নাহহ্, সচলের কাউকেই আমি মামা বলে ডাকি না, বরং ভাই বলেই ডাকি। কিন্তু যে আবদারটা করবো বলে ভাবছি সেটা আসলে এক অর্থে মামা বাড়িরই আবদার।
পড়ছিলাম প্রথম আলোতে আনিসুল হকের কলাম। বেশ চমৎকার লেখা পাঠ্যপুস্তকের বেহাল দশা নিয়ে। সেই লেখার এক পর্যায়ে তিনি রবীন্দ্রনাথের কবিতায় 'পয়ার' , 'ছন্দ' ইত্যাদি নাম ধরে টানাটানি শুরু করলেন।
এ শব্দগুলির সাথে পরিচিত অনেক আগের থেকেই। কিন্তু এগুলো কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই তেমন জানি না। কয়েকবার জানার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু যে বইগুলি পেয়েছিলাম তাদের ভাষা এমন "প্রস্তরসম" যে ইচ্ছার গাড়ী আর বেশি দূর এগুতে পারেনি।
হঠাৎ করেই মনে হল, সচলে তো অনেক কবি আছেন , আছেন অনেক সাহিত্য সমঝদার এবং বিশারদ। তাদের কেউ কি আমার ( এবং আমার মত মূর্খ অর্বাচীন পাঠক যদি কেউ থেকে থাকেন ) এই অন্ধত্ব ঘোচানোর জন্য কলম ( পড়ুন কী-বোর্ড ) হাতে তুলে নিবেন না ? লেখবেন না একটা সহজবোধ্য লেখা ছন্দ, পয়ার এবং কবিতার আরো যত প্যাঁচ আছে তাদের বিষয়ে ?
প্রশ্ন রইলো সকল সচল বিবেকের কাছে।
মন্তব্য
কবিদের মতামত জানার অপেখায়।।।
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।
ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।
হুম...জানতে চাই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
বিপ্রতীপ ব্লগ | ফেসবুক | আমাদের প্রযুক্তি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
আমিও
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
সাধারণত কবিতা থেকে একমাইল দুরে থাকি। বুঝিনা দেখেই।
আমাদের দাবী — "পয়ার," "ছন্দ" ইত্যাদির অর্থ, উৎপত্তি, বুৎপত্তি জানতে চাই। বুঝতে চাই। কবিতা কিভাবে বুঝতে হবে শিখতে চাই।
কি মাঝি? ডরাইলা?
শেখ জলিল ভাই না আসা পর্যন্ত পোস্ট থাকুক।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
কবিতার কোন চিপায় কি আছে বুঝতে চাওয়া আজ জনতার প্রাণের দাবীতে পরিনত হয়েছে
------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
গোলাগুলি করস কেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল কর
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বোঝ তাহলে!
সবজান্তাও কিছু জানতে চাইছে!
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
কনফুসিয়াসের মন্তব্যে (বিপ্লব)
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
আমি লীলেনদা রে এই সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টায় বিপ্লবী আমন্ত্রণ জানাই, সে দুইদিন ধইরা সচল এ ঘাপটি মাইরা বইসা আছে, কিছু লেখেও না, কমেন্ট ও করে না
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
লীলেন ভাই বাম প্যানেলে ঘাপটি মেরে বসে আছেন। যেহেতু বাম প্যানেলে আছেন তাই উনাকেই আমন্ত্রন জানাচ্ছি বিপ্লবের ( মানে প্রশ্নের উত্তর ) সূচনা করার।
----------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
পয়ার কোনো ছন্দ না
সনেটের মতো এটাও কবিতার এক ধরনের বিন্যাস
যার একেকটা লাইন হয় ১৪ মাত্রার এবং ভাগটা থাকে ৮+ ৬
এবং ছন্দটা হয় অক্ষরবৃত্ত
মহাপয়ার নামে আরেক ধরনের বিন্যাস আছে
যার ভাগগুলো হয় ৮+৮+৬=২২ মাত্রা
০২
সবগুলো ছন্দের মাত্রা গণনা হয় সিলেবলকে কেন্দ্র করে
বাংলা তিনটা ছন্দেই (অক্ষরবৃত্ত- মাত্রাবৃত্ত এবং স্বরবৃত্ত) ওপেন সিলেবলকে ধরা হয় ১ মাত্রা
আর ক্লোজড সিলেবল স্বরবৃত্তে ১ মাত্রা
মাত্রাবৃত্তে শব্দের প্রথম এবং মাঝখানে থাকলে ১ মাত্রা কিন্তু শেষে থাকলে ২ মাত্রা
আর অক্ষরবৃত্তে সব ক্ষেত্রেই ২ মাত্রা
এই হলো একেবারে বেসিক হিসেব
(মাত্র দুয়েকটা ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হয়)
গতির দিক থেকে স্বরবৃত্ত সবচেয়ে গতিশীল। মাত্রাবৃত্ত একটু কত গতিশীল আর অক্ষরবৃত্ত ধীর গতির ছন্দ
বাংলায় সাধারণ ছড়াগুলো স্বরবৃত্তে এবং রবীন্দ্র জীবনানন্দ শামসুর রাহমান আল মাহমুদ সহ বাংলা সাহিত্যের বেশিরভাগ উত্তীর্ণ কবিতাই অক্ষরবৃত্তে লেখা
বন্ধন
বন + ধন
স্বরবৃত্ত ২ মাত্রা
মাত্রাবৃত্ত = ৩ মাত্রা (বন=১+ ধন= ২)
অক্ষরবৃত্ত = ৪ মাত্রা
০৩
এই বিষয়ে কোনো আঁতেলের সাতে আলাপ করলে লাইফ কেরোসিন হয়ে যাবে
আমার গেছে দেড় দুই বছর সময়
সবচেয়ে সহজ হলো নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতার ক্লাস
এবং শাহজাহান ঠাকুরের বাংলা ছন্দের রীতি রূপ ও বিকাশ (বাংলা একাডেমি)
বইদুটো পড়ে ফেলা
খুবই সহজ বই
সতর্কীকরণ:কোনোভাবেই প্রবোধচন্দ্র সেন এর বই পড়া যাবে না। কারণ নিজের বইকে তিনি নিজেই বলেছে ছন্দ পণ্ডুশ্রমা
বাংলা তিনটা ছন্দের নামও প্রবোধচন্দ্র সেনের দেয়া। যদিও পরে তিনি তা বাতিল করেছেন। কিন্তু কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়নি
বন্ধন
বন + ধন
স্বরবৃত্ত ২ মাত্রা
মাত্রাবৃত্ত = ৩ মাত্রা (বন=১+ ধন= ২)
অক্ষরবৃত্ত = ৪ মাত্রা
লীলেন ভাই,
আগেই মাফ চাই। কবিতার ক্লাসে যতটুকু পড়ে বুঝেছিলাম তাতে -
বন্ধন, স্বরবৃত্ত = ২ মাত্রা, মাত্রাবৃত্ত = ৪ মাত্রা আর অক্ষরবৃত্ত = ৩ মাত্রা হওয়া উচিত। গুরু যদি আর একবার একটু কনফার্ম করেন।
সৈয়দ আখতারুজ্জামান
@ আখতারুজ্জামান
আপনার কথাই ঠিক
আমি কিছু আউলা অবস্থায় আছি যার জন্য গুলিয়ে ফেলেছি
বন্ধন
স্বরবৃত্ত = ২ মাত্রা
মাত্রাবৃত্ত = ৪ মাত্রা
অক্ষরবৃত্ত = ৩ মাত্রা হবে
আমি মাত্রাবৃত্তের বৈশিষ্ট্য অক্ষরবৃত্তে এবং অক্ষরবৃত্তের বৈশিষ্ট্য মাত্রাবৃত্তে ঢুকিযে ফেলেছি
ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য
১) জাঝা
২) (বিপ্লব)
৩)
৪) ... ...
----------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
শেখ জলিল ভাই বা লীলেন ভাই যেহেতু কোনও রা করতেছে না... সেই হেতু আমি এইখানে একটু অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করি কথা বলি...
কবিতার ছন্দ পয়ার এইসব বিষয়ে বাংলা ভাষায় সবচেয়ে ভালো পুস্তক সম্ভবত নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতার ক্লাস। এইটা পড়লে ছন্দ পয়ার বেবাকই পানির লাহান ফকফকা... তাই বইলা ভাবার কোনও কারন নাই যে বইটা অনেক গুরুগম্ভীর কোনও পুস্তক... গদ্য হিসাবেও বইখানা অতিব চমত্কার... পইড়া দেখতে পারেন।
আর কবিতা বোঝনের জন্যও তিনি একখান বহি নাজেল করছেন... সেইটার নাম কবিতার কি ও কেন। এইটাও পড়তে পারেন।
জলিল ভাই আর লীলেন ভাই গুস্তাকী মাফ কইরেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার মাত্র এইটা চোখে পড়লো... আমিও নীরেন্দ্রনাথের বইটার কথাই বলতে যাচ্ছিলাম... আমাদের মান্নান সৈয়দের বইটাও খারাপ না...
ছোট মুখে বড় কথা বলতে যাচ্ছি..... সচল এবং অচল সব ভাইয়েরা আমারে মাফ কইরেন।
অনেক আগে নিরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী'র "কবিতার ক্লাস" নামে একখানা বই পড়েছিলাম... সেখানে খুব সহজে ছন্দ, পয়ার, অন্ত্যমিল, পর্ব, অতিপর্ব এবং সহজে এগুলো কব্জা করার কৌশল বলা আছে। সবজান্তা ভাই, আপনি কোথায় আছেন জানি না, এই বইটি আজিজ সুপার মার্কেটে পাওয়া যাওয়ার কথা। আপনি চাইলে বইটা জোগাড় করে আপনাকে পাঠাতে পারি (যদি পাই..) অথবা আমার এক বন্ধুর কাছে আছে.... তার কাছ থেকে ফটোকপি করে পাঠাতে পারি......অথবা অধ্যয় টু অধ্যয় টাইপ করে করে সচলায়তনে ছাড়তে পারি... (এ ক্ষেত্রে প্রকাশের গ্যারান্টি অবশ্য সচলায়তনের হাতে..... আমি যে এখনো অচল...... তার উপর বাংলা টাইপ নতুন শিখেছি..... এতটুকু টাইপ করতে এই ১৫ মিনিট লেগে গেলো)।
এখন কি করবো বলেন? জলিল ভাই বা লীলেন ভাই যদি আগাইয়া না আসে, তাহলে এর থেকে ভালো পথ আর জানা নাই..... অন্যান্য যারা জানতে চেয়েছেন তাদের কপালে কি আছে আল্লাই জানে...
সৈয়দ আখতারুজ্জামান
সৈয়দ ভাই, আপনি বইটার সারবক্তব্য তুলে ধরতে পারেন একটা সিরিজে। আমার মনে হয় আমরা সবাই তাতে উপকৃত হবো, আপনারও বাংলা টাইপিং স্পিড উপর্যুপরি বাড়বে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
সরি, লীলেন ভাই আগেই জবাব দিয়ে দিয়েছেন।
সৈয়দ আখতারুজ্জামান
লীলেন ভাই যেটুক লিখলেন.. একটা ছড়া পত্রিকায় ছন্দ বিষয়ক প্রায় ওরকম দৈর্ঘের একটা লেখা পড়ে এখনও পর্যন্ত ছড়া লিখছি । আমি বলছিনা অনেক বেশী জানার প্রয়োজন নেই, শুধু সতর্ক থাকতে হবে জানতে গিয়ে যাতে বিভ্রান্তি না বাড়ে, যেমনটা লীলেন ভাই বললেন..
পরীক্ষা পাশের ব্যাপার যেহেতু এখানে নাই-
এই সহায়ক গ্রন্থগুলোর সাথে সত্যেন্দ্রনাথ,রবীন্দ্রনাথ,মদুসুধন,জীবনানন্দ,রাহমান,মাহমুদ থেকে শুরু করে হালের টোকন ঠাকুর,বদরে মুনির,মাহবুব লীলেন,জফির সেতু পড়লে ছন্দের ব্যাপারটা ক্লিয়ার হবে আশা করি ।
তবে আমার মতে কবিতা বোঝার চেয়ে অনুভবের বিষয় বেশী। এবং এটা শেখানোর জন্য কোন গ্রন্থ সম্ভবত আজো লেখা হয়নি।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
সবার মন্তব্যে অনেক কিছু জানলাম।
----------------------------------------------------
মূর্ছনা কেটে গেছে সুর
জোছনা ছড়ায় বেদনা, হৃদয় আনমনা ... চির চেনা তুমি অচেনা।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
কি তাম্শা !
লেখাটা লেইখা ঘুমাইতে গ্যালাম, আর ঘুমের থিকা উইঠাই দেখি উত্তরে গিজ্গিজ্ করতেছে।
------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
অফটপিক প্রশ্ন: এই পোষ্টের ক্যাটাগরি 'বিবেকের কাছে প্রশ্ন
' কেন?
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
ইয়ে কারণটা নেহায়েৎই বাঁদরামি ছাড়া আর কিছুই না। একদম শেষে লিখেছি,
এটার রেশ ধরেই ক্যাটেগরী সেট করেছিলাম, যদিও তাড়াহুড়ো করে সচল বিবেকের কাছে প্রশ্নের বদলে শুধু বিবেকের কাছে প্রশ্ন হয়ে গিয়েছে। সেটা পরিবর্তন করে দিচ্ছি।
ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
----------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
কবিতার প্রাথমিক ছন্দ/ শেখ জলিল
প্রথমেই বলতে হয় আমি ছন্দ বিশারদ নই কিংবা বাংলার ছাত্রও ছিলাম না। কবিতা লিখতে গিয়ে যতটুকু শিখেছি, তার বেশি জানি না। হাতের কাছে তেমন বইও নেই যা পড়েছিলাম আগে। সেই যে মাহবুবুল আলম-এর বাংলা ছন্দের রূপরেখা, ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের-এর আধুনিক কবিতার ছন্দ কিংবা কবি আব্দুল কাদির-এর ছন্দ সমীক্ষণ কোনো বই-ই নেই এখন আমার কাছে। তাই ভুল হলে প্রথমেই ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
কবিতার প্রাথমিক ছন্দ মূলত তিনটি- স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত এবং অক্ষরবৃত্ত। আবহমানকাল ধরে এই তিন ছন্দেই ছড়া, কবিতা, গান বা গীতিনাট্য লেখা হয়ে আসছে। ছন্দ বুঝতে হলে সিলেবল বা ধ্বনির সাথে আগে পরিচিত হওয়া প্রয়োজন।
বাংলা ধ্বনিকে মোটা ভাবে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় ।
১. একক ধ্বনি :
যে ধ্বনিতে শুধু একটি মাত্র একক স্বরধ্বনি থাকে । ব্যঞ্জনধ্বনি থাকতে পারে তবে তা শেষে থাকে না । স্বরান্তধ্বনি নানাবিধ হতে পারে :
১.১ যেকোনোএকক স্বরবর্ণ। যেমন: অ , আ , ই , ঈ , উ , ঊ , ও , এ
১.২ ব্যঞ্জনবর্ণ + একক স্বরবণ ।
যেমন: থ (থ্ + অ) , চ (চ্ +অ) , কি (ক্ + ই) , কে (ক্ + এ) , ছি (ছ্ + ই) , সু (স্ + উ) ,
১.২ ব্যঞ্জনবর্ণ + ব্যঞ্জনবর্ণ + একক স্বরবণ ।
যেমন : ক্ষ (ক্ + ষ্ + অ ) , হ্মী(হ্ + ম্ + , ব্লু (ব্ + ল্ + উ , প্রী (প্ + র্ + ঈ)
১.৪ ব্যঞ্জনবর্ণ + ব্যঞ্জনবর্ণ + ব্যঞ্জনবর্ণ + একক স্বরবর্ণ । যেমন: স্ক্রু (স্ + ক্ + র্ + উ) , ন্দ্র (ন্ + দ্ + র্ + অ)
২. যুগ্মধ্বনি :
যে ধ্বনিতে যুগ্ম স্বর এককভাবে বা ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় থাকে । যুগ্মধ্বনিও নানারকমের হতে পারে ।
২.১ যুগ্ম স্বরধ্বনি । যেমন : ঔ (ও + উ) , ঐ (ও + ই)
২.২ ব্যঞ্জনবর্ণ + যুগ্ম স্বরধ্বনি । যেমন : বৌ (ব্ + ও + উ) , সৈ (স্ + ও + ই)
২.৩ ব্যঞ্জনবর্ণ + ব্যঞ্জনবর্ণ + যুগ্ম স্বরধ্বনি । প্রৌ (প্ + র্ + ও + উ )
৩. হসন্তধ্বনি : যে ধ্বনির শেষে হল চিহ্ন বা হসন্ত চিহ্ন থাকে । এই ধ্বনি উচ্চারনগতভাবে দীর্ঘও গঠনগতভাবে জটিল হয় । একক স্বরধ্বনি , যুগ্ম স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি - সবকিছুই থাকতে পারে । তবে শর্ত একটাই , শেষে হসন্ত( ্ ) ধ্বনি থাকতে হবে ।
যেমন: কাক (ক্ + আ + ক্) , টাক (ট্ + আ + ক্ ), প্রাক্ (প্ + র্ + আ + ক্ ), ক্রৌন্ (ক্ + র্ + ও + উ + ন্ ), স্ত্রৈন্ (স্ + ত্ + র্ + ও + ই + ন্ )
স্বরবৃত্ত : একক , যুগ্ম ও হসন্ত এই তিনটি ধ্বনিই এক (১) মাত্রা ।
মাত্রাবৃত্ত : একক ধ্বনি এক (১) মাত্রা । যুগ্ম ও হসন্ত ধ্বনি সবসময়েই দুই (২) মাত্রা ।
অক্ষরবৃত্ত : একক ধ্বনি সবসময়েই এক (১) মাত্রা । যুগ্ম ও হসন্ত ধ্বনি শব্দের শুরুতে বা মধ্যে বসলে এক (১) মাত্রা আর শব্দের শেষে বসলে দুই (২) মাত্রা ।
স্বরবৃত্ত বা লৌকিক ছন্দ এসেছে মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি থেকে। এই ছন্দ নাকি মানুষের ভেতর আপনাআপনি খেলে। তাইতো খনার বচন, আদি ছড়া এই ছন্দে সমৃদ্ধ। শ্বাসাঘাত বা একবারে উচ্চারিত অংশই এর একক মাত্রা। একটি ছড়ার লাইন দিয়ে একে বোঝানো যেতে পারে-
আয় ছেলেরা/ আয় মেয়েরা/ ফুল তুলিতে/ যাই
১+৩/১+৩/১+৩/১
ফুলের মালা/ গলায় দিয়ে/ মামার বাড়ি/ যাই
২+২/২+২/২+২/১
এখানে শ্বাসাঘাত বা একবারে যাতোটুকু উচ্চারিত হয়েছে তাতোটুকুকে একমাত্রা ধরা হয়েছে। অর্থাৎ মাত্রাবিন্যাস দাঁড়িয়েছে এমন-
৪/৪/৪/১
৪/৪/৪/১
অথবা আর একটি ছড়া-
ঐ দেখা যায় তাল গাছ
১+২+১/১+২ (ব্যতিক্রম-এখানে গাছ-কে ২ মাত্রা ধরা হয়েছে)
ঐ আমাদের গাঁ
১+৩/১
ঐ খানেতে বাস করে
১+৩/১+২
কানা বগীর ছা
২+২/১
অর্থাৎ মাত্রাবিন্যাস দাঁড়িয়েছে এমন-
৪/৩, ৪/১, ৪/৩, ৪/১......এভাবেই চলে আসছে কবিতায় স্বরবৃত্ত ছন্দের খেলা।
এবার আসি মাত্রাবৃত্ত ছন্দের কথায়। মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা কবিতাগুলো একটু টেনে টেনে পড়লেই ছন্দটা কানে বাজে বেশি। যারা গান করেন তাদের বুঝতে সুবিধা হবে- স্বরবৃত্ত যদি চলে কাহারবা বা ঝুমুর তালে তবে মাত্রাবৃত্ত চলবে দাদরা বা তেওড়া তালে। বেশ আগে থেকেই কবিরা এ ছন্দে কবিতা লিখে আসছেন। আধুনিক অনেক ছড়াকাররাও এ ছন্দ নিয়ে বেশ খেলছেন।
সন্ধি বিচ্ছেদে যেমন শব্দকে ভাঙতে হয়, তেমনি এ ছন্দেও শব্দকে ভেঙ্গে মাত্রার একক নির্ণয় করতে হয়। যারা স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনি বোঝেন তাদের জন্য এ ছন্দ বুঝতে সুবিধা হবে। যেমন- সন্ধান=সন্+ধান=২+২=৪ মাত্রা, অভিধান=অ+ভি+ধান=১+১+২=৪ মাত্রা বা মৃত্যু=মৃত্+তু=২+১=৩ মাত্রা, শৈত্য=শৈত্+ত=২+১=৩ মাত্রা অথবা ল=লক্+খ=২+১=৩ মাত্রা,
আব= আ+বক্+খ=১+২+১=৪ মাত্রা বা কবিতা=ক+বি+তা=১+১+১=৩ মাত্রা, সুচরিতা=সু+চ+রি+তা=১+১+১+১=৪ মাত্রা। অর্থাৎ সংযুক্ত বর্ণের সংযোগ অংশের একবারে উচ্চারিত অংশ বা ধ্বনিকে সব সময় ২ মাত্রা ধরা হয়। যেমন একটি কবিতায়-
এইখানে-- তোর/ দাদীর --কবর
২+১+১--২/ ১+২--১+২=৬+৬
ডালিম --গাছের/ তলে
১+২--১+২/ ১+১=৬+২
তিরিশ বছর/ ভিজায়ে-- রেখেছি
১+২--১+২/ ১+১+১--১+১+১=৬+৬
দুই --নয়নের/ জলে
২--১+১+২/ ১+১=৬+২
অর্থাৎ মাত্রাবিন্যাসটা এ রকম--৬+৬, ৬+২, ৬+৬, ৬+২।
অথবা আর একটি কবিতায়-
আমাদের/ ছোট নদী/ চলে বাঁকে/ বাঁকে
১+১+২/১+১--১+১/১+১--১+১/১+১=৪+৪+৪+২
বৈশাখ/ মাসে তার/ হাঁটু জল/ থাকে
২+২/১+১--২/১+১--২/১+১=৪+৪+৪+২
অর্থাৎ মাত্রাবিন্যাসটা এ রকম--৪+৪+৪+২, ৪+৪+৪+২।
ছন্দের যাদুকর নামে খ্যাত কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কেমন করে স্বরবৃত্ত ও মাত্রাবৃত্ত নিয়ে খেলেছেন, এমনকি একই কবিতায় দুই ছন্দের ব্যবহারও করেছেন- সে গল্প পরের লেখায় বলার ইচ্ছে রইলো।
আমাদের তৃতীয় প্রাথমিক ছন্দ হলো অক্ষরবৃত্ত। এই অক্ষরবৃত্ত ছন্দ নিয়ে আধুনিক কবিরা সবচেয়ে বেশি খেলায় মেতেছেন আজকাল। পয়ার থেকে চতুর্দশপদী, অমিত্রাক্ষর, মুক্তক, গদ্যছন্দ কতভাবেই না এই ছন্দ ভাঙছেন তাঁরা কবিতায়- তার ইয়ত্তা নেই। তবে বোঝার দিক দিয়ে এই ছন্দ সবচেয়ে সোজা। শুধুমাত্র অক্ষর গুণে গুণে এই ছন্দের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। একক অক্ষর বা সংযুক্ত অক্ষরকে ১ মাত্রা ধরা হয়। তবে কখনো কখনো সংযুক্ত অক্ষরকে ২ মাত্রাও ধরা হয়। সেটা নির্ভর করবে কবির লেখার বানান-রীতির উপর। আরও একটি সহজ নিয়ম হলো হসন্ত বর্ণ স্বরবৃত্তে ১ মাত্রা, মাত্রাবৃত্তে ২ মাত্রা, অক্ষরবৃত্তে শব্দের প্রথমে বা মাঝখানে ১ মাত্রা কিন্তু শেষে ২ মাত্রা হবে। এবার আসা যাক ছন্দ বিশ্লেষণে। পয়ার চর্চার যুগে পুঁথি সাহিত্যের একটি কবিতায়-
১.
লাখে লাখে সৈন্য মরে/ কাতারে কাতার
২+২+২+২/ ৩+৩
শুমার করিয়া দেখে/ চল্লিশ হাজার
৩+৩+২/ ৩+৩ অথবা
২.
ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ/ হাঁটিয়া চলিল
৩+৩+২/ ৩+৩
কিছুদূর গিয়া মর্দ/ রওনা হইল
৪+২+২/ ৩+৩
অর্থাৎ ছন্দবিন্যাসটা এ রকম-
প্রথমটির ৮/৬, ৮/৬ এবং দ্বিতীয়টিরও ৮/৬, ৮/৬
কিংবা মুক্তক ছন্দে রচিত জীবনানন্দ দাশের একটি কবিতায়-
অর্থ নয়, কীর্তি নয়,/ সচছ্লতা নয়-
২+২+২+২/ ৪+২
আরো / এক বিপন্ন বিস্ময়
২/ ২+৩+৩
আমাদের অন্তর্গত / রক্তের ভিতরে
৪+৪/ ৩+৩
খেলা করে
২+২
অর্থাৎ ছন্দবিন্যাসটা এ রকম- ৮/৬, ২/৮, ৮/৬, ৪
বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে কবিতাগুলোতো একটা অষ্টক রীতি বা ৮ মাত্রা মিলানোর প্রচেষ্টা রয়েছে সর্বদা। এটাই হলো পয়ারের রীতি। আর হ্যাঁ, যেখানে ৮ মাত্রা মেলেনি সেখানে কিন্তু জোড় মাত্রা মেলাতে হবে, বিজোড় নয় কখনো। এটাই হলো অক্ষরবৃত্তের প্রাথমিক নিয়ম।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
১) জাঝা
২) (বিপ্লব)
৩)
৪) ... ...
-----------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
লীলেনদা আর জলিল ভাইরে লাল সেলাম
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
লীলেন ভাই আর জলিল ভাই অনেক অনেক কষ্ট করেছেন। তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।আমার ব্যাক্তিগত ভাবে মনেহয়, কবিতা লেখা আসলেই শেখানো যায়না কাউকে।কবিতা এসব নিয়ম-কানুন মানেনা বরং এরাই কবিতাকে অনুসরণ করে থাকে। আর রশীদ ভাইয়ার সাথে আমিও গলা মিলিয়ে বলতে চাই কবিতার ব্যাপারে অনুভূতিটাই মুখ্য।
~~~~টক্স~~~~
বসেরা সব হাজির হইসে।
স্যালুট।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
বেশ আগে অন্য ব্লগে কবি শেখ জলিলের সাথে আড্ডার ঢংয়ে কবিতা ও ছন্দ বিষয়ক আলাপচারীতা হয়েছিল ।
আগ্রহীরা দেখে নিতে পারেন । লিংক দিলামঃ
কবিতা ও ছন্দ বিষয়ক আলাপচারীতা
----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
অসাধারণ একটা লেখা। শনিবার পরীক্ষা। পরীক্ষা দিয়ে এসে গুছিয়ে পড়বো। আপাতত বুকমার্ক করে রাখলাম।
ধন্যবাদ কবি হাসান মোর্শেদ।
------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
নিয়তির নির্মম পরিহাস!!!
----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এক্সট্রিমলি সরি বস !
আপনার নামের বানানটা টাইপ করার সময় ভুলে রেফ দিয়ে লিখে ফেলছি, কিন্তু এখন দেখছি এডিট করা যাচ্ছে না। কেন ? প্রতিমন্তব্যে এডিটের অপশন নেই ?
যদি এ কারণে নিয়তির পরিহাস বলে থাকেন, আমি অত্যন্ত লজ্জিত এবং দুঃখিত। আর যদি কবি শব্দটার জন্য বলে থাকেন, তাইলে খেলবো না
-------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
নিয়তির নির্মম পরিহাস।
জবাব দিয়ে ফেললে এডিট করা যায় না।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
সৌরভের মন্তব্যে
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
সবই কপাল
---------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমি এগুলি বুঝি না
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
অ্যাঁ
----------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ষ্ণ!
সুমন ভাই বুঝি মশকরা করেন?
আহা...
ছন্দ বিষয়ে পড়াশোনা করিনি কস্মিনকালেও! দু'পয়সা যে দেবো - সে অবস্থাও নেই। একবারেই কপর্দকহীন!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আমার যেইটা মনে হয়, ছন্দ সম্পর্কে জানাটা খারাপ না। তাতে অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণের ক্ষেত্র বড় হয়। সমস্যা হইল, কবিতা হইতেছে শতভাগ সৃজনশীল কলা। সুতরাং কবি যদি সেইখানে t-তম মুহুর্ত পর্যন্ত ব্যবচ্ছেদকৃত অভিজ্ঞতার খাঁচায় আটকা পড়ে তাইলে তার হাত দিয়া যেইটা বাইর হইবো সেইটা নানান ঝামেলা কইরা কবিতার কাছাকাছি যাইতে পারে। ছন্দ নিয়া পড়াশোনা বিষয়ে কবির সিদ্ধান্ত হইতে পারে খেলতে খেলতে পড়ার মতো, যেইটা তার মাথায় ক্যারা উঠামাত্র খাতায় লেইখা ফালানো আটকাইতে না পারে। এই বিষয়ে সবচাইতে শক্তিশালী দার্শনিক সমর্থন পাইবেন রবিবুড়ার কাছে।
ছন্দ নিয়া প্রথম পড়ছিলাম নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতার ক্লাস। পরে কবিতার কি ও কেন। তারপর প্রাতিষ্ঠাণিক সন্ত্রাসীদের পাল্লায় পইড়া হাতে নিলাম প্রবোধচন্দ্র সেনের নূতন ছন্দ পরিক্রমা। কোনভাবেই দেখি আগের দুইলাইন না ভুইলা তৃতীয় লাইন পড়তারি না। সে বড়ো সুখের সময় নয় সে বড়ো আনন্দের সময় নয়। সব শেষে হাতে পাইলাম ঠাকুর। ভাবছিলাম সেও একটা না একটা পেজগী লাগাইবো। উল্টা হইল। তিনি বললেন ছন্দ থিকা কবিতা না, "নূতন কবিতাই নূতন ছন্দের জন্ম দেয়"। কোথায় কোন ফর্ম ব্যবহার করতে হবে সেই রেগুলেশন দিয়া শিল্পসৃষ্টি হয় না।
ব্যস আর কি! তারপর মাথা থিকা ছন্দের ব্যকরণ ডিলিট মারলাম। কবিতা অবশ্য আর লিখতে পারতেছি না অনেক দিন। তবে সেইটা সময়ের খরা। ছন্দের খরা না। ছন্দ আসলে সবসময়ই কোন না কোন চেহারায় সাথে সাথে থাকে। খুব নিরিহ একটা স্টেটমেন্ট, ধরা যাক একদিন ভোর রাতে পাশের ঘর থিকা ব্যপক গাঁইগুই শুইনা আপনার ঘুম ভাইঙ্গা মনে হইল, আমার স্প্যানিশ প্রতিবেশী কেন গ্যাংব্যাং ভালোবাসে? এইটারে এখন :
আমার
স্প্যানিশ
প্রতিবে-
শী কেন
গ্যাংব্যাং
ভালোবাসে? না করলেও কিন্তু এইটা শেষ পর্যন্ত একটা কবিতাই থাইকা যাবে............
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
এইসব আমি এক্কেরেই বুঝিনা।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হ !
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
যারা বলতেছে কিছুই বুঝিনা তারাই দেখছি গভীর জলের মাছ ... হেঃ হেঃ
~~~~টক্স~~~~
নতুন মন্তব্য করুন