জামাতের নাকি মানুষের আইন মেনে নিতে আর আপত্তি নেই। আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার জন্য এতদিনের গলাবাজী, জুতো ছোড়াছুড়ি, এত রগকাটাকাটি, এতগুলো প্রানবাতি নিভিয়ে দেয়া, সেগুলো একটি কলমের খোঁচায় মিথ্যে হয়ে গেল। শুনেছি ২০২০ সালের মধ্যে জামাতের দলীয় নেতৃত্বে নির্দিষ্ট নারী সদস্যের সংখ্যা নিয়েও কথা চলছে, সেটাও হয়ে যাবে। মোট কথা ইসলামী গোঁড়ামির ফুটন্ত আগুন এখন কুসুম কুসুম গরম হয়ে এসেছে। এভাবে চলতে থাকলে বেশাক একদিন সেই টগবগে ফুটন্ত কড়াই হয়ে যাবে বরফকুচি মেশানো রুহ আফজার খুশবুদার ঠান্ডা শরবত।
সবকিছুই বদলে যায়। ধুমসো দশ কেজির মোটোরোলার মোবাহেল পোর্টোফোন নিয়ে ঘোরার মুসিবতে আর যায় ? যায় না। ফার্মগেটের ওভারব্রীজের ছালা গায়ে দিয়ে শুয়ে কোঁ কোঁ করতে থাকা সেই ফকিরও নাকি আজকাল নিজের মোবাইল নম্বর লেখা স্লিপ বিতরন এগিয়ে ধরে মশগুল মুসাফিরের পথ রোধ করে বলে ভেইয়া - এই নম্বরে ৫০ টাকা ফ্লেক্সিলোড করে দিন, আখেরাতে খুদাহ আপনার অশেষ নেকি হাসেল করবে।
কি জানি এই পোড়া নসিবে আর কি কি লেখা আছে। একদিন হয়ত দেখা যাবে জামাতের মেহফিলে টুপি দাড়ীর আদাব ছাড়া কোন এক বেলেহাজ নজোয়ান ছহিহ আওয়াজে তিলাওয়াত করছে। অথবা নায়েবে আমীর ছাহেবের ঘরওয়ালী ছাহেবা হিজাব-নেকাব ছাড়া শুধুই এক বেএখতিয়ার রেশমী আবায়ার বদৌলতে চাদনী-চকের সোনার দোকান থেকে বেরচ্ছেন। শিবিরের ইশতেহার এ দাওয়াতে লেখা থাকছে " ঈমানই আসল - আ'মল নয়। ঢিলা-কুলুখ একটি বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এ থেকে বিরত থাকুন" অথবা "নিশ্চই আল্লাহর প্রেমিকেরা জন্মনিয়ন্ত্রন করে'।
ওরা বলবে আধুনিক ইসলাম অনেক উদার; এখানে ক্রিয়ার চাইতে ছহিহ ও পা'ক মানসিকতার দাম ঢের বেশী, ইত্যাদি ইত্যাদি।
এরও আরো পরে এরা হয়তো একদিন বিশাল এক জনসভা ডেকে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমাও চাইবে। বলবে আমারা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। ৭১ এ আমরা বড় অপরাধ করেছি। আপনারা আমাদের ক্ষমা করুন। অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করার মত ছেলেমানুষি কাটিয়ে উঠে আসুন আমরা সুশীল থেকে সুশীলতর হই। ইন্নাল্লাহা মাআ'তাকদীমুন। নিশ্চই আল্লাহ প্রগতিশীলদের ভালবাসেন। আপনারা দলে দলে এই নিউ এন্ড ইম্প্রুভ্ড জামাতের লাল শাপলা ও সাদা কাস্তে ওয়ালা পতাকা তলে যোগ দিন। আগামী নির্বাচনে আমাদের জয়যুক্ত করুন।
আমরা বাংলাদেশীরা বেশ নরম মনের মানুষ। রাস্তার ছাল ওঠা কুকুরকে আমরা পাউরুটি কিনে খাওয়াই। ঈদের নামাজ শেষে রাস্তায় হাত পেতে থাকা সবচাইতে ভাঙাচোরা চেহারার লুলা ছেলেটাকেই নতুন বিশ টাকার নোট টা দেই। কেউ খুব করে ক্ষমা চাইলে তাকে ক্ষমা করে দেই। দেখা যাবে কিছু লোক আসলেই জামাতকে ক্ষমা করে তাকে বুখে থুলে নেবে।
ব্যাতিক্রম ঘটবে আমার মত কিছু নিতান্তই বেরসিক ও অসুশীল বাংলাদেশীর ক্ষেত্রে। জামাত বদলাতে চাইলে বদলে যাক। তারা জামাতকে ঘৃণা করে যাবে। সেটা জামাতের আজকের ঘোষনার পরেও, ক্রমাগত জামাতের প্রগতিশীলতার খবর পাবার পরেও অথবা আগামীতে যদি তারা ৭১ এ ও তারপর থেকে আজ পর্যন্ত তাদের কুকর্মের জন্য নাকে খত দেয়, তাতেও কিছু আসে যায় না। এই অসুশীল বাংলাদেশীরা জামাতকে ঘৃণা করেই যাবে।
যুদ্ধপরাধের বিচারের হাল হকিকত জানিনা। বিচার যদি আদৌ হয়, তাহলে ঠিক লোক ঠিক বিচার/সাজা পাবে কি না, সে প্রশ্নের উত্তর যদি কেউ জানেন, জায়গায় বসে আওয়াজ দেবেন। তবে আজকের কুইজ সেটা না, আজকের প্রশ্ন ভিন্ন।
কইনছাইন দেখি, জামাত যদি কোনদিন যুদ্ধপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়ে সাফসুতরো হয়ে যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার প্রতিক্রিয়া কি হবে? গালাগাল দেয়া ব্যাতিরেকে আর কি করা যেতে পারে?
(ছবিসত্বঃ ইন্টার্নেট)
অসুশীল সমাজেরই অন্তুর্ভুক্ত থাকতে চাইব... সোজা এবং সাপ্টা...
-শংখ
১.
আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াতের রাজনীতি করা আর কুমারীত্ব অর্জন করার জন্য সঙ্গম করা একই কথা।
২.
পাকিস্তানিদের গালি দিলেই লোকজন মারতে ধরে আর জামায়াত সর্মথনকারীরা তো নিজের দেশের লোক!
খাঁটি কথা কইছেন দ্রোহীদা।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
ছাল উঠায়া দেখতে হইবো ভিতরেও কি নতুন ছাল না কি আগেরটাই...
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
মন্তব্য
কোন মাফ নাই। ছাল-চামড়া তুলে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলতে হবে...
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
---কোনো মাফ নাই। বস্তাবন্দী করে ফাকিস্তানে চালান করা হবে
এটা জামাতের আইনগতভাবে নিরাপদ থাকার একটা প্রচেষ্টা। গঠনতন্ত্রে সামান্য পরিবর্তন এনে যদি বৈধতার সার্টিফিকেট পাওয়া যায়, তাহলে সেটা দেখিয়ে ভবিষ্যত নিশ্চিত করা যাবে। এমনকি এই গঠনতন্ত্র পরিবর্তনে বাধ্য হওয়াটাকে আওয়ামী লীগের নিপীড়ন হিসেবেও দেখানো যাবে। জামাতকে ৭২ এর সংবিধানের আওতায় এনে সরাসরি নিষিদ্ধ করে দেয়া উচিত।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
যারা জামাতকে গালাগাল করবে, তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। গালাগাল খুব খারাপ জিনিস, শালীনতা নষ্ট হয়।
হাসতেই আছি। আপনি পারেন ও মশাই।
[quote=দুর্দান্ত
কইনছাইন দেখি, জামাত যদি কোনদিন যুদ্ধপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়ে সাফসুতরো হয়ে যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার প্রতিক্রিয়া কি হবে?
আতঙ্কে শিউড়ে উঠবো.......কারণ এর পেছনে তাদের আরো মহা-অশুভ কোন পরিকল্পনা কাজ করবে। ইযরাইলের বেশির ভাগ কাম-কাজই অপছন্দ আমার, কিন্তু প্রতিশোধ কিভাবে নিতে হয়, এই ব্যাপারে তাদের কাছে শিক্ষনীয় অনেক কিছু আছে।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা