রবিবার সকাল। আব্বা আমাকে মন্টু মামার সেলুনে হ্যান্ডোভার করে ত্বরা করে বাজারে ছুটেছেন, ফিরতি পথে পিক-আপ।
সেলুনের সামনেটা পূরোটাই খোলা – যারা আসছে যাচ্ছে, তাদের প্রায় সবাই সেলুনে বসা কাউকে না কাউকে চেনে, তাই হাঁটতে হাঁটতে, অথবা রিকশা থেকেই সেলুনে বসে থাকা পরিচিতজনের সাথে কুশল বিনিময় সেরে নিচ্ছেন।
সেলুনে তিন চারটা চেয়ার, চেহারগুলির সামনে আয়না, আয়নার নিচে কাঠের ড্রয়ার। দেয়ালে বেশ কয়েকটা ক্যালেন্ডার – কিছু হিন্দু পৌরানিক/দেব দেবির, কিছু তিব্বত-কিউট ইত্যাদির। আমার চেয়ারের হাতলের উপর তক্তা – তার উপর খাটো মোড়া – আর তার উপর ক্লাস টু-এ পড়া আমি। আমাকে বসিয়ে সদ্য পাট খোলা ধবধবে চাদরে মুড়ে রেখে কাঁচির কিচির-মিচিরে মাথার পেছন দিক টা ধার ধার করে এনেছেন মন্টু মামা – আব্বা এমনটাই বলে গেছেন।
কেচির কাজ শেষ করে আয়নায় লাগোয়া তাক থেকে ক্ষুরটা হাতে নিয়ে দোকানের সামনেটায় গেলেন মন্টূ মামা। উদ্দ্যশ্য চৌকাঠে ঝোলানো চামড়ার ফালিটায় ক্ষুরটা ঘষে নিয়ে ধার ফিরিয়ে আনা। বার কয়েক ঘষা দিয়ে ফেললেনও….
“অর মায়রে-বাপ, অর খোমার মাপ লইতাছি আমি, মাদারচোদ আমারে ইষ্টেব করসে!”
খপ করে মন্টু মামার হাত থেকে ক্ষুরটা টেনে নিয়ে যে ঝড়ের গতিতে এসেছিলেন, সেই গতিতেই পুলপাড়ের দিকে দৌড়ে গেলেন সাইজ্জা মামা।
তাঁর পিঠ থেকে ঝড়ে পড়া রক্ত গড়িয়ে চলেছে রাস্তার দিকে।
মন্তব্য
সরি বুঝলাম না, সাইজ্জা মামা কে? আর পিঠ থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে কেন?
-------------------------------------------------------
মূর্ছনা কেটে গেছে সুর
জোছনা ছড়ায় বেদনা, হৃদয় আনমনা ... চির চেনা তুমি অচেনা।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
স্ট্যাব করলে রক্ত বের হবে না?
মাইজ্জা মামাটা কি মন্টু মামাই?
আলমগীর
ঠিক আছে
ঠিকাসে।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
...
ফুটোস্কোপিক।
হাঁটুপানির জলদস্যু
অনেক পরিচিত একটা দৃশ্য ! ইষ্টেব এর ব্যাপারটা হঠাৎ ভিন্ন এক মাত্রা আইনা দিল, দারুন হইসে ! পাঁচে পাঁচ ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ভালো লেগেছে রবীন ভাই ঃ-}
তানবীরা
শেষের দিকের ঘটনার আকস্মিকতা বেশ ভালো লেগেছে।
ফেরারী ফেরদৌস
নতুন মন্তব্য করুন