ক্যালিডোস্কোপ ঘুরছে। একই উপাদানগুলি নিয়ে গড়ে উঠছে নানা ছবি। কাকে ছেড়ে কার কথা লিখি! এদিকে, উপাদান ত অতি সামান্য, গড়পড়তা বালকের গড়পড়তা জীবনের টুকিটাকি। অবশ্য, সামান্য উপাদানে কি আর অসামান্য কাজ হয় না! হয় বৈকি! অসামান্য মানুষেরা করেন সে সব। এ ছবিগুলি সে’রকম নয়, নিতান্তই সামান্য, তুচ্ছাতি তুচ্ছ! ইতিহাস ত নয়ই, কোন গল্প বই হিসেবে পাঠযোগ্যতারও দাবীদার নয়, আদৌ কোন পাঠযোগ্যতা আছে কি না তাতেও দ্বিধান্বিত হয়ে আছি। তাহ’লে কেন আর পাঠকের সময় নষ্ট করা! হয়ত পাঠক বেঁচে যাবেন মডারেটরদের অক্লান্ত প্রয়াসে। যদি না যান, জানিয়ে রাখি, তাদের বেদনাকে আরও প্রলম্বিত না করাতে চাইলে, নির্দ্বিধায় আওয়াজ দিতে পারেন, ক্যালিডোস্কোপ যে কুলুঙ্গী থেকে নেমে এসেছিল, সেখানেই তাকে ফেরৎ পাঠিয়ে দেব।
কলকাতাকেন্দ্রিক দক্ষিণবঙ্গের দিনগুলির তুলনায় উত্তরবঙ্গের দিনগুলি ছিল অনেক বেশী গ্রামীণ, মফস্বলী। কিন্তু, নিউ টাউন, কুচবিহার-এর সেই জীবন প্রবাহও ছিলো রীতিমত আধুনিক ও শহুরে - গ্রাম কুচবিহার-এর তুলনায়। গ্রাম কুচবিহার-এর দেখা পেয়েছিলাম একবারই, অতি সামান্য সময়ের জন্য। গিয়েছিলাম এক পিসীর বিয়েতে হাজির থাকতে। পিসী লেখাপড়া শিখেছিলেন। কিছুদিন আমাদের বাড়িতে বেড়িয়ে গিয়েছেন। তবে তার নিজের বসতটি ছিল এক নদীর ধারে, আমাদের শহরটি থেকে খানিকটা দূরে। কতটা দূরে সে আর এখন ধারণা করতে পারিনা। কিন্তু, ঝাপসা হয়ে আসা স্মৃতির আড়ালে এইটা আজো মনে পড়ে যে, দূরত্বটা নিছক ভৌগোলিকই ছিল না, কি কথার ধরণে, কি খাদ্যাভ্যাসে, কি পারস্পরিক আলাপচারিতায় সে দূরত্ব ছিল জীবনযাত্রারও, জীবন বোধের ও হয়ত বা!
তাহাদের সেই গ্রামের নামটি ঘর্ঘরিয়া। গ্রামটি ছিল নদীর পাড়ে, তাহাদের সেই নদীর নামটি, সেটিও ছিল ঘর্ঘরিয়া।
এ লেখা এই পর্যন্ত লিখে ভাবলাম, স্মৃতি ঠিকমত সাথ দিচ্ছে ত? দূরভাষে মা’কে জিজ্ঞেস করে জানতে চাইলাম যে সেই বেড়াতে যাওয়া নিয়ে তাঁর কিছু মনে পড়ে কি না। মা এখন শরীরে প্রচুর-ই অশক্ত। কিন্তু স্মৃতি আর মনন তাঁর, আজও বিপুল ভাবে সতেজ সচলতার হকদার। জিজ্ঞাসামাত্রই স্রোতের মত প্রবাহিত হ’ল নানা পারিবারিক তথ্য। সেই স্রোতের ধাক্কা সামলে ভৌগোলিক তথ্যটি বার করতে গিয়েই গোল বেঁধে গেল। মা বললে নদীর নাম ঘর্ঘরিয়া নয়, তোর্সা। এখন কি করি আমি! শরণ নিলাম অগতির গতি গুগল-এর। মাস খানেক কি তার ও বেশী সময় ধরে ঘুরে বেড়ালাম এ লেখা থেকে ও লেখায়, মানচিত্রের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। যা জানলাম তা বেশ মজার। দূর উত্তরে সেই সোনাপুর, কামসিংগ্রাম এলাকা থেকে যাত্রা শুরু করে ঘর্ঘরিয়া নামের নদীটি যখন দক্ষিণে তোর্সায় এসে মিলেছে তখন শেষের দিকের খানিকটা জুড়ে সে ও এক তোর্সা নাম নিয়েছে, শীল তোর্সা। একটি জায়গায় প্রায় তিন-চতুর্থ বৃত্তাকারে নদীটি যে ভূমিখন্ডকে ঘিরেছে তার উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত জুড়ে নদীটির নাম ঘর্ঘরিয়া আর উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ প্রান্ত জুড়ে নদীটির নাম শীল তোর্সা। এই এলাকাতেই কি তা হলে ছিল নদীর নামে সেই গ্রাম? গুগল দিয়ে খোঁজ করলে কি সব ঘর্ঘরিয়া প্রথম খন্ড, দ্বিতীয় খন্ড-র কথা জানায়। মৌজা বোধ হয় তারা। এমন তা হ’লে হতে পারে, ঘর্ঘরিয়া নামের বিস্তৃত এক এলাকার মধ্য ছিল অনেক গ্রাম। তারই কোন একটায় গিয়েছিলাম আমরা। হায়, আজ আর আমার কোন উপায় নাই জানার!
একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে ঘুরে যাই। এই খোঁজাখুঁজির কালে দুটি নাম চোখে পড়ল। ঘর্ঘরিয়া নদী আর ৩১ নং জাতীয় সড়কের মাঝখানের জমিতে একটি ধনুকাকৃতি দীর্ঘ জলাশয় । নাম তার - শোল মাছের বিল! আর তার পশ্চিম প্রান্তে সামান্য তফাতে একটি বিশাল চৌকো দিঘী। তার নাম? লাল পরীর দিঘী! আহা! কি রোমাঞ্চকর নাম! কিন্তু, কেন এই নামগুলি, কি রহস্য ধরা আছে এখানে? জানি না। গুগল করে কিছুই পাওয়া গেল না। কত যে গল্প চাপা পড়ে থাকে, হারিয়ে যায়, যাচ্ছে! সময় থাকতে লিখে না রাখলে সব স্মৃতিই মিলায় বিস্মৃতিতে!
ঘর্ঘরিয়া গ্রামের স্মৃতি আমার তিনটি। প্রথমটির কথা অবশ্য বলতে ইচ্ছে করে না। আজ আশা করি সকলই অন্যরকম, কিন্তু সেই দিনগুলোতে আমাদের সেই আত্মীয় বাড়িতে কোন ভদ্রদস্তুর শৌচাগার ছিল না। আমাদের ছোটদের জন্য ত নদীর ধার কি মাঠের কোণ ছাড়া অন্য কোন ব্যবস্থাই ছিল না। আজীবন খুঁতখুঁতে মানুষ আমি। ঐ দুটি দিন যে কি ভাবে এ ব্যাপারটা কাটিয়েছিলাম সে ভাবলে আজো সিঁটিয়ে যাই। তবে, সেই যন্ত্রণাকে লঘু করে দিয়েছিল এক মধুর অভিজ্ঞতা। সেই দ্বিতীয় স্মৃতিটি এই বুড়ো বয়সেও অ্যাডভেঞ্চার-এর অনুভূতি ফিরিয়ে আনে। প্রথম দিনের শেষে সম বয়সী যাদের সাথে দোস্তি জমে গিয়েছিল, তাদের থেকে এক বালিকা দ্বিতীয় দিনের সকালে আমায় নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছিল, তাদের জল-জঙ্গল-মাঠ-ঘাট দেখাতে। সারা দিন ঘুরেছিলাম তার সাথে। সে আমায় দেখাল নদী, দেখাল মাঠ, বাগান, গাছ - ফলের, ফুলের! কত যে রকমের গাছ! আর কত যে রকমের ফুল! এবং, ফুলের মধু! তার কাছেই শিখলাম ফুলের গোড়াটা খুলে ফেলে কিভাবে সেখান থেকে মধু চুষে খেতে হয়। সারা সকাল ঘুরে ঘুরে মধু খেয়ে বেড়ালাম দু’জনে, জানা, না-জানা কত যে ফুলের! ভিন্নতর মধুর সন্ধান পাওয়ার আগে সেই আমার পরম মধুর প্রাপ্তি।
তৃতীয় স্মৃতিটি একটি অনুষ্ঠান-এর। বিয়ে উপলক্ষে কীর্তনের আয়োজন হয়েছিল। চারদিক খোলা গোল তাঁবুর মত ম্যারাপ। মাঝখানে গোল চঁদোয়া। তার নীচে, কেন্দ্রের খুঁটিটি ঘিরে নানা ফটো, বৈষ্ণব ধর্মের নানা দিকপালদের। তাদের ঘিরে খোল-কর্তাল ইত্যাদি বাজিয়ে জোর কীর্তন গান হচ্ছে। বেশ ভীড়। ঠাকুমার হাত ধরে আমি সামনের দিকেই বসে পড়লাম। একটু পরে দেখি অবাক কান্ড, ঠাকুমার চোখ দিয়ে জলের ধারা বইছে! আমার রীতিমত ডাকাবুকো ঠাকুমাকে সে দিনের আগে কখনো আমি কাঁদতে দেখিনি। তারপর সামনে তাকিয়ে দেখি, আরো আশ্চর্য! বয়স্ক মানুষেরা ধূলায় গড়াগড়ি দিয়ে কান্নাকাটি করছে। সেদিনই প্রথম দেখেছিলাম ব্যক্তি মানুষের চিন্তা-চেতনা-কাজ-এর উপর সম্মিলিত মানুষের আচরণের প্রভাব। বেলা হয়ে যাওয়ার কারণে যখন আসর ছেড়ে চলে এসেছিলাম ততক্ষণে গোটা আসরটি পরিণত হয়েছিলা একটি একীভূত চেতনা-আধারে। গোটা আসর একসাথে দুলছে, গাইছে, কাঁদছে, গড়াগড়ি দিচ্ছে, উঠে দাঁড়াচ্ছে, আকুতি জানাচ্ছে, আনন্দ প্রকাশ করছে। কথক মানুষটি কখন যে সেই জনতাকে উদ্বেলিত করছে আর কখন যে নিজেই উদ্বেলিত জনতার মিলিত অভিঘাতে ভেসে যাচ্ছে সেটা আর আলাদা করে ধরতে পারছিলাম না। ধরা সম্ভব-ও ছিল না, নিতান্তই ছেলেমানুষ আমার পক্ষে। আজও কি পারি!
কুচবিহারেই প্রথম যাত্রা দেখেছিলাম। খুবই সাধারণ মাপের, পরবর্ত্তীতে যে বিপুল জনপ্রিয়তার বিরাট আয়োজনগুলি দেখেছি তার ধারে কাছেও নয়। মুগ্ধও হই নি তেমন করে। তবুও যে সে রাতের কথা মনে আছে তার কারণ, যাত্রার পরের একটি ঘন্টা। যাত্রার শেষের দিকেই আকাশে বাতাসে টের পাওয়া যাচ্ছিল ঝড়ের সংকেত। কিন্তু গল্প ছেড়ে কার আর উঠতে মন চায়! ফলে লোকেরা যখন একসাথে ঘরমুখী হ’ল, কয়েক পা যেতে না যেতেই ঝড়-জল আছড়ে পড়ল প্রবল মত্ততায়। এগোতে পারছি না। মাথার উপর ঠাস ঠাস করে আছড়ে পড়ছিল বরফের গুলি। আমরা বড়-মেজ দুই ভাই, বাবা আর ঠাকুমা - চারজনের দল। ঠাকুমার হাত ধরে আমি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম বাবার হাত ধরা মেজ ভাইয়ের থেকে। আমরা দু’জন কোন একটা বাড়ির সামনের তিনদিক খোলা, ছাদঢাকা বারান্দায় আশ্রয় নিলাম। ঝড় একটু কমার পর দু’জনে বাড়ি ফিরে দেখি মা জানলা ধরে দাঁড়িয়ে কেঁদে যাচ্ছে নিঃশব্দে। বাবা আর মেজ ভাই সোজা বাড়ি চলে এসেছিল। আমাদের না দেখে বাবা বেড়িয়ে পড়েছিল সঙ্গে সঙ্গে। মিশমিশে কালো রাতে প্রকৃতির ঐ প্রবল তান্ডবের মধ্যে সে লোক ঘুরে বেড়িয়েছে তার ছেলে আর মা-এর খোঁজে। ঝড় পুরোপুরি থামার পরেও কোথাও আমাদের না পেয়ে ফিরে এল নিদারুণ হতাশায় বিপর্যস্ত, বিদ্ধস্ত হয়ে। বাড়িতে এসে দেখে হারানিধিরা ঘরেই হাজির, সুস্থ অবস্থায়। গম্ভীর মানুষটি তখন যে বিরাট আনন্দের ঢেউয়ে উচ্ছসিত হয়ে উঠেছিল তার গভীরতা আমি সে’দিন বুঝি নি। বুঝেছি অনেক প’রে, বিনা সংবাদে, সময়ের মাপহীন সময় যেদিন পার করতে হয়েছিল নিজের সন্তান-এর ঘরে ফেরার অপেক্ষায়, সেই দিন!
মন্তব্য
ছোট বেলায় সারাদিন রোদে ঘুরে ঘুরে কত ফুলের মধু খেয়ে বেড়িয়েছি। বহুকাল আগের কথা মনে করিয়ে দিলেন। আপনার লেখা সব সময়ই ভাল লাগে। এবারও ভাল লাগল।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
ধন্যবাদ, সোহেল। অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
কত চমৎকারভাবেই না তুলে এনেছেন সেই সব দিনের গল্প!
চলুক , লহমাদা!
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
ধন্যবাদ, দীনুদা!
চলুক তবে!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অনেক আর শুভেচ্ছা আপনাকে!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
এত মায়া দিয়ে লিখো তুমি একলহমাদি!! ঘর্ঘরিয়া নামটা তোর্সার মতই সুন্দর।
তোমার সেই পিসীর সন্ধান করতে পারলে ঘর্ঘরিয়া নামের মীমাংসা করা যেতো হয়ত বা।
স্মৃতিকথা সবাই এমন করে লিখতে পারেন না। তাহলে এমন কথা আসে কেনু
ধানাই পানাই রেখে লিখে যাও লক্ষী ছেলের মত। ভালো থেকো।
এক লহমাদি?? আমিতো ভেবেছিলুম এক লহমাদা
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
এক লহমা দাদাই, দিদি নয়। উনার বেশ কিছু ব্লগ আর মন্তব্যে গিন্নীর কথা এসেছে। বৌদি তানপুরা বাজিয়ে গলাও সাধেন মাঝে মধ্যে, আর পাশের ঘরে দাদা বসে সচলান। কি ঠিক বললাম?
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
এ পড়ুয়া মন লাগিয়ে পড়ে, মনেও রাখে
আর হ্যাঁ, আপনার 'ফুটা আর ফাটা' পড়ে এলাম। গোটা গল্পটা - বিষয়, ভাষা সব নিয়েই একেবারে ফাটাফাটি!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
হইল!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
বিভ্রান্ত হবেন না সোহেল মরুঝড়ে! আপনি নিজেই বরং একলহমার টুকিটাকিতে গিয়ে ওঁর স্বকন্ঠের আবৃত্তি শুনে একই সাথে টাশকিত এবং আনন্দিত হয়ে নিন
আরে, সেই পুরাতন ধন্দ আবার ফিরে এলো নাকি? সাক্ষী সত্যানন্দ আর এক লহমার দাদা বা দিদিত্ব নিয়ে কী চরম আলোচনাই না হয়েছিল!!
____________________________
না না কোন ধন্দ নেই একলহমাদি কে নিয়ে। সত্যানন্দ দিদি জান্তেম না তো
বাহ! বেশ হলো আরেকটা দি' পাওয়া গেলো
অপ্রাসঙ্গিকভাবে আমাকে নিয়ে টানাটানি ক্যানো হে প্রোফেসর?
সম্প্রচার নীতিমালা'র ৫.১.৩ ধারায় নালিশ দিমু কিন্তুক
তাতে কাম না হইলে ডাইরেক্ট একশান ৩.৪.৫ ধারা
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
অপ্রাসঙ্গিক কই হলো হে - একবার কে যেন সাক্ষী দিদি বলে ডাকলো না আপনাকে - বেশ মজা করে তার উত্তর দিয়েছিলেন আপনি, এখন আবার ফাল পাড়েন ক্যা?
____________________________
ফাল পাড়লুম কখন? আগে আন এডিটেড ভিড্যু দেখান
নাইলে নিজের বেইজ্জতির লিঙ্ক নিজেকেই দিতে হবে দেখছি
ইতিহাস ঘেঁটে দেখলুম, ওখানেও কালপ্রিট আপনিই ছিলেন
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
থ্যাঙ্কু ফর দা লিঙ্ক!!!
হৈ মিয়া, তীর্থ চক্রবর্তী আপনার রূপে মুগ্ধ হৈয়া (!!) মন্তব্য করলো, আর আপনে চাপাইলেন আমার ঘাড়ে! কন কি!!
____________________________
প্রোফেসর সাহেব বলছিলাম কি, যদি আইনগত ঝামেলায় জড়ানোর ভয়ে আপনি ইতিমধ্যেই কাতর হয়ে না থাকেন তাহলে কি সাক্ষী সত্যানন্দ আর এক লহমা দাদার "দাদা বা দিদিত্ব নিয়ে যে চরম আলোচনাটা" হয়েছিল তার লিংকটা পেতে পারি পিলিজ
ফাহিমা দিলশাদ
সে আলোচনার লিংক যে খুঁজে পাচ্ছি না বাপু - কোন এক সময়ে (তখন আমরা অতিথি লেখা ছিলুম) দুয়েকটা পোস্টের কমেন্টে দাদা/দিদি নিয়ে টানাটানি হয়েছিল বলে মনে পড়ছে!!
____________________________
উত্তরবঙ্গের নদীগুলোর কী যে সব সুন্দর নাম!
সে পিসীর সাথে উত্তরবঙ্গ ছাড়ার পর আর কোন যোগাযোগ ছিল না। খোঁজ পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই
তাই হবে আয়নাদিদি, লিখেই যাই তবে!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ঠিক বলেছো একদম! দারুণ সব নাম নদীগুলোর। অবশ্যই লিখে যাবে। লিখেই যাবে
হা হা হা!
এক লহমাদার বারবার এভাবে দিদি বনে যাওয়া দেখে ল্যাপির উপর ঝুঁকে সচল পাঠরত এক লহমার ঘাড়ের পেছন থেকে উনার গিন্নীর হাসির শব্দ শুনতে পাচ্ছি। শুনলাম সবার দেখাদেখি উনিও নাকি এখন এক লহমাদাকে দিদি ডাকা আরম্ভ করেছেন। বেচারা এক লহমাদা!
****************************************
উঠেন, উঠেন, মাঝি-দাদা, আর গড়াগড়ি দিয়ে হাসে না! জনান্তিকে জানিয়ে রাখি, আপনার অনুমান যথার্থ।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
একলহমাদি দাদাভাইকে আমার শুভেচ্ছা দিতে ভুলে যেও না যেন। তা তোমার তানপুরার তালিম ঠিকঠাক হচ্ছে তো? ফাঁকিঝাঁকি দিও না বাপু। সেবার কিন্তু সপ্তমীর মীড়ে গিয়ে খানিক হোঁচট খেতে হয়েছিল। মনে আছে? ঐ যে টেনিসির সেই গানের বৈঠকে? আহা কিসব আড্ডা গানের, বলো?
হ্যাঁঃ, মনে না রেখে আর উপায় কি! তুমি যখন ছাড়বেইনা ঠিক করেছ!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
হুম! খুব মজা নেওয়া হচ্ছে না?!
****************************************
'কুলুঙ্গী' কি জিনিস? বানানে আমি বিশেষ রকম দুর্বল বলে সত্যপীর ভাই অন লাইন বাংলা অভিধানের একটা লিঙ্ক দিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে খোঁজ নিলাম, কিন্ত তারা এর মানে জানে না
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
সত্যপীর-এর দেওয়া লিঙ্কটি খুব ভালো। অন্যান্য লিঙ্ক ও আছে। তাদের একটি ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইন্সটিটিউট-এর লিঙ্গুইস্টিক রিসার্চ ইউনিট-এর বাংলা শব্দের ডাটাবেস-টি। নীচে দিলামঃ
http://www.isical.ac.in/~lru/wordnetnew/index.php/site/wordnet
এখান থেকে কুলুঙ্গী শব্দের পরিচয় যা পাওয়া গেলঃ
Category (পদ পরিচয়): Noun (বিশেষ্য)
Synonyms (সমার্থক শব্দ): তাক
Concept (ধারনা): কোনও জিনিস রাখার জন্য দেওয়ালে তৈরী করা ছোটো জায়গা
Example (উদাহরণ): সে প্রদীপটা কুলুঙ্গীতে রাখল
আমার স্মৃতিতে কুলুঙ্গীর তাক বাড়ি বানানোর সময়ই দেয়ালে গর্ত রেখে বানান তাক অর্থাৎ মেঝে-দেয়াল-ছাদ মিলিয়ে একটি পাঁচ দিক ঘেরা, একদিক খোলা বাক্সের মত। আবার, পাশের দিক দুটি উপরের দিকে পরস্পরে মিলে গেলে এই বাক্সটি তখন ত্রিভুজাকৃতি, তাও দেখেছি। বাড়ির বাইরে, ভিতরে উভয় দিকের দেয়ালেই কুলুঙ্গী বানান হত। ছোট বড় নানা জিনিষ রাখা হত নানা মাপের কুলুঙ্গীতে। ছোট মাপের কুলুঙ্গী হাওয়ার ঝাপটা থেকে বাঁচিয়ে প্রদীপ রাখার জন্য আদর্শ ছিল।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ এক লহমা! আপনার লিঙ্কটি বুকমার্ক করে রাখলাম।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
কুলুঙ্গী ত্রিভুজাকৃতিরও হয় বটে তবে আদর্শ কুলুঙ্গী পঞ্চকোণ বিশিষ্ট, অন্তত আমি এটাই জানি।
আর লেখা বিষয়ে বলবো, লেখা চলুক। এই লেখার মধ্য দিয়ে হারিয়ে যাওয়া সেই সব দিনগুলোকে কিছুটা হলেও ছুঁয়ে দেখা যায়।
অনেক ধন্যবাদ ভাবনা-দা।
কুলুঙ্গী নিয়ে মনে হচ্ছে আপনার ভাণ্ডারে আরো তথ্য/গল্প আছে। পাওয়া যাবে কি কিছু তার?
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
কথা যদি স্মৃতি না জাগিয়ে তুলতে পারে, সে কি আর স্মৃতিকথা হয়?
সার্থক আপনি, যে এমন করে মায়া জড়িয়ে কইতে পারে, দেখাতে পারে।
আমি অভিভূত! অনেক ধন্যবাদ, অনেক শুভেচ্ছা, প্রিয় ইয়াসির!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
বাহ বেশ তো, চলুক!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
চলুক তবে!
অনেক ও শুভেচ্ছা।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আপনার ক্যালিডোস্কোপ ঠিক যেন চলমান নদীর মতই। যতক্ষন পড়লাম ততক্ষন যেন সবকিছু দৃশ্যপটে ফিরে এল।
-ছায়াবৃত্ত
অনেক আপনাকে! খুব ভাল লাগল আপনার ভাল লাগায়, ভাল থাকবেন!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
এমন কাব্যিক স্মৃতিচারণ কি করে করেন ? আপনার এই সিরিজটা অসম্ভব প্রিয়, তাই বন্ধ হওয়ার কোন প্রশ্ন-ই আসেনা। চলুক অবিরত
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
সজীব-দাদা, আপনারা লেখেন কত দরকারী কথা, আমি শুধু বিড়বিড় করে বকে যাই, যা কারো কোন কাজে লাগে না! তবু যদি আপনাদের ভাল লাগে দু'দন্ড সে স্মৃতি কথা শুনে যেতে, বলে যাই তবে আমি। অনেক আর শুভেচ্ছা আপনাকে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আহা! খুব মনে পড়ে তিস্তা, তোর্সা, ধরলা, দুধকুমার, ফুলকুমার- অপূর্ব সব নদী, অপূর্ব তাদের নাম।
হ্যাঁ, "অপূর্ব সব নদী, অপূর্ব তাদের নাম।" অনেক আর শুভেচ্ছা, জনাব!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
তোর্সা নদীটা এত চেনা মনে হলো কেন? এই নদীর ধারে কি গিয়েছিলাম কখনো? তিস্তার ওপারে কি তোর্সা নদী? মনে পড়ছে না। কিন্তু একদম বুড়িমারী সীমান্তে একটা টলটলে স্বচ্ছ নদীর কথা মনে আছে, নাম মনে নেই, ওটাই কি তোর্সার কোন লেজ ছিল?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আপনার স্মৃতি নেড়েচেড়ে দেখেন, গল্প থাকতে পারে, বুড়িমারীর তীরে!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
- এই লাইনটা পড়েই মাথায় ঘাই মারলো
- সেই 'তাহার' শেখানো মধু পানের গল্পও জানা হলো শুধু 'তাহার' নামটা জানা হলো না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হায় গো পাণ্ডবা-দাদা, সে যে সেই ঝাপসা শৈশবের গান, তাহার নামটি ত থাকেনি স্মৃতিতে, রয়ে গেছে শুধু সেই মধু পান, শুধু সেই প্রথম সন্ধান!
অনেক আর শুভেচ্ছা, ষষ্ঠ, আপনার পদচারণা কাছে এসেছে দেখলে মনে একটা স্পিশাল খুশী ঘাই মারে, সে ত আপনি জানেন-ই।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
চলুক আপনার ছোটবেলাকার গল্প।
চলুক তবে! অনেক আর শুভেচ্ছা বন্দনা-দিদি!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
কী করে যে লেখো তুমি দাদা! তোমার রঙীন পাথরের জাদুঘূর্ণি অদ্ভুত ভালো লাগে!
"গম্ভীর মানুষটি তখন যে বিরাট আনন্দের ঢেউয়ে উচ্ছসিত হয়ে উঠেছিল তার গভীরতা আমি সে’দিন বুঝি নি। বুঝেছি অনেক প’রে, বিনা সংবাদে, সময়ের মাপহীন সময় যেদিন পার করতে হয়েছিল নিজের সন্তান-এর ঘরে ফেরার অপেক্ষায়, সেই দিন!"
তাই ই হয়। স্নেহ সবসময়ই নিম্নগামী!
____________________________
অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর!
জাদুঘূর্ণি। সেই ছোটবেলায় ক্যালিডোস্কোপটা যখন ঘোরাতাম, খুব করে চেষ্টা করতাম, আস্তে করে, একেবারে একটু একটু করে পুরো নিয়ন্ত্রণ রেখে ঘোরাতে। পারতাম না। পুঁতির দানা, চুড়ির টুকরো, রঙীন পাথরগুলো হুড়মুড় করে একটা আর একটার গায়ে গড়িয়ে পড়ে নক্সার পর নক্সা বানিয়ে চলত, আমার হিসেবের কোন তোয়াক্কা না করে। মোহাচ্ছন্ন হয়ে যেতাম সে জাদুতে। এ জীবন-ক্যালিডোস্কোপও যেন তাই। আমি হিসেব করি বটে, ছবিরা ধরা পড়ে, গড়ে ওঠে ছবিদের নিয়মে!
যা বলেছ, স্নেহ সততই নিম্নগামী।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
এক লহমা দা আপনার এই সিরিজের কোন লেখাই আমি পড়িনি। এই প্রথম কোন একটা লেখা পড়লাম তাও আবার ৯ নং। যাই হোক খুব ভালো লেগেছে । আমার নিজের ছেলেবেলার তেমন কোন মজার স্মৃতি নেই তো তাই অন্যেরটা শুনতে বা পড়তে ভালো লাগে।
ফাহিমা দিলশাদ
অনেক ধন্যবাদ, ফাহিমা দিদি!
তোমার কথায় মনে হ'ল, একটা তালিকা বানিয়ে নিলে মন্দ হয় না। বানিয়ে ফেললাম তাই। দেখো এখানে।
ক্যালিডোস্কোপ ১ | ক্যালিডোস্কোপ ২ | ক্যালিডোস্কোপ ৩ | ক্যালিডোস্কোপ ৪ | ক্যালিডোস্কোপ ৫ | ক্যালিডোস্কোপ ৬ | ক্যালিডোস্কোপ ৭ | ক্যালিডোস্কোপ ৮
ছেলেবেলার স্মৃতিগুলো নিয়ে যদি খেলতে বসে যাও, দিদি, কিচ্ছুটি বলা যায় না, কোন মণি মুক্তা উঠে আসবে! দেখবে নাকি একবার চেষ্টা করে!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
দাদা, চেষ্টা তো করাই যায়, কিন্তু তা মডারেশনের দেয়াল টপকাতে পারবে কিনা তাই ভাবছি
ফাহিমা দিলশাদ
এক লহমার ব্লগে গেলেই সবগুলো পেয়ে যাবেন।
দাদা, তুমি সবগুলো ক্যালিডোস্কোপে "ক্যালিডোস্কোপ" নামে একটা ক্যাটেগরি দিতে পারো? তাহলে খুঁজতে সুবিধা হয়।
____________________________
চমৎকার প্রস্তাব। কালকেই করে দেব। আজকে এখন ঘুমাতে যাই
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
করে দিয়েছি।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অনেকদিন পর নিয়মিত সচলে পড়ছি , এর মাঝে বেশ কিছু গপ্পের বই পড়া হলো, ঘুরাঘুরি হলো এবং হচ্ছে. সামার যাবার আগেই যত পারি বেড়িয়ে নিচ্ছি. আপনার লেখা পড়ি সবসময়. যথারীতি একটানে পড়ার মতই লিখেন. পুরানো লেখাগুলোও এখন পড়া শুরু করব. স্মৃতি আসলেই সতত সুখের. ভালো থাকুন.
নীলুদি! খুব ভাল লাগল আপনার কাছ থেকে উৎসাহ পেয়ে।
আপনিও অনেক ভাল থাকুন।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
এই লাইনদুটো সুনীলের 'একা এবং কয়েকজনের' একটা অংশ মনে করিয়ে দেয়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পড়ার জন্য
"সুনীলের 'একা এবং কয়েকজনের' একটা অংশ" ... ...
আর একটু বিস্তারিত জানানো যায়? আমার আপাততঃ বইটা পাওয়ার কোন সম্ভাবনে নেই। পড়া নেই বলে স্মৃতির সহায়তাও নেই। চলচ্চিত্রটা আবছা মতন মনে পড়ে। হয়ত আপনি একটু ধরিয়ে দিলে আরো ভালভাবে বুঝতে পারব।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
একা এবং কয়েকজন মুভি দেখিনি আমি।
বই হাতে নেই, স্মৃতি থেকেই বলছিলাম। সে ইদানীং টুকটাক বিশ্বাসঘাতকতা করে বলে নেট ঘেঁটে পিডিএফ খুলে দেখলাম। ভুল করিনি দেখা যায়।
একা এবং কয়েকজনের চরিত্র বাদল বাবার সঙ্গে গিয়েছিল বাজারে। এরমধ্যে শুরু হয় দাঙ্গা। স্নেহ নিম্নগামী বলে ছেলে বাবাকে ছেড়েই নিজের জীবন বাঁচাতে পালায়, কিন্তু বাবা সেই লুঠেরা এবং হত্যাকারীদের মধ্যেই পাগলের মতো ছেলেকে খুঁজে বেড়িয়েছিলেন পুরোটা সময়। একবারও নিজের নিরাপত্তার কথা ভাবেননি। [পৃঃ ৩৭১-৩৭২]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনেক ধন্যবাদ তিথী! মিল পুরোই। আর পরিস্থিতি অনুসারে সেটাই হওয়ারও কথা। দুর্যোগে পরা সন্তানের জন্য বাবা-মা যে ভাবে অনুভব করে সেটার একটা সার্বজনীনতা ত থাকেই।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
দাদা বা দিদি যাই হোন না কেন, লেখা কিন্তু চমৎকার। পিছনে চলছি এবং সামনেও আছি।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
অনেক ধন্যবাদ, সাদিয়া-দিদি!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নতুন মন্তব্য করুন