আঁশ পোড়া গাছ

দুর্দান্ত এর ছবি
লিখেছেন দুর্দান্ত (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৭/২০১২ - ৪:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মন্তব্য

সত্যপীর এর ছবি

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার!

-ক্রান্তিবৃত্ত

উতপাখির হৃদয় এর ছবি

রেসিপিটা তো জানা হলনা । একটু ভাষার মসলা হলে মন্দ হতনা

মেঘা এর ছবি

রান্নার বর্ণনা কই? ইয়ে, মানে... ছবিগুলো সুন্দর! ইয়ে, মানে...

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

ক্রেসিডা এর ছবি

শিট ম্যান!! সেহেরী খাইছি মাত্র ৩ ঘন্টা হইছে মন খারাপ অন্যায় ঘোর অন্যায়। খিদেয় তো... পেট জ্বলবে মন খারাপ

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

rabbani এর ছবি

ছবি রেসিপি চলুক
মাশরুম সসের পাশের মশলাটা কি? (ছবি দিয়ে উত্তর দিবেন নাকি??)
এই জিনিস সেফওয়েতে দেখি, কিনতু কেনা হয়নি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

‌ছবিগুলো ছোট করে দিলে মনে হয় ভালো হতো। দেখে সুবিধা হলনা।

স্পর্শ এর ছবি

শুধু ছবি দিয়ে রেসিপি! দারুণ! উত্তম জাঝা!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

যুমার এর ছবি

আসলেই আঁশ পোড়া গাছ। হো হো হো
তয় রান্না মনে হয় ভালাই হইছে হাসি

বন্দনা এর ছবি

এটা যে খাওয়া যায় তাই জানতাম্না। এই জিনিসের নামটা কি জানতে পারি আশেপাশে প্রায়ই দেখি? এত অভিনব পন্থায় রেসিপি দিসেন পুরাই ঝাক্কাস। রেসিপির একটা জিনিস কি বুঝতে পারিনাই, লাল ক্যানে মাশ্রুম না কি যেন চিঙ্কু ভাষা না কোন ভাষায় লিখা, ওটা কি বস্তু? আই জাস্ট লাভ দ্য আউটলুক অফ দিস ডিশ।

স্পর্শ এর ছবি

অ্যাসপ্যারাগাস। একেবারে মাখনের মত গলে যায় মুখের মাঝে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দুর্দান্ত এর ছবি

দেশী চিনা রেস্তোরায় (আগে) সুপের সাথে তিনটি অনুসঙ্গ থাকতোই, সিরকায় ভেজানো কুচো সবুজ মরিচ, টমাটো কেচাপ আর তেলে চুবানো পেশানো শুকনো মরিচ বা চিলি অয়েল। বামপাশের বোতলে আছে সেই চিলি অয়েল ও কিছুটা শুটকি ও গাঁজানো কালো সিমবিচি (ফারমেন্টেড ব্ল্য়াক বিন) - এটা না পেলে দেশী বালাচং এর মোক্ষম প্রতিধ্বনি।

রীপা এর ছবি

এই জিনিষ তো দেখতে অনেকটাই আমার দেশের কচুর লতি মতো,কাটাকুটি আর রান্নার কায়দাও তেমনি। স্বাদও কি তেমন?

সচল জাহিদ এর ছবি

ইয়ে, মানে... , এসপ্যারাগাস আমার পছন্দ হচ্ছে জাষ্ট সিজনিং সল্ট দিয়ে স্ট্রিম করাটা । তবে আপনার রেসিপি একদিন ট্রাই মারতে হবে।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নাশতারান এর ছবি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই রেসিপির প্রায়-অনুরূপ রেসিপিতে রান্না অ্যাস্‌পারাগাস খেয়েছি। মশলাতে কিঞ্চিত হেরফের ছিল, তবে বেশ মজার। আমার ধান্দা আছে একবার অ্যাস্‌পারাগাসকে আমাদের দেশী ডাঁটার মতো করে কুঁচোর চেয়ে একটু বড় চিংড়ী দিয়ে আলু সহযোগে ঝোল রান্না করে খাবার। তবে দেশে এখনো অ্যাস্‌পারাগাস সুলভ নয়। ক্যাপসিকাম বা স্ট্রবেরীর মতো অ্যাস্‌পারাগাসও গণহারে চাষ হওয়া শুরু হলে ট্রাই করবো।

রেসিপি দেবার আইডিয়া পছন্দ হয়েছে। ছবির আকার আরেকটু ছোট হলে ভালো হত। প্রয়োজনমতো যায়গায় স্টপওয়াচে সময়ের ছবি, মেজারিং কাপ বা স্পুনের ছবি এগুলো যোগ করা যেতো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

"আমাদের দেশী ডাঁটার মতো করে কুঁচোর চেয়ে একটু বড় চিংড়ী দিয়ে আলু সহযোগে ঝোল"
এটা করছি। যেহেতু এস্পারাগাস ও মাছ আলুর অনেক আগেই সেদ্ধ হয়, তাই আলু আগেই সেদ্ধ করে পরে ঝোলে এসেম্ব্লি করলে ফল ভাল পাওয়া যায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমিও এটাকে নিজে রান্না করলে এভাবেই মানে আলু, চিংড়ী দিয়ে দেশি স্টাইলে রান্না করি, কিন্তু আলুর আগেই সেদ্ধ হয়ে যায়। ব্যাপার না তাও চলে, ডাঁটার স্বাদ এসপারাগাস এ মিটে! হাসি

রংতুলি

আর্য এর ছবি

অ্যাস্‌পারাগাস সবচেয়ে ভালো লাগে বোধহয় শুধু লবন আর গোলমরিচ দিয়ে প্যান ফ্রাই করলে। অ্যাস্‌পারাগাসএর আসল স্বাদটা পাওয়া যায় তখন।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ভিনদেশে একবার খাইছিলাম এই জিনিস। প্রথম দেখায় দেশীয় একরকম সব্জীর কথা মনে পড়ে। যেটাকে 'তারা' বলে চট্টগ্রামে। আসল বাংলা নাম কইতে পারি না।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

Luncheon পড়ে মনে হয়েছিলো কি delicious একটা জিনিস!!!
খেয়ে তো ওয়াক। ইউরোপের ম্যানু রেখে বাঙালী স্টাইলে রান্না করেছিলাম একবার। মোটামুটি হয়েছে।

সিলেট অঞ্চলে একদম কচি বাঁশের চারা (স্হানীয় নাম খরিল) গরুর মাংস দিয়ে খাওয়া হয়। স্বাদটা মোটামুটি ঐরকমই (খরিল ১০০% সুস্বাদু হলে এইটা ১০%)।

--ফ্রুলিংক্স

দুর্দান্ত এর ছবি

ডিব্বার এসপারাগাস, ব্য়াম্বু শুট (কচি বাশের চারা), সেদ্ধডিম আর কাঁচা কাঠালের সোয়াদের তফাত বোঝা দুষ্কর। কিন্তু বলতে পারি যে এসপারাগাসের গন্ধ, সোয়াদ ও বুনট (টেক্সচার) এর বিচারে এসপারাগাস আর ব্য়াম্বু শুটের কোন মিল নেই। তবে এই রেসিপি কিন্তু তাজা (শীতকালীন) ব্য়াম্বু শুটেও চলবে, সাথে মুরগির গিলাকলিজা যোগ করলে সাটা আরো উপাদেয় হবে।

দুর্দান্ত এর ছবি

প্রতিবসন্তে/গ্রীষ্মে প্রচুর এস্পারাগাস খাই। সাদা, সবুজ, বুনো। শুরুটায় লবন-মরিচ দিয়ে সেদ্ধ, ভাপা, ভাজি, বারবিকিউ করে দেখেছি। ভাল লেগেছে। ভাবতাম মশলায় এস্পারাগাসে সোয়াদ মরবে, তাই মশলা দুরে রেখেছিলাম। তারপর এক উইগুর সহকর্মিকে দেখলাম আমার পরিবেশিত লবন-মরিচ দিয়ে সেদ্ধ এস্পারাগাসে চিলি অয়েল আর মাশরুমের সস ঢেলে খেতে। লক্ষকরলাম এতে এস্পারাগাসের সোয়াদ গন্ধ অটুট আছে, উপরন্তু মাশরুম সসের লেমনগ্রাস আর রসুনের গন্ধে সেই সোয়াদকে আরো তীব্রতর করেছে।

সেদিনই এই রেসিপির জন্ম।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বাহ্, দারুণ তো
একদিন রানতে হবে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

তারপর আমারে খবর দিয়েন।
খায়াদায়া সাট্টিফিকেট দিমু। হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

সেই কোন আমলে উইলিয়াম সমারসেট মঘোম হো হো হো আঁশ পোড়া গাছের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলো, তারপর এটার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। হঠাথ করে বিদেশে কোথাও একবার খেতে বসে সেই লেডির গল্প আর আঁশ পোড়া গাছের কথা মনে পড়লো। ব্যাংককে সাধারনত যে হোটেলে থাকি সেখানে তো রোজই লাঞ্চের ব্যুফেতে আঁশ পোড়া গাছের একটা স্যুপ থাকে। জব্বর স্বাদ এই জিনিসের কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশে পাওয়া যায়না আর গেলেও আমি দেখিনি। ছবি জব্বর তবে সাথে একটু রন্ধনপ্রণালী দিলে ভালো হতো।

আপনার লেখা পড়তে পড়তে বহুকাল পরে আজ প্রয়াত মোস্তাফিজ স্যারের কথা মনে পড়ে গেলো। স্যার কলেজে আমাদের ইংরেজী পড়াতেন। দ্যা লাঞ্চন পড়ানোর প্রথম দিনেই বলেছিলেন, "এই শোন, তোগে নিয়ে তো আমার মান ইজ্জত থাকেনা। এই দ্য লাঞ্চনের লেখকের নাম ক'লাম উইলিয়াম সমারসেট মম, মঘোম না ক'লাম।" মন খারাপ

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এই উচ্চারণটা সবাই বোধহয় প্রথমে এইরকমই কয়।
আমি কইসিলাম, মঘাম। খাইছে

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক জানি, কেউ কেউ কথা কম বলে। কেউ কেউ যে কম লেখে বা একেবারেই লেখেনা, এটা সেভাবে জানা ছিলোনা।

পথিক পরাণ এর ছবি

কোন এক অদ্ভুত কারণে আমার এখানে বেশ কিছু ছবি বড় হয়ে হয়ে একেবারে স্ক্রিনের বাইরে চলে গেলো!! অ্যাঁ
মনে হয় আমার ল্যাপিতে সমিস্যা--

তবে যেটুকু দেখলাম, তাতে পুরা লাঞ্ছনা ( চেখে না দেখতে পাবার কষ্টে)

কৌস্তুভ এর ছবি

ভালো স্টাইল।

অ্যাসপ্যারাগাস নেহাত কচি আর নরম না হলে কিন্তু মুখের মধ্যে গলে যায় না, ছিবড়ে ছিবড়ে লাগে।

দুর্দান্ত এর ছবি

কথা সত্য়। তবে এর থেকে বাচার উপায় শিখিয়েছিল নাইজেলা। একটা এসপ্য়ারাগাসের দুই মাথায় ধরে সেটাকে বাঁকাতে থাকুন, খুব কচি ডাঁটা পুরোই বেকে যাবে, ভাংবেও না মচকাবেও না। আর যেটায় কিছুটা ছিবড়ে গজিয়ে গেছে সে যাবে ভেংগে, এভাবে ভাংগা এসপারাগাসের মোটা/গোড়ার অংশ ফেলে দিন, তারপর বাকী গুলোর ছিলকা হালকা করে ছিলে নিন। যেটা মচকে যাবে, সটাকে ফেলে দিন, ওটা আর খাবার যোগ্য় নেই।

তানভীর এর ছবি

ট্যাগিং-এ লাঞ্ছন আর পোস্ট দেখে মনে হলো এত কাণ্ড কইরা লাঞ্চন খাওয়া সে এক লাঞ্ছনাই বটে! খাইছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।