কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে থাকাকালীন ধানমন্ডির ললিয়ঁস ফঁসেজ এ আমার দেখা প্রথম ছবি লাস্ট ট্যাঙ্গো ইন প্যারিস। ছবিটিতে এক কলেজপড়ুয়ার মাথায় আটকে থাকার মত অনেক কিছুই ছিল। আর উপরি হিসাবে নতুন নতুন শেখা ফরাসি বোলচাল, ফ্রেমের পর ফ্রেম ভর্তি প্যারিসের স্বপ্নাতুর শরতকালীন তামাটে সোনালী তো ছিলই।
সবে দিপ্লোম অলেমন্তেহ’র জ্ঞান নিয়ে ইংরেজি সাবটাইটেলই ভরসা। কাহিনীরসার তখন যা বুঝেছিলামঃ নিতান্তই খবিশ এক মাঝবয়সি লোক (ব্রান্ডো) সুজোগ পেয়ে একটা সহযসরল মেয়েকে (স্নাইডার) ব্যবহার করছে। শুরুতে মেয়েটার একতরফা আগ্রহ ছিল লোকটার সম্বন্ধে জানবার, কিন্ত লোকটার তাতে কোন উতসাহ ছিল না। ক্রমে স্রোত উল্টোদিকে বইতে শুরু করে শেষে ছবিটির ইতিটা ট্রাজেডিক হয়ে দাঁড়ায়। ছবিটি ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাবার পর ন্যূয়োর্ক টাইমসে লিখেছিল
তারপর বোধ করি স্নাইডারকেই বেশী মনে ছিল। তবে ব্রান্ডোর সেই বিখ্যাত মনোলগ মাথায় লেগে ছিল অনেকদিন।
সেদিন তেভেসেঙ্ক এর বরাতে আবারো দেখা হয়ে গেল। আবারো সেই, অসাধারন। স্নাইডার, ব্রান্ডো আর বের্তোলুচ্চি, জিন্দাবাদ।
মন্তব্য
লালকুঠী ২ এর সম্পর্কটা ঠিক বুঝতে পারলাম না ... একটু বুঝিয়ে দিলে ভাল হত ... আসিফ।
নতুন মন্তব্য করুন