কোথাও বিনিয়োগের আগে কিছু বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। কত টাকা খাটালে কত লাভ, কত তাড়াতাড়ি বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত আসবে, ঝুঁকি কতটুকু ইত্যাদি। ঝুঁকি যত বেশী, লগ্নিকারি তত বেশী লাভ আশা করে। বেশী মুনাফা ও কম ঝুঁকিওয়ালা বিনীয়োগের কদর বেশী। বিদ্যুত, পানি ইত্যাদি উপযোগমূলক খাতে বড় মাপের বিনিয়োগ লাগলেও বছরওয়ারি মুনাফার হার তুলনামূলকভাবে কম। ১৫-২০ বছরের আগে এই খাতে লগ্নিকৃত টাকা উঠে আসবেনা। তবে লম্বা সময় ধরে নিশ্চিত পাওয়া গেলে কম হারের মুনাফাকেও কেউ পায়ে ঠেলে না। কয়লা, গ্যাস ইত্যাদি উপকরন আর বেচাবিক্রি দুই দিকেই চুক্তি ও বাজারদরে কেনা বেচার সূযোগ থাকে। সব জেনে বুঝে বিনিয়োগকারিরা ঝুঁকির একটা মোটামুটি ধারনা করতে পারে। কেনা-বেচা ও উতপাদনের পরিমাপ ও দাম কমবেশী করে সেই ধারনার ঝুঁকিটারই কিছু উপশম করে নেয়।
বেশী মানুষওয়ালা গরিব দেশে ক্ষমতালোভী সরকার উপযোগমূলক খাত হাতছাড়া করে না। দেশী বিদেশী অনেক বিনীয়োগকারী শুল্কমুক্ত বিনীয়োগ, শস্ত-শ্রম আর চড়তি বাজারের বড়শিতে ঠেকে,আর খাবি খায়। ঘাড়ের ওপর বসে থাকা সরকার বাজারদর ধরে দেয়। দুইদিন পর পর ক্ষমতার লড়াই, সদা উপস্থিত দুর্নীতি ও আইনের ফাঁক-ফোকড় ইত্যাদিও থাকে। কত লাভ হবে, কত তাড়াতাড়ি বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত আসবে এসব প্রশ্নের উত্তরটা তখন হয়ে ওঠে বেশ মোটা দাগের। আগেই বলেছি, বেশী ঝুঁকি মানে মুনাফার খাঁই বেশী। বিনীযোগকারির কাছে বেশী ঝুঁকি আর মোটা দাগের উত্তর একই কথা। তাই একথা বলা চলে যে বাংলাদেশের উপযোগমূলক খাতে টাকা খাটাতে গেলে লগ্নিকারিরা একটু বেশী মুনাফা আশা করবে।
একটি বিনীয়োগের আগে চালু কোন প্রকল্পের উপাত্ত আর অভিজ্ঞতার আলোকে ঝুঁকির গ্রহনযোগ্য মাপযোক করে নেয়াতটা সার্বজনীন। নব্যপ্রযুক্তিনির্ভর প্রকল্পের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাগুলো খাতায়, গবেষনাগারে অথবা দুই একটা পাইলট প্রকল্পে সীমিত থাকে। যদিও ছাত্র, বৈজ্ঞানিক বা কারিগরি গবেষকের কাছে এই অভিজ্ঞতাকেই কাম তামাম মানে হয়, এই অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে লাভজনক ব্যাবসা হবে কি না, তা এক-দুইটা জলজ্যান্ত প্রকল্প না দাঁড়িয়ে গেলে কিসসুটি বোঝার উপায় নেই। টাকা ঢালা হল, প্রকল্প শেষ হল, কারখানা দাঁড়িয়ে গেলে, জ্বালানী মন্ত্রী সুইচ দাবালেন – কিন্তু বাতি জ্বল্লে না, এই রকমটি হবার নব্যপ্রযুক্তিনির্ভর প্রকল্পের সম্ভাবনা ৫০% এর কাছাকাছি। এই জাতীয় ঝুঁকি ভার বহন সবার কর্ম নয়। এ করতে পারে কালাচোরা, পাগল আর বলদ; অন্য ভাবে বলতে গেলে শুল্কবিনীয়োগকারি, পেনশানফান্ড অথবা উন্নয়ন সাংস্থা। বাযু, সৌর, ঢেউ ও ভুতাপ – এইসব থেকে বিদ্যুত উতপাদন করার প্রকল্পকে প্রযুক্তি নির্ভর বলা যায়। এগুলোর ওপর নির্ভরকরে বড় ধরনের প্রকল্প বাংলাদেশের মত ছোট, গরীব ও গরমদেশে আজ দেখা যায়নি।
তাহলে খাড়াইল এই যে ঃ বাংলাদেশে বাযু, সৌর, ঢেউ ও ভুতাপ এইসব প্রযুক্তিনির্ভর প্রকল্প থেকে একজন বিনীয়োগকারি স্বাভাবিকের চাইতে বেশী মুনাফা আশা করবে।
বেশী মুনাফা মানে কি? কথা সহয করা জন্য আসুন ধরে নেই, ব্যাঙ্কে রাখলে যত মুনাফা দেয় তার চাইতে বেশী। ২০০৫ সালে ডেলটা ব্রাকে এক লাখ রাখলে বাতসরিক নয় হাজারের মত দিত। মানে ৯%। ধরে নেই এতদিনে তা কমে টমে ৭% এসে গেছে। সেই হিসাবে ধরে নেই বাংলাদেশে কেউ গতানুগতিক বিদ্যুত খাতে বিনিয়োগ করলে ৮% চাইবে। এই ক্রমানুসারে বাযু, সৌর, ঢেউ ও ভুতাপ – এই জাতীয় প্রকল্পে ১০% মুনাফা আশা করাটা অন্যায় হবে বলে মনে হয় না।
নিচের ছবিটি একটু পুরানো, ২০০৬ সালের। তবে এখনো মোটামুটি প্রযোজ্য। গ্রাফের উলম্ব অক্ষে প্রতি কিলোওয়াটঘন্টার উতপাদন খরচ ব্রিটিশ পেন্সে দেখানো হয়েছে। এই ধারনা অনুযায়ী স্থলে অবস্তিত বায়ুশক্তি থেকে উতপাদিত বিদ্যুতের খরচা পড়বে ৫ টাকার মত। (২০০৬ সালে পাউন্ড ১১০-১৪০ টাকায় ওঠা নামা করেছে)।
এবারে আরেকটি ছবি দেখাই। এটিও সমসাময়িক। এখানে প্রকল্পের আকার ও বয়সের সাথে খরচের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। সৌরশক্তিতে তুমুল উন্নতি হয়েছে, কিন্তু প্রকল্পের আকার এখনী প্রায় কিছুই না। অন্যদিকে কয়লা বা গ্যসনির্ভর প্রকল্প টেনে যতই বড় করা হোক খরচের হেরফের খুব কমই হবে।
আবার বাংলাদেশে ফেরত যাই।
ঢাকায় ফোন করে জানলাম যে এখন ধামমন্ডি এলাকায় সরকার প্রতি কিলোওয়াটের জন্য ৩.৫ টাকা করে আদায় করে। এখান থেকে ০.৫ টাকা সংস্তাপন, সঞ্চালন, সরবরাহ ও সিস্টেম লস খরচ বাবদ বাদ। আমার জানা মতে সরকারে উতপাদন খরচ ও কেনা দাম ৩-৫ টাকার। এই হিসাবে বিলের টাকা দিয়ে উতপাদন ক্ষমতা দূরে থাক, সরকারের গাইট থেকে পয়সা ভরতে হয় হর হামেশাই। আদায় যেখানে ৩.৫ টাকা, সেখানে বায়ূশক্তিতে ৫ টাকা শুধু উতপাদন খরচ পড়লে তো ডাবল খাটে সিঙ্গেল কম্বল হয়ে যায়।
তাহলে কি সরাসরি মুনাফার অভাবে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতখাতে বিনীয়োগ একবারেই আসবে না?
পাগল আর বলদের মালিকেরা মন্দার বাজারে টাকা খুইয়ে ঢিঢ হয়েছেন, এদিকপানে তারা ইদানিং আরে এগুবেন বলে মনে হয় না। সমস্যা আরেকটা হয়ে গেছে। তেলের দাম আর কাটতি চড়তি থাকায় মন্দার আগে অনেক বিনীয়োগকারিই তেলের বলদি কিছু একটা চট জলদি বাজারে আনার পেছনে টাকা খাটিয়েছেন। এখন তেলের দামও আর চড়া নেই, কাটতিও পড়ে গেছে, তাই সেই বদলি কিছু একটার পিছনে আর টাকা ঢালছেন না অনেকেই। গোল্ডম্যান সাক্স বলছে ঃ
আশার কথা যে কালাচোরের এখনো আছে। তারা সরাসরি না আসুন, সি ডি এম এর ঘুর পথে হলেও আসবেন।
কিন্তু সেই কম্বলটাও যে সিঙ্গেল মামা।
মন্তব্য
আপনার প্রথম ফিগারে বিদ্যুতের যে বছরওয়ারি দাম দেখানো হয়েছে সেটার ট্রেন্ড তো বলে যে, বিদ্যুতের দাম লাফায়া লাফায় বাড়তেছে। দুই-চার বছর পর যেখানে গিয়ে দাড়াবে, তখনও কি ১৫-২০ বছরের আগে এই খাতে লগ্নিকৃত টাকা উঠে আসবেনা বলে মনে করেন?
আপনি যদি টাকা উঠে আসার হিসাবটা আরো বিস্তারিত দিতেন তাহলে ভালো হত।
বাংলাদেশের শতকরা আশি ভাগ গ্যাস যায় বিদ্যুত আর সারে। যখন গ্যাস ফুরায়া যাবে তখন বিদ্যুত পাবেন কোথায়? ব্যক্তিগত বিনিয়োগ না আসলে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে বিনিয়োগ করার, আর ভর্তুকি যদি দিতেই হয় সেটা বিকল্পশক্তিতে দিলে ক্ষতি কি?
একমত
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
টাকা উঠে আসার ধারনা পাওয়া যাবে এখানে ।
সৌরবিদ্যুতে খাটানো টাকা উঠে আসার একটা মোটামুটি ধারনা এখানে পাওয়া যাবে। এখানে দুইভাবে কথাটা বলা আছে ঃ
১) যদি ওয়াটপ্রতি বিনীয়োগের পরিমান ২৫০ টাকা হয়, তাহলে ১০ বছরের মধ্যে টাকা তুলে আনতে কিলোওয়াট প্রতি বিদ্যুতের দাম হতে হবে ১৫ টাকার ওপরে। (১ ডলার = ৬০ টাকা ধরে)।
২) ধরুন বাংলাদেশে দৈনিক ৫ ঘন্টার দরকারি সৌরালোক পাওয়া যায়, এবং কোন মুনাফা আশা না করেই কেউ টাকা খাটালো। তার পরেও ১০ বছরে টাকা উঠে আসাতে কিলোওয়াট প্রতি বিদ্যুতের দাম হতে হবে ২৫ টাকার ওপরে। এখানে আবার মুনাফা চাইলে অথবা সৌরালোকের পরিমান কিছু কম হলে হয় টাকা উঠে আসার সময় লম্বা হবে না হয় বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে।
লেখাটা পড়ার সময় আমার এই কথাটাই মনে হচ্ছিল। ভুর্তকি দিলে বরং সেটা বিকল্প উৎসতেই দেয়া উচিৎ। নবায়নযোগ্য উৎস্য থেকে বিদ্যুত উৎপাদন স্বভাবতই ব্যায়বহুল। ভবিষ্যতে সেদিকে গেলে উৎপাদন খরচ বাড়বে। কিন্তু রাজনৈতিক কারনে যদি সরকার ভুর্তকির রাস্তায় হাটতে থাকে এই বিদ্যুতের মূল্য একদিন আকাশ ছুয়ে যাবে। বর্তমানে ভুর্তকি দিয়ে বাজারে বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। কারন কম দামে পেলে স্বাভাবিক ভাবে অপচয় বেড়ে যাবে। একেত ভুর্তকি ব্যপারটি টেকসই হচ্ছেই না তার উপর স্বল্প আয়ের ব্যক্তিদের জন্য এই খরচের চাপ এবং ভবিষ্যত ঝুঁকি আরো বেশি। কৃষির নাম করে গেসোলিনেও সরকার ভুর্তকি দেয়। ব্যক্তিগত ভাবে আমি এটা সমর্থন করি না। কিন্তু রাজনৈতিক কারনে সরকার এটা এড়াতেও পারছেনা।
আর উপরে যে লার্নিং কার্ভের ব্যপারটি দেখান হয়েছে সেটাও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বায়ুশক্তি নিয়ে হিমুর লেখাটা সে বিবেচনায় মনযোগের দাবি রাখে। শক্তিখাতে লার্নিং ব্যপারটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। একটা-দু'টা ভুল ভাবে নেয়া প্রকল্পের উপর ভিত্তি করে একটা সম্ভাবনাকে গলা টিপে মেরে ফেলা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আমার পর্যবেক্ষন হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রথম এবং প্রধান অন্তরায় হচ্ছে গবেষনার গূরুত্বকে খাট করে দেখার প্রবনতা। ধরা যাক শক্তি খাতের কথাই। চার পাচটা বিকল্প উৎস্যকে যাচাই করে দেখার পর একটা যদি কাজে আসে তাহলে গবেষনার খরচ কিন্তু তেমন উল্লেখযোগ্য থাকে না। কোন এক অদ্ভুত কারনে আমাদের নীতি নির্ধারনি প্রক্রিয়ায় গবেষনার প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। এটার পরিবর্তন দরকার। ভীষন দরকার।
'বিনিয়োগ' বিষয়ে আপনার থেকে আরো বিস্তারিত পোস্ট চাই...
____________
অল্পকথা গল্পকথা
পুরা না বুঝলেও জানলাম। থ্যাংকু।
একই কথা আমারো, ভর্তুকি যদি দেয়ই, তো বিকল্পশক্তিকেই দেয়া উচিত। আর যদি তেলের দাম ১৭ টকা থেকে এখন ৭০ টাকায় এসে ঠেকতে পারে, বিদ্যুতের দাম ৩.৫ টাকা থেকে অন্তত ৫ টাকায় আসতে বাধা দেখি না, তখন অন্তত উৎপাদন খরচটা উঠে আসবে।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ব্যাপারটাকে অন্যভাবে দেখার চেষ্টা করি। শুধু উৎপাদন নয়, সাথে সাথে বিদ্যুতের পরিচলন/সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থাও যদি একা সরকারের হাতে না রেখে উৎপাদনে বিনিয়োগকারীদের হাতেও আসে তাহলে খায়-খরচা মনে হয় কমে আসবে। বিদ্যুত বিতরণ ও বিল আদায় ব্যবস্থাও এফিশিয়েন্ট হবে। তাছাড়া বেসরকারী বিনিয়োগকারীরা সঞ্চালন ও বিতরণে গেলে একটা প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি হবে এবং মানুষ সেক্ষেত্রে ইউনিট প্রতি ৭ বা ১০ টাকা দিতে বিশেষ গাঁইগুই করবে না। গোটা ব্যাপারটাকে বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের ইতিহাসের সাথে মেলান দেখবেন পরিষ্কার হয়ে গেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে একটা ডিজেল ইঞ্জিন চালিত সেচ পাম্পের খরচ (জ্বালানী+অপারেশন+রক্ষনাবেক্ষণ) সমান ক্ষমতার বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের আট থেকে দশগুণ। ইউনিট প্রতি বিদ্যুত বিল বেড়ে যদি দ্বিগুণও হয় তাহলেও কিন্তু এই পার্থক্যটা চার থেকে পাঁচগুণ থেকেই যাবে। এই পার্থক্যগুলো মানুষ কিন্তু বোঝে। তারপরও আরো বোঝানো যেতে পারে।
স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা কিন্তু গ্রুপ বেঁধে এমন বিনিয়োগে আসতেই পারেন। স্থানীয় বলে এখানকার রাজনীতিতে তাদের ভূমিকা থাকে তাই ক্ষমতা বদলের সাথে সাথে তাদের বিনিয়োগ অন্ততঃ বড় ধরণের ঝুঁকিতে পড়বে না। তারা ঠিকই মুনাফাটা তুলে আনতে পারবেন।
আমরা যারা দেশে কাজ করছি তারা জানি দেশে এখন খুব কম সেক্টরই আছে যেখানে "কম ঝুঁকি অধিক মুনাফা" আছে। বরং বেশিরভাগ সেক্টরই "বেশি ঝুঁকি কম মুনাফা" হয়ে গেছে। বিদ্যুতের বিকল্প এইখাতটা "বড় বিনিয়োগ, বেশি ঝুঁকি, নিশ্চিত মুনাফা"-র। টেকনোলজী যদি ধরা না খায় তাহলে এই সেক্টরে বিনিয়োগ আকর্ষণ করা যেতে পারে। কিন্তু টেকনোলজী কি সেই নিশ্চয়তা দেয়?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সেইটাই, অল্টারনেটিভ এনার্জির যেকোন সোর্সই এখনো কমার্শিয়ালি ভায়াবালিটি থেকে অনেক দূরে আছে বলেই মনে হয়।
=======================
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যাথা!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
যতটা দূরে আছে বলে আমরা মনে করছি ততটা দূরে আসলে নেই, জার্মানীর উদাহরণ দেয়া যায়। হিমু ভাই ভালো বলতে পারবেন। সেদিনই আলোচনা হচ্ছিল যে জার্মানীতে ইতিমধ্যেই কেবলমাত্র বায়ুবিদ্যুত থেকে ২৪ গিগাওয়াট উৎপাদিত হয়ে ন্যাশনাল গ্রীডে যাচ্ছে, ২০২০ সাল নাগাদ আরো ২৫ গিগাওয়াট যাবে।
আমরা আসলে সবকিছুতে পিছিয়ে পড়তে পড়তে পিছিয়ে পড়াটাকেই স্বাভাবিক ভাবছি। অন্তত শক্তিখাতে বিকল্প চিন্তা নিয়ে আমাদের এগিয়ে আসা উচিৎ, নিজেদের ভবিষ্যতের স্বার্থেই। বাংলাদেশের বিদ্যুতখাতে যে দুর্বিষহ অবস্থা, ভবিষ্যতে জ্বীবাশ্ব জ্বালানির অনিশ্চিত সরবারহের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেবার এখনই সময়, আমরা কি বালিতে মুখ গুঁজে রাখবো, নাকি একটু চড়ে খেতে শিখবো।
আর বিদ্যুত এমন কোনো বিলাসের বস্তু এখন আর নয় যে কেবলমাত্র মুনাফা হলেই সরকার সেটা উৎপাদন করবে, না হলে নাই। বিকল্পশক্তির উদ্যোগটা তাই সরকারকেই নিতে হবে শুরুতে। যেহেতু ইরাক দখলের সামর্থ্য আমাদের নাই, আমাদের তেলগ্যাস নির্ভরতা বিকল্প উপায়েই কমাতে হবে, সেটা বর্তমানে ভর্তুকি দিয়ে হলেও।
বাংলাদেশের বিদ্যুতখাতে যে দুর্বিষহ অবস্থা, ভবিষ্যতে জ্বীবাশ্ব জ্বালানির অনিশ্চিত সরবারহের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেবার এখনই সময়, আমরা কি বালিতে মুখ গুঁজে রাখবো, নাকি একটু চড়ে খেতে শিখবো।
সহমত। তবে আমাদের যা ভাবতে ভাল লাগে, আর যা বাস্তব, এর মধ্যের ফাঁকটা বেশী বড় হলেই সমস্যা। জ্বীবস্ম জ্বালানির সরবারহ অনিশ্চিত, তাই জ্বীবাশ্ম সরবরাহ নিশ্চিত করাটই জরুরী। সমস্যাটা দুদিক থেকে আসতে পারে (১) আদেতেই বাংলাদেশের যথেষ্ঠ গ্যাস নেই, (২) গ্যাস থেকে তৈরী বিদ্যূত পরিবেশ বান্ধব নয়, তাই পরিবেশ বাচাতে আমাদের সৌর, বায়ু ইত্যাদির পথ ধরতে হবে। এর প্রথমটির উত্তর নিশ্চিত করার মত উপাত্ত আমাদের কাছে নেই। দ্বিতীয়টি সমর্থনে জার্মানীকে উদাহরন হিসাবে ধরেও বিশেষ ভরসা আসে না। কেন? এখানে দেখুন।
বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রচলন কি পরিবেশের কথা ভেবে করা জরুরি, নাকি চাহিদার যোগান দেয়ার কথা ভেবে? এই তর্ক চলতে পারে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রসঙ্গে (যদিও একাধিক ইউনিট নষ্ট হয়ে পড়ে আছে ওখানে), যেখানে পরিবেশকে বিপন্ন করেও ২৩০ মেগাওয়াটের প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে।
কেবলমাত্র পরিবেশবান্ধব বলেই আমরা বিকল্পশক্তির দিকে ঝুঁকবো, এইটা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একদমই খাটে না। জ্বীবাশ্ম জ্বালানির মধ্যে গ্যাস পরিবেশের ক্ষতি কম করে, সত্য কথা। কিন্তু গ্যাস দিয়ে আমাদের বিদ্যুত উৎপাদন করার পেছনে সেটাই কি মূল কারণ?অবশ্যই না। যেখানে আমরা আমাদের চাহিদা মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছি, সেখানে পরিবেশ নিয়ে চিন্তার অবকাশ পরে, আগে চাহিদা পূরণ। কথা হচ্ছে, গ্যাস থাকার পরও বাংলাদেশ স্পষ্টই ব্যর্থ পূর্ণ বিদ্যুত সরবারহ নিশ্চিত করতে। যে পরিমাণ গ্যাস আমাদের আছে তা দিয়ে ভবিষ্যতের সব চাহিদা মেটানো সম্ভব নয় বলেই আমরা আলোচনা করছি কীভাবে বিকল্পশক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়ে শক্তি সরবারহ নিশ্চিত করা যায়।
সবচেয়ে বড় কথা, আমরা গ্যাসে স্বয়ংসম্পূর্ণ কিনা সেটা জানার কোনো উপায় নেই। যে জিনিসটা আমাদের হাতে নেই, তার জন্য অন্যের মুখাপেক্ষী না থেকে বরং যা যা হাতের কাছে যথেষ্ঠ পরিমাণে আছে তার সদ্ব্যবহার করার উপায় খোঁজাই কি শ্রেয় পন্থা নয়?
এই খাতে একই এলাকায় সাধারনত একাধিক বিনিয়োগকারিকে সুযোগ দেয়া যায় না। কারন ফিক্সড কস্ট। সেক্ষত্রে প্রতিযোগিতার ব্যপারটি নিশ্চিত করা একটু কঠিন। এরপরও বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন আছে। এতে দক্ষতা বৃদ্ধি পাবার কথা।
বেশি ঝুকি আর নিশ্চিত মুনাফা স্ববিরোধী। তারপরও এই খাতে এই মুহূর্তে নতুন উৎসে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের সম্ভাবনা কম। সরকারি পৃষ্ঠোপষকতায় গবেষনা (বিশেষ করে এক্সপেরিমেন্টাল) হওয়া আগে দরকার। তাহলেই টেকনলকজির দিকগূলো জানা যাবে।
জটিল লেখা , ভাবতে বসছি।
ছবিতে দেখছি, আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা "গ্যাস-হেভি"। শিল্পখাতে গ্যাসের ব্যবহার বাদ দিতে পারি না, বাদ দিতে পারি না ক্যাপটিভ ইলেকট্রিসিটি জেনারেশনের ক্ষেত্রেও গ্যাসের ভূমিকা। বাংলাদেশে প্রায় ১০০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক ক্যাপটিভ পাওয়ার জেনারেশনের সাথে আমি পেশাগত কারণে জড়িত ছিলাম, সেটি মোট ক্যাপটিভ পাওয়ারের একটি ভগ্নাংশ মাত্র। গ্যাস যখন ফুরিয়ে আসতে থাকবে, অবকাঠামোর আয়ু তখনও থাকবে অনেকখানি, এই শিল্প মালিকেরা কি চাপ দেবেন না সরকারের ওপর? সরকার কোনটাকে বেছে নেবে আগে, এই প্রভাবশালী মহলকে, নাকি দেশের বিদ্যুৎখাতের ভোক্তাদের? গ্যাসনির্ভর বিদ্যুৎব্যবস্থায় তখন বিদ্যুতের দাম বাড়তে বাধ্য।
দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে, আমাদের তো পর্যাপ্ত ক্যাপাসিটিই নির্মাণ হয়নি। যত সময় যাবে, দেশে শিল্পখাতে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে, নগরবিস্তারের কারণে আবাসিক বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। সরকার যদি ক্যাপাসিটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়ও, সেটা কি গ্যাসভিত্তিক হবে? মনে হয় না। তাহলে কি তেলভিত্তিক হবে? যদি আমরা একটা গ্যাস-হেভি বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থেকে একটা অয়েল-হেভি বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় যাই, আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তার কথাও চিন্তা করে দেখতে হবে। পান থেকে চুন খসলেই তো তেলের দাম চড়চড়িয়ে ওঠে। সরকার কি পারবে এই অস্থির জ্বালানির সাথে তাল মিলিয়ে গ্রাহককে বিদ্যুৎ দিতে? আহমদিনেজাদ আর শাভেজের ধমকাধমকি শুরু হলেই তো তেলের দাম লাফিয়ে বাড়ে, তখন কি সরকারকে ভর্তুকি গুণতে হবে না?
বিকল্প জ্বালানির খরচ বেশি, সন্দেহ নেই, কিন্তু এদের একটা সুবিধা হচ্ছে, চাইলেই ফট করে এদের সাপ্লাই কমে না। সৌর বা বায়ুশক্তির অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হলে তা খরচসাপেক্ষ হবে, সন্দেহ নেই, কিন্তু খরচের হাত থেকে নিস্তার আদৌ আছে, সেটাই বা আমরা ধরে নিচ্ছি কেন?
াআমি মানি একদিন আমাদের আর গ্যাস থাকবে না। নতুন ক্ষেত্র খুজতে গত ১০ বছরে আর চলতি ক্ষেত্র উন্নয়ন/রক্ষনাবেক্ষনে গত ২০ বছরে কোন বিনীয়োগই হয়নি। এটাই আজকে দেশে গ্যাসের ঘাটতির বড় কারন। সঠিক ব্যবস্থাপনায় এই ফুরিয়ে আসার দিনকে কয়েক দশক পিছিয়ে দেয়া যায়। এটা নিশ্চিত করতে না পারলেই আমরা নিজেদের নবায়নযোগ্য জ্বলানীর প্রযুক্তি গুলো ঠিকমত যাচাই বাছাই করার সুযোগ পাবো, যদি সেখানে কেউ বিনীয়োগ করে। লেখায় বলেছি বেসরকারি খাত থেকে সেই বিনীয়োগ আসবে না, সরকার আর উন্নয়ন খাত থেকেই সেটা আসতে হবে। আমি আশা করি যে দুই তিন দশকে বাংলাদেশে বড় কোন পরিবর্তন আসবে যেখানে সরকার, বেসরকারি বা উন্নয়ন খাত থেকে এখানে বিনীয়োগ আসবে, তবে এতদিনে যা বুঝলাম, আমার সব আশা পূরন হয় না।
সরকার যদি ক্যাপাসিটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়ও, সেটা কি গ্যাসভিত্তিক হবে? মনে হয় না। তাহলে কি তেলভিত্তিক হবে?
কয়লাকে বাদ দিচ্ছো কেন? কয়েক দশক পর থেকে দুনিয়ার একটা বড় অংশই তো তাদের জ্বালানীর জন্য তেল ও গ্যস থেকে কয়লার দিকে হাটবে। ভাল লাগুক আর নাই লাগুক, তখন আমাদের দেশের জ্বালানীর বড় একটা ভাগ কয়লা থেকেই আসবে।
হ্যাঁ, কয়লার শেয়ার অনেকখানি বাড়বে এনার্জি মিক্সে, বিশেষ করে স্টীম টারবাইন চালিত প্ল্যান্টগুলি সবই কয়লাখোর হয়ে উঠবে। কয়লার কিছু উত্তোলনযোগ্য মজুদ আমাদের আছে, যেটার পরিণতিও গ্যাসের মতোই হবে। উত্তোলনযোগ্য কয়লার পরিমাণ কত দেশে, আমি নিশ্চিত নই, যদি ধরে নিই, গ্যাসকে কয়লা সম্পূর্ণ প্রতিস্থাপিত করতে পারলো, তারপরও কি আমাদের চাহিদা আর সরবরাহের গ্যাপটুকু পূরণ করা যাবে? আর ঐ গ্যাপটাই বিকল্প শক্তিতে বিনিয়োগের দিকে ঠেলবে আমাদের।
আজ প্রথম আলোয় পড়লাম, বড়পুকুরিয়ার কয়লায় সালফার কনটেন্ট বেশি বলে বিদ্যুৎকেন্দ্র আক্রান্ত হচ্ছে, ফলস্বরূপ খনির কয়লা ব্যবহৃত না হয়ে জমে আছে (বিশেষজ্ঞরা খননের আগে প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডির সময় কয়লার সালফার-কনটেন্ট নিয়ে কী ছিঁড়েছিলেন, খোদা জানে)। পাশাপাশি তা পরিবেশের জন্যেও হানিকর। আমাদের দেশে মজুদ কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যে কতটুকু উপযুক্ত, সেটা একটা প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে। আমদানি করা লো-সালফার কয়লা পরিবহনের কারণে উচ্চমূল্য হয়ে দাঁড়াবে (দেশি কয়লার চেয়ে প্রায় ২০% বেশি দাম পড়বে)। হয়তো ভারত আর বার্মা থেকে উচ্চমূল্যে গ্যাস আমদানি করতে হতে পারে আমাদের সামনের বছরগুলিতে। বিদ্যুতের দাম তখন এমনিতেই বাড়বে হেসেখেলে।
প্রথমেই প্রশ্ন প্রথম আলোর এই লেখাটির লেখক এশিয়া এনার্জির জিএম (কর্পোরেট ও আইন) মুশফিক সাহেব কি না। যদি ইনি তিনি হন, তাইলে কোন কথা নাই।
---
দুঃখের কথা আর কি বলবো রে ভাই। এটা হল তোমার আমার প্রীয় দেশের অগনিত নিম্নগামী পাকদন্ডির একটি। প্রথমেই দেখ আমাদের এই কয়লাখনি এবং ঐ ২৫০ মেগাওয়াটের বিদ্যু্তকেন্দ্র বাস্তবায়নে দুটোই বাস্তবায়িত হয় সি এম সি (চীনের আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়ক সংস্থা) এর তত্বাবধায়নে। কি এক অজানা কারনে কয়লাখনি পুরোপুরি চালুর বছর দুই আগেই বিদ্যু্তকেন্দ্র চালু হয়ে গেল, অথচ, এখানে বিদ্যু্তকেন্দ্রটার পুরো বিজনেস কেসটাই কয়লা খনির সফল বাস্তবায়নের ভিত্তি করে গড়া।
এখন বিদ্যু্তকেন্দ্র চালু হয়ে গেলে তো বসিয়ে রাখা যায় না। বিশেষ করে যখন দিনাজপুর সেনানিবাসের লেফটেনান্ট কর্নেল যখন 'যে করেই হোক এলাকাবাসীকে সেচের জন্য বিদ্যুতের ইন্তজাম হবেই', একথা বলে ফেলেছেন। জলপাইয়ের রাজত্বে কার কয়টা মাথা। তাই মাত্র এক বছর আগেই যেখানে বেশী গন্ধক আছে বলে ভারত থেকে কয়লা আমদানী নিষিদ্ধ হয়েছিল, সেই ভারত থেকেই বিশেষ একক ইন্ডেন্টে ৫০ হাজার টন হাই-সাল্ফার কয়লা আমাদানী করে সেই বিদ্যু্তকেন্দ্রকে উদ্বোধন করা হল।
এখন তুমিই বল, লোসাল্ফারের জন্য বানানো বিদ্যু্তকেন্দ্রে হাই-সাল্ফার কয়লা ঢোকালে, সেটা মুখ থুবড়ে পড়বে না কেন।
---
আমাদের কয়লায় সমস্যা এর আর্দ্রতা আর নিম্ন এনার্জি ডেন্সিটি, এডিবি সহ অনেকেই এই কয়লাকে লো-সাল্ফার এর ছাড়পত্র দিয়েছে।
"প্রথমেই প্রশ্ন প্রথম আলোর এই লেখাটির লেখক এশিয়া এনার্জির জিএম (কর্পোরেট ও আইন) মুশফিক সাহেব কি না"
জি হ্যাঁ। তাই মনে হচ্ছে। ইনি বর্তমানে মুশফিকুর রহমান, জেনারেল ম্যানেজার-করপোরেট অ্যান্ড লিগাল, গ্লোবাল কোল ম্যানেজম্যান্ট পিএলসি; তার আগে ছিলেন ডঃ মুশফিকুর রহমান, খনি বিশেষজ্ঞ; তারও আগে ছিলেন কমরেড মুশফিকুর রহমান বাবলা।
বাংলাদেশের কয়লা নিয়ে খুবই অল্প পরিমানে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার আছে। তাতে বাংলাদেশে প্রাপ্ত কয়লায় high moisture content, low energy density-র কথা সত্য বলেই জানি। বিশেষতঃ সিলেট ছাড়া অন্য জায়গায় প্রাপ্ত কয়লার ক্ষেত্রে কথাটা আরো সত্য। ভারতের রাণীগঞ্জ-আসানসোল এলাকার কোলিয়ারীগুলোতে প্রাপ্ত কয়লায় high sulphur content বড় সমস্যা বলেই জানি।
এই ব্যাপারে আমার জ্ঞান শূন্যের কোঠায়। তবে টুকরো টুকরো জিনিষগুলো জোড়া দিলে গল্পটা আসলে কী তা কিন্তু বোঝা যায়। তাতে আপনার ব্যাখ্যা সঠিক বলেই মনে হচ্ছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ইনি বর্তমানে মুশফিকুর রহমান, জেনারেল ম্যানেজার-করপোরেট অ্যান্ড লিগাল, গ্লোবাল কোল ম্যানেজম্যান্ট পিএলসি; তার আগে ছিলেন ডঃ মুশফিকুর রহমান, খনি বিশেষজ্ঞ; তারও আগে ছিলেন কমরেড মুশফিকুর রহমান বাবলা।
কমরেড থেকে একেবারে জিসিএম এর জি এম। মানতেই হবে সময় সব ই পাল্টে দেয়।
নতুন মন্তব্য করুন