ঈশপের গল্প (১১১ - ১১৫)

এক লহমা এর ছবি
লিখেছেন এক লহমা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৯/০৭/২০১৪ - ৭:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।

****************************************
বারে বারে পড়ার মত গল্পগুলিকে একালের বাংলা ভাষায় আমার নিজের মত করে ধরে রাখার ইচ্ছের ফসল এই লেখা।
অনুবাদ ইংরেজী পাঠের অনুসারী, আক্ষরিক নয়। সাথে আমার দু-এক কথা। 

গল্পসূত্রঃ R. Worthington (DUKE Classics)-এর বই এবং আন্তর্জাল-এ লভ্য http://www.aesop-fable.com -এ ইংরেজী অনুবাদের ঈশপের গল্পগুলি।
গল্পক্রমঃ R. Worthington-এর বইয়ে যেমন আছে।
****************************************

(১১১)
The Dog Invited to Supper

নিমন্ত্রণ পাওয়া কুকুরের গল্প

এক ভদ্রলোক বাড়িতে এক বিরাট ভোজের আয়োজন করেছিলেন। তাঁর এক বন্ধুকেও নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। বন্ধুর সাথে সাথে বন্ধুর কুকুরটাও এসে হাজির হ’ল সেই ভোজে। সেই ভদ্রলোকের নিজের কুকুর তখন মালিকের বন্ধুর কুকুরকে দেখে এগিয়ে এল। “এসো দোস্ত" বলল সে, “আমাদের সাথেই আজ খেয়ে নাও।" নিমন্ত্রণ পেয়ে সে কুকুরের ত মহা আনন্দ হল। ভোজের আয়োজন দেখে সে মনে মনে বলল, “বিরাট ব্যাপার, কোন সন্দেহ নেই এতে, সত্যি বলতে কি খুবই সৌভাগ্য আমার। যা যা মন চায় খাব আজকে, ভাল করে খেয়ে নেওয়া দরকার আজ রাতে, কে জানে কাল আবার কতটুকু খাবার জুটবে।" নিজের মনে এইসব ভাবনা ভাবতে ভাবতে মহা খুশীতে সে তার লেজ নাড়াতে থাকল। এক ফাঁকে নিজের বন্ধুর দিকে তাকিয়ে চতুর একটা হাসিও দিয়ে দিল সে। কিন্তু তার এই লেজ নাড়ানো পাচক মশায়ের নজরে পড়ে গেল। অচেনা অজানা এক কুকুর দেখে সে সোজা সেটার ঠ্যাং ধরে জানালা দিয়ে নীচের রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দিল। মাটিতে পড়ার পর কঁকিয়ে উঠে সেই কুকুর রাস্তা ধরে হাঁটা দিল। তার আওয়াজ শুনে রাস্তা থেকে অন্যান্য কুকুররা ছুটে এল তার কাছে। তারা তাকে জিজ্ঞেস করল কেমন ভোজ খেল সে। “আমার মনে হয়," বলল সে, একটা দুঃখের হাসি মুখে ঝুলিয়ে, “আসলে আমি ঠিক মত জানিই না, তরল পানীয়তে ডুবেছিলাম তো, কোথা দিয়ে কি ভাবে যে ও বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছি সেটা পর্যন্ত ধরতে পারিনি।"

প্রাচীন বচনঃ পিছনের দরজা দিয়ে যারা ঢোকে, জানালা দিয়ে তাদের ছুঁড়ে ফেলা হলে সেই নিয়ে তাদের কোন অভিযোগ করা সাজে না।

আমি বলিঃ বড়লোকের সাঙ্গ-পাঙ্গদের অনুগ্রহের কোন ভরসা নেই, একজন ডেকে নেবে ত আরেকজন তুলে আছাড় মারবে। বাঁচতে হলে এদের দূরে থাকাই ভাল।

(১১২)
The Frogs Asking for a King

ব্যাঙেদের রাজা চাই

ব্যাঙেদের খুব দুঃখ, তাদের কোন রাজা নেই। তারা দেবরাজ জুপিটারের কাছে আবেদন জানাল তাদের জন্য রাজা পাঠাতে। জুপিটার দেখলেন, এই ব্যাঙেরা নিতান্তই সহজ সরল। তিনি একটা বিরাট কাঠের গুঁড়ি তাদের মাঝখানে ফেলে দিলেন। কাঠের গুঁড়ির ঝপাং করে জলে পড়ল। সেই পড়ার চোটে ভীষণ ভয় পেয়ে ব্যাঙেরা গভীর জলে লুকিয়ে পড়ল। কিন্তু যেই তারা দেখল যে গুঁড়িটার কোনই নড়ন চড়ন নেই, দল বেঁধে জলের উপর ভেসে উঠল সবাই। গুঁড়িটার প্রতি তাদের আর বিন্দুমাত্র ভয় নেই। এমন অবস্থা হল, তারা ওটার গা বেয়ে ওটার উপর চড়ে বসে রইল। একসময় তাদের মনে হল, এমন একটা নিষ্কর্মা রাজা পাঠিয়ে দেবরাজ তাদের প্রতি বড়ই অবিচার করেছেন। তারা জুপিটারের কাছে আবার একজন রাজা পাঠানোর জন্য আবেদন জানাল। ইন্দ্র একটা ঈল মাছ পাঠিয়ে দিলেন তাদের উপর রাজত্ব করার জন্য। ঈল নড়ে চড়ে, ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু বড়ই ভাল সে, খুবই শান্ত স্বভাব। ব্যাঙেদের মন ভরল না। তারা আরো একবার জুপিটারের কাছে রাজা পাঠানোর অনুরোধ করল। জুপিটার তাদের ক্রমাগত অভিযোগে অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে একটা বককে পাঠিয়ে দিলেন তাদের রাজা করে। বকটা দিনের পর দিন ব্যাঙগুলোকে খেয়ে চলল যতদিন পর্যন্ত অভিযোগ জানানোর জন্য একটা ব্যাঙও আর পড়ে রইলনা।

প্রাচীন বচনঃ পরিবর্তন আনার সময় খেয়াল রাখা দরকার যে পরিবর্তনটা ভালর দিকে হচ্ছে।

আমি বলিঃ দুর্বৃত্ত শাসক এসে যখন জান-মানের বিনাশ ঘটায় তখন বোঝা যায় কোন শাসকের বদলে কোন শাসক এসেছে। তখন বোঝা যায়, সব শাসক সমান নয়। যদিও ততক্ষণে অনেকই দেরী হয়ে যায়।

(১১৩)
The Prophet

ভবিষ্যৎ বলা দৈবজ্ঞ

বাজারের মাঝখানে বসে এক দৈবজ্ঞ পথ-চলতি লোকেদের ভবিষ্যৎ বলে যাচ্ছিল। হঠাৎ একটি লোক ছুটতে ছুটতে এসে তাকে বলল যে কারা যেন তার ঘরের দরজাগুলো ভেঙ্গে ফেলেছে। আর, তার সব জিনিষপত্র তারা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এই শুনে দৈবজ্ঞটি হায় হায় করে উঠে যত জোরে পারে নিজের বাড়ির দিকে ছুট লাগাল। তার এক প্রতিবেশী তাকে এইভাবে দৌড়ে যেতে দেখে বলল, “ওঃ! আপনি! তা আপনি ত বলেন যে সব লোকেদের ভবিষ্যৎ আপনি আগে থাকতেই বলে দিতে পারেন। এইটা তা হলে কি করে হল যে নিজের ভবিষ্যৎটাই আপনি আগাম জানতে পারলেন না?"

প্রাচীন বচনঃ (এই গল্পের জন্য কোন প্রাচীন বচন পাইনি)

আমি বলিঃ দৈবজ্ঞের ক্ষমতার অসারতার বিষয় ঈশপ কবেই বলে গেছেন। কিন্তু ভবিষ্যৎ-এর কথা আগাম জানতে মানুষ এতই ভালবাসে যে দৈবজ্ঞের কথা শুনতে চাওয়া লোকের সংখ্যা কমার বদলে বেড়েই চলেছে।

(১১৪)
The Dog and his Master’s Dinner

কুকুর আর তার মালিকের খাবার

এক কুকুর রোজ তার মালিকের কাছে খাবার পৌঁছে দিত। খাবারের ঝুড়ি থেকে আসা চমৎকার সব খাবারের গন্ধে সেই কুকুরের খুব লোভ হত খাবারগুলো চেখে দেখার। কিন্তু, নিজেকে সব সময় সামলে নিত সে। বিশ্বস্ততার সাথে নিয়মিত সে তার কাজ করে যেত। কিন্তু একদিন পাড়ার সব কুকুরেরা একসাথে তার পিছু নিল। চোখে তাদের তীব্র আকাঙ্খা, মুখ থেকে লোভ ঝরে পড়ছে। সমানে তারা চেষ্টা করতে থাকল ঝুড়ি থেকে খাবার চুরি করে খেয়ে ফেলার। বিশ্বাসী কুকুরটি অনেকক্ষণ তাদের থেকে পালিয়ে পালিয়ে থাকার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ধাওয়া করে আসা কুকুরগুলো এক সময় এমন ভাবে তাকে ঘিরে ধরল যে সে দাঁড়িয়ে পড়ল। কুকুরগুলোর সাথে তর্ক করে সে তাদের বোঝাতে চাইল যে তারা কাজটা ঠিক করছে না। চোর কুকুরগুলো ঠিক এটাই চাইছিল। তারা এমনভাবে তাকে বিদ্রূপ করতে রইল যে একসময় সে রাজী হয়ে গেল। “ঠিক আছে, তাই হোক,” বলল সে, “তবে, ভাগাভাগিটা কিন্তু, আমি নিজে ঠিক করব।" এই বলে মাংসের সবচেয়ে ভালো টুকরোটা সে নিজের জন্য তুলে নিল আর বাকিটা ঐ কুকুরগুলোকে দিয়ে দিল।

প্রাচীন বচনঃ লোভের সাথে আলোচনায় বসলে লোভের হাতে পরাস্ত হওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশী থাকে।

আমি বলিঃ সম্পদের অংশীদার না করে চিরকাল কাউকে দিয়ে সেই সম্পদের ভার বওয়ান যায় না। একদিন না একদিন সেই বঞ্চিত লোক ঐ ভার লুট করে নেবেই।

(১১৫)
The Buffoon and the Countryman

ভাঁড় ও স্থানীয় লোক

এক ভদ্রলোক ছিলেন, যেমন বড় ঘরের, তেমনি বিরাট বড়লোক। সাধারণ লোকেরা যাতে বিনা পয়সায় আমোদ-আহ্লাদ করতে পারে তার জন্য তিনি একটি রঙ্গমঞ্চের বন্দোবস্ত করেছিলেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে ঐ মঞ্চে কেউ যদি নুতন কোন মজাদার কিছু করে দেখাতে পারে তবে তাকে তিনি অনেক পুরস্কার দেবেন। এক ভাঁড়, রঙ্গ-রসিকতায় খুব নাম-ডাক ছিল তার, বলল যে সে এমন মজার খেলা দেখাবে যা কোন মঞ্চে আগে কেউ কখনো দেখায়নি। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ল এই কথা। চারিদিকে একেবারে হৈ হৈ পড়ে গেল। নির্দিষ্ট দিনে নুতন মজা দেখার জন্য রঙ্গমঞ্চের সামনে প্রচুর লোকের ভীড় হল। ভাঁড়টি মঞ্চে এল এক সময়। তারপর একটা বাচ্চা শূয়োরের চিঁ চিঁ আওয়াজ নকল করে ডেকে উঠল। নকল করার কাজটা সে এত ভালভাবে করেছিল যে দর্শক-শ্রোতারা সাব্যস্ত করল, লোকটির ঝোল্লা জোব্বার নিচে নিশ্চয়ই একটা বাচ্চা শূয়োর লুকোনো আছে। তারা দাবী করল যে লোকটিকে তার জোব্বা ঝেড়ে-ঝুড়ে দেখাতে হবে। জোব্বা ঝাড়াঝুড়ি করেও যখন কিছু বের হল না, তখন তারা প্রবল হাততালি দিয়ে লোকটিকে বাহবা জানাল। স্থানীয় একজন সাধারণ লোক এইসব দেখে-শুনে বলল, সে ও আসছে কাল এই মজাটাই করে দেখাবে। পরের দিন ভীড় আরো বিরাট। দুই অভিনেতাই মঞ্চে হাজির। ভাঁড়টি আগের দিনের মতই বাচ্চা শূয়োরের ডাক নকল করল, দর্শক-শ্রোতারাও আগের দিনেরই মত তাকে প্রচুর বাহবা দিল। এবার স্থানীয় লোকটির পালা। সে এমন একটা ভঙ্গী করল যেন তার জোব্বার নীচে একটা বাচ্চা শূয়োর লুকিয়ে রেখেছে (আসলেই রেখেওছিল), তারপর যেন সে সেই শূয়োরের কান ধরে টানাটানি করল আর, শূয়োরের চিঁ চিঁ আওয়াজ শোনা গেল। লোকেরা অবশ্য সেই আওয়াজ শোনার পর রায় দিল যে একটু আগে ভাঁড়টি আরো ভালভাবে শূয়োরের ডাক নকল করে শুনিয়েছে। এইবারে এই সাদাসিধে স্থানীয় লোকটি জোব্বার ভিতর থেকে একটি বাচ্চা শূয়োর বার করে আনল। সবাই অবাক হয়ে দেখল, কি বিরাট ভুল ধারণা তারা করে বসেছিল (ভাঁড়টির ক্ষমতা বিষয়ে)।

প্রাচীন বচনঃ সমালোচকদের উপর সবসময় ভরসা করা যায় না।

আমি বলিঃ নানা রকম বুকনি শুনে যাদের যত বড় বলে মনে হয়, ভাল করে খোঁজ নিলে পর তাদের আর তত বড় বলে না মনে হওয়ার সম্ভাবনা ভালই।


মন্তব্য

দীনহিন এর ছবি

বরাবরের মতই উপভোগ্য ও শিক্ষনীয়, এক লহমা দাদা!

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

এক লহমা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা, দীনু-দা!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মেঘলা মানুষ এর ছবি

পরিবর্তন আনার সময় খেয়াল রাখা দরকার যে পরিবর্তনটা ভালর দিকে হচ্ছে।

ঠিক কথা! আমরা খালি পরিবর্তন করতেই/আনদেই/দেখতেই ব্যস্ত।

শুভেচ্ছা হাসি

এক লহমা এর ছবি

সেইটাই। অনেক ধন্যবাদ মেঘলা মানুষ!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

এবারের পর্বে একটু তাড়াহুড়ো করেছো মনে হলো। দু' একটা বাক্য চোখে লাগলো। নাকি আমারই চোখের দুষ রে!
যাইহোক, তোমার এই সিরিজটা লিখা হয়ে গেলে বই আকারে বের করো, বুঝলে?
মেয়ে'র ছেলেপুলেদের জন্য অসাধারণ একটা উপহার হবে! বুদ্ধিটা চ্রম কিনা বলো? আমার কিন্তু ১% চাই ভাগ হ্যাঁ দেঁতো হাসি

এক লহমা এর ছবি

তাড়াহুড়ো নয় রে দিদি, তুমার চোখের দোষও নয় বলেই মনে হয়। ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম, লম্বা লম্বা গল্প, অথচ গল্পগুলো থেকে খুব একটা আমেজ পাইনি। যে বাক্যগুলো চোখে লাগল, জানালে ভাল হত, সেগুলো নিয়ে কিছু করা যায় কি না একটা চেষ্টা দিতাম।

আর সিরিজ!

মেয়ে বাংলায় গল্প করতে পারে ঘন্টার পর ঘন্টা, কিন্তু পড়তে পারে না। কোনদিন সে ব্যাপারে সময় পাওয়ার পরিস্থিতি আসবে বলেও কোন সম্ভাবনা দেখি না। মেয়েরই এই অবস্থা, তার আবার ছেলেপুলেরা পড়বে! মন খারাপ তবে তুমার ছেলেপুলেরা পড়বে এইরকম একটা আশা করতেই পারি, কি কও? হাসি

অনেক বকবক করলাম এইবার কিছু আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- লও। বেশী দিলাম না। বেশী আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা--র আজকাল কয়, দুর্নাম হৈচ্চে!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

ভাবনা ভাবতে ভাবতে খুশীর চোটে তার লেজ নড়তে রইল।

লেজ নড়তে থাকলো/নাড়াতে থাকলো'পড়ে অভ্যস্হ তো চোখ/মন তাই 'রইল' তে এসে কিরাম কিরাম জানি ঠেকলো।
আমার পড়ার এবং জানার দৌড় ভীষণ বেপুক সীমিত দাদাই, তাই ভুল হয়ে থাকলে নিজ গুণে ক্ষমা করতে হবেক দেঁতো হাসি

রাঁধুনী পাচকটির।

'রাধুনী' স্ত্রী বাচক শব্দ আবার 'পাচক' পুরুষবাচক ইহাদের ঠিক ব্যাটে বলে হচ্ছে না যেন( ভুল কইলে ভুলে যাও হে দেঁতো হাসি )

বকটা দিনের পর দিন ব্যাঙগুলোকে খেয়ে চলল যতদিন না অভিযোগ জানানোর জন্য একটা ব্যাঙও আর পড়ে রইলনা।

কেন মনে হচ্ছে একটা 'না' কে হটাতে হবে?

এক কুকুরকে শেখান হয়েছিল মালিকের কাছে নিয়মিত তার খাবার পৌঁছে দিত।

এই লাইনটা আবার লিখো কষ্ট করে। ঠিক লাগছে না আমার( এহ ভারী আমার এলেন বিদ্যাবতী মালতিবালা বালিকা বিদ্যালয়!!)

থাক বাপু দুঃখ করো না ছানাপোনাদের হয়ে আমিই পড়ে নেবো ডাবল ডাবল হবে না? তার জন্য আয়নার ছানাপোনা ফোটাবার দক্কার নাই। বিয়ের ফাঁদে ফেলতে চাও কায়দা করে বুঝি না না! আমি একাই একশ দেঁতো হাসি আগে বই করো।
বেশি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-র ব্যাপারটা মাথায় ঢুকেনি। ঘটমা কিতা?

এক লহমা এর ছবি

এই না হইলে আমার আয়না দিদি! তুমার সব কয়টা সংশোধনী নিয়া নিসি। আরো কিছু টুকটাক পাল্টায় দিসি! দেঁতো হাসি

ফাঁদ ... হুম্-ম্-ম্ চিন্তিত হাসি

বেশি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- -র ব্যাপারটা ...
কয়দিন আগে ফাহিমা দিদি রক সিটি নিয়া মেঘলা মানুষের লেখায় ওনারে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দিতে গিয়া এই সব কথা কইছিল হাসি
"আপনারে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দিতেও ভয় হচ্ছে। আজকাল আবার আপনারে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- বিপদজনক কিনা!
http://www.priyo.com/2014/06/29/77927.html"

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

এক লহমা দা কেন আমায় বদনাম করছেন ওঁয়া ওঁয়া । আমি লিখেছিলাম '' কি যে লিখব বুঝতে পারছি না। সবাই সবকিছু লিখে ফেলেছে। আপনাকে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দিতেও ভয় হচ্ছে। আজকাল আবার আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- বিপদজনক কিনা!'' আপনাকে আপনারে হয়ে গেল কিভাবে বুঝলাম না চিন্তিত

ফাহিমা দিলশাদ

এক লহমা এর ছবি

বদনাম কৈল্লাম কৈ গো দিদি, তোমার কথাটা শুধু আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা--র ঐ লিঙ্ক (প্রসঙ্গ-সহ) জানান দেওয়ার কারণে এইখানে উল্লেখ করছিলাম। কিন্তুক ঐ ভুলটা হৈচ্চে - "আপনাকে" লিখতে গিয়া "আপনারে" লিখা দিছি - কি আর করবা, মাফ কৈরা দাও। হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

হাসি
জানলাম আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- র বেশিবেশির রহস্য। আয়হায়! আমি তো এটা বেশ পছন্দ করি খেতে ইয়ে, মানে...
আচ্ছা দাদাই সাফিনাজের খবর জানো কিছু? তাকে দেখিনা অনেকদিন!

এক লহমা এর ছবি

সফিনাজ লিখছিল সে দেশে ফিরে যাচ্ছে। আমি জিগাইছিলাম ফিরা যাওয়া মানে কি, পুরাই ফিরা যাওয়া না বেড়াইতে যাওয়া। তার আর জবাব পাই নাই। মাঝখানে একদিন তারে খানিকক্ষণের জন্য লগাইতে দেখছিলাম। সময়মত বার্তা পাঠায় ধরতে পারি নাই।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

সাইকেলওয়ালিটা কুথায় যে গেলু চিন্তিত তোমার কাছে তার যোগাযোগের ঠিকানা থাকলে দিবে নাকি? অবশ্য তার বিনানুমতিতে নেয়া ঠিক হবে কিনা বুঝচ্ছিনা। ঝকমারি তো!

অতিথি লেখক এর ছবি

ধব্যবাদ এক লহমা দা আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- । এই বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনার লেখা গ্রীষ্মের দাপদাহের পর এক পশলা বৃষ্টির মত মনে হল। একটু ভিন্ন স্বাদের আমেজ এনে দিল। তাই আরও একবার আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- । যদিও শুনেছি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আজকাল বিপদজনক কিন্তু মনে হয় এর প্রভাব আপনার উপর পড়বে না হাসি

ফাহিমা দিলশাদ

এক লহমা এর ছবি

আপনাকেও অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- ফাহিমাদিদি হাসি , আর আপনি ঠিকই ধরেছেন, আমাকে যত খুশী আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দেওয়া যাইতে পারে, আমি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা--প্রতিরোধী হো হো হো
কিন্তু এত আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- পাওয়ার পর আপনারে আর আপনি-র দূরত্বে রাখা ঠিক হয় কি? চিন্তিত

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

'কিন্তু এত আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- পাওয়ার পর আপনারে আর আপনি-র দূরত্বে রাখা ঠিক হয় কি?' বুঝলাম না চিন্তিত । যাই হোক আপনার টুকিটাকিতে গিয়ে যেদিন ঘুরে এলাম আলাস্কার গ্লেসিয়ার বে থেকে (পর্ব ৩) পড়লাম সেদিন সেই পোষ্টে আপনি আর বউদির ছবিটাও দেখলাম। আপনি আমার বাবার বয়সী না হলেও আমার ছোট চাচুর বয়সী তো হবেনই। কখনো ইংল্যান্ডে এলে আমাকে জানাবেন। আমার বাবার মাথায়ও বিশেষ চুল নেই। আপনাদের দুজনকে ভাই বলেই মনে হবে।

ফাহিমা দিলশাদ

এক লহমা এর ছবি

যা দেখা যাচ্ছে, আপনার সাথে আড্ডা জমে উঠার প্রবল সম্ভাবনা। :)। আর আড্ডা দিতে গিয়ে আমার আপনি-তুমি বড়ই গোলমাল হয়ে যায়, সেই জন্য অনেক সময় সুযোগ পেলে আপনি-কে হটিয়ে দিই দেঁতো হাসি

আপনার দাওয়াত কবুল। সামনের বছর যদি ইংলন্ড যাওয়ার সুযোগ আসে, আপনাদের সাথে দেখা হওয়ার আশা বিলকুল হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

এক লহমা দা আমি সত্যিই খুব খুশী হব আপনি যদি 'আপনি' - কে হটিয়ে দেন। হাসি

ফাহিমা দিলশাদ

এক লহমা এর ছবি

দিতে পারি তারে দূর করে, কিন্তু এটা হতে হবে দু'তরফা। মানে তুমারেও আমারে তুমি করে ডাকতি হপে। হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়ে, মানে... আমার চেয়ে এত বড় একজন মানুষকে তুমি করে বলাটা মনে হয় শোভন হবে না। কোন সমস্যা নাই আপনি শুরু করেন। এখন আমি এক লহমা দা কে চিনি, আপনি যখন স্বপরিবারে আমাদের বাসায় বেড়াতে আসবেন তখন আমি এক লহমা নামের অন্তরালের ব্যক্তি আপনাকে চিনব, তখন না হয় তুমি বলা যাবে। এমনিতেও আমি আমার পরিবারের সবাইকে এমনকি আমার বাবার কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুকেও তুমি বলি কারণ ওদের কাছে আমি ওদের মেয়ের মত আদরের। তাছাড়া আপনি তুমির সমস্যা আমার না, আপনার দেঁতো হাসি

ফাহিমা দিলশাদ

এক লহমা এর ছবি

তাই হবে দিদি হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

এহ্! নিজেরা নিজেরা কেমন দাবাত দেয়া নেয়া হচ্ছে!! বলি আম্রা কী বানের জলে ভেসে এসেছি নাকি?
হেহেহে..... আমাদেরও দাবাত দিতে হবে, দেয়া চাই। নইলে ঈদের পরই আন্দেলন জুরদার হবে শয়তানী হাসি

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

চলুক
চলুক

এক লহমা এর ছবি

চলুক তবে। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
এমনিতেই মাথায় আর বিশেষ চুল নেই। এই অনুবাদ-এর ঠেলায় কুচো মাপের মাথা থেকে থেকে যে পরিমাণ ভন্-ভন্ করে, তাতে বাকিগুলাও আর বেশীদিন নাই মনে হয়। দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

লম্বা একটা সময় গ্যাপ দিয়ে আবার সচলে সচল হওয়া! তবে তোমার ঈশপের গল্প দেখতে মোবাইলে একবার করে ঢুঁ দিতেই হতো দাদা। পড়েছি আসার সাথে সাথেই, কিন্তু মন্তব্য দেয়া হয়নি।

____________________________

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।