দূরবীন দিয়ে দেখতে চেষ্টা করেছিলাম পার হয়ে আসা জীবন নাটক। কিছু ভুল, কিছু ফাউ প্রাপ্তির গল্পের পর থমকে গিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে মিলে গেল ক্যালিডোস্কোপ।
তিন আয়নাভরা একটা নলের এক প্রান্তে কয়েকটা রঙ্গীন, হালকা, টুকিটাকি টুকরো - ভাঙ্গা চুড়ি, ছোট্ট পুঁতির দানা। নল ঘোরে, আয়না ঘোরে, টুকরোরা ঘুরে ঘুরে রচনা করে ছবির পর ছবি, অজস্র, অফুরান। ছোটবেলার সবচেয়ে প্রিয় খেলনাগুলোর একটা ছিল এই খেলনাটা। আয়নামতি-দিদি সে কথা জানতে পেরে আশ্চর্য সুন্দর একটা কবিতা পড়াল আমায় - ক্যালিডোস্কোপ। কবি ইন্দিরা দাশ। কবিতার ধরতাই - “চলো ক্যালিডোস্কোপ‘টা ভরে জীবনটা দেখে নিই একবার।”
নির্দিষ্ট কোন পরম্পরার বাধ্য-বাধকতা নয়। যখন যেমন ইচ্ছে করবে, যখন যেমন মনে পড়বে। এক-ই ঘটনা হয়ত উঠে আসবে, বারে বারে, অন্য অন্য ছবি হয়ে। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখতে থাকি। শুধু আমার নিজের জীবন-ই দেখব কি? কে জানে! হয়ত অন্য কোন দেখা জীবন ও ... কোন শোনা জীবন ... । দেখতে থাকি।
এখন ফিরে চলি সেইখানে, যেখানে আগের লেখায় ছেড়ে এসেছিলাম - উত্তরবঙ্গ, উত্তরবঙ্গের কোচবিহার (ইংরেজী বানানে কুচবিহার)। আমি পড়ি তৃতীয় শ্রেণীতে, মেজ ভাই প্রথম শ্রেণী। ছোটজন ঘরে খেলা করে। কোন কিন্ডার গার্টেনের গল্প ছিল না আমাদের। কোন প্রাইভেট টিউশন-এর বেদম দৌড় ছিল না। আমরা দৌড়তাম রাস্তায় রাস্তায়। আমার জীবনে বাংলার মাটির সবচেয়ে কাছের জীবন ছিল সেই অসামান্য দিনগুলো। আজ প্রায় অর্ধশতাব্দী পিছনে তাকিয়ে সেই দিনগুলো দেখতে বসে প্রথমেই ভেসে এল - বৃষ্টি।
উত্তরবঙ্গে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আমার বৃষ্টির স্মৃতি শুধু বাঁচিয়ে চলার স্মৃতি। একটা কালো ছাতার সাহায্যে নিজেকে বাঁচানো, বই-খাতার ব্যাগ বাঁচানো। ছাতার আকার ভালই ছিল, ভিজতে হত না। (লিখতে লিখতে মনে হচ্ছে, আমায় দেখাত কেমন? সম্ভবতঃ দূর থেকে লোকেরা দেখত, একটা ছাতা ছোট ছোট পায়ে হেঁটে চলে যাচ্ছে।) দু-একটা ছুটির দিনে বাসার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া জলের স্রোতে ভাসিয়েছি, না কোন কেয়া পাতার নৌকো নয়, নিতান্তই অপটু হাতে বানানো, কাগজের নৌকো।
উত্তরবঙ্গের দিনগুলোতে বৃষ্টিকে আমি দেখেছি তার আহা-মরি-মরি সৌন্দর্যে, দেখেছি তার ভয়াল-ভয়ংকর-প্রলয়নাচনে। ভাড়া বাড়িতে থাকতাম আমরা। আশে পাশে অনেক বাড়িই ছিল মাটির দেয়াল, টালির ছাদ। আমাদের বাসা ছিল ইঁটের গাঁথুনির পাকা দেয়াল, কিন্তু টিনের চাল (কিংবা অ্যাসবেস্টসের)। দুপাশ থেকে চাল উঁচু হয়ে উঠে গেছে মাঝ বরাবর। দেয়ালের উচ্চতায় চালের নীচে ঘরজোড়া ছাদ। ছাদ আর চালের মাঝখানে হাওয়ার আস্তর শীত-গ্রীষ্মে ঘরের তাপমাত্রা সহ্যের মধ্যে রাখত। কিন্তু সেই হাওয়ার স্তর-ই ধুম বৃষ্টির সময় সৃষ্টি করত - শব্দ। টিনের চালে অতি দ্রুত বড় বড় ফোঁটা পড়ার অবিশ্রাম চড়চড় শব্দ। আমি সহ্য করতে পারতাম না। বিছানায় কাত হয়ে শুয়ে এক কান তোষকে চাপা রেখে আর এক কান-এর উপর বালিশ চাপা দিয়ে রীতিমত কান্নাকাটি করতাম। আর মা পাশে বসে সমানে গায়ে হাত বুলিয়ে শান্ত করত তার অবুঝ সন্তানকে। ছোট ভাই দুটোর কিন্তু কোন ভয় নেই। তারা দিব্যি ছুটে ছুটে এ জানালা ও জানালা করছে। এখন অবাক হয়ে ভাবি কেন অত ভয় পেতাম আমি? জানি না। তবে এটুকু জানি, আমার ইচ্ছে হলেই যে ঐ অবিরাম আওয়াজ থামিয়ে দিতে পারছিনা সেটাই আমাকে বেশী অস্থির করে ফেলত। ধীরে ধীরে অবশ্য বুঝতে পেরে গেলাম এটাই জীবন। এখন থেকে বেশীর ভাগ সময়ই যা ইচ্ছে করছে তা ঘটবে না। যা ঘটবে তাতে আমার কোন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। আস্তে আস্তে ভয় কেটে গিয়েছিল। বা বলা যায়, ভয়কে সাথে নিয়ে চলতে শিখে গিয়েছিলাম। ভয় কেটে যাওয়ার পর চোখে পড়ল বৃষ্টির অন্য রূপ।
প্রকৃতি একটু একটু করে খুলে দিচ্ছিল তার জাদু-দরজা। ঘরের একদিকের দেয়ালের পাশে ছিল লম্বা লম্বা পাতার কিছু গাছ। তাতে অদ্ভুত দেখতে কিছু কলি। ধীরে ধীরে কলিরা বড় হচ্ছিল। হঠাৎ এক সকালে দেখি, কলি নয়, ফুল। কি অবিশ্বাস্য সুন্দর ফুল! বাবাকে গিয়ে ধরলাম, কি ফুল বাবা?
বাবা বলল, কলাবতী।
এমন ও ফুল হয়, এমন ও নাম হয়! আমার চেতনার কূল ভাসিয়ে বাজতে থাকে কলাবতী, কলাবতী, কলাবতী। তারপর একদিন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নামে। গায়ে সেদিন অল্প অল্প জ্বর।
মা বলে,
- আজ আর দুজনের কারো, স্কুলে গিয়া কাজ নাই।
আমি চাদর মুড়ি দিয়ে হাত-পা ঢেকে বিছানায় বসে থাকি, জানালার পাশে। দেখি, কলাবতী বৃষ্টিতে স্নান করে। পাতার গা বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে - টুপ - - টুপ, টুপ টুপ। ফুলের গা বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে - টুপ - - টুপ, টুপ টুপ।
ঠাকু’মা এসে পাশে দাঁড়ায়।
- কেমন আছ অহন?
- ভালো।
- জলীয় বাতাস লাগাইও না। জ্বর বাড়ব।
জানালার পাল্লা অনেকটা বন্ধ হয়। একটু ফাঁক রাখা থাকে - নাতির জন্য, কলাবতীর জন্য।
ছোট দু' ভাই এবার ঘিরে আসে,
- ঠাকুমা গল্প বলো।
ঠাকু’মা বিছানায় উঠে আসে।
বৃষ্টি বাড়ে।
তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে ছুটে চলে রাজপুত্রের ঘোড়া, উড়ে চলে। গল্প বলতে বলতেই ঠাকুমা আস্তে করে একটা লেপ বিছিয়ে দ্যায় আমার গায়ের উপর। পাশ ফিরিয়ে দ্যায় আলতো করে। পক্ষীরাজ ঘোড়ার পিঠে চড়ে উড়ে চলি আমি।
তারপর একদিন হাতে আসে একটা বই, আশ্চর্য বই। ঠাকুমার গল্পগুলো ঝুলি ভরে তুলে দিয়েছেন লেখক। এক বৃষ্টিভেজা, আঁধার হয়ে আসা দুপুরে উপুড় হয়ে পড়তে থাকি -
“কলাবতী রাজকন্যা মেঘ-বরণ কেশ,
তোমার পুত্র পাঠাইও কলাবতীর দেশ।
আনতে পারে মোতির ফুল ঢো-ল-ডগর,
সেই পুত্রের বাঁদী হয়ে আসব তোমার ঘর।”
একসময় বুদ্ধুবানরের ঘরে আসে কলাবতী কন্যা। তার বুদ্ধিতে বুদ্ধুবানর হয়ে ওঠেন বুধকুমার। তখন কি আর জানি, সমস্ত বানরদের বানরছাল পুড়িয়ে মানুষ করে তুলতেই কলাবতীদের এ ধরাধামে আগমন! আর তারপরেও “সেই পুত্রের বাঁদী হয়ে আসব তোমার ঘর।” হায় কলাবতী, হায় নারীজন্ম!
ক্লাসরুমে বসে দেখতাম টিনের চালের উপর দিয়ে বৃষ্টির ছাঁট উড়ে যাচ্ছে সোজা লাইন ধরে। একটার পর একটা লাইন তৈরী হচ্ছে, হতে হতে দৌড়াচ্ছে, দৌড়াতে দৌড়াতে উড়ে যাচ্ছে। উড়ে যেত আমার মনও। এবং ক্লাসটেস্টের খাতায় উত্তর লেখার মহা মূল্যবান সময়। মন খারাপ করে বাড়ি ফিরতে ফিরতে মন ভাল হয়ে যেত - সুগন্ধে। পথের ধার ধরে সার দিয়ে মাটিতে পড়ে আছে, কদম ফুল। পরিস্কার দেখে কয়েকটাকে তুলে নিতাম হাতে। প্রস্ফুটিত কদম ফুলে হাত রেখেছি আমি, ছোঁয়া নিয়েছি গালে, চোখে, ঠোঁটে তুলে নিয়েছি তার শিরশিরে কোমলতা। এখন থেকে সমস্ত পরম স্পর্শ মাপা হয়ে চলবে এই ছোঁয়ায় ছোঁয়ায়, চাই বা না চাই।
বাড়ির ভিতর দিকে ছিল পাকা বারান্দা। বৃষ্টির দিনে সেই বারন্দায় উঠে আসত যত রাজ্যের কেঁচো, জোঁক, আরো গুচ্ছের পোকা-মাকড়। জোঁক নিয়ে খুব সতর্ক থাকতে হত। গায়ে বসলে সহজে টের পাওয়া যেত না। গা থেকে জোঁক ছাড়ানোর বা পড়ে থাকা জোঁক মারার জন্য জোঁকের গায়ে নুন ঢেলে দেওয়া হত। একবার মা-এর পায়ের পাতায় একটা জোঁক আটকে ছিল। আমি ঝাঁপিয়ে পড়ে চিমটি কাটার মত করে জোঁকটা তুলে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলাম। ব্যাস। মা একেবারে আপ্লুত, কি সাহস ছেলের! কতজনকে যে গল্প করেছে! আমিও ধরে নিয়েছিলাম খুব বীরত্বের কাজ হয়েছিল। এখন ভাবি, শ্রোতারা মা-ছেলে দুজনকেই বোধহয় মনে মনে বলত - কি আদিখ্যেতা!
তবে, আমার কাছে খুব ভয়ের ছিল - সাপ। সব সময় নজর রেখে চলাফেরা করতাম। মজার ব্যাপার হচ্ছে, জোঁক দেখলেই মেরে ফেলা হত। তা বলে লোকজনেরা কেউ কিন্তু সাপের খবর পাওয়া মাত্রই রে রে করে সাপ মারতে ছুটে আসত না। কত রকম সাপের গল্প যে শুনতাম। বাড়ির ভিতরের উঠানে ছিল ইঁটের পাঁজা। বেশ বড়। মাঝে মাঝে সেখানে, কখনো বা বাড়ির পিছনে ছাইগাদায় বা কলতলা দিয়ে চলে যেত বিভিন্ন রং-এর আর চেহারার সাপ। লতানে গাছের মাচা থেকেও নেমে যেত কখনো কখনো। হুক-কৃমির থেকে বাঁচতে বাড়ির মধ্যে আমাদের চলাফেরা ছিল কাঠের খড়ম পরে। ঘর থেকে বের হবার সময় জোরে জোরে খড়মের আওয়াজ করতাম। সাপেরাও হয়ত অভ্যস্ত ছিল আমাদের চলাফেরায়। কখনো কাউকে ফণা তুলতে বা আমাদের দিকে ছুটে আসতে দেখি নি। আমরা এসে পড়লে সর-সর করে দ্রুত সরে যেত তারা। একবার বেশ চমকে গিয়েছিলাম। বাবা মাঝে মাঝে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় জ্যান্ত মাছ কিনে আনত, কই, মাগুর, শোল। সারা রাত বড় কাঠের পিঁড়ি ঢাকা একটা বালতিতে কলতলায় বা রান্না ঘরে রাখা থাকত তারা। পরদিন মা সেই মাছ কেটেকুটে রান্না করত। সেদিন ভোরবেলা বাথরুমে গিয়েছি, ঘুম-চোখ। দেখি একটা খালি বালতি, বালতির পাশে পিঁড়ি আর বালতি থেকে লাফিয়ে বাইরে এসে পড়ে আছে একটা বড় শোল মাছ। আমি সেটা তোলবার জন্য নীচু হয়ে হাত বাড়ালাম। মাছটা মুহুর্তে যেন শরীরের এক প্রান্ত থেকে ভাঁজ খুলে অতি পরিচিত একটা এঁকেবেঁকে চলা লম্বা শরীর হয়ে গেল। আমি তিন লাফ দিয়ে বাইরে।
এ ছাড়া আরো একটা ভয় ছিল - বান। আমরা ছোটরা এটা বিশেষ বুঝতামনা। বড়ররা খুব-ই উদ্বিগ্ন আলোচনা করত। আমাদের বাড়ির মাইল খানেক কি দুয়েক তফাতে বয়ে যেত তোর্সা নদী। দু’পাড়ে তার মাটির বাঁধ। শীতকালের বিকেলে আমরা আমাদের দিককার বাঁধের উপর হেঁটে বেড়াতাম। শান্ত সুন্দর নদীটি। কিন্তু বর্ষাকালে অন্য কাহিনী। ঐ অঞ্চলে সেই আমলে বিদ্যুৎ ছিলনা। ঘরে ঘরে কেরোসিন তেলের কুপি, হারিকেন, সেজবাতি। সন্ধ্যা পার হলেই রাত আসত ঘন হয়ে। ধীরে ধীরে চারিদিক শান্ত, ছমছমে। আর তখন জানালার পাল্লায় কান রাখলে পরিস্কার শুনতে পাওয়া যেত দূরাগত আওয়াজ। একেক রাতে আওয়াজ বেড়ে যেত। তোর্সা ডাকছে। ডাক ত নয়, গর্জন। মা-বাবা উদ্বিগ্ন মুখে রাস্তার দিকের জানালায় গিয়ে দাঁড়ায়, কান পাতে, পরস্পরের মুখের দিকে তাকায়। রাত্তিরে বাঁধ ভেঙ্গে যাবে না ত? মাঝে মাঝে চারিদিক জলে ভেসে যেত। বাঁধ ভেঙ্গে না উপচে জানি না। হয়ত দুই-ই। সব বাড়িই ছিল একটু উঁচু ভিতের উপর। এই সময় বাড়িগুলো দ্বীপ হয়ে যেত। কলাগাছ কেটে বানানো ভেলায় চড়ে এ বাড়ি ও বাড়ির বড় বড় দাদারা এক জায়গা থেকে আর-এক জায়গায় চলে যেত বাঁশের লগি ঠেলে ঠেলে। আমি স্বপ্ন দেখতাম, আমিও একদিন ঐরকম লগি ঠেলে ঠেলে ঘুরে বেড়াব।
স্বপ্ন সফল হয়েছে। লগি-ই ত ঠেলছি। গর্জন বাড়ছে। মোহনা কাছে আসছে।
(এ পর্ব তোমায়, আয়নামতিদিদি)
মন্তব্য
আহ্। কি মিষ্টি করে লিখেছেন। চমৎকার!
শৈশবের বাদলা কাজলা দিনগুলি মনে পড়ে যাচ্ছে
------------------------------------------
'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)
অনেক আপনাকে।
"শৈশবের সেই বাদলা কাজলা দিনগুলি" বড়ই মায়াময়!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নষ্টালজিক স্মৃতিবিধুর কাব্য যেন! কাছাকাছিই ছিলাম ছোটবেলায় কিছুকাল, অবশ্য বাংলাদেশ অংশে। দিনহাটা, সাহেবগঞ্জ, মেখলিগঞ্জেও গিয়েছি।
সেই পাকিস্তান আমলে আপনারা কি উপলক্ষে কোচবিহারে ছিলেন? না, মানে আপনার ঠাকুরমার মুখে পূর্ব-বাংলার ভাষা শুনে একটু কনফিউজড হয়ে গেলাম।
অনেক দাদা।
আমার ঠাকুমা বিক্রমপুরের মেয়ে। বাবা সোনার গাঁ, পানাম-এর; মা ফরিদপুরের। সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছে এ পার বাংলার ভাষায় স্বচ্ছন্দ হয়ে উঠতে। আমাদের বাড়িতে তাই জল আর পানি মিশে যেত অহরহ।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আহা পাকস্থলীতে ইসলাম নেই, নেই কো হিন্দুয়ানী। তাতে যাহা জল তাহা পানি।
আজ জানলার কাঁচে ডেকে গেছে এক পাখির মতন সকাল ♪ ♫
সুখে আছো যারা সুখে থাকো এ সুখ সইবেনা।
দুখে আছো যারা বেঁচে থাকো এ দুখ রইবে না।।
..................................................................
#Banshibir.
একটু সুখ হৈছিল যে পীরবাবা আমার পোস্টে আসিলেন। সরাসরি না হয় নাই কমেন্টাইলেন। কিন্তুক কি গান শুনাইলেন, সে সুখ সৈলনা।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আহারে, যে কারো ছোটবেলার গল্পগলো কেমন মায়ামাখা হয়!
শুভেচ্ছা
[মেঘলা মানুষ]
সেই!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
মুখে আমার সদাই খইয়ের মত কথা ফোটে কিন্তু এ লেখা(উৎসর্গ দেখে কেমন আল্পুত হলাম সে কথা কইলে সব্বাই কবে ঢং! আদিখ্যেতা দেখাচ্ছে) তো সে কথা কেড়ে নিলো হে! আমি তো আর গাতক নই যে কেঁদেকেটে হন্য হবো' আমার কন্ঠ হতে গান কে নিলো, নিলো ভুলায়ে' করে বেশ একটা সুরের ধারা বইয়ে দেবো। শুধু বলে যাই, তুমি লুক্টা বেজাই ভালো, বেজাই রকম খ্রাপ
হ, আমি "লুক্টা বেজাই ভালো, বেজাই রকম খ্রাপ।" হাসতে হাসতে নামিয়ে বসি মন-খারাপের চাপ।
কি করব, তুমার-ই ত দাদাই!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
কী যে বলো না তুমি! আমি বলে কত্তো ভালু। খ্রাপের সাথে মোর হয়নিকো দেখা
না রে দাদাই তুমি অনেক অনেক ভালো। খ্রাপ কেন বলেছিলাম তখন জানো? ভ্যাক করে কান্না পেয়েছিল তাই।
কী আদিখ্যেতা বলো! এত মায়ায়ভরা একটা লেখা সেটা আবার দিলে কাকে? এই পোড়ার মুখী আয়নাকে
পীরবাবার দেয়া গানে মন খ্রাপ করলেই হলো না? বোকার হদ্দ তুমি একটা। ঠিকাছে দেখো কেমন মন্টা ভালু হয়ে যায়!
তুমি, দিদিভাই আর তোমার লক্ষী মেয়েটার জন্য এটা দিলাম। মন খুলে হেসো কেমন!
হাসো তো দেখি! না হাসলে খবর আছে কিন্তু!
ঠিক আছে, যাই তবে, হাসতে যাই।
১৬ মিনিট দেখা হল। এবার ঘুমাতে যেতে হবে। বাকিটা কাল। দু:খ এই যে, সাবটাইটেল না থাকায় ভাষা এক বর্ণও বুঝতে পারছি না। কিন্তু অত্যন্ত ভাল অভিনয় আর পরিচালনা; ফলে ছাড়তেও পারা যায় না!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নাও দাদাভাই, তোমার আয়নাদিদির মত মন ভালো করা আর হাসির কিছু মিছু দিলাম। যদি আগে না দেখে থাকো, অবশ্যই দেখবে কিন্তু। কথা দিচ্ছি না হেসে পারবে না।
ও হ্যাঁ, এইটা কিন্তুক ইংলিশে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
হেঃ হেঃ হেঃ এখন যে আর থামতে পারছি না, একটার পর একটা দেখে যাচ্ছি!
ইংলিশে-ই বটে!
অনেক সফিনাজদিদি
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আহা দাদাই! তবে তো তোমায় বেশ যত্ন করেই কস্ট দেয়া হলো
সাব ছাড়া ওটা দেখে তো আসল মজাটাই পাওয়া যাবে না!
আমি যেটা দেখেছিলাম সেটায় সাব ছিল রে! ওটা তুলে নিয়েছে কপিরাইটের কারণে।
তুমি এখন সাফিনাজের দেয়া ওটা দেখে প্রাণখুলে হেসে নাও। আমি এট্টুক চোখ বুলিয়ে দেখেছি হাসির কিন্তুক মোট কথা মন ভালো থাকা চাই, বুঝলে? আর নীচে দেখো পাণ্ডবদা কী বলে গেছেন। ওঁর এমন কথার পর যদি ফের লিখা নিয়ে আন্টু বান্টু করেছো তো কী করার কাজ সেটা ভেবে নিয়ে বলবোক্ষণ
হা: হা: হা: হা:।
পান্ডবদার কথায় অসাধারণ আনন্দ পেয়েছি - বোঝাবার মত ভাষা আমার নেই।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
দাদাভাই, কি অদ্ভুত মায়া জড়ানো লিখা লিখেছ !!!
বুনোজাম গল্পের সূচনালগ্নে লিখেছ তুমি নাকি গদ্য লিখতে জাননা, এই বুঝি তার নমুনা, বেশ বেশ।
আমিও দেখেছি, হায় শৈশব- হারিয়ে ফেলেছি !!!
শৈশবের গল্পগুলো সবসময় সুন্দর হয়।
ভাল থেক।
ক্যালিডোস্কোপ - ২ এর অপেক্ষায় রইলাম।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
সফিনাজদিদি, আমার লেখা ঐ ঠেলে ঠেলে লগি বাওয়া। সে যাক। পড়ে তোমাদের ভাল লাগল, লিখে আমার ভাল লেগেছে। আর কি চাই! এই খুশীতে হয়ে যাক।
শৈশব হারিয়ে গেছে - বাইরে। মনের মাঝে ডুব দিয়ে দেখো, সেখানে সে আরো উজ্জ্বল হয়ে আছে।
আমি ভাল থাকি না, দিদি। কেন? পীরবাবা ঠিক-ই ধরেছে। আমার আর ভাল থাকা হবে না।
তুমি ভাল থেকো।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
****************************************
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
কি বলবো - বৃষ্টিভেজা কাব্য শুনিয়ে মনটা এমন মেদুর করে দিলেন দাদা!
এর পরে কি সূর্যের দিন আসবে? রৌদ্রের তাপ গায়ে মেখে হাটে-মাঠে-ঘাটে ছুটে বেড়ানোর গল্প? অপেক্ষায় রইলাম।
____________________________
অনেক প্রোফেসর সাহেব!
সূর্যের দিন - আসতেই হবে। নইলে পরে কেমনে কি!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
- হায়! আমাদের সন্তানেরা এই দৌড়টা দিতে পারলো না।
কারো লেখা অন্য কারো সাথে তুলনাটা আমার কাছে বিরক্তিকর লাগে। তাই সেই বিরক্তিকর কাজটা নিজেই করতে চাই না। আমার কাছে উত্তরবঙ্গের এমন গল্প মানে দেবেশ রায়। এখন তালিকায় দ্বিতীয় নামটা যোগ করলাম।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পান্ডবদা, দেবেশ রায় উত্তরবঙ্গকে নিয়ে সাহিত্য রচনায় যে উচ্চতায় অবস্থান করেন সেখানে পৌঁছতে পারার কোন প্রশ্নই ওঠে না। ওনার সাথে কোন তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর সে তালিকা আপনার বানানো - এর থেকে বড় উৎসাহ আমি আর কি ভাবে পেতে পারি আমার অন্তত জানা নেই। এত বড় ভরসা দেওয়ার জন্য ‘ধন্যবাদ’ একটি নিতান্তোই অপ্রতুল শব্দ। তাই, সে শব্দ ব্যবহারের প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আমি আপনার লেখাকে দেবেশ রায়ের লেখার সাথে তুলনা করছি না। অসীম রায়ের বর্ণনায় পূর্ববঙ্গ, মিহির সেনগুপ্তের বর্ণনায় দক্ষিণবঙ্গ বা দেবেশ রায়ের বর্ণনায় উত্তরবঙ্গ যেভাবে ফুটে উঠেছে তার তুলনা হয় না। বর্ণনার সাবলীলতা, অথেনটিসিটি, ইতিহাসসংলগ্নতা সব মিলিয়ে তাঁরা যা রচনা করেছেন সেগুলো পাঠকের মনে ঐ জনপদ, তার জনগোষ্ঠী, তার ইতিহাস, তার সংস্কৃতির সাথে যে একাত্মতাবোধ তৈরি করে আপনার বর্ণনা অতোটা না হলেও পাঠককে কিছুটা একাত্ম করে তুলতে পেরেছে। লেখার ক্ষেত্রে সৎ আর মানবিক হলে এমনটা সম্ভব। এজন্য আমার তালিকাতে আপনার নাম যোগ করেছি। আপনি চেষ্টা করলে এইক্ষেত্রে আরো ভালো কিছু হওয়া সম্ভব। আপনাকে ওভাররেট করার বা দেবেশ রায়কে আন্ডাররেট করার কোন দুর্বুদ্ধি আমার নেই। আমার কথায় ভুল বুঝে থাকলে ক্ষমা করবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনি ত প্রথমেই বলে দিয়েছিলেন যে আপনি তুলনা করছেন না। তাই আমি ও রকম কিছু ভাবিই নি। আমি উত্তরবঙ্গে ছিলাম শৈশবে তিনটি বছর মাত্র, কাজেই দেবেশ রায়-এর যে বিপুল অভিজ্ঞতা আমার অভিজ্ঞতা তার ধারে কাছে আসে না। আবার, এ সংক্রান্ত কোন পড়ালেখাও বিশেষ কিছু নেই আমার। যে জীবন এখন যাপন করি তাতে সেই সুযোগ-ও আর নেই। তাই যা লিখেছি, ঐ, আর কিছু হবে না। আর আমি তাতেও খুশী। নিজের ভিতরে যে সঞ্চয় আছে সচলায়তন-এর লেখক-পাঠকের মিথষ্ক্রিয়ার সুবাদে তাকে আবার ফিরে দেখা হচ্ছে - আমার মূল প্রাপ্তি এখানে। মিথষ্ক্রিয়ার ফলে সহযাত্রীদের আনন্দ-দুঃখর সাথে মিলিয়ে মিশিয়ে সেই প্রাপ্তি আরো খানিকটা ভরে ওঠে। আপনার ভাল লাগার খবর জানানো মন্তব্য আমায় আনন্দ দিয়েছে, আরো কয়েকটা দিন, আরো কিছু লিখতে উৎসাহ দিয়েছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অদ্ভুত মায়ায় আছন্ন হয়ে যাওয়ার মতো একটি লেখা । পড়ছি আর চোখের সামনে ভেসে উঠছে সব দৃশ্যগুলি। ছেলেবেলার প্রতি দুর্বলতা টা আর সবার মতো আমারো প্রবল, আমারো ছেলেবেলা ছিলো এমন প্রকৃতির কোলে। ভালোথাকুক লাল ছেলেবেলা।
মাসুদ সজীব
অনেক মাসুদ-ভাই। ভাল থাকবেন।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অদ্ভুত সুন্দর ঝিমধরা আবেশময়! খুবই ভালো লেগেছে।
অনেক দীপ্ত! অনেকদিন আপনার কোন লেখার দেখা নেই।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
চমৎকার লাগলো।
আবারো বলি, চমৎকার লাগলো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনেক তিথী। আবারো বলি, অনেক
আপনার এদেশে আসার কদ্দুর কি এগোল? না কি এসে গেছেন? আসার গপ্পো হবে তো? কবে পাচ্ছি?
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
চমৎকার
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অনেক কবি।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
মুখ ব্যাজার ক্যা? উত্তরবঙ্গের ছেলের উত্তরবঙ্গের কথা মনে পড়ে গেল বলে?
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
হু, উত্তরবঙ্গের ছেলেরা ওদিকে হিল্লি-দিল্লি করে বেড়াচ্ছে, আর আমি?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সাক্ষীমশাই আপনার কোয়ান্টাম-এর পোস্ট আমি লোককে ডেকে ডেকে পড়ে শোনাই। ওই রকম লেখার কণামাত্র লিখতে পারলে আমি ধন্য হয়ে যেতাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
এমন লজ্জায় ফেলে দিলে তো বিজ্ঞান নিয়ে লিখতেই সাহস হবে না আর। আপেক্ষিকতার সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছি। আরও সাবধানী হতে হবে দেখছি।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধুর দাদাই! সাক্ষীর পেটে পেটে হিংসে আমায় উৎসর্গ করেছো তাই দুঃখে মরে যাই মরে যাই অবস্হা!
সচলে দেখি উত্তরবঙ্গীয় কম নেই একেবারে
উৎসর্গ - হিংসা, অ ...
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
সচলে অনেকদিন অনিয়মিত আমি। আজ ক্যালিডোস্কোপ-২ পড়ে ছবি দেখার লোভে ক্যালিডোস্কোপ-১ খুঁজে পড়লাম।
পড়ে ভুল করেছি। মনে হচ্ছে না পড়াই ভালো ছিলো।
কারণ এই ৪৪ বছর বয়সে আমাকে ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ করে কাঁদানোর জন্য সচলের যে ক'জন লেখক শান দেয়া আঙ্গুল কী-বোর্ডে চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে একলহমা দাদা অন্যতম।
এমন করে লেখেন দাদা! জানেনইতো আমার শৈশবের অনেক কিছু আপনার মতই। আমার বাড়ীও যে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে। কোচবিহার আর রংপুরের মাঝে শুধুই একটা সীমানা প্রাচীর যা আমরা লোভে পড়ে বানাইনি।
এই দৃশ্যটা চোখের সামনে থেকে সরাতে পারছিনা, কিছুতেই।
ইচ্ছে হচ্ছে আবার সেই বুক হু হু করা দিনগুলোতে ফিরে যাই।
ওহ্ দাদা! এই ছিলো আপনার মনে?
হায়, জীবন এতো ছোট কেনে?
**********************
ভালো থাকবেন দাদা।
অসাধারণ একটি লেখার জন্য আপনাকে হাজার কূর্ণিশ।
----------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
ওহো! সত্যিই ত! আপনার পক্ষে ঝামেলাই হয়ে গেল! ছবি নাই, মন-খারাপ করা আছে।
কিন্তু অনেকদিন আপনার দেখা না পেয়ে আমার যে মন খারাপ ছিল, সেটা আজ কেটে গেল!
অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
"কোচবিহার আর রংপুরের মাঝে শুধুই একটা সীমানা প্রাচীর যা আমরা লোভে পড়ে বানাইনি।"
নাঃ আমরা লোভে পড়ে বানাইনি। কিন্তু যারা বানিয়েছিল, তারা বড়ো নির্লজ্জ লোভের থেকেই বানিয়েছিল।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ঘ্যাচাং
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
এক লহমা, ছোট বেলার স্মৃতি সব সময়ই মন খারাপ করে দেয়। ঘুম চোখে স্কুলে যাওয়া। খুব শখ ছিলো মাছ ধরার। পুকুর পাড়েই ছিলো মস্ত মাঠ। বর্ষায় ডুবে যেতো। নতুন পানি পেয়ে কৈ মাছ কান বেয়ে উঠতো মাঠে। বড় শোল শোল মাছের বিচরণ। দিনমান বাড়ির পাশের পুকুরে নুইয়ে পড়া খেজুর গাছের গুড়িতে দাঁড়িয়ে মাছ ধরতাম। কখনও কখনও ঢ্যাঁড়া সাপ কিলিবিলিয়ে সাঁতরে যেতে পাশ দিয়ে। পাঁচ চোকো মাছের সরল চাহনী। কী এক জীবন ছিলো। এক কথায় মনে করিয়ে দিচ্ছেন।
ক্যালিডস্কোপ সিরিজ টা শেষ করতেই হবে। স্মৃতির ডায়রী হারতে মেলা কিছু সামনে চলে আসছে। চমৎকার লাগছে আমার কাছে।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল
শাহ্ ওয়ায়েজ, আপনি এবার আমায় নিয়ে গেলেন আমার ফেলে আসা আরো কত যে দিনে!
অনেক শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নতুন মন্তব্য করুন