হৈমন্তীর বিয়েটা আমাকে ভাবিয়েছিল খুব।তখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি।এর আগে গল্পগুচ্ছ নাড়াচাড়া করলেও অত মন দিয়ে পড়িনি কখনো।কম বয়সে বেড়ে যাওয়ায় হৈমন্তীর মতই ঢ্যাঙা হাত পা গুলো নিয়ে আমি সবসময় একটু বেকায়দায় থাকতাম।যখন ক্লাস টুতে পড়ি সবাই ভাবত পড়ি ফাইভে।আর ফাইভে ওঠার পর থেকে কেউই ভাবতনা আমি ইশকুলে পড়ি।কিযে যন্ত্রণা! আমি জানতাম আর জানে হৈমন্তী।পনেরোতে যখন পাঁচ ফুটের পর সাত ঘর ছুঁলাম তখন আসলেই নিজেকে বেখাপ্পা মনে হত।হৈমন্তীর যখন বিয়ে হয় এমন বয়সে সবাই ভাবত সে আরও বড়।সমব্যাথী বলেই হয়ত খুব কষ্ট হত ওর জন্য।আর খুব আপন মনে হত।
আমি ছোট থেকেই মহা " ল্যাবেন্ডিস" যাকে বলে।অপুর চোখে দেখা হৈমন্তীর সাদাসিধা মুখটা, বাঁকা পাড়ের নীচে খালি পা, আর জবরজং জ্যাকেট বিহীন সাধারন শাড়ি আর সাজে তোলা ফটোটা অবিকল দেখতে পেয়েছিলাম চোখ বুঁজে।যখনই আমার সাজগোজ না করতে পারা আর ল্যাবেনডিস ভাব সাব নিয়ে কেউ কিছু বলত, খারাপ লাগলেও মনে মনে ভাবতাম, হৈমন্তীও তো সাজে না।আর অনেক সাদা সিধা। নিজেকে হৈমন্তীর অনেক আপন মনে হত।আর হৈমন্তীকেও আমার।এই তৃপ্তিতেই হয়ত চুলটাও আজও বাঁধতে শিখিনি ভালমত।সাজগোজ তো দূরের কথা! ঠোঁটে রং চড়াতে গিয়ে নার্ভাস হয়ে যেতে দেখে আমার কেমিকেলের "পিচ্চি পরী" সই বলেছিল, "শোন গাধী ঠোঁট আঁকার সময় ভাববি এটা ঠোঁট না।তুই ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রইং ক্লাসে ড্রইং করতেছিস।" হেসে উড়ালেও মনে মনে ভেবেছি হৈমন্তীরা সাজতে পারেনা।
তাইতো অপুরা তাদের ভালবাসে!
বুয়েটের সবুজে খেলে খেলে বড় হয়েছি।হৈমন্তীর পাহাড়ী সবুজের মত না হলেও ঢাকায় তো এমন আর নেই কোথাও! গাছ ফুল পাখি আর ঘাস আমার ভাললাগে খুব।খুব ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে আমি প্রায়ই বের হতাম বাইরে।ছোট বেলায় লাল পাড়ায় থাকতে বাসার নীচের শেফালী ফুল গাছটার নীচে দাঁড়াতাম।ফুল কুড়িয়ে নিয়ে আসতাম।আর মনে পড়ে ভিসি বাংলোর সামনে বড় মাঠের ইউক্যালিপ্টাসের অদ্ভুত গন্ধ সন্ধ্যা বেলা।বকুল ফুলের গাছ গুলো পাঁচিল ঘেষে।কাঁচা আম, অড়বড়ই আর পেয়ারা গাছগুলো।উফ সেকি মজা!আর ভিসি বাংলোর কাঠগোলাপ গাছটাতো ছিলই।এখনো আছে।থাকে যেন চিরকাল।ছয়তলা অচেনা বাড়িটার জানালায় দাঁড়িয়ে এই সব কত যে ভেবেছি!।ইট কাঠ আর কংক্রীট ভাল লাগে না।জানালাটা দিয়ে আকাশটুকু তাও দেখা যায়।বুয়েটের বাইরে এর আগে থাকিনি কখনো ঢাকা যে এত পচা জানতাম না।দম বন্ধ লাগে।রাতে সবাই ঘুমালে ড্রইংরুমের জানালায় এসে দাঁড়াতাম প্রতি রাতে।হৈমন্তীর কি এরকমই লেগেছিল পাহাড়ী জায়গাটার কথা ভেবে?
ছোটবেলা থেকেই প্রচন্ড আদর আহ্লাদে বড় হয়েছি।মনেহয় আব্বুরই প্রশ্রয়ে।স্বাধীনতা পেয়েছি দেদারসে। অপব্যবহার করা হয়নি কখনো।সহজে সব পেলে মনেহয় জেদ হয়না যা খুশী করার।আম্মু আব্বু সবসময় বাবা মা কম বন্ধু বেশী আমার। হেনতেন নিয়ম কানুন আর প্রথায় জড়াতে হয়নি কখনো।করতে হয় বলে কোনোদিন কিছু করিনি।এক রাতের বিধি বিধানে সব কেমন পাল্টে যায় ভেবে অবাক লাগে।হৈমন্তীর কথা ভাবতে থাকি ক্লান্ত চুলগুলো আনমনে আংগুলে পেঁচিয়ে।এত কিছু কেন করতে হয়? না করলে কি হয়? কেন এত কিছু করতে নেই।হাসি পেলে কেন সব সময় হাসতে হয়না? কান্না পেলেও কেন কাঁদতে নেই? কেন এইখানে থাকতে হয়? কেন ওইখানে থাকা যায়না সারা জীবন? জীবনে প্রথম কেমন যেন বিদ্রোহী হয় ওঠে মনটা।
খুব মন কেমন করে।বাবার জন্য।মার জন্য।আমার আদরের পোঁটলা ছোটভাইয়া আর চিরকালের সাথী ছোট আপিটার জন্য।তখনো ভেতরের হৈমন্তীটা নতুন অপুটাকে আপন করতে পারেনি।শুধু খুব অভিমান হত তার উপরে তার জন্য সব ছেড়েছুড়ে আসতে হল বলে।এর নাম বড় হওয়া।কচু আর ছাই!আব্বুর কান্না দেখে বিয়ের রাতটাতে বারবার হৈমন্তীর বাবার কথা মনে হচ্ছিল।বাবা আর আমাকে আলাদা করতে সেদিন রাত দুটা বেজে গিয়েছিল।বোকা অপুটা পাগড়ি মাথায় মাথা নীচু করে দঁড়িয়েছিল চুপচাপ এতক্ষণ!সে তো ভেবেই সারা "পাইলাম, ইহাকে আমি পাইলাম"!পেলই তো।কিন্ত হৈমন্তীটা যে কত কিছু হারাল তা কি সে জানে?
এরপর আরও অনেকগুলো দিন ।অপুটাকে চিনতে মন শিরশির করত অদ্ভুত ভাললাগায়। কিন্ত দ্বিতীয় সীতা বিসর্জনের আড়ম্বরগুলো প্রকট ছিল এতই যে ফিকে হয়ে যেত সবটুকু ভাললাগা।হঠাৎ বুকের ভেতরে খালি খালি লাগত।ছাদে গিয়ে অনেক রাতে তারা দেখতাম আর ভাবতাম, হৈমন্তী কি এমন করেই তারা দেখত আঁচল বিছিয়ে? আচ্ছা, হৈমন্তীদের বিয়ে কেন হয়?
পুনশ্চ: ঐ অপুটা পারেনি।এই অপু কি পারবে দ্বিতীয় সীতা বিসর্জনের আগেই হৈমন্তীকে নিয়ে পালাতে? আমার কেন যেন বিশ্বাস হয় পারবে।
মন্তব্য
- চেলা কাঠ চিনেন?
এই অপু ব্যাটাকে চেলা কাঠের ডর দেখান। পালাবে মানে? দেখবেন হুড়মুড়িয়ে পালাবে, তাও আপনাকে সহই। সাথে না নিলে, চেলা কাঠতো আছেই।
উপদেশ কাজে লাগলে আমার চেম্বারে এসে ফিসটা দিয়ে যাইয়েন জনাবা!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
:)) আচ্ছা
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
আপনার বিবাগিনী নামটা তো পাল্টাইতে হইবো এরপর... গৃহী/গৃহিনী ভাল নাম হইতে পারে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
সংসারী মানুষও বিবাগিনী হয়
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
আমারে লইয়া টানাটানি ক্যান?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি একগামী পুরুষ। একমাত্র নারীদের ভালোবাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
হৈমন্তি পড়ে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। ইচ্ছা হয়েছিল অপু শালাকে ধরে মারি।
আপনার লেখাটা চমৎকার হয়েছে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
অনেক অনেক ধন্যবাদ
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
সংসারি মানুষ ও বিবাগি হয়। চমৎকার কথা আপু। চমৎকার।
তবে কি জানেন, এ সমাজে হৈমনতী কে নিয়ে কত মানুষের ভাবনা। কিনতু তার বিপরীত লিংগেও যে বহু নিরব হৈমনত আছে তাদের কথা কেউ লিখুন।
আততায়ী
আপনি লিখে ফেলুন।
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
ভাল লাগল। আপনার লেখার ধরণটা খুব সুন্দর। আমারও বিশ্বাস এই অপু পারবে! না পারলে ধুসর গোধূলি ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
এটাই!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
অদ্ভুত সারল্য এই আপনার লেখায়
অদ্ভুত সারল্য আপনার এই লেখায়
বেশ ভালো
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
হুম! সাহায্য দরকার হলে আমাকে বলো। দেখি কী করা যায়।
ঠিকাছে বলব।
সবুজ বাঘের সব বানান ঠিক হলে ভালোলাগে না
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
ছেলেমেয়ের বাবা হিসেবে অধিকাংশ মানুষ এই সত্যটা মানতে চান না। আমি এই তত্ত্বে আজীবন বিশ্বাসী এবং ছেলেমেয়ের ওপর আস্থা আমার পুরোমাত্রায়। এখনো ভুল প্রমাণিত হয়নি।
*********
চমৎকার একটা লেখা। একটু একটু বিষাদের সঙ্গে কোথাও একটু লুকানো আনন্দ। ভালো লাগলো খুব।
*********
একটু মাস্টারি। লেখায় প্রতিটা যতিচিহ্নের পরে একটা স্পেস দেওয়ার নিয়ম। তাতে পড়তে সুবিধা হয়, চোখ আরাম পায়।
মাস্টারির জন্যে কোনো ফি লাগবে না, তবে অসন্তুষ্ট না হলে বর্তে যাই।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
দোয়া করি যেন আপনার ছেলে মেয়েরা অনেক অনেক ভাল থাকে। সবার বাবা যেন আমার বাবা আর আপনার মত হয়।
অনেক কৃতজ্ঞ আমি আপনার প্রশংসা আর আপনার মাস্টারির জন্য। এখন থেকে খেয়াল রাখব। আরো কোন ভুল হলে সাথে সাথে ধরিয়ে দিবেন কিন্তু!
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
:)
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
হৈমন্তী কে নিয়ে আমি চিন্তা করি না। কারণ হাজার হাজার হৈমন্তী আমাদের সমাজে আছে। আমার ভাবনা হৈমন্তদের নিয়ে। আর অপুর জন্য বলবো ভাই এত বছর পর এখন তো দায়িত্ব নেবার সময় এসেছে। তাহলেই তো আর হৈমন্তীদের জন্ম হয় না। পালাতে হলে চাই সাহস আর দায়িত্ব নেবার মানসিকতা। আফটারঅল আমরা ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। আর কয় বছর পর ন্যানো যুগে প্রবেশ করবো। আর কতোকাল? জাগো হে অপুরা।
[পুনশ্চঃ আপু রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে আপনার উপর খুশি হতেন।]
চির আমি
ধন্যবাদ
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
খুব দরদ দিয়ে লেখা। একান্ত অনুভূতিগুলো চমৎকার ফুটে উঠেছে। অনেকদিন এই রকম মায়াময় ব্যক্তিগতকথন পড়িনি। বেশ ভালো লাগলো। আরো চলুক।...
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
লিখতে ভাল লাগে বলেই লেখার শুরু। কিন্তু আপনার মত এইভাবে কেউ বললে লেখাটা সার্থক মনে হয়।
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
এ দেখি অণু-উপন্যাস! ধন্যবাদ যে অন্তত অণু-গল্প লেখেননি।
দুর্দান্ত বর্ণনা-ভঙ্গি বিবাগিনীর। শুভেচ্ছা।
অড়বড়ই কাকে বলে? ঠিক চিনিনা। কি বিস্ময়!
এই বাক্যটা কি আপনি ভেবে তৈরি করেছেন নাকি স্বত:স্ফূর্ত প্রকাশ। বাংলায় ঠিক এরকম বাক্য সম্পূর্ণ অর্থপ্রকাশ করে না। তবে হিন্দিতে বা ইংরেজিতে এরকম বাক্য ব্যবহৃত হয়।
আরো লেখা পড়তে চাই। হৈমন্তীর গল্পটা আমরা একরকম জানি। এবার অপুর গল্পটাও বলে ফেলুন। হৈমন্তীকেই কেন তার মনে ধরলো?
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
সত্যি এবার আমি বাক্যহারা। ধন্যবাদ কিভাবে দিব তাও খুঁজে পাচ্ছিনা। আমি খুব খুব কৃতজ্ঞ আপনার কাছে এতটা প্রশ্রয় দেবার জন্য!
অড়বড়ই খুব খুব টক একটা আমলকীর মত দেখতে ফল।
আমি বাক্যটা আসলে বলার মত করে লিখে ফেলেছি আপনা থেকেই। এখন থেকে সাবধান হব।
অপুটা আমাকে মাইর দিবে,তাও লিখব একদিন ওর কথা
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
কিশোর বেলায় পড়া হৈমন্তীর শোকে আমারও অনেকদিন কেটেছে---- পরে যখন জানলাম এ লেখা রবি ঠাকুরের বড় মেয়েকে নিয়ে তখন কষ্ট আরও বেড়েছে-------- পরে নিজের জীবন দিয়ে হৈমন্তীর শূণ্যতাকে প্রতিনিয়ত অনুভব করে যাচ্ছি-------
অসম্ভব ভাল আর ভাল লিখেছেন-------
সাহস করে কথা বলাও এক ধরণের সততা ------ আপনাকে অনেক ভাল লাগলো------
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
আমাকে আর আমার লেখা ভাল লাগার জন্য অনেক ভাললাগা আমার থেকেও
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
ভাল লাগল, আর এই অপু না পারলে চেলা-কাঠ-প্রতিকার তো আছেই !
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হুঁ আছে তো!
ধন্যবাদ অনেক অনেক অনেক
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
সবাই সব বলে গেছে।
আমি আর কী বলি।
বর্ণময় লেখা।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
অশেষ ধন্যবাদ
এত ভাল লাগবে সবার ভাবতেই পারিনি!
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
আপনার লেখার ভঙ্গিতে একটা অদ্ভুত সারল্যর ছোঁয়া আছে...
এই হৈমন্তীকে আমার খুউব পছন্দ হয়েছে
--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নিজেকে আমারও হৈমন্তী মনে হয় মাঝে মাঝে।
আগামীকাল আমার পরীক্ষা আর আমি বসে বসে আপনার লেখাগুলো পড়ছি।
নতুন মন্তব্য করুন