আগের পর্বে গয়ার Saturn Devouring One of His Sons ছবিটির বহুমাত্রিক তাফসির করার চেষ্টা করেছি। আসলে এই একটি ছবির মত গয়ার প্রতিটি ছবিই তার মহা জটিল ও দুর্বোধ্য মনের সামনে আমাদের দাঁড় করিয়ে দেয়। ব্যাপারটা অনেকটা দুঃসপ্ন দেখতে দেখতে লাফ দিয়ে জেগে উঠে সেই স্বপ্নটিকেই বুঝতে চেষ্টা করার মত।
ইব্রাহিমি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এ ছবির কান্ডটি নিতান্তই বিকৃত ও গর্হিত মনে হতে পারে। পরওয়ারদিগারের কাছে সন্তান কোরবানী দেয়া যায়, কিন্তু সেটা হতে হয় উপরওয়ালার আদেশে অথবা মানবজাতির মঙ্গলের জন্য। সুখের কথা যে ইব্রাহিমি কোরবানীর গল্পগুলোতে যাকে উতসর্গ করা হচ্ছে, সে কিন্তু আখেরে জীবন ফিরে পায়। সেটা ইসহাক এর ক্ষেত্রে নগদেই হোক, আর যিশুর ক্ষেত্রে বাকীতেই হোক। কিন্তু এই ছবিতে ক্রনাস যা করছে, সেটাতে তার নিজের ছাড়া আর কারো বিশেষ মঙ্গল বয়ে আনছে না। সে যা করছে, সেটা হিংসার বশবর্তী হয়েই করছে। এখানে তার গিলে ফেলা সন্তানের পুনরুজ্জীবনের কোন সম্ভাবনা নেই। ক্রনাস তার তমসাচ্ছন্ন প্রবৃত্তির তোড়ে তার কাজের ফলাফল নিয়ে ভাবতে ভুলে গেছে। এখানে বিবেক নেই, যুক্তই নেই। সে ডুবে গেছে একটা এমন এক ঘোরের মধ্যে, যেখানে আছে শুধুই হীনাঙ্গ করার, খুনখারাপি করার প্রবণতা। এই দৃষ্টিকোন থেকে গয়ার ছবির ক্রনাস মানবকুলের জন্য একটি সতর্কবানী হতে পারে। অনেকটা ডিজাসাটার্স অব ওয়ারের ৬৯ প্লেটের মৃতের শেষ লেখা সতর্কবানীর মত।
এতসব রাজনৈতিক, ধর্মীয় সামাজিক কি ঐতিহাসিক বিচারের পরেও একটি বুনিয়াদি বিষয় আমাদের আলোচনার বাইরে থেকে গেছে। মানুষ হোক আর দানব, নিজের বংশধরকে ধ্বংস করার প্রবনতাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করা যায়? স্বভাবতই এখানে হাভিয়ের, মানে গয়ার একমাত্র জীবিত সন্তানের কথা সামনে চলে আসে। যার সম্বন্ধে জানি-দোস্ত জাপাতের কে ১৭৮৯ এ গয়া লিখছেঃ
" "I have a son of four who is so beautiful that people look at him in the street in Madrid. He has been so ill that I haven't lived for all the period of his sickness. Thanks be to God he is now better,"
---
আচ্ছা, বাপ-ছেলের সম্পর্কের রহস্য কি সব বাবা আর সব ছেল ঠিকমত বুঝতে পারে? এই সম্পর্কে তো পদে পদে পরস্পরবিরোধিতা। কখনো গর্ব আবার কখনো নিরাশা। কখনো ভালবাসা মূখ্যতা পেল, আবার কখনো সামনে চলে এল নিয়ন্ত্রন। ভারসাম্য যদিবা থাকে, সেটা ক্ষণস্থায়ী। পশ্চিমের খোলা সমাজে হয়তো একটা ভারসাম্য চলে আসে খোলামেলা যোগাযোগের মাধ্যেমে, কিন্তু শেষমেশেই যোগাযোগ রক্ষা করতে পারাটাই দুরুহ হয়ে পড়ে। স্বাবলম্বী ছেলে আর বাবার সম্পর্কে যোগাযোগের গুরুত্ব অপরিসীম হয়ে দাঁড়ায়।
আমাদের পূবালী সমাজে তো বাপ-ছেলের যোগাযোগ তৈরী হওয়াটাই ভাগ্যের ব্যাপার। হলুদ পাঞ্জাবী পরা হিমুর সাথেও তার বাবা-র গভীর বোঝাপরাটা ঘটে বাবার অন্তর্ধানের পরে। আমাদের সমাজে বাবা-ছেলের সরাসরি যোগাযোগ কখনই কি হয়?
গয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু ছেলের সাথে যোগাযোগের বিষয়টি আরেকটি মাত্রা পেয়েছিল। হাভিয়ের এর ৯ বছর বয়েস (১৭৯৩) থেকে গয়ার শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে থাকে; শুধু ইশারা ইঙ্গিত দিয়ে একজন বাবা তার কিশোর ছেলের সাথে কতটুকু যোগাযোগ রাখতে পারে? কত কথাই তো না-বলা থেকে যাবে। মুখের কথায় আমরা যে সুক্ষ্ণ আবেগ গুলে দেই, তার কিছুটা আমাদের চেহারায় ফুটে ওঠে। শুধু ইশারায় সে আবেগ তো প্রকাশ করা যায়না। ক্রমেই বধির হয়ে আসা গয়া তার ছেলে হাভিয়ের এর সেই টুকরো টুকরো আবেগগুলোর সোয়াদ নিতে হাভিয়ের এর চেহারা দিকে চোখ কটমট করে তাঁকিয়ে থাকত নিশ্চই। বাবার, একজন বধির শিল্পীর, সেই একাগ্র তাঁকিয়ে থাকা, হরহামেসাই নিজের চেহারার জরিপ হওয়াকে হাভিয়ের কিভাবে নিত?
যাই হোক, গয়া তার ছেলেকে যারপরনাই ভালবাসত, এটা না মেনে উপায় নেই। মনে মনে সে খুব চাইতো যে হাভিয়েরও বড় হয়ে তার মতই একজন স্বনামধন্য শিল্পী হয়ে উঠুক। হাভিয়েরকে প্রতিষ্ঠিত করতে গয়া কখনো পিছু হটেনি। ১৮০৩ সালে কাপ্রিচোস এর শেষ প্লেটগুলো রাজা চাতুর্থ কার্লোস কে দেখিয়ে গয়া তার ছেলের জন্য তদবির করে বলেছিল
" (Your majesty, I ask for) some recompense for my son Francisco Javier Goya so that he may be able to travel; he has the inclination and a great disposition to improve himself."
গয়ার কথা রাজা ফেলে দেয়নি, তথক্ষনাত হাভিয়েরের জন্য বারো হাজার রিয়াল এর ভাতার ব্যাবস্থা করে দিয়েছিল। হাভিয়েরের বিয়ের সময়ও একই কান্ড। সারাগোসার এক, যাকে আমাদের দেশে বলে, 'সম্ভ্রান্ত পরিবার' এর মেয়ের সাথেই সম্বন্ধ করে ছেলের বিয়ে দিল গয়া। আর ছেলে আর ছেলের বউ এর যাবতীয় খরপোষের দায়িত্ব লিখেপড়ে নিজের কাঁধে নিয়ে নিল গয়া।
পুত্রপ্রেমে যতই ব্যাকুল হোক গয়া, তার ভেতরের শিল্পীমনটি কিন্তু বেশ টনটনে। যেমন তার চোখ দেখে, তার হাত ঠিক তেমনিই আঁকে। হাভিয়ের এর বিয়ের পরপরই গয়া তার ছেলের একটি পোর্ট্রেট এঁকে ফেলল। বাবার আদরের ছেলের চেহারা ছবি যেমন হতে পারে, এই পোর্ট্রেটে হাভিয়েরকে দেখতে ঠিক তেমনটাই দেখায়। সুশ্রী, কেতাদুরস্ত কিন্তু কিছুটা নিষ্প্রভ ব্যাক্তিত্ব। গয়ার মাপের শিল্পীর হাতে পোর্ট্রেট করার জন্য যেমন ব্যাক্তিত্ব আর জেল্লার দরকার হয়, সেটা অনুপস্থিত। মানে, চলে আরকি, তেমন কিছু না। গয়া বোধ করি অনেক আগেই জেনে গিয়েছিল, তার স্বপ্ন পূরন হবার নয়। ঠিক কত বছর বয়েসে হাভিয়ের বুঝেছিল যে সে তার বাবার স্বপ্ন পুরন করতে পারবে না?
একদিন যুদ্ধ শেষ হল। নেপোলিয়নের সৈন্যদল ফিরে যাচ্ছে। ঠিক এ সময়েই হাভিয়ের এর মা জোসেফা, দেহ রাখল। হাভিয়ের তার মায়ের সম্পত্তি দাবী করে বসল। গয়া যেন এমনটাই চাচ্ছিল। সে খুশি হয় হাভিয়ের এর দাবী মেনে নিল। নিজের জন্য মাত্র দুটি ছবি রেখে সে তার যাবতীয় সব সম্পত্তি হাভিয়েরের নামে লিখে দিল। এমনকি তার নিজস্ব সংগ্রহের ৭৮ (কিংবা ৭৪) টি ছবিও। যেন সে ছেলেকে শিল্পী করতে না পারার প্রায়শ্চিত্ত করছে। রক্তের ধারায় যা সে তার সন্তানকে দিতে পারেনি, সেটাই সে তার যাবতীয় সম্পদ আর সম্পত্তি লিখে দিয়ে পূরন করতে চাইছে।
গয়া নিজের জন্য রাখল শুধু দুটি পোর্ট্রেটঃ বিখ্যাত বুলফাইটার রোমেরো আর আলবা' র সুন্দরী বিধবা চৌধুরানী। পেড্রো রোমেরো মার্তিনেজ, সেই কিংবদন্তির বুলফাইটার, স্পেনকে যে কিনা বুলফাইটকে একটি শিল্প হিসাবে দেখতে শিখিয়েছিল। পাঁচ হাজারেরও বেশী ষন্ডকে কুপোকাত করেছিল এই রোমেরো। হেমিংওয়ের দা সান অলসো রাইজেস এর গল্প আর গয়ার এই পোর্ট্রেট রোমেরোকে বাঁচিয়ে রেখেছে আমাদের জন্য।
এখানে আলবা'র চৌধুরানী নিয়ে একটু বলে নেয়া যায়। আলবার চৌধুরানী (ডাচেস অব আলবা) মারিয়া দেল পিলার দ আলবা হল গিয়ে মদীনা-সিদোনিয়া (নাহ রে ভাই এটা স্পেন এ) র ১৫ তম চৌধুরী (ডিউক) ছাহেবের পত্নি। বড়লোকের মেয়ে, বড়লোকের বউ। গয়ার সাথে চৌধুরী ছাহেবের অনেক মিল মহব্বত। আসা যাওয়া তো ছিলই। যখন চৌধুরী ছাহেবের এন্তেকালের পরে গয়ার সাথে চৌধুরানীর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। বাজারে গুজব ছড়ায়, যে গয়াই কার্যত মদীনা-সিদোনিয়ার ডিউক। হাভিয়ের তখন ৯ বছরের, তার মা অসুস্থ। গয়া তাদের মাদ্রিদে রেখে, বসে আছে আন্দালুসিয়ায় চৌধুরানীর প্রাসাদে। চৌধুরানীর যে পোর্ট্রেটটি গয়া নিজের কাছে রেখে দেয়, এটা এসময়েরই। এসময়ে গয়া চৌধুরানী অনেকগুলো ছবি একেছিল। সে সময়ে অবশ্য গয়া বিখ্যাত 'মাহা' ছবি জোড়াও আঁকে। 'মাহা'র চেহারাসুরত দেখে মনে হয়না যে চৌধুরানীই গয়াকে মাহা ছবির প্রেরনা যুগিয়েছে। সে যাই হোক, সে কবছর গয়ার সহচর্য আলবার চৌধুরানীকে অখুশী করেনি। তাইতো ফিরবার সময়ে গয়াকে কিছু দিতে চাইল চৌধুরানী। গয়া কি চাইল? আবার সেই তার ছেলের ভবিষ্যত। হাভিয়ের এর জন্য আরেকটি আজীবন মাসোহারার বন্দোবস্ত করে তবে ফিরল গয়া।
১৮১৯ সালে গয়া মাদ্রিদের কাছের এক বাগানবাড়ীতে উঠে আসে। ৭৩ বছরের বুড়ো, ততদিনে স্পেনের সবচাইতে জনপ্রিয় শিল্পীর মর্জাদায় পৌছে গেছে গয়া। জীবনের অনেক ঝড়ঝঞ্ঝা পেরিয়ে এসেছে সে। তাই এই বাগানবাড়ীর নির্জনতায় কিছুদিন শান্তিতে থাকার অধিকার সে পেয়ে গেছে। দেরী না করেই সে সেই বাগানবাড়ীর দেয়ালে দেয়ালে সবুজ মাঠ, নীল আকাশ, বহতা নদী, চাষী আর গাধা - মানে ঝিম ধরা দুপুরের গ্রাম্য স্পেনের দৃশ্যে ম্যুরালে ভরে দিল। এখন অবশ্য সে মুরালগুলো আর দেখা যায়না। এই কিছুদিন হয় রেডিওগ্রাফি আর স্ট্র্যাটিগ্রাফি অনুসন্ধান চালিয়ে দেয়ালের আস্তরের পেছনে এই ছবিগুলোর খোঁজ পাওয়া গেছে।
তারপরেই ঘটে অঘটন। একদিন হঠাত করেই এসব দেয়ালে সবুজ মাঠ, নীল আকাশ, বহতা নদী, চাষী আর গাধাকে পেলেস্তারায় ঢেকে ফেলে গয়া। বাগানবাড়ীর দেয়াল এতদিন দেখাতো বাইরের দৃশ্য। আর এখন থেকে বাগানবাড়ীর দেয়ালে দেয়ালে ফুটে ওঠে গয়ার ভেতরের দুনিয়া। কারুকার্য আর আনন্দে ভরা কল্পনাকে ঢেকে ফেলে গয়ার মনের গহীনে বেঁচে থাকা সব অন্ধকার আর ভয়ের সত্যবচন।
খাবারের ঘরের দেয়ালে আড়াই ফুট বাই সাড়ে চারফুট আকারের এক দানব আকার নিতে থাকে। হাভিয়েরের বিয়ের পরে নিজের ছেলের ছবি আঁকতে গিয়ে গয়া সত্য থেকে পিছু হটেনি। খাবারের দেয়ালে ক্রনাস/স্যাটার্ন/শনির রূপে নিজেকে আঁকতে গিয়েও এতটুকু শৈল্পিক কল্পনার আশ্রয় নেয়না গয়া। সে নিজেকে যেভাবে দেখে, ঠিক সেভাবেই পুরো সত্যটাকে অটুট রেখে নিজের প্রতিকৃতিকে গেঁথে ফেলে নিজের খাবার ঘরের দেয়ালের গায়ে।
---
আসুন আরকবার ছবিটি দেখা যাক। । এবার একটু অন্যভাবে। ক্রনাসে চেহারা ডানপাশ ঢেকে শুধু চেহারার বামপাশটিকে দখুন। একজন নিষ্ঠুর টাইটানের ডান চোখ এখন আপনার দিয়ে তাঁকিয়ে আছে। আসুক যে তাকে থামাতে চায়, ক্রনাস তাকে দেখে নেব। তার সেই দস্যুর চাহনিকে আরো খড়খড়ে করে দিয়েছে ভুরুর উলম্ব রেখাগুলো, যেন সেগুলো ফ্রাঙ্কেন্সটাইন দানবের মাথার সেলাই।
এবারে বামপাশ ঢেকে ডানপাশ দেখুন। দেখুন কি অসহায় ও ভীত একজন মানুষ আপনার দিয়ে তাঁকিয়ে আছে। চোখের গাঢ় মণি থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসছে এক সন্ত্রস্তের আর্তনাদ। নিজেকে আয়নায় দেখেই কি এই ভয়? কুচকানো ভুরুটি প্রশ্নে ভেজা। যেন নিজেকে ভয় পেয়ে নিজেকেই সুধাচ্ছে " এ আমি কি করছি?"
---
কিশোর আমি যখন ছবিটি প্রথম দেখি, তখন শুধুই একজন দানবকে দেখেছিলাম। এতবছর পরে আমি হয়তো কিছুটা বুঝতে পারি কেন এই দানবের প্রতি গয়া এতটুকু সহানুভুতি অনুভব করতে পারে। পিতা ও সন্তানের যে দ্বন্দ্ব, সে অতি প্রাচীন, সে অবিচ্ছেদ্দ। আমরা, যারা বাবা হয়েছি তারা সন্তানদের নিয়ে সবসময়ই কোন না কোন ভয়ে ভীত হয়েই থাকি। সদ্যজাত শিশুকে পাশে নিয়ে শুয়ে থাকি, কিন্তু ঘুমাতে পারিনা, যদি নিজেই ঘুমের ঘোরে গড়িয়ে শিশুটার গায়ের ওপরে চলে যাই? আমাদের কোন কাজে আমাদের সন্তানদের কোন অমঙ্গল ঘটে যেতে পারে এই ভয় আমাদের পিছু ছাড়ে না। সন্তান একসময় বড় হয়। আমাদের ভালবাসার সব বিধিনিষেধ সে মেনে চলতে চায়না। সন্তানের দুঃস্বপ্নের দানবগুলো থেকে সন্তানকে আগলে রাখতে চাই। কিন্তু নিজেই দুঃস্বপ্ন দেখি যে সন্তানের দুঃস্বপ্নের দানবের চেহারাটা যেন ঠিক আমারই মত।
মানুষের সম্পুর্ন মুক্তি তখনই ঘটে যখন তার গভীরতম ভীতি ও প্রবৃত্তির মুখোমুখি সে হতে পারে। নিজের কাছে নিজরূপের এই ছবির স্বীকারোক্তি, সেই সাথে তার কালো ছবিগুলোড় বাস্তবতার স্বীকারোক্তির মাধ্যমেই গয়া শেষ জীবনের শান্তি খুঁজেছে। যে পৌরানিক কাহিনী একদিন গয়াকে ভুলে যাওয়া যায় এমন একটি ছবি আঁকিয়েছিল, জীবনের শেষপ্রান্তে এসে, সেই কাহিনিটাই তাকে দিয়ে তার সবচাইতে খাটি কথাটি বলিয়ে নিল। আয়রনিটা হল, যে ছবিটি দেখে সার দুনিয়া শিউরে ওঠে, ঠিক সে ছবির মাধ্যেমেই এর শিল্পি লাভ করেছে অনন্ত নির্বান।
(ছবিগুলোর জন্য উইকির কাছে কৃতজ্ঞ; এই লেখায় আমার কোনই বাহবা পাওনা নেই, সব কৃতিত্ব গয়ার ও জে স্কট মর্গানের এই লেখাটির )
মন্তব্য
খুব খুব ভালো লাগল
দীপ্তেন
অসাধারণ!!!
সচল হলে একশ তারা! এখন শুধু শুভেচ্ছা।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
দুর্দান্ত! দুর্দান্ত! দুর্দান্ত!
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
শেষ? আর নাই?
কুটুমবাড়ি
আশ্চর্য!
আচ্ছা, এটা হয়ত ন্যাচারাল ইন্সটিঙ্কট যে বাবা-মা চিরকাল চায় তাদের সন্তানেরা তাদের মত হোক, বা তাদের অপূর্ণ স্বপ্নগুলো পূরণ করুক, আবার এও যে তারা সন্তানদের জন্যে প্রোভাইড করে যাবে চিরকাল আদতে যাই হোক না কেন? সবক্ষেত্রে না, লেখাটা পড়তে গিয়ে মনে হল হঠাৎ করেই। তবে পাশাপাশি থেকেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা বেশ জটিল একটা ব্যপার। আর এটা ঘুরে ফিরে ঘটছেই। মনের সততা জেনেও আমরা এক পক্ষ অন্যকে প্রশ্ন করে চলেছি, কৈফিয়ত দাবি করে চলেছি নিরন্তর। আর এটা খারাপ নয় আসলে। বরং ঠিকভাবে আলাপ করা গেলে এভাবেও ঐ যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা কাটিয়ে ওঠা যায় অনেকখানি।
লেখাটা চমৎকার লাগল। আরও এমন অ্যানালিসিস পড়বার আশা রইল।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দুর্দান্ত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাল্লাগলো। আপ্নার লেখা না, গয়ার ছবি।
দুই পর্বের এই লেখাটাকে যদি শুধু 'Saturn Devouring One of His Sons'-এর বিশ্লেষণ হিসাবে দেখি তবে তা অসাধারণ - সন্দেহ নেই।
ছবি বর্ণনার এই ধারাটা আমার পছন্দ। নিজের শিল্পজ্ঞান নাই বলে গাণিতিক হিসাব-নিকাশ, কাটাকুটি দিয়ে ছবি বোঝার চেষ্টা করি। মহাজনরা হয়তো লেয়ার, ডাইমেনশন, জিওমেট্রিক্যাল লাইন আর শেপ দিয়ে ছবি বর্ণনা করেন না, তবে আমার মতো আমজনতার জন্য এটাই ঠিক আছে।
এটা যদি গয়্যা পাঠের সবটা হয় তাহলে কিন্তু হলোনা। গয়্যা সিরিজ হবার দাবী রাখেন। তাঁর "কৃষ্ণ পর্ব", ছাপচিত্র, গৃহযুদ্ধ সিরিজগুলো নিয়ে না বললে কিছুই বলা হয়না। গয়্যা এখনকার বাংলাভাষী দুনিয়ায় প্রায় উপেক্ষিত ও অপরিচিত। লেখকের অভিজ্ঞতা ফার্স্টহ্যান্ড, আমাদের মতো পিঁটুলীগোলা খাওয়া নয়। তাই গয়্যা নিয়ে, তাঁর কাজ নিয়ে আরো লেখা চাই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দারুন সংরক্ষণ। ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন