শেখের টেক থেকে শনির আখড়া অথবা কামরাঙ্গির চর থেকে টঙ্গি ব্রিজ পর্যন্ত যে মানুষগুলি থাকে, রায়ের বাজার কাটাসুর লেন অথবা উত্তরা তিন নম্বর সেক্টর অথবা রামপুরা বনশ্রীর অলিতে গলিতে যে মানুষগুলি বসবাস করে আর প্রতি সকালে অফ হোয়াইট কালারের ফুলশার্ট দিয়ে চকলেট কালারের প্যান্টে কালো চামড়ার বেল্ট পরিপাটি করে গুঁজে দিয়ে বাটার স্যান্ডেল শু পরে সিমেন্টের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে অথবা বেক্সিফেব্রিক্সের ছাপা সালোয়ার কামিজ আর চাঁদনিচক থেকে কেনা জরজেট ওড়না মাথায় জড়িয়ে চারবছরের শিশুটার মাথার একপাশে ফুরফুরে চুল আঁচড়ে অতিব যত্ন সহকারে একটি সোজা সিঁথি ফুটিয়ে তোলে অথবা কড়কড়ে মাড় দেওয়া নীল রঙের ফিটফাট ইউনিফর্ম পরে শিদ্ধেশ্বরী স্কুলের সামনে রিক্সা থেকে নামে অথবা ফার্মগেটে লাইনে দাঁড়িয়ে মহাখালীর বাসের জন্য অপেক্ষা করে সেই ইমরুল কায়েস জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান জুহি আর শেখ সাদ্দামেরা জানেনা ওরা কারা
ওদেরকে কেউ আসল কথাটা খোলাসা করে বলেনি কারণ যাদের বলার কথা ছিল মানে ইমরুল কায়েসের বাবা অথবা ফারিয়া কবিরের দাদীজান অথবা সিমরানের বড় বোন আমরিন অথবা সাদ্দামের পাড়ার গার্জেন ওসমান সানি - ওরা নিজেরাও কথাটা ঠিকঠাক জানে কি জানেনা, সেটা হাতির-ঝিলের লেক বা খাল বা ডোবা অথবা সরকারি জমিতে জমে ওঠা অপরিকল্পিত সুয়ারেজের পানি মত মত ঘুলা ঘুলা
চৈত্রের উঠতি লিলুয়া বাতাস যখন মতিঝিলের শাপলা চক্কর থেকে ময়মসিংহ রোডকে এয়ারপোর্ট রোড বানিয়ে উত্তরমুখী বয়ে গিয়ে মহাখালী অথবা কামাল আতা-তুর্ক লেনের উঁচু উঁচু বিল্ডিংগুলিতে ধাক্কা খায় তখন আকাশের দিকে মোনাজাত তুলে ধরা ঐসব উঁচু উঁচু বিল্ডিঙগুলোর ভিতরে একরকম অদ্ভুত ঝিমঝিম নেশাধরা ব্যস্ততায় যখন ইমরুল কায়েস, শফিউল ইসলাম, মোন্তাজ হকেরা স্যামসুং স্ক্রিনে কপিরাইটের ফন্ট বা টেন্ডারের ডকুমেন্ট বা ইনভয়েস চালানের মুসক হিসাব মিলানোর ব্যার্থ চেষ্টায় মনোনিবেশ করে ঠিক সেই সময়ে কলাবাগান জোয়ার সাহারা শান্তিনগরের চাপ কমে আসা গ্যাসের চুলায় ফারিয়া কবির, শফি আরা স্নিগ্ধা, অথবা জান্নাতুল ফেরদৌসের ছুটা কাজের বেটি মোছাম্মত পাখি আক্তার ভাতের পানি গরম দেয় এবং ওসমান সানি অথবা সাদ্দাম ধড়াম করে ফ্ল্যাটের দরজা খুলে ঘরে ঢুকে চিল্লায় ঐ পাখি এক-গ্লাস ঠাণ্ডা পানি দে আর কারেন্টের অভাবে থেমে যাওয়া ফ্যানের গরমে বসে বসে সীমরান জুহির বড় বোন আমরিন কুহু তার হুয়াওয়ে স্মার্টফোনে হাতে সদ্য আঁকা লিজেন কালা মেহেন্দীর আলপনার ছবি তোলে ও তার আকাশী নীল হিজাবী চেহারার ছবিওয়ালা ফেসবুক পাতায় আপলোড করতে করতে জানালা দিয়ে বাইরে তাঁকিয়ে দেখে যে চৈত্রের এই উঠতি লিলুয়া বাতাসে জানালার বাইরের নারকেলের ঘণ সবুজ চিরি চিরি পাতা ও কান্ড অথবা ম্যাজেন্টা বাগানবিলাস অথবা উল্টোদিকের ফ্ল্যাটের সান-শেডে আটকে থাকা সাদা-বেগুনী গাহেল ঘুড়িটা খামাখাই দোলে আর ফড় ফড় শব্দ করে
মাগরিবের আজানের একটু পরে যখন ওয়াল্টনের মোটরসাইকেলের হ্যান্ডেল ঠেলে ফ্ল্যাট বাড়ীর আবছা অন্ধকার নিচতলায় ওঠাতে ওঠাতে অফ হোয়াইট কালারের ফুলশার্ট বাদামী কালারের প্যান্ট আর বাটার স্যান্ডেল পরা ইমরুল কায়েস একটা চকচকে মেরুন কালারের ব্র্যান্ড নিউ হেলমেটের দাম কিরকম হওয়া উচিত হিসাব করে তখন নতুন কেনা স্কিনি জিন্সের উপরে কাঁচ বসানো কাজ করা পুরাতন আড়ঙের কামিজ পরে ছোট আয়নায় মুখ দেখে ভুরু ও ঠোটের ওপর থেকে উটকো একাকী লোম চিমটা দিয়ে এক এক করে টেনে টেনে উঠায় জান্নাতুল ফেরদৌস আর পাখির হাতে ধরা মোবাইল ফোনে পাশের ফ্ল্যাটে থাকা মাকে জানায় মনে হয় 'ও' আসছে তখন সিগারেট শেষ হয়ে যাওয়ায় অথবা ওসমান সানির মিসকল পেয়ে অথবা খামাখাই মোড়ের দোকানের উদ্দেশ্যে হুট করে বেরিয়ে যায় সাদ্দাম কারণ চুলায় গ্যাস না থাকায় পাখি আক্তারের চা বানাতে দেরী হবে
রাত নিশি হলে ক্লোজ আপ তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ অথবা কেবল কোম্পানি থেকে ছাড়া টোয়াইলাইট সাগা শেষ হতে হতে রাত সাড়ে এগারোটার একটু পরে জান্নাতুল ফেরদৌস আর হাফপ্যান্ট পরা ইমরুল কায়েস লাইট নিভিয়ে শুয়ে পড়ে খেয়াল করে তাদের দুজনের শরীরের ভিতরে মুখগহ্বর থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত বিস্তৃত নয় অথবা দশ অথবা এগার গজ লম্বা নলাকার শ্বেত কৃ্মিযুগল একে অন্যের কত আপন কত সুপরিচিত এবং তাদের ফুসফুস, যকৃত, উদরের মেদ, করোটির মস্তিষ্ক, ধমনির রক্ত, পেশী, লসিকা, অস্থিমজ্জা, নিভিয়া ক্রিম মাখানো মসৃণ চামড়া আর প্যারাসুট পিওর নারিকেল তেল মাখা সুন্দর কালো চুল শুধু ঐ কৃমির স্বনিয়ন্ত্রিত প্রানীজ পরিবহন যন্ত্র অথবা স্বতন্ত্র নলাকার বুদ্ধিমান প্রাণীর বায়োমেকানিকাল স্য়ুট অথবা চারিপাশের ছালবাকল বা প্যাকেজিং অথবা সৌন্দর্য বর্ধক অথবা শুধু শুধুই কোন কাজের কিছুনা কারন অভিযোজনের অনেক আগে যখন সাগর-বক্ষের সাগরশশা থেকে কিলবিল হাতপাওয়ালা হাইড্রা অথবা কেঁচোর মত নলাকার প্রাণী হাজার হাজার বা মিলিয়ন মিলিয়ন দিন মাস বছর পার করে ক্রমে চার হাতপাওয়ালা হাড় মাংসের প্রাণীর ভেতর দিয়ে মানুষের আকারে রূপান্তরিত হচ্ছিল সেসময়েও জোড়ায় জোড়ায় বুদ্ধিমান ও সংবেদনশীল শ্বেত কৃমিরা নিজেদের মধ্যেকার রহস্যময় বন্ধন আবিষ্কার করে ও বুঝতে পারে ঐ আকর্ষণ বা বিকর্ষণ তাদের জীবিত পরিবহন অথবা তাদেরকে ঘিরে রাখা ফুসফুস, যকৃত, উদরের মেদ, করোটির মস্তিষ্ক, ধমনির রক্ত, পেশী, লসিকা, অস্থিমজ্জা, চামড়াও কেশরাজি ভেদ করে অনুভব করা যায়
যুগান্তরে বহিরাবরণ অথবা ঐ বায়োমেকানিকাল পরিবহণের আকার ও প্রকার পরিবর্তিত হলেও সাগরবক্ষের সাগরশশা, মাছ, সরীসৃপ, পশু আর মানুষের অন্তঃস্থিত ক্রিমির তফাত খুবই সামান্য থেকে যায় কারণ এসব ক্ষেত্রে পরিবর্তনের প্রয়োজন নগণ্য অথবা যেহেতু শুধুমাত্র খাদ্যগ্রহণ, শ্বসন ও বংশবৃদ্ধি মত সহজ ও পপুরোপুরি প্রত্যাশিত ও অনুমিত প্রক্রিয়ার জন্যে উপকরণ কেবলই কিছু নল ও তরল ও উত্তাপ ও পুষ্টি অথবা এর-চাইতেও কম সেহেতু হাজার হাজার বা মিলিয়ন মিলিয়ন দিন মাস বছর পরে যখন তার বড় বোনের বিয়েতে ইমরুল কায়েসের ইয়াশিকা ক্যামেরায় ফুজি ফিল্ম এর ৩৬টি ছবির ৩১ নম্বর অথবা ২৯ নম্বর অথবা ২৬ ও ২৫ নম্বর ফ্রেমে ঈষৎ ব্রণ ওঠা জান্নাতুল ফেরদৌসের ছবি তোলার সময়ে চোখাচোখিতে ইমরুল কায়েস ও জান্নাতুল ফেরদৌস উভয়ের দেহ-স্থিত কৃমি যুগল আন্দোলিত হয় এমন ভাবে যেন ওরা একে অন্যকে চিনতে পারে মহাসাগরের গভীরতার নোনা অন্ধকার একে অন্যের দেহনিঃসৃত পিচ্ছিল তরল খুঁজে পাওয়া একজোড়া সাগর-শসার মত
মাঝরাতে হঠাৎ মায়ের চিতকারে ঘুমভেঙ্গে ধড়ফর করে ঘুম থেকে উঠে গিয়ে মেঝেতে চোখ উলটে পড়ে থাকা জন্মদাতার নিশ্চুপ খিঁচুনি ও মুখব্যাদন ও পরবর্তী একমাস হাসপাতালের আই সি উইতে কোন এক ব্রিগেডিয়ার মামাত খালুর বা ফুপাতো দুলাভাইয়ের সুপারিশে অবধারিত অবশেষের অপেক্ষার এক কালবৈশাখী রাতের মধ্য়খানের অবাক নিস্তব্ধতার মাঝে আচমকা অপ্রস্তুত অনুধাবন যেখানে মস্তিষ্ক মৃত সেখানে বেঁচে আছে শুধু পরিপাকতন্ত্র আর তার চারপাশের অল্প কিছু কলকব্জার সমাবেশ যাকিনা কয়েক দশক ধরে পিতা, স্বামী ও কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর অথবা ওয়াপদা অথবা কারিতাসের ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিচয় নিয়ে শুক্রবার সকালে শান্তিনগর বাজারে কচুর লতি ও ঝিঙ্গা দামাদামি করেছে এবং ফি বছর অফিসের পিকনিক কমিটির সভাপতি হিসাবে নিজের পকেট থেকে কখনো এক হাজার কখনো দুই হাজার কষ্টার্জিত টাকা গচ্চা দিয়েছে কারন দেশী মুর্গীর রোস্ট ছাড়া তিনি খেতে পারতেন না
আষাঢ় মাসে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈত্যাকার জলপাই রং এর রেন্ডিকড়ই গাছগুলোর আনুভূমিক ডালপালায় কলাপাতার মত চওড়া পাতাওয়ালা রাস্না ও অন্যান্য পরজীবি গাছপালা লকলকিয়ে উঠছিল আর প্রচণ্ড বৃষ্টিতে একটাও রিক্সা না পাওয়ার কারনে অথবা ঐচ্ছিক রিক্সা না পাওয়ার ফলাফল হিসাবে ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে গোড়ালি ডোবা পানিতে হাঁটতে হাঁটতে কলাভবন ও লেকচার থিয়েটার ও আই বি এ বিল্ডিংগুলোর অন্ধকার করিডোর ও বারান্দা থেকে সিঁড়িঘরের অন্ধকার থেকে করিডোরে ইমরুল কায়েস ও জান্নাতুল ফেরদৌস একে অন্যের অধর চুম্বনের পিচ্ছিল ও উত্তপ্ত অভিজ্ঞতায় পুনরায় নিমজ্জিত হয় মহাকালের মহাসাগরে তবুও মতিঝিলের শাপলা চক্কর থেকে এয়ারপোর্ট রোড অথবা হাজারীবাগ টেনারিমোড় থেকে হাতির ঝিল পর্যন্ত ছুটে চলা বিকট গন্ধ-ওয়ালা ভেজা বাতাসের অকাল বানকুড়ালি কারোয়ান বাজার অথবা কাকরাইলের মোড়ে এ ধাক্কা খায়, আকাশের দিকে মোনাজাত তুলে ধরা ঐ উঁচু উঁচু বিল্ডিঙগুলোর ভিতরে তখন সকাল এগারোটার ডালপুরি ও ছোট সিরামিকের কাপে কড়া মিষ্টি চা খাবার সময় অথবা তখন ঐ চা, ডালপুরি ও কন্ডেনস্ড মিল্কের সম্মিলিত সম্মোহন অথবা মদোন্মতায় শফিউল ইসলাম, মোন্তাজ হকে ও কাজী সাইফুল ইসলামেরা রুল টানা খাতা অথবা সি আর টি স্ক্রিনে টু হুম ইট মে কন্সার্ন অথবা মহাত্মন অথবা কপিরাইটের ফন্ট বা টেন্ডারের ডকুমেন্ট বা ইন্ভয়্শসে মুসক ও চালানের হিসাব মিলায় সেদিন অথবা তার অনেকদিন পরের কোন সকালে অফ হোয়াইট কালারের ফুলশার্ট, নেভি ব্লু প্যান্ট ও কালো চামড়ার জুতা পরে সিমেন্টের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে ইমরুল কায়েস, অথবা হকার্স মার্কেট থেকে কেনা ম্যাক্সি আর চাঁদনিচক থেকে কেনা চিকেন কাপড়ের ওড়না মাথায় জড়িয়ে তিন বছরের শিশুটার মাথায় রবারব্যান্ড পেচিয়ে ছোট্ট একখানা ঝুটি বানায় জান্নাতুল ফেরদৌস
অথচ ইমরুল কায়েস বা জান্নাতুল ফেরদৌস, সিমরান জুহি আর শেখ সাদ্দামেরা জানেনা ওরা কারা, কারণ ওদেরকে কেউ আসল কথাটা খোলাসা করে বলেনি, কারণ যাদের বলার কথা-ছিল ওরা নিজেরাও নিজেদের অন্তর্গত বুদ্ধিমান নলাকার কৃমিটি ও সেটার মতিগতি ও অভিসন্ধির কথা ঠিকঠাক জানেনা
মন্তব্য
একটা অনুচ্ছেদ পড়তে পড়তে ভুলে যাচ্ছিলাম আগের অনুচ্ছেদে কী পড়েছি।
অথচ, বিশ্বাস করুন, পড়তে ভালো লাগছিল।
অনেকটা নদীর ঢেউয়ের মত, একটা আসলে আগেরটার কথা মনে থাকে না, কিন্তু প্রতিটাই মুগ্ধ করে!
এটাই মনে হয় জীবন, হয়ত।
শুভেচ্ছা
একেকটা বাক্যে একেকটা অনুচ্ছেদ। তা বেশ! নুতন বাক্য শুরুর আগে, আগের বাক্যে যতিচিহ্ন অনুপস্থিত। কেন? গোটাটা একটাই বোঝাতে? সমগ্র লেখাটা একটাই বাক্য? আচ্ছা! কেটে কেটে অনুচ্ছেদ তৈরী, অল্প যতি বোঝাতে? হুঁ! একেবারে শেষেও যতিহীন (মানে) ... চলছে ... চলবে ... কি সেটা? কি যেন এক শিরোনামে বলা আছে! সবটা মিলে তা হলে কি বোঝা গেল? প্রাগৈতিহাসিক আঁধার মাণিকের অতি আধুনিক দুর্দান্ত প্রসারণ! ওরে বাবা রে, কি সব বলতে লেগেছি আমি! সেলাই।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
দুর্দান্ত,
দুর্দান্ত দুর্দান্ত।
----ইমরান ওয়াহিদ
দুর্দান্ত হয়েছে
--রা শা--
অসাধারণ! এমন পরীক্ষা-নীরিক্ষা ভালো লাগে।
এক জায়গায় পাখি আক্তার 'পাখি আরা' হয়েছে আর এক জায়গায় কন্ডেন্সড মিল্ক 'কন্ডেস্ট মিল্ক' হয়েছে। তোমার ঐতিহাসিক ভাঙাচোরা কী-বোর্ডের কারণে কিছু বানান বিপর্যয় ঘটেছে। এছাড়া বাকি সব ঠিকঠাক।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্য়বাদ। পাখি আরা আর কন্ডেস্ট ঠিক করে দিলাম।
এই লেখাটা শুরুটা হয়েছিল "দুনিয়ার সকল মেরুদন্ডী প্রানীর শরীর আসলে একএকটি চৌকষ বায়োমেকানিকাল সুট, যাকে চালায় ভেতরের কৃমি যার নিজস্ব সচেতনতা আছে" এরকম কিছু একটা সম্বলিত কল্পকাহিনী। এরপর মাথায় আবোলতাবোল কি চাপলো, তাতে গিয়ে এই হাল হল।
আমার আসলে কোন দোষ নেই। এটা আমার ভেতরের কৃমি আমাকে দিয়ে করেছে।
আমরা আপনার 'কৃমি'র জন্য ঈর্ষান্বিত।
মেঘলা মানুষ, এক লহমা, ইমরান ওয়াহিদ ও রা-শা - ধন্য়বাদ।
বুঝেছি, আবারও অফিসে কাজের ফাকে লেখা। তা সে ল্যাপিটা কি এখনও বদলায়নি?
লেখা পড়ে সবটা বুঝেছি বলবনা। তবে বোঝবার আশায় পুরোটাই পড়ে ফেলেছি। আপনার মন্তব্য থেকে শেষমেষ যাহোক কিছুটা বুঝলাম।
লেখালেখি চলুক।
ভাল থাকুন। আনন্দে থাকুন।
দোষ আমার, যন্ত্র তো ঠিকই আছে। আমার বানান অসুবিধা সেই ক্লাস ওয়ান থেকে।
আপনি সাথে আছেন, ভাল লাগে, উতসাহ লাগে।
ধন্য়বাদ।
অনিদ্য়, দিফিও, প্রফেসর, সাফিনাজ ও শাব্দিক - ধন্য়বাদ।
গল্পফল্প লেখা ছেড়ে দিয়ে ভালো কাম করছি ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হাহাকার!
ভালো লাগলো লেখাটা।
--দিফিও
মাথা আউলা হয়ে গেলো -
দুর্দান্তের নামকরনের স্বার্থকতা প্রমাণিত!!! এরকম দুর্দান্ত পরীক্ষা নীরীক্ষা কালে ভদ্রে চোখে পড়ে।
____________________________
কি বুঝলাম, না বুঝলাম জানিনা তবে একটানে পড়ে ফেলেছি।
... এবং পড়তে বেশ ভালো লেগেছে ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
টেইক আ বো !!
পরীক্ষাটা খুব ভালো লেগেছে। আমার এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না, কাফকার একটা গল্পে সম্ভবত এরকম দাঁড়িকমাহীন ছিলো। আপনার ভাষাটাও দারুণ হয়েছে।
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
দুর্দান্ত, আপনি একটা মেসেজ হয়তো দিতে চেয়েছেন। সেটা আমার কাছে শ্রেণী বৈষম্য কে ইঙ্গিত করে মনে হয়েছে। তবে ভাই খুবই কঠিন লেগেছে। বুঝে উঠতে দুই তিন বার পড়তে হয়েছে। বাক্য হয়ে গেছে খুবই জটিল। হয়তবা আপনার থীমটাই এমন যে নাসিরুদ্দিনের তালা খোলার গল্পের মত। কথিত আছে নাসিরুদ্দিন হোজ্জার কবরের চার পাশের তিনপাশ খোলা। সামনের যে দিকে নাম ফলক দেয়া সেখানে বিশাল একটা দরজায় প্রায় কয়েক মণ ওজনের তালা ঝুলানো। পাশেই রাখা চাবি। তো কেউই সামনাসামনি চাবি খুলে সেই দরজা খুলে ভেতরে না ঢুকে পাশ দিয়ে দেখে। এবং স্বাভাবিকভাবেই সেখানে লেখা মানুষের সহয পথে ভালবাসা, শ্রদ্ধা দেখাতে চায়। কষ্ট করে কাউকে বুঝে নয়।
জানিনা ভাই, তালা খুলতে পারলাম কিনা
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুন জ্বালে, মহুয়ার বনে মাতাল হাওয়া খেলে।
এক মুঠো রোদ আকাশ ভরা তারা, ভিজে মাটিতে জলের নকশা করা,
মনকে শুধু পাগল করে ফেলে।
দুর্দান্ত...
কড়িকাঠুরে
কি যে বুঝলাম বলতে পারব না কিন্তু একবারে পড়ে ফেললাম
ইসরাত
বাপরে!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন