি ঘুরে ঘুরে তাকাই। সবকটা অপরিচিত মুখ। পুরো ক্লাসে শুধু একজনকেই চিনতে পারলাম – আমার দুরসম্পর্কের এক চাচা – আলমগীর চাচা। শুনেছিলাম আলমগীর চাচা দুই বছর আগে থেকেই প্রথম শ্রেণীতে ঝুলে ছিলেন। আমি যখন পঞ্চম শ্রেণী পাশ করি তখন তিনি মাত্র দ্বিতীয় শ্রেণী পাশ করেছেন। পরবর্তীকালে আমি যখন কলেজ পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত শুরু করলাম তখন চাচা সপ্তম শ্রেণীতে পড়তেন। পড়ালেখার ব্যাপারে আলমগীর চাচা বরাবরই আমার অনেক পেছনে থাকতেন – বাস্তব জীবনে এসে আমি চাচার কয়েক ক্রোশ পেছনে পড়ে গেলাম। আমি যখন বিয়ে করি তখন চাচার মেয়ে ততদিনে বিবাহযোগ্যা হয়ে উঠেছে।

ক্লাসে ঢুকেই আমি বিপুল বিক্রমে মেয়েদের দিকে তাকাতে শুরু করে দিলাম। কিছুক্ষন পরে আমাদের ক্লাসের ফার্ষ্ট বয় হাসিব এসে বললো, “এই ছেলে! তুমি মেয়েদের দিকে তাকাও কেন?”

কয়েকদিন যেতে না যেতেই আমি প্রেমে পড়ে গেলাম। প্রথম প্রেমের অনুভুতি সবসময়ই তীব্র হয়। মেয়েটির নাম ছিল ফরিদা। বয়স নিদেনপক্ষে আঠারোর নীচে নয় – আর এদিকে আমি পাঁচ বছরের টগবগে প্রেমিক। ফরিদাকে আমার প্রেমের বন্ধনে আকৃষ্ট করতে কত চেষ্টাই না করেছি – শুধু মুখ ফুটে বলতে পারিনি। আমাকে কষ্টে রাখার জন্যই হয়তো ফরিদা এক ব্যাটার মোটর সাইকেলে ভোঁ – ভোঁ করে ঘুরে বেড়াত। একদিন সকল সম্ভাবনা অঙ্কুরে বিনষ্ট করে ফরিদা ভেগে গেল সেই লোকের মোটর সাইকেলে চড়ে।

একদিন গ্রামে খবর ছড়িয়ে পড়লো – বেগম খালেদা জিয়া চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরার পথে আমাদের গ্রামের স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে বক্তৃতা দিবেন। মেজো চাচার কাঁধে বসে আমি দেখতে গেলাম বেগম খালেদা জিয়াকে। আমার এই চাচা পাগল টাইপ ছিলেন, গ্রামের সবাই তাকে দরবেশ বলতো। নবম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে ট্রেনের নীচে পড়ে গিয়েছিলেন – তারপর আর লেখাপড়া করা হয়নি তার। চাচা আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসতেন – আমাদের সবগুলো ভাইবোনকেই!

সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়, তারপর নেমে আসে গভীর রাত। আমি চাচার কাঁধে বসেই ঘুমিয়ে পড়ি। রাত সাড়ে তিনটার দিকে খালেদা জিয়া আসে আমাদের গাঁয়ের স্টেশনে। চাচা আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলেন। আমি ঘুম ঘুম চোখে আলো-আঁধারীর ভেতর দিয়ে আশ্চর্য সুন্দর এক পরীকে দেখতে পাই। সেই পরীর প্রতি একধরনের আকর্ষণ বোধ করতে থাকি। চাচাকে বলি, “কাকা আমি খালেদা জিয়া কে বিয়ে করব।”

চাচা হাসতে হাসতে বলেন, “আচ্ছা বাবা ঠিক আছে, আরেকটু বড় হলেই তোমাকে খালেদা জিয়ার সাথে বিয়ে দিব।”

আমি ঠিকই বিয়ে করেছি, না – খালেদা জিয়াকে বিয়ে করা হয়ে উঠেনি। চাচাও আমার বিয়ে দেখে যেতে পারেননি। নয় বছর আগেই মরে গিয়েছেন। মৃত্যুর সময় কাউকে কাছে পাননি এক চামচ পানি খাবার জন্য। সম্পুর্ণ নিঃসঙ্গ অবস্থায় ঘুমের ভেতর মৃত্যুবরণ করেছেন আমার পাগলা চাচা।

৪.

দাদার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমরা গ্রামে ছিলাম। আটাশিতে দাদা মারা যাবার পর আমরা চলে যাই যশোর শহরের বেজপাড়ায়। বাবা তখন চাকুরী করতেন আবুল খায়ের লিটুর বেঙ্গল গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান কুশল কর্পোরেশনের যশোর শাখার কর্ণধার হিসাবে। “কুশল কর্পোরেশন” বিদেশ থেকে সেচ যন্ত্র আমদানী করে তা কৃষকদের কাছে বিক্রী করতো।

আমাকে মুসলিম একাডেমীতে ভর্তি করিয়ে দেয়া হয় ষষ্ঠ শ্রেণীতে। স্কুলের পাশেই মোমিন গার্লস স্কুল। দিনগুলো খুব আনন্দেই কাটতে থাকে।

নব্বই সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন শুরু হয় সামরিক শাসক এরশাদ এর বিরুদ্ধে। সুদুর যশোরেও তার ছোঁয়া এসে লাগে। একদিন এরশাদের পতন হয় – পতন হয় কুশল কর্পোরেশনের। আবুল খায়ের লিটু পালিয়ে যায় গোপনে। বাবা বিপদে পড়ে যান – কিভাবে কর্মচারীদের বেতন – ভাতা ইত্যাদি পরিশোধ করবেন এই ভেবে। নিজের বেতন কোথা থেকে আসবে সেটা ভেবে পান না আর।

অফিসের আসবাবপত্র বিক্রি করে কর্মচারীদের বেতন মিটিয়ে দেন, নিজের ভাগ্যে কিছুই জোটে না আর। একে একে কর্মচারীরা বিদায় নেয়, শুধু পড়ে থাকে মশিউর কাকা – বাবার অ্যাসিস্টেন্ট। একসময় মশিউর কাকার পক্ষেও আর পড়ে থাকা সম্ভব হয় না। তাঁর পরিবার, সন্তান সামলাতে তিনিও একসময় চলে যান ফরিদপুরে। আমাদের পরিবারে নেমে আসে ঘোর আঁধার। বাড়ি ভাড়া বাকী পড়তে থাকে মাসের পর মাস। বাবা সারাক্ষন চুপ করে বসে থাকেন – ভাবেন নিজের ভবিষ্যতের কথা – সংসারের কথা। বাবা সিগারেট খেতে খুব ভালোবাসতেন, প্রচুর খেতেন – ধোঁয়া দিয়ে এত অসাধারণ রিং বানাতে পারতেন, আমি মুগ্ধ হয়ে যেতাম। একদিন দেখতে পাই বাবা ফাইভ ফাইভ ফাইভ ছেড়ে দিয়ে স্টার ফিল্টার এ নেমে এসেছেন।

দুঃখের দিনেও উৎসব আসে মানুষের জীবনে – রোজার ঈদ এসে পড়ে একসময়। আমার ছেঁড়া জুতো জোড়া বদলে এক জোড়া নতুন জুতো কেনার বায়না ধরি। বাবাকে জানাই, বন্ধুদের সাথে গিয়ে দাম দেখার কাজটা আগেই সেরে এসেছি – দাম মাত্র তিনশো বিশ টাকা।

মা ঢুকরে কেঁদে উঠেন – কারন জুতো কেনার মত তিনশো বিশ টাকাও তার কাছে ছিল না তখন। বাবা আর সহ্য করতে পারেন না। পরদিন সকালে উঠে কোথায় যেন চলে যান –এভাবে কয়েকদিন চলে। তারপর আমাদের সবাইকে নিয়ে ঈদের জামাকাপড় কিনতে যান। আমার জুতা হয়, শার্ট –প্যান্ট হয়। ছোটবোনগুলোর জন্য জামা কেনা হয়। শুধু মা আর বাবা কিছূ কিনতে পারেন না। পরবর্তীকালে জানতে পেরেছিলাম আমার মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বাবা যশোরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দরজায় গিয়ে গিয়ে সেচ-যন্ত্র সারাইয়ের কাজ করে কয়েকটা টাকা রোজগার করেছিলেন আমাদের ঈদের আনন্দটুকু কেনার জন্য।

ঈদের পর পরই বাবা চলে আসেন ঢাকায় কাজের সন্ধানে। চট্টগ্রাম থেকে ছোট চাচা-চাচী এসে আমার বড় বোনটিকে নিয়ে যায় তাদের কাছে – কে জানে? হয়তো ভাতের চাপ কমাতেই।

বাবা ঢাকায় এসে একটা কাজ জোগাড় করেন আড়াই হাজার টাকা বেতনের! যশোরে মা –আমি আর ছোট্ট দুটি বোন নিয়ে পড়ে থাকি। বাড়িওয়ালা মিজান মামা ভাড়া নেয়া বন্ধ করে দেন অনেকদিনের জন্য। চরম দুঃসময়ে সংসারের হাল ধরেন আমার মা।

আমি প্রত্যেকদিন বাজারে যেতাম। ইলিশ মাছ দশ টাকায় এক ভাগ হিসাবে বিক্রি হতো। এক ভাগ ইলিশ মাছ কিনতাম আর পুঁই শাক। মাঝে মাঝে রুচি পরিবর্তনের জন্য আড়াইশো গ্রাম গরুর মাংস কেনা হত। প্রত্যেকদিনই ইলিশ মাছ –পুঁই শাক নতুবা গরুর মাংস এভাবেই চলতে লাগল। আমার বুদ্ধিমতি মা সবচেয়ে কম খরচে সংসার চালানোর জন্য এই ব্যবস্থা চালু করেছিলেন।

ঢাকা থেকে মেজো চাচা গোপনে চাচীকে না জানিয়ে আমাদের জন্য কিছু টাকা পাঠাতেন – এদিকে মেজো চাচীও চাচাকে না জানিয়ে টাকা পাঠাতেন মায়ের নামে।

বাবা একদিন সিগারেট খেতে গিয়ে ভাবলেন, তিনি সিগারেট খেয়ে টাকা নষ্ট করছেন আর তার সন্তানেরা না খেয়ে আছে – তিনি হাত থেকে সিগারেট ফেলে দিলেন। সেদিনের পর থেকে আজ পর্যন্ত কখনোই সিগারেট স্পর্শ করেননি আর।

আস্তে আস্তে বাবার চাকুরীতে উন্নতি হতে থাকে। বেতন বাড়তে থাকে – আমাদের দেনা শোধ হতে থাকে। বিরানব্বই সালে আমরা চলে আসি ঢাকায়। আবার সুখের দিনগুলো ফিরে আসতে থাকে। আজ বাবার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে এগারোটি দেশ ভ্রমন ও একবার হজ্জ করার সুযোগ হয়েছে। সবই তার চাকুরীদাতার কল্যানে। অনেকেই আমার বাবাকে প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়া মাত্রই ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে – আবার অনেকেই সেই ছুঁড়ে ফেলা বাবাকে পুনরায় বুকে জড়িয়ে ধরেছে পরম মমতায়।

গত কয়েকদিন ধরেই জুতা কেনার কথা ভাবছিলাম – সময়ের অভাবে কেনা হয়ে উঠছিল না। দেশ থেকে যে কয়েক জোড়া জুতা নিয়ে এসেছিলাম এক বছর আগে; তা মোটামুটি বাতিল হবার পর্যায়ে এসে পৌঁছে গেছে। গত সতেরোই সেপ্টেম্বরে আরিফ জেবতিকের কাছ থেকে ছোট্ট একটি বার্তা পেলাম – আমার ছেলেবেলা নিয়ে কিছু লিখতে হবে।

সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে হাড় – ভাঙ্গা খাটুনি খেটে গভীর রাতে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিক মাঝখানের রাস্তাটা দিয়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলাম। স্মৃতিগুলো এসে ঝাঁপি খুলে দিল আমার সামনে।

বাসায় ফিরে গিয়ে বাতিল হয়ে আসা জুতো জোড়া চোখের সামনে তুলে ধরলাম। এ জুতোর গায়ে আমার দেশের মানুষের ঘ্রান – মাটির ঘ্রান লেগে আছে।

কিছু অপরিচিত মানুষের অপরিসীম ভালোবাসায় আমাদের পরিবারটি একটি চরম দুঃসময় পার করে এসেছে । আমার দেশের মানুষ তারা – তাদের ভালোবাসার ঋৃণ আমি কিভাবে শোধ দিই?


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

আপনাকে আমি একদিন নিজে এক কাপ চা বানিয়ে খাওয়াবো এই খুব ভালো, খুব সুন্দর, খুব মন খারাপ করিয়ে দেয়া লেখাটার জন্য।


হাঁটুপানির জলদস্যু

দ্রোহী এর ছবি

আপনাকেও আমি নিজের হাতের বানানো কফি খাওয়াবো একদিন। (প্রিয় লেখককে খাওয়াতে আমার কোনরুপ দ্বিধা নেই। )


কি মাঝি? ডরাইলা?

কালোবিড়াল এর ছবি

এনজয় করলাম । ভালো লেখা ।

তারেক এর ছবি

লেখাটা চমৎকার কিন্তু তার চেয়ে অনেক অনেক বেশী মন খারাপ করিয়ে দেয়া।

যারা এরকম নিঃস্বার্থ ভালবাসতে পারে, তাদের ঋণ শোধ করতে হয় না, ঋণী থাকাটাই ভাল। হাসি

আপনার পরিবারের সবার প্রতি শুভকামনা রইল।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

ভাস্কর এর ছবি

লেখাটা পইড়া তব্ধা খাইলাম প্রথমে...তারপর মন্তব্য করতে আইসা লিখনের কিছু পাইতেছি না দেইখা মেজাজ খারাপ হইলো...অনেক অনুভূতি প্রকাশের ভাষা নাই...শব্দে অনুদিত করন যায় না...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অনেকগুলো ঘটনা ঘটে ভালো না মন্দ বোঝা যায় না। কিছু খাবার আছে ঝাল না মিষ্টি বিভ্রম হয়।
আপনার এ লেখাটিও সেরকম।
সব মিলিয়ে শুভকামনা।

শ্যাজা এর ছবি

অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করছে কিন্তু থাক...

ভালো লাগাটুকু শুধু জানিয়ে গেলাম...

ভালো থাকবেন।


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

কনফুসিয়াস এর ছবি

কি লিখবো বুঝছি না।
শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এলে আলুভর্তার দাওয়াত রইলো।
বাড়ি কুমিল্লায় শুনে আমি বুঝলাম আমার কলা-প্রীতি কোত্থেকে এলো, আর আমার বউ আবিষ্কার করলো কেন আমিও আপনার মতই চায়ে চিনি বেশি খাই!

-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অতিথি লেখক এর ছবি

কিলাইয়া হাকাইয়া ডাকাত মারিলে দেশে শান্তি মিলিবে। অনেক কিল খেয়ে আর হাক শুনে এই জিনিস মাথায় ঢুকেছিল।

আলাভোলা

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ফাহিম হাসান এর ছবি
অপছন্দনীয় এর ছবি

আপনার মা এবং বাবার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো - কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান।

আপনার বাবার প্রতি আরো একবার শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

তিথীডোর এর ছবি

গুরু গুরু

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।