:: চটপট শাকপাতারি (নামটা ফারুকের দেয়া) ::
পাঁচশ গ্রাম শাক নিয়ে লবন হলুদে সিদ্ধ দিন।
পাঁচ মিনিট পার হয়ে গেলে নামিয়ে পানিটা ঝরিয়ে দিন।
কুচি করে নিন পিঁয়াজ রসুন কাঁচামরিচ পাঁচটা।
তেল দিয়ে চুলার কড়াইয়ে বাড়িয়ে দিন আঁচটা।
পিঁয়াজ রসুন মরিচ ছাড়ুন ,ভেজে করুন লাল।
দিতে পারেন শুকনা মরিচ যদি চান আরো ঝাল।
এবার তাতে শাক ছেড়ে দিন ,ভাজুন নেড়ে চেড়ে,
লবন দিয়ে নামিয়ে ফেলুন পাঁচ মিনিট পরে।
:: খাসীর রেজালা ::
এক কেজি খাসীর মাংস ধুয়ে নিতে হবে কেটে।
আধা কাপ দই মেশান হালকা হাতে ফেটে।
আদা রসুন বাটা মেশান দুই চামচ ভরে।
তাতে দিন এবার লবন ধনিয়া এক চামচ করে।
এলাচী চারটা তেজপাতা দুই দারচিনি চারখান
গরম মশলা দেড় চামচ জিরাও তার সমান ।
লাল মরিচ আর হলুদ মেশান আধা চামচ মত।
ঢেকে রাখুন ঘন্টা দুই চুপচাপ অন্তত।
দুই কাপ পিঁয়াজ মিশিয়ে এক কাপ দিন তেল।
সব মাখিয়ে দিন খুব কম আঁচে শুরু হল খেল।
ঢেকে দিয়ে মাঝেমাঝে করুন নাড়া চাড়া।
পোড়া লেগে গেলে সব কিছুই মাঠে যাবে মারা।
আট দশটা কাঁচামরিচ মাঝখানে নিন ফেড়ে।
ঢাকনা খুলে রেজালাটাতে দিন এবার ছেড়ে
একটু পরেই দেখুন কেমন মাংস পানি ছাড়ে।
নিজ পানিতেই সিদ্ধ হবে দেড় ঘন্টা পরে।
এবার বাড়ান চুলার আঁচটা মাঝারী করুন তাপ।
মাংস নরম হল কিনা দেখুন দিয়ে চাপ।
ঝোল শুকিয়ে তেল বের হলে দেখাবে মাখা মাখা।
রেজালা রান্না হল খতম বাকি শুধু চাখা।
::ফিরনী::
দুই লিটার দুধ নিয়ে চুলায় বসান জ্বালে
ঘন করে আঁচ কমান প্রায় অর্ধেক হলে।
ছয় মুঠ পোলাওয়ের চাল আর দুই কাপ পানি
আরেক চুলায় বসিয়ে রাখুন আধা ঘন্টা খানি।
নরম হলে ঘুটে ঘুটে জাউ বানিয়ে নিন
ঘুটা শেষ হলে এক চিমটি লবন তাতে দিন।
দুধে ফেলুন দুইটা এলাচী দুইটা দারচিনি
গরম জাউটা ঢেলে তাতে এক কাপ দিন চিনি।
সব মিশিয়ে হালকা আঁচে করুন নাড়াচাড়া।
দশ মিনিটেই হয়ে যাবে ফিরনী রাঁধা সারা।
মন্তব্য
জট্টিল।
এই প্রণালীর বড়ো সুবিধা চুলা জ্বালানো লাগে না।
জাঝা
তাই? অনেক ধন্যবাদ।
হেহে চুলা কি বুয়া জ্বালায় দেয়? ওয়েলসে বুয়া নাই তাই আমি নিজেই জ্বালাই।
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
আমার বাসায় চুলা'ই নাই
রেসিপি ভালবাসিনা, শুধু সুখাদ্য ভালবাসি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
আহ্ ফিরনী আহ্!
মহত্ সব রেসিপি সাপ্লাইয়ের জন্য বিবাগিনীকে পাঁচ দাগানো হইলো। সবুজ বাঘ মামু শাকপাতারির গন্ধে ছুটে আসলো বলে!
আর লেখার অন্ত্যমিল এতই চমতকার হয়েছে যে মনে হয়েছে যে ছন্দে বাধা গদ্যই পড়লাম।
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
এখনই আহ? আগে রেঁধে খেয়ে বাহ বলেন তারপর না মজা!অনেক অনেক ধন্যবাদ!!
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
ভাই জানেন তো, সিদ্দিকা কবীর চা বানাতে পারে না। আপনার কী অবস্থা?
চির আমি
পারি।
ঢাকাইয়া মালাই চা খাবেন?
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
বিবাগিনী হায় হায় এডি কি করসেন হাহা জটিল, জটিল !! এত পাম দিলাম এখন রাইন্ধা খাওয়ান
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আচ্ছা
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
এতো সিদ্দিকা আপার ভাত মারার অবস্থা হলো!
পাবলিক ছড়ার তালে তালে রাঁধতে পারলে কি আর ভ্রুঁ কুঁচকে বই পড়ার পায়তারা করবে?!
"রান্না খেলা .... সারাবেলা"
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
হেহে অনেক ধন্যবাদ।
আমি খেলাখেলির মত করেই আসলে ক্লাস ফাইভ সিক্সে থাকতে রান্নাবান্না নিয়ে তুলকালাম শুরু করি।আম্মু রাগারাগি করলেও আব্বু ছিল আমার এই খেলার সাথী।যত পচা হোক, আঙ্গুল চেটে খেত আব্বু আর বলত "আম্মুউউ অনেএএক মজা হইছে!"।অনেকদিন আব্বুকে দেখিনা।কেন যে মেয়েদের বিয়ে হয়!!
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
এই যাহ! আমার মন্তব্য লুৎফুল আরেফীন করে ফেলেছেন। মানুষটা যে কী!...হুমম... যান, আর খেলবো না।
তবু বলি, ছড়াছড়ি ।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
তাই?
অসংখ্য ধন্যবাদ! ইচ্ছা করছে আপনাদের সব্বাই কে রেঁধে খাওয়াই।
আমার রান্না করতে অনেক মজা লাগে
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
এখানে দেখি সব উল্টা কাজ-কারবার। সন্ন্যাসী নামে আছেন একজন, উনি লিখেন কামরাঙ্গা ছড়া, আর বিবাগিনী দেন খাবারের রেসিপি!
ঘোর কলিকাল!
=============
"আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম"
বিবাগিনীর কি রসনাবিলাস নয়ত অন্তত রন্ধনবিলাস থাকিতে নাই ভাই?
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
নতুন মন্তব্য করুন