কে যেন চেটে দিল তুতির গাল। ধড়মড় করে উঠে বসল সে। তার আগুন প্রায় নিভু নিভু।
শতদ্রু র এই আধা পাথুরে আধা ঘাসে ঢাকা তীরে আলতো কুয়াশা। পানিতে ঠিকরে ফিরে আসছে তার আগুনের আলো।
চোখ সয়ে আসতে আসতে তুতির সামনে ভেসে উঠল একটি উরুস, ঠিক যেমনটি তার দাদা এঁকেছিল তাদের গুহার দেয়ালে। উরসটি দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস, চোখ বিস্ফারিত, যেন কাতরাচ্ছে। সেটির পেছন থেকে অর্ধেক বেরিয়ে থাকা ভাপ ওঠতে থাকা বস্তুটি যে একটি বাচ্চা উরুসের মাথা আর সামনের পা-জোড়া, তা বুঝতে কিছুটা সময় নিল তুতি। কোমরতক বেরিয়ে দুলছে, যেন প্রানহীন। বিস্ময়, ভয় আর কৌতূহল নিয়ে তুতি উঠে দাঁড়াতে চমকে দৌড়ুতে চাইল উরুস। কিন্তু বেশীদুরে যেতে পারলো না। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে থেমে পড়ল। আস্তে আস্তে এগিয়ে এল তুতি। আলগোছে হাত বুলাতে লাগলো মা উরুসের পাঁজড়ে। অন্যদিন হলে ব্রোন্জের ছুরিটা বসে যেত উরুসের বুকে।
কিন্তু আজ একটি অন্যরকম দিন।
----
বেঁটে মোঙ্গল ঘোড়াটির নাক দিয়ে আগুনের ফুলকি বেরিয়ে আসবে আসবে করছে। গ্রীষ্মের এই গুমোট গরমে স্তেপ একটা তপ্ত ভিয়ান, সূর্যটা নেই, কিন্তু তার তেজ যেতে চায়না। ওরা ছুটছে সুর্যাস্ত থেকে। ধ্রুব তারাকে হাতের ডানে রেখে চুক্তাই তাকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে খাজি তারখান এর দিকে। তার জিনে বাঁধা চোঙায় আছে খাঁন এর জরুরী এলান। আগামী সূর্যাস্তের আগেই এই এলাম পৌঁছে দিতে হবে খাজি তারখানে।
চুক্তাই ঘামছে। ঘোড়ার প্রতিটি পদক্ষেপে তার ও ঘোড়ার ঘাম একসাথে হয়ে ছিটকে ছিটকে পড়ছে স্তেপের ঘাস ও সতরের ঝোপে। তার পেছনের আকাশ যখন সূর্যদয়ের সম্ভাবনায় রাঙা হয়ে উঠছে, তখন
প্রাণদাত্রী ভলগাকে দেখতে পেয়ে চুক্তাই আশ্বস্ত হল। যাক দুপুরের পরেই গন্তব্যে পৌঁছুতে পারবে। এবার ঘোড়াটাকে না থামালে ও মরেই যাবে। পানি দেখে ঘোড়াটাও আনন্দে গয়ে উঠল যেন।
ঘোড়ড়ড়ড়ড়ত, চিহিঁ।
নদীর পাড়ে এসে অনায়াসে লাফ দিয়ে নেমে এল চুক্তাই, তারপর ধীরপায়ে হেঁটে এল তীরে। হাঁটু গেড়ে মাথা নুইয়ে টলটলে ভলগাতেই ঠোঁট ঠেকিয়ে চুমুক বসাল। ঘোড়ার জিনের তলা থেকে বের করে আনল একটা চামড়ার পুটুলি আর জিনে বাধা কুমিসের ভিস্তিটা। গত সন্ধ্যায় পুটুলিটিতে একটুকরো নুন মাখা মাংস পুরে সেটাকে জিনের তলায় ঠেসে দিয়েছিল সে। সারারাত ঘোড়দৌড়ের তালে তালে জিন আর ঘোড়ার পিঠে পিষে সেই নুন-মাংস এখন একটি মোলায়েম গোলাপী মন্ডে পরিনত হয়েছে। ভলগার তীরে একটা পাথরে ঠেস দিয়ে সেই গোলাপী মন্ড থেকে ছোট ছোট লোকমা মুখে পুরতে পুরতে সে সূর্যোদয় দেখতে থাকলো।
একটু গোলমরিচ আর পেঁয়াজ হলে ভাল জমতো।
---
এল্বের এই তীরটায় আমেরিকাগামী জাহাজগুলো থামে। ভাইমারের রাজত্বে বেশ ভাল করছে হামবুর্গ আর সেই সাথে ভাল করছে ভিলহেল্ম। জাহাজঘাটায় তার এই ছোট্ট বুর্স্ট এর দোকানটি সারাদিন খালাসী আর জাহাজঘাটার নানান ধান্দার লোকে গিজ গিজ করে। হাতে দুটো পয়সা আসছে ভিলহেল্ম এর। আর সেই সাথে তার মাথাটাও বেশ খোলতাই হয়েছে। এই তো সেদিন এক খালাসির কাছ থেকে এক ধামা মাংসের কিমা বেশ শস্তায় কিনে নিয়েছে। খালাসির প্রুসিয়ান অফিসারদের সাথে বনিবনা নেই, তাই তাদের একজনের জন্মদিনের পরবের আয়োজন থেকে টারটারের ধামাটা সে ভাঁড়ার থেকে গাপ করে দিয়েছে। দেখাই যাচ্ছে পর্দাছাড়ানো নিরেট গোমাংসের মিহি কিমাকে কউ বেশ যত্ন করে মোটা-মোটা চাকতি করে ধামায় সাজিয়ে রেখেছিল।
ভিলহেল্ম ভেবেছিল বাসায় নিয়ে যাবে। কিন্তু ঐ খালাসী চলে যাবার কিছুক্ষন পরেই তার দোকানে দুই ইহুদী তেজারতির আগমন। হামবুর্গের জাহাজাগুলোতে দড়ি-পেরেক-রং-গ্রিজের করবার তাদের, কাপড়ের ছোপ ছোপ দাগ দেখেই বোঝা যায়। কিন্তু তার দোকানের
রিন্ডবুর্স্ট ফুরিয়েছে। ভিলহেল্মের মাথায় ঝিলিক খেলে গেল। তেজারতিরা মুখ খোলার আগেই সে বলল, আমার কাছে গরুর মাংসের একটা নতুন খাবার আছে। আজকেই এসেছে। নতুন বলে কম দাম ধরছি। তোমরা চাও? ক্ষুধার্ত দুই তেজারতি হ্যা বোধক মাথা নেড়ে নিজেদের ধান্দার কথায় ফিরে গেল। আরে ভিলহেল্ম তখন ধামা থেকে দুটো চাকতিকে তার গ্রিলে চড়িয়ে দিল।
একটু পরেই কাঠকয়লার ওপরে চুঁইয়ে পড়া গরুর চর্বির পোড়া গন্ধ ডকের বাতাসকে স্বপ্নাতুর করে তুল্ল।
---
জানুয়ারীর ঠান্ডা রাত। প্রজেক্টের কাজ চলছে। আগামী কালকেই টেন্ডার জমা। আজ রাতে আর কেউ বাড়ী ফিরে যাবে না। এরিকা জ্যাকেট গায়ে চড়াতে চড়াতে চেঁচিয়ে উঠলঃ কে কি চাও, আমি রাস্তার ওপারের বার্গারকিং এ যাচ্ছি।
সারা ঘর থেকে শোর উঠল। ওপার, কোয়ার্টারপাউন্ডার চিজ, স্টেকহউজ বেক্ড!।
(ছবিসত্বঃ মাইক স্যাস sassart.com)
মন্তব্য
দারুণ লেখা। মাত্র ১০ মিনিট আগে দু দুটো ইয়াব্বড় বার্গার দিয়ে রাতের আহার সারলাম। ☺
আজকে সন্ধ্যায় আপনাদের রেসিপি চেখে দেখলাম। আঙ্গুল চাটছি এখনো।
- এইখানে মেম্বরের কোনোই কেরামতি নাই। এই মিয়া হৈলো বিএসটিআই, উলটা করে বললে গিনিপিগও বলা যায়। মেম্বরনী যেসব খাবার আবিষ্কার করেন সেগুলো মেম্বরের উপর ট্রাই করে তারপর সেই রেসিপি ব্লগজাত করেন। পুরো প্রশংসা তাই মেম্বরনীর প্রাপ্য।
অথচ মেম্বরের ভাবসাব দেখলে মনেহয় পুরা সিদ্দিকা কবিরের ভাসুর জ্যানি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দুর্দান্ত লেখা!
অফ টপিকঃ খিদা লাগায় দিলেন তো!
=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
আপনে ইতিহাস নিয়া আরো লেখেন! আরো লেখেন।
আর আমারে শেলের সিনারিও প্ল্যানিং সম্পর্কে বুঝান, সামনে স্ট্র্যাটেজিক ওয়ার্কফোর্স প্ল্যানিং নিয়া কাজ আছে।
এইখানে ২০০৮ এ করা সিনারিও বা দৃশ্যকল্প এর উন্মুক্ত ভার্সান দেখা যাবে। পরেরটা আশা করি ২০১২ এর শেষের দিকে বের হবে।
বাই দ্য ওয়ে আমি কোন ছবি দেখতে পাই নাই।
পাঁচালাম ............
সাটলেজের বাংলা নাম শতদ্রু।
প্রথম অংশের সাথে পরের গুলোর যোগসূত্র খুঁজে পেলাম না।
'হ্যামবার্গার' শব্দের উৎপত্তি জার্মানীর হামবুর্গ হলেও আধুনিক বার্গার প্রথম তৈরি হয়েছে আম্রিকাতেই এবং সেটা জার্মানদের দ্বারা নয়। জার্মান শহরের নামে নিউইয়র্কেই একটা 'হামবুর্গ' শহর আছে। বলা হয় এ শহরের নামেই খাবারের নামকরণ হয়েছে। আবার অন্য সূত্র মতে জার্মান ইমিগ্রান্টদের মাধ্যমে প্রচলিত ও জনপ্রিয় 'হামবুর্গ স্টেকে'র সাথে মিল রেখে এর নামকরণ হয়েছে। উইকিতে পাবেন বিস্তারিত।
বার্গারের একটা বিশদ ইতিহাস এখানে পেলাম।
প্রথমেই অনেক ধন্যবাদ মন দিয়ে পড়ার জন্য। ইতিহাস লেখাটা উদ্দ্যেশ্য ছিল না, উদ্দেশ্য যদিবা থাকতো, সেটা হত আমার নাগালের বাইরে। বার্গার ভাল লাগে, তাই ভাবতে চাইলাম এটা কোত্থেকে এল।
সাটলেজের বাংলা নাম শতদ্রু।
ঠিক্করেদিলাম। তবে সংস্কৃত নাম কিন্তু সুতুদ্রি-ই।
প্রথম অংশে ভারতীয় জিবু গরুর আদীমাতা গৃহপালিত হব হব করছে। আজকাল জিবু বংশোদ্ভুত গরু ভাল বিফ বার্গারের জন্য দায়ী।
আধুনিক বার্গার প্রথম তৈরি হয়েছে আম্রিকাতেই এবং সেটা জার্মানদের দ্বারা নয়।
কিভাবে একমত হই? নিউ ইয়র্কের হাম্বুর্গ এর আদী বাসিন্দারাও দেখা যাচ্ছে সব জার্মানী থেকে অভিবাসী চাষী। সেই শহরে কিছু আবিস্কার হলে সেটার আবিস্কর্তা জার্মান হতেই পারে।
সেই শহরে কিছু আবিস্কার হলে সেটার আবিস্কর্তা জার্মান হতেই পারে।
উহু হামবুর্গের আদিবাসীরা কেউ আবিষ্কার করে নি। বিভিন্ন সূত্র থেকে যা পাওয়া যায়-
[১] দুই ভাই ওহাইয়ো থেকে হামবুর্গের মেলায় এসে বানিয়েছিল, তারাই জায়গার নামে নাম দিয়েছিল।
[২] আর আছে হ্যামবার্গার চার্লি- উইসকনসিনের বাসিন্দা। তার নামকরণ হয়েছে এমন- The Historical Society explains that Nagreen named the hamburger after the Hamburg steak with which local German immigrants were familiar [সূত্র]
[৩] আরো আছে- কানেক্টিকাটের লুইস’ লাঞ্চ, লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস যাদের প্রথম হ্যামবার্গার আবিষ্কর্তা হিসেবে ক্রেডিট দিচ্ছে। নামকরণটা হয়েছে এভাবে- New York magazine states that, "The dish actually had no name until some rowdy sailors from Hamburg named the meat on a bun after themselves years later" [সূত্র]
আগ্রহ জাগানোর জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। এখন আর তেমন না খেলেও এক সময় বার্গার বেশ প্রিয় খাবার ছিল। আপনার উছিলায় আমিও তাই একটু খোঁজ-খবর নিলাম।
চমৎকার লেখা।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ভালো লেখা।
একটু ঘষামাজা করে বড় করলে চমৎকার হবে। মনে পড়িয়ে দেয় "ভোলগা থেকে গঙ্গা" বইটাকে।
শুভেচ্ছা রইলো।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভাল লাগল। লিঙ্কটা বোনাস।
ভালো লেগেছে লেখাটা।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
- বার্গার রক্স। ভাতের সাথে টেক্কা দেয়ার মতো এই একটা জিনিষই আছে আমার খাদ্যতালিকায়। তবে ম্যাকুসের বার্গার সুবিধার লাগে না। সেদিক থেকে বার্গার কিং, হাঙরি জ্যাকস ভালো লাগে। তবে বেশি ভালো লাগে ফ্রেশ বানানো হ্যামবার্গার। কপাকপ করে গিলে ফেলি মজাদার বার্গার পেলে। ইচ্ছে আছে হামবুর্গে গিয়ে সেখানকার বার্গারে কামড় বসানোর।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ক্যালিফোর্নিয়ার কার্ল জুনিয়রেরা ও ভাল বার্গার বানায়। এরা ইউরোপে কবে যে আসবে।
প্রথমেই ভয় পাইছি- এক লেখায় অতোগুলা কমলালিঙ্ক!
লোকে আমার লেখারে কঠিন বলে। আমি এইখানে ভাষা তো কঠিন পাই নাই, কিন্তু তেমন কিছুই বুঝলাম্না বুঝলাম্না লাগে কেনু?! খালি ভূগোল আর ইতিহাস একটু কম জানি ব'লে?!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ধুর, এইটা পাকস্থলি দিয়া বুঝার লেখা। মাথা খরচ করলেই লোকসান। আগে বলেন আপনের কিরকম বার্গার পছন্দ।
প্রথমেই ধন্যবাদ প্রিয় একটা খাবারের ইতিহাসকে এমন মজাদার ভঙ্গীতে উপস্থাপণ করার জন্য। তুলিরেখার মত আমারও রাহুল সাংকৃত্যায়নের স্টাইলের কথা মনে হল।
"চুক্তাই" কি কোন নাম? এই অংশে যাদের কথা বলেছেন (তুর্কীস্তানের মানুষ) তাদের একটা বড় গোত্রের নাম হচ্ছে "চাঘ্তাই"। যেমন, জহীর-উদ্-দীন মুহাম্মদ বাবর হচ্ছেন "চাঘ্তাই মোগল"।
বুর্স্টের দোকানদার কিনল "চর্বিছাড়ানো নিরেট গোমাংসের মিহি কিমা"। সেটা গ্রিল করার সময় "কাঠকয়লার ওপরে চুইয়ে পড়া গরুর চর্বির পোড়া গন্ধ" হয় কীভাবে?
লেখাটা পড়তে পড়তে জন স্টেইনবেকের গ্রেপস্ অভ র্যাথের একটা দৃশ্যের কথা মনে পড়ল। সেখানে মাংসের পুরটাকে তাওয়ায় সেঁকা হচ্ছে, ধোঁয়া ওঠা পুরকে বানের ভিতর দিয়ে বার্গার বানানো হচ্ছে। বিশ বৎসর আগে ঢাকায় একই কায়দায় বার্গার বানাতে দেখেছিলাম।
একসময় ঢাকার সেরা বার্গারটা বানাতো বেইলী রোডের ইউরোহাট। আজকাল অমনটা আর কেউ বানায় না। এখন এমনকি ঢাকার ম্যাকডোনাল্ডস বা কেএফসির বার্গারও জুইতের লাগেনা।
বাবার এক সহকর্মী ছিলেন যার নাম ছিল Weinberger। আমরা ভাইবোনেরা বলতাম ওয়াইন-বার্গার, এটা আবার কেমন নাম!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
- ঢাকায় ম্যাকডোনাল্ডস হৈছে নাকি পাণ্ডব'দা?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
থুক্কু! ঢাকায় ম্যাকডোনাল্ডস্ নাই। এএন্ডডব্লিউ, উইম্পি আছে। এই সব ঘানির খৈল একই রকম লাগে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চুক্তাই - এক পরিচিত তাতার রুশ (তাতারিস্তানি) এর নাম চুরি করেছি। চাঘতাই সম্বন্ধে আপনার সাথে একমত।
বুর্স্টের দোকানদার কিনল "চর্বিছাড়ানো নিরেট গোমাংসের মিহি কিমা"। সেটা গ্রিল করার সময় "কাঠকয়লার ওপরে চুইয়ে পড়া গরুর চর্বির পোড়া গন্ধ" হয় কীভাবে?
এটা লিখেছি অভিজ্ঞতা থেকে। যতই চর্বি ছাড়িয়ে নেয়া হোক। মাংস গ্রিলে চাপালে টিপ টিপ করে কয়লার ওপরে চর্বি পড়বেই।
ইউরোহাট আসলেই বেশ ভাল ছিল। আশির দশকের গোড়াতে ধানমন্ডি ২৭ এর ইয়াম ইয়াম (জিগাতলায় যার একটি বিফল অনুকরন আছে) বা সাত মসজিদের বিফইটার বা এলিফেন্ট রোডের কফি হাউসে তাওয়ায় ভেজে এভাবেই বার্গার বানানো হত। সেখানে বার্গারের ভেতরে নরম বেরেস্তার মত পেঁয়াজভাজি দেয়া হত, যেটা কেন যেন আর ঢাকার বার্গারে থাকে না।
দুর্দান্ত লিখেছেন! সার্থক আপনার নাম! অনেককে পড়ালাম, এমন পরিশ্রমী লেখা বেশি দেখা যায় না।
দারুণ লেখা! সনাতনের একদম বাইরে।
"উরুস" এর উচ্চারণটা যদ্দুর জানি "ইয়ুরাস" হবে। নাকি ভারতবর্ষে "উরুস" ডাকতো?
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
উরুস/ইউরুস, ইরাক/আইরাক, পটেটো/পটাটো - এই আরকি।
একই জিনিস।
কঠিন। কল্পনা আর রিসার্চের মিশেলটা স্বাদু হইসে। তবে এই দেশে আইসা বার্গার খাওয়া বন্ধ কইরা দিসি। অন্তত পশ্চিমে ইন্ডাস্ট্রিয়াল মীট প্রসেসিং-এর কায়দা কানুন সম্পর্কে যা সব পড়সি, তাতে মাংস খাওয়ার ভক্তি কিছু বাকি থাকে না! ঢাকার সুইস, বিগ বাইট বা ক্যান্ডিফ্লস-এর মত বার্গার যদি এখানে পাইতাম...
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
থ্যাঙ্কু। বিগ বাইটের জন্মদিনের ছিলগুলার কথা মনে আছে? সেই বার্গারগুলা কি মজাই না লাগতো।
আর কইস না। জন্মদিনের কারনে বজলের থেকা ধার নিয়া হক্কলরে খাওয়ানো লাগসে, এমনো হইসিলো একবার!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
বজল আছে কই?
ওর বাসার যিয়াফতটার খুব মনে পড়ে। আর ওদের বাসার কাছে জমিদার বাড়ীটা। ঐখানে যাবার পরে কয়দিন স্বপ্ন দেখছিলাম, যে বড় হইয়া ঐরকম দিঘির পাড়ের একটা মহল বানায়া ঐটার ছাদে উইঠা হাওয়া খাইতাসি।
এখন আর দেখি না।
বজল ডালাসে, ভালই আছে। কিন্তু টিকাটুলির সেই দারুণ সুন্দর বাসাটা, যেইটার পিছনের দালানে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস স্বয়ং ভাড়াটিয়া ছিলেন অনেক বছর - সেই সব ভাইঙ্গা হাই-রাইজ এপার্টমেন্ট বানাইতেসে কোন ডেভেলপার। কি নিয়তি!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
দুর্দান্ত লেখা!
নতুন মন্তব্য করুন