ব্যবধানে ব্যবধান

এহেছান লেনিন এর ছবি
লিখেছেন এহেছান লেনিন (তারিখ: সোম, ০১/১০/২০০৭ - ১:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার পাগল ভাইয়ের হাত-পায়ে শেকল, আর মা ভাইয়াকে গোসল করানোর প্রাণান্ত চেষ্টায় মগ্ন। এই দৃশ্য ছিল বাসায় প্রায় প্রতিদিনকার। মায়ের চোখের জল যেন দেখতে না হয় সে জন্য দেরি করে বাসায় ফেরা, দরজা-জানালা বন্ধ করে এক বসে থাকা, ভাইয়ার চেঁচামেচির শব্দ যেন কানে এসে না পৌঁছে, সেই চেষ্টার অন্ত ছিল না। আমরা আর সব ভাইবোন কেমন জানি যান্ত্রিক হয়ে গেলাম হঠাৎকরেই, যেমন হঠাৎ করেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে আমার প্রিয় ভাইটা। বাবা তার অসহায় দু'চোখ দিয়ে বড় ছেলের পাগলামি দেখেন।

এই ঘটনাটা ছিল আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়কার কথা। এখন গণ্ডিটা পেরিয়ে অনেক দূর এগিয়েছি। তবুও পিছু ফিরে দেখি এগুইনি এক রত্তি। এক ইঞ্চি। মুহূর্তগুলো এখনও আঘাত করে প্রতিনিয়ত। আমি ভুলতে পারি না সেই সময়গুলো।

এজন পিতা যখন তার বড় ছেলের মৃত্যু কামনা করেন, তখন বোঝা যায় তিনি কতটা অসহায়! মনে পড়ে আমরা যখন ভাইয়াকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি তখনকার কথা। পুরো পথ বাবার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়েছে।

ভাইয়া বাবাকে বললো, “আমার তো অনেক দিন পাবনা হাসপাতালে থাকতে হবে তাই না বাবা? আমি তো পাগল! হয়তো আর ফিরেও আসতে পারব না! আমাকে এভাবে একা ফেলে রেখে যেতে আপনার কষ্ট হবে না ?”

ভাইয়াটা সেদিন একদম স্বাভাবিক আচরণ করছিল। ভাইয়ার একেকটা কথা আমার বুকের ভেতর হাতুড়িঘাত করছিল। আমাদের গাড়িটা যতই পাবনার দিকে ছুটছে ততই বাবার ব্যবহার অস্বাভাবিক হতে থাকে। আমরা হেমায়েতপুর চলে এসেছি। কয়েকজনের কাছে জিজ্ঞেস করতেই জানা গেল, পাবনা মানসিক হাসপাতালটা কোথায়? আমাদের গাড়িটা হাসপাতালের ফটকের সামনে এসে থেমেছে। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পাগলদের পাগলামি দেখছি। কেউ আজান দিচ্ছে, কেউ বকাবকি করছে, কেউ কেউ চুপচাপ বসে আছে, কেউ ...। আমি বাবাকে বললাম, ভাইয়াকে এখানে ভর্তি না করালে কি হয় না? বাবা খুব সাধারণ উত্তর দিয়েছিলেন, হ্যাঁ হয়। বাবা শুধু আমাদের কারো সমর্থন চাচ্ছিলেন। না, সেদিন ভাইয়াকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়নি। আমরা পাবনা শহরটা ঘুরে আপন শহরে ফিরে আসি। আসার পথে বাবার হাসি হাসি মুখ দেখে আমার কী যে ভালো লাগছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

ভাইয়া দেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। সক্রিয় বাম রাজনীতি বলতে যা বোঝায় তিনি তাই করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট আর রাজনীতির কল্যাণে দীর্ঘ সময়ে অনেকেরই প্রিয়ভাজন হতে পেরেছিলেন। শুধু চুশূল হয়েছিলেন একটি বিশেষ গোষ্ঠীর। শেষে তাদেরই মানসিক আর শারীরিক নির্যাতনে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি। আমি তখন মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করছি। অবশেষে দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদল্যালয়ে মোটামুটি বিষয়ে ভর্তির সুযোগও পেয়ে যাই।

কিন্তু পারিবারিক বিধিনিষেধের কারণে অবশেষে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। রাজনীতিতে কখনো জড়াব না- মায়ের কাছে দেওয়া এই প্রতিশ্র“তির কারণে সক্রিয় রাজনীতিতে আসিনি। কলমটাকেই ভালোবেসে নতুন হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছিলাম। সেখানেও বাধা! পত্রিকার খোলা কলাম আর অভিমত কলামে টুকটাক লিখতে শুরু করি। না, প্রচারের জন্য নয়, শুধু মনের তাগিদেই লিখতাম।

অনেক আগে ভাইয়া আমাকে একটা চিঠি লিখেছিলেন। এখনো খুব যতেœ আমি চিঠিটা রেখে দিয়েছি--

“কেমন আছিস রে তুই ?
তুই তো বিজ্ঞানের ছাত্র তাই তোকে জিজ্ঞেস করলাম।
আজ অনেক দিন যাব? ভাবছি।
আচ্ছা বাঁদুড় দিনে চোখে দেখে না কেন?
আর রাতেই বা কীভাবে দেখে? তাড়াতাড়ি উত্তর দিস।
আমি এ নিয়ে বিশেষ চিন্তার মধ্যে আচ্ছি।
ইতি...।

২৭ বছরের একজন যুবক বাচ্চা ছেলের মতো আমাকে প্রশ্ন করে চিঠি লিখেছে, আর সে আমার ভাইয়া আমি উত্তর দিতে পারিনি। সবার আগোচরে চোখের জল গড়িয়ে পড়েছে। সেদিন একটিবারের জন্যও আমার চোখের জল থামাতে চেষ্টা করিনি, আমি কেঁদেছি শুধু আমার পাগড় ভাইয়ার জন্য।

অনেকদিন পর ভাইয়ার সেই কথাগুলো আবার মনে পড়ছে। মাঝখানে সুস্থ ছিলেন। তখন বিয়েও করেন তিনি। ভালোই ছিলেন। আবার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় ডিভোর্স হয়ে যায়। এখন ওকে আমাদের বাসারই একটি রুমে তালাবন্দি করে রাখা হয়েছে। ডাক্তারদের পরামর্শ মতে চিকিৎসা চলছে তার। প্রায় প্রতিদিন বাবা ফোন করে বলে, বাবারে আর তো পারছি না, ও তো ভালো হয়ে গেছে, দরজাটা খুলে দেই।

আমি বলি না বাবা, ভুলেও না।

বুকের মাঝে এই না বলতে পারার যে কি কষ্ট তা বুঝাতে পারবো না।
ও হে ওর মেয়ে নুসরাত। হেভি ট্যালেন্ট।

এখনও আমার সবচেয়ে বড় এবং প্রিয় ভাইটার এই অবস্থার জন্য ঘুমাতে পারি না। প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে একটা টং দোকানে বসে থাকি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা মনে করি।

সে সময় টং দোকান থেকে দেখতাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো চলে যাচ্ছে। আমার আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া নিষেধ। তখন নীরবে চোখ ভিজে আসতো। আমি একা! আমার আগে-পিছে কেউ ছিল না। বন্ধু! তারা সব লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। আমি অস্পৃশ্য! অনেক পথ পেরিয়ে আমি আবারও সেই শুরুতেই ফিরে যাচ্ছি।

শুধু এবারের চরিত্র আর মঞ্চটা ভিন্ন। কাহিনী সেই একই। শুধু ব্যবধান ছয় বছর।
*******************************************
পুনশ্চ : এই লেখাটা পুরনো, তবে ব্লগে নতুন সদস্য হয়েছি তাই এটি দিয়েই শুরু করতে চাই। বলতে পারেন ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা, আর মমত্ববোধ প্রকাশে আমার এই অপচেষ্টা।


মন্তব্য

রেজওয়ান এর ছবি

আপনার 'অপচেষ্টায়' আমার মৃত ছোট ভাইটির কথা মনে পড়ে গেল। চোখের পানি থামাতে পারছিনা। আপনার ভাই দ্রুত আরোগ্য লাভ করুক। আর প্লিজ নিয়মিত লিখবেন।

××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

??? এর ছবি

স্বাগতম এহসান লেনিন। আপনার লেখার পাঠক যত না হলাম, তার চেয়ে আপনার জীবনাভিজ্ঞানের গ্রাহক হলাম বেশি। প্রায় একইরকম একটা গল্প আছে আমার জীবনেও। সহমর্মিতা, পেইন ইন টুগেদার!!
....................................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

মনটা খুব খারাপ করে দিলেন। আমার ছোট ভাইটাও অনেক মানসিক প্রেসারের ভিতর দিয়ে এসেছে। প্রেসার দেবার একজন ছিলাম আমিই। এখন ভাবলেও খারাপ লাগে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

এহেছান লেনিন এর ছবি

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

ধন্যবাদ মাহবুব ভাই।

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

এহেছান লেনিন এর ছবি

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

ধন্যবাদ রেজওয়ান। কিছু কিছু লেখার মন্তব্য কষ্টের হয়। তাই মন্তব্যগুলো পেতে আসলে ভালো লাগে না। তারপরও কষ্টগুলো শেয়ার করতে পারলে মনটা হালকা লাগে।

নিয়মিত লিখতে চাই, তবে পারি না। সব লেখাই কেনো জানি কষ্টের কথন হয়ে যায়।

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

এহেছান লেনিন এর ছবি

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

সুমন রহমান, সবার জীবনে একই রকম হাজারো ঘটনা ঘটে। প্রত্যেকেই ভাবে আমার কষ্টের চেয়ে কারো কষ্ট এতো গভীর নয়। অথচ দেখেন, আমি বিশ্বাস করি এর চেয়েও কষ্টে অনেকেই আছে। তাদের কষ্টের কাছে আমার কষ্টগুলো ম্লান।

সুমন রহমান আপনাকে ধন্যবাদ।

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আগেও পড়েছিলাম ....আবারও মন ছুঁয়ে গেল
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

....আমি বাবাকে বললাম, ভাইয়াকে এখানে ভর্তি না করালে কি হয় না? বাবা খুব সাধারণ উত্তর দিয়েছিলেন, হ্যাঁ হয়। বাবা শুধু আমাদের কারো সমর্থন চাচ্ছিলেন।
...
হু হুহু হু হু হু হহুু
..

- রেনেসা

অরূপ এর ছবি

লেনিনকে স্বাগতম । মুখে ফুটে বলতে সাহস লাগে
সবাই বলতে পারেনা, লেনিনের লেখা এভাবে স্পর্শ করতে থাকুক আমাদের
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নির্বোধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!

এহেছান লেনিন এর ছবি

ধন্যবাদ অরূপ। পুরনো লেখা দিয়ে শুরু করলাম। তাই বলে সব লেখাই যে পুরনো হবে তা কিন্তু নয়। এই লেখাটি আমার প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গে লেপ্টে আছে। আশি ধীর লয়ে এগুতে চাই।

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

এহেছান লেনিন এর ছবি

মাহবুবু ভাই, আমার নামটা এহেছান লেনিন। এটি এহসান লেনিন হিসেবে আছে। অনুরোধ করবো এটি পরিবর্তন করা হোক।

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

অরূপ এর ছবি

এহসান লেনিনকে এহেছান লেনিন করা হল
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নির্বোধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!

এহেছান লেনিন এর ছবি

অরূপ, আপনাকে ধন্যবাদ। আমি আমার সঠিক নামটা ফিরে পেলাম।

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

বিপ্লব রহমান এর ছবি

স্বাগতম লেনিন। এসেই মন খারাপ করে দিলেন!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

এহেছান লেনিন এর ছবি

ধন্যবাদ বিপ্লব ভাই। বড় লেখকদের কমেন্ট পেলে ভালো লাগে।

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ বিপ্লব ভাই। বড় লেখকদের কমেন্ট পেলে ভালো লাগে।

অ্যাঁ!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

হাসান মোরশেদ এর ছবি

হ্যালো লেনিন,ভালো তো?
----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

এহেছান লেনিন এর ছবি

বস, আপনি কেমন আছেন। আমি ভালোই। অনেক কিছু মিস করি। ইদানীং নিজেকেও মিস করতে শুরু করেছি।

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

হাসান মোরশেদ এর ছবি

টিকে আছি হাসি
মাঝে মাঝে টের পাই পৃথিবীটা আসলেই বেশ ছোট । ভালো লাগে । শরীর স্বাস্থ্য কি আগের মতোই? সাংবাদিকতায় সিরিয়াস জেনে ভালো লাগলো ।
ফারুক মেহেদী'র কোন খবর আছে?

-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

এহেছান লেনিন এর ছবি

সাংবাদিকতায় কতোটা সিরিয়াস তা জানি না। তবে আপনাদের লেখা পড়ে ভালো লাগে। ফারুক মেহেদীর সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই। শুনেছি তিনি এখন বৈশাখী টেলিভিশনে আছেন।
*********************************************
রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মন ছুঁয়ে যাওয়া বিষন্ন লেখা। শুধু গল্প হলেই হত, জীবনের অংশ না হয়ে।

এহেছান লেনিন এর ছবি

ধন্যবাদ। গল্পও তো জীবনের অংশই। গল্প ধরে নেন, তবে বাস্তব।
*********************************************
রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

অনিকেত এর ছবি

ভাই লেনিন,

তোমার লেখা পড়ে বড় ব্যাকুল হলাম।

তুমি করে বলছি কারন আমিও আসলে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র,একে বারে শুরুর দিকের।

দুঃখের গল্প শুনতে কারোর ভালো লাগেনা। তাই আমরা ইদানিং দুঃখের কথা বলা ছেড়ে দিয়েছি।সব সময় আমরা হাসার চেষ্টা করছি, হাসানোর চেষ্টা করছি। নিজের বুকের দগদগে ঘা গুলো লুকিয়ে রেখে, মুখে ঝুলিয়ে রেখেছি একাদশীর চাঁদ।আর সব চেয়ে বড় কথা নিজের দুঃখের কথা অন্যকে বলতে গেলে বলার মত সেই রকম সাহস ও তো থাকা চাই।

তোমার অত্যন্ত ব্যক্তিগত এক দুঃখের কথা বলতে পেরেছ, সেই জন্য তোমায় সাধুবাদ জানাই। এই খানে তুমি জীবনের-হাতে-ঘায়েল অনেক মানুষ পাবে। এরা আর কিছু না হোক, তোমার মন খারাপের দিনে বুক দিয়ে আগলে রাখবে।

মিথ্যে স্তোক দেব না। কিন্তু একটা কথা তোমাকে বলতে পারি, সেটা হল এই যে, এই পৃথিবীটা আসলে বুক-ভাঙ্গা লোকেরাই হাতে হাত রেখে আগলে রেখেছে। কাজেই তুমি একা নও।

ভালো থাকো ভাই আমার।

এহেছান লেনিন এর ছবি

ভাইয়া,
এতো বড় মন্তব্যের বিপরীতে ছোট কোনো জবাব দেওয়া উচিত নয়। তবে আমি গর্বিত এই ভেবে আমার পাশে অনেকেই আছেন। অনেকেই সাহস জুগিয়েছেন। তবে কেউ আমার মতো কষ্ট নিয়ে আমারই পাশে দাঁড়াক এ আমি চাই না। আমি চাই সবাই সুখে থাকুক, শান্তিতে থাকুক।

আসছে ঈদ, ঈদে অন্যরকম আনন্দে কাটুক আপনাদের দিন। আমি না হয় বন্দি ভাইটাকে বন্দিত্ব থেকে মুক্ত করে পাশে থাকবো। এর চেয়ে আনন্দ আর কিসে হতে পারে।

*********************************************
রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

তারেক এর ছবি

সেই একই বিষন্নতাবোধে পুনরায় আক্রান্ত হলাম। ভাল থাকবেন।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

এহেছান লেনিন এর ছবি

ধন্যবাদ তারেক। অন্যের কষ্টে যে কষ্ট পায় সেই তো আসল মানুষ।
*********************************************
রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।