গতবছর মার্চ মাসের কোন এক শনিবার দুপুরে খেয়ে নিয়ে আমরা একটু বেরিয়েছিলাম। ফি-সপ্তাহান্তে যেমনটি হয়ে থাকে। ঘন্টা দুয়েক পরেই ফিরেছি।
সদর দরজা খুলে গৃহকর্ত্রী ও রাজতনয়াদ্বয় ওপরে। আমি সপ্তাহান্তের সহজাত ঢিমেতালে জ্যাকেট-জুতা ছেড়ে, বেল্ট ঢিলে করে নিয়ে কোমর ডলতে ডলতে উপস্থায়ী গন্তব্য টিভি, ফ্রিজ, চিঠিপত্র - এর মধ্যে কোনটি ভাবছি।
এমতাবস্থায় ওপর থেকে তিনজন বিভিন্ন বয়সী নারীর তীক্ষ্ণ আর্তচিতকারে ভাবনাটায় চ্ছেদ পড়ল। স্বয়ং দুদ্দাড় সিড়ি ভেঙ্গে দোতলার ল্যান্ডিং-এ পৌচ্ছে চোখ ছানাবড়া। চারিদিক তোলপাড়। শোবার ঘরের বিছানা বালিশ ওলটানো, আলমারি খোলা ও জামাকাপড় মেঝেতে। সাজভান্ডারের দেরাজ খোলা, তাদের আধেয় আগোছালো ও গয়নাগাটি লাপাত্তা। পড়ার ঘরের যে আলমারি ক্যামেরা, ল্যাপ্টপ ইত্যাদি থাকে, তা খোলা ও খালি। পেছনের বাগান থেকে রান্নাঘর ঢোকার দরজার তালা ভাঙ্গা।
প্রায় তিন বছর হাট করে দরজাজানালা খুলে ঘুমানোর পর, সেদিন আমাদের বাসায় চুরি হয়ে গেল।
যে কম সময়ে ঘটনাটা ঘটে যায়, তাতে সন্দেহ নেই, কে বা কারা আমাদের সর্বক্ষন নজরে রাখছিল। কতদিন ধরে তা করা হচ্ছিল? তখ্নও কি কেউ আমাদের ওপর নজর রাখছে? এ পাড়ার সবাই সবাইকে চিনি। গায়ে গায়ে লাগা বাড়িগুলোতে অচেনা কেঊ এলেই এ-ও বাড়ির কুকুরগুলোও জানান দিয়ে দেয়। তাহলে কি পরিচিত কেঊ জড়িত?অজানা অচেনা কেউ ঘরে এসে বিছানা-বালিশ, জামাকাপড় ছুঁয়েছে, এই প্রত্যক্ষিকরনে গৃহকর্ত্রীর গা ঘিন ঘিন থামছিলই না।
পুলিশ তাৎক্ষনিক কিছু করতে পারেনি। বীমা থেকে সামান্য কিছু আর্থিক ক্ষতিপুরন পাওয়া গিয়েছিল, কিন্তু প্রিয়জনের মত জিনিষগুলোর মায়া ছেড়ে যায়নি। কিছুদিন সংক্ষোভে থেকে প্রায় ভুলতে বসেছিলাম।
আজ দুপুরে বাজার থেকে বাসায় ফিরে পুলিশের চিঠি পেলাম। ওরা প্রথামত আমাদের ফাইল বন্ধ করে দিচ্ছে। মায়া, ভয় আর আশ্বস্তি মেশানো একটা বিস্বাদ মুখে আটকে আছে তখন থেকে।
------
এখানে ইন্ডিয়া ফেস্টিভাল চলছে। নাচ-গান, সিনেমা, চিত্রকলার সাথে আছে ধ্রুপদি সংগীত। ফর্দে জাকির হুসেইনের নাম দেখে লোভ সামলাতে পারিনি। হুসেইনকে প্রথম দেখি ঢাকায়, সম্ভবত ওসমানী মিলনায়তনে, তারপর আবার এই। সেবার তাঁর সাথে সারেঙ্গীতে ছিলেন সুলতান খান। এবার তার সাথে দিলশাদ খান সারেঙ্গী বাজালেন। আর সেতারে এক হাত দেখিয়ে দিলেন নিলাদ্রি কুমার। নিলাদ্রিকে গতানুগতিক থেকে একটু আলাদা মনে হল। ভিডিওটা দেখুন।
শো’এর ফাঁকতালে ব্যাকস্টেযে একটা ঢুঁ মারা গেল। থিকথিকে ভিরে শত ক্যামেরার নিচে দাঁড়িয়ে শুনলাম হুসেইন যেন কার সথে সাবলীল আর রীতিমত শুদ্ধ বাংলায় কথা বলে যাচ্ছেন। অবাক।
মন্তব্য
আপনার অনুমান সত্য। সেখানে উনার বাবা 'আল্লারাখা' আর ছোট ভাই ও ছিলেন।
আমি আগেও উনার অনুষ্ঠান দেখেছি, আদনান সামী'র সাথে দুবাইতে। সারাজীবন মনে রাখার মত অনুষ্ঠান দুটোই।
...........................
Every Picture Tells a Story
হুসেইনকে দেখা হয়নি... যন্ত্রে ছাড়া বাজনাও শোনা হয়নি...
তবে অনেক আগে দেখা একটা ফটোগ্রাফ খুব মনে রয়ে গেছে। দৈনিক বাংলাতে ছাপা হয়েছিলো। ছবি নিয়েই স্টোরি ছিলো একটা। আল্লারাখা আর হুসেইন এক মঞ্চে... দুজনের যুগলবন্দিতে একসময় আল্লারাখা তবলা ছেড়ে হাতে তালি দিয়ে উঠলেন... হুসেইন তখনো বাজাচ্ছেন। ঠিক সেই মুহূর্তের ছবিটা তোলা।
সাদাকালো ছবি, এত্তো বেশি প্রাণবন্ত ছিলো... চোখে লেগে আছে এতবছর পরেও...
ফটোগ্রাফার কে ভুলে গেছি তা।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- এই ভদ্রলোকতো সেতারকে গীটার মনে করে বাজাচ্ছে দেখি। দারুণ লাগছে। মনে হলো টেম্পো স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বাড়ানো।
ওস্তাদ জাকির হুসেনরে লাইভ দেখার খুব শখ। এখনো পূরণ হয় নাই।
আপনের ঘরে চুরির ব্যাপারটা ভালো লাগলো না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হায় হায়
দারুন ক্লিপটা, আমারো ওনাকে লাইভ দেখার খুব সখ
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
নতুন মন্তব্য করুন