বলা হয় আইনের চোখে সবাই সমান। কতটুকু সত্য! বিশ্বাস করতে খুবই কষ্ট হয় এই প্রবাদ বাক্য। যারা জানেন তাদের জন্য নয়, যারা বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য বলছি- অচিরেই বাংলাদেশে একটু নতুন কমিশন হবে। সেই কমিশনের দায়িত্ব বড় অপরাধিদের দণ্ডের মেয়াদ কমিয়ে এনে আইনের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেওয়। ‘ট্রুথ কমিশন’ নামের সেই কমিশন একটি নতুন অ্যাক্টের কথাও বলেছে- প্লি বার্গেইন অ্যাক্ট।
পশ্চিমারা এ আইনের সঙ্গে পরিচিত হলেও বাংলাদেশে বিষয়টি একেবারেই নুতন। অ্যাক্টটি এখন বাংলাদেশেও প্রয়োগ হবে। ভাবতে ভালোই লাগছে! এখন দেশে আরও বেশি দুর্নীতি হোক, দুর্নীতির ধারা থাকুক অব্যাহত।
‘আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ’ এমন বাগধারা ছোটো বেলা খুব মুখস্ত করতাম। আঙ্গুল ফুলে আবার কলাগাছ হয় কি করে- ভাবতাম তখন। এখন দেখি সুঁই ফুলে সেগুন গাছ হয়ে যাচ্ছে।
১৯৭৩ সালে আমেরিকায় এই প্লি বার্গেইন অ্যাক্ট চালু হয়। তখন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট দুর্নীতির দায়ে তার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে কর ফাঁকির দায়ে তাকে সাজাও ভোগ করতে হয়েছিল। ৭৩ থেকে ২০০৭। ব্যবধান ৩৪ বছর। এই ব্যবধানে বাংলাদেশেও চালু হচ্ছে আইনটি। তবে এ আইন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে, হতে হবে সোচ্চার।
একটু ভাবুন-
রহিমের বাপ ছোট দোকানি। বাজারের এক কোনে তার একটি ছোট্ট মুদি দোকান। ঘরে বউ, মেয়ে ছেলে সবমিলিয়ে সাতটি মুখ। তাদের আহারের ব্যবস্থা হয় এই দোকানের আয় থেকেই। কতোটাকাই বা লাভ হয় তার। দিন শেষে একশ বা তার একটু বেশি। শেষমেশ টিকতে না পেরে শুরু করলেন ওজনে কম দেওয়া। ধরাও পড়লেন একদিন। স্বীকারও করলেন। ম্যাজিস্ট্রেট আইন অনুযায়ী তার জরিমানা করলেন, সঙ্গে তিন মাসের জেল। আহা কতো সুন্দর!
অন্যদিকে, এক এফবিসিসিআই নেতা, ব্যবসায়ের নামে গড়েছেন কালোটাকার পাহাড়। পাহাড় বললে ভুল হবে হিমালয় পর্বত। আইনের কাছে তিনি বাঁধা নন। আইনই তার কাছে বাঁধা। বড় অপরাধ করেও স্বীকার করলে তার কোনো শাস্তি হয় না। টুকটাক জরিমানা দিলেই চলে। “তারা আছেন মোজে, টোকা দিলেই তাই বাজে”।
প্লি বার্গেইনিং অ্যাক্ট এমন এক আইন যাতে অপরাধি এবং বাদী (সরকার) নিজেদের মধ্যে আপসরফা করে নেন। এতে অপরাধির শাস্তি অনেকটাই কমে আসে। হয় না কারাদণ্ড। মালের ওপর দিয়ে জান বেঁচে যায়। তবে এক্ষেত্রে অপরাধিকে দোষ স্বীকার করতে হয়।
এই অ্যাক্টটি পশ্চিমা দেশগুলোয় বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। তবে দেশগুলোয় সীমাবদ্ধ কিছু অপরাধের ক্ষেত্রে এই আইনটি প্রযোজ্য। বাংলাদেশে ভাবা হচ্ছে এটি ব্যবসায়ীদের সব অপরাধের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন- দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অর্থনীতিকেও সচল রাখতে হবে। দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবসায়ীদের আটক করায় অর্থনীতিতে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে বসেছে। সবকিছু বিবেচনা করে সরকার এ ধরনের উদ্যোগ নিলে আমরা তাকে স্বাগত জানাবো।
প্রশ্ন হলো বৈষম্যমূলক এই আইন বাংলাদেশের জন্য কতটুকু যুক্তিযুক্ত?
America first used plea bargain in 1973 when its vice president was made to resign on the accounts of fraud, but was later convicted of refusal to pay taxes, while Bangladesh government wish to apply this just now 2007.
Bangladesh government announced this act only apply for businessmen! What for such decision we dont know. There will arise a question- why this act not for our poor people, why this discrimination?
We have to aware about this law.
Plea bargaining means "the process whereby accused and the prosecutor, in a criminal case, work out a mutually satisfactory disposition of the case, subject to the approval of the court." It involves the accused pleading guilty to the offence or to a lesser offence in return for a lighter sentence than otherwise imposable for that offence.
This practice is prevalent in western countries, particularly the United States, England, and Australia. In the U.S., plea bargaining has gained very high popularity, whereas it is applied only in a restricted sense in the other two countries.
মন্তব্য
"টাকা দিয়ে সবই কেনা যায়। কিছু লোকের হাতে অনেক গরীবের রক্তচোষা টাকা।"
ইংরেজীতে হলে লেখাটি ভাল হতো।
××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
বাংলায় পুনরায় পোস্টটি দিলাম।
ধন্যবাদ।
রক্তে নেবো প্রতিশোধ...
দুনিয়াটা কার বল?
দুনিয়া টাকার বল।
কি মাঝি? ডরাইলা?
আসলেই তাই।
ধন্যবাদ।
রক্তে নেবো প্রতিশোধ...
এরকম সত্য কথা বলতে হয় না।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
হায় রে ট্রুথ কমিশন!
লেনিন,
এই রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট একই সঙ্গে বাংলায় এবং ইংরেজীতে দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
সচলে আরো নিয়মিত হবেন আশা করি।...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ধন্যবাদ বিপ্লব ভাই।
নিয়মিত হতে ইচ্ছা করলেও তো আর উপায় নাই। চাপে আছি ভাই, চাপে আছি।
প্রেমিকার চাপ
রুম মেটের চাপ
অফিসের চাপ
ইদানিং বাসের হেলপাররাও চাপ দেয়। বুঝলেন বিপ্লব ভাই। হি..হি..হি..
রক্তে নেবো প্রতিশোধ...
অ্যাঁ!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
তাড়াহুড়া করে নতুন আইন করা এবং প্রণয়ন করার আগে এ নিয়ে জনবিতর্ক না হওয়ার কুফল আমরা অনেক দেখেছি। একটা চকচকে দৃষ্টান্ত হলো তত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত অধ্যাদেশ।
একেবারে নতুন কোনো আইন চালু করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সময় নিতে হবে। জন-আলোচনা, বিতর্ক এবং তারপর সংশোধন ও পাইলট-টেস্ট করে সবশেষে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করতে হবে। বছর দুয়েক এর প্রায়োগিক দেখে তারপর একে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করতে হবে।
এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কোনো আইন প্রণয়ন ও চালু করা মানেই হচ্ছে শাসকশ্রেণীর সুবিধাভোগের নতুন পথ তৈরি করা।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আমরা সাধারণরা এসব বিষয় বুঝলেও যাদের বোঝা উচিত তারা কতটুকু বুঝতে পারেন? আমাদের দেশের এই অবস্থার জন্য সাধারণ জনগণ কখনোই দায়ি নয়।
ধন্যবাদ শোহেইল মতাহির চৌধুরী।
রক্তে নেবো প্রতিশোধ...
নতুন মন্তব্য করুন