ওবামা এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন। সুচারু কথা ও আচরনে আমাদের সবাইকে তিনি মুগ্ধ করেছেন, পরে আরো করবেন। তাঁর মত প্রতিভাবান ভদ্রলোক যে আমেরিকার সর্বোচ্চ গদীতে অনেকদিন বসেনি, সেটা সার্বজনীন।
কিন্তু আমি তো জানতাম নোবেল পুরস্কার অর্জনভিত্তিক। জনহিতকর কৃতকর্মের স্বীকৃতি হল এই পুরস্কার। তা আবার যেন তেন জনহিতকর কাজ নয়, সে হতে হবে দুনিয়া কাঁপানো কিছু। কাকে এই শান্তি পুরস্কার দিতে হবে, সে সম্বন্ধে আলফ্রেড নবেল তার উইলে লিখে গিয়েছেন,
লুথার কিং, টুটু, মান্দেলা, আনান এই সব নামকে এই ছকে ফেলা যায় নির্দিধায়।
ওবামা এ যাবত দেশে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে বা কোন দেশের সামরিক শক্তি কমিয়ে আনতে কিছুটা কি সফল হয়েছেন? আসুন একটু খতিয়ে দেখি, কি বলেন?
তাঁর দেশ ইরাক থেকে বেরিয়ে যাব বেরিয়ে যাব করছে। শুধু কৌশলগত স্থাপনাতেই (পড়ুন তেলের খনি আর পাইপলাইনের পাহারায়) তাঁর মেরিনেরা থাকবে, বাকী সব গেট আউট। এরম হুরমুর করে যদি তাঁর মেরিনেরা বেরিয়ে যায়, তাহলে সেখানের দেশ গঠনের কি হাল হবে? এর জবাব তিনি এখনো আমাদের দেননি। গত বছরের নির্বাচনের আগে আফগানিস্তানের মুজাহিদিন (আমেরিকানরা বলে তালেবান) দের খুব খিয়াল কইরা সাইজ করবেন বলেছিলান। দরকার হলে পাকিস্তানও কবজা করার কথা উঠেছিল। কিন্তু ইদানিং আবার শুনছি, সেখানেও নাকি তিনি তার পরিকল্পনা কিছু কাট ছাঁট করছেন। মুজাহিদিনেরা তাঁর দেশী মেরিন ছেলেমেয়েদের যে দুরমুশ করছে, আর আমেরিকান মিডিয়ায় সেসব ছবি নিয়ে যে ঝড় শুরু হব হব করছে (নাকি হয়ে গেছে?), তাতে সেখানেও তিনি বেশীদিন শান্তিরক্ষা বাহিনী রাখতে পারবেন বলে মনে হয় না। আফগানীরাও যে তাদের থেকে শান্তি আশা করে বসে আছে, তারও জোড়ালো প্রমান নেই। সুতরাং ইরাক ও আফগানীদের কাছে ওবামা যে শান্তির পায়রা হয়ে উঠতে পেরেছেন, এটা হলফ করে বলতে পারছি না। পাকিস্তানের কথা আপাতত থাক। কোরীয় অন্তরীপ নিয়ে আমেরিকার ইতিবাচক ঘোষনা এসেছে, কিন্তু সেটাও দুই-পাঁচ বছরের কর্ম নয়। এই সেদিনই সেখান থেকে দুজন সাংবাদিককে ছাড়াতে ক্লিনটনকে পাঠাতে হয়েছিল।
এবার আসুন তাহলে ওবামার বাপের দেশী ভাইদের দিকে দেখি। দারফুর, উগান্ডা, কঙ্গো, জিম্বাবুয়ে নিয়ে ওবামার কোন সিরিয়াস পরিকল্পনা আজতক শোনা যায়নি। সোমালিয়ায় কি চলছে, সেটা তো আর চাপা নেই। তাঁর দেশের দক্ষিন দিকে কত তুলকালাম হয়ে যাচ্ছে, সেদিকেও তিনি কি কি করলেন সেটা কেউ যদি বলে দিতেন, আমি তো খবরে তেমন কিছু পাইনি।
মধ্যপ্রাচ্য শান্তিতেও তার অবদানটা এখনো কিলিয়ার হয়নি। ইজরায়েলী সরকারের কাছে তার কতটুকু ওজন, তা সদ্য করা জেরুজালেমের আশেপাশের নতুন আবাসন প্রকল্পের ঘোষনা দেখলেই বোঝা যায়। ইরানে নির্বাচন নিয়ে হাউকাউ হয়েছে, আহমেদিনাজাদও আবার এসেছে, এসে রকেটবাজীও শুরু করে দিয়েছে। ওবামা হালুম হালুম করেই ক্ষান্ত। ইজরায়েল ও জানে, ইরানও জানে, এই বাঘের গলায় বেল্ট বাঁধা, যতই লম্ফঝম্ফ করুক, কামড়াতে পারবে না। কামড়াতে লাফ দিলেই বেল্ট এ টান পড়বে। ইরানের দিকে আমেরিকা যে হাতমেলানোর খোলা হাত এগিয়ে দিয়েছিলেন, এখন রকেটবাজীর জন্য সেই খোলা হাতের মুদ্রা পরিবর্তিত হয়ে ট্রাফিক পুলিশের উঁচিয়ে হাতের 'থামুন' মুদ্রা ধারন করেছেন। কোথায় যেন পড়লাম এল-বারাদাই গোছগাছ শুরু করে দিয়েছেন, ইরানে গিয়ে কারখানা পরিদর্শন করতেন।
নিজের দেশে সামরিক শক্তি কমিয়ে আনতে তিনি কি কিছু করেছেন? আসলে তাঁর সরকারের প্রথম বাজেট বুশের আমলে সামরিক বাজেটের চাইতে বড়। এই ঘোর মন্দার মধ্যেও তা বেড়েছে। ওয়ালস্ট্রীটের হোমরাচোমরাদের পকেটে সরাসরি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার গুঁজে দিয়েছে তার অর্থমন্ত্রী, আর তিনি চেয়ে চেয়ে দেখেছেন।
তবে ভাববেন না যেন আমি ওবামাকে ভিলেন সাজাতে বসেছি। সবটাই তো আর ফাঁকি নয়। নিজের দেশী ভাইদের স্বাস্থ সেবা নিশ্চিত করতে বা পরিবেশ বাঁচাতে নানান সুন্দর সুন্দর পদক্ষেপ নিতে আমরা তাঁকে দেখেছি। আমি এও বলছিনা যে যেসব সমস্যাগুলোর কথাগুলো বললাম, তিনিই সেগুলো শুরু করেছেন, বা সেগুলোকে উত্ সাহ যোগাচ্ছেন। সেগুলোর খারাপ দিকগুলোর পুরো দায়িত্ব তাঁর নয়, তিনি এমনটাই এসে দেখেছে, পেয়েছেন। ধরে নেই তিনি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা তদবির করে চেলেছেন। কিন্তু বড় ধরনের কোন পরিবর্তন আনতে তিনি এর ই মধ্যে যথেষ্ট সময় পাননি। অথবা এমনটাও তো হতে পারে যে আন্তর্জাতিক শান্তি তাঁর কাছে এখনো অগ্রগন্য নয়।
দুনিয়ার অনাচার অবিচার অশান্তি ওবামার আগমনের পর যদি দৃশ্যত কমে না গিয়ে থাকে, তাহলে কোন অর্জনের জন্য তাকে এই পুরস্কারটি দেয়া হল। নবেল পর্ষদ নিশ্চই মনে করছেন না যে, একজন কালা আদমি দুনিয়ার রাজা হয়ে বসেছে, সেটাই বিশ্বশান্তির প্রতীক, সেটাই বৃহত্তর অর্জন। ওবামা এসেছেন অনেক আশা নিয়ে, অনেক আশা দিয়ে দুনিয়া জোড়া শুধু কালা আদমি নয়, বঞ্চিতমাত্রই সকলের গর্বে বুক ফুলিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এর জন্য তো তিনি আমাদের ভালবাসা পেয়েছেন, আরো পাবেন।
কলেজ-ভার্সিটির অনুষ্ঠানে যদি কারো গান ভাল না লাগতো, অথবা গান ভাল লাগলেও যদি সে পঁচানোর পাবলিক হত, তাহলে দর্শকের সারিতে বসা আমরা তেঁন্দর পোলাপান গানের মাঝখানেই জোরে হাততালি দিতাম। এতই জোরে হত সে হাততালি যে গান না থামিয়ে ওই গাতকের আর কোন উপায় থাকতো না। ওস্তাদ জাকির হোসেনের অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখলাম অন্য খেল। তিনি মন্চে বসে তবলায় ঠুকঠাক টিউন করে যেই বাজনা শুরু করতে যাবেন, তখনই সারা হল জুড়ে তুমুল হাততালি পড়ল। ওস্তাদ মাইকে বললেন, 'প্রিয় বান্ধবেরা, আমি এর আগে তো এই হলে আর বাজাইনি। তাই আমার মনে হয় তোমদের বেশীরভাগই এর আগে আমার বাজনা সরাসরি শোননি। সিডি-এলপি-তে কতটুকু কি শোনা যায় আমি জানিনা, আর এমনো তো হতে পারে যে সেখানে কিছু জারিজুরি কারসাজি আছে? তাই বলছিলাম, আগে আমি কিছুটা বাজাই, তোমরা কিছুটা দেখ - শোন, তারপর যদি ভাল লাগে, তখন না হয় দিও হাততালি।'
একদিন হয়তো আসবে যেদিন ওবামা আসলেই কিছু করে দেখাবেন। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, দক্ষিন আমেরিকার প্রকট-প্রচ্ছন্ন সকল অশান্তি যাবে ঘুচে। কিন্তু সেদিন তো এখনো আসেনি। তাই আমি মনে করি ২০০৯ সালে ওবামাকে নোবেল দেওয়াটা একটু অপূর্নকালিক (প্রিম্যাচিউর্ড?)। আরো কয়েকবছর পরে, তার কাজ দেখে তারপর দিলে তবেই তা হত সময়োপযোগী হত।
আরও ভাল হত যদি ওবামা এই পুরস্কাটি বিনয়ের সাথে কয়েক বছরের জন্য রহিত করতে পারতেন। কিন্তু যে বাঘের গলায় বেল্টবাঁধা, তার মাথায় তো হাত বোলানোই যায়, সে কি আর কামড়াবে?
মন্তব্য
খবরটা শোনার পর থেকেই কার পোস্টের অপেক্ষায় ছিলাম। পোস্টের সাথে সহমত।
নোবেল পুরস্কারের উপর আশ্বাস আর নেই, কিসিঞ্জারের মত খুনী ও এই পুরুস্কার পেয়েছে। সব লবিং, হাস্যকর কটা বিষয় হয়ে যাচ্ছে নোবেল পুরস্কার দিন দিন।
গরীব
সাউথ কোরিয়া।
সহমত।
ওবামা যদিও ভাল মেধাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব তবুও মানুষকে নরম করে ফেলতে হলে চাটুকারিতা প্রায় সকলের ক্ষেত্রে বেশ কাজে লাগে। আমার তো ভয় হয় ওবামাকে দুর্বল করে দিতে পারে এ ধরনের অযাচিত পুরস্কার। তাছাড়া এটা একটা প্রিমেচিউর কাজ হয়েছে যা নোবেল কমিটি ইচ্ছাকৃত করেছে বলেই মনে করি।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
- তিনি ক্ষমতায় গ্রহণ করেই বলেছিলেন তাঁর মেয়েকে উদ্দেশ্য করে যে তাদের কুত্তাটাও হোয়াইট হাউজে যাবে। আপনার কি মনে হয় না, এইটাও শান্তি প্রতিষ্ঠার একটা ধাপ। যে প্রাণিকুল নিয়া এতো গভীর আর নিবিরভাবে চিন্তা করে তার মনে মনুষ্যপ্রজাতির জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠা কোনো ব্যাপারই না। সবই হবে সময়মতো, সবে কুত্তা দিয়া যাত্রা শুরু। নুবেল কমিটি রকস্।
ইউনূস স্যারের পর থেকে দাবী জানাইতেছি, আমার নুবেলটা কৈ?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পাড়ায় পাড়ায় নোবেল কমিটি গড়ে তোলা হোক। আপনাকে নোবেল না দিয়ে যাবে কৈ?
এই কথাটায় সামান্য একটু তথ্যগত ভুল আছে। মেয়েটার কোন কুকুর ছিলো না, তিনি অনেক দিন ধরেই তার কাছে প্রতিজ্ঞা করে রেখেছিলেন যে তিনি নির্বাচনে জিতলেই কেবল মেয়েটা তার শখের কুকুরটা পাবে। তাই জেতার পরের ঘোষনাটায় ওই কথাটা এসেছিলো।
তবে আপনার মন্তব্যের মূলসুরের সাথে খুব বেশি দ্বিমত নাই আমার।
আপনার আইডিয়ার সাথে একমত । সবকিছুর পেছনে যুক্তি দিয়েছেন, এজন্য ধন্যবাদ ।
নির্ভানা
ইমেইল:
সহমত, আমার তো মনে হয় পুরস্কারটা অন্তত পাঁচটা বছর দেখে দেয়া উচিৎ ছিলো।
এক বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিল। বল্ল, "বাঃ একজন মার্কিন রাষ্ট্রপতি নয়টা মাস কাটালো ওয়াইট হাইসে, এখন পর্যন্ত কোনো নতুন দেশ আক্রমণ করল না, সেটা নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার মতো ব্যাপার না? বল কি?"
বল্লাম, তাও বটে।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
খবরটা প্রথমে শুনেই মনে হয়েছে একটু আগাম হয়ে গেছে। মানুষকে তো মরনোত্তর পুরস্কার দেয়া হয়, তেমনি হয়তো আগামপুরস্কার দিয়ে দিলো।
দুনিয়াতে শান্তি বলে কিছু আছে নাকি?!? তাই দেয়ার মত কাউকে না পাইয়া ওবামা রে দিয়া দিছে!!
এটা একটা কাজ হলো!
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
একমত
কেউ কি কষ্ট করে ভিডিও এর লিং পুস্টাইতে পারেন সাক্ষাৎকারের? বা কোন স্পিচ দিয়া থাকলে তার।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ঠিক প্রতিশব্দ কোনটা জানি না, তবে বেশ প্রিম্যাচিওর্ড সিদ্ধান্ত।
--একমত।
শুধু এক কাঁদি কলা কেন, কলার বীচি, খোসা, গাছে পাতা-ডাউগগা এমনকি থোড় পর্যন্ত তাঁদের রাজকপালে জুটবে। আর আমরা পৃর্থিবীর আমজনতা শ্বাসনালী কাটা মুরগীর মতো তড়পাতে তড়পাতে একদিনই ঠিক স্থির হয়ে যাব।
দেখা যাক ওবামার প্রতিক্রিয়াটা কি? পতনের না উত্থানের দিকে যাচাই হয়ে যাবে। let's see........
না, পতন...............।
লাইভ দেখুন BBC/SKY/ Aljazeera- তে
ওবামাকে আরো কয়েক বছর পরে দিলেই ব্যাপারটা বেশি যুক্তিযুক্ত হতো। তবে পুরস্কার পেলে নাকি দায়িত্ব আরো বেড়ে যায়। এ পুরস্কার হয়তো ওবামাকে আরো বেশি দায়িত্বশীল করে তুলবে। কাজ করে ফুরিয়ে যাবার পর পুরস্কার দেয়ার চাইতে কর্মক্ষম, যোগ্য ব্যক্তিকে যদি পুরস্কার দিয়ে কাজে আরো উৎসাহ প্রদান করা হয় তবে সেটাও খারাপ নয়, বিশেষত ওবামার যোগ্যতা নিয়ে যখন কোন সংশয় নেই এবং তিনি যখন এখন ক্ষমতায় (বুশ বা তার কিসিমের কাউকে দেয়া হলে ভিন্ন ব্যাপার হতো)। সে বিবেচনায় নোবেল কমিটির সিদ্ধান্ত প্রিম্যাচিওরড হলেও সময়ে হয়তো দূরদর্শী প্রমাণিত হতে পারে। আর কয় বছর পরেই আসলে সেটা বোঝা যাবে। তবে আপাতত এটাকে একটু বেশি তেলতেলে মনে হচ্ছে। আমার ধারণা পুরস্কার পেয়ে ওবামা নিজেও বিব্রত।
চমৎকার বলেছেন। পুরোপুরি একমত।
বন্যরানা
আপনার সাথে সহমত।
•তবে লিস্টের অন্য দুইজন ছিল জিম্বাবুয়ের প্রধান মন্ত্রী মরগান সাংগারাই এবং চীনের হু জিয়া। তাঁদের তুলনায় ওবামা নিশ্চয়ই ডিসার্ভিং ক্যান্ডিডেট।
•ডিল্পমেসির ক্ষেত্রে ওবামার সূচনাটা অসাধারন, তবে আসল কথা হল কথা রাখার ব্যাপারটা (কেউ কথা রাখেনা)
•ওবামা নিজেও অবাক হয়েছেন, তার প্রতিক্রিয়া থেকে বোঝা গেল।
•পজিটিভ ভাবে দেখতে চাচ্ছি এই কারনে যে ওবামা খুবই বিনয়ী ছিলেন এবং তিনি আগের লরিয়্যাটদের সাথে নিজের তুলনা হয়না এটা বলেছেন। আমি নিশ্চিত এটা তাঁর দায়িত্ববোধ বাড়াবে। ভাল কিছুর আশায় থাকলাম।
- লিস্টিটা কে বানায় ?
- আর চীনের হু জিয়া ওবামা থিকা কোন কোন দিকে খারাপ ? কার নেতৃত্বে মানুষ হত্যা সবচেয়ে বেশি হৈছে ?
- দায়িত্ববোধ বাড়ার সম্ভাবনারে তাইলে নোবেল দেয়ার একটা ক্রাইটেরিয়া বলতে চাইতেছেন ?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
লিস্টটা নিশ্চয়ই কোন জবাবদিহিতা মূলক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বানানো হয়।
আমি কিন্তু এখনই ওবামাকে নোবেল দেয়ার পক্ষে না। লিস্ট দেখে মন্দের ভাল বলতে চাইলাম আরকি। সাঙ্গারাই পেলে নোবেল নিয়ে আরও বিতর্ক হত। আমি জাস্ট বলতে চাইলাম হু জিয়া থেকে ওবামার গ্লোবাল এফেক্ট বেশি ছিল। (লেখক পাকিস্থান নিয়ে মন্তব্য করেনি, পাকিস্থানেই সম্ভবত ওবামা সবচেয়ে বিতর্কিত হবেন)
দায়িত্ববোধ বাড়ার সম্ভাবনাকে নোবেল দেয়ার একটা ক্রাইটেরিয়া আমি বলতে চাইনি, কিন্তু যখন দেয়া হয়ে গেছে, হয়ত এই কাজটা হবে এই আশাবাদের কথা বলেছি। হিমুর মন্তব্য দেখুন (প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে), আমার মনে হয়েছে তার এই বিনয়ী আচরন হয়ত অনেক পজেটিভ এবং এটা উনি পজেটিভলি ব্যবহার করবেন।
শুধু আশার কথা বলা আরকি। এটাতো মেনে নিতেই হবে, ওনাদের ইচ্ছাশক্তির উপর বিশ্বের অনেক কিছু নির্ভর করে।
মানুষকে তো মরনোত্তর পুরস্কার দেয়া হয়, তেমনি হয়তো আগামপুরস্কার দিয়ে দিলো।
কপিরাইট পিপি'দা।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
যুগ পাইল্টেছে। আলফ্রেড নোবেল সাব তখন কী কইয়া গেসিলেন, সেইটা ধইর্যা বইস্যা থাইকলে চইলবো না। সময়ের সাইথে সাইথে সবকিছুই বইদলায়। আগামী তিন বইচ্ছর যাতে যুদ্ধবিগ্রহ না হয়, ইবং উবামা সাব যাইতে কাউরে যুদ্ধ কইরতে উৎসাহ না দেন সেইটা নিশ্চিত কইরবার জন্যই এই নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হইসে!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
জব্বর কইসেন গৌতমদা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
পোষ্টের মূল বক্তব্যের সাথে সহমত।
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
একটা ব্লগে প্রতিক্রিয়া পড়লাম--"ওবামা হ্যাজ গট দ্য প্রাইজ ফর নট বিইং বুশ।" এছাড়া তো আর কোন যুক্তি পাই না।
ভেবেছিলাম ভুল লোকের, রেকগনিশোন, উপরে উঠা, এগুলো শুধু ছোট ছোট অফিস আদালতে বিদ্যমান. যখন ইস্কুল ছেড়ে চাকরী তে ঢুকবো তখন ডিপার্টমেন্ট এর হেড আমাকে বলেছিলেন তুমি কর্পরেট পরিবেশে টিকতে পারবে না, আমিও পারিনি, তার পর টেচিং শুরু করেছি, তুমিও
বরং তাই কর. আমি তার পরও উনার কথা উপেক্ষা করে চাকরী নিলাম, এখনো সেই কর্পরেট পলিটিক্স আর আনফেয়ার পরিবেশে টিকে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি. আশা দেখেছিলাম ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট হলো, ভাবলাম, তা হলে এখনো ভালো কিছু হতে পারে এখানে. কিন্তু এ কি শুনলাম আমি. নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন তিনি !!! এই সময়?
কমিটি তে কারা ছিল জানতে ইচ্ছে করে...আমি এখন কি নিয়ে স্বপ্ন দেখবো?
নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার লোক পাওনা যাচ্ছে না। পাওয়া যাবে কিভাবে, দুনিয়াতে শান্তি জিনিসটা থাকতে হবে তো।
নোবেল শান্তি পুরস্কার কয়েক বছরের জন্য স্থগিত করা যেতে পারে। একটা দেশের প্রেসিডেন্ট যে কিনা দুই দুইটা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, তাকে কিনা নোবেল পুরস্কার, তাও আবার শান্তিতে!
"Nothing could be funnier than this in Nobel history"
ওবামা অবশ্যই নোবেল পেতে পারতো। তবে তা বছর বিশেক পরে, যখন সে বেশ ভালো কিছু ভুমিকা রেখে যেতে পারতো। এখন সব গুড়ে বালি!
আমার ধারণা, ওবামা এখন নিউ ইয়র্ক বন্দর উন্মুক্ত করে দিয়ে সকলে মিলে উন্নতি করার আহ্বান জানাবেন না। আমেরিকানদের বুকের ছাতি চওড়া হয়ে গেছে, এমন পরিসংখ্যান আমদানী করবেন না। আমেরিকান জাতির উচ্চতা দশ ফুট হয়ে গেছে, এরকম কথাও বলবেন না। নতুন কোনো রাজনৈতিক দলও খুলবেন না। সর্বোপরি তাঁর দাঁতের সংখ্যাও কোনো দুষ্টলুকের পক্ষে গোণা সম্ভব হবে না।
আমার ধারণা সত্য হলে, ওবামা হালা পুরাই ক্ষ্যাত। নোবেল পাইলে কী কৈতে হয় জানে না।
আপনি তো দেখি নিদারুণ খোচা দিলেন আমাদের নোবেল প্রাইজ বিজয়ীকে।উনার রাজনীতিতে আসা নিয়ে কিন্তু অনেকেই আশাবাদী ছিলেন।পরে.........।
ভালোই তো করসে। একজন চেনা-জানা লোকরে দিসে। বারেক হোসেনরে সবাই চেনে।
কে না কে পাইতো, চিন্তাম না, উইকিপিডিয়া ঘেঁটে চিন্তে হইতো। তার থেকে ভালো হইসে।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
এই কমেন্টটা সবচেয়ে মজা লাগলো।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
আগামীবার জোকার নায়েক, কনফার্ম
: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: :
'Cinema is over' - Master Godard
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আমি নোবেল কমিটিরে সাধুবাদ জানাই ওবামাকে 'আগাম নোবেল' পুরস্কার দেবার জন্য!! আগামী পাঁচ বছর আমেরিকা নতুন কোন দেশে আগ্রাসন চালাবে না ইনশাল্লাহ। ইরান মনে হয় নিরাপদ হয়ে গেল আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা ক্ষমতা দখল করার আগ পর্যন্ত।
এই পুরষ্কারটা দন্ত নখরওয়ালা লোকদের জন্য রাখাই উত্তম। আমার নখ আছে কিন্তু খামচি দিচ্ছি না। এজন্য আমি শান্তির নমিনেশান দাবী করতে পারি।
যাদের হাতে ভয়ংকর সব অস্ত্র আছে তাদের সবাইকে পর্যায়ক্রমে আগাম নোবেল পুরষ্কার দেয়া হোক। পরস্পর খামচাখামচি করে রক্তাক্ত মুখে নোবেল পেয়েছে এমন বেশ কটি নজির আছে। তাই খামচাখামচি শুরুর আগেই নোবেল দিয়ে দেয়া উচিত। তাহলে কিছু প্রান বাঁচে। একটা নোবেল পুরস্কারের দাম আর কত! চোদ্দ লাখ ডলার নাকি?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
--আরিফুল হোসেন
নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিতর্ক আগেও ছিল। মহাত্মা গান্ধী ৫ বার না ৬ বার নমিনেশন পেয়েও শেষে পান নাই। তাছাড়া পশ্চিমারা প্রায়ই শান্তি পুরস্কার দেবার মাধ্যমে নির্দিষ্ট প্রোপাগান্ডাকে প্রমোট করেছে। এই স্টান্টবাজীতে নতুন নাম যোগ হল।
কেবল মাত্র মাঠ কাপানো আর প্রতিশ্রুতি দেয়া যদি শান্তি পুরস্কার পাবার ক্রাইটেরিয়া হয় তাইলে আগাগো দুই "আফা"রে তো গোটাদশেক নোবেল দেয়ার দরকার আছিল।
নতুন মন্তব্য করুন