সাদাত শিমুল ভাইয়ের "মনে পড়ে, নীলক্ষেত" পড়ে যারপরনাই অনুপ্রানিত হয়ে লেখা
কোথায় যেন পড়েছিলাম , নতুন বিদেশে এসে বাঙ্গালীদের প্রধানত দুভাগে ভাগ হয়ে যান। এক দল যা দেখে সব কিছুতেই মুগ্ধ হয়; অন্য দলের অবস্থা সম্পূর্ন বিপরীত। তাদের কিছুই ভাল লাগে না। আমি মনে হয় ২য় দলে।
তো প্রথম যে জিনিষটা ভাল লাগল তা হল স্টারবাকস্ কফি। কদিনের মধ্যে আবিষ্কার করে ফেললাম দেশের আলম ভাইয়ের টঙ্গের দোকানের সাথে এর নানা মিল।
- দুটাই তরুনদের প্রিয় আড্ডাস্থল। স্টারবাক্সে অবশ্য বয়স্কদেরও দেখা যায়। এক কাপ কফি নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা চলে নানা তর্ক বিতর্ক, তমুল আড্ডা। কেউ হয়তো গিটার নিয়ে বেসুরো গলায় গান ধরে। পুরো আমেরিকার দ্রুত ছুটে চলা জীবনের সম্পুর্ন বিপরীত চিত্র এখানে। কারো যেন কোন তাড়া নেই। কেবল নিটল আনন্দময় সময়।
- আলম ভাই যেমন সারাদিন রেডিও বাজায়, স্টারবাক্সেও বেজে চলে নানা জ্যাজ মিঊজিক। স্টারবাক্সের কল্যানে কদিনেই ভক্ত হয়ে যাই মাইল ডেভিসের।
- আলম ভাইয়ের সেই প্রবল হলুদ কেক, কলা আর টোস্ট বিস্কুটকের মত স্টারবাক্সেও আছে নানা স্বাদের ব্রাউনি আর মাফিন। আর উপরি হিসাবে আছে ফ্রী ও্যায়ারলেস ইন্টারনেট। ল্যাপ্টপ আর বটমলেস কফি নিয়ে বসে চলে তুমুল ব্রঊজিং।
- অবাক কান্ড মনে হলেও আলম ভাইয়ের লাশের চা আর একটা টল মোকার দাম প্রায় সমান। পার্থক্যটা কেবল টাকায় আর ডলারে।
কিন্তু যতই মনকে বুঝাই , ফাঁকি টা নিজের কাছেই ধরা পড়ে যায।
৩ বছর পর গেলে কি স্টারবাকসের কেউ আমাকে আলম ভাইয়ের মত বলবে -
- আপা কদ্দিন পর আইলেন!
- আলম ভাই ভুলে গ্যাছেন??? আমি তো এখন অন্য দেশে থাকি।
- হেহ হেহঃ , কি যে কন! আপা, ভুলি নাই । আমি ডিবি করসি এবার, যদি লাগে , তয় আমি কিন্তু আম্পনার অখানেই যাব কলাম।
- কোন অসুবিধা নাই আলম ভাই, আপনি অবশ্যই আসবেন।
- অই পিচ্চি আপারে, চিনি কম, পাত্তি বেশী একটা চা দে! কাপ ধুইয়া দিবি ভাল করে।
আমার কেমন চা- পছন্দ, তআ এখনো মনে রেখেছেন দেখে খুশী হয়ে যাই।
টুকটাক কথার পর ব্যস্ত হয়ে পরি , বন্ধুদের সাথে আড্ডায়, কোন ফাঁকে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে। খেয়াল হয় মশার জ্বালায়।
চায়ের দাম দিতে উঠি! জ্বিভ কেটে আলম ভাই বলেন
- আপা আপনি আমার পুরানা কাস্টমার , আপ্নের আজ দাম দিতে হবে না।
আমি জোর করি না। এই মমতার মুল্য দু টাকার চায়ের চেয়ে অনেক বেশী। হ্যা আলম ভাইয়ের কাছেও।
পরদিন আবার যাই, দেশবাসীর জন্য আনা কিছু গণ উপহারের একটা নিয়ে। কিন্তু দেয়া হয় না । নিজের কাছেই লজ্জা লাগে। তার বদলে আমার ঠিকানা আর নাম্বার দিয়ে আসি। ডিভি লেগে গেলে যেন যোগাযোগ করতে পারেন।
মন্তব্য
এনালজিটা চমতকার লাগলো
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
চমতকার লেগেছে জেনে ভাল লাগলো।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
লেখাটি ভালো লেগেছে। মনটাও খারাপ হয়েছে।
তবে এখানে আন্তরিকতা যে নেই তা কিন্তু নয়। মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশনের কাছে আন্তরিকতা পাওয়া যাবে না ঠিক কিন্তু ব্যক্তিস্বাধীন ছোট ব্যবসায়ীরা এখানেও কম-বেশি আন্তরিক।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
একমত।
আন্তরিক মানুষ, সবখানেই আছে।
তবে নিজের দেশের মানুষের প্রতি আমার ,খানিকটা বায়াস যে কাজ করে।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
যখন ১০ টাকা দিয়া সারাদিন চালাইতে হইতো... সিগারেট আর বাস ভাড়াতেই সব শেষ হইতো... যখন দুপুরে খাদ্য জুটতো না কপালে... তখন সারাদিনের ঘুরাঘুরি শেষে বিকেলে বেইলী রোডে যেতাম থিয়েটারের তারনায়। আমি আর সুমন... গাইড হাউজ লাগোয়া চায়ের দোকান... আজরাইল মামার।
সে কাউকে বাকীতে দেয় না... আমাকে আর সুমনকে দেয় শুধু... আমরা বুভুক্ষের মতো কলা, টোস্ট বিস্কিট আর চা খাইতাম। আমাদের জন্য অবারিত দ্বার ছিলো।
সিটি কর্পোরেশন একদিন তুলে দিলো তার দোকান। আর দেখা হলো না তার সঙ্গে... তিনশ টাকা পায় আমাদের কাছে। এ প্রায় ১২/১৩ বছর আগের কথা...
আহ্... এই কষ্টটা... এই ঋণটা যে কি বিকট রকম রয়ে গেলো জীবনে...
আপনার লেখাটা পড়ে কেন জানি তার কথা মনে পড়লো খুব।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আহা দশ টাকা দিয়া দিন চালানোর কথা মনে করায় দিলেন! কলেজে আমার জন্য বরাদ্দ ছিল ডেইলী দশ টাকা। সরকারী বাঙলা কলেজে পড়ি তখন। কলেজ শেষ হইত ১টা কি ২টার সময়। তো মিরপুর ১২ থেকে ১ নম্বর যাইতে এক টাকা। মিরপুর ১ থেকে কলেজ পর্যন্ত রিক্সায় চার টাকা। যাইতে আসতে যেটুকু ভাড়া লাগত সেটাই দিত আব্বা। সকালের নাস্তা আর দুপুরের খাবার বাসাতেই খেতে পারব। এই টাইট পরিকল্পনার কারন হল, বেশী টাকা পেয়ে যেন গোল্লায় না যাই।
এই ১০ টাকা থেকেই আমি আবার টাকা বাঁচাতাম। দেড় টাকা দিলে বাংলা কলেজের সামনে নামিয়ে দিতো। ডাইরেক্ট বাস হলে বাংলা কলেজের সামনে স্পিড ব্রেকার স্লো করত আর আমরা ভিড় ঠেল চার পাঁচ জন এর মধ্যেই টুপ টুপ করে নেমে পড়তাম। প্রথম হাল্কা একটা দুইটা গড়ান খাইলেও পরে আর কিছু হত না।
যাওয়া আসার তিন টাকা খরচের পর হাতে থাকতো সাত টাকা। আমি তখন রাজা। বাংলা কলেজে মামুর দোকানে চা, সিঙ্গারা আর সিগারেট। সুখ!!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
স্কুলে থাকতে আমাকেও দশ টাকা দিতো। বিশাল পেইন সময় কাটছে। সেখান থেকে টাকা বাঁচাইতে হইতো।
কলেজে উঠে রাজা হয়ে গেলাম। মাসে একহাজার টাকা। অন্য সিস্টেমও ছিলো। মাঝে মাঝে কোচিং এ ভর্তি হয়ে আর যাইতাম না। সেইসব কিছু বেতন আমার পকেটে ঢুকতো। তার উপরে পরের দিকে ভোরের কাগজে লিখে কিছু টাকা পাইতাম। তবু মেয়েদের জ্বালায় পকেটে থাকা থাকতো না। তখন বেনসন থেকে একটানে ক্যাপস্টার্নে নামতাম।
টাকা চাইলে অবশ্য বাবা-মা না করে নাই কখনো। তবে ডিরেক্ট চাইতে লজ্জা লাগতো।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
কলেজের কালে মাসে এক হাজার টাকা হাত খরচ? আপনে তো ভাই রাজা ছিলেন। মিরপুরেরই তো... ইশ্... আপনার সঙ্গে বন্ধুত্ব হওনের দরকার ছিলো... কতদিন যে সিগারেটের পয়সা না থাকায় বিড়ি খাইছি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তুমি তো দেখি ছোটবেলা থেকেই সেইরকম ভাল
কোচিং অবশ্য আমিও পালিয়েছি অনেক, তবে সেটা অর্থনৈতিক কারনে না
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
বুঝতে হবে। বুঝে ইজি থাকতে হবে।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
আপনে বাঙলা কলেজের? কন্কি? ঐটাতো আমার ঘরের কলেজ।
আমার নিজের কলেজ ঢাকা কলেজ। কিন্তু আমি ভর্তি হইতে চাইছিলাম আসলে বাঙলা কলেজে। দুইটা কলেজেরই মাত্র ফর্ম কিনছিলাম। ঢাকা কলেজে টিকে যাওয়ায় আর বাঙলায় ভর্তি হওয়া হয়নাই। কিন্তু প্রাণটা এখানেই থাকতো। বাঙলা কলেজে আমাদের এলাকার বিরাট দাপট ছিলো। তা পলিটিক্যাল। ছাত্রলীগের ক্ষমতার দাপটে আমরা ঐ কলেজে সবসময়ই দাপটে ছিলাম। বাঙলা কলেজের সাবেক ভিপি মাজহার ভাই ছিলো ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি। এমনকি ছাত্রদল ক্ষমতায় থাকলেও শামীম ভাই (ভিপি) আমাদেরকে খাতিরে রাখতো। আর মামুর দোকানে আমাদের পয়সা খুব একটা দিতে হইতো না।
আমরা একেবারে ছোটবেলা থেকে বাঙলা কলেজের রাজনীতির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত।
অপু মামাদের আমল থেকে জানু ভাই... সব... বাঙলা কলেজের মাঠ, পাশের বিএডিসির মাঠ আমাদের বিচরণ ক্ষেত্র ছিলো। পাশের কেরামত নগর... (আহা... কেরামত চাচার মেয়ে পূর্ণিমার কথা মনে পড়ে)।
নাহ্... নষ্টালজিক করে দিলেন দেখি এই শেষ রাইতে।
আর দশ টাকার মামলা তো আমারও। তবে আমার বাসে খুব একটা টাকা পয়সা লাগতো না। গাবতলী টার্মিনালে ব্যাপক আড্ডাবাজীর সূত্রে অধিকাংশ বাসের হেল্পার কন্ডাক্টর আমার বন্ধু শ্রেনীর ছিলো... ভাড়ার তো প্রশ্নই উঠে না। তার উপরে মাস্তানী তো আছেই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কন্কি! আমরা যখন কলেজে তখন আলীপ ক্ষমতায় আসছে সবে মাত্র। শামীম ভাইরে মাঝে মইধ্যে কলেজে দেখা যায় বির্মষ মুখে ঘুরতে। আলীগের পক্ষ থেইকা প্রকাশ আর বিকাশের কথা শোনা যাইতেছিল। আমাদের একটা আবৃত্তি সংগঠন ছিল। প্রকাশদা আমাদের আবার একটু আলীগায়িত করতে চাইছিলেন। একটা অনুষ্ঠান করছিলাম। তখন অবশ্য প্রকাশদা আর মাজহার ভাই অনেক সাহায্য করছিল।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আহা... শামীম ভাইয়ের বিমর্ষ মুখ... লোকটা কিন্তু দেখতে বেশ সুন্দর আছিলো।
শামীম ভাইদের কবল থেকে বাঙলা কলেজকে উদ্ধার করছিলো যেই টিমটা তার নেতা পলাশ আমার খুব বন্ধু ছিলো। সে যদিও আমার মতোই... বাঙলা কলেজের না... ঢাকা কলেজের ভিপি হইছিলো পরে। তারপরে তো কল্যানপুরে গুলি খায়া মরলো।
বাংলাদেশে প্রথম যেবার শীর্ষ সন্ত্রাসী ঘোষনা হইলো... তিনজন ছিলো... সুইডেন আসলাম, প্রকাশ আর বিকাশ... তারা ছিলো বড় ভাইয়ের মতো... আব্দার মিটানোর দায়িত্বে। আর মাজহার ভাই? সে হইলো আমার সবচেয়ে ক্লোজ বাল্যবন্ধু কামরুলের বড় ভাই। আমারই এলাকার। আমার সাথে খুব ভালো খাতির। খালি একটাই সমস্যা... আমারে সে খালি সাহিত্যিক নামে ডাকে। সে পরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হইছিলো।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে বাঙলা কলেজে ছাত্রলীগের যে কনভেনশন হয় সেইটার স্টেজ ডেকোরেশন আমার করা ছিলো... পিছের ব্যাণার ডিজাইন, সারা রাইত ভইরা শোলা কাইট্টা নকশা... চিকা মারা...
আপনে তো দেখি আমার খুব কাছাকাছি ছিলেন... তখন যদি বলতেন যে আপনে সচলায়তন বানাইবেন, তাইলে আমি আপনের কলেজ লাইফ কত্ত আরামদায়ক বানায়া দিতে পারতাম জানেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ভালই তো জমেছিলো।
আমার জন্মও মিরপুর (পল্লবীতে), তবে বড় হয়েছি মিরপুর রোডে (ধানমন্ডিতে)।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
আমার ছেলেবেলাও মিরপুরে। পীরেরবাগ।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
নিজের দেশের কোন বিকল্প নেই আসলেই!
সহমত!
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
লেখা ভালো হয়েছে।
আরো ভালো হত, যদি রোযা-রমজানের মাসে খাদ্য-পানীয় নিয়ে না লিখতে!
আফা মনিরে রোজায় ধরছে মনে হয়?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এইসব কথা কি জিজ্ঞেস করতে হয় নাকি, মুর্শেদ ভাইয়া?
ইফতারির আগেই যে তোমার ঘুম ভাংবে সেটা তো বুঝিনি
ঠাঙ্কু ।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
কীরে সবাই দেখি নষ্টালজিক হয়ে পড়ল। আমি তো অনেক চেষ্টা করেও হতে পারছিনা, ব্যাপারটা কী?
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
- হাড়ভাঙা চেষ্টা দিতাছি একটু নস্টালজিক হওয়ার। হইলে পরে আইসা সেইরকম একটা কমেন্ট করে যাবো নে।
এখন শুধু লেখাটার গুনগান গেয়েই ছেড়ে দেই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাড়ভাঙ্গা চেষ্টার জন্য ধূগোদাকে প্রান্ডঢালা শুভেচ্ছা।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
অনেক অনেক দিন পর লগিন করলাম শুধু মন্তব্য করতে। লেখাটা খুব ভাল হয়েছে - আমি খুবই চায়ের ভক্ত, তাই starbucks কিংবা costa আমার পোষায় না, নিজ হাতই এখন সেরা।
দুইদিন আগে Tesco থেকে মশলা চাপাতি কিনে আনছি - বেশ স্বাদ। কিছুটা হলেও বটতলার স্বাদ খুজে পাই।
ভাল লিখেছেন, শুভেচ্ছা থাকলো।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ হাসান ভাইয়া।
আমি StarBucks এ যাই কেবল environment এর জন্য।
আমারও Mocha, Latte, Grandee সব কিছুরই একটা লো ক্যালোরি হোম-মেড ভার্সান আছে।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
এমনিতে আমার প্রিয় কফিশপ "টিম হর্টনস" আর "সেকেন্ড কাপ"। আর স্টারবাকস-এর বেচাকেনার একটা অংশ ইসরাইল মিলিটারিতে যায় এমন কথা শোনার পরে ভুলেও ওদের কফি মুখে তুলি না। ওদের সিইও অবশ্য বলে কথা সত্য না। কিন্তু ভুলেও যুদ্ধে সহায়তা দিতে চাই না।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
ভাল লাগল আমি অফিসের আগে প্রায় সকালে একটা ছোট কফিসপ থেকে কিনি সেখানে আমাকেও অনেকটা আপনার আলম ভাইয়ের মত করে, আসতেই কেমন আছি, মনে রাখে কি কিনি, মাঝে কখনও সকালে দেরি হয়ে গেলে না গেলেই পরদিন বলে কালকে আসিনি কেন
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
ধন্যবাদ মুমু আপু।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশনের ধান্দা টাকা কামানোর। তাদের কাছে আন্তরিকতা আশা করা যায় না। আর আলম ভাইয়েরা তো আমাদের পাড়ার মোড়েরই বাসিন্দা। ধরতে গেলে পাড়াতুতো ভাই। কাজেই খোঁজখবর রাখা তারা নিজেদের দায়িত্ব বলেই মানে।
একমত।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পান্থ ভাই।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
নতুন বিদেশে এসে বাংগালি দু ভাগে ভাগ হয়ে যায় লেখাটি হুমায়ুন আহমেদ এর "হোটেল গ্রেভার ইন" এ ছিল।
ধণ্যবাদ।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
এখন অফিসে বললেই চা/কফি দেয় কিংবা উপরের ক্যান্টিন থেকে পাঠিয়ে দেয়। তারপরেও বের হয়ে কাছের রাস্তার মোড়ের বেঞ্চে বসে চা-বিস্কুট কলা মেরে আসি।
জাপানে থাকার সময় এরকম জায়গা খুব মিস করতাম। পরের দিকে দেখলাম ডিপার্টমেন্টের মাঝে একটু খোলামেলা জায়গায় যেই ভেন্ডিং মেশিনটা আছে ওখানে পোলাপান ড্রিংকস নিয়ে সিড়িতে বসে আড্ডা মারতে মারতে খায়। আড্ডাবাজদের সাথে ভাষার দূরত্ব থাকলেও ওখানে সিড়িতে বসে কোকোয়া/কফি চালাতে চালাতে কিছুটা ভাল লাগতো।
লেখা ভাল লেগেছে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
এখানে আমার অফিসেও ফ্রী কফি পাওয়া যায়, কিন্তু নিজেকে তৈরী করে নিতে হয়...
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
পৃথিবীর সবচেয়ে মজার খাইদ্য হল- টং এর দোকানের চা আর গোল্ডলীফ সিগারেট।
লেখাটা ভালো লাগল।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
টঙ্গের চা আমারো দারুন লাগে।
তবে গোল্ডলীফে অভিজ্ঞতা নাই
অফ টপিকঃ
ব্যাঘ্র শাবকের চেয়ে , হিউম্যান শাবক টা অনেক সুইট ছিলো।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
সুইট হইলে আর কী লাভ? সৌরভ ভাই তো বলে দিছে আর কয়েকদিন পর রাস্তাঘাটে মেয়েরা মামা চাচা বলে ডাকবে। ওনাকে নাকি প্রায় ডাকে এখন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
লেখাটা ভাল হয়েচে।
তবে দেশে কত্তো সমস্যা।
এত্তো ময়্লা, নোংরা !! বাইরেরে খাবার খাওয়া যায় ? সেখানে আলম মামার দোকানের চা । সবার খওয়া কাপে আমি চা খাব? না বাবা প্রস্নই উঠে না। পরিস্কার করে কিনা কে জানে!! কত জীবানু। ওয়াক থু থু!!! তার উপর লাশের চা....
(আমি আমার নিজের কথা বল্লাম কিন্তু কার সাথে কেউ কন মিল পেলে তার দায় দায়িত্ত আমার নাই।)
হেঃ হেঃ চলমান ভাবনা আপু, আমিও এককালে আপনার মতই ভাবতাম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে কত কিছু বদলায় তাই না???
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
সেটাই দেখছি। ভাল লাগল ।
স্টারবাকসের মাইয়াগুলান খুব সুন্দর হয়।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
লক্ষণ ভালা না। আজকাইকার পুলাপাইনরে নিয়া আমি গভীরভাবে চিন্তিত।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
পুলাপাইন বয়স তো বেশিদিন নাহ।
কয়েকদিন পরে মাইয়াগুলান চাচা-মামা ডাকা শুরু করলে তখন বুঝবা।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
হেঃ হেঃ
অফ টপিকঃ
গতকালই মনের ভুলে এক ভাবী কে আন্টি ডেকে ফেলায় চরম হেনস্তা হতে হয়েছে।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
হাহ হা।
এইজন্যে সবাইরে ভাবী বলবেন। কাউরে একটু তেল দিতে চাইলে আপুও ডাকতে পারেন। তবে বুঝেশুনে।
স্টারবাকস আমার খুব পছন্দের। কফির জন্যে নয়, অনেকক্ষণ বসে থাকার জন্য। মানুষে ভর্তি শহরে, এক টুকরো বসার জায়গা হিসেবে সবসময়ই প্রথম জায়গা। কোন ফিকশনের বই নিয়ে একলা, অথবা সহযাত্রীদের নিয়ে অর্থহীন প্রসঙ্গে ঝড় তোলার জন্যে স্টারবাকস সবসময়ই পছন্দের।
জাপানে সমস্যা হলো, মেয়েদের ভীড় থাকে বেশি। মেয়ে রা একলা ফাস্ট ফুডের দোকানে সাধারণত ঢোকে না, কিন্তু কফি-চেইনগুলোতে ঢোকে। তাই বসার জায়গা সবসময় পাওয়া যায় না।
আলম ভাইর দোকান নিয়ে এবার বলি। আমি যে সামান্য সময়টুকু (মাস আষ্টেক, ২০০০ এর লম্বা ইলেকশন সহ একটা টার্ম) বুয়েটে ছিলাম, আহসানউল্লায় থাকতাম। কাজেই বুঝতেই পারছেন, জীবন বাঁচাতে আলম ভাই, জীবন সাজাতে আলম ভাই। কী পাওয়া যেত না, আলম ভাইর সেই ছোট্ট জায়গাটুকুতে?
আমার মাঝে মাঝে মনে হতো, আলম ভাই ম্যাজিক জানে। কেউ কিছু চাইলে, মন্ত্র পড়ে বানিয়ে দিতো।
রাজকীয় একটা পাকস্থলীর মালিক হওয়ায় মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। হলের খাবার খেতে পারতাম না। তখন ভরসা ছিলো, আলম ভাইর দোকানের ডিম স্যান্ডুইচ।
আরো কত স্মৃতি। সব বলতে গেলে আরেক্টা পোস্ট হয়ে যাবে।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
আলম ভাইয়ের ডিম স্যান্ডুইচ, সুইস বন আর ছানার সন্দেশের কোন জবাব নাই।
= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
আরে আলম ভাইয়ের ডিম স্যান্ডুইচ আর চপবন ক্লাসিক।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
দারুন লেখা। এইসব "আলম ভাই"-দের দোকানের চায়ের স্বাদ বোধহয় কেউই ভুলতে পারে না! ভোলা সম্ভবও না!
___________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
কথা সত্যি।
১০০% সহমত।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
একবার দেশে গিয়েছি, স্কুলের বুয়া দেখা করতে এসেছিলো, সাহায্যের দরকার কিন্তু তবুও যে আমার কথা মনে পড়েছে, তাতেই চোখে পানি এসে গিয়েছিলো।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আরে আমার পোস্টের সুত্র ধরে এই লেখা!
মিস হয়ে গেলো ক্যাম্নে?
পড়লাম। পুরা ফাইভ স্টার।
সিডনীতে মনেহয় স্টারবাক্স একটু কমই চলে, কারণটা ঠিক জানিনা। তবে ম্যাক-ক্যাফে এবং গ্লোরিয়া জিন্স কফিশপেই বেশি ভীড় দেখি সবসময়। কিন্তু এগুলোর কাছে টঙ্গের দোকানের চা কিচ্ছুনা। মিরপুর-১০ আর মিরপুর-২ এর রেস্তোরা গুলোর কথা মনে পড়ছে খুব। খুব মজা করে ওরা চা বানাতো। কি যে মেশাতো আল্লা মালুম !
লেখা ভাল হয়েছে রাদিয়া আপু। অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।
------------------------------------------
--------------------------------------------------------
নতুন মন্তব্য করুন