আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা কৌশলের ক্রমবিকাশ - ৩

দুর্দান্ত এর ছবি
লিখেছেন দুর্দান্ত (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৫/১২/২০১১ - ৬:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এখানে আরএখানে ১৯৭১ সালের বর্ষাকাল অব্দি পাকিস্তান ও ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে কিছু কথা বলেছি। এখানে শুরুতেই মুক্তিবাহিনী নিয়ে কিছু কথা বলা যাক।

দেশবিভাগের পর থেকে কাশ্মীর, নাগা ও মিজো এলাকায় পাকিস্তান ‘অনিয়মিত’ উপায়ে স্থানীয় উপজাতীয়দের দিল্লীর বিরুদ্ধে ফুসলাতে থাকে। কাশ্মীরে পাকিস্তানের সৈনিক অফিসারেরা সরাসরি স্থানীয় গেরিলাদের নেতৃত্ব দেয়। নাগা-মিজোরামের গেরিলা নেতারা পূর্ব-পাকিস্তানের ভেতরে এসে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিশেষ বাহিনীর কাছে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ফিরে যায়। আমেরিকা ও চীনে অনিয়মিত ও গেরিলাযুদ্ধে প্রশিক্ষিত পাকিস্তানী অফিসারেরা এই সব প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেছে। ভারত, অন্যদিকে বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনিয়া ইত্যাদি এলাকায় ঠিক একইরকম কাজে সক্রিয় থেকেছে।

উভয়দিকের এরকম ‘অনিয়মিত’ কার্যক্রমের ট্রাক-রেকর্ড আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এই অভিজ্ঞতাই পরে কর্নেল তাহের, রব, জিয়াকে এই যুদ্ধে ও তার পরে তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে নিয়ে গেছে। ভারতের অনিয়মিত কার্যক্রমের কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসেছে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা। আবার পূর্বাঞ্চলে এই অনিয়মিত কার্যক্রমে দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ওপর ভর করেই ইয়াহিয়া বলতে পেরেছিল “আমি পূর্বপাকিস্তানকে পূর্বপাকিস্তানীদের চাইতে ভাল করে চিনি”।

১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পরে পাকিস্তান ভারতের পূর্বাঞ্চলে ‘অনিয়মিত’ কার্যাবলী বাড়াল। এর কাছাকাছি সময়ে আওয়ামী লীগপন্হী যুবকদের সশস্ত্র ট্রেনিং প্রদানের জন্য শেখ মুজিব ভারত সরকারকে অনুরোধ করে বলে কথিত আছে। তবে পরে যেরকম শেখ ফজলুল হক মণি, সিরাজুল আলম খান, তোফায়েল আহমদ ও আবদুর রাজ্জাক দাবী করে যে সেই প্রশিক্ষন এই চার যুবলীগ নেতার অধীনে পরিচালিত হবে, এমন কিছু সঠিকভাবে জানা যায়না।

২৩ শে মার্চ পাকিস্তান দিবসের বদলে ঢাকায় পালিত হয় প্রতিরোধ দিবস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা কাঠের বন্দুক হাতে কুচকাওয়াজ করে। আকাশে ওড়ে সবুজ-লাল পতাকা।

অপারেশন সার্চলাইট চলাকালে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও যশোর ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানী বাহিনী বাঙালী পুলিশ, ইপিআর এবং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর সৈন্যদের নিরস্ত্র ও ক্ষেত্রবিশেষে হত্যা করতে শুরু করার সাথে সাথেই বিদ্রোহ শুরু করে। সশস্ত্রবাহিনীর বিক্ষিপ্ত বিদ্রোহ এবং উদ্ভূত খণ্ডযুদ্ধের মধ্যে চট্টগ্রামের ৮ইবি ও ইপিআর বাহিনীর সশস্ত্র প্রতিরোধ উল্লেখযোগ্য। সেসময়ে স্বল্পকালের জন্য চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র যখন বিদ্রোহীদের দখলে আসে।

বাঙ্গালী প্রথম শসস্ত্র প্রতিরোধের উদ্যোগ আসে আক্রান্ত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং ইপিআর-এর সেনা ও অফিসারদের মধ্যে যারা পাকিস্তান নিয়ন্ত্রন থেকে পালাতে পেরেছিল, তাদের সমবায়ে গঠিত। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে বিদ্রোহ ও প্রতিরোধ যুদ্ধে ইপিআর ও বাঙালী পুলিশদের অবদান সবচাইতে বেশী ছিল। চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দখলে নেয়া রেডিও এবং বিদ্রোহী ইউনিটগুলির মধ্যে বেতার যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা হবার ফলে এই সব স্থানীয় ও খণ্ড বিদ্রোহ দ্রুত সংহত হতে শুরু করল। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িত হবার বিষয়টি এদের জন্য মুখ্যত ছিল অপরিকল্পিত, স্বতঃস্ফূর্ত এবং উপস্থিত সিদ্ধান্তের ব্যাপার।

৪ঠা এপ্রিল সিলেট জেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহী ইউনিটগুলির কমান্ডারগণ একত্রিত হল প্রতিরোধ যুদ্ধের সম্মিলিত কর্মপন্হা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে। কর্নেল আতাউল গণি ওসমানীর নেতৃত্বে এতে যোগ দিল লে. কর্নেল আব্দুর রব, মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর সফিউল্লা, মেজর কাজী নুরুজ্জামান, মেজর নুরুল ইসলাম, মেজর মমিন চৌধুরী এবং আরও কয়েকজন।

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ভারতের গোয়েন্দাবাহিনী (IB) র বিশেষ ‘গবেষণা ও পরিচালনা বিভাগ’ প্রধান রমেশৃর কাও তার প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে লিখল:

"The situation today in Eastern Part of the subcontinent is touch-and-go for India and Pakistan Either we take the opportunity afforded by the Bengali revolt and break up Pakistan, and in the bargain create a friendly, secular, pro-Indian state in the region. Or we miss this chance and allow the Chinese and Pakistanis to intervene on North-East India at a later date, create free tribal states loyal to them and leave India a broken Nation. They are already helping the Nagas, Mizos and the Manipuri hostiles, who have each got their guerilla units, which are giving our troops in the region much trouble. The scene may get worse, once more and more guerillas return from China and the areas of insurgency expand beyond our capacity to control them. The only way to get India out of this worse possible predicament, when for the first time since, independence, she faces a genuine threat to her territorial integrity, is to organize the guerilla struggle in east Pakistan with zeal and carry it to our advantage. "

(৩১-৩২, ইন্সারজেন্ট্স ক্রসফয়ার - সুবীর ভৌমিক ১৯৯৬)

এপ্রিল মাস থেকে ভারতের ‘সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী’ (বিএসএফ) বিক্ষিপ্তভাবে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সরবরাহ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে যে অল্প স্বল্প সাহায্য করে চলেছিল তার উন্নতি ঘটে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত চার সপ্তাহ মেয়াদী ট্রেনিং। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে শুরু হয় দু’হাজার ছাত্র ও যুবকের প্রথম দলের প্রশিক্ষণ।

Mukti_Bahini

(ছবিসত্বঃউইকিপিডিয়া)

কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য ও করনীয় নিয়ে ওসমানী ও ভারতীয় নেতৃত্বের মধ্যে পুরোপুরি মতৈক্য ছিলনা। ভারতপক্ষ শুরুতে ৮ হাজার বাঙ্গালীকে উচ্চমানের প্রশিক্ষণ দিয়ে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের নেতৃত্বে ছোট ছোট দলে মাঠে নামাতে চেয়েছিল। তাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল এইসব ছোট দলগুলো ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য রাস্তা করে দেবে।

কিন্তু ওসমানীর ও বাঙ্গালী অফিসারেরা মুক্তিবাহিনীর কর্মপদ্ধতি ও উদ্দ্যেশ্য নিয়ে পরিকল্পনা করলঃ
১. বাংলাদেশের নিয়মিত সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের ভেতরে কিছু এলাকা দখল করবে। তারপর বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকার আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতি আদায় করবে ও তাদের হস্তক্ষেপ চাইবে। প্রাথমিক অধিগ্রহণের লক্ষ্য ময়মনসিংহ থাকলেও পরে সেটা সিলেট থেকেই শুরু হয়।

২. যত কম সময়ে সম্ভব ও যত বেশী পরিমাণে সম্ভব, বাঙ্গালী গেরিলা সৈনিককে বাংলাদেশের ভেতরে পাঠাতে হবে। এদের কাজ হবে আকস্মিক আক্রমণ ও এমবুশ এর মাধ্যমে যত বেশী সম্ভব পাকিস্তানী সৈনিক হত্যা করা, ও বিদ্যুৎ-কেন্দ্র, রেল-রাস্তা, খাদ্যগুদাম, ব্রিজ-কালভার্ট-পেট্রল ডিপো, রেল ও নদীর যানবাহন ইত্যাদিএর ক্ষতিসাধন করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমন ক্ষমতা সম্ভব সীমিত করা এবং তাদেরকে যতটা সম্ভব গর্ভবুহ্যের বাইরে ব্যস্ত রাখা।

জুন মাস অবধি দেশের ভিতরে টাঙ্গাইল ও আরো দু-একটি এলাকায় মূলত স্থানীয় সামর্থ্যের উপর ভিত্তি করে কয়েকটি বিদ্রোহী বাহিনী প্রশংসনীয় দক্ষতার সাথে দখলদার সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছিল। জুন মাসের শেষ দিকে ট্রেনিং-প্রাপ্ত দু’হাজারের কিছু বেশী ছাত্র ও তরুণ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সাথে সাথে দেশের অন্যান্য অংশেও সশস্ত্র লড়াই ছড়িয়ে পড়ে। এদের হাতে অস্ত্রশস্ত্র ছিল সামান্য। তবু এদের অসীম মনোবল ও দুঃসাহসিক অভিযানে বড় বড় সেতু ধ্বংস হয়, বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হতে থাকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথসহ বিভিন্ন স্থল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এপ্রিল মাসে বিদ্রোহী সশস্ত্র-বাহিনী ও রাজনৈতিক কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ থেমে যাওয়ার প্রায় আড়াই মাস পরে স্বেচ্ছা-সংগ্রামী এই তরুণদের অকুতোভয় সশস্ত্র লড়াইয়ের ফলে নতুন প্রাণ-সঞ্চার ঘটে স্বাধীনতা সংগ্রামের।

মে মাসের মধ্যে ওসমানি ও মূলত ইস্টবেংগল থেকে পালিয়ে আসা সেনা অফিসারেরা বাংলাদেশকে মোট এগারোটি সেক্টরে ভাগ করে সেখানে মোট ৩টি ব্রিগেড (৮টি পদাতিক ব্যাটালিয়ন ও ৩ টি গোলন্দাজ ব্যাটারি) কে এইসব সেক্টরে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়।

Bangladesh_1971_Liberation

(ছবিসত্বঃউইকিপিডিয়া)

এবার আসুন ভারত ও পাকিস্তানের পেশীশক্তি নিয়ে কিছু কথা বলি। এগুবার আগে সামরিক বাহিনী ও যুদ্ধ বিষয়ক কিছু বুনিয়াদি কথা এখানে পড়ে নেয়া যেতে পারে।

১৯৭১ সালে ভারতের নিয়মিত বাহিনীতে মোট দশটা পাহাড়ী ডিভিশন সহ মোট ২৪টি পদাতিক ডিভিশন, দুটি প্যারাশুট ডিভিশন, ও একটি সয়ংসম্পূর্ন সাঁজোয় ডিভিশন ছিল। এছাড়াও তাদের ছিল চারটি খুচরা সাঁজোয়া ব্রিগেড, মানে এদেরকে ইচ্ছামত অন্য ডিভিশনের সহায়তায় মোতায়েন করা সম্ভব। ভারতের সেনাসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে আট লাখ, আর ১৪৫০ টি টায়ঙ্ক ও ৩০০০ টির মত ছোটবড় কামান। বিমান ও নৌবাহিনীর কথা আরেকদিন হবে। এই নিয়মিত বাহিনী ছাড়াও ভারতের হাতে ছিল এক সুবিশাল রিজার্ভ বা প্রয়োজনে ব্যাবহারের জন্য রক্ষিত সইন্যবাহিনী। আক্রান্ত হলেও ভারত পক্ষে বেশ ভাল পরিমানে ক্ষয়ক্ষতি সহ্য করে বেশ লম্বা সময়ে টিকে থেকে শত্রু শক্তিক্ষয় করতে পারবে। আর আক্রমন করলে শুধু পেশীশক্তি প্রয়োগ করেই তার জয় সম্ভব। ঠিক এখানেই পাকিস্তানের হীনমন্যমতার ও লাগাতার অনিয়মিত কার্যক্রমের অনুপ্রেরণার উতস খুজে পাওয়া যেতে পারে।

পাকিস্তানের ছিল মাত্র ১৩টি পদাতিক ডিভিশন আর দুটি সাঁজোয়া ডিভিশন। এছাড়াও ছিল তিনিটি সয়ংসম্পূর্ণ খুচরা সাঁজোয়া ডিভিশন, ৮৫০ টি ট্যাঙ্ক ও ৮০০ টির মত কামান। এই ১৩ টি পদাতিক ডিভিশনের দুইটি (১৭/৩৩) নতুন পরিচালনা কৌশলের অংশ হিসাবে একেবেরে আনকোরা নতুন সৈনিকদের নিয়ে তড়িঘরি করে গঠিত হয়। পূর্বাঞ্চলে মাত্র একটি ডিভিশন (১৪)। অপারেশন বিগফ্লাইইন এ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ৯ ও ১৬ নম্বর ডিভিশন দুটোকে বিমানে করে পূররবপাকিস্তানের আনা হয় ঠিকই, কিন্তু বিমানে করে যাতায়তের কারনে এই দুটি ডিভিশন তাদের সম্পূর্ন ‘যন্ত্রপাতি’ সাথে করে নিয়ে আসতে পারেনি।

নিয়াজি অবশ্য পূর্ব পাকিস্তানের ভেতরে থেকেই ৩৬ ও ৩৯ নামে দুটি নতুন ডিভিশন গঠন করেছিল, কিন্তু সেনাসংখ্যার দিক থেকে সেগুলো এক একটি ব্রিগেডের চাইতে বড় কিছুই ছিলনা। তদুপরি এদের প্রশিক্ষনের অবস্থা এতটাই দুর্বল ছিল যে একটি পরিপূর্ন ভারতীয় ডিভিশনের কাছে এই দুইটি ‘ডিভিশন’ অল্প সময়েই পর্যুদস্ত হবার কথা। নিয়মিত বাহিনীর এই সংখ্যা ও এই দুররবলতা কাটিয়ে উঠতে পাকিস্তান ইপিকাফ, মুজাহিদ, রাজাকার, আনসার ও শান্তিকমিটি ইত্যাদি নামে নানা রকম অনিয়মিত বাহিনী গঠন করে।

এখান বলে রাখা ভাল যে কমান্ড-কন্ট্রোল বা আভন্তরীন নিয়ন্ত্রনের দিক থেকেও পাকিস্তানের অবস্থা বিশেষ সুবিধার ছিল না, সেটাও তাদের স্বভাগগুনেই। ইয়াহিয়া খান রাষ্ট্রপধানের গদি দখল করেও সামরিক বাহিনীর অধিনায়কের পদ ছেড়ে দিলনা। তদুপরি পাকিস্তানের পূরো বেসামরিক প্রশাসনকে সামরিক অফিসারে ভরে তুলল। এইসব বেসরকারি পদে সেনাবাহিনীর যোগ্যতর অফিসারদের বসানোর ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে অযোগ্য অফিসারদের আধিপত্য বাড়ল। ইয়াহিয়ার নিজস্ব সীমাবদ্ধতা ও পূর্ব-পশ্চিমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারনে পাকিস্তানের সামরিকবাহিনীর আব্যন্তরীন নিয়ন্ত্রন ঘোলাটে হতে শুরু করে।

Untitled


মন্তব্য

ফারুক হাসান এর ছবি

চলুক
পড়ছি। দারুণভাবে ঘটনাআবহের বিশ্লেষণ করছেন। চলুক।

স্বাধীন এর ছবি

গল্পের মতো করে পড়ে যাচ্ছি চলুক

অন্যকেউ এর ছবি

চমৎকার এগোচ্ছে। চলুক চলুক

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

নিটোল এর ছবি

দারুণ লাগছে সিরিজটা। চলুক

_________________
[খোমাখাতা]

তাপস শর্মা এর ছবি

চলুক ....... খুব ভালো এগুচ্ছে।

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

আরেকটু বড় করা যেতো বোধহয়। তবে এটাও মন্দ নয়, সমস্যা হচ্ছে সব পর্ব হয়তো একসাথে পড়া হয়ে ওঠে না।

এগিয়ে যান।

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

যথেষ্ট তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট।

দুর্দান্ত এর ছবি

সবাইকে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

রু (অতিথি) এর ছবি

আগের পর্বগুলো পড়েছি, মন্তব্য করা হয়ে উঠেনি। খুব ভালো লাগছে সিরিজটা।

সাফি এর ছবি

ওসমানীর পরিকল্পনার ১নাম্বার পয়েন্টে বলেছেন বাংলাদেশের নিয়মিত সেনাবাহিনীর কথা। এই নিয়মিত সেনাবাহিনীটা কাদের নিয়ে?

দুর্দান্ত এর ছবি

ইস্টবেনংগল ও ইপি আর থেকে বেরিয়ে আসা সৈনিক-অফিসারদের নিয়ে।

সাফি এর ছবি

আচ্ছা, সিরিজ খুব ভাল লাগছে, আগ্রহ নিয়ে পড়ছি।

পথিক পরাণ এর ছবি

সিরিজের আগের লেখাগুলোর মতই তথ্যবহুল।

দুইটা বিষয়।

এক। ম্যাপে যেমনটি দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সৈন্য সমাবেশের পেছনে চীনের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হয়েছিল। ১৯৬২ সালের ইন্দো - চীন যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে ভারত এসময় তার চীনের সীমান্ত এলাকায় কমপক্ষে ৮ টি মাউনটেইন ডিভিশন নিয়োজিত করেছিল।

দুই। বি এস এফ আমাদের সীমান্তে বেশ কিছু ক্যাম্প স্থাপন করে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। এই ক্যাম্পগুলোর অবস্থান, বৈচিত্র্য, যোদ্ধাদের বাছাই আর ক্যাম্পে পৌঁছানো, প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য বিষয়ে একটু ধারণা দিলে কৃতার্থ হতাম।

---------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...

দ্রোহী এর ছবি

পড়লাম।

পুরো সিরিজটা শেষ হলে একটা ই-বুক করলে দুর্দান্ত একটা কাজ হবে।

চিলতে রোদ এর ছবি

ভাইজান, আপনাকে স্যালুট। আপনার লেখাগুলো আপনার নামের মতোই... দুর্দান্ত! উত্তম জাঝা!
অনেক শুভকামনা আপনার জন্য!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।