পড়লাম ভারতের পশ্চিমবঙ্গে লিচু খেয়ে ৭ শিশু প্রাণ হারিয়েছে। বলা হচ্ছে "লিচু খাওয়ার পরপর শিশুদের জ্বর হয় এবং তারা বমি করতে শুরু করে। চূড়ান্ত পর্যায়ে হঠাৎ তাদের শরীরে খিঁচুনি হয় এবং পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।" বলা হচ্ছে এটা নাকি লিচু সিন্ড্রোম নামে পরিচিত।
এর আগে লিচু থেকে অথবা পাকা লিচু আহরনের মরসুমের সাথে মস্তিস্কে প্রাদাহজনিত রোগের সমসাময়িকতা দেখা গেছে ভিয়েতনামে ও ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে। এ বিষয়ে আমেরিকার গণস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভিয়েতনামে গবেষণা করেছে। তবে তারা সরাসরি লিচুকে দোষারোপ না করে এই রোগ বিস্তারে বাদুড় ও মশাকে বাহক হিসাবে ভাবছে।
ভারতীয় কারেন্ট সায়েন্স জার্নালের এই কাগজেও এই রোগের সাথে বাদুড়ের সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তবে তারা অপুষ্টির সাথে লিচুর ও এর বীজের ভেতরের নানান রসায়নিক বস্তুর ক্রিয়া বিক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করেছেন।
বাংলাদেশেও লিচুর মওসুমে উত্তরবঙ্গে মাথার রোগে শিশুরা মরে। সেখানে মস্তিস্কে প্রাদাহের কারন হিসাবে কীটনাশকের ভূমিকা দেখার চেষ্টা করেছেন কিছু গবেষক।
রাজশাহী-মালদা এলাকায় এবার লিচুর ফলন বেশ ভাল হয়েছে। এমনিতেই আমাদের সীমানা চালুনির মত। তার ওপর যদি কোন কারনে সীমানার ওদিকে বেচাবিক্রী কমে যায়, তাহলে ঐ লিচু কোনদিকে যাবে, সেটা জানতে গবেষনা লাগেনা।
আসুন এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি ও এই রোগটি সম্ভন্ধে নিজেরা সচেতন হই ও অন্য়দের সচেতন করি।
মন্তব্য
ধন্যবাদ, এবং সচেতন করার উদ্দেশ্যকে সাধুবাদ।
ফল খাওয়ার ঝুঁকি দিনদিন বেড়েই চলেছে ।
-আরাফ করিম
খুবই চাঞ্চল্যকর ব্যাপার! আমাদেরকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে| -মোঃ জাকির হোসেন
কীটনাশকের প্রতিক্রিয়া নাকি নিপাহ্ ভাইরাস?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ঠিক কোন জীবাণু বা রসায়নিক বস্তু শিশুদের ঐ রোগের কারণ, সেটা এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এর জন্য় নিপাহ ভাইরাস, চন্ডিপুরা ভাইরাস বা কীটনাশক এগুলোকে ক্য়ান্ডিন্ডেড ধরা হচ্ছে। মোট কথা এটা নিয়ে আরো গবেষণা প্রয়োজন।
নতুন মন্তব্য করুন