কাল যতিহীন, তবুও।
বছরের শেষ সপ্তাহটিতে ঠাকুমা বিশেষভাবে মনে করিয়ে দিত – ছাতু এনে রাখার জন্য। দু’রকমের – যবের এবং ছোলার। তারপর বছরের শেষ দিনটিতে – চৈত্র সংক্রান্তির সকালে অনুষ্ঠিত হত এক মজার লোকাচার। অবশ্য, তখন সেটা মজার ছিল না।
বাড়ির সামনের রাস্তায় তিন ভাই এক হাতে মুঠোভর্তি ছোলার ছাতু আর এক হাতে মুঠোভরতি যবের ছাতু নিয়ে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে পড়তাম, যথা সাধ্য পা দু’টো ছড়িয়ে। এর পর মাথা সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে প্রায় হাঁটুর কাছাকাছি এনে ঠাকুমার সুরে সুর মিলিয়ে বলতাম ‘যা শত্রু পরে পরে’। (এই রকম-ই কিছু, যতটা মনে পড়ে।) আর, পায়ের তলা দিয়ে মুঠো খুলে ছাতুর পুঁটুলি ছুঁড়ে দিতাম পিছনের দিকে। হাওয়ায় ছাতু উড়ে যেত - কে জানে কোন শত্রুকে নিকেশ করতে। এবার এক-ই জায়গায় উল্টো দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আবার শত্রুর উদ্দেশ্যে ছাতু নিবেদন। তারপর আরও একবার প্রথমবারের মত করে। কোথা থেকে কি ভাবে ঠকুমা এই নিয়ম পেয়েছিল – জানি না। কুচবিহারের জীবনের তিনিটি বছরে ত বটেই তার পরেও চার-পঁচ বছর চলেছিল এ নিয়ম পালন। লজ্জা লাগত - আর কাউকে দেখতামনা এই রীতি পালন করতে। নিজেরাও করতাম অন্যদের নজর এড়িয়ে।
এইভাবে সাফল্যের সাথে শত্রুনাশ-এ সফলতা অর্জনের পরেই আসত চৈত্র সংক্রান্তির বিশেষ আকর্ষণ – লম্বা পিরামিডের মত দেখতে লাল-সাদা-সবুজ রং-এর ‘মঠ’ – যেন মঠের চূড়া – চিনি দিয়ে তৈরী মিষ্টি, বেজায় শক্ত। আর, গোল গোল সাদা কদমা – সেও চিনির তৈরী, নরম, যেন জমাট ফেনা। আর পেতাম পয়সার মত আকৃতির তিলা – চিনি আর তিল থেকে বানানো। এক এক বাটি মুড়ির সাথে এইসব অমৃতদ্রব্যের সদ্বব্যবহার করার যে বিপুল আনন্দ লাভ হত তার কাছে রাস্তায় গিয়ে ছাতু ওড়ানোর লাজুক দ্বিধা চাপা পড়ে যেত। এরপর বড় হতে হতে কখন কিভাবে আমাদের লজ্জাবোধও বড় হয়ে গিয়ে এ নিয়ম উঠে গেল এখন আর মনে পড়ে না।
এইমাত্র মার সাথে দূরভাষে কথা হ'ল। মনে করিয়ে দিল যে আমাদের বাড়িতে সংক্রান্তির দিন তেতো আর টক খাওয়া ছিল বাধ্যতামূলক। সেই সাথে এও মনে করিয়ে দিল যে এই সপ্তাহের এই শনিবারের গল্প-টা সংক্রান্তির গল্প। কাল, রবিবারে নববর্ষের আমি যেন তাকে দূরভাষে প্রণাম জানাতে ভুলে না যাই। সেই ত - এই প্রতীক্ষা জানে সেই জন যে থাকে অপেক্ষায়।
সংক্রান্তির পরের দিনটিতেই আসত সারা বছর প্রতীক্ষায় থাকা – নূতন বৎসর, নতুন বছর, নববর্ষ, পয়লা বৈশাখ।এই পর্যন্ত আসার পর স্মৃতি আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করল। মহালয়ার দিন যে ঘটনা ঘটত সেটা এই দিনটাতে সমাপতিত হয়ে গেল। ঐ দিনের ভুরিভোজের গল্পকে ঠেলে নিয়ে এলাম এই দিনের কাছে। মহালয়ার দিনটিতে আমাদের বাড়িতে একটা নিজের ধরণের গল্প ছিল – বাবার কারণে। এই মানুষটির কয়েকটি নিজস্ব রীতি বা আচার ছিল – তার একটি ছিল ঐ দিনটিতে একজন ব্রাহ্মণ অতিথিকে ভোজন করানো। ভুরিভোজের বিশেষ ব্যবস্থা – অতিথির সাথে আমাদেরও। ব্রাহ্মণকেই কেন নেমন্তন্ন করা হবে এই প্রশ্নের জবাব ছিল – তাঁর অকালে হারানো বাবা সেইরকম-ই করতে বলে গেছেন। একটা সময়, শুধুমাত্র ব্রাহ্মণকেই নিমন্ত্রণের জড়তাটা বাবা কাটিয়ে উঠেছিলেন। পরে জীবন আরও কঠিন হয়ে যাওয়ায় অতিথি আপ্যায়ণের অংশটুকু আর টানতে পারেন নি। যাক, এই দিনের সুবাদে সেই দিনের গল্প হয়ে গেল যৎকিঞ্চিত।
পয়লা বৈশাখের দুপুরেও ভাল মতই ভোজ হত। তবে, সেই ভোজের থেকে বেশী আকর্ষণের ছিল – বিকেলবেলার ‘হালখাতা’ – বাবার সাথে দোকানে দোকানে ঘুরে ঘুরে। ছোট, বড়, মাঝারি কোন না কোন মিষ্টির বাক্সে রকমারি মিষ্টি আর নোনতা। আর সেই সাথে একটা ক্যালেন্ডার। কোন দোকান কি ক্যালেন্ডার দিল বা কোন বাড়িতে কি ক্যালেন্ডার এলো – সেইটা একটা নজর করার মত ব্যাপার ছিল।
কাল ত অনন্ত, বহমান, যতিহীন। আমরা তাতে দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন বসিয়ে আমাদের কাছে তাকে অনুভবযোগ্য করে তুলি। কালের ধারায় অনুভবের ধারাও পাল্টায়। সংক্রান্তি থেকে পয়লাতে পদার্পণের অনুভব একটা নূতন মাত্রার আনন্দে উত্তীর্ণ হয়েছিল এক আশচর্য অভ্যুদয়ে – বাংলাদেশের সৃষ্টিতে। নিতান্তই ছায়া ছায়া মৃদু আলোয় দোকানীর অনুগ্রহের সান্ধ্য মিষ্টির হালখাতাকে ছাড়িয়ে সে পৌঁছে গিয়েছিল নিজেকে সগর্বে উপস্থাপন করার ঝলমলে রাজপথে। ১লা বৈশাখ আর মোটেও একলা নয়, অনেককে জড়িয়ে নিয়ে। নববর্ষের এই প্রবল উপস্থিতিতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল দূরদর্শন। প্রথম দিকে সীমিত সম্প্রচার, কিন্তু আকর্ষণ-এর কোন কমতি ছিল না। কলকাতার সম্প্রচার, বাংলাদেশের সম্প্রচার – যে বাড়িতে এই দুই-ই হাজির তাদের ব্যাপার-স্যাপার-ই আলাদা। তারপর ত এসে গেল আর এক যুগ – চ্যানেল এর পর চ্যানেল। নববর্ষের বিপুল উদযাপন। সেই যুগটাকে আমার কাছে থেকে দেখা হয়নি। বাংলাভাষার দুনিয়া থেকে সরে আসা মানুষ দূর থেকে শুনি সে কলকল্লোল। দূর থেকে হলেও ভাল লাগে।
সেই ভাল লাগা আমাদের পৌঁছে দেয় আরেক অনুভবে। পৃথিবীর মুখ একটুখানি দেখে ফেলেছি বলে, বাংলার মুখ দেখা মুছে যায়না। নিতান্ত সাধারণ মানুষগুলো তাই জড়ো হয়ে যায়, যাই, সাধ্যমতো, সেই অসাধারণ উদযাপনে – বাংলা ননবর্ষের – দুনিয়া জুড়ে।
আজকের ক্যালিডোস্কোপে কোন মন খারাপের কথা নেই। সে সব অন্য আরেকদিন হবে। আজ সকলকে আনন্দ-অভিবাদন।
মন্তব্য
ভোর সোয়া তিনটা বাজে। পরে এসে পড়বো। ইটা রেখে গেলাম।
শুভ নববর্ষ ১৪২৫!
****************************************
শুভ নববর্ষ ১৪২৫!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
মন খারাপের কথা নেই! নেই!! পুরো লেখাটাই তো ভীষণ মন খারাপ করানো। শুভ নববর্ষ।
--মোখলেস হোসেন
শুভ নববর্ষ ১৪২৫!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আমাদের ছোটবেলার চৈত্র সংক্রান্তি এবং পয়লা বৈশাখ বেশ উজ্জ্বল ছিল, বিশেষ করে গ্রামীন পর্বে। চৈত্র সংক্রান্তিতে ছিল মেলা, কোন কোন মেলা ছিল খুবই বিখ্যাত। মেলায় এমন অনেক জিনিস বিক্রি হত যা অন্য সময় কোথাও বিকাতো না। আর ছিল চরক পূজা, যেখানে সেটা হত, সেখানেও বসতো ছোটখাট মেলা।
পয়লা বৈশাখ পরিচিত ছিল হালখাতার জন্য। চাচার হাত ধরে হিন্দু মহাজনের গদিতে যেয়ে রসগোল্লা আর নিমকি খেয়ে আসতাম। পরে রংপুরে যেয়ে দেখলাম সেখানকার সচ্ছল ও শিক্ষিত মুসলমান পরিবারে পয়লা বৈশাখে ভাল ভাল পদ রান্না করে খাওয়া দাওয়ার প্রচলন।
এখন বাংলাদেশের সকল প্রান্তে পয়লা বৈশাখে যে উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয়, এক কথায় তা অপুর্ব। দেখে হৃদয় জুরিয়ে যায়।
ঠিক! চরক-এর উৎসব-এর নামডাক ছিল। তবে, আমার কখনো দেখা হয়নি।
জানি না কিভাবে হবে, কিন্তু সচলরা মিলে নববর্ষ উদযাপন করলে বেশ হয়!
অনেক শুভেচ্ছা, আব্দুল্লাহ-ভাই।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
১। চৈত্র সংক্রান্তিতে ছাতুর ডেলা খাবার ব্যাপার ছিল বলে জানতাম তবে ছাতু দিয়ে শত্রু নিকেশের কথা এই প্রথম শুনলাম। ভালো লেগেছে!
২। চিনি দিয়ে বানানো শক্ত-নরম কদমা, গুড় আর তিল দিয়ে বানানো তিল্লা, সাদা রঙের চিনির বাতাসা, লাল রঙের গুড়ের বাতাসা, লাল রঙের মুড়ি, ধবধবে সাদা খই, গুড়ের পাক দেয়া উক্রা (মুড়কি) আমরাও খেতাম! মঠের কথা শুনেছি কিন্তু খেতে পাইনি। তবে চিনি দিয়ে বানানো ছাঁচের হাতি-ঘোড়া খেয়েছি। আমাদের শহরের উকিলপাড়ার জগদ্বন্ধু'র বানানো চিনির বালুসাই স্বর্গ থেকে আনা বস্তু।
৩। আমার মা'ও এক কালে চৈত্র সংক্রান্তিতে তেতো আর টক রান্না করতেন। চৈত্র সংক্রান্তি না মকর সংক্রান্তিতে ২১/৩১/৩৩/৩৯ পদের সব্জী দিয়ে নিরামিষ রাঁধতেন।
৪। শৈশবে আমাদের কাছে পয়লা বৈশাখ মানে লক্ষ্মীনারায়ণ আখড়ার মেলা থেকে কেনা কাগজের চরকী, নানা রকমের গাড়ী-বাঁশি-ঢোল-ডুগডুগি, কাটারি, গুলতি ............... অনিঃশেষ আনন্দের উৎস!
৫। ঊচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় থেকে নিজে নিজে সূর্য ওঠার আগে রমনায় ছায়ানটের অনুষ্ঠান, পরে শিশুপার্কের সামনে ঋষিজের অনুষ্ঠান, চারুকলায় আনন্দ শোভাযাত্রা (পরে মঙ্গল শোভাযাত্রা), কলাবাগান মাঠে বৈশাখী মেলায় যাওয়া শুরু করি। ছায়ানটের অনুষ্ঠানে আজও যাই।
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।
মায়ার কুজ্ঝটিজাল দূরে যাক।।
শুভ নববর্ষ দাদা!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
শুভ নববর্ষ সখা!
ছাতুর ডেলা খাওয়াটা-ও ছিল; বলতে ভুলে গিয়েছিলাম
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আপনার এই “মজার লোকাচার”টা যদি আরো একটু বিশদ জানা যেতো। খুব আগ্রহ অনুভব করছি। চৈত্র সংক্রান্তিতে বেশ কয়েকরকম ডাল একসাথে মিশিয়ে খাবার মনে হয় একটা লোকাচার ছিলো রংপুরের দিকে, আমার বউয়ের কাছে শোনা। সেই সব লোকাচারের কথা একেবারে হারিয়ে যাবার আগে যদি কেউ একটু কষ্ট করে লিখে রাখতো বিশেষ করে যাদের এই লোকাচারে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা একটু হলেও আছে, তবে বেশ হতো। আপনার লেখাটা আরো জানার ক্ষুধা বাড়িয়ে দিলো। একটু সময় করে আরেকদিন লিখেননা এসব নিয়ে।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
লোকাচারঃ আমার অভিজ্ঞতা আমি লিখেছি। এবার আপনারা পাঠকরা মন্তব্যে এসে নিজের নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবেন/নিচ্ছেন। এইভাবেই ত ব্লগের লেখা সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। শুধু আশঙ্কার - সচলায়তনের হাল যাঁরা ধরে আছেন তাঁরা ক্লান্ত হয়ে গেলে বা আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে কি হবে!
লেখা পড়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। নববর্ষের শুভেচ্ছা নেবেন।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
লেখাটা পড়ে ভেসে গেলাম ছেলেবেলায়। নববর্ষে ছাতুর প্রচলন প্রায় ভুলতে বসেছিলাম, ছোট বেলায় যব ও ছোলা দু'রকম ছাতুই আনা হতো বাসায় এই বিশেষ পর্বকে কেন্দ্র করে। গুড় দিয়ে মেখে খাওয়ায় হতো যতদূর মনে পড়ে। নববর্ষের শুভেচ্ছা থাকল!
ছোটবেলার দিনগুলোকে ঘুরেফিরে দেখার জন্যই ত ক্যালিডোস্কোপ।
আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
সবই তো বুঝলাম। নববর্ষের খুশিতে ইলিশ মাছ খাইলেন না ভর্তাভাজি রান্না করলেন সেইটাও বিশদ লেখেন।
..................................................................
#Banshibir.
মাছ আমি খুশি হয়ে খাই না। তাই ঐটি থেকে দূরে থেকেছি। কিন্তু উৎসবে সামিল বাকি জনতা মহানন্দে ইলিশ দিয়ে নববর্ষ উদযাপন কল্লেন! এ ছাড়াও নানাবিধ আয়োজন ছিল - গড়গড়ায় টানা ধোঁয়ার কুণ্ডলী থেকে হুইস্কি পর্যন্ত। বন্ধুবৎসল দম্পতির বাড়িতে প্রায় ৭০ জনের জমায়েতে কবিতা-গান-নাচ-হুল্লোড়-তাস খেলা সব মিলিয়ে আগামী সারা বছরের এক চমৎকার আভাষ উপভোগ করা হোল।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নতুন মন্তব্য করুন