• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

ক্যালিডোস্কোপ - ৬

এক লহমা এর ছবি
লিখেছেন এক লহমা [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১০/০৫/২০১৪ - ২:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এমন একটা দিন যায় না যেদিন অন্তত একবার তাঁর গানের কোন কলি, কবিতার কোন ছত্র, নাটকের কোন সংলাপ বা কোন চিত্রকর্মের কথা স্মরণ করি নি। অথচ এমন ত নয়, তাঁর বিপুল সৃষ্টির এক কুচির বেশী কিছু সংগ্রহে এসেছে আমার! আবার তাঁকে বাদ দিয়ে আর কিছুই পড়িনি, শুনিনি, দেখিনি এমনও ত নয়! তবু তাঁর কাছে না এসে উপায় থাকে না।

কয়েকটা দিন আগে, জীবনের এক বিশেষ দিন সেটি, গাড়িতে জ্বালানী ভরা শেষ করে গাড়িতে উঠতে যাব, আমার গাড়ির পরেই যে গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল সেটির চালকের আসন থেকে নেমে এসে ভিক্ষা চাইলেন মহিলা - তাঁর গাড়িটিতেও জ্বালানী ভরে দিতে হবে, এক গ্যালন-দু’ গ্যালন যতটুকু পারি। জ্বালানীর দাম আমার পক্ষে কম নয়। যখন ভরে দিতে শুরু করলাম, আরো দেওয়ার সম্ভাবনাকে খারিজ করে আমি ওনাকে দু’ গ্যালন জ্বালানীই মাত্র ভরে দিলাম। কিন্তু মনটা বিষণ্ণ হয়ে থাকল - বড্ড কৃপণতা হয়ে গেল কি? নিজের গাড়ি ছাড়তে ছাড়তে মনের মধ্যে বেজে যেতে থাকল একসময়ের নানা আসরে উচ্চারিত স্বরকম্পন “তোমায় কেন দিই নি আমার সকল শূন্য করে"।

সেই কোন দূর অতীতে বাবার হাত ধরে তাঁর রাজ্যে প্রবেশ হয়েছিল। এক জন্মদিনে বাবা কিনে দিয়েছিল সঞ্চয়িতা। অত মোটা বই - শুধু কবিতার! আমি তখন এখানে ওখানে কবিতা আবৃত্তি করি। এই বই হাতে পেয়ে তাই আনন্দ হয়েছিল প্রবল মাত্রায়। কিন্তু সে বই পড়তে পড়তে আনন্দ ছাপিয়ে যে মুগ্ধতায় আবিষ্ট হয়ে গেলাম তা আর কাটল না। কত রকমের যে অনুভূতির মুখোমুখি হলাম, কত যে অচেনা জগতের মুখোমুখি হলাম শুধু সেইটি ভাবলেই আজো অবাক লাগে। আমার প্রথম বড়দের বইও ত এই সঞ্চয়িতাই যেখানে মন আর শরীর পরস্পরের গলা জড়িয়ে শিহরিত হয়, মুখর হয়, চূর্ণ হয়, পূর্ণ হয়!

একসময় হাতে এল গল্পগুচ্ছ। এও সম্ভব, এত এত গল্প, এত চমৎকার গল্প! আমার কিশোর মনটা একেবারে নাকানিচোবানি খেতে থাকত গল্পের ঢেউয়ের পর ঢেউয়ে। আজ আর তাদের বেশীরভাগকেই মনে নেই, পরবর্ত্তী পঠনে অনেক গল্পের আবেদন-ও অনেকসময়ই অতটা তীব্র লাগে নি। কিন্তু, সেই সময়ে ঐ গল্পগুলি পড়ার যে আচ্ছন্নতার বোধ তা আজো দূরের মনে হয় না।

একটা সময় ঢুকলাম তাঁর প্রবন্ধ আর নাটকের দেশে। নাটকগুলি যখন পড়ছি, চারপাশে তখন গ্রুপ-থিয়েটারের জোয়ার চলছে। সেখানে বক্তব্য আসছে সমসাময়িক, অনেক প্রাবল্যের সাথে, সেই গতিপ্রবাহে রবীন্দ্রনাটকগুলির আস্বাদ সেই সময়ে ততটা নেওয়া হয়নি, যতটা নিয়েছি পরবর্ত্তী কালে। আর, প্রবন্ধগুলি তুলে ধরেছিল হরেক রকম চিন্তা-চেতনার সম্ভার। তবে সেগুলিও আজকাল উপভোগ করি আরো বেশী।

অন্য আর এক সময় মেতে উঠেছিলাম তাঁর মত করে কাটাকুটি, আঁকিবুঁকি দিয়ে ছবি বানানোয়। ছবি বানানোয় পারদর্শী হতে পারলাম না সে আর কি করা যাবে, কিন্তু ঐ সব ছবিগুলো আঁকার যে মজাটা পেয়েছিলাম সেটা দুরন্ত ছিল।

তবে যা সেই শৈশব-কৈশোর-প্রথম যৌবনে আদৌ সেভাবে বুঝিনি সে হচ্ছে তাঁর গান। যত দিন গেছে, জীবন যত পাক খেয়েছে, তলিয়ে গেছে, আর ভেসে উঠেছে, তত বেশী করে আমার আশ্রয় মিলেছে তাঁর গানে। ছোট বেলায় গানের চরণগুলি আসত-যেত, হাওয়া যেমন আসে যায়, সহজ সরল, সাবলীল কিন্তু একান্তই পরিচিত। যত দিন গেল, গানগুলি বয়ে আনতে লাগল অনাঘ্রাত সুগন্ধ, অশ্রুত বাণী, অদেখা রূপ। একেক বিকেলে কি সন্ধ্যায় মোহন সিংয়ের কন্ঠে যখন অমৃত-বাণী ছড়িয়ে পড়ে , ভাসিয়ে নিয়ে যায় আমার চেতনা, আমার শরীর বসে থাকে চুপটি করে, আর অঝোর ধারে কোথা হতে উপচে আসে শ্রাবণ, বন্ধ দু চোখ বেয়ে। রাগসঙ্গীতে দক্ষ জীবনসঙ্গিনী যখন সমস্ত আর্তি মিশিয়ে তাঁর গান গাইতে থাকেন, তখন যে তীব্রমধুর আবেশে আমার চরাচর ডুবে যায়, সে কি কোন বাস্তব! আসলেই সে কোন মায়ার-ই খেলা!

ছোটবেলায় সারা বছরের সেরা দিনটা ছিল ২৫শে বৈশাখ। বাড়ির সামনে ছিল খোলা বারান্দা। সেখানে একটা চেয়ার কি নীচু টেবিলে ঢাকনা বিছানো। হয়ত বা আমার-ই সেলাইয়ের কারুকাজ করা, সারা বছর তুলে রাখা, দু-একটি বাছাই করা দিনের জন্য। মা-বাবা-ঠাকুমা-আমরা তিন ভাই। কাকিমারা, ছোট্ট ছোট্ট খুড়তুত ভাইবোনগুলি সবাই পরিস্কার জামা-কাপড় পড়ে গোল হয়ে বসেছি। ধূপ জ্বলছে। ভাই-বোনেরা একটার পর একটা কবিতা পড়া চলেছি, চলছে গান গাওয়া। কনিষ্ঠতম ভ্রাতার খোলা গলা। মা, কাকিমারা ও ভাল গাইত। নিজের সম্বন্ধে আমার সেই যুগে খুব উঁচু ধারণা ছিল। গলায় যে সুর নেই সেটা বুঝতাম না। তাই মহানন্দে গেয়ে যেতাম। তবে বেশী গান-ই হত সমবেত গলায়। বয়সের সাথে সাথে নিজের অক্ষমতাকে ধরতে পেরেছি। অসুর-গলাকে যথাসাধ্য এড়িয়ে চলি। ছোটবেলার মানুষগুলিও দূরে দূরে, কেউ কেউ সব দূরত্ব অতিক্রম করে কেবলই স্মৃতিতে। এখন আমার সকল গান গীত হয় নিঃশব্দ উচ্চারণে। এখন ২৫শে বৈশাখ আর দশটা সাধারণ দিনের-ই মত, রবীন্দ্রময়।


মন্তব্য

তিথীডোর এর ছবি

''...এক একটা পৃষ্ঠা বদলে গেছে আমার চোখের সামনে, তারচেয়ে বেশি বদলেছে জীবন আমার। পড়তে পড়তে, শুনতে শুনতে ভেবেছি____ ‘আর কত দূরে নিয়ে যাবে মোরে’? আর টের পেয়েছি___ ‘বেলা বহে যায়, পালে লাগে বায়/ সোনার তরণী কোথা চলে যায়’
এই এই করে বেড়ে উঠেছি। বড় হয়েছি গায়ে গতরে। প্রেমে পড়েছি। প্রেম পড়ে গেছে অনাদরে, অবহেলায়। নিঠুর রাত্রিরে সান্ত্বনা খুঁজেছি___ ‘বুঝা যায় আধো প্রেম, আধখানা মন/ সমস্ত কে বুঝেছে কখন?'

আজ জীবন ও জন্মের দায় মেটাতে মেটাতে ক্লান্ত হয়ে পড়লেও রবীন্দ্রনাথ। ক্ষমা করো বলে, আবার উঠে দাঁড়িয়েও সেই রবীন্দ্রনাথ।.. দেশ ছেড়েছি, বদলে গেছে জীবন। রবীন্দ্রনাথ থেকে গেছেন একই’। আরও কত,কত অসহায় মুহূর্তে প্রার্থনার মতো বলছি-- ‘চিরসখা হে, ছেড়ো না ছেড়ো না...''
______________________________________________
সচল সুমন সুপান্থদার স্ট্যাটাস থেকে কপি করা। আমার প্রথম প্রেমিকটিকে নিয়ে এত সুন্দর করে লিখতে পারি না বলে বড় আফসোস হয়!

তোমায় কেন দিই নি আমার সকল শূণ্য নয়, শূন্য করে। :)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

এক লহমা এর ছবি

আগের কথা আগে, অনেক (ধইন্যা) - ভুল বানান দেখিয়ে দেওয়ার জন্য। ঠিক করে নিয়েছি এখন।

প্রিয় তিথীদিদি, তাঁকে নিয়ে আমাদের যে পথ চলা, সে ত সর্বদাই তাঁর অনুভবেই পূর্ণ হয়ে থাকে। কে কেমন করে লিখতে পারি, এমন কি আদৌ লিখতে পারি কি না, কি বা এসে যায় তাতে। আমাদের সব্বাইকেই তিনি অশেষ করেছেন তাঁর সৃষ্টি দিয়ে!

সুমন সুপান্থ-র হদিশ দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। :)

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

যত দিন গেছে, জীবন যত পাক খেয়েছে, তলিয়ে গেছে, আর ভেসে উঠেছে, তত বেশী করে আমার আশ্রয় মিলেছে তাঁর গানে। ছোট বেলায় গানের চরণগুলি আসত-যেত, হাওয়া যেমন আসে যায়, সহজ সরল, সাবলীল কিন্তু একান্তই পরিচিত। যত দিন গেল, গানগুলি বয়ে আনতে লাগল অনাঘ্রাত সুগন্ধ, অশ্রুত বাণী, অদেখা রূপ। একেক বিকেলে কি সন্ধ্যায় মোহন সিংয়ের কন্ঠে যখন অমৃত-বাণী ছড়িয়ে পড়ে , ভাসিয়ে নিয়ে যায় আমার চেতনা, আমার শরীর বসে থাকে চুপটি করে, আর অঝোর ধারে কোথা হতে উপচে আসে শ্রাবণ, বন্ধ দু চোখ বেয়ে। রাগসঙ্গীতে দক্ষ জীবনসঙ্গিনী যখন সমস্ত আর্তি মিশিয়ে তাঁর গান গাইতে থাকেন, তখন যে তীব্রমধুর আবেশে আমার চরাচর ডুবে যায়, সে কি কোন বাস্তব!

দারুণ একটা মন-কেমন করা লেখা! নিজের সংগেও খুব মিল পেলাম রে ভাই!

-আনন্দময়ী মজুমদার

এক লহমা এর ছবি

অনেক (ধইন্যা) দিদি।
"নিজের সংগেও খুব মিল পেলাম রে ভাই!" - :)

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

সেই কতকাল আগে প্রথম শিখেছিলাম-
আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে

আজ এতদিনে দেখি-
আমাদের রবীন্দ্রনাথ বয়ে চলে জীবনের বাঁকে বাঁকে

এক লহমা এর ছবি

যা বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ বয়ে চলেন আমাদের জীবনের বাঁকে বাঁকে!
অনেক (ধইন্যা)।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আমাদের ছোটবেলায় দেখেছি, প্রায় সব মধ্যবিত্ত বাড়িতে, 'সঞ্চয়িতা' আর 'সঞ্চিতা' রবিঠাকুর আর নজরুল মিলেমিশেই থাকতেন। আমার যৌবনে দেখলাম বাংলার পূর্বাঞ্চলে রবীন্দ্রনাথকে বয়কট করার রাষ্ট্রীয় ঘোষণা। তারই ধারাবাহিকতায় আমার দেশের কর্নধার এই অঞ্চলের কবিদের প্রতি প্রশ্ন রাখলেন, 'আপনারা রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখতে পারেন না! যাহোক, সে সব দিন পেরিয়ে এসে আজ রবীন্দ্রনাথের লেখা গানই বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। মধ্যবিত্ত বাঙ্গালির জীবনে রবিঠাকুর আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছেন।
লেখাটা মন কেড়েছছে। :)

এক লহমা এর ছবি

"মধ্যবিত্ত বাঙ্গালির জীবনে রবিঠাকুর আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছেন।" - ঠিক তাই।
অনেক (ধইন্যা) ভাবনা-দাদা।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলেই, রবীন্দ্রনাথ এত লিখেছেন কিভাবে বলেন তো?

রাগসঙ্গীতে দক্ষ জীবনসঙ্গিনী যখন সমস্ত আর্তি মিশিয়ে তাঁর গান গাইতে থাকেন, তখন যে তীব্রমধুর আবেশে আমার চরাচর ডুবে যায়, সে কি কোন বাস্তব! আসলেই সে কোন মায়ার-ই খেলা!

ছোটবেলায় সারা বছরের সেরা দিনটা ছিল ২৫শে বৈশাখ। বাড়ির সামনে ছিল খোলা বারান্দা। সেখানে একটা চেয়ার কি নীচু টেবিলে ঢাকনা বিছানো। হয়ত বা আমার-ই সেলাইয়ের কারুকাজ করা, সারা বছর তুলে রাখা, দু-একটি বাছাই করা দিনের জন্য। মা-বাবা-ঠাকুমা-আমরা তিন ভাই। কাকিমারা, ছোট্ট ছোট্ট খুড়তুত ভাইবোনগুলি সবাই পরিস্কার জামা-কাপড় পড়ে গোল হয়ে বসেছি। ধূপ জ্বলছে। ভাই-বোনেরা একটার পর একটা কবিতা পড়া চলেছি, চলছে গান গাওয়া। কনিষ্ঠতম ভ্রাতার খোলা গলা। মা, কাকিমারা ও ভাল গাইত। নিজের সম্বন্ধে আমার সেই যুগে খুব উঁচু ধারণা ছিল। গলায় যে সুর নেই সেটা বুঝতাম না। তাই মহানন্দে গেয়ে যেতাম। তবে বেশী গান-ই হত সমবেত গলায়।

আপনার জীবন তো ছবির মত সুন্দর! আপনার লেখাও। ভাল থাকবেন।

ওয়াইফাই ক্যানসার

এক লহমা এর ছবি

সত্যি, রবীন্দ্রনাথ এক পরম আশ্চর্য!
অনেক (ধইন্যা) ওয়াইফাই!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

দীনহিন এর ছবি

এমন একটা দিন যায় না যেদিন অন্তত একবার তাঁর গানের কোন কলি, কবিতার কোন ছত্র, নাটকের কোন সংলাপ বা কোন চিত্রকর্মের কথা স্মরণ করি নি।

কথাটা আমারও।
তার পায়ের পাতা সবখানে পাতা, তাই তাকে স্মরণ করা যায় সবখানে, সব ক্ষণে!

ধন্যবাদ, লহমা!

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

এক লহমা এর ছবি

"তার পায়ের পাতা সবখানে পাতা, তাই তাকে স্মরণ করা যায় সবখানে, সব ক্ষণে!" - সহমত, পুরোপুরি। :)
আপনাকেও অনেক (ধইন্যা) দীনহিন!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

(জাঝা) এটা লেখার জন্য।
(জাঝা) এটা মোহন সিং ভালু পাও সে জন্য।
X( এটা ক্যালিডোস্কোপ ৬ পর্যন্ত এলো আমি জান্লাম না কেনু কেনু সে জন্য।

এক লহমা এর ছবি

থেঙ্ক্যু, থেঙ্ক্যু, আয়নাদিদি! :)
মোহন সিং-কে ভালু না পয়ে কোনো উপায়ই নেই! :)
তাই ত, কেনু কেনু কেনু!!!! :-?

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অনিকেত এর ছবি

যত দিন গেছে, জীবন যত পাক খেয়েছে, তলিয়ে গেছে, আর ভেসে উঠেছে, তত বেশী করে আমার আশ্রয় মিলেছে তাঁর গানে। ছোট বেলায় গানের চরণগুলি আসত-যেত, হাওয়া যেমন আসে যায়, সহজ সরল, সাবলীল কিন্তু একান্তই পরিচিত। যত দিন গেল, গানগুলি বয়ে আনতে লাগল অনাঘ্রাত সুগন্ধ, অশ্রুত বাণী, অদেখা রূপ।

-একেবারে মনের কথা গুলো ভেসে উঠল এই ক'টি লাইনের ভেতর দিয়ে!
কবিগুরু আর আপনাকে--দুজনকেই সশ্রদ্ধ প্রণাম!

এক লহমা এর ছবি

প্রিয় অনিকেত, প্রণাম-এর ব্যাপারটা কবিগুরুর জন্যই থাক, আমি তোমার প্রীতি পেলেই আপ্লুত ভাই। খুব ভাল থেক।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মন মাঝি এর ছবি

(Y)

স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ স্বকণ্ঠে কি বলছেন শুনুন -

****************************************

এক লহমা এর ছবি

খুব ভাল লাগল মাঝি-ভাই। ভাল থাকবেন।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

দাদা যা লিখছো না এবার!! তোমার ক্যালিডোস্কোপের নকশাগুলো দিন দিন আরো খোলতাই হচ্ছে কিন্তু!!

____________________________

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।