ক্যালিডোস্কোপ -১১

এক লহমা এর ছবি
লিখেছেন এক লহমা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১০/০৫/২০১৫ - ৪:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নারী দিবস। মাতৃ দিবস। আমার মা-এর কাছে এই দিবসগুলি কোন বিশেষ বার্তা আনে না। তা বলে বার্তাগুলি থেকে তিনি দূরে থাকেন না। নিয়মিত খবরের কাগজ পড়েন। খবরের সাথে নিজেকে সংপৃক্ত রাখেন। বস্তুতঃ সেই পাঠ-ই তাঁকে সচল রেখেছে। কিন্তু তাঁর চারপাশের দুনিয়ায় তিনি অপ্রয়োজনীয় হয়ে গিয়েছেন। তাঁর মানসিক আর শারীরিক সক্ষমতার যতটা অবশিষ্ট আছে, তাতে উন্নত দেশের বাসিন্দা হলে তিনি এখন-ও সক্রিয় জীবনযাপন করতেন। কিন্তু নিজের দেশে, সন্তানের সংসারে শিশুপালনের ভূমিকা পার হয়ে গেলে নিজের জনেদের মধ্যে থেকেও অনেক কাল-ই তিনি তাঁদের চলমান, ঘটমান জীবন প্রবাহ হতে বিচ্ছিন্ন। তাঁর মত, তাঁর বয়সীরা আরও অনেকই। সেখানে সেটাই রীতি।

রীতির প্রভাব বড় ব্যাপক। রীতি নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের জীবন যাপন।

কিন্ত, রীতিরা চিরকাল একইরকমই ছিল কি? থাকে কি? তারা কি অলঙ্ঘ্য? ভাঙ্গা যায়না তাদের?

উত্তরবঙ্গের দিনগুলিতে আমাদের জীবনে রেডিও ছিল না, টিভি ত তখন আমাদের কল্পনাতেও নেই। তা বলে, অবসরে গল্পের অভাব ছিল না। মা গল্প করত, ঠাকুমা গল্প করত। তাদের জীবনের গল্প। সে গল্পে অনেক সময় আমাদের চারপাশের জীবনের সাথে অপরিচিত রীতির গল্পও ফুটে উঠত। আমার সেই শৈশবের গল্পে কোন সুপারম্যান ছিলনা। ছিল এক সুপারওম্যান - আমার ঠাকুমার মা। তাঁর নানা ডাকাতেপনার কীর্তির গল্প শুনতাম। ভুলে গেছি এখন সে সব, দু’টি বাদে।

এক, তিনি হুঁক্কা খেতেন। ধূম্রপান নিশ্চয়ই ভালো না। কিন্তু ধূম্রপান আমাদের সময়ে শুধু পুরুষরাই করত। সেই ট্যাবু তিনি মানতেন না। সম্ভবতঃ তাঁর পরিমণ্ডলে আরও কোন কোন মহিলা মানতেন না। লিখতে লিখতে ভাবছি, ঠিক লিখছি ত? না কি সবটাই আমার কল্পনার কারসাজি!

দুই, এইটিতে মজা পেতাম খুব। ঠাকুমাদের বাড়িতে একটা লম্বা, কফিন ধরণের সিন্দুক ছিল। সেটির মধ্যে দামী বাসনকোসন থাকত, টাক-পয়সাও থাকত। ভারী সিন্দুক। রাতে ঠাকুমার মা, বেশ বয়স তখন তাঁর, সিন্দুকের উপর কিছু একটা পেতে সেই বিছানার নীচে একট শান দেওয়া দা (বা কাটারি) রেখে ঘুম যেতেন। একদিন এলাকার এক ওস্তাদ চোর সিন্দুকের উপর ঠাকুমার মায়ের পাশে এসে শুয়ে পড়ে আস্তে আস্তে তাঁকে ঠেলতে থাকে। গভীর ঘুমে নিমগ্ন ঠাকুমার মা কিছু টের পাননি। মাটিতে পড়ে গিয়েও নাক ডাকাতে থাকেন। চোর এরপর ঐ সিন্দুকের ঢাকনা খোলার চেষ্টা করে। ভারী ঢাকনা নিঃশব্দে তুলতে না পেরে একসময় অসাবধানে ঠাকুমার মাকে জাগিয়ে ফেলে। কি ঘটছে তা মুহূর্তের মধ্যে বুঝে নিয়ে সে মহিলা লাফিয়ে উঠে চোরকে জাপটে ধরে চিৎকার জুড়ে দেন। তবে, চোরও তৈরী হয়ে এসেছিল। তার তেল মাখা গা ঠাকুমার মায়ের কঠিন কব্জা থেকে পিছলে যায়। খানিকটা দূর পর্যন্ত ধাওয়া করে ঠাকুমার মা হাল ছেড়ে দেন। এত বছর পর এ গল্প মনে করতে গিয়ে খুঁটিনাটিতে ভুল হতে পারে। কিন্তু যেটায় আমি নিঃসন্দেহ - সাহসী, সক্রিয় জীবনযাপনের যে রীতির ছবি সে গল্পে ধরা পড়ত সেটা বেশ আকর্ষণীয় ছিল। ঢাকা-বিক্রমপুরের গ্রামাঞ্চলে সেই রীতির জীবন আজো প্রবাহিত হয় কি? আপনারা হয়ত বলতে পারবেন।

এই মহিলা ছিলেন গল্পের চরিত্র। কিন্তু গল্প যিনি করতেন, তিনি নিজেও ছিলেন সাহসী দৃপ্তচেতা মহিলা। বাবার শৈশবেই তাকে এবং আরও ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে ঠাকুমা বালবিধবা হয়েছিলেন। পানাম-এর সম্ভ্রান্ত হিন্দু বিধবা কলকাতায় পড়তে যাওয়া ছেলের সন্ধানে একাই রেলের গাড়িতে চেপে কলকাতায় চলে আসেন। খুঁজে বার করেন ছেলেকে। বাড়ি বাড়ি কাজ করে ছেলের এবং নিজের বেঁচে থাকার রসদ জোগাড় করেছেন। তবে সেসবও ত গল্পে শোনা। চোখের সামনে দেখা কাজ-কর্মের ফলে আমার প্রথম সাধারণের উচ্চতার উপরে মাথা তুলে রাখা মানুষ, আমার মা।

আমি যখন উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম, তিনিও স্থানীয় মেয়েদের বিদ্যালয়ে উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন, আমার-ই মতন পঞ্চম শ্রেণীতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তখন বয়স্ক শিক্ষার এক বিশেষ কার্যক্রম চালু করেছিল, বছরে দুটি করে ক্লাস শেষ করার। মা তাঁর ক্লাসে প্রথম হয়ে বছর শেষে সপ্তমশ্রেণীতে উঠে গেলেন। অনেক স্বপ্ন ছিল তার। সেভাবে পূরণ হয়নি। বাবার উত্তরবঙ্গের কার্যকালের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে আমরা যেখানে চলে আসলাম সেখানে ঐ শিক্ষা-কার্যক্রম চালু ছিলনা। ফলে এর পর দু’-তিন বছর ধরে একাই বাড়িতে পড়াশোনা করে ‘প্রাইভেট'-এ পরীক্ষা দিয়ে ‘হায়ার সেকেন্ডারী’ উত্তীর্ণ হন। কলেজ-এও ভর্তি হয়েছিলেন। আমাদের পড়াশনা-খাওয়া-পড়ার দেখভাল করতে করতে সেই শিক্ষার চূড়ান্ত পরীক্ষায় আর তার বসা হয়নি। অভাবের করাল হাতছানিতে আমাদের তখন দিশেহারা অবস্থা। তবু আজ পিছন ফিরে মনে হয় আমার আরও শক্ত হয়ে দাঁড়ানো উচিত ছিল। যে করেই হোক তাঁর ‘গ্রাজুয়েট' হওয়ার স্বপ্নটার জন্য লড়ে যাওয়া দরকার ছিল।

বিয়ের আগের দিনগুলোয় মার লেখা পড়া করা হয়ে ওঠেনি। মেয়েদের লেখাপড়া করানোর তেমন রীতি ছিল না। কিন্তু আমরা বড় হতে হতেই রীতি পাল্টে গিয়েছিল। এমন কি বিবাহিত, তিন ছেলের মা হওয়ে যাওয়া মেয়েও পড়ালেখার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে পেরেছিল। রীতি পাল্টে গিয়েছিল।

তবে রীতিরা ত আর হঠাৎ করে পালটায় না।

আমাদের উত্তরবঙ্গের দিনযাপনের সময়গুলোয় পশ্চিমবঙ্গের জনজীবনে ঝড়ের প্রস্তুতি চলছিল। বাবার সাথে প্রথম একদিন গেলাম এক জনসভায়। অজয় মুখোপাধ্যায় মূল আকর্ষণ। জ্যোতি বসু ছিলেন কিনা মনে নেই। বসুর থেকেও মুখোপাধ্যায়ের ক্যারিশ্মা তখন বেশী ছিল। বিপুল উত্তাল জনসভা। রাজনীতির সাথে সেই প্রথম পরিচয়। তারপর ত ঝড় এসেই গিয়েছিল। আর সেই ঝড়ে কত যে পুরানো রীতিনীতি ঝরে গেল। জীবন যাপন এক থাকে নি তারপর।

এর পরে আমার উত্তরবঙ্গের জীবন শেষ হয়ে গেল। বাবা বদলি হয়ে চলে এল দক্ষিণ বঙ্গে। নদীয়া, ২৪ পরগণার জীবনযাত্রার স্রোতে এসে মিশল আমাদের জীবন।

যতদিন তসলিমা নাসরিনের লেখা না পড়লাম ততদিন ঠিক কথাটার সন্ধান পাইনি। বাবার বদলির চাকরীর সুবাদে ক্রমাগত ঠিকানা বদলে যাওয়ায় আর আমার অন্তর্মুখী মনের সুবাদে আমার ‘ছেলেবেলা' বলে স্মৃতিটা খুব মজবুত নয়। কিন্তু বড় হয়ে ওঠার পুরো কালটা জুড়ে নানা বয়সী অনেক মেয়ের জীবনের ছায়ায় কাটানোর ফলে লম্বা সময় জুড়ে নানান মেয়েবেলার কাহিনীর চরিত্র হয়ে গিয়েছি। সে কাহিনীগুলি আলাদাভাবে মনে পড়ে না। একটা সামগ্রিক প্রভাব রেখে গেছে আমার উপর।

আমার প্রথম বিদগ্ধ বন্ধু ছিল আমার মা। ইতিহাস-সমাজ-রাজনীতি সচেতন মার সাথে আমার নিয়মিত আড্ডা হত, আজো হয়। মা’র লেখাপড়ার সূত্র ধরে তার বন্ধুদের সাথেও মিশতাম বেশ সহজভাবেই। সেই দিদিদের সুবাদে মেয়েদের সাথে মেশায় আমার কোথাও কোন জটিলতা পাকিয়ে ওঠেনি কখনো। মেয়েজীবনের নানা হতাশা-আশা-আকাঙ্ক্ষা-আনন্দ-বেদনার সাথে পরিচিত ছিলাম। মা’র একটা সেলাই মেশিন ছিল। টানাটানির দিনগুলোতে তার ছেলেদের জামাপ্যান্ট মা নিজেই সেলাই করত। আবার নিজের বা অন্যান্য মেয়েদের সায়া-ব্লাউজও সেলাই করত। আমি সেলাই-টা বুঝতাম, একটু আধটু হাত লাগাতাম। মেয়েদের পোশাক নিয়ে আমার সমবয়সী ছেলেদের মধ্যে যে উত্তেজনা কাজ করত আমার মধ্যে সেটা ছিল না।

আমার মনে ঢেউ তুলত মেয়েদের কথা, কাজ।

আমার যৌন চেতনায় প্রথম যে ধাক্কা দিয়েছিল সে আমার সমবয়সী এক মেয়ে। নাম ভুলে গেছি। ধরা যাক প্রতিমা। প্রতিমার মত সুন্দরী ছিল, ও নাম দিলে অবিচার হবে না। আমি তখন সম্ভবতঃ সপ্তম শ্রেণী। তিন-ভাই মিলে দল। জুটেছিল আরও কিছু ছেলে। আমার ছোট দুই ভাইই মহা ওস্তাদ। তাদের সাথে আমিও দাপিয়ে বেড়াই, দলে পড়ে। প্রতিমারও একটা ছোট মত দল ছিল, মেয়েদের। দুই দলে মাঝে মাঝে লড়াই বাধত খেলার মাঠের দখল নিয়ে। হাতাহাতি চলত। একসময় দেখলাম মারামারি আর হচ্ছে না, একটা বোঝাবুঝিতে পৌঁছে গেছে দুই দল। তার পর একসময় প্রতিমাদের দলটাকে আর দেখতে পাই না। ভাল, গোটা মাঠ আমাদের দখলে। কিন্তু প্রতিমার দেখা পাওয়া গেল, রাস্তায়, বাইসাইকেল ছোটাচ্ছে। আমারও তখন সাইকেল ছোটানোর ঋতু। সেই কারণেই দেখা পাওয়া গেল। এ মাথা-ও মাথা ছোটাছুটির পাল্লায় বেশীরভাগ সময়ই গন্তব্য হত বিপরীত মুখী।

এইরকম-ই এক সাইকেল ছোটানোর দিনে দেখলাম প্রতিমা সাইকেল থেকে নেমে মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। এক হাতে সাইকেলের হাতল ধরা। আর এক হাতে কাউকে ডাকছে। তীব্র রাগে ফেটে পড়ছে গলা, “এক লাত্থি মেরে যে দিক দিয়ে বেরিয়েছিস, সেই দিক দিয়ে মার পেটে ঢুকিয়ে দেব।” ভাষায় যৌনতা আমার চারপাশে নূতন কিছু ছিলনা। আমার কাছে যা নূতন ঠেকেছিল তা হল অত্যন্ত গোছান প্রস্তাবটি। আর সেটা একটা মেয়ের মুখ থেকে অমন সোচ্চারে প্রকাশ্য দিবালোকে ছিটকে আসা। উচ্চতায় খাটো হওয়ায় সারা শৈশব-কৈশোর আমি অনেক হেনস্তার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। বাড়ির রীতি মেনে গালি দিতে পারতামনা। ইচ্ছে করত খুব। ঐ প্রবল গালির কারণে প্রতিমা সেদিন আমার হিরো হয়ে গিয়েছিল। আমার প্রথম সমবয়সী হিরো। সেই সাথে তীব্র আকর্ষণ বোধ করেছিলাম এক সাহসী মেয়ের প্রতি।

কিছুদিন বাদে প্রতিমার পায়ে বেড়ি পড়েছিল। বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল তার। তাকে রীতির সীমায় আটকে রাখা যাচ্ছিলনা। তার কিছুদিন বাদে শুনলাম প্রতিমা বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে বাড়ি চলে এসেছে। বিয়ে ভাঙ্গাটা রীতি ছিলনা তখন। প্রতিমা রীতি ভেঙ্গেছিল।

আমার সারাজীবন ধরেই দেখেছি রীতি ভাঙ্গা মেয়েদের। তারাই আমায় সাহস যুগিয়েছে সামনে এগোনোর। আমার এগোনোয় সমাজ সংসার কিছু ব্যাপকভাবে বদলে যায়নি। কিন্তু আমি ত একা নই। আরও কতজন এগোচ্ছে। এত এত মানুষের এগোনোয় বড় বদল ঘটবে না? আজ না হোক কাল?

মাঝে মাঝে দু’-একটা কথা গুছিয়ে মন্তব্য লিখে ফেলতে পারলেও আমি প্রবন্ধকার নই। আর গুছিয়ে লিখতে গেলে উপকরণের সম্ভার লাগে। আমার তাও নেই। আমি বড়জোর স্মৃতিচারণ করতে পারি। যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে উঠে আসা আমার বোধের কথা জানাতে পারি।

সচলায়তনে নারীসপ্তাহ উপলক্ষে প্রকাশিত নানা লেখায় নারীর প্রতি যে বিপুল ব্যাপক অত্যাচারের চিত্র উঠে এসেছে, আমার যাপিত জীবনের মেয়েদের সামগ্রিক ছবি তার থেকে আলাদা নয়। কিন্তু আমি তুলে ধরতে চেয়েছিলাম কিছু আশার ছবি। আমার সহপাঠী মেয়েদের কাছ থেকে জেনেছিলাম জুতোর হিলের মাহাত্ম্য। পিছন থেকে অথবা পাশ থেকে ক্রমাগত ছোঁয়ার আক্রমণ চালানো দুর্বৃত্তের পায়ের উপর হিলের উপযুক্ত ব্যবহার কাজে এসেছে তাদের। কাজে এসেছে যূথবদ্ধতার শক্তিও। তবে এই সমগ্র ছবিটায় একটা বড় সীমাবদ্ধতা (ক্যাভিয়াট) আছে। সমস্ত অভিজ্ঞতাটাই ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত বাংলায় হিন্দু মেয়েদের আমি যেমন দেখেছি, সেই ছবি। এদের রীতি ভাঙ্গার কাজে ধর্ম বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। এমনকি আমার স্ত্রী যেদিন সিঁদুর রাখতে রাজী হয়নি, পদবী বিসর্জন না দিয়ে চালিয়ে গিয়েছিল যতদিন পারে, প্রণাম করতে অস্বীকার করেছিল তার ‘বর’-কে, দাবী করেছিল যে প্রণাম করতেই হলে সেটা করতে হবে উভয়ে উভয়কে, আর তার জীবনসঙ্গী করেছিল সেটা, কোন ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে তাকে থমকে যেতে হয়নি। তাকে শুধু রীতিগুলো ভাঙ্গতে হয়েছিল, তাকে এবং তার জীবনসঙ্গীকে। সকলের জন্য সেটা সহজ না হতেই পারে। দুনিয়ার নানা প্রান্তে চরম শাস্তির খড়গও নেমে আসতে পারে তাদের উপর। পারে, আজ। তারপর, কাল, পরশু?


মন্তব্য

মন মাঝি এর ছবি

দারুন! চলুক

****************************************

এক লহমা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, মাঝি-দাদা। ক্যালিডোস্কোপ ঘোরানো শেষ হয়ে এলো। আর একটি পর্ব।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

মাঝে মাঝে দু’-একটা কথা গুছিয়ে মন্তব্য লিখে ফেলতে পারলেও আমি প্রবন্ধকার নই। আর গুছিয়ে লিখতে গেলে উপকরণের সম্ভার লাগে। আমার তাও নেই। আমি বড়জোর স্মৃতিচারণ করতে পারি। যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে উঠে আসা আমার বোধের কথা জানাতে পারি।

বেশ লাগলো তো মায়ের স্মৃতিচারণ। সময় করে এসব মণিমুক্তো তো তুলেও আনিনি। চলুক

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

এক লহমা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ সাদিয়া-দিদি। মণিমুক্তারা অসংখ্য, সামান্যই তুলতে পারি স্মৃতির সমুদ্র থেকে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

এক লহমা এর ছবি

ভুল জায়গায় বসিয়েছিলাম।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

যেখানে বেশিরভাগ লেখায় উঠে এসেছে নারীদের অন্তর্লীন বেদনা, সামাজিক শোষন বা বৈষম্যের কথা, সেখানে আপনি তুলে এনেছেন খুবই সত্যি অথচ স্বতন্ত্র একটি চিত্র। আমাদের মেয়েদের শুধু মুখ বুজে, মাথা গুঁজে গঞ্জনা সয়ে যাওয়ার কাহিনি আছে, তা নয়, বরং সামাজিক শোষন/বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার অনেক অমিত সাহসী গল্পও রয়েছে।

চলুক, একলহমাদা!
।।।।।
অন্ধকূপ

এক লহমা এর ছবি

"সামাজিক শোষন/বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার অনেক অমিত সাহসী গল্পও রয়েছে।" - সেইটাই। সেই গল্পগুলোও তুলে আনা একান্ত জরুরী।

অনেক ধন্যবাদ ভাই/দিদি। ক্যালিডোস্কোপ-এর এটি শেষের আগের পর্ব। এর পড় মিতুল-কে নিয়ে এগোনোর ইচ্ছে আছে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাই/দিদি

আগের লেখায় ঠিকই তো ভাই সম্বোধন করেছিলেন, তাহলে এখানে কি হল যে, সংশয় দেখা দিল? হাসি
।।।।
অন্ধকূপ

এক লহমা এর ছবি

হে: হে:, যাচাই করে নিলাম! কেন যাচাই কর্লাম? সাক্ষী-দাদা কইতে পারে, কিংবা আয়নাদিদি, আরও আছেন গুণীজন, তারাও জানেন বিত্তান্ত, হবে খন রয়ে সয়ে। দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

সাক্ষী ব্যাটা চিটার থুরি টিচার তার গুণ বেপুক, বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে ব্যাকরণ সহকারে বুঝাইয়া দেবেনি শয়তানী হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আঁই কি কইচ্চি গো অ্যাঁ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তাপস শর্মা এর ছবি

অনেক বেশী ভালো লাগতে কী বলতে হয় ভুলে গেছি। যাই হোক, লেখাটা মুগ্ধ করেছে...

এক লহমা এর ছবি

শোনেন ভায়া, দার্শনিক রনদীপম জানায় দিছিলেন যে 'ভালো'-র সাথে 'বেশী', 'অনেক বেশী' ইত্যাদি যোগ করলেও ভালো-র আর কোন গুণবৃদ্ধি হয় না। কাজেই চিন্তার কিছু নাই। 'ভালো'-ই কাফি।
আপনার মুগ্ধতার জন্য অপার কৃতজ্ঞতা।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

চরম উদাস এর ছবি

চলুক ভালো লাগলো, বিশেষ করে প্রতিমার গল্পটা।
অনেক প্রতিমারা রীতি ভাঙ্গতে গিয়ে একসময় হয়তো আর পারেনা, সমাজের চাপে নিজেই ভেঙ্গে পড়ে। রীতি ভাঙ্গা মেয়েদের দিকে সমাজ ঈগল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। কোনভাবে তাদের জীবনে কোন অঘটন ঘটে গেলে গ্যালারীতে শুরু হয় তালি, এই মেয়ের এমনটা যে হবে এ তো আমরা আগেই জানতাম, সবকিছুর একটা সীমা আছে তো ... ইত্যাদি ইত্যাদি।

এক লহমা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাই।
প্রতিমারা হারতে হারতেও পরের প্রতিমাদের জন্য আরও খানিকটা জায়গা যোগাড় করে ফেলে। আর সেখানেই তারা শেষ বিচারে জিতে যায়। গ্যালারীর হাততালি গ্যালারীকে যতই উল্লসিত করুক প্রতিমাদের তা দমিয়ে রাখতে পারে না।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

রীতি ভাঙা মানুষদের কথা পড়ে এতো ভালো লাগলো কী বলবো!
আমার দিদা, মা এঁরাও রীতির সানডে মানডে ক্লোজ করা মানুষ।
তোমার সুপার ও'ম্যানের জন্য এক পৃথিবী ভালোবাসা। মনে করে তাঁকে দিও কিন্তু!

এক লহমা এর ছবি

সেই ত কথা! রীতি-ভাঙ্গা মানুষগুলোই আমাদের নূতন পথের দিশা দেখায়।
হ, তুমার শিকড় যে কুথায় সে কি আর বুঝি নাই! আমার শ্রদ্ধা তাঁদের প্রতি।
আমার এখন তিন জেনারেশন জুড়ে সুপারওমেন। যাদের জানানো যায়, জানায় দিছি। থেঙ্ক্যু হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

নারী সপ্তাহের একটি ব্যতিক্রমি লেখা, রীতিভাঙা মেয়েদের নিয়ে। ভাল লেগেছে, খুবই ভাল লেগেছে। হাসি
তারাও দাগাইলাম।

এক লহমা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, ভাবনাদা!
তারাগুলি রীতিভাঙ্গা নারীদের সাথে ভাগ করে নিলাম।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দারুণ লেখা

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এক লহমা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

রানা মেহের এর ছবি

কী সুন্দর লেখা!

আপনার ঠাকুমার মায়ের মতো আমার নানীও বিড়ি খেতেন। একা না। রীতিমতো দল বেঁধে।
একদম পাড়ার ছেলেদের মতো নানী আর আম্মার চাচিরা মানে বাকি নানীরা গোল হয়ে বসে বিড়ি খাচ্ছেন, এটা আমার দেখা অন্যতম মজার একটা দৃশ্য। নানাও জানতেন। এটা নিয়ে কথা বলার মতো কিছু মনে করেননি তিনি কিংবা অন্য কেউ।

আপনার আর আপনার পার্টনারের একজন আরেকজনকে প্রনাম করার জিনিসটায় মুগ্ধ হয়ে গেলাম এবং নিজের বরকে দিয়ে এই জিনিস করানোর ইচ্ছা পোষন করলাম খাইছে

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

এক লহমা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ!

নানী > দারুণ! আপনার নানীর নিবাস কোথায় ছিল? সময়কাল?

পারস্পরিক প্রণাম > হাঃ হাঃ হাঃ। একটা কথা বাদ পড়ে গিয়েছিল। ঐ সমীকরণে পৌঁছানোর আগে আমরা আর একটি কাজ করেছিলাম - পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করাটা বর্বর প্রথা বিধায় বাদ করে দিয়েছিলাম। কেবলমাত্র হাত জোড় করে প্রণাম, অর্থাৎ নমস্কারর-ই প্রদান ও গ্রহণযোগ্য ছিল। বড়দের চাপাচাপিতে প্রণাম করতে হলে পরস্পর নমস্কার করতাম। বার কয়েক করার পর চাপাচাপি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১। আমার দিদিমা বিড়ি-সিগারেট-জর্দা-সাদাপাতা-দোক্তা-গুল-খৈনি সর্বপ্রকার তামাকজাত জিনিসে অভ্যস্ত ছিলেন। এবং তিনি নিঃসঙ্কোচে এসব গ্রহন করতেন।

২। ধলেশ্বরী আর পদ্মার ভাঙন, বর্ষার প্লাবন ইত্যাকার প্রাকৃতিক দুর্যোগকে প্রতি বছর সামাল দেয়া বিক্রমপুরের লোকেরা একটু daring-ই বটে। নয়তো অতীতে শক্তিশালী বহিঃশত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াইগুলো করেছে কীভাবে!

৩। কোন্‌ 'পানাম' বলুন তো? সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জের পানাম নগর?

৪। অজয় মুখোপাধ্যায়রা বাংলা কংগ্রেসকে টেকাতে পারলে আজকে আর তৃণমূল কংগ্রেসকে দেখতে হতো না। কিন্তু বাংলা কংগ্রেস তো আদতে কংগ্রেস, হয়তো তৃণমূলও তাই। পশ্চিমবঙ্গের নিজের দল আজও তৈরি হলো না।

৫। আপনি তো সৌভাগ্যবান! মায়ের বন্ধু হতে পেরেছেন, তাঁর সংগ্রামের সময় নিজের সামর্থ্যমতো হাত লাগাতে পেরেছেন। তবু কিছু অতৃপ্তি তো থাকবেই।

৬। বোধকরি সব নারীই কখনো না কখনো রীতির বিরুদ্ধে ঠিকই রুখে দাঁড়ান। পরে হয়তো উঁচু মাথা পিটিয়ে নুইয়ে দেয়া হয়।

৭। আপনার সহধর্মিণীর প্রতি আপনার শ্রদ্ধাপূর্ণ আচরণ আমাদেরকেও আপনার প্রতি শ্রদ্ধাবনত করে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

এক লহমা এর ছবি

১) আমার ঠাকুমার যুগের মেয়েদের জর্দা-সাদাপাতা-দোক্তা-গুল নিতে দেখেছি, বিড়ি-সিগারেট-খৈনি নিতে দেখিনি। এক প্রজন্মের তফাতে ঐ তিন দ্রব্য পুরুষের একচেটিয়া হয়ে গিয়েছিল!

২) ঠিক।

৩) হ্যাঁ, সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জের পানাম নগর। সম্ভবতঃ তাঁত বস্ত্রের বড় মাপের কারবার ছিল বিভিন্ন শরিকের। খুব একটা গল্প করতেন না তাঁরা সেই দিনগুলি নিয়ে। বেদনার জায়গা ছিল হয়ত। আমার ঠাকুর্দা শিল্পী মানুষ ছিলেন। পারিবারিক বৃত্তি ছেড়ে দিয়ে স্বর্ণকার হয়ে গিয়েছিলেন। শুনেছি বিকানীরের কোন এক রাজদরবারে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এক-দু’বছর বাদে বাদে বাড়ী আসতেন মাস খানেকের জন্য। ঐ বিদেশেই দেহ রাখেন। তার দ্বিতীয়া স্ত্রী, আমার ঠাকুমা তখন নিতান্তই তরুণী। সেই থেকে শুরু মা-ছেলের কঠিন পথ চলা।

8 ) যথার্থ।

৫) তাঁর নিজের খুব ইচ্ছে ছিল গ্রাজুয়েট হবেন। সেটা হলনা, এই দুঃখটা আর মেটাবার কোন উপায় নেই।

৬) সেইটাই।

৭) শ্রদ্ধা পারস্পরিক - আপনাকেও।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পানাম নগর তো প্রাচীন সমৃদ্ধ নগরী। জামদানী শাড়ির জন্য বিখ্যাত। এখনো সেখানে হাতে চালানো তাঁতে জামদানী শাড়ি বোনা হয়। আমার মা নারায়ণগঞ্জের, তবে সোনারগাঁ/পানাম নগরের না। আমি নিজেও জীবনের একটা লম্বা সময় নারায়ণগঞ্জে কাটিয়েছি।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

এক লহমা এর ছবি

হ্যাঁ, পানাম-এর কথা বলতে গিয়ে শ্রদ্ধায়, গর্বে বাবার মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠত।

ওঃ, আপনার সঙ্গে গল্প করতে পারলে আমার বাবা যে কি খুশী হয়ে উঠত! বস্ত্র প্রকৌশলের ডিগ্রী হাসিল করতে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে চলে যাওয়ার আগে সে লোক কিছুদিন নারায়ণগঞ্জ পুরসভায় কাজ করেছিল। খুব খুশী ছিল সেখানে তার কাজে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

দারুন লেখা! খুব ভালো লাগলো! হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

এক লহমা এর ছবি

যে বালিকারা সুবোধ-সরল হয়ে নীচে পড়ে থাকতে আর রাজী নয়, 'দুষ্ট' হতে এগিয়ে যায়, এ গল্প তাদের জয়গান। ভাল লাগা জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ, দিদি!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক । দিন পনের ইন্টারনেটের বাইরে ছিলাম। এর মধ্যেই নারী সপ্তাহের এমনকী বর্ধিত সময়ও শেষ মন খারাপ । ফিরে এসে অফিস ফাঁকি মেরে কী-বোর্ডে ঝড় তুলে যা লিখে সময়ের পরে পাঠালাম তাও একে তো নিয়ম ভঙ্গ করল আবার মানোত্তীর্ণও হলো না নিশ্চয়ই... এখন সবার লেখাগুলো পড়ছি সময় করে।

দারুণ লেখাটা। আমার ঠাকুরমা ‘নাশা’ (পুরনো খবরের কাগজে মোড়ানো তামাক পাতার গুড়া) খেতেন, না পেলে বিড়ি কিন্তু সিগারেট কষ্মিনকালেও না। কোনো নেশা না করা জাঁদরেল স্বামীর পাশে সবসময়ই জড়োসড়ো ভদ্রমহিলা কী করে তার এই নেশা ধরে রেখেছিলেন সারাজীবন, তার হদিস আমি পাই না।

মায়ের খুব ইচ্ছা ছিল কলেজে পড়ার, হয়ে ওঠেনি এতদিন সংসার, চাকুরি আর নানা ঝামেলায়। চাকুরির প্রথম বেতনের টাকায় মাকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচএসসি ভর্তি করিয়ে দিলাম গতবছর, এবার প্রথম পর্ব পরীক্ষায় পাশ করেছে। অবশ্য এসব কথা কাউকে বলতে খুব লজ্জ্বা পায়। আশা করি মা বিএ-ও পড়বে।

আপনার সহধর্মিনীর মতন সাহস আমার ছিল বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু কীসের কী, জীবনে প্রথমবার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে বরসহ সবাইকে ঢিপঢিপ প্রণাম করতে করতে কপালে কড়া পড়ার জোগাড়। বর বেচারা প্রণাম নিতে চায় না কিন্তু কী আর করা-মা, মাসি’র বড্ড কড়া নজর মন খারাপ ...

লেখাটা আশা জাগাচ্ছে।

দেবদ্যুতি

এক লহমা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ দ্যুতিদিদি।

বাতিল হয়ে গিয়ে থাকলে, লেখাটা আরেকবার ঘষামাজা করে 'নারী সপ্তাহ' ট্যাগ না বসিয়ে 'নারী' ট্যাগ দিয়ে আবার জমা দিয়ে দেখবে নাকি? এইবার মডারেটরদের ভাল লেগে যেতেও পারে!

হাঃ হাঃ, কিছু কিছু বিষ্ময়, কাটবার নয়!

তোমার মায়ের কলেজে পড়ার খবর জেনে খুব ভাল লাগল। নিশ্চয় বি এ পাশ করবেন তিনি। যতটা পড়তে চাইবেন ততটাই যেন পড়তে পারেন, এই আকাঙ্খা জানাই।

হয়ে যাবে। প্রথমে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার বর্বর প্রথাটা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। ওটার বদলে নমস্কারটা চালু করতে পারলে কাজ অনেক সহজ হয়ে আসবে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।