আমস্তারদাম শহরের আউদে কের্ক আর এর আশেপাশের দ্য ওয়ালেন, রসে ব্যুর্ত ইত্যাদি এলাকায় আসা মাত্রই নবাগতদের মনে পোলিস এর রক্স্যান গানটা ভেসে উঠতে বাধ্য।
রাস্তাগুলির গঠন টিপিক্যাল আমস্তারদামি; কানালের দুই পাশে বাদামগাছে ছাওয়া ইট বিছানো রাস্তা, দুই ধারেই সারি সারি জানালা বাসানো বহুতল দালান। দালানগুলি তাদের জীবন শুরু করেছে কয়েক শতাব্দি আগে, তাহলেও বাইরের ফ্যসাড অক্ষত, যত্নের আলামত পরিস্কার। শস্থাপত্যশিল্পে আগ্রহী আর পটুয়াদের দিনের পর দিন ব্যস্ত রাখবার রসদে কোনাকাঞ্চি ভরপুর।
দালানের ফাঁকে ফাঁকে ছোট খাট কুটিরশিল্পীদের আস্তানা; মুচি, নাপিত, দর্জি, তামাকু, ময়রা সবি আছে। লন্ডন-ন্যু-ইয়োর্ক-প্যারি'র কাফে’র মত ওত ডাকসাঁইটে নইলেই এইখানেও কিছু ভাল ক্যফে আছে। তবে এখানের “কফি-সপ” কিন্তু ভিন্ন বস্তু; ওগুলো কিন্তু এস্প্রেসো, কাপুচিনো, ফ্রাপোর বদলে কিন্তু গানযা, ম্যজিক মাশ্ররমের আস্তানা। রাস্তা ভর্তি আইনজ্ঞ, ছাত্র, রেবাই সহ আরও নানাকাজের পুং ও স্ত্রীলিঙ্গের মানুষেরা হেঁটে চলে যার যার মত। রায়ান এয়ার আর ঈজিজেটে গাদাগাদি করে স্ট্যাগ/হেন নাইট করতে আসা বিলাতি হুলিগানের দলগুলি মহা সোরগোল তোলে।
দালানগুলির কানালমুখি চারতলা পাঁচতলা পর্যন্ত সারি সারি বড় বড় জানালা। এখানেই নিজ নিজ জানালায় উগ্র আলোয় দাঁড়িয়ে বসে আছে সাদা কাল হলুদ অসঙ্খ্য রক্স্যান...এই রাস্তাগুলির অন্যান্য কুটির শিল্পের মতই আরেকটা পসার।
জানালার ঊপর লাল বাতি মানেই দোকান খোলা। যার যেরকম দরকার দরদাম করে মিটিয়ে নিচ্ছে চাহিদা।
মন্তব্য
লাল বাত্তির ছবি - জানালায় নারী সমেত - দিতে পারতি...
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
জার্মানীতে আলাদা লালবাতি এলাকা মনে হয় কম। এখানে আবাসিক এলাকার ফাঁকে ফাঁকেই জানালায় রাঙ্গাদিলে বাত্তি জ্বলে.........
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
আমার পাড়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার পথে এরকম লাল ফৌজের পাড়া ডিঙ্গাইয়া যাইতে হয়।
হাঁটুপানির জলদস্যু
নতুন মন্তব্য করুন