ডিক্যাফের সাইড এফেক্ট

দুর্দান্ত এর ছবি
লিখেছেন দুর্দান্ত (তারিখ: সোম, ১৭/১২/২০০৭ - ২:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

autoরবিবারে খেয়ে দেয়ে বিছানায় গড়াগড়ির পর সন্ধ্যায় সখের এস্প্রেসো মেশিনটায় ব্রু করা কেনিয়া ব্লেন্ড এর ডাবল শটে চুমুক দিতে দিতে ইন্টারনেট গুতানটাই প্রথা। কিন্তু আজ প্রথা র অন্যথা হল, এস্প্রেসো মেশিনের ফিল্টার শেষ। অগত্যা বাড়ির ভদ্রমহিলার ভাগের ডিক্যাফ গরম দুধ এ গুলিয়ে নিয়ে গা গুলাতে গুলাতে নেট এ বসলাম।

ঢাকার প্রবাসী বাংলাদেশী সম্মেলন নিয়ে কিছু লেখা পড়ে আমার ডি-ক্যাফ মনটা ছোট মির্জার মত উদাস হয়ে এল। কিছুদিন ধরে বায়োফুয়েল নিয়ে নাড়াচাড়া করছি, তাই সদ্য বয়োঃপ্রাপ্ত কিশোরের জায়গামত চুলকানির মত, সম্মেলনের সূচীতে এই বিষয়টা দেখে আরও একটু খতিয়ে দেখার ইচ্ছা চাগান দিল। ঠান্ডা হয়ে আসা ডিক্যাফ এ চুমুক দিতে দিতে ইন্টারনেট এডভেঞ্চারে বেরিয়ে পড়লাম।

ভালই কাটল সন্ধ্যাটা। তিনটা ভাল উপসংহার এ পৌছানো গেল -

১। ডাবলশট এস্প্রেসো না মেরে রবিবার সন্ধায় কোন কিছু করা ঠিক না। নিজের নীচ/দুষ্ট মনের প্রভাব প্রকট থাকে। কারো ভাল দেখলে গায়ে ফোস্কা পড়ে।

২। ইন্টারনেট আর গুগল ডেঞ্জারাস জিনিস। এখানে খুঁজলে, অজানা অচেনা মানুষ সম্বন্ধে খামাখা ভুল ধারনা অতি তাড়াতাড়ি হয়।

৩। সম্মেলনটির আর কিছু না হোক, এন্টারটেইন্মেন্ট ভ্যাল্যু এতি উচ্চ। (আফসোস, বিমান আর মাগ্নায় টিকেট দিচ্ছে না, দিলে আলবাত যেতেম)

(এর নিচের লেখাগুলিকে যদি কেঊ ব্যক্তিগত আক্রমন হিসাবে দেখেন, আমাকে বলেন, আমি মুছে নিব।)

ঐ সম্মেলনে বায়োফুয়েল আর এর সাথে সম্পৃক্ত বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে কর্তৃপক্ষ যাকে কথা বলতে ডাকছেন সেই ইহসান এমদাদ সম্বন্ধে জানতে ইচ্ছা হল। মোল্লার দৌড় মসজিদ, আর আমার দোউড় গুগল।

নামটা তুলে দিতেই বোঝা গেল ইনি আন্তার্জালে বেশ সামদ্রিত। কিন্তু আমার বুদ্ধিমত্তা নিম্নমানের আর স্বভাব চরিত্র কলুষিত বলে, মনে একের পর এক খটকা লাগতেই লাগল। উদাহরন দিলে ব্যপারটা খোলাসা হয়। ইহসান ২০০৪ এর পর লেখা বায়োডাটায় নিজের সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্বন্ধে লিখছেন MBA, কিন্তু সম্মেলনের ওয়েব এ তার ছবির নিচে লেখা দেখিছি তিনি PhD শেষ করেছেন। ব্র্যাক নেটকে এই ব্যপারে তিনি ২০০৪ সালে বলছেন যে তিনি বায়ার (Bayer, জার্মানিতে একে বায়ার ই বলে) এ কাজ করতে করতে PhD শেষ করেছেন। ব্র্যাক নেটকে তিনি আরও বলছেন যে বায়ার এ " Head of New York Division" হিসাবে শেষ কর্মরত ছিলেন। কিন্তু তাঁর বায়োডাটায় লেখা আছে তিনি "Territory Sales Manager, Nassau, Queens County, New York" হিসাবে ২০০৪ এ বাংলাদেশ এ চলে আসা অবদি কাজ করছিলেন। সবচাইতে উতসায়ব্যঞ্জক কথাটা ব্র্যাক নেটের সাক্ষাতকারের শেষ লাইনঃ

" I would like to see my book International Management & Corporate Culture as a must read book for MBA students and corporate executives. This book is the complete representation of a true professional Ehsan Imdad. "

গুগলে আরো কিছু আজেবাযে লিঙ্ক দিয়েছে, যা বিশ্বাসের অযোগ্য। নিউ ইয়োর্ক এর আনক্লেইম্ড্ ফান্ড লিস্টএ তার মত নাম আর ঠিকানার একজন নাকি আছে। আনক্লেইম্ড্ ফান্ড লিস্ট এ কাদের নাম থাকে - আমেরিকাবাসি সচলদের কেউ লিখে দিলে সুবিধা হত। এগুলার সাথে সম্মেলনে বক্তৃতা দিবেন যেই ইমদাদ - তাঁর নিশ্চই কোন সম্পর্ক নেই।

আমার মত ক্যাফিনবঞ্চিত, অতি লম্বা নাক ওয়ালাদের জন্য কয়েকটা লিঙ্ক সেঁটে দিলাম। এঞ্জায়।

http://abfausa.org/dowry_overview.html
http://www.awib.org/content_frames/directory/asian/ny.html
http://www.osc.state.ny.us/ouf_recent/I_oufnew3.htm
http://www.bracnet.net/default.aspx?xid=1410&si=default&sk=1&m=web
http://ehsanimdad.htmlplanet.com/


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

ঢাকা শহরের গু দিয়ে গ্যাস আর সার তৈরির একটা প্রকল্প নাকি প্রায় বাস্তবায়িত হয়ে যাচ্ছিলো কয়েক বছর আগে, চারশো মেগাওয়াটের একটা প্ল্যান্ট মাশাল্লা ঢাকাবাসী হেগেই চালাতে পারতো, কিন্তু বাদ সাধলো নাকি সিটি কর্পোরেশন। তাদের নাকি কীসব বাধানিষেধ আছে গু নিয়ে। শেষমেশ নাকি "বিনাযুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র গুকণা" টাইপ পরিস্থিতি। আমরা তারপর হেগেই চললাম নিরুদ্দেশের পানে। বিদ্যুৎ আর হলো না।


হাঁটুপানির জলদস্যু

হিমু এর ছবি

আনক্লেইমড ফান্ড লিস্টের ব্যাপারটা একটু বুঝায় বলেন গো কেউ। এই লিস্টে নাম উঠানো কি উচিত না অনুচিত জেনে রাখি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।