এতদিন পরে এসে খটমটে আর জ্বালাময়ী ধরনের সব লেখা পড়ে মাথা ঝাইঝাই করছে। তাই ভাবলাম সাইসাই করে কিছু লিখে ফেলি তাহলে মাথার ভিতরের হাউকাউটা থামবে। তো ঠিকাছে যথারীতি ব্লগরব্লগর। কিন্তু শান্তির মা মারা গেছে।শান্তি নাই।বাংলা লেখা পুরাই গেছি ভুলে। ধুর। কেমন যেন আজকাল সব জট পাকিয়ে যায়। সারা জীবন যত্নে লালিত বৈষ্ণবী কাট দেয়া চুলের জটগুলো মাথার ভেতরে ঢুকে যায়।
সংসার আমার ভালোলাগে না। কখনই না। সং না হলে সংসারী হওয়া যায়না। গোপাল ভাঁড় হওয়া ভাল। লোক হাসিয়ে বা আসর জমিয়ে মজা আছে। কিন্তু মনের খেদ ভেদ রাগ দুঃখ লুকিয়ে রং মেখে সং সেজে নিজেকে ঠকানোর মানে কি? আর এটাইকি সংসারের আরেক নাম না? বোঝাপড়া আর সমঝোতা। যা ভালোলাগেনা তাকে ভাল লাগানো। যা ভাল লাগে তাকে গলা টিপে মারা। যাকে আসলেই গলা টিপে মারতে মন চায় তার গলা জড়িয়ে গলে যাওয়া আহ্লাদ। যার গলা শুনলে মন ভাল হয়ে যায় তাকে এড়িয়ে চলা। কিন্তু চাইলেও ফালতু কারো গলাবাজি এড়িয়ে চলতে না পারা। সংসারের সারমর্ম কি এইনা? সং সাজতে আর ভালো লাগে না। তাই ভালো লাগে না সংসারকেও।
একবার ছোটকালে আপন এক বন্ধুকে বলেছিলাম আমি হিমালয়ে চলে যাব। এই নিয়ে সেকী হাসাহাসি!এখন মনে হয় ভালই হত গেলে। বিবাগিনীর আর বিবাগী হওয়া হলনা মনে হয়।ধুর
মন্তব্য
সেই ২০০৮ এ শেষ লিখেছিলেন। আজ এলেন এতদিন পর--কিন্তু এত্ত ছোট্ট একটা লেখা নিয়ে??
আপনার অনুকাব্যগুলোর বিশাল ভক্ত আমি।
সেইরকম কিছু কাব্য আসুক না হয়---
শুভেচ্ছা নিরন্তর
ওরে বাপরে! ছোট্ট লেখার বিশাল ভক্ত! বড় লেখা লিখতে গেলেই খুদে ক্যাংগারুটা উঠে যাবে
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
ও মা, একদম আমার মাথার ভিতরে যে ভাবনা গুলো জট পাকাচ্ছিলো সেগুলাই লিখে ফেল্লেন। কি আজব? খানিক ক্খণ আউলা লেগে গেসিলো যে আসলে আমি লিখলাম নাকি অন্য কেউ? ঘরের কথা পরে জানলো কেম্নে? নাকি আসলে আম্রা সবাই একিরকম চিন্তা করি।
মোট কথা, লেখা খুবি ভাল্লাগছে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আসলে আপনিই লিখেছেন! আমি চুরি করে ছেপে দিয়েছি।
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
ঠিক তাই, এত সহজে বলে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ
বলা তো সহজই! করতে কঠিন খুব।
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
ভাগ্য দেবী হাতে তাহার ডট পেন সাথে লিষ্টি । সাথে সাথেই ঘুরেন । যেই না কেউ বলিল অমুক আমি পারিনা, উহা আমার সহ্য হয় না, একদম দেখতে পারিনা এমন , তেমন । ব্যাস আর যায় কই সাথে সাথেই তাহা চিরকুট বন্দি করিয়া সঙ্গীর পাঁচক মন্ড তৈরীতে লেগে যায় তাহারা ।
সং এর সারি বদ্ধ সংস্করণে গলায় ঝুলানো তাহাকে নিয়া এইবার চলো ...... মুচকি হাসেন তাহারা । এই হলো হাল চাল । হায়রে সংসার (এখনো এই ভয়ে ঐ মুখো হইনি.....আমি তো হিমালয়ের দিকেই যাচ্ছি ।
যান
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
ওয়েল্কাম্ব্যাক!
এক্কেবারে মনের মতো লেখা।
হারায়ে যাইয়েন না আবার।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ঠ্যাং কিউ
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
সত্যি সত্যি হিমালয়ে চলে যেতে পারলে মন্দ হতো না বোধহয়!
হিমালয়েও বইখাতা?? হায়রে কপাল
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
ঠিকাছে। তাহলে আমি নাহয় আর হিমালয়ে গেলাম না!
বইখাতা থেকে ঘাসপাতা হয়ে গেলে যাওয়া যাবে
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
প্রায় তিন বছর পর...। প্রত্যাবর্তন শুভ হোক
ধৈবত
ধন্যবাদ অনেক
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
আসলেই অনেকদিন পর! ধন্যবাদ
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
পুরোটাই কোট করতে মন চাচ্ছে। বর্ণে বর্ণে একাত্মতা প্রকাশ করছি।
সত্যি সত্যি-ই হিমালয়ে চলে যেতে পারলে ভাল হত। ধুর।
বন্দনা
শুভ প্রত্যাবর্তন।
ধন্যবাদ
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
ধন্যবাদ
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
সংসার বিবাগিরাই যেন সংসারে পাঁকে বেশি করে পড়ে থাকে।
পুড় লেখাটাই কোট করতে ইচ্ছে করছে। বর্ণে বর্ণে একাত্মতা বোধ করছি।
আহা, সত্যি সত্যি-ই যদি হিমালয়ে চলে যাওয়া যেতো তো কী বেশ হতো!!
অসাধারণ
---আশফাক
আরে নাহ্! বেশি সাধারণ
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
হাজার হাজার পৃষ্ঠা লিখা ভরে ফেল্লেও এই ছয়টা বাক্যের ধারে-কাছে যাওয়া যাবে না। চরম রূঢ় সত্যটাকে কি সুন্দর করেই না উপস্থাপন করে ফেললেন। কি আর করা, সেল্যুট জানিয়ে ফেসবুকে শেয়ার মারি !!!
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
রূঢ় সত্য বলে ফেলি বলেই যত ঝামেলায় পড়ি। তাইতো সংসার ভালোলাগে না।
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
ওয়েল্কাম্ব্যাক!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ঠ্যাং খাও
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
কথায় আছে সুখে থাকতে ভূতে কিলোয়। এটাই বোধহয় মানব জীবনের সনাতন চিত্র। বুড়ো ঠাকুর মশাই যা অল্প কথায় বলে গিয়েছিলেন, "যাহা চাই------- চাইনা"। গৃহী মানুষেরাই কেবল বৈরাগ্যের কথা বলে, দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবে, আহা যদি হিমালয়ে চলে যেতে পারতাম। এই সংসার আর ভাল লাগেনা। তারপর তারা গরম কফির কাপে চুমুক দিয়ে ভাবে শাড়ীর দোকানের মূল্যহ্রাসের কথা, ভাবে উইকএন্ডের পিকনিকটা যে পার্কে হবে সেখানে বন্ধুদের সাথে টেনিস বলে ক্রিকেট খেলা যাবে কিনা তার কথা। একে বলে ভাবনা-বিলাস।
আমি সন্ন্যাসী নই, কিন্তু নিশ্চিত যে যদি কোন ঘরছাড়া মানুষকে জিজ্ঞেস করা যায়, তাহলে সে বলবে স্বপ্নে দেখা একটি শান্ত গৃহকোনের কথা। হয়তো বলবে তার না পাওয়া মনের মানুষটির কথা, না জন্মানো শিশুটির কথা যার সাথে সে বহুবার কল্পনার দোলনাতে দুলেছে।
এই লেখাটির একটি কথা ধ্রুব সত্য। তা হলো যে শান্তির মা আসলেই মারা গেছে। আর তাকে মেরেছি আমরা সবাই মিলে। কেননা আমরা মানুষ, তাই। আমরা বোধহয় অটোমেটিক্যালি অতৃপ্ত, অর্জনের পকেটে যাইই থাকুক না কেন, সর্বক্ষণই আমরা ওই এক চিন্তাতেই ব্যস্ত। কে যেন নেই আমাদের। কি যেন পেলাম না এই জীবনে। আরো চাই, আরো চাই। যদি সুখ থাকে, তাহলে চাই দুঃখ। যদি দুঃখ থাকে, তবে চাই যন্ত্রনা।
তাই যখন চমতকার কেয়ারী করা লনে বসে চায়ে চুমুক দিয়ে একজন ভাবে, আহা-যদি হিমালয়ে যেতে পারতাম, তখন মনে রাখবেন যে হিমালয়ের চূড়ায় পৌঁছানো ক্লান্ত মানুষটি তার লাঠিটির উপর শরীরের সবটুকু ভার চাপিয়ে তখন হিসেব করছে যে এর চেয়ে কি ঘরে বসে আরামের চেয়ার গা এলিয়ে দেওয়াটাই বেশী আনন্দের ছিল কিনা।
লেখাটি নিঃসন্দেহে ভাল। যখন জীবন মাপা পায়ে চলে তখনই এই রকম চিন্তা আসে মনে। তারপর কাজলদীঘির জলে ভেসে ওঠা স্বল্পায়ু বুদবুদটির মতো তা হারিয়ে যায়। তা যাক। কিন্তু বুদবুদটির কারণেই তো জন্মালো এই রকম একটি লেখা। তাইই অর্জন, তাইই প্রাপ্তি। আমরা সবাই সেটুকু পেয়েই খুশী। লিখুন আরো। ঘরছাড়া মানুষেরা আসলে স্বার্থপর। তারা শুধু নিজেদের তৃপ্তিটাকেই প্রাধান্য দেয়। সে তুলনায় গৃহীরা অনেক ভালো। তারা আশপাশের মানুষের কথা ভেবে সংসারের যাঁতাকলে নিজেকে ঠেলে দেয়। তারপর লুকিয়ে নেওয়া দীর্ঘশ্বাসটিকে শব্দের মলাটে বেঁধে ফেলে। আর আমরা তা পড়ে বিষন্ন হই। ভাবি- এইতো জীবন! আহা-আমি যদি সন্ন্যাসী হতে পারতাম।
মন্তব্যে নাম দিতে ভুলে গেছলাম।
-নিলম্বিত গণিতক
নাম দিয়ে কীবা হয়? ফলে পরিচয় আপনার ফল খেয়ে আমি নিজের নামই ভুলে গেছি
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
আহ হা। এতদিনে! আমি সেই কবে থেকে---যখন লিখতাম না, শুধু পড়তাম, সেই থেকে ভাবছি বিবাগিনী একবার আসুক, খপ করে ধরবো!
আসলে সেই হৈমন্তীর কাহিনি থেকেই আমি আপনার ফ্যান। এক সচলচারণে লিখেওছিলাম মনে হয়।
মন খুলে হত খুলে লিখুন, পড়ি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ওরে আল্লাহ! বলে কি!!
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
:-)
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভালো লেগেছে। চলেন হিমালয়ে যাই।
...........................
Every Picture Tells a Story
ছবিতে ঘরসংসার দেখা যাচ্ছে। আপনার যাওয়া হবে না।
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
আমি কিন্তু সংসার নিয়েই ঘুরে বেড়াই।
...........................
Every Picture Tells a Story
সার্থক সংসারী দেখি
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
ভাল লাগল লেখাটা
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধন্যবাদ অনেক
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
নতুন মন্তব্য করুন