নিজেকে পেছনে ঠেলতে ঠেলতে সবচেয়ে ছোটবেলায় দেখা টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের কথা ভাবতে গিয়ে যেদুটো মনে পড়ল তার দুটোই কেশতেলের। ব্যাপারটা আজব ঠেকলেও আমি টের পেলাম আমার স্বভাবজাত তুমুল কেশবিলাসের শুরুটা আসলে ঐখানেই। নিজের আগাছার মত একগাদা অগোছালো চুল (ওয়েলসে এসে কেটে ফেলেছি ) নিয়ে আমি সবসময়ই মহা গর্বিত। যাই হোক, প্রথম যেটার কথা মনে পড়েছে সেটা হল এপি পনেরো কেশ তেল। তখন আমার পাঁচ ছয় বছর হবে মনে হয় বয়স। আবছা আবছা মনে পড়ে, একটা ঢুলু ঢুলু চোখের কার্টুনিত রাজকন্যা। চুল তার এতই লম্বা যে তিন চারজন সখী তা বয়ে চলে পিছে পিছে তার। এই দৃশ্য দেখে তো চোখ আমার ছানাবড়া। আমার এখনো স্পষ্ট মনে পড়ে আম্মুর হাড্ডি জ্বালিয়েছি ঐ ঝিমঝিম করা কবিরাজী গন্ধযুক্ত রুহ আফজার মত লাল রঙের তরল পদার্থ কিনে না দেয়া পর্যন্ত। এরপর আর আমাকে পায় কে! চলতে থাকল যখন তখন নিজেই তেলের বোতল খুলে মাথায় ঢেলে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে "সাজাবে সখী তোরে কেশবতী করে দেবে এপি পনেরো কেশতেল" গান গাওয়া আর অধীর অপেক্ষা চুল বড় হবার। তারস্বরে এই গান শুনতে শুনতে সবার একেবারে কান ঝালাপালা প্রায়। চুল বড় হতে থাকল কিন্তু কাউকেই বয়ে টয়ে নিয়ে যেতে হয়না। আমি তো খুবই হতাশ। এরপর এলো আরাম তেলের বিজ্ঞাপন। গানটা খুবই মজার ছিল। আমার এখনো মনে আছে পুরাটাই। "টগবগ টগবগ ঘোড়ায় চড়ে রাজার কুমার এল। রাজকুমারী তোমার মাথায় এত চুল কে দিল? " রাজকুমারী তখন সুর করে চিৎকার জুড়ে " আরাআআআম! ষোল আনা খাঁটি আরাম!" সবশেষে রাজকুমারী কে ঘোড়ায় তুলে রাজকুমার দেয় চম্পট। খুবই ঘটনাবহুল বিজ্ঞাপন যাকে বলে। ব্যাস্! এপি কেশতেল আউট। আরাম তেল ইন। এই ধারাবাহিকতায় চলতে থাকে আমার বিজ্ঞাপন সংক্রমণ।
স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছি, দেশ ছাড়ার আগ পর্যন্ত যে সানসিল্ক শ্যাম্পু ব্যবহার করতাম সেটাও মনে হয় "জলে ভাসা পদ্ম আমি শুধুই পেলাম ছলনা" শীর্ষক জিঙ্গলের বিজ্ঞাপনের প্রভাব।
আমার এই বিজ্ঞাপন সংক্রমণ বংশগত হবার প্রচুর সম্ভাবনা আছে। কারণ আমি ভেবে দেখলাম, আমার আম্মু সংসারের বেশির ভাগ জিনিষই বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের আসরে আক্রান্ত হয়ে কিনে থাকেন। তা সে কাপড় কাচা সাবানই হোক অথবা ময়দা, তেল আর বিস্কুট। সবসময় যে সবগুলো সফল হয় তাও নয়। কিন্তু তাতে আম্মু নিরুৎসাহিত হবার নন। ডিপ্লোমা, রেড কাউ, এলডার্স আর নিউট্রিসি এর সাথে মুফতে পাওয়া ঘটি বাটি আর গেলাস চামচও অবশ্য এই ক্ষেত্রে তীব্র অনুঘটকের কাজ করেছে। আমার আব্বুও খুব পিছিয়ে নন।তাঁর কল্যাণে আমাদের বাসায় চমকদার বিজ্ঞাপনের সংক্রমণে ডেনিশ কন্ডেনসড মিল্কের প্রবল প্রচলন হয়েছিল। চায়ে যত না দেয়া হত ফ্রীজ থেকে হাত সাফাই করে খাওয়া হত তার দ্বিগুণেরও বেশি। আর আব্বু হতেন মহা বিরক্ত । তাতে আমার ডেনিশ গলাধঃকরণে কোনই ভাটা পড়তনা!
আমার এখনও মনে আছে, পেপসির একটা বিজ্ঞাপন দেখে আমি আর আমার ছোট আপি মিলে এক গ্লাস কোক পেপসি কিছু একটা নিয়ে ঢকঢক করে খেয়ে সশব্দে বলতাম "আহহ"। ঐখানে অবশ্য মডেলপ্রবর মাইকের সামনে ঐ ঢকঢক আর আহহ করেছিল। আমরা এমনি এমনিই করতাম। আরেকটা মজার কাহিনী মনে আছে। কুমার বিশ্বজিতের তুমি রোজ বিকেলে গানটা নিয়ে মনে হয় একটা বিজ্ঞাপন দেখাত আমার ছোটবেলায়। আমি এই গানটা একদিন সবার সামনে জোরে জোরে গাওয়ার পরে আম্মু বকা দিয়ে বলেছিল এইগুলা বড়দের গান। গাইতে হয় না। এখন আমার ছোট ভাইকে এই টাইপ বকা প্রায়ই আবার আমারই দিতে হয়।
একটু যখন বড় হওয়া শুরু করলাম তখন আবার মডেলগনের পুরুষ প্রজাতির প্রতি বিশেষ মনোযোগ বেড়ে গেল। আজাদ বলপেনের বিজ্ঞাপনে নোবেলকে দেখে তো চোখ একদম গোলালু আমার। কোকেরটাতে ফয়সলকে দেখেও। এখন অবশ্য সে নিজেই গোলালু। অন্যদের ভাল লাগলেও নোবেল ছিল আমাদের সবার ফেভারিট। এই লোক বুড়াও হয়না।এখনও দারুণ লাগে!
মেয়েদের মধ্যে রোমানার করা এ্যারোমেটিকের "অনন্যা তুমি ভালবাসা তুমি " সত্যি সবার খুব মন ছুঁয়েছিল। ঐ সময়ে এ্যারোমেটিক ছাড়া অন্য সাবান মাকরূহ ছিল আমাদের বাসায়। আর আমার খুব ভাল লাগত মৌ এর আপন জুয়েলার্সের বিজ্ঞাপন।
এরপর এল ডিশের যুগ। কত চ্যানেল আর কত যে বিজ্ঞাপন! এখনো ওয়েলসে আসার আগেও আমি চ্যানেল পাল্টে পাল্টে বিজ্ঞাপন দেখতাম প্রায়ই। ফারুকী টাইপ নাটকের মার্কিন উচ্চারণের " কি কর্তসো? এইগুলা কি বল্ত্সি্শ" নয়ত বিদঘুটে টক অথবা নোনতা শো দেখার চেয়ে অনেক মজা লাগে।
আশে পাশে অনেকের দেখেছি মোবাইলের সিম বদলে যায় অসম্ভব সব সুন্দর আর মজার বিজ্ঞাপন দেখে। বাংলালিংক, গ্রামীন, সিটিসেল, ওয়ারিদ কারো চেয়ে কেউ কম না! বাংলালিংকের দিন বদলের সিরিজটা অথবা গ্রামীনের লাল সবুজ, মা বা স্বাধীনতা চোখে পানি এনে দেয়। কখনো বা খাড়া করে দেয় রোমকূপ। আবার সংক্রমক "দেশ দেশ দেশ" গানে গানে আমিও "দেশ" ভরেছি আমার সিমেন্সে দেশ ছাড়ার কয়দিন আগে বিজ্ঞাপণ সংক্রমনেই। ডিশে দেখা খুব খুব দারুন একটা বিজ্ঞাপনের কথা মনে পড়ছে। সেটা হল আর সি কোলা। নোবেলের করা সেরা বিজ্ঞাপন গুলোর একটা মনে হয় এটা। আরেকটা খুব মজার আর আমার প্রিয় বিজ্ঞাপন হল নেসক্যাফে। আমার আপি এটাতে প্রবলভাবে সংক্রামিত হয়েছে। তার মুড অফ হলেই সে নেসক্যাফের প্যাকেট খুলে চল সবাই গুন গুন করতে করতে চুলায় গরম পানি দেয়। আমি নিজেও ট্রাই করে দেখেছি। ভালই কাজে দেয়!
হিন্দি চ্যানেল আমার ভাল লাগে না দেখতে। তাই ভারতীয় বিজ্ঞাপন ভাইরাস আমাকে ধরেনি কখনো। কিন্তু আমার ছোট ভাইয়ের জন্ম নয় বছর আগে। কার্টুন নেটওয়ার্ক দেখে বড় হচ্ছে সে যেটা ভারত থেকেই সম্প্রচার হয়। তাকে নিয়ে পড়তে হয় আরেক ফ্যাসাদে। সেও যথারীতি বংশের ধারা অনুযায়ী বিজ্ঞাপন সংক্রমনে আক্রান্ত। কিন্তু ভারতীয় চকলেট আর খেলনার বিজ্ঞাপন গুলো বড়ই বেকায়দায় ফেলে আমাকে যখন আমার আদরের ভাইটা বায়না ধরে আর আমি প্লেনের টিকেট কেটে ঐগুলা কিনে দেয়া যাবে না বলে মুখ কাল করে তাকে বলতে বাধ্য হই যে সেটা পাওয়া যায় না বাংলাদেশে। মাঝে মাঝে চালাকি করে বিরতিগুলোতে চ্যানেল ঘুরিয়ে দেই কিন্তু সব কি এড়ানো যায়? মাঝে মাঝে বাংলাদেশের মুক্ত বাজারে পেয়ে যাই একটা দুটো আকাংখিত জিনিশ। আর আমার ভাইয়াতো মহা খুশী!
মাস দুই আগে মনে হয় নেটে একটা বাংলা বিজ্ঞাপন দেখলাম সিডর নিয়ে এবি ব্যাংকের। খুব মন কেমন করা। অনেক কিছু করতে ইচ্ছা করছিল সব হারানো বাচ্চাগুলোর জন্য। অল্প সল্প করতে চেষ্টা করি কিন্তু দরকারের তুলনায় তাতো কিছুই না! আমার কবে যে অনেক টাকা হবে কে জানে! ঐ বিজ্ঞাপনটা সবাইকে ভীষণভাবে যদি সংক্রামিত করতে পারত!
মন্তব্য
খাইছে!
এটা তো বিজ্ঞাপন নিয়ে পুরোপুরি একটা থিসিস রিপোর্ট।
বর্তমানে গ্রামীণের ''বুঝছ'' বিজ্ঞাপনগুলি ভালো লাগে।
মনে আছে গত ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপের সময় খেলার মাঝখানে মজোর কতগুলা বিজ্ঞাপন দেখাত। এমনিতে খেলায় বাংলাদেশে অবস্থা খারাপ... তখন ঐগুলা দেখলে মাথার মেজাজ গরম হয়ে যাইত।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
পড়াশুনা নাইতো! এইটা নিয়েই থিসিস করি
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
খুব ভালো লাগল লেখাটা। দেশের বাইরে আছেন তো, তাই হয়তো এফ.এম রেডিওতে প্রচারিত বিজ্ঞাপন সম্পর্কে খুব একটা জানা নেই আপনার। এখানেও কিছু হাস্যকর বিজ্ঞাপন শোনা যায়। বিকৃত উচ্চারণ, হাস্যকর উপস্থাপনার কারণে শুনলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। দুঃখজনক হলেও সত্যি আমাদের দেশের বিজ্ঞাপন এখনো মানসম্পন্ন পর্যায়ে যেতে পারেনি। হাতেগোনা দুএকটা ছাড়া প্রশংসা করার বা আশাবাদী হওয়ার মত কিছু নেইও!
ভাল লাগার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
আমি গান ভাল গাইতে পারিনা। তবে জিঙ্গেল গাওয়ায় মনে হয় কিংবদন্তী!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীণ সময়ে ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত নবীণবরণ অনুষ্ঠানে প্রতিটি আইটেমের ফাঁকে ফাঁকে বিজ্ঞাপন বিরতি দিয়ে হাস্যকর সব কান্ডকারখানা করার জন্য মোটামুটি বিখ্যাত ছিলাম। পরবর্তীকালে আমাদের দেখাদেখি আরও কয়েকটি ডিপার্টমেন্টে এটা চালু হয়েছিল।
কি মাঝি? ডরাইলা?
আমি শুনতে চাই!
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
হি হি হি!
মজা পেলাম!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
ও জিঙ্গালের কথায় আরেকটা মজার ঘটনা মনে পড়ল।
আমরা স্কুলে থাকতে চুটিয়ে গান-গান খেলতাম। ঐ শেষ অক্ষর দিয়ে গানের খেলা আর কি! তো আমাদের খেলায় জিঙ্গালও অ্যালাউড ছিল। মাঝেমাঝে কিছু কিছু অক্ষরের গানের ঘাটতি হলে অদ্ভুত সব অ্যাডের গান আমাদের স্টকে থাকত। সেরকম 'অ' দিয়ে দুটো গান ছিল - 'অল্প চাপে বেশি পানির জন্য - আর - এফ - এল' আর 'অভিজাত জীবনের জন্য পার্টেক্স'।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
হেহে আরেকটা কি যেন ছিল পচা গান কোন টিভির এ্যাড এর?
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
আমি ক্লাস ৫-৬ এ পরার সময় মৌসুমির "প্রিয় প্রিয় প্রিয়" সুন্দরী প্রিন্ট শাড়ির এড টা খুব পপুলার হয়। আমার মনে আছে আমি খাবার টেবিলে খাওয়া ছেরে এক দৌরে টিভির সামনে হাজির হতাম গানটা শোনা মাত্র। আর ক্লাসে টিচার রুম এ না আসা পর্যন্ত মৌসুমির মত গান গেয়ে আমরা শাড়ি পরে আছি এমন ভাব নিয়ে ফ্যাশন সো করতাম। আমিতো গানটা গাইতামই তার সাথে এড এর মিউসিক, তবলা সেগুলিও মুখে করতাম। ক্লাসের বন্ধুরা খুব পছন্দ করত
খুব ভালো লাগল আপনার লেখা।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
সচলে কিন্তু অডিও পোস্টানোর সুযোগ আছে। গেয়ে ফেলুন, আমরাও পছন্দ করবো।
মুমু অনেক ধন্যবাদ। ঐটা আমারও অনেক ভাল লাগতো।
ইশতির আইডিয়াটা কিন্তু ভাল
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
লেখাটা খুব ভালো লাগেলো ।
সৈয়দ আখতারুজ্জামান
খুব খুব ভাল লাগে সবার ভাল লাগলে। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
কী? হেন্ন হেন্ন লাক্স কই?
কোনটা? সবুজটা?
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
দারুণ লেখা।
অশেষ ধন্যবাদ
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
হা হা হা
খুব ভাল লাগলো।
কত পুরোনো বিজ্ঞাপনের কথা যে মনে করিয়ে দিলেন!
আচ্ছা, সেই যে... চুলে আমার চাপা মাখা চাই না চাপা ফুল... এটা শুনে চাপার তেল মাখেননি?
..........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
:"> মেখেছি!
অসংখ্য ধন্যবাদ।
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
বেশ ভাল স্মৃতিশক্তি আপনার। আমার তো লাক্স সুন্দরী ছাড়া তেমন কিছুই মনে পড়ে না... আর খুব মনে পড়ে জাম্প কেড্সের কথা।
লাক্সের কথা তো মনে থাকবেই!
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
প্রথম প্রিয় এ্যাড ছিলো জীবন বীমা কর্পোরেশনের... দুই বুড়ো বুড়িকে নিয়ে বিজ্ঞাপন... খুব পছন্দ ছিলো। আরেকটা বিজ্ঞাপন খুব ভালো লাগতো... মেরিল বেবী লোশন... উলু লু লু বাপ্পা... তারা রা রাম তারা রা পাম... সোনা জাদু মনিরে... সোনননা জাদু মনিরে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দুইটাই অনেক সুন্দর
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
আরে! আপনিও দেখি আমার মতই বিজ্ঞাপণ পাগল! আমার আর আমার ভাইয়ের মধ্যে একটা খেলা ছিল নতুন কোন বিজ্ঞাপণ টিভিটে দেখানো হলে সেটা কে কার আগে দেখতে পারল তাই নিয়ে। নতুন বিজ্ঞাপণ দেখে খুব বাহাদুরি করে ভাইয়া যেয়ে জিজ্ঞেস করতাম, "'ঐ এডটা দেখছস?" তার পরে দিতাম বিজ্ঞাপণের অর্ধেক বিবরণ। ভাইইয়া যদি আমার আগেই দেখে থাকে তবে বাকি অর্ধেক সে বলবে। ভাইয়া যখন বাকিটা বলতে পারত না, মুখ চুন করে ফেলত, কি যে ভাল লাগত! অবশ্য সব সময় আমিই যে এ খেলায় জিততাম তা নয়।
নতুন মন্তব্য করুন