এটাকে খুব বড় ধরনের ব্যবসা সমঝোতা বললে কী ভুল করা হবে? অনলাইনে একজন ২৫ বছরের তরুণী এমন একজন স্বামীর জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছেন যার উপার্জন হতে হবে বছরে ৫ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি।
নিউইয়র্কের নাগরিক সমাজ ওয়েবসাইট ক্রেইগসলিস্টে সম্পদ জীবনসঙ্গী খোঁজার এই অনলাইন বিজ্ঞাপন ঝড় তুলেছে মৌলিক বিশ্বাসে। এটা কী জীবনসঙ্গী খোঁজা না কি কোনো ব্যবসা সমঝোতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তরুণী লিখেছে, “নিউইয়র্ক সিটিতে মধ্যবিত্তরাই যেখানে বছরে এক মিলিয়ন ডলার উপার্জন করে সেখানে আমি খুব বেশি চেয়ে ফেলছি কী!”
তরুণীটি নিজেকে অনিন্দ্য সুন্দরী অথচ হালকা ধরনের বলে বর্ণনা করেছেন।
এই বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে একজন অজ্ঞাত ওয়ালস্ট্রীট ব্যাংকার বলেছে, “এটা খুব পাগলাটে ধরনের ব্যবসা সমঝোতা।”
ব্যাংকার লিখেছেন, “তোমার সৌন্দর্য ফুরিয়ে আসবে অথচ আমার উপার্জন বাড়তেই থাকবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই আমার সম্পদ বাড়ার এক ধরনের নিশ্চয়তা আছে, কিন্তু তুমি তো আর ক্রমশ আর সুন্দর হয়ে উঠবে না।”
ব্যাংকার আরো হিসেবী ভঙ্গিতে লিখেছেন, “অর্থনৈতিক সূত্র অনুযায়ী তুমি খরচশীল সম্পদ আর আমি উপার্জনশীল সম্পদ।”
ব্যাংকার আরো ব্যাখ্যা করে লিখেছেন, “তুমি এখন ২৫, আসছে ৫ বছর তুমি সুন্দর থাকবে। কিন্তু তারপর তোমার সৌন্দর্য দ্রুত হ্রাস পাবে। ৩৫ এ ভাবতে পারছো সেই অবস্থাটা।
ব্যাংকারের প্রস্তাব, “ভালো ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে আমি তোমাকে কিনবো না (তোমারই দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী)। সুতরাং ‘লিজ’ নেওয়াই যুক্তিসঙ্গত হবে।”
তরুণীটি ক্রেইগলিস্ট থেকে বিজ্ঞাপনটি তুলে নেওয়ার পর ব্যাপারটি জনপ্রিয় ই-মেইল কৌতুক হয়ে দাঁড়ায়।
জেপি মর্গান চেজ ব্যাংক বলছে, “তাদের একজন শীর্ষ ব্যাংকারের নাম ভুলবশত ওই প্রতিক্রিয়া লেখা ‘হিসেবী ব্যাংকার’ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে।”
ওই ব্যাংকের মুখপাত্র বলছেন, “ওই ব্যাংকার বন্ধুদের কাছে বিজ্ঞাপনটি ফরোয়ার্ড করার সময় তার দুর্ঘটনাবশত স্বার যুক্ত হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ব্লগে ঝড় উঠেছে।”
ক্রেইগলিস্টকে মন্তব্যের জন্য খুঁজে পাওয়া না গেলেও একজন মুখপাত্রী বলেছেন, “ওই বিজ্ঞাপনের পোস্টটি দেখে খুব সিরিয়াসলি এটি দেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না।”
সূত্র: রয়টার্স
মন্তব্য
মজার তো! ক্রেইগলিস্ট খুব মজার একটা ব্যাপার। মানুষ পয়সা ছাড়াই টুকটাক বিজ্ঞাপন দেয়। আবার আপামর জনতা উপকৃতও হয়। আমার গাড়ি কিনেছিলাম ক্রেইগলিস্ট বিজ্ঞাপন দেখেই।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মাহবুব ভাই,
লেখাটা বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম এ ও দেওয়া হয়েছে। তবে সচলায়তনেই আগে দিয়েছি।
হঠাৎ রয়টার্সে এমন মজার লেখা দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। তাই বিডিতে দেওয়ার আগেই সচলায়তনে পোস্ট করেছি।
ধন্যবাদ।
রক্তে নেবো প্রতিশোধ...
অদ্ভূত এই পৃথিবী ...
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
খুব স্বাভাবিক ঘটনা মনে হচ্ছে। বিয়ের জন্য প্রায় প্রত্যেকটা মেয়েই সিক্যুরিটি চায়। অর্থ-সম্পত্তি সিক্যুরিটির একটা বড় মানদন্ড। আমাদের দেশে বিয়ের ক্ষেত্রে ড্রাইভিং পাওয়ার হিসেবে সেক্স যতোটা মূখ্য, পশ্চিমে সম্ভবত ততোটা নয়। মেয়েটির বিজ্ঞাপনকে আমার কাছে বরং শ্রদ্ধার মনে হয়েছে। সে যা চায় কোনোরকম ভণিতা না করে বরং সরাসরি বলে দিয়েছে। এটা ঠিক শরীরের বিনিময়ে অর্থ বা ওইটাইপ ব্যবসায়িক প্রস্তাব নয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
একটু আগে লেখাটা বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম এ পড়েছি; এখন আবার পড়লাম। ... ধন্যবাদ লেনিন। আরো নিয়মিত লিখবেন, এই প্রত্যাশা করছি।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
হুমম। সময়ের প্রেক্ষাপটে গভীর করে ভাবতে বাধ্য করে খবরটা।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
ইস, একটুর জন্য ...!
হাঁটুপানির জলদস্যু
stumbleupon দিয়ে গুতাতে গিয়ে এই জিনিষটা একদিন পড়ে ফেলেছিলাম।
কি মাঝি? ডরাইলা?
নতুন মন্তব্য করুন